পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শৈবপুরাণ সাত্ত্বিক, বৈষ্ণবপুরাণ গুলি তামসিক

ছবি
  দশ শৈব পুরাণানি সাত্ত্বিকানি বিদুর্বুধাঃ ॥ ৪৫ শ্রদ্ধেয়ানি দ্বিজবরৈঃ তেষাং ধর্মাস্তু তত্রযৎ। সত্ত্বং শুক্লং সমাধিষ্টং সুখজ্ঞানাস্পদং তু যত্ ॥ ৪৬ দশ শৈব পুরাণানি হিংসা দোষ পরান্মুখম্ ॥ ৪৮  বৈষ্ণবানি চ চত্বারি তামসানি মুনীশ্বরাঃ ॥ ৪৯ তমঃ কৃষ্ণমুদাসীনং কুটকৃত্য বিশারদম্ । নিদ্রালস্য প্রমাদাদ্যাঃ তগুণাঃ পরিকীর্তিতাঃ ॥ ৫০ (রেফারেন্স – স্কন্দমহাপুরাণ/শংকরসংহিতা/শিবরহস্যখণ্ড/সম্ভবকাণ্ড/২নং অধ্যায় ) ☘️সরলার্থ – দশটি শিব বিষয়ক শৈব পুরাণগুলি হল সাত্ত্বিক ॥৪৫ শ্রদ্ধেয় দ্বিজগণের (মুনীগণ) দ্বারা সেখানে ধর্মাদি কর্মের কথা লিখিত রয়েছে। সত্ত্ব গুণ সর্বদাই শুক্ল (নির্মল অর্থে), সমাধি স্বরূপ (অর্থাৎ মোক্ষের প্রতি জীবকে এগিয়ে নিয়ে যায়), সুখময় এবং জ্ঞানদায়ক (অর্থাৎ শৈবপুরাণ গুলোই মোক্ষ ও জ্ঞানদায়ক)॥৪৬ দশটি শৈবপুরাণ মানুষকে হিংসা, দোষ এসব থেকে বিরত রাখে ॥৪৮ হে মুনীশ্বরগণ! তবে চারটি বৈষ্ণব মূলক পুরাণ তামসিক ॥৪৯ তমো অর্থাৎ কৃষ্ণ (কালো, মায়া স্বরূপ অন্ধকার অর্থে) সেগুলি মানুষকে উদাসীন এবং কুটকৃত্য করতে প্রেরিত করে। (বৈষ্ণব পুরাণগুলি) নিদ্রা, আলস্য এইসব তামসিক গুণের সঞ্চার করে ॥৫০ 🔥সিদ্ধান্ত –  শ

পদ্মপুরাণে ভগবদ্গীতা সাক্ষাৎ শিবস্বরূপ‌ ও সদাশিব‌ বিষ্ণুর চেয়ে পরম বলে শ্রীবিষ্ণুর স্বীকারোক্তি - (ভাবার্থ বিশ্লেষণ ও টীকা সহ)

ছবি
এখানে বৈষ্ণবদের পরমপ্রিয় সাত্ত্বিকপুরাণ পদ্মপুরাণ থেকে প্রমাণসহ দেখানো হল যে, বিষ্ণুর চেয়ে‌ও পরম হলেন শিব ও অন্তিমে এই শিব‌ই একা থাকেন, তখন বিষ্ণুর দেহ‌ও শিবে বিলীন হয় যা শ্রীবিষ্ণু নিজেই স্বীকার করেছেন। এছাড়াও শ্রীবিষ্ণু আরো বলেছেন যে তার দেয়া(কৃষ্ণরূপে) গীতা অর্থাৎ ভগবদ্গীতার ১৮ অধ্যায়ের দ্বারা যিনি প্রতিপাদিত হন তিনি একমাত্র সদাশিব। অর্থাৎ ভগবদ্গীতা যে শিব মাহাত্ম্যের প্রকাশকারী মহারত্ন তা উপলব্ধ করা যায়। নীচে এ বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ আছে। এখানে পরমসত্যের গুহ্য রসহ্যকে উন্মোচন করা হয়েছে, কেউ আবার বিভেদ করা হচ্ছে বলে বৃথা বাক্য প্রয়োগ করবেন না। ধৈর্য্য সহকারে সম্পূর্ণ অধ্যয়ন করবেন। আশা করি পদ্মপুরাণের এই নির্দেশনা দর্শন করবার পর বৈষ্ণবগণেরা আর কখনো শিবনিন্দা করবে না, ভগবদ্গীতা যে সাক্ষাৎ শিবের এটিও অস্বীকার করার দুঃসাহস দেখাবে না। কেননা পদ্মপুরাণ তাদের কাছে পরমসাত্ত্বিক পুরাণ বলে গণ্য। সুতরাং, পদ্মপুরাণ কথিত এই শিবমাহাত্ম্য কেও বৈষ্ণবগণেদের অবশ্য‌ই স্বীকার করে নিতে হবে । 🌷এবার আসা যাক মূল আলোচনায় 🚩আলোচ্চ বিষয়ের মূল শ্লোকের রেফারেন্স - পদ্মপুরাণ/উত্তর খণ্ড/১৭৫ নং অধ্যায়

অন্য দেবতার ভক্তদের‌ও অন্তিমে শিব‌ই পরম গতি

ছবি
  অন্যং ভজন্তি যে নিত্যং তস্মিংস্তে লীনতাং গতাঃ । তেনৈব রুদ্রং তে প্রাপ্তাঃ কালেন মহতা বুধাঃ ॥১৬ রুদ্রভক্তাস্তু যে কেচিত্তৎক্ষণং শিবতাং গতাঃ । অন্যাপেক্ষা ন বৈ তেষাং শ্রুতিরেষা সনাতনী ॥১৭ [রেফারেন্স - শিবমহাপুরাণ/কোটিরুদ্রসংহিতা/অধ্যায় ৪২] ☘️ সরলার্থ - যে সমস্ত ব্যক্তি অন্য দেবতাকে নিত্য ভজনা করেন  তারা সেই দেবতাতেই লীন হয়ে বহু সময় অতীত হলে অবশেষে সেই দেবতার মাধ্যমে পরমেশ্বর শিব কে প্রাপ্ত করার সৌভাগ্য লাভ করেন। কিন্তু যারা শিবভক্ত তারা ওই সময়েই সরাসরি শিবতত্ত্ব কে প্রাপ্ত করে নেন কেননা তাদের অন্য কোন দেবতার প্রয়োজন পড়ে না, ইহাই সনাতন শ্রুতি ॥১৬ - ১৭ 🔥 সিদ্ধান্ত - বৈষ্ণব হোক বা শাক্ত, গাণপত্য হোক বা সৌর সকলেই  অন্তিমে শিবে বিলীন হন, যেহেতু তারা অন্য দেবতার ভক্ত তাই  তারা প্রথমে তাদের আরাধ্যতে লয় হবার পর অন্তিমে শিবে বিলীন  হন, কারণ, শিব‌ই অদ্বিতীয় পরমেশ্বর। কিন্তু যারা শিবভক্ত শৈব  তারা যেহেতু সরাসরি সেই পরমেশ্বর শিবের ভক্ত তাই তারা অনায়াসেই  শিবে লীন হয়ে শিবপ্রাপ্ত করেন, এটি চিরন্তন সত্য বেদবাক্য । © Koushik Roy. All Rights Reserved https://issgt100.blogspot.com

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত