কেন শ্রীহরি/কৃষ্ণকে একমাত্র পরমেশ্বর বলা যায় না ❓— উত্তর দিচ্ছেন শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী
☹️একজন জিজ্ঞাসু ব্যক্তির প্রশ্ন —
আপনারা শৈব রা বলেন, আমাদের শৈবদের আরাধ্য সদাশিব এক ও অদ্বিতীয় পরমব্রহ্ম, সব রূপ শিবেরই, শিবই রামরূপ, কৃষ্ণরূপ, কালীরূপ ধারণ করেন।
এখন যদি আপনাদের শৈবদের বলা হয় যে,
কৃষ্ণ এক ও অদ্বিতীয় পরমব্রহ্ম, সব রূপ কৃষ্ণেরই, কৃষ্ণই শিবরূপ, কালীরূপ ধারন করেন। এ বললেই তো আপনাদের আঘাত লাগে, কেনো ?
এটি বলা যাবে না কেন ?
😊 উত্তর —
উত্তর দিচ্ছেন “শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী”,
নন্দীনাথ শৈবাচার্য জী বলছেন —
কে শিব আর কে হরি , তার গতিপ্রকৃতি কেমন সেটি একমাত্র সনাতন ধর্মের শাস্ত্র ই ঠিক করে দেয়। কারণ শাস্ত্র ই তাদের চরিত্র নিরূপণ করেছে। তাই তাদের বৈশিষ্ট্য জানতে গেলেও শাস্ত্রের শরণাপন্ন হতে হবে। নিজের মতো করে কিছু একটা ধারণা করে নিয়ে সেই নিজের ইচ্ছাকে সত্য বলে ধরে নেওয়া উচিত নয়, এমনই যদি হতো তাহলে সনাতন ধর্মে এত শাস্ত্রের প্রয়োজনে পড়তো না। ন্যায়শাস্ত্র, মীমাংসাশাস্ত্র, ব্যাকরণ শাস্ত্রের প্রয়োজন পড়তো না।
সুতরাং শাস্ত্র বাক্যে যেমন বলা থাকবে সেটিই গ্রহণযোগ্য, কারোর অন্ধবিশ্বাস গ্রহণযোগ্য নয়।
এবার দেখা যাক শিবকে পরমসত্ত্বাস্বরূপ প্রধান স্থান থেকে সরিয়ে সেখানে যদি কৃষ্ণ/হরি/বিষ্ণুকে রেখে প্রধান ভেবে নেওয়া হয়, তাহলে তার উদ্দেশ্যে শাস্ত্র কি বলছে। দেখে নিন, স্কন্দমহাপুরাণের সূতসংহিতার যজ্ঞবৈভবখণ্ডের অধ্যায় নং ২ তে বলা হয়েছে 👇
✳️মহাপাপবতাং পুংসাং পূর্বজন্মসু সুব্রতাঃ ।
বিষ্ণুঃ সর্বাধিকো ভাতি ন সাক্ষাৎপরমেশ্বরঃ॥ ৫৮
বিষ্ণুঃ সর্বাধিকো ভাতি নারকী স ন সংশয় ।
বিষ্ণু সর্বাধিকো নান্য ইতি চিন্তয়তাং নৃণাম্ ॥ ৫৯
বিষ্ণুপ্রজাপতীন্দ্রাদিদেবতাসু মুনীশ্বরাঃ ।
বিহীনাসু শিবং পশ্যন্মুচ্যতে ভববন্ধনাৎ ॥ ৬৩
শিবরুদ্রমহাদেবব্রহ্মেশানাদিনামতঃ ।
বিষ্ণবাদিদেবতাঃ পশ্যন্ক্রমান্মুচ্যেত বন্ধনাৎ ॥ ৬৪
শিবং সর্বোত্তমং বিপ্রা হরিবিষ্ণবাদিনামতঃ ।
চিন্তয়ন্ঘোরসংসারে পতত্যেব ন সংশয়ঃ ॥ ৬৫
অতঃ শিবঃ সদা ধ্যেযঃ প্রধান্যেন মনীষিভঃ ।
জ্ঞানযজ্ঞাৎপরো যজ্ঞো নাস্তি নাস্তি শ্রুতৌ স্মৃতৌ ॥ ৬৭
ISSGT
🟥 অর্থ —
যারা পূর্বজন্মে পাপ করেছেন তাদের ই তাদৃশ সংস্কার দ্বারা বিষ্ণু শ্রেষ্ঠ মনে হয় ॥৫৮
তারা নরক গমণ করেন। তারা বিষ্ণুকেই সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করেন তারা কোটি কল্প পর্যন্ত সংসার বন্ধনে বেঁধে থাকেন অর্থাৎ তাদের কোটি কল্পেও মোক্ষ প্রাপ্তির আশা থাকেনা। ৫৯-৬০
বরং বিষ্ণু প্রজাপতি ইন্দ্রাদি অপরম দেবতাদের মধ্যেও শিবদৃষ্টি করেন এমন ব্যক্তি ভববন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে যায় । ৬৩
যে সমস্ত ব্যক্তি বিষ্ণু আদি দেবতাকে শিব, রুদ্র, মহাদেব, ব্রহ্ম, ঈশান আদি নামের বিষয় বলে বোঝেন সেই সমস্ত ব্যক্তিই ক্রমমোক্ষ প্রাপ্ত করতে সক্ষম হন । ৬৪
সর্বোত্তম শিবকে যারা হরি, বিষ্ণু আদি নামের বিষয় মনে করে তারা ঘোর সংসারে ঘুরে বেড়ায় হয়রানির শিকার হতে থাকে । ৬৫
সুতরাং, মনীষিদের প্রধানত শিবকেই ধ্যান করা উচিত। শ্রুতি, স্মৃতি অনুসারে জ্ঞানযজ্ঞ থেকে বড়ো কোনো যজ্ঞ নেই। ৬৭
🚩 আশা করি , প্রকৃত সনাতনী রা কখনোই কোনো সনাতন শাস্ত্রেরই বচনকে অমান্য করে চলবে না। সেই হিসেবে স্কন্দপুরাণের এই বচনকেও মান্য করে চলতে হবে। এগুলি আমাদের শৈবদের মনগড়া কাল্পনিক ধারণা নয়, শাস্ত্রের কথা।
এবার চলুন দেখিয়ে দিই স্কন্দপুরাণের এই বাক্যের সাথে বেদের বাক্যের মিল আছে কিনা।
🟦বেদের অন্তর্গত শরভ উপনিষদের ৩০ নং শ্লোকে বলা হয়েছে -
এক এব শিবো নিত্যস্ততোঽন্যৎসকলং মৃষা ।
তস্মাৎসর্বান্পরিত্যজ্য ধ্যেযান্বিষ্ণবাদিকান্সুরান্ ॥ ৩০ ॥
[তথ্যসূত্র - শ্রুতিশাস্ত্র(বেদ)/শরভ উপনিষদ]
☘️ সরলার্থ – শিবই একমাত্র নিত্য, অন্য সকল কিছুই মিথ্যা । এই কারণে বিষ্ণু আদি সকল দেবতাকে পরিত্যাগ করে শিবকেই ধ্যেয় বলে জানা উচিত ॥ ৩০ ॥
ব্যাখ্যা - যেহেতু বিষ্ণু সহ সমস্ত দেবতার স্বরূপ পরমেশ্বর শিব নিজেই ধারণ করেন তাই একমাত্র শিবকেই ধ্যেয় এবং সত্য বলা হয়েছে , বাকি সবকিছুকেই মিথ্যা বলেছেন স্বয়ং বেদ শাস্ত্র।
উপরোক্ত সূতসংহিতার শ্লোকের উপর শ্রুতিশাস্ত্রের সমর্থন পাওয়া গিয়েছে । তাই এই শ্লোকগুলি যে চিরাচরিত সত্য তা দিনের আলোর ন্যায় পরিষ্কার।
কেননা 🟦 ব্যাস সংহিতায় বলা হয়েছে,
মহর্ষি ব্যাসদেব তার ব্যাস সংহিতা ১.৪ তে বলেছেন -
"শ্রুতি স্মৃতি পুরাণানাং বিরোধো যত্র দৃশ্যতে ।
তত্র শ্রৌতং প্রমাণস্তু তয়োর্দ্বৈধে স্মৃতিব্বরা ॥"
♦️সরলার্থ : যেখানে শ্রুতি, স্মৃতি ও পুরাণের বিরোধ দেখা যায়, সেখানে শ্রুতির কথনই বলবান এবং যেস্থলে স্মৃতি ও পুরাণের বিরোধ দেখা যায়, সেখানে স্মৃতির কথনই বলবান।
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে যে, বেদের(শ্রুতির) সহিত পুরাণ শাস্ত্রের বাক্যের উপর বেদবাক্যের সমর্থন রয়েছে। তাই এই শ্লোকগুলির অর্থ নিঃসন্দেহে গ্রহণযোগ্য।
পরমেশ্বর শিবই সত্য, শিবই নিত্য, শিবজ্ঞানের দ্বারাই মোক্ষ লাভ সম্ভব। ইহাই বেদবাক্য ইহাই চূড়ান্ত পরমজ্ঞান।
🟦 এছাড়াও 🔸মহাভারতের দ্রোনপর্বের ঊনসপ্তত্যধিকশততমোঽধ্যায়ে উল্লেখিত আছে যে……..
🔴 স এস রুদ্রভক্তশ্চ কেশবো রুদ্রসম্ভবঃ।👈
সর্ব্বরূপং ভবং জ্ঞাত্বা লিঙ্গে যোঽর্চ্চয়ত প্রভুম্॥৬২
☘️সরলার্থ — যিনি জগদীশ্বর শিবকে সর্বময় জেনে, তার লিঙ্গে পূজা অর্চনা করতেন, সেই শিব অংশস্বরূপ থেকে উদ্ভব হয়েছেন যে নারায়ণ কৃষ্ণ, তিনিই পরমশিবভক্ত শৈবচূড়ামণি ॥৬২👈
অর্থাৎ স্বয়ং ব্যাসদেব বলছেন যে কৃষ্ণ স্বয়ং শিবভক্ত। সেই শ্রীকৃষ্ণই পরমেশ্বর কে সর্ব জগতময় হিসেবে দর্শন করে পূজার্চনা করতেন।
আবার শ্রীকৃষ্ণই পরমেশ্বর শিব থেকে উৎপন্ন হয়েছেন।
🟫 আরো দেখুন 👇
বৈষ্ণবদের প্রাণপ্রিয় পদ্মপুরাণ থেকে 👇
“যএকঃ শাশ্বতোদেবোব্রহ্মবন্দ্যঃ সদাশিবঃ । ত্রিলোচনোগুণাধারো গুণাতীতোহক্ষরোব্যয়ঃ ॥৩ পৃথকৃত্বাত্মনস্তাততত্র স্থানং বিভজ্য চ ।
দক্ষিণাঙ্গে সৃজাৎপুত্রং ব্রহ্মাণাং বামতো হরিম্ ॥৫
পৃষ্ঠদেশে মহেশানংত্রীপুত্রান্ সৃজিদ্বিভুঃ । জাতমাত্রাস্ত্রয়োদেবা ব্রহ্মাবিষ্ণুমহেশ্বরাঃ ॥৬”
(তথ্যসূত্র - পদ্মপুরাণ/ পাতালখণ্ড/১০৮ নং অধ্যায়)
ISSGT
🟧সরলার্থ - সেই একমাত্র সদাশিবই শাশ্বত(যার ক্ষয়/বিনাশ/ধ্বংস নেই), ব্রহ্মা দ্বারা অৰ্চিত(পূজিত), ত্রিলোচন, ত্রিগুণধারী, ত্রিগুণাতীত, অক্ষর (অক্ষর ব্রহ্মস্বরূপ) এবং অব্যয়। তিনি নিজ ইচ্ছায় নিজেকে তিনভাগে বিভক্ত করেন। তিনি তাঁর দক্ষিণ(ডান)ভাগ থেকে পুত্রস্বরূপ ব্রহ্মাকে, বামভাগ থেকে শ্রীহরিকে এবং পৃষ্ঠদেশ থেকে মহেশ্বরকে (অর্থাৎ রুদ্র) সৃষ্টি করেন। এই ভাবে সদাশিবের তিনপুত্র ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর ত্রিদেব হিসেবে পরিচিতি পায়। [ তাই সদাশিবকে ত্রিদেবজনক বলা হয়]
মহাভারতের মতো, বৈষ্ণবদের পদ্মপুরাণ ই বলছে, বিষ্ণু/হরির জন্ম হয় পরমেশ্বর সদাশিবের বামদিক থেকে।
ব্রহ্মের কখনো জন্ম হয় না, ব্রহ্ম জন্মমৃত্যুহীন। শিবও জন্মমৃত্যুহীন ।
শিবের কোনো জন্মমৃত্যু নেই ।
✳️প্রমাণ দেখুন,
মৎস পুরাণের ১৫৪নং অধ্যায়ের ১৭৮-১৮১ নং শ্লোকে বলা হয়েছে 👇
ন স জাতো মহাদেবো ভূতভব্যভবোদ্ধবঃ ।
শরণ্যঃ শাশ্বতঃ শাস্তা শঙ্করঃ পরমেশ্বরঃ ॥১৭৮
ব্রহ্মবিষ্ণিবন্দ্রমুনয়ো জন্মমৃত্যুত্যুজরার্দিতা ।
তস্যৈতে পরমেশস্য সর্ব ক্রীড়নকা গিরে ॥১৭৯
আস্তে ব্রহ্মা তদিচ্ছাতঃ সম্ভূতো ভুবনপ্রভুঃ ।
বিষ্ণুর্যুগে যুগে জাতো নানাজাতির্মহাতনুঃ ॥১৮০
মন্যসে মাযয়া জাতং বিষ্ণুং চাপি যুগে যুগে ।
আত্মনো ন বিনাশোঽস্তি স্থাবরান্তোঽপি ভূধর ॥১৮১
🟦 সরলার্থ — যিনি ভূত ভবিষ্যৎ এবং বর্তমান তিনকালই বর্তমান থাকেন, যিনি জীবের শরণদাতা, অবিনাশী, নিয়ামক, কল্যাণকর্তা এবং পরমেশ্বর, সেই পরমেশ্বর মহাদেব কখনো উৎপন্ন হননি, অর্থাৎ তিনি অনাদি, শিবের কখনোই জন্ম হয় না।
হে পর্বতরাজ !
ব্রহ্মা বিষ্ণু ইন্দ্র মুনি আদি সকলেই জন্ম-মৃত্যু এবং বৃদ্ধ অবস্থা গ্রস্থ হয়ে থাকেন। এনারা সবাই সেই পরমেশ্বর মহাদেবের খেলনা মাত্র। সেই পরমেশ্বর মহাদেবের ইচ্ছেতেই ত্রিভুবনের স্বামী ব্রহ্মা প্রকট হয়েছেন এবং প্রত্যেক যুগে শ্রীবিষ্ণু বিশাল শরীর ধারণ করে নানা প্রকারের জীব জাতিতে উৎপন্ন হয়ে থাকেন ।
🟦 শিবকে বাদ দিয়ে শ্রীবিষ্ণুর আলাদা অন্যভাবে কোনো অস্তিত্ব নেই।
🟥বেদশাস্ত্র বলছে -
যোবৈ রুদ্রঃ স ভগবান যশ্চ বিষ্ণুস্তস্মৈ বৈ নমোনমঃ॥
[অথর্ব-শির উপনিষদ - ২|২]
ISSGT
🟦সরলার্থ - যিনি বিষ্ণুরূপ ধারন করে অনন্ত জগৎ পালন করছেন সেই পরাৎপর পরমব্রহ্ম রুদ্রদেব শিবকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি।
👆উপরোক্ত বেদশাস্ত্র থেকে প্রমাণিত হল যে পরমেশ্বর শিবই জগৎ পালন করেন বিষ্ণুরূপ ধারণ করে।
অনেকে বলতেই পারেন যে, শ্রীকৃষ্ণ তাহলে কেন এত শক্তিশালী ছিলেন ?
তিনি ছোটবেলা থেকেই কেন দৈত্য রাক্ষস দের সংহার করতে পারতেন ?
তার এত জনপ্রিয়তার কারণ কি ?
তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনারা মহাভারত অধ্যয়ন করুন।
🟥মহাভারতের অনুশাসন পর্বের ১৩তম অধ্যায়ের ১০-১১ নং শ্লোকে বলা হয়েছে —
রুদ্রভক্ত্যা তু কৃষ্ণেন জগদ্ব্যাপ্তং মহাত্মনা।
তং প্রসাদ্য তদা দেবং বদর্য্যাং কিল ভারত ॥ ১০॥ অর্থাৎ প্রিয়তরত্বঞ্চ সর্বলোকেষু বৈ তদা ।
প্রাপ্তবানেব রাজেন্দ্র সুবর্ণাক্ষাত্মহেশ্বরাং ॥ ১১ ॥
[তথ্যসূত্র-মহাভারত/অনুশাসনপর্ব/অধ্যায় নং ১৩ ]
সরলার্থ - মহাত্মা কৃষ্ণ তখন বদরিকাশ্রমে আপন ভক্তির গুণে সেই রুদ্রদেবকে প্রসন্ন করে জগৎ ব্যাপ্ত হতে পেরেছিলেন ॥১০
এই কৃষ্ণ অগ্নিনেত্র মহাদেবের অনুগ্রহেই তখন সেই সময় থেকে জগতে মহাদেবের চেয়েও প্রিয়তর হয়ে উঠেছেন ॥১১
সিদ্ধান্ত - শিবের কৃপায় শিবভক্ত জগতে পূজিত হয়, যার প্রমাণ স্বয়ং পরমশৈব শ্রীকৃষ্ণের জীবনগাথা থেকে প্রমাণিত হয়েছে।
তাই সবকিছুর মূল একমাত্র ই পরমেশ্বর শিব ।শিবকে বাদ দিয়ে, সনাতন ধর্মের শাস্ত্রের নির্দেশকে অমান্য করে নিজের অন্ধ ভক্তি কে অন্যের কাঁধে চাপানোর মতো কাজ যারা করছে তারা সনাতনী নয়।
যারা সনাতন ধর্মের শাস্ত্রের বচনকে নির্দ্বিধায় মেনে চলেন তিনি একমাত্র প্রকৃত সনাতনী।
তাই হে বিজ্ঞ মহাশয়,
একবার বিচার করুন, যদি সনাতনী হয়ে থাকেন তাহলে সনাতন ধর্মের শাস্ত্রের বচনকে সম্মান করে গ্রহণ করুন।।
ব্রহ্ম কে ?!
এই বিচার করবার আগে সনাতন ধর্মের শাস্ত্রের বচনকে সঠিক ভাবে বিচার বিবেচনা করে নেওয়া উচিত।
আপনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্তি করতেই পারেন, তাতে বাঁধা দেওয়া অপরাধ, কিন্তু ভক্তি করবার অছিলায় যদি শাস্ত্রে উল্লেখিত পরমসত্যকে অমান্য করে নিজের ধারণাকেই একমাত্র সত্য বলে মেনে বসেন ও অন্যদেরও সেটিই মানাতে চান তবে আপনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের/শ্রীহরি বিষ্ণুর ভক্তি করছেন না, আপনি অন্ধভক্তিতে ডুবে আছেন ।
সাবধান ! ভগবদ্গীতার মধ্যে ১৬অধ্যায়ের ২৩নং শ্লোকে বলা হয়েছে যে,
যিনি শাস্ত্রকে অস্বীকার করে, শাস্ত্রের বচন না মেনে নিজের ইচ্ছে মতো চলে, নিজের ধারণাকেই সত্য ভেবে নেয়। সেই ব্যক্তির সিদ্ধিলাভ তো হয় ই না, সে কোনো সুখলাভ করতে পারে না, তার কোনো গতিই হয় না।
[বিঃদ্রঃ - ভগবদ্গীতার মধ্যে কৃষ্ণ নিজেকে “আমি ব্রহ্ম” বলে যে দাবী করেছেন, তার সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ এখানে পাবেন 👇
https://www.facebook.com/share/p/QsT4NdDNQfZPzVoF/?mibextid=oFDknk ]
তাই , এই অন্ধভক্তি থেকে বের হয়ে আসতে হবে, বিশুদ্ধ হৃদয়ে ভক্তি করুন। সকল কিছুর মধ্যে প্রভু শিবকে দর্শন করে যে কোনো দেবতার উপাসনা করুন।
🔥 সিদ্ধান্ত — তাই সনাতন ধর্মের শাস্ত্র অনুযায়ী ই প্রভু শিবকে বাদ দিয়ে কখনোই হরি/কৃষ্ণ কে পরমব্রহ্ম ভাবনা করা যায় না ।
©শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী
শ্রীনন্দীকেশ্বরায় নমঃ ॥
নমঃ শিবায় ॥
শৈব সনাতন ধর্ম সদা বিজয়তে 🚩
হর হর মহাদেব🚩
প্রচারে ও কপিরাইট : © International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT
#ISSGT
#শ্রীকৃষ্ণ
#কৃষ্ণ
#শিব
#মহাদেব
#মহাকাল
#আন্তর্জাতিকশিবশক্তিজ্ঞানতীর্থ
#NandiNathShaiva
#শ্রীনন্দীনাথশৈবাচার্য
#নন্দীনাথশৈব
#শৈব
#মৎসপুরাণ
#স্কন্দপুরাণ
[ This post is only for Public Awareness ]
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন