মুসলিম ফকির সাইবাবা একজন গাঁজা সেবনকারী নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি এবং অন্যদেরও নেশা করবার প্ররোচনা প্রদানকারী
বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, সাই বাবা নামের এক মুসলিম ফকিরকে সনাতন ধর্মের গেরুয়া বস্ত্র পরিধানকারী সন্ন্যাসী সাধুদের মতো বেশভূষা বানিয়ে সনাতনী গুরু হিসেবে বিরাট সমারোহের সাথে সনাতন ধর্মীরাই অন্ধের মতো সাইবাবার পূজা করতে শুরু করেছে।
এই সাই বাবা যে একজন পাক্কা মুসলিম ছিলেন,
তা শ্রী সাই সৎচরিত্র নামক পুস্তকটি পড়লেই সহজে জানা যায় ।
ওই পুস্তকের ৫ নং অধ্যায়ের মধ্যে “চাঁদ পার্টীলের শালার বরযাত্রীর সাথে পুণঃ আগমন” অংশে বলা হয়েছে,
তিনি এক জায়গায় একটি আম গাছের নীচে এসে দেখেন এক ফকির সেখানে বসে আছে। তাঁর মাথায় একটা টুপী, গায়ে কফনী এবং কাছেই একটা দণ্ড রাখা ছিল।
তিনি ফকিরের কাছে ফিরে আসেন, ততক্ষনে ফকির ছিলিম তৈরী করে নিয়েছেন শুধু দুটি জিনিষের দরকার ছিল। এক তো ছিলিম জ্বালাবার জন্য আগুন ও দ্বিতীয় কাপড়টা ভেজাবার জন্য জল।
কাপড়টা তাতে ভিজিয়ে ছিলিমটা জড়িয়ে নিলেন। এইরূপ সব ব্যবস্থা হয়ে যাওয়ার পর বাবা ছিলিমে টান দেন এবং চাঁদ পাটীলের দিকে এগিয়ে দেন।
♦️ উক্ত পুস্তকের পৃষ্ঠার চিত্র দেখুন 👇
☝️ উপরোক্ত পুস্তকের লেখা থেকে পরিষ্কারভাবেই বোঝা গেল যে —
সাইবাবা টুপি পড়ে বসে ছিলেন, তার গায়ে কফনী ছিল। অর্থাৎ তিনি মুসলিম ফকির ছিলেন। সেই মুসলিম ফকির সাইবাবা গাঁজার ছিলিম বের করে তা সাজিয়ে গাঁজার ছিলিমে টান দিয়ে নেশা করেছেন, তারপর তিনি চাঁদ পাটীল নামক ব্যক্তিকেও গাঁজা টেনে নেশা করবার জন্য গাঁজার ছিলিম এগিয়ে দিয়েছেন ।
আমার প্রিয় সনাতনী রা একবার বিচার করে দেখুন কোন সনাতনী সাধু ব্যক্তি কি কখনো সন্ন্যাসী হয়ে মাথায় টুপি পড়েন ?
কোন সনাতনী সাধু ব্যক্তি কি কখনো সাদা বর্ণের কফনী(কাফন এর মতো ইসলামিক বস্ত্র) পরিধান করেন ?
[মুসলিম ব্যক্তির মৃত দেহকে আচ্ছাদিত করতে যে সাদা কাপড় ব্যবহার করা হয় তাকে কাফন বলে]
কোনো সাধু কখনোই সমাজের মধ্যে থেকে গাঁজা সেবন করেন না, আমাদের সনাতন ধর্মের শাস্ত্রে কোথাও গাঁজা কে নেশার বস্তু হিসেবে ব্যবহার করতে বলা হয়নি।
অথচ সাইবাবা নামক মুসলিম ফকির ছিলিম টানতেন, আবার অন্যদেরকে গাঁজা সেবন করবার জন্য প্ররোচিত করেছেন, নেশা করবার জন্য ছিলিম এগিয়ে দিয়েছেন।
আমাদের শৈব সনাতনীদের প্রাচীন গুরু পরম্পরায় এরকমভাবে কোনো আচার্য তার শিষ্যকে গাঁজা সেবন করবার জন্য নির্দেশ দিতেন না ।
এই সাইবাবার ছিলিম ফুঁকতে থাকার দৃষ্টান্ত থেকে ভবিষ্যত প্রজন্ম কি শিখবে ?
ছোট ছোট শিশুরা কি শিখবে ?
আমাদের সনাতনীদের ভবিষ্যৎ কি হবে ?
সাইবাবা কি আমাদের সমস্ত সনাতনীদের কে গাঁজাখোর বানাতে চান ?
একবার ভেবে দেখুন তো যদি আপনি সন্তানের বাবা অথবা মা হয়ে থাকেন তবে আপনি কি আপনার সন্তানকে সাইবাবার এই গাঁজা ভরে গাঁজা ফুঁকে নেশা করবার শিক্ষা প্রদান করবেন ?
সুতরাং, এই মুসলিম ফকির সাইবাবা নামক অসনাতনী ব্যক্তিকে ভক্তি না করে, ছদ্মবেশী অসনাতনী সাইবাবাকে গুরু না মেনে বরং সনাতন ধর্মের শাস্ত্র অনুযায়ী পরমেশ্বরের ভক্তি করুন, সনাতন ধর্মের আচার্য দের গুরু হিসেবে গ্রহণ করে তাদের দেখানো মার্গকে অনুসরণ করুন।
সাই ভক্তদের লেখা শ্রী সাই সৎ চরিত্র পুস্তক পড়ে তার মধ্যে থাকা বানোয়াট গল্পের উপর বিশ্বাস করে অন্ধভক্তি করে নিজের ও পরিবারের তথা সনাতন সমাজের সর্বনাশ করবেন না ।
আপনি যদি বিচার বিবেচনা করে এই পথ থেকে বিরত হন, তবে সনাতন ধর্ম সুরক্ষিত থাকবে।
কোন মুসলিম ফকিরকে পূজা করা সনাতনীদের উচিত নয়, ইহা ঘৃণ্য কাজ ।
পরমেশ্বর শিবের ভক্তি তে নিজেকে সমর্পণ করুন, পরমানন্দ লাভ করুন ও সত্যের পথে অবিচল থাকুন।
শ্রী নন্দীকেশ্বরায় নমঃ
শৈব সনাতন ধর্ম সদা বিজয়তে 🚩
হর হর মহাদেব 🚩
অপপ্রচার দমনে — শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী
কপিরাইট ও প্রচারে — International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন