পোস্টগুলি

জুন, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আল্লাহ মালিক বলতে থাকা মুসলিম ফকির সাই বাবা হয়ে বসেছে সনাতনী হিন্দুদের ভগবান

ছবি
  নমস্কার শ্রীগুরুবে নমঃ  নমঃ শিবায়  হর হর মহাদেব  বর্তমানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, সাইবাবা নামের একজন বৃদ্ধ বয়সী ব্যক্তি কে কিছু সনাতনী হিন্দু রা সনাতন ধর্মের ভগবান বা গুরু ভেবে নিয়ে পূজা করা শুরু করেছে। যে সাইবাবা আসলেই একজন মুসলিম ফকির । তিনি মাথায় মুসলিমদের মতোই টুপি পড়তেন, কফনী আচ্ছাদিত করতেন। ইসলামের গ্রন্থ কোরান শরীফ পুস্তকের “কলমা” পাঠ করবার কট্টর সমর্থক ছিলেন ।  এছাড়াও তিনি ছিলিমে গাঁজা ভরে টান দিয়ে নেশা করতেন ও অন্যদেরকেও নেশা করবার জন্য নেশার বস্তু মুখের সামনে এগিয়ে ধরতেন। অথচ   সনাতন ধর্মের‌ই বেশ কিছু সনাতনী ব্যক্তি এসব ঘূর্ণাক্ষরেও টের পাচ্ছে না যে, ভক্তির নামে সনাতনী দের সাথে কত বড় ছলনা করা হচ্ছে।  এবার সবার আগে জেনে নিন 👇  • ফকির সম্প্রদায় কোথা থেকে এলো ?  উত্তর : ভারতে মোগল-মুসলমানদের প্রবেশের পর তারা সনাতনী দের জোর করে মেরে ধরে অত্যাচার করে জিহাদ -এর মাধ্যমে ইসলাম গ্রহণ করাতে বাধ্য করতে থাকে।  এর মধ্যে বহু রূপান্তরিত হ‌ওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই সনাতন ধর্মের শাস্ত্রের মধ্যে থাকা “অদ্বৈত” দর্শনের পরিপন্থী ছিলেন, সাধারণ মানুষ অদ্বৈতবাদ সম্পর্কে অবগত নয়, তাই স

পরমেশ্বর কে ❓ ব্রহ্মসংহিতা v/s বেদ

ছবি
🚫 বৈষ্ণব দের দাবী — ব্রহ্ম সংহিতার ৫/১-এ বলা হয়েছে — ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃ । অনাদিরাদির্গোবিন্দঃ সর্বকারণকারণম্ ৷ তাই, শ্রীকৃষ্ণই পরমেশ্বর, শিব পরমেশ্বর নয় । 🔥 শৈব সনাতনীদের উত্তর — সাক্ষাৎ কৃষ্ণ-যজুর্বেদ/ তৈত্তিরীয় আরণ্যক / ১০ম প্রপাঠক/২১ নং অনুবাক -এ বলা হয়েছে – ॐ ঈশানঃ সর্ববিদ্যানাং ঈশ্বরঃ সর্বভূতানাং ব্রহ্মাধিপতির্ব্রহ্মণোহধিপতির্ব্রহ্মা শিবো মে অস্তু সদাশিবোম্‌ ॥ (International Shiva Shakti Gyan Tirtha -ISSGT) অর্থাৎ, পরম ঈশ্বর হল - ঈশান-শিব সর্বশক্তিমান, সবকিছুর মধ্যেই তিনি আছেন, তিনি ব্রহ্মা-নারায়ণ সহ সকলের কর্তা, সেই ॐ-কার স্বরূপ পরমেশ্বর সদাশিব যেন সকলের প্রতি মঙ্গল করেন। সিদ্ধান্ত — ব্ৰহ্ম সংহিতা কোনো পুরাণ শাস্ত্র, ইতিহাস শাস্ত্র, তন্ত্র শাস্ত্র বা বেদ শাস্ত্রের অংশ নয় , তাই নকল পুস্তকের মধ্যে যা বলা থাকুক, তা সনাতন ধর্মের শাস্ত্র বলেই গণ্য হয় না, তাই ব্রহ্মসংহিতার কথা অমান্য ।  যদি কেউ বলেন, ব্রহ্মসংহিতা পঞ্চরাত্র আগমের অংশ, তবে জেনে নিন, পঞ্চরাত্র আগমগুলিও মায়া শাস্ত্র, যা বেদ বিরুদ্ধ (কূর্মপুরাণ/ পূর্বভাগ/অ.১৬ ও স্কন্দপুরাণ/সূত.সং./যজ্ঞবৈভবখণ্ড

শৈব আগম শাস্ত্র বৈদিক ও তা সর্বোচ্চ শাস্ত্র — বলছে বেদ স্বয়ং

ছবি
  মুক্তিকা উপনিষদের মধ্যে দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৫নং মন্ত্রে ১০৮ উপনিষদের মধ্যে “ অন্নপূর্ণা উপনিষদ ” একটি অন্যতম উপনিষদ,  प्रश्नमुण्डकमाण्डुक्याथर्वशिरोऽथर्वशिखाबृहज्जाबाल- नृसिंहतापनीनारदपरिव्राजकसीताशरभमहानारायण- रामरहस्यरामतापनीशाण्डिल्यपरमहंसपरिव्राजक- अन्नपूर्णा सूर्यात्मपाशुपतपरब्रह्मत्रिपुरातपनदेवीभावना- ब्रह्मजाबालगणपतिमहावाक्यगोपालনামের বলা হয়েছেतपनकृष्णहयग्रीव- दत्तात्रेयगारुडानामथर्ववेदगतानामेकत्रिंशत्संख्याकाना- मुपनिषदां भद्रं कर्णेभिरिति शान्तिः ॥ ५॥ এবার দেখুন  অন্নপূর্ণা উপনিষদের ৩ নং অধ্যায়ের মন্ত্র সংখ্যা ২১ নং এ বলা হয়েছে — শিবঃ শৈব আগমস্থানাং কালঃ কালৈকবাদিনাম্ । যৎ সর্বশাস্ত্রসিদ্ধান্তং যৎ সর্বহৃদয়ানুগম্ ॥২১ [তথ্যসূত্র — অথর্ব-বেদ/অন্নপূর্ণা উপনিষদ/৩ নং অধ্যায়/মন্ত্র ২১] 🌷 সরলার্থ — শৈব আগমে বর্ণিত হ‌য়েছে যেই পরমেশ্বর শিবের বিষয়বস্তু তথা যেখানে শিবতত্ত্ব বর্ণনা রয়েছে, সেই শৈব আগম শাস্ত্র কালৈকবাদিরও কাল এবং ইহাই সমস্ত শাস্ত্রের সিদ্ধান্তসার স্বরূপ ও সকলের হৃদয়ের অনুগত তথা শুভকারক। 🔥 সিদ্ধান্ত — শৈব আগম শাস্ত্র সমস্ত শাস্ত্রের মধ্যে সিদ্ধান্ত রূপী সর্বোত্তম, এই

কাশী মাহাত্ম্য

ছবি
  কিং মযা বর্ণ্যতে দেবি হ্যবিমুক্তফলোদযঃ ॥৭৪॥ পাপিনাং যত্র মুক্তিঃ স্যান্মৃতানামেকজন্মনা । অন্যত্র তু কৃতং পাপং বারাণস্যাং ব্যপোহতি ॥৭৫॥ [তথ্যসূত্র - লিঙ্গমহাপুরাণ/পূর্বভাগ/১০৩ নং অধ্যায়] সরলার্থ - হে দেবী! আমি অবিমুক্তক্ষেত্রে হ‌ওয়া পুণ্য ফলের বর্ণনা কিভাবে করবো, যেখানে মৃত্যু প্রাপ্ত কারী পাপীদের এক‌ই জন্মে মুক্তি হয়ে যায়।অন্যত্র করা পাপ বারাণসীতে নষ্ট হয়ে যায়। সংগ্ৰহে ও লেখনীতে - নমিতা রায় দেবীজী   🚩কপিরাইট ও প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT 

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত