পোস্টগুলি

জুন, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শিবশিবাস্তুতিঃ

                ॥ শিবশিবাস্তুতিঃ ॥ ॐ নমঃ শিবায শান্তায পঞ্চবক্রায শূলিনে । নন্দি - ভৃঙ্গি - মহাব্যালগণ - যুক্তায শম্ভবে ॥১॥ শিবাযৈ হরকান্তাযৈ প্রকৃত্যৈ সৃষ্টিহেতবে । নমস্তে ব্রহ্মচারিণ্যৈ জগদ্ধাত্র্যৈ নমো নমঃ ॥২॥ সংসারভয - সন্তাপাৎ পাহি মাং সিংহবাহিনি। রাজ্য - সৌভাগ্য - সম্পত্তিং দেহি মামম্ব পার্বতী ॥৩॥            ॥ ইতি শিব - শিবা - স্তুতিঃ সমাপ্তা ॥ © সংগ্ৰহে ও লেখনীতে - নমিতা রায় দেবীজী  🚩কপিরাইট ও প্রচারে -  International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT 

রহস্যপঞ্চদশিকা

ছবি
                    ।। রহস্যপঞ্চদশিকা ।।   এই স্তোত্রে মোট সাইত্রিশটি শ্লোক আছে।  এই স্তোত্রে জীবনমুক্ত অভিনবগুপ্ত শিবের সংবিদ্‌রূপা অনেক প্রকার শক্তি যেমন সরস্বতী, শিবা, অম্বিকা আদির স্তুতি করেছেন। তবে এখানে আপাতদৃষ্টিতে শক্তি অনেক প্রকার মনে হলে ও প্রত্যেকে এক  মূলা পরাশক্তি দেবী পার্বতী (শিবা) তারই স্বরূপ ।  সংবিদের স্বামী শিব আপন শক্তি শিবার মাধ্যমে পঞ্চকৃত্য অর্থাৎ সৃষ্টি, স্থিতি, বিনাশ, নিগ্রহ এবং অনুগ্রহ করেন। বিনা তার শিব না কিছু করেন, না জানেন এবং না ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এই শক্তি (মায়া) অজ্ঞানী মনুষ্যকে চর্ম, রুধির, মাংসাদি দ্বারা পরিপূর্ণ করে সর্বদা রোগযুক্ত শরীরে নিমজ্জিত করে রাখে। ইহাই তার মায়া, এই সংবিদরূপা শক্তির জ্ঞান প্রাপ্ত হলে, সম্পূর্ণ মোহময় জ্ঞান নষ্ট হয়ে যায় এবং সে শিবপদ অর্থাৎ মোক্ষ প্রাপ্ত করে।   ব্রাহ্মে মুহূর্ত্তে ভগবত্‌প্রপত্তি           স্ততঃ সমাধির্নিযমোঽথ সান্ধ্যঃ । যামৌ জপার্চাদি ততোঽন্যসত্রং শেষস্তু-           কালঃ শিবশেষবৃতিঃ (বৃত্তিঃ)? ।। ১ ।। 👉ব্রহ্ম-মুহূর্তে ভগবানের প্রার্থনা, সমাধি, সন্ধ্যার অভ্যাস করতে  হয়, এবং বাকি দুই প্রহরে  জপ-পূজা আ

আষাঢ় মাসের গৌরী তৃতীয়া ব্রত এবং দেবীর রথযাত্রা উৎসব পালনের বিধি

🔹 আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে নিজের  সামর্থ অনুসারে দেবী পার্বতীর অতিপ্রিয় রথোৎসব সম্পন্ন করা উচিত।  🔹 পৃথিবীকে রথের ন্যায় এবং চন্দ্রমা তথা সূর্য কে রথের দু-চাকা মনে করা উচিত, চার বেদকে ঘোরা তথা ব্রহ্মদেবকে সারথি মনে করা উচিত।  🔹 এইপ্রকারে অনেক মণি দ্বারা জটিত এবং পুষ্পমালা দ্বারা সুশোভিত রথের নির্মান করে দেবী শিবা কে স্থাপিত করুন। এইসময় বুদ্ধিমান ব্যাক্তিকে মনে মনে ভাবনা করতে হবে যে, শ্রীপরাম্বা পার্বতী জগতের রক্ষার জন্য রথের মধ্যখানে বসে আছেন। রথ ধীর গতিতে চলা কালীন দেবীর জয়কারা করুন ও প্রার্থনা করুন "হে দেবী! হে দীনবৎসলে! আমাদের আপনার শরনার্থীদের রক্ষা করুন"। প্রার্থনা এবং অনেক বাদ্য ধ্বনি দ্বারা  দেবী ভগবতী কে সন্তুষ্ট করুন এবং সীমাপর্যন্ত রথ নিয়ে গিয়ে সেখানে রথে ভগবতীর পূজা করতে হবে। তারপর দেবীর স্তোত্র দ্বারা স্তুতি করে জগদম্বাকে নিজ গৃহে নিয়ে এসে প্রণাম করে প্রার্থনা করুন।    ব্রতফল -   যে বিদ্বান এই প্রকারে পূজা, ব্রত এবং রথোৎসব করেন, সেই ব্যাক্তি সংসারে সম্পূর্ণ সূখের উপভোগ করে অন্তে দেবীর ধাম(জ্ঞানকৈলাস) প্রাপ্ত করেন। [তথ্যসূত্র - শিব মহাপুরাণ/উ

মহাভারতের দ্রোণপর্বের অন্তর্গত রুদ্রাভিষেক স্তোত্র

ছবি
মহাভারতের দ্রোণপর্বের অন্তর্গত রুদ্রাভিষেক স্তোত্র পুত্র অভিমন্যুর মৃত্যু শোকে বিহ্বল কুন্তীপুত্র অর্জুন জয়দ্রথকে সমর সংগ্রামে হত্যা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অচিন্ত্য পরাক্রমশালী  অর্জুন আপন প্রতিজ্ঞা রক্ষার্থে শিব মন্ত্রের চিন্তন করতে করতে নিদ্রামগ্ন হন। সেই সময় অর্জুনের স্বপ্নে শ্রীকৃষ্ণ শোকসন্তপ্ত অর্জুনের সন্নিকট এলেন এবং অর্জুনকে নানা প্রকার সান্তনা দিলেন, তবুও অর্জুনের চিন্তার নিবারন হলো না। তখন শ্রীকৃষ্ণ বললেন-  হে পার্থ! পাশুপাত নামক এক উত্তম সনাতন অস্ত্র আছে, যার দ্বারা একমাত্র জয়দ্রথের বধ সম্ভবপর। শ্রীকৃষ্ণের আদেশানুসার অর্জুন পরমেশ্বরের আরাধনায় লীন হল। এরপর দুজনে আকাশমার্গে  কৈলাশের উদ্দেশ্যে গমন করলেন। সেখানে পৌছে তারা বৃষভধ্বজ পরমেশ্বরের দর্শন করলেন। আপন তেজে সহস্র সূর্যের ন্যায় প্রকাশিত হাতে ত্রিশূল, মস্তকে জটাধারী তার মধ্যে গঙ্গা, মৃগচর্মধারী, কর্পূরের ন্যায় কান্তি। সহস্র নেত্র যুক্ত পরমেশ্বর উমা সহিত বিরাজমান। ভক্ত বৃন্দ দ্বারা সেবিত, ব্রহ্মবাদী মর্হষিগণ দিব্য স্তুতির দ্বারা প্রভুর চরণ বন্দনা করছেন। অর্জুন সহিত বাসুদেব নন্দন শ্রীকৃষ্ণ প্রভুর দর্শন করে বারংবার ধরাতলে মাথা নত

🚩ন্যায় শাস্ত্রের আধারে শক্তিপারম্যবাদমুখমর্দন এবং বিশেষ কিছু ব্যক্তিবর্গ দ্বারা কৃত কাশ্মীর ত্রিকধারার শৈবত্ব নিরাস খণ্ডন

ছবি
ভারতবর্ষের কিছু প্রান্তে আজকাল হঠাৎ কিছু P.hd-ধারী স্কলার আর তাদের তোষামোদকারী কিছু ব্যক্তিবর্গ জুটেছে যারা অদ্বৈত শৈবাগম ভিত্তিক ও শিবসূত্র ভিত্তিক প্রাচীন ত্রিকধারা- কে শৈব ধারা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অপ্রস্তুত । এদেরই কিছু ব্যক্তি আবার ত্রিক পরম্পরা আর সেই পরম্পরার আচার্যদের শৈব নয় বরং শাক্ত অথবা কৌল প্রমাণ করতে ব্যতিব্যস্ত।  এদের দাবী ত্রিকধারায় পরমতত্ত্ব না শিব না শক্তি, বরং শিব শক্তিরও অতীত এক পরম সত্য , যা অনুত্তর তত্ত্ব হিসেবে পরিগণিত, ইহাই কৌলমত। কৌল মতকে এরা শৈবমত বহির্ভূত একটি মত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যতিব্যস্ত।   অথচ তাদের এসব বাক্যের আড়ালে মূল লক্ষ্য ত্রিক ধারার নামে প্রচ্ছন্ন শাক্তবাদ এর প্রচার যা বাংলায় এতবছর ধরে চলেই আসছে।  প্রথমত এদের শুধুমাত্র নিজেদের লক্ষ্য (agenda) ও স্বার্থ চরিতার্থ করার নিমিত্তেই ত্রিক দর্শন নিয়ে চর্চা, যা বাংলার শাক্তকুল তথা শ্রীকুল এর উপাসকরা বহু আগে থেকেই করে আসছে। এদের কারোরই উপাস্য ইষ্ট শিব নয় বা এরা কেউই শৈব আগমোক্ত ক্রমে দীক্ষিত নয়। এদের বেশিরভাগই দীক্ষিত শাক্ত পরম্পরা থেকে , তাছাড়া এদের বেশভূষায় শাক্তের ও শাক্তাচারের লক্ষণ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত