ব্রাহ্মণ সহ বর্ণাশ্রমীরা সেবা করবে অতিবর্ণাশ্রমী শৈবদের
ব্রাহ্মণ সহ বর্ণাশ্রমীরা সেবা করবে অতিবর্ণাশ্রমী শৈবদের
তস্মাদ সেব্যা নমস্কার্যাঃ সদা ব্রহ্মবিদস্তথা ॥৩২
বর্ণাশ্রমীবিনির্মুক্তা বর্ণাশ্রমপরায়ণৈঃ ॥৩৩
[তথ্যসূত্র : লিঙ্গপুরাণ/পূর্বভাগ/২৮তম অধ্যায়]
🌷অর্থ — বর্ণাশ্রমের নিয়ম থেকে মুক্ত হয়ে বর্ণাশ্রমের ঊর্দ্ধে উঠে যারা "অতিবর্ণাশ্রমী শৈব" হয়ে গেছেন সেই সমস্ত ব্রহ্মজ্ঞানী/শিবজ্ঞানী শৈবদের সমক্ষে সর্বদাই নত হয়ে নমস্কার সহ সেবা করবে বর্ণাশ্রমী (ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র) গণ ॥৩২-৩৩
🔥 সিদ্ধান্ত — বর্ণাশ্রমের অন্তর্গত যে সমস্ত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্রণেরা আছেন, তারা যেন সকলেই অতিবর্ণাশ্রমী শৈব ব্যক্তিদের কাছে নত হয়ে তাদের সেবা করে, কারণ বর্ণশ্রমের নিয়ম থেকে মুক্ত অতিবর্ণাশ্রমী শৈবরা, তারা শিবজ্ঞান লাভ করে ব্রহ্মজ্ঞ হয়ে থাকেন। শিবজ্ঞানী অতিবর্ণাশ্রমী শৈবরা সকলের গুরু, কারণ আত্মজ্ঞান ই সর্বোচ্চ, তাই আত্মজ্ঞানীদেরই সেবা করতে বলা হয়েছে, যাতে সেবার দ্বারা বর্ণাশ্রমী ব্যক্তিও অতিবর্ণাশ্রমী শৈবদের কৃপায় শিবজ্ঞান লাভ করে বর্ণাশ্রমের বিধিনিষেধের ঊর্দ্ধে উঠে গিয়ে আত্মজ্ঞানী হতে পারেন।
টীকা - পরমেশ্বর শিবের ভক্ত শৈব রা সর্বদা সকল বিধি নিষেধের থেকে মুক্ত, দেখুন -
স্বতন্ত্রঃ খলু শংকরঃ ।। ৪৬
মহাদেবস্য ভক্তাশ্চ তদ্ভক্তা অপি দেহিনঃ ।
স্বতন্ত্রতা বেদবিচ্ছ্রেষ্টাঃ কিং পুনঃ স মহেশ্বরঃ ।। ৪৭
[স্কন্দমহাপুরাণ/সূতসংহিতা/যজ্ঞবৈভবখণ্ড/উপরিভাগ/(সূতগীতা) ৩ অধ্যায়/ ৪৬-৪৭ নং শ্লোক]
অর্থ - পরমেশ্বর শিব সকল বিধি নিষেধের থেকে মুক্ত, স্বতন্ত্র। যখন পরমেশ্বর শিবের অদ্বৈতবাদী অতিবর্ণাশ্রমী ভক্তশৈবরাই স্বতন্ত্র, তখন মহেশ্বরের স্বতন্ত্রতার বিষয়ে আর কি বলব ?।
© নন্দীনাথ শৈব (2024)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন