সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের অন্তর্গত “ দ্বিতীয় সমুল্লাস” -এর খণ্ডন — মিথ্যার্থ প্রকাশ
আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর লেখা সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের খণ্ডন —
সনাতন ধর্মের সর্বপ্রাচীন এক ও অদ্বিতীয় গুরুপরম্পরা হল - মহাপাশুপত শৈব পরম্পরা, সেই মহাপাশুপতের ধারা শৈব অবধূত পরম্পরার বর্তমান মহামান্য আচার্য শ্রী নন্দীনাথ শৈবাচার্যের অনুপ্রেরণায় ও সহযোগীতায় International Shiva Shakti Gyan Tirtha — ISSGT শৈব সংগঠনের পক্ষ থেকে মহামান্য শ্রীসোমনাথ শৈব জী দ্বারা লিখিত আকারে সমগ্র বাংলাতে এই সর্ব প্রথমবার প্রকাশ করা হল “সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের খণ্ডন” সমন্বিত — মিথ্যার্থ প্রকাশ
অথ মিথ্যার্থ প্রকাশ — সত্যার্থ প্রকাশের অন্তর্গত দ্বিতীয় সমুল্লাস ও তার খণ্ডন
॥ ॐ গণেশায় নমঃ । ॐ শ্রীগুরুভ্যো নমঃ । ॐ নমঃ শিবায় ॥
সত্যার্থ প্রকাশের অন্তর্গত দ্বিতীয় সমুল্লাসের খণ্ডন
"শিক্ষা প্রকরণম্"
🟪 (১) দয়ানন্দ সরস্বতীর প্রথম দাবী (১) 🟪
সত্যার্থ প্রকাশ দ্বিতীয় সমুল্লাস পৃষ্ঠা ১৭
যে মাতা গর্ভাধান হইতে সন্তানদের সম্পূর্ণ বিদ্যালাভ না হওয়া পর্যন্ত তাহাকে সুশীলতার শিক্ষা দিয়া থাকেন, তিনি ধন্য।
❌ দয়ানন্দ সরস্বতীর ১ম দাবীর খণ্ডন (ISSGT) —
স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী জীর এই লেখা পড়ে সহজেই অনুমান করা যায় যে, ওনার মানসিক নিয়ন্ত্রণ বিক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছিল, যার জন্য লিখেছেন, "গর্ভাধান হইতে সন্তানদের সম্পূর্ণ বিদ্যালাভ না হওয়া পর্যন্ত তাহাকে সুশীলতার শিক্ষা প্রদান করতে।" এইসব পাঠার দুধ ও ঘী সেবনের পরিনাম, গর্ভধারনের সময় সুশীলতার উপদেশ কোন প্রকারে প্রদান করা সম্ভব। (দয়ানন্দ নিজের যজুর্বেদভাষ্যের অধ্যায় ২৮/৩২ লিখেছেন, "হোতা যজ্ঞত্সুরেতসং ত্বষ্টারং পুষ্টিবর্দ্ধনং রূপাণি বিভ্রতং পৃথক পুষ্টিমিন্দ্রং বযোধসম্ । দ্বিপদং ছন্দঽইন্দ্রিযমুজ্ঞাণং গাং ন বযো দধদ্বতাজ্যস্য হোতর্যজ ।। ৩২ ।।"
ভাবার্থঃ- ষাড় যেরকম গরুকে গর্ভবতী করে পশুদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে, সেরকম গৃহস্থ লোক স্ত্রীদের গর্ভবতী করে প্রজা বর্ধন করুক।)
হয়তো এর মাধ্যমে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী জী বলতে চাইছেন যে, আর্যসমাজীরা যেন তাদের স্ত্রীদেরও ওইভাবেই গর্ভবতী করে দেয়, যেরকম ভাবে ষাড় গরুকে গর্ভবতী করে। ধন্য! স্বামীজী আপনার বুদ্ধি এবং আপনার শিক্ষা এবং ধন্য! ওই আর্যসমাজীরা, যারা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর জীর উপদেশ মেনে চলেন।
🟪 (২) দয়ানন্দ সরস্বতীর দ্বিতীয় দাবী (২) 🟪
সত্যার্থ প্রকাশ দ্বিতীয় সমুল্লাস পৃষ্ঠা ১৭
মাতা এবং পিতার পক্ষে গর্ভাধানের পূর্বে, তৎকালে এবং তদনন্তর মাদক দ্রব্য, মদ্য, দুর্গন্ধযুক্ত, রুক্ষ ও বুদ্ধিনাশক দ্রব্য পরিত্যাগ করিয়া, যাহাতে শান্তি, আরোগ্য, বল, বুদ্ধি, পরাক্রম এবং সুশীলতার দ্বারা প্রাপ্ত হওয়া যায়।
❌ দয়ানন্দ সরস্বতীর ২য় দাবীর খণ্ডন (ISSGT) — শিক্ষা তো খুবই সুন্দর কিন্তু আফসোসের কথা দয়ানন্দের চেলারা তার এই কথা অনুসরণ করতে পারে নি, কারণ যখন উপদেষ্টা স্বয়ং এই অবগুনগুলো ত্যাগ করতে অসমর্থ এবং সমগ্র জীবন ধরে বুদ্ধিনাশক পদার্থের সেবন করে গেলেন,(যেমন স্বামীজী নিজের আত্মচরিতে স্বয়ং উল্লেখ করেছেন যে, তিনি ভাং ও ধূম্রপানের অত তীব্র নেশায় লিপ্ত ছিলেন যে, প্রায়ই অচেতন অবস্থায় পরে থাকতেন যে, কখনো কখনো এক-দুদিন পর হুশ ফিরত, আবার ওই আত্মচরিতে উল্লেখ করেছিলেন যে, তিনি মাংস ভক্ষণকারীদের গৃহে আহার ভোজন করতেন ।) এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো, যখন স্বয়ং উপদেষ্টা এই সমস্ত অবগুন ত্যাগ করতে অপারগ, তাহলে তার চেলারা এই উপদেশ কোন প্রকারে পালন করবে। বুদ্ধিমান লোক সহজেই তা অনুমান করতে সক্ষম।
🟪 (৩) দয়ানন্দ সরস্বতীর তৃতীয় দাবী (৩) 🟪
সত্যার্থ প্রকাশ দ্বিতীয় সমুল্লাস পৃষ্ঠা ১৭
"ঋতু গমনের বিধি অনুসারে, রজোদর্শনের পঞ্চম দিবস হইতে ষোড়শ পর্যন্ত ঋতুদানের সময়। এই (রজোদর্শনের) দিনগুলির মধ্যে প্রথম চারিদিন পরিত্যাজ্য। অবশিষ্ট দ্বাদশ দিনের মধ্যে একাদশ ও ত্রয়োদশ রাত্রি পরিত্যাগ করিয়া অবশিষ্ট দশ রাত্রিতে গর্ভাধান প্রশস্ত।"
আবার পরবর্তী ২০তম পৃষ্ঠায় প্রশ্ন সম্বন্ধে লিখেছেন ঃ-
প্রশ্নঃ- তবে কি জ্যোতিষশাস্ত্র মিথ্যা?
উওরঃ- না, তাহাতে যে গণিত, বীজ গণিত ও রেখা গণিতাদি বিদ্যা আছে তাহা সব সত্য কিন্তু ফলের লীলা প্রাপ্তির খেলা সমস্ত মিথ্যা।
❌ দয়ানন্দ সরস্বতীর ৩য় দাবীর খণ্ডন (ISSGT) —
কেন ? আপনার এই লেখা তো মনুস্মৃতি হতে উদ্ধৃত-
ঋতুঃ স্বাভাবিকঃ স্ত্রীণাং রাত্রযঃ ষোডশ স্মৃতাঃ ।
চতুর্ভিরিতরৈঃ সার্ধমহোভিঃ সদ্ধিগার্হিতৈঃ ।। ৪৬
তাসামাদ্যাশ্চতস্রস্তু নিন্দিতৈকাদশী চ যা ।
ত্রযোদশী চ শেষাস্তু প্রশস্তা দশরাত্রযঃ ।। ৪৭
যুগ্মাসু পুত্রা জাযন্তে স্ত্রিযোঽযুগ্মাসু রাত্রিষু ।
তস্মাদ্যুগ্মাসু পুত্রার্থী সংবিশেদাতর্বে স্ত্রিযম্ ।। ৪৮
(মনুসংহিতা/৩অধ্যায়/৪৬-৪৮নং শ্লোক)
দয়ানন্দ সরস্বতী জী আপনিই বলুন এই শ্লোকগুলি জ্যোতিষ বিদ্যার সঙ্গে কি কোনো সম্বন্ধ রাখে না ?
আর জ্যোতিষ কাকে বলে ? কারণ এখানে ত্যাজ রাত্রির কথা বলা হয়েছে তাই বলে জ্যোতিষ মিথ্যা নাকি?
কারণ, ত্যাজ্য রাত্রির সময়ে গর্ভধান করলে আপনার মতো সন্তান উৎপন্ন হবে, তাই বারণ করা হয়েছে। এই কথা মনু ঋষি উল্লেখ করেছেন, যে ত্যাজ্য রাত্রিতে দুষ্ট এবং প্রশস্ত রাত্রিতে শ্রেষ্ঠ সন্তান উৎপন্ন হবে, এটাই তো ফলস্বরূপ। ধন্য! আপনার বুদ্ধি, আপনি ফল মানেন না আবার গুপ্ত ভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে লিখেও দিয়েছেন, এই পুস্তকের প্রারম্ভ থেকেই আপনার নাটক চালু, প্রথমে নিজেই লিখলেন আবার শেষে নিজেই নিজের বাক্যকে খণ্ডন করছেন, এই লক্ষণ শুধুমাত্র স্ববিরোধী, মহাধূর্ত, মূর্খ ও গর্দভদের মধ্যে লক্ষ করা যায়, কোন সিদ্ধ পুরুষের মধ্যে তা লক্ষ্য করা যায় না।
🟪 (৪) দয়ানন্দ সরস্বতীর চতুর্থ দাবী (৪) 🟪
সত্যার্থ প্রকাশ দ্বিতীয় সমুল্লাস পৃষ্ঠা ১৮
"কারণ প্রসূতা স্ত্রীর শরীরের অংশ হতে বালকের শরীর উৎপন্ন হয়, এই কারণে স্ত্রী প্রসবের সময় দুর্বল হয়ে যায় এবং ওই সময় তার দুগ্ধে বল কম থাকে, এই জন্য প্রসূতা স্ত্রীর দুধ বাচ্চাদের সেবন করাবেন না দুগ্ধ উৎপাদন বন্ধ করার জন্য স্তন ছিদ্রে ওই ঔষধীর প্রলেপ লেপন করবে, যার ফলে দুধ বের হবে না, এরকম করার ফলে দ্বিতীয় মাস হতে ওই স্ত্রী যুবতী হয়ে যাবে।"
❌ দয়ানন্দ সরস্বতীর ৪র্থ দাবীর খণ্ডন (ISSGT) —
দেখুন এই গর্দভ দয়ানন্দ লীলা খেলা, যদি সম্ভব হয় তবে এর চেলারা প্রকৃতির নিয়ম ও বদলে দেবে। পাঠকগণ! লক্ষ্য করুন স্বামীজী বলেছিলেন "স্ত্রী প্রসব সময় দুর্বল হয়ে যায়, ওই সময় তার দুধেও বল কমে যায়, এইকারণে প্রসূতি স্ত্রীর দুগ্ধ পান করাতে নিষেধ করেন। দুগ্ধ ধারা রদ করার জন্য স্তনের ছিদ্রে ওই ঔষধীর প্রলেপ ব্যবহার করতে, যাতে দুগ্ধ দ্রবিত না হয়।"
নারীরা দুগ্ধ সেবন করানোর থেকে কেন দূরে থাকবে.. তার কারণ স্বরূপ দয়ানন্দ সরস্বতী জী নীচে লিখেছেন, 'এরকম করলে দ্বিতীয় মাস হতে পুনরায় যুবতী হয়ে যাবে।'
বাহ রে! ঠগ দয়ানন্দ সরস্বতী জী, স্ত্রীদের যৌবন নিয়ে আপনার ভীষণ চিন্তা রয়েছে , স্ত্রীর দেহ গঠন তথা যৌবন যাতে খারাপ না হয়ে যায় সেই দিকে আপনার ভীষণ চিন্তা হচ্ছে,
কিন্তু নবজাতক শিশুর জন্য তো আপনার কোনো চিন্তা নেই ।
আপনি লিখেছেন, "প্রসূতী স্ত্রীর দুগ্ধে বল কম থাকে, এইজন্য দুগ্ধ পানে নিষেধ" — এটাতো অত্যন্ত আশ্চর্যের কথা, জীবনে প্রথমবার এই রকম কথা আপনার কাছে শুনলাম, যে কথা কেউ কখনো বলে নি এবং শুনতে পায় নি, সেই কথা আপনি আপনার এই গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, এর দ্বারাই আপনার বুদ্ধির কতটা বিস্তার রয়েছে তা বোঝা যায়, সত্যি, আপনার মধ্যে বুদ্ধির প্রচণ্ড অভাব রয়েছে। প্রসূতী স্ত্রীর দুগ্ধ নবজাতক বাচ্চার জন্য অমৃত তুল্য। নানা প্রকারের রোগ থেকে রক্ষা করে, প্রকৃতি এই অমৃত নির্মাণ করে, আর আপনি বলেছেন প্রসূতা স্ত্রীর দুধে বল নেই, এরকম মন্তব্য করে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী জী নিজের জন্মদাত্রী মা ও তার মাতৃ দুগ্ধের অপমান করেছেন। আপনি নিজেই বলুন যদি প্রসূতা স্ত্রীর দুধ আবশ্যক না হতো, তবে প্রকৃতি স্বতঃ মাতৃ দেহে এই অমৃত নির্মাণ কেন করতো ?
এমনকী চিকিৎসা বিজ্ঞানেও এর বিশেষতা অনুসারে বলা হয়েছে-
১. জন্মের আধা ঘন্টার মধ্যে প্রসূতা স্ত্রী তার সন্তানকে নিজের স্তন্য পান করান অত্যন্ত আবশ্যক, মায়ের প্রথম দুগ্ধ গাঢ় এবং হলদে বর্ণের হয়, যার মধ্যে ক্ষীরের মতো অংশ থাকে যা নবজাত শিশু প্রথম টীকা হিসাবে নানান সংক্রামক রোগ থেকে প্রতিরক্ষা করতে সক্ষম। প্রসূতা স্ত্রীর দুগ্ধ সন্তানের জন্য অমৃত তুল্য। প্রকৃতি নিজেই এই অমৃত নির্মাণ করে, যদি এই স্তন্য ধারাকে অবরুদ্ধ করা হয় , তবে অত্যাধিক পীড়া হয় এবং পরবর্তীতে স্তনে গাঠ পড়ে যায় এবং স্তন ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। ইহাই ডাক্তার তথা বৈজ্ঞানিকদের মত।
২.শুধুমাত্র স্তন্যপানঃ- প্রথম ছয়মাস পর্যন্ত মায়ের স্তন্যপান ব্যাতিরেক অন্য কিছু আহার এবং পান একদম নিষেধ। গ্লুকোজ, অন্য কোন প্রকার আহার করান সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক। ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে ঔষধ বা ভিটামিন দেওয়া যেতে পারে।
৩. গ্রীষ্মকালেও মায়ের দুগ্ধ ব্যতীত জল পানের ও বিধান নেই। কারণ জল পান করালে শিশুদের মধ্যে দুগ্ধ পানের ইচ্ছে কমে যায়। এইজন্য ছয়মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র স্তন্য পান করানো একান্ত আবশ্যক। কারণ এর ফলে বাচ্চার মস্তিকের সম্পূর্ণ বিকাশ হয় এবং বাচ্চার বুদ্ধি ও স্মরণ শক্তির পরিস্ফুটন হয়।
এখন আপনি বলুন প্রসূতা স্ত্রীর দুগ্ধে এত বিশেষতা থাকা সত্ত্বে ও আপনি বলছেন যে, "প্রসূতা স্ত্রীর দুগ্ধে বল নেই" সত্যিই আপনার মতিভ্রম হয়েছে দয়ানন্দ সরস্বতী জী। নবজাত শিশুর জন্য প্রসূতা স্ত্রীর দুগ্ধ কতটা আবশ্যক তা একমাত্র তারাই বলতে পারবে যারা জন্মের পর মায়ের দুগ্ধ সেবন করেছে, আর যার মায়েরা নিজের দেহের গঠন খারাপ হয়ে যাবার ভয়ের জন্য কৌটোর দুধ সেবন করিয়েছিলেন, সে তো তাহলে আপনার মতোই ব্যর্থ জন্ম গ্রহন করেছে, নবজাত শিশু মাতৃস্তন্যপান করবে না তো কি আপনার মতো (বকরা) পুরুষ ছাগলের দুধ পান করবে ?🤣😂😆
আর আপনি ওই ঔষধীর নাম ও বললেন না যার প্রলেপ দিলে স্তন হতে দুগ্ধের ধারা স্রোত স্তব্ধ হয়ে যাবে। যদি আপনি অনুগ্রহ করে বলে দিতেন তবে আপনার অন্ধ অনুসারী দয়ানন্দী আর্যসমাজীদের স্ত্রীদের জন্য খুবই খুশীর খবর হতো।
যদি দুধের স্রোত বন্ধ করা হয়, তবে স্তনে পীড়া উৎপন্ন হয় এবং অত্যাধিক দুগ্ধ যাতে না জমে যায়, তার জন্য ডাক্তারেরা পরামর্শ দেন দুগ্ধ ক্ষরণ করানোর জন্য, এর সাথে দয়ানন্দের দুধ স্রোত বন্ধ করার কোন তাৎপর্য নেই।
🟪 (৫) দয়ানন্দ সরস্বতীর পঞ্চম দাবী (৫) 🟪
সত্যার্থ প্রকাশ দ্বিতীয় সমুল্লাস পৃষ্ঠা ১৮
মাতা সন্তানদিগকে সর্বদা উত্তম শিক্ষা দিবে। তাহারা যেন সভ্য হয় এবং কোন অঙ্গের দ্বারা কুচেষ্টা করিতে না পারে। উপেস্থেন্দ্রিয়ের স্পর্শ ও মর্দন হেতু বীর্য্যের ক্ষণতা অ নপুংসকতা জন্মে এবং হস্তে দুর্গন্ধ হয়, অতএব উহা অকারণে স্পর্শ করিবে না।
❌ দয়ানন্দ সরস্বতীর ৫ম দাবীর খণ্ডন (ISSGT) — - বাহরে বাহ! কি সুন্দর বর্ণনা। আপনার এরকম অশ্লীল বক্তব্য লিখতে একবিন্দু লজ্জা করলো না ?
হয় আপনি অন্ধ জন্ম নিতেন না হয় মাতৃগর্ভে নষ্ট হয়ে যেতেন, না হলে জন্মের সময় মারা যেতেন, তাহলে আর্যসমাজী স্ত্রীরা এই মহাপাপ হতে রক্ষা পেত। একবার চিন্তা করুন, মাতা যদি এরকম শিক্ষা প্রদান করেন তাহলে স্ত্রীলোকের আভূষণ লজ্জা — তা কোথায় রাখবে ?
কারণ দয়ানন্দ সরস্বতী এখানে লিখেছেন " মাতা এই প্রকার শিক্ষা প্রদান করবে" এই ধূর্ত ভেবেছিল কতদূর লোককে প্রচার করে বেড়াবে, আর সবার তো দয়ানন্দের মতোন যৌন উপন্যাস পড়ার অভ্যাস নেই, এইজন্য স্ত্রীদের উপর তা নিক্ষেপ করলেন।
হতে পারে মূলশঙ্করের মা মূলশঙ্করকে এরকম কুচেষ্টা করে হাতেনাতে ধরে ফেলেছিল তারপর মূলশঙ্করকে এইরকম শিক্ষা প্রদান করেছিল, "উপেস্থেন্দ্রিয়ের স্পর্শ ও মর্দন হেতু বীর্য্যের ক্ষণতা অ নপুংসকতা জন্মে এবং হস্তে দুর্গন্ধ হয়, অতএব উহা অকারণে স্পর্শ করিবে না।" এইজন্য স্বামীদয়ানন্দ সরস্বতী জী তার মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষা পেয়েই হয়তো সন্তানদের মাতাদের শেখানোর কথা উল্লেখ করেছেন। আর স্বামী দয়ানন্দ এমন বিশ্বাসের সাথে এটা লিখেছেন যার দ্বারা এটা বোঝা যায় যে তিনি কি প্রকারে কতবার এই কুকর্মের অভ্যাস করতেন। দয়ানন্দের যে বুদ্ধি, তিনি মহাপাপকেও শিক্ষার অং করে দিয়েছেন, কম করে লেখার পূর্বে ক্ষণিক বিচার তো করে নিতে পারতেন, মাতাদের দ্বারা এইরকম শিক্ষার কথা লিখে কি রকম মহাপাপ ও অধর্ম করে বসলেন।
🟪 (৬) দয়ানন্দ সরস্বতীর ষষ্ঠ দাবী (৬) 🟪
সত্যার্থ প্রকাশ দ্বিতীয় সমুল্লাস পৃষ্ঠা ১৯
"গুরোঃ প্রেতস্য শিষ্যস্তু পিতৃমেধং সমাচরন্ ।
প্রেতহারৈঃ সমং তথ দশরাত্রেণ শুদ্ধ্যতি ।।"
(তথ্যসূত্র - মনুসংহিতা/অধ্যায় ৫/শ্লোক ৬৫)
অর্থঃ- যখন গুরুর মৃত্যু হয়, তখন মৃতদেহের নাম হয় 'প্রেত', মৃত দেহের দাহকারী শিষ্য প্রেতহার অর্থাৎ শব-বাহীদের সহিত দশম দিবসে শুদ্ধ হয়।
দাহান্তে সেই মৃতদেহের নাম হল 'ভূত' অর্থাৎ তিনি অমুক ব্যক্তি ছিলেন --- এইরূপ বলা হয়। যাহা কিছু উৎপন্ন হইয়া বর্তমান কালে থাকে না তাহা ভূতস্থ হয় বলিয়া তাহার নাম 'ভূত'। ব্রহ্মা হইতে আজ পর্যন্ত বিদ্বান্ব্যাক্তিদের এইরূপ সিদ্ধান্ত। কিন্তু যাহার মধ্যে শঙ্কা, কুসঙ্গ প্রভৃতি কুসংস্কার থাকে তাহার ভয় ও শঙ্কা-রূপী ভূত, প্রেত, শাকিনী, ডাকিনী নানাবিধ ভ্রম-জাল দুঃখজনক হয়।
অজ্ঞানী লোকেরা বৈদ্যক শাস্ত্র বা পদার্থ বিদ্যা পড়াশুনা না করিয়া, বিচারশুন্য হইয়া, সন্নিপাত জ্বরাদি শরীরিক এবং উন্মাদাদি মানসিক ব্যাধিকে ভূত-প্রেতাদি নাম দিয়া থাকে।
কিন্তু সে সময় কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তি তাহাকে উপহার স্বরূপ পাঁচ জুতো, লাঠি ও কিল, ঘুষি মারিলে তাহার হনুমান, দেবী ভৈরবী তখনই প্রসন্ন হইয়া পলায়ণ করিবে।
❌ দয়ানন্দ সরস্বতীর ৬ম দাবীর খণ্ডন (ISSGT) — স্বামীজী যখন কোনো কথা বলেন তখন কোনো না কোন শ্লোক লিখে তার অর্থের অনর্থ করে ফেলেন, দয়ানন্দ সরস্বতী জী এই মনুসংহিতার এই শ্লোকের সত্যনাশ করে ছেড়েছেন “পিতৃমেধং সমাচরণ্” এই পদের অর্থ তিনি লেখেননি, এখন এটা স্বামীজীর দ্বিচারিতা নয় তো আর কি ? এই শ্লোকের প্রকৃত অর্থ এই রকম হবে —
গুরোঃ প্রেতস্য শিষ্যস্তু পিতৃমেধং সমাচরন্ ।
প্রেতহারৈঃ সমং তত্র দশরাত্রেণ শুদ্ধ্যতি ।। মনু (৫/৬৫)
অর্থ — গুরুর স্বর্গবাস হলে শিষ্য গুরুর অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া পিন্ডাদি বিধান করে শবকে কাধ দেওয়া ব্যক্তির সাথে দশম দিনে শুদ্ধ হতে হয়, এবং প্রেতযোনি এক পৃথক অধ্যায় যা জীব মৃত্যুর পর তার কৃত কর্মানুসারে প্রাপ্ত করে।
যার প্রমাণ বেদ শাস্ত্রে বর্ণিত রয়েছে, দেখুন —
যমো নো গাতুং প্রথমো বিবেদ নৈষা গব্যূতিরপভর্ববা উ ।
যত্রা নঃ পূর্বে পিতরঃ পরেতা এনা জজ্ঞনাঃ পথ্যা অনু স্বাঃ ।।১।। (অথর্ব বেদ/১৮/১/৫/১০)
প্রেহি প্রেহি পাথিভিঃ পূর্যাণৈর্যেনা তে পূর্বে পিতরঃ পরেতাঃ ।
উভা রাজানৌ স্বধযা মদন্তৌ যমং পশ্যসি বরুণ্নগ চ দেবম্ ।। ৪ ।। (অথর্ব বেদ/১৮/১/৬/৪)
এবং দয়ানন্দের বুদ্ধি দেখুন, তিনি লিখেছেন--- "যাহা কিছু উৎপন্ন হইয়া বর্তমান কালে থাকে না তাহা ভূতস্থ হয় বলিয়া তাহার নাম 'ভূত'।" স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী জীর এই লেখা সময়ের বোধক এছাড়া এখানে এর কোন অর্থ নেই, আর দয়ানন্দের কথা যদি মানুষের উপর ব্যবহার করা হয়, তবে দয়ানন্দ সরস্বতীও মরে ভূত সংজ্ঞক হয়ে গেছেন, তাহলে এই শিক্ষা দয়ানন্দী আর্যসমাজীরা গ্রহণ করে তাদের গুরু দয়ানন্দের আজ্ঞা পালন হেতু দয়ানন্দের নামের পেছনে ভূত ব্যবহার করুক তাহলেই গাঁজা সেবনকারী দয়ানন্দ সরস্বতী জীর অধিক শোভা বৃদ্ধি পাবে।
দয়ানন্দ সরস্বতী জী লিখেছেন, "ব্রহ্মা হইতে আজ পর্যন্ত বিদ্বান্ব্যাক্তিদের এইরূপ সিদ্ধান্ত"। — যখন দয়ানন্দ সরস্বতী জী নিজের মিথ্যা বক্তব্য সিদ্ধ করার জন্য ব্রহ্মাদিদের নামের সাহায্য নিলেন। বিনা প্রমাণে নিজের বক্তব্য ব্রহ্মা আদির সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করে দিলেন।
ওরে কতবড় ধূর্ত! দয়ানন্দ সরস্বতী জী আপনি কোনো প্রমাণ তো লিখে দিতে পারতেন। কিন্তু আপনি কোন প্রমাণই উল্লেখ করেন নি।
আসলে এরকম কোথাও ব্রহ্মাদির সম্পর্কে কিছু লেখা নেই, হে দয়ানন্দ সরস্বতী জী ! এটা আপনার মস্তিষ্ক প্রসূত বিকৃত ভাবনা, এটা কি আপনি আপনার পিতার ভয়ে লিখেছেন ? হয়তো আপনি ভেবেছেন, যদি আপনার পিতা এসে আপনাকে ধরে নিয়ে যায়। নিজের নাম কেন লেখেন নি, আপনি কি এরকম মনে করেন, আপনি ভূত-প্রেতকে মানেন না, আপনি দ্বিচারিক ব্যক্তি । দেখুন, মনু সংহিতা, সুশ্রুত সংহিতা, বেদ গ্রন্থ আপনাকে কি প্রমাণ দেয়---
যক্ষরক্ষঃ পিশাচাংশ্চ গন্ধর্বাপ্সরসোঽসুরান্ ।
নাগান্ সর্পান্ সুপর্ণাংশ্চ পিতৃণাংশ্চপৃথগ্গণম্ ।। ----(মনুস্মৃতি ১/৩৭)
অর্থ — এরপর পরমাত্মা যক্ষ, রাক্ষস, পিশাচ, গন্ধর্ব, অপ্সরা, অসুর, নাগ, সর্প এবং পিতৃগনের সৃষ্টি করেন।
যে গন্ধর্বা অপ্সরসো যে চারাযাঃ কিমীদিনঃ ।
পিশাচান্ত্সর্বা রক্ষাংসি তান্ অস্মাদ্ভূমে যাবয ।। ---(অর্থববেদ ১২/১/৫০)
অর্থ — হে ভূমে! যে গন্ধর্ব, অপ্সরা, মাংসাশী পিশাচ এবং রাক্ষসী প্রবৃত্তির আততায়ী তাদের আমার থেকে দূর করো।
যে দস্যবঃ পিতৃষু প্রবিষ্টা জ্ঞাতিমুখা অহুতাদশ্চরন্তি ।
পরাপুরো নিপুরো যে ভরন্তগ্রিষ্টান্ অস্মাত্প্র ধমতি যজ্ঞাত্ ।। -----(অথর্ব বেদ ১৮/২/২৮)
অর্থ — যে দুষ্ট প্রেতাত্মা জ্ঞানবান পিতরের সমান আকৃতি ধারণ করে পিতা, পিতামহ আদি পিতরো হয়ে বসে আছে, এবং আহূতি প্রদান করলে ছল করে হবি ভক্ষণ করে তথা যে সমস্ত পিন্ডদানকারী পুত্র, পৌত্রকে হিংস করে তোলে, হে অগ্নিদেব! আপনি সেই ছদ্মবেশীধারী অসুরদেরকে বহিস্কার করুন।
যে রূপাদি প্রতিমুঞ্চমানা ঽ অসুরাঃ সন্তঃ স্বধযা চরন্তি ।
পরাপুরো নিপুরো যে ভরন্ত্য অগ্নিষ্টাঁন্ লোকান্ প্র পুদাত্য অস্মাত্ ।। ---(যজুর্বেদ ২/৩০)
অর্থ — হে অগ্নিদেব! যে সমস্ত আসুরী শক্তিরা পিতরের সমর্পিত অন্নের সেবন করার উদ্দ্যেশে অনেক রূপ ধারণ করে সূক্ষ বা স্থুলরূপে আগমণ করে নীচ কর্ম সম্পাদিত করে, তাদের এই পবিত্র স্থান হতে দূর করুন।
যে ঽমাবাস্যাং রাত্রিমুদস্থর্বাজঽমত্ত্রিণঃ ।
অগ্নিস্তুরীযো যাতুহা সো অস্মভ্যযধি ব্রবত্ ।। ---(অথর্ব বেদ ১/১৬/১)
অর্থ — অমাবস্যার আধার রাত্রিতে মনুষ্যদের উপর ঘাতকারী তথা তাদের ক্ষতিসাধনকারী যে সমস্ত অসুর বিচরণ করে। সেই সমস্ত অসুরদের সম্বন্ধে অসুর বিনাশক চতুর্থ অগ্নিদেব আমাকে অভয় প্রদান করুন ও রক্ষা করুন।
অপাং মা পানে যতমো দদম্ভ ক্রব্যাদ্যাতূনাং শযতে শযানম্ ।
তদাত্মনা প্রজযা পিশাচা বি যাতযন্তামগদোঽযমস্তু ।। ৮
দিবা মা নক্তং যতমো দদম্ভ ক্রব্যাদ্যাতূনাং শযতে শযানম্ ।
তদাত্মনা প্রজযা পিশাচা বি যাতযন্তামগদোঽযমস্তু ।। ৯
ক্রব্যাদমগ্রে রুধিরং পিশাচং মনোহনং জহি জাতবেদঃ ।
তমিন্দ্রো বাজী বজ্রেন হন্তু ছিনত্তু সোমঃ শিরো অস্য ধৃষ্ণুঃ ।। ১০ ---(অথর্ববেদ ৫/২৯/৮-১০)
অর্থ — যে পিশাচ জলপান, যাত্রা ও শয়নের সময় আমাদের পীড়িত করে, তারা নিজেদের প্রজা সহত দূর হয়ে যাক এবং সেই রোগী নিরোগী হোক।
যে পিশাচ রাতে অথবা দিনে বিছানায় শয়নকালীন আমাদের পীড়িত করে, তারা নিজেদের প্রজা সহিত দূর হয়ে যাও এবং রোগী নিরোগী হয়ে যাক।। ২ ।।
হে অগ্নে! আপনি এই মাংসভক্ষক, রক্তভক্ষক, এবং মনকে পীড়া প্রদানকারী পিশাচকে নষ্ট করুন, শক্তিশালী ইন্দ্র তাদের বজ্র দ্বারা প্রহার করুক, এবং সোমদেব তাদের মস্তক কর্তন করুক।
উপরোক্ত কথাগুলোরর দ্বারা প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে যে, রাক্ষস, পিশাচাদি বিঘ্নদায়ক সবাই এই বেদ মন্ত্রের প্রভাবে দূর হয়ে যায়,
এবার দেখা যাক সুশ্রুত সংহিতা কি বলছে-
যদ্যথা শল্যং শালাক্যং কাযচিকিৎসা ভূতাবিদ্যা কৈমারভৃত্যম্
অগদনন্ত্রং রসাযনতন্ত্রং বাজীকরণতন্ত্রমিতি ।। --(সুশ্রুত সংহিতা/প্রথম অধ্যায়/ সূত্রস্থান-১)
অর্থ — সুশ্রুতের অনসারে আয়ুর্বেদের আথ অং আছে যথা- শল্য, শালাশ্য, কায়চিকিৎসা, ভূতবিদ্যা, কৌমারভূত্য, অগদনতন্ত্র, রসায়নতন্ত্র এবং বাজীকরণতন্ত্র।
মহর্ষি সুশ্রুত ভূতবিদ্যাকে চতুর্থ স্তাহ্নে লিখেছেন -
ভূতবিদ্যা নাম দেবাসুরগন্ধ্ররবযক্ষরক্ষঃ
পিতৃপিশাচনাগগ্রহাদ্যুপসৃষ্টচেতসাং
শান্তিকর্ম্বলিহরণাদিগ্রহোপশমনাথর্ম্ ।। --(সুশ্রুতসংহিতা -- প্রথমোঽধ্যায়ঃ সূত্রস্থান- ১১)
অর্থ — মহর্ষি সুশ্রুত ভূত বিদ্যার সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে লিখেছেন যে যে বিদ্যা দ্বারা দেব, দৈত্য, গন্ধর্ব, যক্ষ, রাক্ষস, পিতৃ, পশাচ, নাগ, গ্রহ আদির দ্বারা পীড়িত ব্যাক্তির শান্তিকর্ম, বলিদান আদি কর্ম ক্রিয়া দ্বারা উপরিউক্ত দেবাদির উপশম হয়, তাকে ভূতবিদ্যা বলা হয়।
এখানেও সেই যোনির বর্ণন করা হয়েছে যাদেরকে বলিদানের মাধমে মনুষ্যদের উপর হতে বিঘ্ন দূরীভূত হয়ে যায়।
এখন পোপ দয়ানন্দ কি বলবেন? বেদ এবং বৈদিক ঋষিদের এই কথনকে মিথ্যা বলবেন?
এখন আপনি সত্যার্থ প্রকাশের পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৯ এ লিখেছেন যে, অজ্ঞানী লোকেরা বৈদ্যক শাস্ত্র বা পদার্থ বিদ্যা পড়াশুনা না করিয়া, বিচারশুন্য হইয়া, সন্নিপাত জ্বরাদি শরীরিক এবং উন্মাদাদি মানসিক ব্যাধিকে ভূত-প্রেতাদি নাম দিয়া থাকে।
কিন্তু সে সময় কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তি তাহাকে উপহার স্বরূপ পাঁচ জুতো, লাঠি ও কিল, ঘুষি মারিলে তাহার হনুমান, দেবী ভৈরবী তখনই প্রসন্ন হইয়া পলায়ণ করিবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন