সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের অন্তর্গত “ভূমিকা" —র খণ্ডন
আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর লেখা সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের খণ্ডন —
সনাতন ধর্মের সর্বপ্রাচীন এক ও অদ্বিতীয় গুরুপরম্পরা হল মহাপাশুপত পরম্পরা, সেই মহাপাশুপতের ধারা শৈব অবধূত পরম্পরার বর্তমান মহামান্য আচার্য শ্রী নন্দীনাথ শৈবাচার্যের অনুপ্রেরণায় ও সহযোগীতায় International Shiva Shakti Gyan Tirtha — ISSGT শৈব সংগঠনের পক্ষ থেকে মহামান্য শ্রীসোমনাথ শৈব জী দ্বারা লিখিত আকারে সমগ্র বাংলাতে এই সর্ব প্রথমবার প্রকাশ করা হল “সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের খণ্ডন” সমন্বিত — মিথ্যার্থ প্রকাশ
অথ মিথ্যার্থ প্রকাশ — সত্যার্থ প্রকাশের অন্তর্গত “ভূমিকা” -র খণ্ডন
॥ ॐ গণেশায় নমঃ । ॐ শ্রীগুরুভ্যো নমঃ । ॐ নমঃ শিবায় ॥
সত্যার্থ প্রকাশের অন্তর্গত ভূমিকা সমীক্ষা
🟪 দয়ানন্দ সরস্বতীর দাবী 🟪
সত্যার্থ প্রকাশ ভূমিকা, পৃষ্ঠা ১
“যে সময় আমি এই গ্রন্থ সত্যার্থ প্রকাশ লিপিবদ্ধ করছিলাম এবং তার পূর্ব সংস্করণে সংস্কৃত ভাষণ, পঠন-পাঠনে সংস্কৃতের ব্যবহার এবং যেহেতু আমার মাতৃভাষা গুজরাতি হওয়ার দরুন আমার এই ভাষার উপর বিশেষ জ্ঞান ছিল না এর ফলে ভাষা অশুদ্ধ হয়ে যায়। যখন এই ভাষা বলা ও লেখার অভ্যাস হয়ে গেল তখন এই গ্রন্থের ভাষা ব্যাকরণ অনুসারে পরিশুদ্ধ করে দ্বিতীয় বার প্রকাশিত করা হয় কোথাও কোথাও শব্দ বাক্য রচনা বিভেদ হয়েছে তা করা উচিত ছিল কারণ এই ভেদ বিনা ভাষার পরিপাটি করা সম্ভব ছিল না কিন্তু এতে অর্থের কোন প্রকার বিভেদ প্রকট হয়নি প্রথম প্রকাশনায় যাবতীয় ভুল ত্রুটি পরিশোধিত করা হয় ।”
❌ দয়ানন্দের প্রথম দাবীর খণ্ডন (ISSGT) —
দ্বিতীয় সংস্করণের সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের “ভূমিকা”তে প্রকাশিত এই লেখা অনুসারে দয়ানন্দ এই সত্যার্থ প্রকাশ লেখার সময় পর্যন্ত পঠন পাঠনে সংস্কৃত এবং মাতৃভূমির ভাষা গুজরাটি হওয়ার জন্য ওনার হিন্দি ভাষার সঠিক জ্ঞান ছিল না এই কারণে নাকি প্রথম সংস্করণের সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের ভাষা অশুদ্ধ হয়ে যায় । এখন যদি দ্বিতীয় সংস্করণের সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের ভূমিকাতে প্রকাশিত লেখাকে সত্য বলে মেনে চলা হয় তবে আর্য সমাজীরা নিজেদের বলা মিথ্যার জালে নিজেরাই আবদ্ধ হতে আরম্ভ হলো, চলুন দেখে নেওয়া যাক —
প্রশ্ন ১) ভূমিকাতে প্রকাশিত এই লেখা অনুসারে বোঝা যাচ্ছে যে, এই দ্বিতীয় সংস্করণের সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের পূর্বে যে প্রথম সংস্করণের সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তক প্রকাশিত হয়েছিল তাতে গুজরাটি ভাষার সংমিশ্রণ ছিল ।
কিন্তু অবাক করবার মতো বিষয়, ঐ প্রথম সংস্করণের সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের মধ্যে গুজরাটি ভাষার কোনো শব্দ চোখে পড়ছে না কেন ?
প্রশ্ন ২) এখানে এটাও বিচার করবার বিষয় হল যে, কোনো ব্যক্তি এমন ভাষায় পুস্তক রচনা করেছেন যে ভাষায় তার সমুচিত জ্ঞান নেই । কেউ যদি পুস্তক লিখতে চায় তবে তিনি যে ভাষায় তার নিজের সাবলীল দক্ষতা আছে সেই ভাষাতেই পুস্তক লিখবেন এটাই স্বাভাবিক।
সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকটি দয়ানন্দ সরস্বতী জী নিজের মাতৃভাষা গুজরাটি ভাষায় লিখতে পারতেন কিন্তু দয়ানন্দ সরস্বতী জী এমন করলেন না। দয়ানন্দ সরস্বতীর কথা অনুযায়ী তিনি যদি সত্যিই জেনে থাকেন যে ওনার নিজের হিন্দি ভাষার শুদ্ধ জ্ঞান নেই। তবে এটা জানা সত্ত্বেও তবুও কেন হিন্দি ভাষায় লেখা জারি রাখলেন ?
কেন হিন্দিতে পুস্তক বের করলেন?
প্রশ্ন ৩) এখানে এটাও বিচার করার বিষয় যে সত্যার্থ প্রকাশের লেখার কার্য দয়ানন্দ সরস্বতী জী নয় বরং কাশি নরেশ রাজা জয় কৃষ্ণ দ্বারা নিযুক্ত পণ্ডিত চন্দ্রশেখর দ্বারা সম্পাদিত হয়েছিল, সেই ব্যক্তি সংস্কৃত এবং হিন্দি ভাষায় উত্তম বিদ্বান ছিলেন কিন্তু তারপরেও হিন্দি ভাষা অশুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কি করে ? অর্থাৎ এর দ্বারা বোঝা যাচ্ছে যে , দয়ানন্দ মিথ্যা প্রবচন বলেছেন।
প্রশ্ন ৪) দয়ানন্দের লেখানুসারে এই সত্যার্থ প্রকাশ সম্পূর্ণ শুদ্ধ আবার আর্য সমাজীদের মতানুসারে সত্যার্থ প্রকাশের এই সংস্করণ ১৮৮২ সালে লিপিবদ্ধ হয় । ফলে, এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে দয়ানন্দ এর পূর্বে না তো শুদ্ধ হিন্দি বলতে পারতেন , আর ... না শুদ্ধ হিন্দি লিখতে পারতেন । তবে সেই অশুদ্ধ সত্যার্থ প্রকাশের পূর্বে রচিত দয়ানন্দ সরস্বতীর লেখা বেদভাষ্য, ভূমিকা ও যজুর্বেদ ভাষ্য আদি ভাষ্যও অশুদ্ধ ভাষায় প্রকাশিত হয়েছিল বলেই মানতে হবে। কারণ অশুদ্ধ সত্যার্থ প্রকাশ রচনার পূর্বে দয়ানন্দ সরস্বতীর শুদ্ধ হিন্দি ভাষার জ্ঞানের বোধ ছিল না, আর এই অশুদ্ধ সত্যার্থ প্রকাশ লেখবার আগেই দয়ানন্দ সরস্বতী জী বেদভাষ্য, ভূমিকা এবং যজুর্বেদ ভাষ্য আদি ভাষ্য লিখেছিলেন, তাই যেহেতু সত্যার্থ প্রকাশের রচনার কালেই অশুদ্ধ ছিল।
প্রশ্ন ৫) এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, দয়ানন্দের বানানো সত্যার্থ প্রকাশের প্রথম সংস্করণে দয়ানন্দ এমনকি লিখেছিল যাতে এর মধ্যে সংশোধন করে পুনরায় নতুন সংস্করণের সত্যার্থ প্রকাশ প্রকাশিত করা হয় ?
তখন এটির উত্তর দিতে গিয়ে এমনটা করবার
কারণ দেখাতে গিয়ে দয়ানন্দ সরস্বতীর অনুসারী আর্যসমাজীরা বলেন যে, “ মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে শ্রাদ্ধ ও পশুযজ্ঞের নির্দেশ” ভুল করে ঐ প্রথম সংস্করণের সত্যার্থ প্রকাশের মধ্যে ছাপা হয়েছিল।
দয়ানন্দ নিজের বেদভাষ্যের দ্বিতীয় অঙ্কে একটি বিজ্ঞাপনের দ্বারা এর কারণ বর্ণনা করেন সত্যার্থ প্রকাশে মৃতকের শ্রাদ্ধ এবং পশুযজ্ঞের উল্লেখ এবং (Editor)সংশোধনকারীর ভুলের জন্য ছাপা হয়ে যায়। এই কারণে দ্বিতীয় সংস্করণের সত্যার্থ প্রকাশ প্রকাশিত করা হচ্ছে এই পুস্তকে যা কিছু লিপিবদ্ধ করা হয়েছে তা অত্যন্ত বুঝে শুনে বেদানুসার প্রকাশ করা হয়েছে।
এবার তাহলে এখানে একটা বড় প্রশ্ন হল দ্বিতীয় সংস্করণের সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের ভূমিকায় এই মন্তব্যের উল্লেখ কেন করা হলো না ?
যে সমস্ত ব্যক্তি বা যারা সত্যার্থ প্রকাশের প্রথম সংস্করণের অশুদ্ধি সম্পর্কে অবগত নন তাদের জানা উচিত সত্যার্থ প্রকাশের অশুদ্ধির সত্য কারণ কি ছিল !?
কেন ওই সংস্করণের সংশোধন করে পুনরায় প্রকাশিত করা হয় ? এটি দ্বিতীয় সংস্করণের সত্যার্থ প্রকাশের ভূমিকায় লেখা উচিত ছিল, কিন্তু সেখানে এটা লেখা হয়নি ।
দেখুন... প্রথম সংস্করণের সত্যার্থ প্রকাশের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪৫ লেখা রয়েছে প্রাতঃকালে মাংস আদি দ্বারা হোম করবার ।
[সরাসরি অনলাইন থেকে দেখে নিন এখানে ক্লিক করে 👉 ১ম সংস্করণের সত্যার্থ প্রকাশ ]
✅ পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৪৮ -এ উল্লেখ আছে, দয়ানন্দ সরস্বতী জী গরুকে গাধার সঙ্গে তুলনা করে লিখেছেন যে “গরু তো পশু তবে গরুর পূজা করা কি উচিত ? কখনোই না.. কিন্তু তার জন্য তো এটাই পূজা...
ঘাস জল ইত্যাদির দ্বারা রক্ষা করা। তাও একমাত্র দুগ্ধ উৎপাদনের উদ্দেশ্যে অন্যথা কোন দরকার নেই ।
[সরাসরি অনলাইন থেকে দেখে নিন এখানে ক্লিক করে 👉 ১ম সংস্করণের সত্যার্থ প্রকাশ ]
✅ পৃষ্ঠা ১৪৮ নং -এ লিখেছেন যে, গোমেধাদিক আর দেবপিতৃকার্যে মাংস পিণ্ড করবার বিধান আছে , এতে মাংসের পিণ্ড দেওয়াতে তো কোনো পাপ নেই ।
[সরাসরি অনলাইন থেকে দেখে নিন এখানে ক্লিক করে 👉 ১ম সংস্করণের সত্যার্থ প্রকাশ ]
পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৭২নং -এ লিখেছেন যে, যজ্ঞের উদ্দেশ্যে যে সমস্ত পশুর বলি দেওয়া হচ্ছে তা বিধি পূর্বক কৃত হনন প্রক্রিয়া ।
পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩০২নং -এ লিখছেন যে কেউ যদি মাংস ভক্ষণ না করে তবে পশু পাখি মৎস্য এবং এত জলরাশি রয়েছে যে তার থেকে শত সহস্র গুন উৎপন্ন হবে যা পরবর্তীতে মানুষের প্রাণনাশের কারণ হয়ে দাঁড়াবে এবং খেতে ধানের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন সমগ্র মানুষের জীবিকা নষ্ট হয়ে যাবে এবং এভাবে মানব জাতি নষ্ট হয়ে যাবে।
পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩০৩ নং -এ লিখছেন যেখানে যেখানে গোমেধাদি উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে পশুদের মধ্যে পুরুষদের হত্যার কথা বলা হয়েছে। এবং একটি ষাড় দ্বারা হাজার হাজার গরু গর্ভবতী হতে পারে, এর থেকে কোন ক্ষতিরও সম্ভাবনা নেই । যে গরু বন্ধ্যা তাকেও যজ্ঞের জন্য হত্যা করা উচিত, কারণ বন্ধ্যা গরুর থেকে দুগ্ধ ও সন্তান উৎপাদন হয় না ।
পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩৬৬নং -এ লিখছেন যে, পশুদের হত্যায় ক্ষণিক দুঃখ হয় কিন্তু চরাচর জগতে যশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকার হয় ।
নিম্নে লিখিত বর্ণনা থেকে জ্ঞানী ব্যক্তিগণেরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে, দয়ানন্দ সরস্বতী জী ধর্মের প্রচার করছেন না কি অধর্মের প্রচার করছেন ?!
১ম সংস্করনের সত্যার্থ প্রকাশের পৃষ্ঠা ৪২ এবং ৪৩ এ দয়ানন্দ সরস্বতী জীর দ্বারা স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে,
মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সমর্থনের কথা ।
পৃষ্ঠা ৪৭ এবং ৪৮ এ মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের উপকারীতার বিষয় নিয়ে বিস্তার পূর্বক লিপিবদ্ধ করেছেন ।
এরপর দয়ানন্দ সরস্বতী যখন শাস্ত্রগত তর্কসভায় উপস্থিত হয়ে নিজেই “মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ” হয়না বলে খণ্ডন করবার জন্য বলতে শুরু করলেন তখন অনান্য লোকরা দয়ানন্দ সরস্বতীর উপর স্ববিরোধী বক্তব্যের দোষ আরোপ করে বললেন যে, আপনি তো সত্যার্থ প্রকাশে মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধকে সমর্থন করেই উল্লেখ করেছেন , তাহলে এখন আপনি এর বিরুদ্ধে কেন কথা বলছেন, কেন নিজের বক্তব্যকেই খণ্ডন করছেন ? এরকম পুরুষের কথাকে কেউ প্রামাণ্য হিসেবে গ্রহণ করবে না। সুতরাং আপনি নিজের বাক্যকে খণ্ডন করে স্ববিরোধী দোষে দুষ্ট হয়েছেন।
এর পরবর্তীতে দয়ানন্দ সরস্বতী বেদভাষ্যের দ্বিতীয় অংশে এটি লিখে বিজ্ঞাপন দিয়ে দেন যে, সত্যার্থ প্রকাশের মধ্যে যেখানে মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ এবং পশু যজ্ঞের সমর্থনকারী লেখা আছে তা ঐ পুস্তকের (Editor) সংশোধনকর্তার ভুল ত্রুটির জন্য প্রকাশিত হয়েছিল। এখানে দয়ানন্দ সরস্বতী জী নাকি সম্পূর্ণ নির্দোষ, তিনি নাকি কিছুই জানতেন না। তাই দয়ানন্দ সরস্বতী জী বলছেন সেই জন্য এই দ্বিতীয় সংস্করণের সত্যার্থ প্রকাশ তৈরি করা হচ্ছে , দয়ানন্দ সরস্বতী জীর কথা অনুযায়ী, এখন তার রচিত এই দ্বিতীয় সংস্করণের সত্যার্থ প্রকাশে যা কিছু বলা হয়েছে তা নাকি সম্পূর্ণ বেদ অনুসারে বলা হয়েছে ।
✅ এখন বুদ্ধিমান ব্যক্তি স্বয়ং বিচার করুন এতগুলো পৃষ্ঠার লেখার ভুল (Book Editor) সংশোধনকর্তার দ্বারা কিভাবে হতে পারে ?
এটা কখনোই সম্ভব নয় এবং দয়ানন্দ সরস্বতী জী কত বড় মিথ্যা বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে দেখুন........ তার সামান্যতম লজ্জাবোধ পর্যন্ত হয়নি এবং তার খেয়াল নেই যে এসব দেখে বিদ্বান ব্যক্তিরা দয়ানন্দ সরস্বতী জীর উদ্দেশ্য কি মন্তব্য করবেন ।
উক্ত প্রমান দ্বারা এই বক্তব্য সিদ্ধ হয় যে সত্যার্থ প্রকাশের দ্বিতীয় সংস্করণের এই পুস্তকের ভূমিকাতে দয়ানন্দ সরস্বতী জি যা দাবী করেছেন তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, যা কিনা মূল বিষয় হতে দিকভ্রষ্ট করা হয়েছে, যা কিনা দয়ানন্দ সরস্বতী জীর ত্রুটির ওপর ধামাচাপা দিয়ে তার ভুল গুলির উপর আচ্ছাদনের কার্য করছে, এবং মানুষকে ভ্রমিত করার জন্য এই লেখা তৈরি করা হয়েছে ।
মিথ্যা বলা ও অসত্য প্রচার করা তো আর্যসমাজীদের জন্মসিদ্ধ কাজ, মিথ্যা কথা বলা এদের রক্তে রক্তে রয়েছে, DNA তে রয়েছে । পাঠকগণ ! আপনারা বিচার করুন যে সত্যার্থ প্রকাশের লেখা আরম্ভ হতেই প্রথমেই অসত্য লেখা হয়েছে, যার উদ্দেশ্যই হল — মিথ্যার প্রচার নাস্তিকতা ও ধর্মের ছদ্মবেশ ধরে ধর্মেরই বিরোধীতা করবার নীতির ওপর আশ্রিত । সেই সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকটি আমাদের সমস্ত সনাতনীদের জন্য কতটা উপকারী বা কতটা ক্ষতিকারক সিদ্ধ হবে তা জ্ঞানী ব্যক্তিরাই লোক সহজে বুঝতে করতে পারবেন।
পরমেশ্বর শিবের কৃপায়, শৈব আচার্য তথা গুরুদেবের কৃপায় সত্যার্থ প্রকাশের “ভূমিকা” -র খণ্ডন করা হল।
তারিখ - 02/02/2024
সময় - 08 : 35 pm
পরবর্তী ১ম সমুল্লাসের খণ্ডন বিষয়ক প্রবন্ধ টি এখানে ক্লিক করে দেখে নিন 👇
🔥 সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের অন্তর্গত “aপ্রথম সমুল্লাস” -এর খণ্ডন — মিথ্যার্থ প্রকাশ
🚩ॐ নমঃ শিবায় 🚩 শ্রীনন্দীকেশ্বরায় নমঃ 🚩 শৈব সনাতনঃ ধর্ম সদা বিজয়তে 🚩 হর হর মহাদেব 🚩
------------------------ইতি সত্যার্থপ্রকাশান্তর্গত ভূমিকা খণ্ডন সমাপ্ত----------------------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন