পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ব্রাহ্মণ সহ বর্ণাশ্রমীরা সেবা করবে অতিবর্ণাশ্রমী শৈবদের

ছবি
  ব্রাহ্মণ সহ বর্ণাশ্রমীরা সেবা করবে অতিবর্ণাশ্রমী শৈবদের  তস্মাদ সেব্যা নমস্কার্যাঃ সদা ব্রহ্মবিদস্তথা ॥৩২ বর্ণাশ্রমীবিনির্মুক্তা বর্ণাশ্রমপরায়ণৈঃ ॥৩৩ [তথ্যসূত্র : লিঙ্গপুরাণ/পূর্বভাগ/২৮তম অধ্যায়] 🌷অর্থ — বর্ণাশ্রমের নিয়ম থেকে মুক্ত হয়ে বর্ণাশ্রমের ঊর্দ্ধে উঠে যারা "অতিবর্ণাশ্রমী শৈব" হয়ে গেছেন সেই সমস্ত ব্রহ্মজ্ঞানী/শিবজ্ঞানী শৈবদের সমক্ষে সর্বদাই নত হয়ে নমস্কার সহ সেবা করবে বর্ণাশ্রমী (ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র) গণ ॥৩২-৩৩ 🔥 সিদ্ধান্ত — বর্ণাশ্রমের অন্তর্গত যে সমস্ত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্রণেরা আছেন, তারা যেন সকলেই অতিবর্ণাশ্রমী শৈব ব্যক্তিদের কাছে নত হয়ে তাদের সেবা করে, কারণ বর্ণশ্রমের নিয়ম থেকে মুক্ত অতিবর্ণাশ্রমী শৈবরা, তারা শিবজ্ঞান লাভ করে ব্রহ্মজ্ঞ হয়ে থাকেন। শিবজ্ঞানী অতিবর্ণাশ্রমী শৈবরা সকলের গুরু, কারণ আত্মজ্ঞান ই সর্বোচ্চ, তাই আত্মজ্ঞানীদের‌ই সেবা করতে বলা হয়েছে, যাতে সেবার দ্বারা বর্ণাশ্রমী ব্যক্তিও অতিবর্ণাশ্রমী শৈবদের কৃপায় শিবজ্ঞান লাভ করে বর্ণাশ্রমের বিধিনিষেধের ঊর্দ্ধে উঠে গিয়ে আত্মজ্ঞানী হতে পারেন। © নন্দীনাথ শৈব (2024)

শালগ্রাম শিলার মতো শিবলিঙ্গকেও স্ত্রী শূদ্ররা পূজা করতে পারবে না বলে দাবী করা গোঁড়া স্মার্ত ব্রাহ্মণ্যবাদীদের অপদাবীর খণ্ডন শৈবপক্ষ থেকে

👁️‍🗨️ শালগ্রাম শিলার মতো শিবলিঙ্গকেও স্ত্রী শূদ্ররা পূজা করতে পারবে না বলে দাবী করা গোঁড়া স্মার্ত ব্রাহ্মণ্যবাদীদের অপদাবীর খণ্ডন শৈবপক্ষ থেকে — 🟫 মূল ঘটনা —                            বেশ কিছুদিন আগে জাতপাতের কট্টরতায় বিশ্বাসী এক গোড়া স্মার্ত ব্রাহ্মণ্যবাদী ব্যক্তি বলে বেড়াচ্ছিল যে, শালগ্রাম শিলাকে স্পর্শ করে পূজা করবার অধিকার নেই নারী ও শূদ্রদের । এসব দেখে তখন কিছু ব্যক্তি শৈবদের প্রশ্ন করে বলেছিল “শিবলিঙ্গ কি সবাই পূজা করতে পারে ? নারী শূদ্র সবাই কি পূজা করতে পারে ?”  এই প্রশ্নের উত্তরে শিবভক্ত শৈবরা বলেছিল যে, প্রভু শিব তো পরমব্রহ্ম, তার শিবলিঙ্গ অর্চনা যে কেউ করতে পারে, পরমেশ্বর শিবের কাছে কোনো জাতপাত নেই, তিনি দেব মনুষ্য দানব অসুর কীটপতঙ্গ পশুপাখি সবার । শৈবদের এই রকম কথা বলতে দেখে ব্রাহ্মণ হবার অভিমানে অহংকারী দাম্ভিক ব্রাহ্মণ্যবাদী ব্যক্তিরা ক্রোধে ফুঁসতে থাকে, তারা জাতপাতের ভেদাভেদের জালে পরমেশ্বর শিবের শিবলিঙ্গকেও ফাঁসিয়ে ফেলবার পরিকল্পনা করে বসে। আর সেই দাম্ভিক ব্রাহ্মণ্যবাদী ব্যক্তিদের মধ্যের‌ই একজন শ্রীকৃষ্ণ দেবশর্ম্মা মুখোপাধ্যায় নামক এক কাটপিস ব্রাহ্মণ্যবাদী তার

অন্যের অপকার করা উচিত নয় — শিবমহাপুরাণের শিক্ষা

  ইচ্ছেৎপরাপকারং যঃ স তস্যৈব ভবেদ্ ধ্রুবম্ । ইতি মৎবাপকারং নো কুর্যাদন্যস্য পূরুষঃ ॥১৬ [তথ্যসূত্র - শিবমহাপুরাণ/রুদ্রসংহিতা/সতীখণ্ড/অধ্যায় ১৯] অর্থ — যে ব্যক্তি অন্যের অপকার করতে চায়, অবশ্যই প্রথমে তার নিজের‌ই ক্ষতি হবে৷ সুতরাং এই সত্য বিষয়কে চিন্তা করে মনে রাখতে হবে যে, কোনো ব্যক্তির অন্য কোনো ব্যক্তির অপকার করা উচিত নয় ॥১৬ সিদ্ধান্ত — শিবমহাপুরাণ জীবেদের উদ্দেশ্যে সতর্কবানী দিয়ে বলছে যে, কোনো ব্যক্তি যেন অন্যের ক্ষতি করবার চেষ্টা না করে, কারণ অন্যের ক্ষতি করলে নিজের ক্ষতিই সবার আগে হয়, একারণে অন্যের কোনোরকম ক্ষতি করা উচিত নয় বলে নির্দেশ দিয়েছে শিবমহাপুরাণ। © শ্রী নন্দীনাথ শৈবাচার্য 

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত