পাশুপত শৈবধর্মের সাহিত্যিক প্রাচীনত্বের ঐতিহাসিক প্রমাণ
পাশুপত শৈবধর্মের সাহিত্যিকপ্রাচীনত্ব
নমঃ শিবায় ॥
বর্তমান সময়ে শিবভক্ত শৈবদের প্রাচীনত্ব ও ঐতিহাসিক প্রমাণ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলে। তার উত্তর হিসেবে এই প্রবন্ধটি উত্থাপন করা হয়েছে।
পাশুপত হল শৈবধর্মের প্রাচীনতম রূপ যার প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। এটি গত ২২০০ বছর থেকে সবচেশে ঐতিহাসিকভাবে নথিভূক্ত পরম্পরা এবং মধ্য এশিয়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয় অঞ্চলে বিস্তৃত সনাতনধর্মের সবচেয়ে গৌরবময় প্রাচীন পরম্পরা, সেই হিসেবে অখণ্ড ভারতকে বলা যেতে পারে শুধুমাত্র অখণ্ড পাশুপত রাষ্ট্র হিসেবে। (পাশুপত শৈব পরম্পরার প্রসারের উপর ভিত্তি করে)
এই প্রবন্ধটির মাধ্যমে আমরা ঐতিহাসিক কিছু গ্রন্থ থেকে শৈব পাশুপত - এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উল্লেখ দেখানোর চেষ্টা করছি ।
যার লেখক পরিচিতি ও তারিখ নিম্নরূপঃ , যারা পাশুপতের কথা উল্লেখ করেছেন তারা হলেন —
১) পাণিনি এবং পতঞ্জলি (খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ ও ২য় শতক)
২) মেগাথিনিসি (খ্রিস্টপূর্ব ৪ শতাব্দী)
৩) ভারতমুনী (খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতাব্দী)
৪) অশ্বঘোষ (CE ১ম শতাব্দী)
৫) কাউন্দিন্য (খ্রিস্টীয় ৪র্থ-৫ম শতাব্দী)
৬) বসুবন্ধু (৪র্থ-৫ম শতাব্দী)
৭) বরাহমিহিরা (৬ষ্ঠ খ্রিস্টাব্দ)
৮) ভব্য (৬ষ্ঠ খ্রিস্টাব্দ)
৯) হিউয়েন সাং (৭ম শতাব্দী)
________________________________________________
ঐতিহাসিক সাহিত্যে পাশুপত শৈব ধর্মের প্রাচীনতা এবং পরমেশ্বর শিবের প্রতি পাশুপতী শৈব সাধকদের ভক্তির সাক্ষ্য
________________________________________________
(১) শৈবাচার্য পাণিনি জী এবং শৈবাচার্য পতঞ্জলি জী (খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ ও ২য় শতক) —
শৈব আচার্য পাণিনি জী তার অষ্টাধ্যায়ী ব্যাকরণ গ্রন্থে পাশুপত শৈবদের কথা উল্লেখ করেছেন যারা শূল (দণ্ড/ত্রিশূল) বহন করে থাকেন।
শৈব আচার্য পতঞ্জলি জী তার মহাভাষ্যে তাদের শৈব ভগবত বলে পরিচয় দেন (পরমেশ্বর শিবের অনুগামী শৈব)।
________________________________________________
(২) মেগাস্থিনিস (খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দী) —
মেগাস্থিনিস তাঁর ‘ ইন্ডিকা ’ — নামক গ্রন্থে শিবি/শিবাই (Sibi/Sibai) নামক এক প্রকার জনজাতি অর্থাৎ পাশুপত শৈবদের উল্লেখ করেছিলেন । যারা পশুর ছাল পরিধান করতেন এবং পাশুপতের প্রতীক হিসাবে দণ্ড (Cudgel) ধারন করতেন।
উপরোক্ত ছবির বাংলা সার সংক্ষেপ —
গ্রিক ইতিহাসবিদ মেগাস্থিনিস এর কিছু কথা/ তথ্য শোনা বা জানা উচিত তা নিম্নলিখিতরূপ-
এ তিনি এও বলেন যে শিবে বংশধর তারাও ছিলেন যারা হেরাক্লীজের সাথে অভিযানে গিয়েছিলেন। আর তারা নিজেদের বংশের চিহ্নকে সুরক্ষিত রেখেছিলেন কারণ তারা হেরাক্লীজের মতন ছালে পরিধান করতেন, সাথে লাঠি রাখতেন এবং নিজস্ব ষাঁড়, খচ্চরদের গায়ে সেই লাঠির চিহ্ন দিয়ে রাখতেন।
এইভাবে শিবাই নামক ভারতীয় জনজাতির মাঝে তারা পৌঁছান এবং দেখেন তারাও উনার মত ছালে পরিধান করে এবং তারা ঘোষণা করলেন যে তারাও শিবাই বংশজাত, যারা হেরাক্লীজের সাথে অভিমানে গিয়েছিলেন। তাদের পশ্চাদে ফেলে রাখা হত, তারা ছাল পরিধান করতেন এবং আদের ষাঁড়ের পিঠে দণ্ডের(নন্দীদণ্ড) চিহ্ন দিয়ে রাখতেন ---সেটি ম্যাকডেনিয়ানরা হেরাক্লীজের স্মৃতি হিসাবে ব্যবহার করতেন।
কিন্তু যদি এটি কেউ বিশ্বাস করে তবে এটি অবশ্যই অন্য কোনো হেরাক্লীজ , তবে খেবান নন, হতে পারে টাইরিয়ান বা মিশরীয় বা এমন কোনো মহা রাজা, যিনি কোনো উন্নততর দেশ থেকে অন্তর্গত যাহা ভারত থেকে খুব একটা দূরে নয়।
________________________________________________
(৩) ভরতমুনি (খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতাব্দী) —
উপরোক্ত ছবির বাংলা সার সংক্ষেপ —
প্রথমে দুটো রেফারেন্স নেবো নাট্য শাস্ত্র থেকে সেখানে পাশুপত সম্পর্কে সরাসরি বলা রয়েছে। সহজভাবে এটি বলে যে পাশুপাত সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের তপস্বীদের কীভাবে নাটকে প্রতিনিধিত্ব করানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণ, জৈন এবং বৌদ্ধ ধর্মের তপস্বীদের ক্ষেত্রে এবং যতি এবং পাশুপতদের ক্ষেত্রেও পোশাক তৈরি করা উচিত যেটি তাদের নিজ নিজ পালনের জন্য উপযুক্ত এবং তাদের স্বভাব বিশ্বের সাথে মেলে (লোেক স্বভাব), তপস্বী দের উচিত ফাটা-পুরানো কাপড়, ছাল ও চামড়া দিয়ে সজ্জিত হওয়া। পরিব্রাজক, ব্রাক্ষণ আর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তপস্বীদের পোশাক বাদামী লাল বর্ণে রঞ্জিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পাশুপতদের বিভিন্ন রঙের অনেক পোশাকের প্রযোজন হয়।
পাশুপতদের চাল চলন গর্ব সহিত চিহ্নিত করা উচিত। এই দুটি অংশ ছাড়াও নাট্যশাস্ত্রে পশুপত তপস্বীর কম করে একটি অন্তনিহিত বর্ণনা রয়েছে। যখন কোনো পাঠ্যে উন্মাদনা' কীভাবে অভিনয় করতে হয়, তখন মনে হয় যে পাঠ্যে পাশুপত তপস্বী দের কথাই বলা হয়েছে। কারণ সেখানে ভষ্ম লাগানো, ব্যবহাত মালার (নির্মাল্য) প্রযোগ, তাকে বহন করা আর তার দ্বারা নিজেকে সসজ্জিত করা কথা বলেছে। এই সকল বিষয় গুলো পাশুপাতের সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে সম্পর্ক যুক্ত।
উন্মাদনা অবশ্যই, [প্রতিকূল] নির্ধারক মানসিক অবস্থার (বিভাব) কারণে উদ্ভূত হয় যেমন কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদের থেকে বিচ্ছেদ, সম্পত্তির ক্ষতি, আঘাত, [কোন বা সমস্ত] তিনটি [দৈহিক রসিকতা] বায়ু, পিত্ত এবং কফের আধিক্য। অকারণে হাসি, কান্নাকাটি এবং উচ্চস্বরে কান্নার উপায়ে একজনের এটি কার্যকর করা উচিত; জাগতিক অর্থহীন কথা বলে, শুয়ে, তারপর বসে, দাঁড়ানো, দৌড়ানো, নাচ, গান এবং পড়া; শরীরে ছাই ও ধূলিকণা মেখে, ঘাস, ব্যবহৃত মালা, নোংরা জামাকাপড়, ন্যাকড়া, মাটির হাঁড়ি, বাটি ও থালা দিয়ে ব্যবহার, বহন এবং সাজিয়ে [এই] অনেকগুলি অস্থির চলাফেরা এবং অনুকরণ করা [এ প্রসঙ্গে] ফলস্বরূপ মানসিক অবস্থা (অনুভব)।
________________________________________________
(৪) অশ্বঘোষ (১ম শতাব্দী) —
অশ্বঘোষ হলেন ‘ বুদ্ধ চরিত ’ — এর রচয়িতা, যিনি সিদ্ধার্থ বুদ্ধের জীবনের উপর একটি সাহিত্য রচনা করেন। সেখানে শৈব পাশুপত তপস্বীদের বিভিন্ন অনুশীলনের উল্লেখ রয়েছে।
উপরোক্ত ছবির বাংলা সার সংক্ষেপ —
কিন্তু সেখানে দ্বিজ ছিলেন, যার কিনা ছাইয়ের মধ্যে শুষে থাকার অভ্যাস ছিল। লম্বা একগুচ্ছ চুল, গাছের বাকল পরিহিত, লাল চোখ এবং একটি দীর্ঘ নাক এবং হাতে এক জলপাএ বহন করে।
এখন প্রশ্ন হল :-' ভস্মশায়িন' অভিব্যক্তিটি কি পাশুপতসূত্র-এ বলা প্রথার স্মরণ করে? 'ভস্মানি শাবিতা - ছাইয়ে যে ঘুমাবে। -তে বর্ণিত অনুশীলনকে বোঝায় নির্দিষ্টরূপে শৈব অনুশীলনকে। প্রায় ৪০ বছর আগে অডওয়ার্ড হ্যামিল্টন জনস্টন যিনি এখনও অশ্বঘোষের রচনা এবং শৈলীর অন্যতম বিশিষ্ট পন্ডিত হিসাবে বিবেচিত হন তিনি নিশিচত ছিলেন সে"ভস্মাশায়িন" অভিব্যক্তিটা দেখায় তিনি একজন শৈব তপস্বী ছিলেন।
________________________________________________
(৫) কৌণ্ডিন্য জী(খ্রিষ্টীয় ৪র্থ-৫ম শতাব্দী) —
ভগবতপাদ কৌণ্ডিন্য হলেন ভগবান লকুলীশ শৈবাচার্যের রচিত ‘ পাশুপত সূত্র ’ —র একমাত্র ভাষ্যকার। (ভাষ্যটি ৪-৫ শতাব্দীর সময়ের)
উপরোক্ত ছবির বাংলা সার সংক্ষেপ —
কৌণ্ডিন্যের পঞ্চার্থভাষ্য (আনুমানিক চতুর্থ/পঞ্চম শতাব্দী) পাশুপত সূত্রের একমাত্র পরিচিত ভাষ্য এবং পাশুপত মতবাদের পদ্ধতি গতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যদিও সূএগুলি পাশুপতের মূল পাঠ গঠন করে কৌণ্ডিন্যের ভাষ্য হল প্রথম প্রধান শৈবধর্মের কাজ এবং বলা যেতে পারে এটি শৈব ব্রহ্মস্বরূপ ব্যাখ্যার জন্য একটি মান নির্ধারণ করে থাকে, পাশুপত শিক্ষা গুলিকে কেবলমাত্র তপস্বী পদ্ধতির এক গুচ্ছের চেয়েও বেশি উপস্থাপন করার জন্য কৌণ্ডিন্যে তার সমস্ত পাণ্ডিত্যপূর্ণ বুদ্ধিমত্তা নিয়ে এসেছিলেন,যা নিম্নে এক নিয়মতান্ত্রিক ধর্মতত্ত্ব প্রকাশ করে।
এই ধর্মতত্বের অনেক দিক যেমন - ঈশ্বর (পশুপতি), আবদ্ধ আত্মা (পাশ) এবং বস্তুজগতের (পাশা) মধ্যে পার্থক্য। বর্তমান দিন পর্যন্ত শৈব ধর্মের জন্য বৈশিষ্ট্যযুক্ত। শৈব দর্শনের ইতিহাসের জন্য এর প্রসঙ্গ অস্বীকার করা যায় না কিন্তু এটি অপেক্ষাকৃত অস্পষ্ট কাজ হিসাবে রয়ে আছে।
একটি সমস্যা যা সন্তোষজনকভাবে সমাধান করা হয়নি তা হলে ‘পঞ্চার্থ’ শব্দটির উৎপত্তি এবং অর্থ যা কাজটিকে তার শিরোনাম প্রদান করে। এখানে প্রমাণ পেশ করব সে শব্দটি কৌণ্ডিন্যের নিজস্ব উদ্ভাবন নয় কিন্তু তিনি এটিকে এক ভিন্ন অর্থ প্রদান করেছেন। যা একজন পণ্ডিতের ভাষ্যকার হিসাবে তার পদ্ধতিগত উদ্বেগকে প্রতিফলিত করে।
________________________________________________
(৬) বসুবন্ধু (৪র্থ-৫ম শতাব্দী)
বসুবন্ধু রচিত ‘অভিধর্মকোষাভাষ্য’ নামক পাঠ্যে পরোক্ষভাবে পাশুপত শৈব ও তাদের অনুশীলনের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
উপরোক্ত ছবির বাংলা সার সংক্ষেপ —
এই সমস্ত উল্লেখগুলি আমাদেরকে পাশুপতের বাহ্যিক চেহারার একটি ছাপ দেয়। কিন্তু পরবর্তী পাঠ্য থেকে অভিধর্মকোষভাষ্যগুলি মূলত তাদের মতাদর্শ এবং আচরাণ কে নির্দেশ করে এবং তা আরও গুরুত্বপূর্ণ। এই পাঠ্য নিম্নলিখিত মন্তব্যটি করে যখন এটি ব্যাখ্যা করে যে ভাল কাঙ্খিত জিনিস সম্পর্কে একজনের অনুভূতির কারণে তৃষ্ণা থেকে বিভিন্ন ধরণের ধারনার উভব হয়। তাদের মধ্যে 'আচার' এবং পালন' ধারণা রয়েছে। এটি ব্যাখ্যা করে:
'আচরণ' মানে খারাপ আচরণ থেকে বিরত রাখা (এবং) পালন' মানে কুকুর বা ষাঁড় তাদের মত আচরণ করাএবং যেমন নিরগ্ৰন্থ এবং অন্যান্য সম্মানীয় তপস্বী রা সামাজিক বস্ত্রহীন, তার কোনো কাপড় থাকে না(বনজ বস্তু তথা বল্কল বা পশু চর্ম ধারণ করেন)। এটি এক বিশদ বিবরণ (মূল বক্তব্যের বাইরে গিয়ে)
এতে একটি লাঠি এবং ছাল ধারণ করার নিয়ম, জটা রাখা এবং ভস্ম লাগানোর নিয়ম, তিনটি লাঠি রাখা এবং মাথা ন্যাড়া করা যা ব্রাক্ষণ , পাশুপত, পরিব্রাজক এবং অন্যান্য অনুরূপ দলের মধ্যে দেখা যায়।
________________________________________________
(৭) বরাহমিহির (খ্রিষ্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দী)
বরাহমিহির এবং তার রচনার ভাষ্যকার শ্রী উৎপল পাশুপতী শৈবদের ‘বাতুলতন্ত্র(আগম)’ গ্রন্থের অনুসারী হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
উপরোক্ত ছবির বাংলা সার সংক্ষেপ —
সেখানে অনেক পূজা অর্চনা করা হয়েছিল। বরাহমিহির এই সম্প্রদায়গুলিকে সভাসম দ্বিজ হিসাবে উল্লেখ করেছেন যেটি শব্দটিকে তার ভাষ্যকার পাশুপাল হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এই ধর্ম গুরুরা কেবল শিবের মূর্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার অধিকারি ছিলেন। ঘটনা ক্রমে উল্লেখ করা যেতে পারে যে এই কাজে প্রযুক্ত অনুষ্ঠান বিচিত্র প্রকৃতির, যার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
ধারাভাষ্যকার উৎপল খুবই মজার ভঙ্গিতে বলেছেন সে বাতুল তন্ত্রের উপর আধারিত ছিলে এটি। এমন এক নাম 'সেটি অন্য উৎস থেকে জ্ঞাত নয় । তবে স্পষ্টতই এটি পাশুপত দ্বারা সম্পাদিত অদ্ভুত তান্ত্রিক অনুশীলনের বাহ্যিকভাবে নিরর্থক চরিত্রের ইঙ্গিত দেয় ।
________________________________________________
(৮) ভব্য (খ্রিষ্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দী) —
‘মধ্যমকাহৃদয়’ নামক ৬ষ্ঠ শতাব্দীর বৌদ্ধ সাহিত্যে পাশুপত এবং এর সূত্রের বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে (স্পষ্টতই এটি নাগার্জুনের মূলমধ্যমিকারিতা সম্পর্কে মন্তব্য হিসাবে এটির সমালোচনা করা হয়েছে)
উপরোক্ত ছবির বাংলা সার সংক্ষেপ —
পাশুপত এবং বিশেষ রূপে তাদের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রও অত্যন্ত বিরল। এটি শুধুমাত্র নিশ্বাসতত্ত্ব সংহিতার মূখ্য অংশ যেখানে পাশুপতসূত্রের থেকে প্রচুর সংখ্যক সূত্রের উৎস, সেই সূত্রের অনুবাদ করা হয়েছে। এরপর আমরা ৬ষ্ঠ শতাব্দীর বৌচাবিদ্বান ভব্যের মধ্যমকাহৃদয়ের
উল্লেখ করতে পারি, যেখানে পাশুপত সূত্রের কিছু অনুবাদ করা হয়েছে এবং
সেগুলি নিম্নে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছে। মূল স্কন্দপুরাণ যা সম্ভবত সেই সময়েরই যা পাশুপত ব্রত ও যোগ সম্পর্কে সচেতন।
________________________________________________
(৯) হিউয়েন সাঙ (খ্রিষ্টীয় ৭ম শতাব্দী) —
হিউয়েন সাঙ সমগ্র ভারত জুড়ে পাশুপতী শৈবদের উল্লেখ করেছেন এবং কীভাবে একজন পাশুপাত খোটান নামক স্থানে নির্বাসনে থাকা এক চৈনিক রাজকুমারের সাহায্য করেন তা উল্লেখ করা হয়েছে।
উপরোক্ত ছবির বাংলা সার সংক্ষেপ —
'Si-yu-ki' তে স্পষ্ট যে, পাশুপত এক শৈব সম্প্রদায় যা প্রধানত তাদের তান্ত্রিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য পরিচিত, তার যারা বহুবার উল্লেখ করা হয়েছে এবং তিনি কখনও কখনও তাদের 'ভস্ম মাখা তীর্থীকা হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ওনার মতে জলন্ধর (কাংরাভ ভ্যালি), অহিছত্র (বরেলি জেলা, উপ), মালবতে ঈশ্বর দেব, মালাকুৎ (সম্ভবত পান্ড্য দেশ এবাং করনেতা), মধ্যপ্রদেশের মহেশ ওয়ার পুরা, সিন্ধুর কিছু অংশ এবং মাক্রান, ভারাউ (অধুমিলন বান্নু) এবং অন্যান্য অঞ্চলে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত ছিলেন পাশুপতী উপাকেরা।
তার সময়ে ভারতের বাইরে ছড়িয়ে থাকা পাশুপতী শৈবদের ধর্মটি খেতানে নির্বাসিত একজন' চীনা রাজপুত্রকে পাশুপত তীর্থীকা কর্তৃত্ব প্রদত্ত সাহায্যের তার কৌতূহলী বিবরণ যারা আকর্ষণীয়ভাবে উদ্ভুত করে। আর এই সহায়তা অদ্ভুত মোহিত চরিত্রর ছিল।
(পরবর্তী পৃষ্ঠা) ভারত: তাদের ভাষা একটু ভিন্ন। তাদের মধ্যে আস্তিক ও বিধর্মী একসাসে বসবাস করে। কিছু সাংঘরাম ও ৬০০০ মত সম্ভবত পূজারি ছিলেন সারা ছোটো বড়ো সকল শিক্ষার অধ্যয়ন করাতেন। শহরে মহেশ্বর দেবের এক মন্দির রয়েছে এটি আতি সুশোভিত এবাং ভাস্কর্যযুক্ত। এখানে ধর্মবিরোধী পাশুপতরা নিজ ধার্মিক পূজা করে থাকতেন।
________________________________________________
🕉️ সিদ্ধান্ত — শৈব দের প্রাচীনত্ব তথা পাশুপত পরম্পরা সবচেয়ে প্রাচীন তথা আধ্যাত্মিকতার দৃষ্টিকোণে পাশুপত শৈব পরম্পরা স্বয়ংই সনাতন ধর্মের এক ও অদ্বিতীয় আদি পরম্পরা । এছাড়া অন্য কারোর অস্তিত্ব ছিল না তখন। এই প্রবন্ধটির মাধ্যমে এতদিন ধরে চাপা পড়ে থাকা সত্য উন্মোচন হয়ে গেল।
পাশুপত শৈব সনাতন ধর্মের জয় 🔥
শৈব সনাতন ধর্ম সদা বিজয়তে 🚩
হর হর মহাদেব 🚩
🔥 সত্য উন্মোচনে — শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী
📓 তথ্য লেখনীতে ও সহযোগীতায় — প্রিয়া রঙ দেবীজী
© কপিরাইট ও প্রচারে — International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন