পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের অন্তর্গত “ দ্বিতীয় সমুল্লাস” -এর খণ্ডন — মিথ্যার্থ প্রকাশ

ছবি
আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর লেখা সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের খণ্ডন — সনাতন ধর্মের সর্বপ্রাচীন এক ও অদ্বিতীয় গুরুপরম্পরা হল - মহাপাশুপত শৈব পরম্পরা, সেই মহাপাশুপতের ধারা শৈব অবধূত পরম্পরার বর্তমান মহামান্য আচার্য শ্রী নন্দীনাথ শৈবাচার্যের অনুপ্রেরণায় ও সহযোগীতায় International Shiva Shakti Gyan Tirtha — ISSGT শৈব সংগঠনের পক্ষ থেকে মহামান্য শ্রীসোমনাথ শৈব জী দ্বারা লিখিত আকারে সমগ্র বাংলাতে এই সর্ব প্রথমবার প্রকাশ করা হল “সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের খণ্ডন” সমন্বিত —  মিথ্যার্থ প্রকাশ অথ মিথ্যার্থ প্রকাশ — সত্যার্থ প্রকাশের অন্তর্গত দ্বিতীয় সমুল্লাস ও তার খণ্ডন   ॥ ॐ গণেশায় নমঃ । ॐ শ্রীগুরুভ্যো নমঃ । ॐ নমঃ শিবায় ॥ সত্যার্থ প্রকাশের অন্তর্গত দ্বিতীয় সমুল্লাসের খণ্ডন "শিক্ষা প্রকরণম্‌" 🟪  (১) দয়ানন্দ সরস্বতীর প্রথম দাবী (১)  🟪 সত্যার্থ প্রকাশ দ্বিতীয় সমুল্লাস পৃষ্ঠা ১৭ যে মাতা গর্ভাধান হইতে সন্তানদের সম্পূর্ণ বিদ্যালাভ না হওয়া পর্যন্ত তাহাকে সুশীলতার শিক্ষা দিয়া থাকেন, তিনি ধন্য। ❌ দয়ানন্দ সরস্বতীর ১ম দাবীর খণ্ডন (ISSGT) —   স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী জীর এই লেখ

শিবজ্ঞানী অতিবর্ণাশ্রমী শৈবদের কাছে চণ্ডাল ব্রাহ্মণ সব সমান

ছবি
   শিবজ্ঞানী অতিবর্ণাশ্রমী শৈবদের কাছে চণ্ডাল ব্রাহ্মণ সব সমান চণ্ডালগেহে বিপ্রাণাং গৃহে বা পরমার্থবিৎ । ভক্ষ্যভোজ্যাদিবৈষম্যং ন কিঞ্চিদপি পশ্যতি ॥ ৬৬ যথেষ্টং বর্ততে যোগী শিবং সর্বং বিচিন্তয়ন্ । তাদৃশো হি মহাযোগী কো বা তস্য নিবারকঃ ॥ ৬৭ [তথ্যসূত্র — স্কন্দমহাপুরাণ/সূতসংহিতা/যজ্ঞবৈভবখণ্ড/উপরিভাগ/সূতগীতা/অধ্যায় ৫] 🪷 অর্থ —  একজন পরমার্থবেত্তা শিবজ্ঞানী অতিবর্ণাশ্রমী শৈব ব্যক্তি কখনোই চণ্ডালের গৃহে বা ব্রাহ্মণের গৃহে যাওয়াকে এবং তাদের গৃহে আহার করবার জন্য ভক্ষ-ভোজ্য খাদ্যবস্তু গ্রহণ করবার মধ্যে কোনো ভেদ দেখেন না ॥ ৬৬ সবকিছুই শিব — এমনভাবে সর্বদা চিন্তা করতে থাকা শৈবযোগী ব্যক্তি পরমেশ্বর শিবের মতোই উদার সমানভাব রেখে সকলের সাথে ব্যবহার করেন । যিনি এইরকম চিন্তাধারার পরমপবিত্র শৈব মহাযোগী ব্যক্তি, তাকে কে আটকাতে পারে ? ॥ ৬৭ 🔥 ব্যাখ্যা - যে ব্যক্তি পরমেশ্বর শিবের শৈবমার্গ অবলম্বন করে শৈবরীতিনীতি পালন করেন ও শৈবজ্ঞানের ভিত্তিতে সবকিছুকে প্রভু শিবের‌ই স্বরূপ বলে মানেন, তিনি সকল বর্ণাশ্রমের বিধিনিষেধের নিয়মের ঊর্ধ্বে উঠে যান, সেই ব্যক্তিকেই পরমার্থবেত্তা অতিবর্ণাশ্রমী শৈব বলে। প্রভু শিবের ক

“শক্তি” সর্বদা পরমশিবেই (ব্রহ্ম) লীন হন, শিব কদাপি শক্তিতে লীন হননা - শৈবাচার্য ও শৈবশাস্ত্র অনুসারে

ছবি
কাশ্মীর ত্রিক ভৈরবাগম সম্প্রদায়ের বংশানুক্রমিক প্রত্যক্ষ শৈবাচার্য্য, মহামাহেশ্বরাচার্য্য অভিনবগুপ্তপাদের পরমেষ্ঠি গুরু বিদগ্ধ পণ্ডিত তথা সাধক ভগবান শ্রীসোমানন্দপাদ তাঁর 'শাক্তবিজ্ঞান' শাস্ত্রে স্পষ্টভাবেই বলছেন -  "অন্তাবস্থা সমাখ্যাতা বিশ্রামস্ত্বধুনোচ্যতে | ১৫ |   যদা সা পরমা শক্তিঃ সুলীনা পরমে পদে || ১৬ ||  তদা ন বিন্দতে কিঞ্চিদ্বিষযী বিষযান্তরম্ |  শিবে বিশ্রাম্যতে শক্তিস্তদা বিশ্রাম উচ্যতে || ১৭ ||  যত্র বিশ্রমণং শক্তের্মনস্তত্র লযং ব্রজেৎ |   তদাত্মা পরমাত্মত্বে জ্ঞাতব্যো নিশ্চিতাত্মভিঃ || ১৮ ||  শিবীভূতো ভবত্যাত্মা পরিণামঃ স এবহি | ১৯ |"  (তথ্যসূত্র- 'শাক্তবিজ্ঞান'/শ্রীসোমানন্দপাদ বিরচিত) ভাবার্থ - স্থান, প্রবেশ, রূপ, লক্ষ্য, লক্ষ্যণ, উত্থাপন, বোধন, চক্রবিশ্রাম, ভূমিকাগমন, অন্তাবস্থা, বিশ্রাম, পরিণাম এবং আগমন - শাক্তবিজ্ঞানের এই ১৩ টি স্বরূপ সাক্ষাৎ শিব কর্তৃক শাস্ত্রে কথিত হয়েছে। শিবযোগীর নাভিকন্দ-চক্রস্থিত গ্রন্থি বিদীর্ণ হলে তৎ বিন্দু হতে পরাশক্তির যে স্ফূরণ ঘটে তাহাই 'অন্তাবস্থা' । সেই পরাশক্তি পরমপদ শিব পদে যখন অন্তর্লীন হন, সেই সময় ব

বৈষ্ণদের চেয়েও হাজারগুণ বেশি শ্রেষ্ঠ হল ১জন শিবভক্ত শৈব

ছবি
  বৈষ্ণদের চেয়েও হাজারগুণ বেশি শ্রেষ্ঠ হল ১জন শিবভক্ত শৈব বিষ্ণুভক্ত সহস্রেভ্যো রুদ্রভক্ত বিশিষ্যতে । রুদ্রভক্তাৎপরতরো নাস্তি লোকে ন সংশয়ঃ ॥২০ [তথ্যসূত্র — লিঙ্গমহাপুরান/উত্তরভাগ/৪ নং অধ্যায়] ✅ অর্থ — বিষ্ণুভক্তের থেকে হাজারগুণ অধিক শ্রেষ্ঠ হল একজন শিবভক্ত শৈব ।  কিন্তু শিবভক্ত শৈবদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর কেউ নেই । 🔥 সিদ্ধান্ত — সনাতন ধর্মের শাস্ত্র লিঙ্গ মহাপুরাণ বলছে যে, বৈষ্ণবদের চেয়ে শিবভক্ত শৈব -রা হাজার গুণ বেশি শ্রেষ্ঠ, কারণ শৈবরা সনাতন ধর্মের প্রকৃত পরমসত্য শিবকেই অনুসরণ করেন, বৈষ্ণবেরা অদ্বৈত শৈব জ্ঞানকে স্বীকার করেন না বরং ভেদাভেদ করাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। যেহেতু শৈবরা সকল দেবদেবীকে অদ্বিতীয় পরমেশ্বর শিবেরই বিভিন্ন রূপ বলে স্বীকার করে একতায় বিশ্বাসী, তাই ভেদাভেদকারী বৈষ্ণবদের থেকে শৈবদেরকে সর্বশ্রেষ্ঠ ঘোষণা করেছে স্বয়ং শাস্ত্র নিজেই। এই এক‌ই কথা সৌরপুরাণের ১১তম অধ্যায়ের ৯নং শ্লোকে বলা হয়েছে। ©️শ্রী নন্দীনাথ শৈবাচার্য   Copyright ও প্রচারে — International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT

সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের অন্তর্গত “ভূমিকা" —র খণ্ডন

ছবি
  আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর লেখা সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের খণ্ডন — সনাতন ধর্মের সর্বপ্রাচীন এক ও অদ্বিতীয় গুরুপরম্পরা হল মহাপাশুপত পরম্পরা, সেই মহাপাশুপতের ধারা শৈব অবধূত পরম্পরার বর্তমান মহামান্য আচার্য শ্রী নন্দীনাথ শৈবাচার্যের অনুপ্রেরণায় ও সহযোগীতায় International Shiva Shakti Gyan Tirtha — ISSGT শৈব সংগঠনের পক্ষ থেকে মহামান্য শ্রীসোমনাথ শৈব জী দ্বারা লিখিত আকারে সমগ্র বাংলাতে এই সর্ব প্রথমবার প্রকাশ করা হল “সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের খণ্ডন” সমন্বিত —  মিথ্যার্থ প্রকাশ অথ মিথ্যার্থ প্রকাশ — সত্যার্থ প্রকাশের অন্তর্গত “ভূমিকা” -র  খণ্ডন   ॥ ॐ গণেশায় নমঃ । ॐ শ্রীগুরুভ্যো নমঃ । ॐ নমঃ শিবায় ॥ সত্যার্থ প্রকাশের অন্তর্গত  ভূমিকা সমীক্ষা 🟪   দয়ানন্দ সরস্বতীর দাবী   🟪 সত্যার্থ প্রকাশ ভূমিকা, পৃষ্ঠা ১  “ যে সময় আমি এই গ্রন্থ সত্যার্থ প্রকাশ লিপিবদ্ধ করছিলাম এবং তার পূর্ব সংস্করণে সংস্কৃত ভাষণ, পঠন-পাঠনে সংস্কৃতের ব্যবহার এবং যেহেতু আমার মাতৃভাষা গুজরাতি হওয়ার দরুন আমার এই ভাষার উপর বিশেষ জ্ঞান ছিল না এর ফলে ভাষা অশুদ্ধ হয়ে যায়। যখন এই ভাষা বলা ও লেখার অভ্যাস হয়

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত