পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শরভ শান্তি স্তোত্র (আকাশভৈরব কল্পোক্ত)

ছবি
                      ॥ শরভ শান্তি স্তোত্রম্ ॥ শ্রীগুরুভ্যো নমঃ ॐ গাং গণেশায় নমঃ  ॐ নমঃ শিবায়ৈ চ নমঃ শিবায় রুদ্রঃ শঙ্কর ঈশ্বরঃ পুর হরঃ স্থাণুঃ কপর্দী শিবো বাগীশো বৃষভধ্বজঃ স্মরহরো‌ ভক্তপ্রিয়ঃ ত্র্যম্বকঃ । ভূতেশো জগদীশ্বরশ্চ শরভো মৃত্যুঞ্জয়ঃ শ্রীপতিঃ অস্মান্ কাল গলোবতাৎ পুরহরঃ শম্ভুঃ পিনাকী হরঃ ॥১॥  যতো নৃসিংহং হরসে হর ইত্যুচ্যতে বুধৈঃ । যতো বিভর্ষি সকলং বিভজ্য তনুমষ্টধা ॥২॥ অতোস্মান্ পাহি ভগবননঃ প্রসীদ পুনঃ পুনঃ । ইতি স্তুতো‌ মহাদেবঃ প্রসন্নো ভক্তবৎসলঃ ॥৩॥ সুরান আহ্লাদয়া মাস বরদানৈরভীপ্সিতৈঃ । প্রসন্নো অস্মি স্তবেনাহমনেন বিবুধেশ্বরাঃ ॥৪॥ মযি রুদ্রে মহাদেবে ভজধ্বং ভক্তি পূরিতাঃ । মমাংশোয়ং নৃসিংহ অপি ময়ি ভক্ততমোস্ ত্বিহ ॥৫॥ ইমং স্তবং পঠেদ্যস্তু শরভেশাষ্টকং নরঃ । তস্য নশ্যন্তি পাপানি রিপুবচ্চ সুরোত্তমাঃ ॥৬॥ নশ্যন্তি সর্বরোগাণি ক্ষয় রোগাদিকানি চ । অশেষ গ্ৰহ ভূতানি কৃত্রিমাণি জ্বরাণি চ ॥৭॥ সর্প চোরাদি শার্দূল গজ পোত্রি মুখানি চ । অন্যানি চ বনস্থানি নাস্তি ভীতির্ন সংশযঃ ॥৮॥ ইত্যুক্তা বান্তর্  দর্ধে দেবি দেবান্ শরভ সালুবঃ । ততস্তে স্ব-স্ব ধামানি গতাশ্চ আহ্লাদ পূর্বকম্ ॥৯॥  এতৎ শরভকং

যোগী কাদের বলা হয়

  মাযাকর্মফলত্যাগী শিবাত্মা পরিকীর্তিতঃ ॥২৩॥ নিবৃত্তঃ সর্বসঙ্গেভ্যো যুক্তো যোগী প্রকীর্তিতঃ ॥২৪॥ [তথ্যসূত্র - লিঙ্গমহাপুরাণ/পূর্বভাগ/১০ নং অধ্যায়] সরলার্থ -  মায়াযুক্ত কর্মফলত্যাগকারী ব্যক্তিকে শিবাত্মা বলা হয় তথা সকল আসক্তি থেকে নিবৃত্ত প্রাণী/ব্যক্তিকে যোগী বলা হয়। © সংগ্ৰহে ও লেখনীতে - নমিতা রায় দেবীজী  🚩কপিরাইট ও প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT 

স্কন্ধমহাপুরাণে বর্ণিত নাথ পরম্পরার প্রথম আচার্য শ্রীমৎসেন্দ্রনাথজীর জন্মকথন

 🚩#স্কন্ধমহাপুরাণে_বর্ণিত_নাথ_সম্প্রদায়ের_প্রতিষ্ঠাতা_শ্রীমৎসেন্দ্রনাথজীর_জন্মকথন  বর্তমানে বহু মায়াচ্ছন্ন ব্যক্তি মায়ার দ্বারা আবৃত থাকার কারণে, তারা বলে থাকেন যে নাথ সম্প্রদায়ের কোন শাস্ত্রিয় উল্লেখ নেই এবং তাদের কারোরই নাম পুরাণের পাওয়া যায় না, ফলে অনেকেই নাথ সম্প্রদায়ের সম্পর্কে কটুক্তি করে থাকেন।  তাই #International_Shiva_Shakti_Gyan_Tirtha - এর পক্ষ থেকে আমি কৌশিক রায়, এই অপপ্রচারের জবাব হিসেবে আজ প্রমাণসহ স্কন্ধমহাপুরাণের অন্তর্গত নাগরখণ্ডের ২৮৩ নং অধ্যায় থেকে নাথ সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা দাদাগুরু শ্রীমৎসেন্দ্রনাথজীর জন্মকথনের শাস্ত্রিয় উল্লেখ করে দিলাম।  চলুন দেখে নিন প্রজাপতি ব্রহ্মা কি বলছেন👇 ব্রহ্মোবাচ ।  এতস্মিন্নগরে তত্র ক্ষীরসাগর-মধ্যতঃ ।  উজ্জহার বিমানাগ্রে তেজোভারাভি পীড়িতঃ ॥৪৩  উরো বাহুকৃতিং ফুর্ব্বম সান্নিধ্যং সমুপাগতঃ ।  মহামৎস্যোজ্ঞাতপূর্ব্বঃ সন্নিধানেহনহঙ্কৃতিঃ ॥৪৪ হঙ্কারগর্ভং মৎস্যঞ্চ দৃষ্টা তং স মহেশ্বরঃ ।  তেজসা স্তম্ভয়ামাস বাক্যমেতদুবাচ হু ॥৪৫ কস্ত্বং মৎস্যোদয়স্থশ্চ দেবাে যক্ষোহুথ মানুষঃ ।  কথং জীবসি দেহান্তর্গতো মম বদ প্রভো ॥৪৬  মৎস্য উবাচ ।  অহং মৎস্

ধর্ম ও অধর্মের শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা

ধর্ম তথা অধর্ম এই দুটি শব্দকে ক্রিয়ার বাচক বলা হয়। কুশল কর্মকে ধর্ম তথা অকুশল কর্ম কে অধর্ম বলা হয়। মহত্তাযুক্ত এই ধর্ম শব্দ ধারণের অর্থে বলা হয় তথা অধারণের (ধারণ না করা) উদ্দেশ্যে কৃত কর্মকে অধর্ম বলা হয়।  যার দ্বারা অভিষ্টের প্রাপ্তি হয় তাকে আচার্যগণ ধর্ম বলে থাকেন এবং যার দ্বারা অনিষ্ট ফলের প্রাপ্তি হয় তাকে আচার্যগণ অধর্ম বলে থাকেন । সিদ্ধান্ত -   যে সুকর্ম গুলি ধারণ করা যায় তাকে ধর্ম বলে এবং যে অপকর্ম গুলিকে ধারণ করা যায় না তাকে অধর্ম বলে। [তথ্যসূত্র - লিঙ্গমহাপুরাণ/ পূর্বভাগ/ ১০ নং অধ্যায় / শ্লোক নং - ১১-১৩] © সংগ্ৰহে ও লেখনীতে - নমিতা রায় দেবীজী   🚩কপিরাইট ও প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT 

শ্রীমদপ্পয্য দীক্ষিতেন্দ্র বিরচিতা আত্মার্পনস্তুতি

।। শ্রীমদপ্পয্যদীক্ষিতেন্দ্রবিরচিতা আত্মার্পনস্তুতিঃ ।।  এই স্তুতি আচার্য অপ্পয্য দীক্ষিতের সম্ভবতঃ অন্তিম কৃত্তি, কারণ এর উপর তার কোন স্বয়ী টীকা নেই, যেখানে অন্য স্তুতিতে তার স্বরচতি টীকা উপলব্ধ আছে। নবধাভক্তিতে আত্মার্পন অন্তিম ও সর্বশ্রেষ্ঠ, অতঃ সম্ভবতঃ ভক্তরাজ দীক্ষিত অনন্যচিত্ত হয়ে অন্তিম ক্ষণে আত্মার্পন রচনা করেন। সর্বদা চিন্তপরায়ণ আচার্য প্রবরের জন্য ইহা অসম্ভব নয়। এই স্তোত্রে মাত্র পঞ্চাশটি শ্লোক আছে, যেখানে ভাবের উদামতা ও সমর্পনের সরলতা চরম সীমায় পৌছেছে। জনশ্রুতি অনুসারে, একবার আচার্য দীক্ষিত আত্মপরীক্ষণ হেতু তার অবচেতন মানস পটলে পরমেশ্বর শিবের স্মৃতি বিদ্যমান থাকে কিনা না, তা দেখার উদ্দেশ্যে নিজের শিষ্যদের সাবধান করে ধুতরার বীজ ভক্ষন করেন। উন্মাদাবস্থায় তার মুখ হতে পরমেশ্বর শিবের স্তুতি প্রস্ফুটিত হয় যা তার শিষ্যরা লিপিবদ্ধ করে। উন্মত্তাবস্থায় লিখিত হওয়ার জন্য এই স্তোত্রের অপর নাম উন্মত্তপঞ্চাশত অথবা উন্মত্তপঞ্চাশিকা । ।। আত্মার্পনস্তুতিঃ ।।     কস্তে বোদ্ধুং প্রভবতি পরং দেবদেব প্রভাবং যস্মাদিত্থং বিবিধরচনাসৃষ্টিরেষা বভূব । ভক্তিগ্রাহ্যস্ত্বমিতি ভগবন্‌ ত্বামহং ভক্তিমাত্রাত

পরমশৈব শ্রীকৃষ্ণের জয়গান পদ্য

 🚩#পরমশৈব_শ্রীকৃষ্ণের_জয়গান পদ্য 🙏 এই সেই বিষ্ণু রূপ   ঐশ্বর্য অঙ্গে যাহার বহে যাহার বাঁশরী সর্বক্ষন শিব শিব নাম কহে.. গরু বাছুর লইয়া গোপাল শিবধ্বনি শুনাইয়া.. মত্ত করে বৃন্দাবন বাঁশরী বাজাইয়া.. দিকে দিকে সৌন্দর্য্যের আভায় পূর্ণ করিয়া.. পরম রুদ্রভক্ত শ্যাম মোহন বালক  হইল উঠিয়া.. শিব শিব কাঁদে তাহার  বংশীশিরোমণি নটখট গোপাল আবার চুরি করিতেন ননী.. শিবকৃপায় শক্তি তাহার  আছে ভীষন বল.. অসুর দৈত্য দানব কাপে কাপে রাক্ষস রসাতল.. যশোধার প্রাণ প্রিয়  দুলাল নন্দের.. অশেষ কৃপা তাহার  পবিত্র নামের.. কংস বধে লয়ে  সাথে বলরাম.. বৃন্দাবন ছাড়ি মথুরা  বানায় নিজ ধাম... উপমন্যুর নিকট শৈবদীক্ষা গ্রহণ করিল শিবভক্ত হইয়া  যোগে আত্মদর্শিল.. জয় জয় জয়গান গাহি তোমার হে চক্রবংশীধারী.. হে পরমশৈব কৃষ্ণ পথ দর্শাও যেথায় আছেন ত্রিপুরারী.. সকলকে জন্মাষ্টমীর শিবময় শুভেচ্ছা 🪷 পদ্যের কপিরাইটে ও রচনায় : শ্রীনন্দীনাথ শৈবাচার্য প্রচারে — ISSGT শৈব পরিবার  (আমাদের ওয়েবসাইটের মূল পোষ্টের লিঙ্ক 👇  )      🙏হর হর মহাদেব🙏 🙏জয় পরমশৈব শ্রী কৃষ্ণ🙏 সকলে পোষ্ট টি শেয়ার করে পরমশৈব শ্রীকৃষ্ণের এই মহিমান্বিত পদ্য কে ভক্তদের কাছে পৌ

পরমশৈব শ্রীকৃষ্ণজীর পূজা বিধি (শৈবমতানুসারে)

ISSGT (International Shiva Shakti Gyan Tirtha) – এর পক্ষ থেকে শৈব মত অনুসারে শ্রীকৃষ্ণ জীর সহজ সরল অর্চনা বিধি প্রকাশিত হল। শিবভক্তগণ নিজ আরাধ্যের প্রতি নিষ্ঠা প্রর্দশিত করার জন্য পরমশিবভক্ত শ্রীকৃষ্ণের সেবা করতে তৎপর। তাই শৈবদের নিজস্ব মতানুসারে এই পূজা বিধি প্রকাশ করা হল। শ্রীকৃষ্ণজী একজন শৈবপরম্পরার অন্তর্ভুক্ত শিবমন্ত্রে দীক্ষিত শৈব সাধক। তার পরম্পরার নাম পাশুপত শৈব পরম্পরা। তিনি নিজ অঙ্গে ভস্ম বিভূষিত করে পরমেশ্বর শিবের সাধনা করেছিলেন। তার দীক্ষাগুরু ছিলেন চিরঞ্জীবী মহর্ষি উপমন্যু। তাই সেই সুবাদে মহা আনন্দের সহিত ভক্তশৈবগণ পাশুপত সম্প্রদায়ভুক্ত শ্রীকৃষ্ণ জী মহারাজের ন্যায় পরম শিবভক্তের পূজা করে নিজেদের আধ্যাত্মিক পথের উন্নতি করতে তৎপর হয়েছে। তাই শৈব রূপে শ্রীহরির পূজা করে শৈবসেবা দ্বারা মহাদেবের কৃপা ও প্রসন্নতার অভিলাষী সমস্ত শিবভক্ত শৈবগণ। সেই শৈবসেবার একটি দৃষ্টান্ত হল এই শৈবমতে শ্রীকৃষ্ণের অর্চনা। আসুন আমরা সকলে পরমশৈব শ্রীকৃষ্ণের সেবা করে পরমেশ্বর শিবের সান্নিধ্য লাভ করি। 🛑উপকরণ🛑 ১. শ্রীকৃষ্ণের বিগ্রহ বা চিত্র অথবা গোপালের বিগ্রহ (কেউ চাইলে সাধারন শিবলিঙ্গে বা বাণলিঙ্

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত