সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

 


ISSGT শৈব সংগঠনের পক্ষ থেকে সোমবার ব্রতের বিধি আনা হল। এই ব্রতের পূজাপদ্ধতি — শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী মহাশয় লিখেছেন এবং সম্পাদনা করেছেন। বিশেষ সহায়তা রয়েছেন শ্রদ্ধেয় শ্রী রোহিত কুমার চৌধুরী শৈবজী মহাশয়।


🔴সোমবারে শিব আরাধনার শাস্ত্রীয় উল্লেখ ও তার মাহাত্ম্য :


 উঃ – সোমবারে বিশেষেণ প্রদোষাদিগুণান্বিতে ॥৮

কেবলেনাপি যে কুর্য্যুঃ সোমবারে শিবার্চ্চনম্ ।

ন তেষাং বিদ্যতে কিঞ্চিদিহামুত্র চ দুর্লভম্ ॥৯

(তথ্যসূত্র : স্কন্দমহাপুরাণ/ব্রহ্মখন্ড/উত্তরখন্ড/৮ অধ্যায়)

🔷অর্থ – সোমবারযুক্ত প্রদোষকালে (সন্ধ্যা) অথবা কেবল সোমবারে যে ব্যক্তি শিবার্চনা করে তার ইহকাল বা পরকালে কিছুই দুর্লভ থাকে না ।

এছাড়াও সাক্ষাৎ বেদ শাস্ত্রের অন্তর্গত ‘ভস্ম-জাবাল উপনিষদে সোমবার ব্রত করবার নির্দেশ’ দেওয়া হয়েছে।


🔴সোমবার ব্রত কারা করতে পারে ? সোমবার ব্রত কোন আচারে করতে হবে ?


উঃ – উপোষিতঃ শুচির্ভূত্বা সৌমবারে জিতেন্দ্রিয়ঃ ।

বৈদিকৈর্লৌকিকৈর্ব্বাপি বিধিবৎ পূজয়েচ্ছিবম ॥১০

ব্রহ্মচারী গৃহস্থো বা কন্যা বাপি সভর্ত্তৃকা ।

বিভর্ত্তৃকা বা সম্পূজ্য লভতে বরমীপ্সিতম্ ॥ ১১

(তথ্যসূত্র : স্কন্দমহাপুরাণ/ব্রহ্মখণ্ড/উত্তরখণ্ড/৮ অধ্যায়)

🔷সরলার্থ – জিতেন্দ্রিয়(ইন্দ্রিয়জয়কারী) ব্রহ্মচর্যপালনকারী ব্যক্তি, গৃহস্থ ব্যক্তি, পতিসহ কন্যা অথবা কুমারী কন্যা বা যে কোনো ব্যক্তি যদি সোমবারে উপবাসী থেকে বৈদিক অথবা লৌকিক বিধানেও বিধিমতো শিবপূজা করে তবে সেই ব্যক্তি নিজের ইচ্ছেমত বর লাভ করে পরমেশ্বরের আশীর্বাদে।


⬛সোমবারের ব্রত করার জন্য সাধারণত কষ্টসাধ্য কোনো বিধান মানার প্রয়োজন নেই। ভক্তিযুক্ত হৃদয়ে প্রভু পার্বতীপতির উদ্দেশ্যে জল, সুগন্ধযুক্ত ফুল, কিছু ফল এবং বেলপাতা অর্পন করলেই তা প্রসন্ন হয়ে প্রভু শিব গ্রহণ করেন।


⬛এখানে কিছু সংক্ষেপে একটি শৈবপুরাণোক্ত বিধি তুলে ধরা হল। উচ্চারণের ক্ষেত্রে মন্ত্র গুলি অতি সহজতর। এই বিধি মেনে যে কোনো সোমবারের শিবপূজা অনায়াসে করতে পারবেন।


🔥ব্রতের উপকরণ :


১) আতপচাল

২) দূর্বা

৩) একটি তামা অথবা পিতলে ঘটি

৪) গঙ্গাজল (যদি পঞ্চামৃত দিয়ে অভিষেক করাতে চান তবে দুধ, দই, ঘি মধু ও শর্করা হিসেবে চিনির জল বা আখের রস)

৫) পানীয় জল

৬) সুগন্ধ যুক্ত পুষ্প

৭) বেলপাতা

৮) চন্দন

৯) নৈবেদ্য হিসেবে পাকা কয়েকটি ফল

১০) ধূপ

১১) দীপ (ঘিয়ের দীপ)

১২) আসন (কুশের অথবা কম্বলের)



■বিশেষ কিছু কথা : যেকোনো সোমবার ব্রত এভাবেই পালন করবেন। এই সোমবার ব্রত সকালেই সেরে নিতে পারেন অথবা বৈকালিক সন্ধ্যা কালে করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সকাল থেকে সারাদিন উপবাসী থেকে বিকালের পর সন্ধ্যাবেলায় শিব আরাধনা করবেন এই পদ্ধতিতে।একেই প্রদোষ সোমবারের ব্রত বলা হয়। শ্রাবণ মাসের প্রত্যেক সোমবার এই পদ্ধতিতেই পূজা সম্পন্ন করতে পারবেন।



সোমবারের পূজার জন্য করণীয় :


🔴 সকালের করনীয় কর্ম :


✅সকালে নিদ্রাভঙ্গ করে শিবগৌরীর স্মরণ করুন হাত জোড় করে। মন্ত্র –

কর্পূর গৌরং করুণাবতারং সংসার সারম্ ভুজগেন্দ্রহারম্ ।

সদা বসন্তং হৃদয়ারবিন্দে ভবং ভবানী সহিতম্ নমামি ।।


✅এবার ব্রত সংকল্প করুন এই মন্ত্রে(অথবা সরল বাংলা ভাষাতেই বলুন) –

[বিঃদ্রঃ - ষোলো সোমবার ব্রত করতে চাইলে মন্ত্রের মধ্যে "সোমবার ব্রতং" শব্দটির স্থানে "ষোলো সোমবার ব্রতং" শব্দটি উচ্চারণ করবেন]


🛑 মন্ত্র – দেবদেব মহাদেব নীলকন্ঠ নমোঽস্তু তে ।

কর্তুমিচ্ছাম্যহং দেব সোমবারব্রতং তব ॥

তব প্রভাবাদ্দেবেশ নির্বিঘ্নেন ভবেদিতি ।

কামাদ্যাঃ শত্রবো মাং বৈ পীড়া কুর্বন্তু নৈব হি ॥


(অথবা এই সহজ ভাষায় সংকল্প করুন,


বলুন – দেবদেব মহাদেব হে নীলকন্ঠ আপনাকে নমস্কার করি। হে দেব পরমেশ্বর! আমি আপনার সোমবারব্রতের অনুষ্ঠান করতে চাই। হে মহেশ্বর প্রভু শিব ! আপনার প্রভাবে এই ব্রত যেন সম্পূর্ণ নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয় এবং কামাদি শত্রু যেন আমাকে পীড়া প্রদান না করে)


এরপর উপবাসী থেকে স্নান করবেন নমঃ শিবায় জপ করে। স্নান সেরে শুদ্ধবস্ত্রধারণ করে ত্রিপুণ্ড্র ও রুদ্রাক্ষ ধারণ করবেন বৃক্ষে জল দেবেন এবং কিছু পশুপাখিদের(গরু/ছাগল/কুকুর/কাক/যেকোনো পাখি) এবং কীটপতঙ্গ(পিঁপড়ে ইত্যাদি) খাদ্যবস্তু দান করবেন। এবার হাত ধুয়ে নিন।

এখানে ক্লিক করে দেখুন 👉 ত্রিপুণ্ড্র ধারণ পদ্ধতি 


🔴 উপাসনার সময়ে করণীয় কর্ম :


উপাসনার কক্ষে অথবা শিবমন্দিরে উপস্থিত হয়ে গঙ্গা জল চারিদিকে ছিটিয়ে দিন রং মন্ত্রে। শিবলিঙ্গ অথবা শিববিগ্রহ (অথবা চিত্র) – এর সামনে কুশের আসন অথবা কম্বলের আসন পেতে তার উপর উত্তর দিকে মুখ করে বসুন।


✅ সর্বপ্রথম শিবস্মরণ করুন – 

ॐ শিব ॐ শিব ॐ শিব বৃষভারূঢ়ং হিরণ্যবাহুং হিরণ্যবর্ণং হিরণ্যরূপং পশুপাশবিমোচকং পুরুষং কৃষ্ণপিঙ্গলং ঊর্ধ্বরেতং বিরূপাক্ষং বিশ্বরূপং সহস্রাক্ষং সহস্রশীর্ষং সহস্রচরণং বিশ্বতোবাহুং বিশ্বাত্মানং একং অদ্বৈতং নিষ্কলং নিষ্ক্রিয়ং শান্তং শিবং অক্ষরং অব্যয়ং হরি-হর-হিরণ্যগর্ভ-স্রষ্টারং অপ্রমেয়ং অনাদ্যন্তং রুদ্রসূক্তৈরভিষিচ্য সিতেন ভস্মনা শ্রীফল দলৈশ্চ ত্রিশাখৈরার্দ্রৈর-নার্দ্রৈর্বা ॥ নমঃ শিবায় ॥

নমঃ শিবায় ॥ 

নমঃ শিবায় ॥


✅এবার শৈব আগমোক্ত শুচিমন্ত্র পাঠ করুন –

ॐ অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সর্বাবস্থাং গতোঽপি বা ।

যঃ স্মরেৎ বৈ বিরূপাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ ‌‌॥


✅অতঃপর নিজ গুরু কে স্মরণ করুন (যদি আপনি অদীক্ষিত ব্যক্তি হন তবে ভগবান গণেশকে স্মরণ করুন এই মন্ত্র পাঠ করে – ॐ গাং গণপতয়ে নমঃ ॥


✅এবার ঘিয়ের দীপ জ্বালুন, সুগন্ধযুক্ত ধূপ জ্বালিয়ে নিন। ফল অথবা মিষ্টান্ন এবং পানীয় জল সহ জলের গ্লাস সাজিয়ে দিন প্রভু শিবের সমীপে। এবার এক একটি থালা প্রভুর সামনে দেখিয়ে বলুন – 

ॐ শিবার্পণমস্তু

হে প্রভু মহাদেব ! হে মাতা পার্বতী ! আমার দ্বারা নিবেদিত এই ভক্তিযুক্ত সমস্ত প্রসাদ আপনারা প্রসন্ন হয়ে গ্রহণ করে আমার উপর কৃপা করুন।


✅ হাতে এক ঘটি গঙ্গা জল নিয়ে পাঠ করুন মহামৃত্যুঞ্জয় মহামন্ত্র –


ॐ ত্র্যয়ম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্ ।

উর্বারুকমিব বন্ধনান মৃত্যোর্মুক্ষীয় মামৃতাৎ ॥

এবার সমগ্র জলটি শিবলিঙ্গ ঢেলে দিন।


🚩যারা শুধুমাত্র গঙ্গাজল দিয়েই পূজা করতে চান তারা নিম্নে থাকা পঞ্চামৃতের দ্বারা শিবলিঙ্গের অভিষেক পদ্ধতিটি এড়িয়ে যান। কিন্তু যারা গঙ্গাজল এবং পঞ্চামৃত উভয় উপাচার দিয়েই অভিষেক করাতে চান তারা সমগ্র নিয়মটিই অনুসরণ করবেন।


 🚩যারা শুধুমাত্র পঞ্চামৃত দ্বারা অভিষেক করাতে ইচ্ছুক তারা এই পঞ্চামৃত পদ্ধতিটি কে অনুসরন করতে পারেন👇


[যদি পঞ্চামৃত (দুধ, দই, ঘী, মধু এবং শর্করা) দিয়ে পূজা করতে চান তবে সবগুলির থেকে একটু করে নিয়ে একটি ঘটিতে ঢেলে একসাথে মিশিয়ে রাখবেন আলাদা করে। এবার এক এক করে আলাদা এই মন্ত্র উচ্চারণ করে এক একটি দ্রব্য শিবলিঙ্গে ঢেলে সমর্পন করবেন।


⚫শুধু দুধ ঢালার সময় এই মন্ত্রটি উচ্চারণ করুন –


 ॐ পয়ঃ পৃথীব্যাং পয় ওষধীষু পয়ো দিব্যন্তরিক্ষে পয়ো ধাঃ ।

পয়স্বতীঃ প্রদিশঃ সন্তু মহ্যম।

কামধেনু সমুদ্ভূতং সর্বেষাং জীবনং পরম্ ।

পাবনং যজ্ঞহেতুশ্চ পয়ঃ স্নানায় গৃহ্যতাম্ ॥

ভগবতে শ্রীসাম্বসদাশিবায় নমঃ, পয়ঃস্নানং সমর্পয়ামি, পয়ঃ স্নানান্তে শুদ্ধোদকস্নানং সমর্পয়ামি ॥


(দুধ ঢালার পর শুদ্ধ জল দিয়ে ধুয়ে দিন শিবলিঙ্গ)


⚫এবার শুধু দই ঢালার সময় এই মন্ত্রটি উচ্চারণ করে দই ঢেলে দিন –


ॐ দধিক্রান্বো অকারিষং জিষ্ণোরশ্বস্য বাজিনঃ ।

সুরভি নো মুখা করৎ প্রণ আয়ূঁ ষি তারিষত্ ॥

পয়সস্তু সমুদ্ভূতং মধুরাম্লং শশিপ্রভম্ ।

দধ্যানীতং ময়া দেব স্নানার্থ প্রতিগৃহ্যতাম্ ॥

ভগবতে শ্রীসাম্বসদাশিবায় নমঃ, দধিস্নানং সমর্পয়ামি, দধি স্নানান্তে শুদ্ধোদকস্নানং সমর্পয়ামি ॥


(দই ঢালার পর শুদ্ধ জল দিয়ে ধুয়ে দিন শিবলিঙ্গ)


⚫এবার শুধু ঘৃত ঢালার সময় এই মন্ত্রটি উচ্চারণ করে ঘি ঢেলে দিন –


ॐ ঘৃতং ঘৃতপাবানঃ পিবত বসাং বসাপাবানঃ পিবতান্তরিক্ষস্য হবিরসি স্বাহা ।

দিশঃ প্রদিশ আদিশো বিদিশ উদ্দিশো দিগভ্যঃ স্বাহা ॥

নবনীত সমুৎপন্নং সর্বসন্তোষকারকম্ ।

ঘৃতং তুভ্যং প্রদাস্যামি স্নানার্থং প্রতিগৃহ্যতাম্ ॥

ভগবতে শ্রীসাম্বসদাশিবায় নমঃ, ঘৃতস্নানং সমর্পয়ামি, ঘৃত স্নানান্তে শুদ্ধোদকস্নানং সমর্পয়ামি ॥


(ঘৃত ঢালার পর শুদ্ধ জল দিয়ে ধুয়ে দিন শিবলিঙ্গ)


⚫এবার শুধু মধু ঢালার সময় এই মন্ত্রটি উচ্চারণ করে মধু ঢেলে দিন –


ॐ মধু বাতা ঋতায়তে মধু ক্ষরন্তি সিন্ধবঃ ।

মাধ্বীর্নঃ সন্ত্বোষধীঃ ॥

মধু নক্তমুতোষসো মধুমৎ পার্থিবঁ রজ।

মধু দ্যৌরস্তু নঃ পিতা ।

মধুমান্নো বনস্পতির্মধুর মাঁ অস্তু সূর্যঃ ।

মাধ্বীর্গাবোঃ ভবন্তু নঃ ।

পুষ্পরেণুসমুৎপন্নং সুস্বাদু মধুরং মধু ।

তেজঃপুষ্টিকরং দিব্যং স্নানার্থং প্রতিগৃহ্যতাম্ ॥

ভগবতে শ্রীসাম্বসদাশিবায় নমঃ, মধুস্নানং সমর্পয়ামি, মধু স্নানান্তে শুদ্ধোদকস্নানং সমর্পয়ামি ॥


(মধু ঢালার পর শুদ্ধ জল দিয়ে ধুয়ে দিন শিবলিঙ্গ)


⚫এবার শুধু শর্করা(চিনির জল অথবা আখের রস) ঢালার সময় এই মন্ত্রটি উচ্চারণ করে শর্করা ঢেলে দিন –


ॐ অপাঁ রসমুদ্বয়সঁ সূর্যে সন্তঁ সমাহিতম্ ।

অপায়ঁ রসস্য যো রসস্তং বো গৃহ্ণাম্যুত্তমমুপয়ামগৃহী তোঽসীন্দ্রায় ত্বা জুষ্টং গৃহ্ণাম্যেষ তে যোনিরিন্দ্রায় ত্বা জুষ্টতমম্ ॥

ইক্ষুসারসমুদ্ভূতাং শর্করাং পুষ্টিদাং শুভাম্ ।

মলাপহারিকাং দিব্যাং স্নানারাথং প্রতিগৃহ্যতাম্ ॥

ভগবতে শ্রীসাম্বসদাশিবায় নমঃ, শর্করাস্নানং সমর্পয়ামি, শর্করা স্নানান্তে শুদ্ধোদকস্নানং সমর্পয়ামি ॥


(শর্করা ঢালার পর শুদ্ধ জল দিয়ে ধুয়ে দিন শিবলিঙ্গ)


⚫এবার ঐ একত্রে মিশিয়ে আলাদা করে রাখা পঞ্চামৃতের ঘটি হাতে তুলে নিয়ে শিবলিঙ্গ অর্পন করে দিন এই মন্ত্র উচ্চারণ করে –


ॐ পঞ্চ নদ্যঃ সরস্বতী যন্তি সস্ত্রোতসঃ ।

সরস্বতী তু পঞ্চধা সো দেশোঽভবৎসরিত্ ॥

পয়ো দধি ঘৃতং চৈব মধু চ শর্করান্বিতম্ ।

পঞ্চামৃতং ময়ানীতং স্নানার্থ প্রতিগৃহ্যতাম্ ॥

ভগবতে শ্রীসাম্বসদাশিবায় নমঃ, পঞ্চামৃতস্নানং সমর্পয়ামি, পঞ্চামৃতং স্নানান্তে শুদ্ধোদকস্নানং সমর্পয়ামি ॥


(পঞ্চামৃত ঢালার পর শুদ্ধ জল দিয়ে ধুয়ে দিন শিবলিঙ্গ)]


🚩যারা শুধুমাত্র গঙ্গাজল দিয়ে অভিষেক করেছেন তারা এই অর্ঘ্য মন্ত্র থেকে নিম্নোক্ত সম্পূর্ণ পদ্ধতি টি অনুসরণ করবেন।


🚩যারা পঞ্চামৃত দ্বারা অভিষেক করেছেন তারাও এই অর্ঘ্য মন্ত্র থেকে বাকি সম্পূর্ণ পদ্ধতিটি অনুসরণ করবেন👇


✅এবার অর্ঘ নিবেদনের জন্য হাতে দূর্বা আতপচাল নিয়ে এই মন্ত্র উচ্চারণ করে শিবলিঙ্গ প্রদান করুন –


রূপং দেহি যশো দেহি ভোগং দেহি চ শঙ্কর

ভুক্তিমুক্তিফলং দেহি গৃহীত্বার্ঘ্যং নমোঽস্তু তে ॥


✅এবার পঞ্চোপচার [ধূপ, দীপ, গন্ধ(চন্দন), ফুল, নৈবেদ্য] দিয়ে পূজা করুন।


১)ধূপ প্রদান করুন এই মন্ত্রে – ॐ নমঃ কর্পর্দিনে চ ব্যুপ্তকেশায় চ নমঃ সহস্রাক্ষায় চ শতধন্বনে চ নমো গিরিশায় চ শিপিবিষ্টায় চ নমো মীঢ়ুষ্টমায় চেষুমতে চ ।

ভগবতে শ্রীসাম্বসদাশিবায় নমঃ, ধূপমাঘ্রাপয়ামি ॥


২) দীপ প্রদান করুন এই মন্ত্রে – ॐ নমঃ আশবে চাজিরায় চ নমঃ শীঘ্রায়ায় চ শীম্যায় চ নমঃ ঊর্ম্যায় চাবস্বন্যায় চ নমো নাদেয়ায় চ দ্বীপ্যায় চ।

ভগবতে শ্রীসাম্বসদাশিবায় নমঃ, দীপং দর্শয়ামি ॥


৩) সুগন্ধিত চন্দন শিবলিঙ্গে প্রদান করুন এই মন্ত্র পাঠ করে –


ॐ নমঃ শ্বভ্য শ্বপতিভ্যশ্চ বো নমো নমো ভবায় চ রুদ্রায় চ নমঃ শর্বায় চ পশুপতয়ে চ নমো নীলগ্রীবায় চ শিতিকন্ঠায় চ। ভগবতে শ্রীসাম্বসদাশিবায় নমঃ, গন্ধানুলেপনং সমর্পয়ামি ॥


৪) সুগন্ধ যুক্ত ফুল অর্পন করবেন এই মন্ত্র পাঠ করে – ॐ নমঃ পার্যায় চাবার্যায় চ নমঃ প্রতরণায় চোত্তরণায় চ নমস্তীর্থ্যায় চ কূল্যায় চ নমঃ শষ্প্যায় চ ফেন্যায় চ ।

ভগবতে শ্রীসাম্বসদাশিবায় নমঃ, সুগন্ধপুষ্পং সমর্পয়ামি ॥


৫)নৈবেদ্য হিসেবে একটি পাকা ফল দিতে পারেন এই মন্ত্রটি উচ্চারণ করতে করতে –


ॐ নমো জ্যেষ্ঠায় চ কনিষ্ঠায় চ নমঃ পূর্বজায় চাপরজায় চ নমো মধ্যমায় চাপগল্ ভায় চ নমো জগন্যায় চ বুধ্ন্যায় চ॥

ভগবতে শ্রীসাম্বসদাশিবায় নমঃ, নৈবেদ্য নিবেদয়ামি ॥


✅হাতে বেলপাতা সহ ফুল নিয়ে পুষ্পাঞ্জলী প্রদান করুন


এই মন্ত্রে –

অজ্ঞানাদ্যদি বা জ্ঞানাদ্যদ্যৎ পূজাদিকং ময়া।

কৃতং তদস্তু সফলং কৃপয়া তব শঙ্কর ॥ তাবকস্ত্বগতপ্রাণস্ত্বচ্চিত্তোঽহং সদা মৃড ।

ইতি বিজ্ঞায় গৌরীশ ভূতনাথ প্রসীদ মে ॥

ভূমৌ স্খলিতপাদানাং ভূমিরেবাবলম্বনম্ ।

ত্বয়ি জাতাপরাধানাং ত্বমেব শরণং প্ৰভো ॥

‌‍॥ ॐ নমঃ শিবায় ॥

॥ ॐ নমঃ শিবায় ॥

॥ ॐ নমঃ শিবায় ॥


✅অতঃপর

মাতা পার্বতী সহিত পরমেশ্বর শিবের ধ্যান করবেন এই মন্ত্র উচ্চারণ করে –


কৈলাসপীঠাসনমধ্যসংস্থং ভক্তৈঃ সনন্দাদিভির্রচ্যমানম্ ।

ভক্তার্তিদাবানলহাপ্রমেয়ং ধ্যায়েদুমালিঙ্গিতবিশ্বভূষণম্ ॥

ধ্যায়েন্নিত্যং মহেশং রজতগিরিনিভং চারুচন্দ্রাবতংসং রত্নাকল্পোজ্জ্বলাঙ্গং পরশুমৃগবরাভীতিহস্তং প্রসন্নম্ ।

পদ্মাসীনং সমন্তাৎ স্তুতমমরগণৈর্ব্যাঘ্রকৃত্তিং বসানং বিশ্বাদ্যং বিশ্ববীজং নিখিলভয়হরং পঞ্চবক্ত্রং ত্রিনেত্রম ॥


(ধ্যান করার সময় নিচের এই চিত্রটি দেখে কল্পনা করতে পারেন চোখ বন্ধ করে এবং ধ্যানের সময়সীমা আপনার মনের গভীরতার উপর নির্ভরশীল, অন্তত দশমিনিট ধ্যান করুন)



✅ধ্যানের পর এবার ১০৮ বার ষড়াক্ষর মহামন্ত্র জপ করুন(রুদ্রাক্ষমালা অথবা হাতের শৈবমালাতেও জপ করতে পারেন)।


মন্ত্র – ॥ ॐ নমঃ শিবায় ॥


✅জপ এর পর মাতা পার্বতীর উদ্দেশ্যে জপ করুন ষড়াক্ষরী মহামন্ত্র


মন্ত্র- ॥ ॐ নমঃ শিবায়ৈ ॥


✅এবার একটা ফুল হাতে নিয়ে হাত জোড় করে পূজার মধ্যে অজান্তে হওয়া ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন এই মন্ত্র পাঠ করে।

মন্ত্র –

অজ্ঞানাদ্যদি বা জ্ঞানাজ্জপ পূজাদিকং ময়া ।

কৃতং তদস্তু সফলং কৃপয়া তব শঙ্কর ॥


[বাংলাতে সহজ সরল ভাবেও প্রার্থনা করতে পারেন এটি বলে – হে প্রভু শিব শঙ্কর! আমি না জেনে অথবা জেনে বুঝে যে জপ- পূজা ইত্যাদি সৎ কর্ম করেছি, তা যেন আপনার কৃপায় সফল হয়]


✅এবার প্রভু শিবের কাছে শিবভক্তি প্রার্থনা করুন এই মন্ত্র পাঠ করে।

মন্ত্র –

শিবে ভক্তিঃ শিবে ভক্তিঃ শিবে ভক্তির্ভবে ভবে ।

অন্যথা শরনং নাস্তি ত্বমেব শরনং মম ॥


[বাংলাতে সহজ সরল ভাবেও প্রার্থনা করতে পারেন এটি বলে – হে প্রভু সদাশিব ! প্রত্যেক জন্মে আমার শিবে ভক্তি হোক, শিবে ভক্তি হোক, শিবে ভক্তি হোক। শিব ব্যতীত অন্য কেউ আমাকে শরণ দেবার নেই। হে পার্বতীপতি আপনিই আমার শরণদাতা]


✅অতঃপর সোমবারব্রত মাহাত্ম্য পাঠ করুন।


🔵 সোমবার ব্রতকথা (স্কন্দমহাপুরাণোক্ত)—


একদা আর্যাবর্ত্তে চিত্রবর্মা নামে এক রাজা বাস করতেন। তিনি ধার্মিক ও পূণ্যবান ছিলেন এবং পাপীদের কাছে যম স্বরুপ ছিলেন। একদা তার স্ত্রী এক বরাননা কন্যা সন্তানের জন্ম দেন । নাম দেন সীমন্তিনী। তবে সেই কন্যার জন্মকুণ্ডলীতে মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সেই বৈধব্য লাভের ভবিতব্য করা ছিল। একথা দ্বিজসমূহের থেকে শুনে রাজার মন ভারী হয়ে যায় কালক্রমে যখন সেই কন্যা বড় হয় তখন সেও তার ভাবি বৈধব্যের কথা শুনে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন এবং যাজ্ঞবল্ক মুনির স্ত্রী মৈত্রেয়ী দেবীর শরণাপন্ন হন। তিনি কন্যাকে ভব-ভবানী অর্থাৎ হর-গৌরীর পূজার পরামর্শ দেন।

তিনি রাজকন্যা সীমন্তিনীকে আরও বলেন – উপোস করে, স্নান করে, বিরজা স্বরে এবং একমনে প্রতি সোমবারে শিব-শিবার আরাধনা করতে । এরপরে সেই কন্যা ঠিক তেমনভাবেই সবকিছু পালন করা শুরু করলেন। অতঃপর সীমন্তিনীর বিবাহ মহারাজ নলের বংশধর চন্দ্রাঙ্গদের সাথে সম্পন্ন হয়।

এরপর একদিন ভবিতব্য অনুযায়ী দৈববশত কালিন্দী নদীতে নৌকাডুবিতে চন্দ্রাঙ্গদ জলে তলিয়ে যান। সতী সীমন্তিনী এতকিছুর পরেও সোমবার ব্রত পরিত্যাগ করেননি। এভাবে তিন বছর কেটে গেল। অন্যদিকে চন্দ্রাঙ্গদের বৃদ্ধ পিতা ইন্দ্রসেন শত্রুদের আক্রমণের ফলে সিংহাসনচ্যুত এবং কারারুদ্ধ হন।


এরপরে শুরু হয় আসল ঘটনা। জলে নিমজ্জিত সেই রাজপুত্রের মৃত্যু হয়নি বরং সে চলে যায় পাতালদেশের নাগলোকের দিকে। এরপর তাকে নাগকন্যারা নিয়ে যায় নাগরাজ তক্ষকের কাছে। নাগরাজ তাকে তার পরিচয় জিজ্ঞেসা করলে সে নিজেকে নিষধ দেশের মহারাজ নলের বংশধর চন্দ্রাঙ্গদ নামে পরিচয় দেন এবং সর্বোপরি নিজেকে একজন শিবভক্ত হিসেবে পরিচয় দিয়ে অতীতের ঘটনাসকল ব্যক্ত করেন।

তার মুখ থেকে শিবমাহাত্ম্য ও শিবতত্ত্ব সহ সব বিবরণ শুনে নাগরাজ তক্ষক অতীব প্রসন্ন হন এবং চিত্রাঙ্গদের অনুরোধে তাঁকে যথাসম্ভব উপহারাদি, এবং বাহন হিসেবে কামগামী অশ্ব প্রদান করে তাকে ভূলোকের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন। ভূলোকে এসে চিত্রাঙ্গদ প্রথমেই নদীর তটে স্নান করতে আসা শোককাতর, মলিন চেহারাধারী তাঁর স্ত্রী সীমন্তীনিকে দেখতে পান কিন্ত নিজ পত্নীকে এ অবস্থায় দেখে তিনি চিনতে পারেননি এবং তিনি সেই কন্যার পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন।

প্রত্যুত্তরে রাজকন্যার সখীরা তার বৈধব্য শোক এবং পতি বিরহে বিহ্বলতার কথা কুমারকে শ্রবণ করানোর পর রাজকুমার নিজেও নিজ প্রেয়সীর এহেন অবস্থার কথা শুনে দুঃখিত হন এবং রাজকন্যাকে বলেন তার পতি শীঘ্রই তার নিকট ফিরে আসবে। এই কথা বলে তিনি নিজে রাজ্যের পৌঁছে নিজ মাতা-পিতা ও মাতৃভূমিকে শত্রূর হাত থেকে মুক্ত করতে অতি সত্বর গমন করেন। তার আগমনের এবং রাজকুমারের সাথে নাগরাজ তক্ষকের সুসম্পর্কের কথা শুনে ভয়ে শত্রুগন তার মাতা পিতাকে এবং সিংহাসনকে মুক্ত করে দেন। রাজা তার হারানো পুত্রকে পুনরায় ফিরে পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং তারা সকলে উপলব্ধি করলেন যে এই অলৌকিক ঘটনার আ‌‌ড়ালে রয়েছে একজন সতী নারীর চরম শিবভক্তি। চন্দ্রাঙ্গদের স্ত্রীর সোমবারে নিত্য শিবারাধনার জন্যই এমন অলৌকিকতা সম্ভব হয়েছে। শীঘ্রই এ সুখবর রাজা চিত্রবর্মা ও রাজকন্যা সীমন্তিনীর নিকট পৌঁছে গেল। তখন চারিদিক আনন্দ-উৎসবে মুখরিত হয়ে উঠল। এরপর চন্দ্রাঙ্গদ নিজ স্ত্রীকে পুনঃবিবাহ করে নিজ নগরে প্রত্যাবর্তন করেন এবং রাজসিংহাসনে অভিষিক্ত হন। রাজা ইন্দ্রসেনও রাজকার্য নিজপুত্রের হাতে সঁপে দিয়ে নিত্য শিব আরাধনায় লীন হন।

সেই সোমবার ব্রতের ফল তাদের উপর সৌভাগ্যের ন্যায় বর্ষিত হতে লাগল। তারপর থেকেই সোমবার-শিবআরাধনা ব্রত মাহাত্ম্য চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লো।


এ কথন থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে ভক্তিসহ শিবারাধনা বিধির বিধান এবং ভক্তের ভবিতব্যকেও বদলে দিতে সক্ষম।


(স্কন্দমহাপুরাণ- ব্রহ্মখণ্ড-উত্তরখণ্ড-অষ্টম অধ্যায় – শ্লোক নং ১৩ -১৭৭)


🔴বেদোক্ত শতরুদ্রিয় পাঠ করলে পরমেশ্বর শিব অত্যন্ত প্রসন্ন হন। তাই এটি পাঠ করতে পারেন এই নিচে থাকা লিঙ্কটিতে ক্লিক করে 👉 শতরুদ্রিয় পাঠ (নমকম/রুদ্র সূক্ত)


✅এবার সোমবার ব্রত সমাপ্তি করুন এই প্রার্থনা করে –


॥ প্রীয়তাং মে মহাদেবঃ সোমমূর্তির্জগৎপতিঃ ॥

॥ ॐ নমঃ শিবায় ॥

॥ ॐ নমঃ শিবায় ॥

॥ ॐ নমঃ শিবায় ॥


⬛বিঃদ্রঃ – যেকোনো সোমবার ব্রত এভাবেই পালন করবেন। এই সোমবার ব্রত সকালেই সেরে নিতে পারেন অথবা বৈকালিক সন্ধ্যা কালে করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সকাল থেকে সারাদিন উপবাসী থেকে বিকালের পর সন্ধ্যাবেলায় শিব আরাধনা করবেন এই পদ্ধতিতে।একেই প্রদোষ সোমবারের ব্রত বলা হয়। শ্রাবণ মাসের প্রত্যেক সোমবার এই পদ্ধতিতেই পূজা সম্পন্ন করতে পারবেন।


⬛খাদ্য খাবারের বিষয় : সকালে সোমবার ব্রতের পূজা সম্পন্ন হলে সেই দিন নিরামিষ খাদ্য গ্রহণ করবেন সারা দিন। যদি সন্ধ্যাকালে সোমবার ব্রত করেন তবে ব্রত পূজা সম্পন্ন হওয়ার পর নিরামিষ খাবার খেতে পারেন।


শ্রাবণ মাসের সোমবার ব্রত করার সময় সমগ্র শ্রাবণ মাসে নিরামিষ গ্রহণ করবেন।


☝যে সমস্ত অপকর্ম থেকে বিরত থাকবেন :

১)মিথ্যাচার করবেন না,

২)বাজে চিন্তা করবেন না,

৩)বাজে ভাষা প্রয়োগ করবেন না,

৪)কারোর অপকার করবেন না,

৫)মাদকদ্রব্য সেবন করবেন না,

৬)স্ত্রী জাতির প্রতি শ্রদ্ধা রাখবেন,

৭)পশুপাখিকে পীড়া দেবেন না অথবা হত্যা করবেন না,

৮)অকারণে বৃক্ষকে পীড়া দেবেন না,

৯)ঘর থেকে কখনো ভিক্ষুক কে খালি হাতে ফেরাবেন না,

১০)বাচ্চাদের বিরক্ত করবেন না।


🌞যা করলে আপনার ব্রতের ফল পাওয়া সহজ হবে তথা আরো বেশি ফলদায়ক হবে :

১)মাতা পিতার প্রতি বিনয়ী হয়ে তাদের শিব শিবা রূপে দেখবেন এবং তাদের সাথে সদব্যবহার করবেন,

২)পশুপাখিদের খাদ্য প্রদান করবেন,

৩)সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন,

৪)দরিদ্র মানুষের সহায়তা করবেন প্রসন্ন ভাবে,

৫)সর্বদা শিবনাম হৃদয়ে ধারণ করে সবার উপকারের কথা চিন্তা করবেন, নচেৎ ব্রতের ফল তো নষ্ট হবেই বরং উল্টো ফল হতে পারে।


অতএব, সর্বদা জগৎ কল্যাণের চিন্তা করবেন।


🔴প্রশ্ন👉অনেকেই বলেন সোমবার প্রভু শিবের জন্মবার। এটা কি আদৌও সত্য কথা ?


🌟উত্তর : পরমেশ্বর জন্মমৃত্যু চক্রে আবদ্ধ নন, তিনি স্বয়ং একমাত্র অদ্বিতীয় পরমেশ্বর। তাই যারা এসব গুজব রটিয়েছেন তারা না জেনে ছড়িয়েছেন এবং শাস্ত্রজ্ঞানহীন মানুষেরা সে কথা গুলিকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করেছেন মাত্র। প্রভু শিবের কোনো জন্ম নেই। তিনি অজন্মা।

🔥শাস্ত্রীয় প্রমাণ দেখুন, এখানে ক্লিক করে 👇 

 পরমেশ্বর শিবের কোনো জন্ম-মৃত্যু নেই, অন্য সকল দেবদেবী জন্ম-মৃত্যু আছে  


শৈব সনাতন ধর্ম সদা বিজয়তে 🚩 

॥ ॐ নম পার্বতীপতয়ে হর হর মহাদেব ॥


©️কপিরাইট ও প্রচারে – International Shiva Shakti Gyan Tirtha – ISSGT


© Koushik Roy. All Rights Reserved https://issgt100.blogspot.com


মন্তব্যসমূহ

  1. খুব সুন্দর। ওম নম শিবায়

    উত্তরমুছুন
  2. শুনেছি শ্রাবণ মাসে বাবাকে চাল, যব আর তিল দিতে হয়, এইটা কি ঠিক।

    উত্তরমুছুন
  3. আমি শ্রাবণ সোমাবারে প্রদোষে প্রভুর পূজা করে হবিষন্ন গ্রহণ করি। কিন্তু তারপরের দিন থেকে আমিষ গ্রহণ করি। কেবল শ্রাবণ সোমবারেই হবিষন্ন খাই। বাকি পুরো শ্রাবণ মাসে নিরামিষ খেতে পারিনা।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত