পোস্টগুলি

মে, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শরভ ব্রত পূজা বিধি (সরল)

ছবি
  নমঃ শিবায় ভূমিকা — পরমেশ্বর শিবের সবচেয়ে শক্তিশালী ও মহা ভয়ংকর অবতারের নাম হলো শরভ, সকলের ঈশ্বর হওয়ায় তাকে শরভেশ্বর বলা হয় ।  বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা কে শরভ পূর্ণিমা বলে। কারণ, এই তিথিতে নৃসিংহ দেব কে দমন করে তার অহংকার কে চূর্ণবিচূর্ণ করবার জন্য ই‌ পরমেশ্বর শিব মহাশক্তিশালী শরভ অবতার প্রকাশ করেছিলেন।  যে কোনো শিব সম্পর্কিত তিথি, বার -এ প্রভু শিবের এই শরভরূপের পূজা কথা যায় । যেকোনো পূর্ণিমা তিথি হল শরভ পূজার বিশেষ তিথি। তার পূজা করলে মানুষের সব রকম বিপদ আপদ দূর হয়ে যায়, সমস্ত রকম উপদ্রব, ভূত প্রেত প্রভৃতি অপদেবতারা পালিয়ে যায়, সমস্ত রকম যাদু টোনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, নবগ্রহের দোষ কেটে যায়, শরভেশ্বর শিবের কৃপায় সাধক ধনসম্পদ ভোগ মোক্ষ সমস্ত কিছুই লাভ করেন। শরভেশ্বরের পূজা করলে উপাসক ব্যক্তি নির্ভয়ী হয়ে যান, সমস্ত দেবতারা শরভেশ্বরের উপাসককে নমস্কার করে নত মস্তকে। তবে মনে রাখা উচিত যিনি শরভেশ্বরের পূজা করেন, বা যিনি শরভেশ্বরের সাধক, তার কখনো নৃসিংহ মন্দিরে যাওয়া উচিত নয়, কারণ, শরভেশ্বরের সাধককে উপস্থিত হতে দেখে নৃসিংহদেব স্বয়ং‌ অত্যন্ত ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন, এমন‌ই এক

পরমশৈব শিবভক্ত মহর্ষি কণাদ হলেন — অনু-পরমাণু বিজ্ঞান প্রকাশের জনক

ছবি
  🔶🔶আজ আমরা জানতে চলেছি একজন পরমশৈব শিব ভক্তের সম্পর্কে যিনি ছিলেন প্রাচীন কালের অনু-পরমাণুর বিজ্ঞানের জনক🔶🔶— 🔶৩০০০ হাজার বছর আগে জন্ম নিয়েছিলো অনু-পরমাণু বিজ্ঞানের জনক "মহর্ষি কণাদ"। তিনি "বৈশেষিক দর্শন" শাস্ত্রের জনক।  🔶আগুনের উপরে উঠা, চৌম্বকীয় গতিবিধি, বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত, ঘাসের বর্ধন ইত্যাদি সম্পর্কে তার "বৈশেষিক দর্শন" শাস্ত্রে প্রাকৃতিক ব্যাখ্যা দেন। 🔶মহর্ষি কণাদ এর আরেকটি নাম হলো— "মহর্ষি উলূক", যিনি কাশ্যপ বংশীয় ছিলেন। যিনি পরমেশ্বর শিবের পরমভক্ত ছিলেন, এবং মহাদেবের আরাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেন। সেই সিদ্ধির ফলে এই অপূর্ব শাস্ত্র প্রণয়ন করেন বিদায় দর্শন শাস্ত্রে " কণাদ" নামে প্রসিদ্ধ হন। ➡️ মহাভারতে মহর্ষি কণাদ (উলুক ঋষি)  এর নাম পাওয়া যায়— 👉উলূকঃ পরমো বিপ্রো মার্কণ্ডেয় মহামুনিঃ।।১১ [মহাভারত, শান্তিপর্ব্ব, অধ্যায় ৪৬] 🔶মহর্ষি কণাদ ছিলেন একজন শৈবাচার্য। তিনি শিবাবতার সোমশর্ম্মার শিষ্য ছিলেন। অক্ষপাদ প্রথম ও উলূক (মহর্ষি কণাদ) তৃতীয় শিষ্য।  ➡️ লিঙ্গপুরাণে এর প্রমাণ পাওয়া যায় — 👉জাতুকর্ণো যদা ব্যাসো ভবিষ্যতি তপোধনঃ। তদাপ্যহং ভ

কেন শ্রীহরি/কৃষ্ণকে একমাত্র পরমেশ্বর বলা যায় না ❓— উত্তর দিচ্ছেন শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী

☹️একজন জিজ্ঞাসু ব্যক্তির প্রশ্ন — আপনারা শৈব রা বলেন, আমাদের শৈবদের আরাধ্য সদাশিব এক ও অদ্বিতীয় পরমব্রহ্ম, সব রূপ শিবের‌ই, শিব‌ই রামরূপ, কৃষ্ণরূপ, কালীরূপ ধারণ করেন। এখন যদি আপনাদের শৈবদের বলা হয় যে,  কৃষ্ণ এক ও অদ্বিতীয় পরমব্রহ্ম, সব রূপ কৃষ্ণেরই, কৃষ্ণই শিবরূপ, কালীরূপ ধারন করেন। এ বললেই তো আপনাদের আঘাত লাগে, কেনো ? এটি বলা যাবে না কেন ? 😊 উত্তর — উত্তর দিচ্ছেন “শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী”, নন্দীনাথ শৈবাচার্য জী বলছেন — কে শিব আর কে হরি , তার গতিপ্রকৃতি কেমন সেটি একমাত্র সনাতন ধর্মের শাস্ত্র ই ঠিক করে দেয়। কারণ শাস্ত্র ই তাদের চরিত্র নিরূপণ করেছে। তাই তাদের বৈশিষ্ট্য জানতে গেলেও শাস্ত্রের শরণাপন্ন হতে হবে। নিজের মতো করে কিছু একটা ধারণা করে নিয়ে সেই নিজের ইচ্ছাকে সত্য বলে ধরে নেওয়া উচিত নয়, এমন‌ই যদি হতো তাহলে সনাতন ধর্মে এত শাস্ত্রের প্রয়োজনে পড়তো না। ন্যায়শাস্ত্র, মীমাংসাশাস্ত্র, ব্যাকরণ শাস্ত্রের প্রয়োজন পড়তো না। সুতরাং শাস্ত্র বাক্যে যেমন বলা থাকবে সেটিই গ্রহণযোগ্য, কারোর অন্ধবিশ্বাস গ্রহণযোগ্য নয়। এবার দেখা যাক শিবকে পরমসত্ত্বাস্বরূপ প্রধান স্থান থেকে সরিয়ে সেখানে য

প্রতিবেশীদের অসুবিধা হলেও মিথ্যা কথা বলে জোর করে কোরান পাঠ চালিয়ে যাবার সমর্থন করতেন সাইবাবা

ছবি
নমস্কার শ্রীগুরুবে নমঃ  নমঃ শিবায়  হর হর মহাদেব  বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, সাই বাবা নামের একজন বৃদ্ধ বয়সী ব্যক্তি কে কিছু সনাতনী হিন্দু রা সনাতন ধর্মের ভগবান বা গুরু ভেবে নিয়ে পূজা করা শুরু করেছে। যে সাই বাবা আসলেই একজন মুসলিম ফকির । তিনি মাথায় মুসলিমদের মতোই টুপি পড়তেন, কফনী আচ্ছাদিত করতেন।  এছাড়াও তিনি ছিলিমে গাঁজা ভরে টান দিয়ে নেশা করতেন ও অন্যদেরকেও নেশা করবার জন্য নেশার বস্তু মুখের সামনে এগিয়ে ধরতেন। অথচ   সনাতন ধর্মের‌ই কিছু সনাতনী ব্যক্তি এসব ঘূর্ণাক্ষরেও টের পাচ্ছে না যে, ভক্তির নামে সনাতনী দের সাথে বিরাট বড় ছলনা করা হচ্ছে।  এই সাই বাবা যে একজন মুসলিম ফকির ছিলেন, তিনি যে ইসলামের গ্রন্থ কোরান শরীফ পুস্তকের “কলমা” পাঠ করবার কট্টর সমর্থক ছিলেন ।  তা  শ্রী সাই সৎচরিত্র  নামক পুস্তকের মধ্যেই পরিস্কার করে বর্ণিত আছে । ওই পুস্তকের ৩ নং অধ্যায়ের মধ্যে “রোহিলার কাহিনী” অংশে বলা হয়েছে,    “এক সময় রোহিলা নামক এক ব্যক্তি শিরডীতে থাকতে এলো। তার শরীর লম্বা-চওড়া, সুদৃঢ় ও সুগঠিত। বাবার প্রেমে মুগ্ধ হয়ে ও শিরডীতেই থাকতে লাগল।    সে অষ্টপ্রহর উচ্চস্বরে 'কলমা' (কোরানের শ্লোক) প

মুসলিম ফকির সাইবাবা একজন গাঁজা সেবনকারী নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি এবং অন্যদের‌ও নেশা করবার প্ররোচনা প্রদানকারী

ছবি
  বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, সাই বাবা নামের এক মুসলিম ফকিরকে সনাতন ধর্মের গেরুয়া বস্ত্র পরিধানকারী সন্ন্যাসী সাধুদের মতো বেশভূষা বানিয়ে সনাতনী গুরু হিসেবে বিরাট সমারোহের সাথে সনাতন ধর্মীরাই অন্ধের মতো সাইবাবার পূজা করতে শুরু করেছে। এই সাই বাবা যে একজন পাক্কা মুসলিম ছিলেন,  তা শ্রী সাই সৎচরিত্র নামক পুস্তকটি পড়লেই সহজে জানা যায় । ওই পুস্তকের ৫ নং অধ্যায়ের মধ্যে “চাঁদ পার্টীলের শালার বরযাত্রীর সাথে পুণঃ আগমন” অংশে বলা হয়েছে,   তিনি এক জায়গায় একটি আম গাছের নীচে এসে দেখেন এক ফকির সেখানে বসে আছে। তাঁর মাথায় একটা টুপী, গায়ে কফনী এবং কাছেই একটা দণ্ড রাখা ছিল। তিনি ফকিরের কাছে ফিরে আসেন, ততক্ষনে ফকির ছিলিম তৈরী করে নিয়েছেন শুধু দুটি জিনিষের দরকার ছিল। এক তো ছিলিম জ্বালাবার জন্য আগুন ও দ্বিতীয় কাপড়টা ভেজাবার জন্য জল। কাপড়টা তাতে ভিজিয়ে ছিলিমটা জড়িয়ে নিলেন। এইরূপ সব ব্যবস্থা হয়ে যাওয়ার পর বাবা ছিলিমে টান দেন এবং চাঁদ পাটীলের দিকে এগিয়ে দেন । ♦️ উক্ত পুস্তকের পৃষ্ঠার চিত্র দেখুন 👇            ☝️ উপরোক্ত পুস্তকের লেখা থেকে পরিষ্কারভাবেই বোঝা গেল যে —   সাইবাবা টুপি পড়ে বসে ছিলে

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত