শৈব ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংস্কৃতি


পরমেশ্বর শিবের প্রকাশিত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে শিবধর্ম‌ই স্থাপিত রয়েছে সৃষ্টির সময় থেকে অনন্ত কাল ধরে। শাস্ত্রের বচন অনুসারে সত্য যুগ থেকেই শৈবধর্মী ছিল সকলেই, কলিযুগে বহু গৌণ উপধারা মতবাদ উৎপন্ন হয়ে বৈষ্ণব শাক্ত ইত্যাদি সম্প্রদায় মাথা চাড়া দিলেও, তৎকালীন সময়েও পরমেশ্বর শিবের শৈবধর্মের প্রভাব ছিল ভীষন পরিমাণে। যার কারণে প্রাচীন ঐতিহাসিক বহু রাজা-মহারাজা শিবভক্ত ছিলেন, শৈব ধর্ম পালনকারী শৈব ছিলেন। বর্তমানে শৈবধর্ম - সনাতন ধর্ম নামে নামাঙ্কিত হয়ে শৈবধর্ম একটি সম্প্রদায় হিসেবে মাত্র চিহ্নিত হচ্ছে সমাজে। কিন্তু সনাতন ধর্মের প্রাচীন ইতিহাস দেখলেই বোঝা যায় বিশ্বের প্রায় কোণায় কোণায় যেসব রাজাদের সনাতনী হিন্দু রাজা হিসেবে চিহ্নিত করে নিজেদের ধর্মের মহানতা, বিশালতার গর্বে বর্তমান সনাতনী হিন্দু সমাজের মানুষের বুক ভরে উঠছে আনন্দে, সেই রাজাদের অধিকাংশ‌ই ছিলেন শৈব, সকল প্রকারের সংস্কৃতি তে শিবের অবস্থান ছিল নির্দিষ্ট ও প্রধানতম হিসেবে। 

বর্তমান সমাজ সে প্রাচীন ঐতিহাসিক সংস্কৃতি নিয়ে গর্ব করলেও, সেই সকল প্রাচীন ঐতিহ্যের রীতিনীতি সংস্কৃতির আদর্শকে গ্রহণ করে উঠতে পারেনি। তৎকালীন সময়ের সকলের শৈব আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলেন। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম প্রাচীনকালের সেই সমস্ত ঐতিহ্য সংস্কৃতিকে নিয়ে গর্ব করলেও সেই সংস্কৃতিকে পূর্ণমাত্রায় মনে প্রানে গ্রহণ করতে পারছে না, ফলে আজকের সনাতনী হিন্দু সমাজ হয়ে উঠেছে ফাঁকা কলসি, যার শব্দ হয় বেশি। 

আমরা সনাতন শৈবধর্মের সর্বশ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছি শাস্ত্র থেকে, এখানে উপস্থাপন করা হল বীরত্ব, ঐতিহাসিক সংস্কৃতি ও প্রাচীনত্বেও শৈবধর্ম সর্বশ্রেষ্ঠ ছিল। আমাদের বর্তমান সমাজ যেন এই সত্য জেনে পরমেশ্বর শিবের পথেই অনুপ্রাণিত হয়ে বীর সনাতনী শৈবতে পরিণত হয়ে ধর্ম রক্ষার জন্য এগিয়ে আসে, তার জন্য যথাসাধ্য তথ্য আমরা উপস্থাপন করলাম — 

            

        শৈব ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংস্কৃতি


(১) পাশুপত শৈবধর্মের সাহিত্যিক প্রাচীনত্বের ঐতিহাসিক প্রমাণ 


(২) পরমেশ্বর সদাশিবের বিভিন্ন প্রাচীন প্রতিমা বিগ্রহের ঐতিহাসিক প্রমাণ 


(৩) চিন দেশে শিবপরিবারের অঙ্কিত চিত্রের মাধ্যমে শৈব সনাতন ধর্মের প্রাচীনত্বের ঐতিহাসিক প্রমাণ 


(৪) খ্রিষ্টানদের দ্বারা সনাতনী হিন্দুদের ধর্মান্তকরণ ও নৃশংস হত্যার বিরুদ্ধে শৈব বীরেদের দ্বারা প্রতিরোধ গড়ে তোলবার ইতিহাস 


(৫) শৈবধর্মের অনুসারী ছিলেন শাক্যবংশ সহ স্বয়ং বুদ্ধ


(৬) শৈবধর্ম ছিল প্রাচীন বাংলার একমাত্র ধর্ম ও সংস্কৃতি - যার স্বাধীন রাজাধিরাজ ছিলেন গৌড়াধিপতি মহাশৈব শশাঙ্ক মহারাজ 


(৭) পরাক্রমী আলচোন হূণ রাজারা ছিলেন শিবভক্ত শৈব 


(৮) মহারাজাধিরাজ বিক্রমাদিত্য ছিলেন একনিষ্ঠ শিবভক্ত শৈব 


(৯)  চীনের কোয়াংঝোতে মঙ্গোল রাজা কুবলাই খান কর্তৃক নির্মিত শিব মন্দিরের শৈব ইতিহাস


(১০) জাভা দ্বীপের মাতরম রাজ্যের শৈব ইতিহাস (সঞ্জয় বংশ)


(১১) কুষাণ রাজারা শিবভক্ত শৈব ছিলেন (৩০-৩৭৫ খ্রিষ্টাব্দ)


(১২) ক্ষত্রিয় কুল শ্রেষ্ঠ — শৈব মহারাজাধিরাজ ভোজ পরমার (১০১০-১০৫৫ খ্রিষ্টাব্দ)





মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ