পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রার্থনার মাধ্যমে মঙ্গলের প্রতিকার

ছবি
  মঙ্গলবার শিব অভিষেকের পর মঙ্গলদেবের  উদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত মন্ত্রটি মন থেকে  ভক্তি সহকারে ৫বার সম্পূর্ণটি পাঠ করে প্রার্থনা করুন - 👉 পদ্মরাগনিভেনাঽপি দেহেনাপিঙ্গললোচনঃ । অঙ্গারকঃ শিবেভক্তো রুদ্রার্চনপরায়ণঃ ॥ ১১৭ রুদ্রসদ্ভাবসম্পন্নো রুদ্রধ্যানৈকমানসঃ । গ্রহপীড়াভয়ং সর্বং বিনাশয়তু মে সদা ॥ ১১৮  ☘️ সরলার্থ -  পদ্মরাগ রত্নের ন্যায় আভাযুক্ত দেহধারী, বাদামী বর্ণের নেত্রধারী মঙ্গলগ্রহ দেবতা, যিনি পরমশিবভক্ত এবং রুদ্রার্চন  পরায়ণ,তিনি রুদ্রের ভাব দ্বারা সম্পন্ন এবং একমনের দ্বারা  রুদ্রের ধ্যান করতে থাকেন, সেই মঙ্গলদেব আমার গ্রহজনিত  পীড়াসমূহ এবং ভয়কে সদা বিনাশ করুন ।👈  [তথ্যসূত্র - শিব ধর্মপুরাণ/অধ্যায় নং ১৬] ফলাফল  -  মঙ্গল গ্রহের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত হ‌ওয়া যায় ।

পরমেশ্বর শিবের অষ্টোত্তর শতনাম স্তোত্রম্

ছবি
মহাপবিত্র বেদান্তসার শ্রীশ্রীশিবমহাপুরাণ বর্ণিত প্রভু পরমেশ্বরের ১০৮ নামের স্তোত্র উল্লেখ করা হল এখানে, এই স্তোত্র পাঠ করলে প্রভু পরমেশ্বর শিবের ১০৮ নাম পাঠ সম্পন্ন হয়ে যায়। ॐ নমঃ শিবায় 🙏 মহাদেবং বিরূপাক্ষং চন্দ্রার্ধকৃতশেখরম্ । অমৃতং শাশ্বতং স্থাণুং নীলকণ্ঠং পিনাকিন ॥৫ বৃষভাক্ষং মহাজ্ঞেয়ং পুরুষং সর্বকামদম্ । কামারিং কামদহনং কামরূপং কপর্দিনম্ ॥৬  বিরূপং গিরিশং ভীমং সৃক্কিণং রক্তবাসসম্ । যােগিনং কালদহনং ত্রিপুরধ্নং কপালিনম্ ॥৭ গূঢ়ব্রতং গুপ্তমন্ত্রং গম্ভীরং ভাবগােচরম্ । অণিমাদিগুণাধারং ত্রিলােকৈশ্চর্যদায়কম্ ॥৮ বীরং বীরহরণং ঘােরং বিরূপং মাংসলং পটুম্ । মহামাংসাদমুন্মত্তং ভৈরবং বৈ মহেশ্বরম্ ॥৯ ত্রৈলােক্যদ্রাবণং লুব্ধং লুব্ধকং যজ্ঞসূদনম্ । কৃত্তিকানাং সুতৈর্যুক্তমুন্মত্তং কৃত্তিবাসসম্ ॥১০ গজকৃত্তিপরীধানং ক্ষুব্ধং ভুজগভূষণম্ । দত্তালম্বং চ বেতালং ঘােরং শাকিনিপূজিতম্ ॥১১ অঘােরং ঘােরদৈত্যঘ্নং ঘােরঘােষং বনস্পতিম্ । ভস্মাঙ্গং জটিলং শুদ্ধং ভেরুণ্ডশতসেবিতম্ ॥১২ ভূতেশ্বরং ভূতনাথং পঞ্চভূতাশ্রিতং খগম্ । ক্রোধিতং নিষ্ঠুরং চণ্ডং চণ্ডীশং চণ্ডিকাপ্রিয়ম্ ॥১৩ চণ্ডতুণ্ডং গরুত্মন্তং নিস্ত্রিংশং শবভােজন

বিষ্ণুকৃত শিবসহস্রনাম স্তোত্র ও মাহাত্ম্য (শিবমহাপুরাণোক্ত)

ছবি
  বাংলাতে এই প্রথমবার ISSGT (International Shiva Shakti Gyan Tirtha) -এর পক্ষ থেকে শিবসহস্রনাম স্তোত্র প্রকাশিত হল। এটি সংগ্রহ করেছেন – শ্রী কৌশিক রায় শৈবজী । এই শিবসহস্র নাম স্তোত্রটি বেদ-বেদান্তসার শ্রীশ্রীশিবমহাপুরাণ -এর কোটিরুদ্র সংহিতার ৩৬নং অধ্যায়ের অন্তর্গত। উক্ত অধ্যায়ে শ্রীবিষ্ণু দ্বারা শিব আরাধনার করা ও শিবের কৃপায় পরমশৈব শ্রীবিষ্ণুর সুদর্শন চক্র লাভ করার কথন উল্লেখ আছে। পরমশিবভক্ত শ্রীবিষ্ণুজী পরমেশ্বর শিবের আরাধনা করতে গিয়ে ১০০০টি পদ্মফুলের সাথে প্রভু শিবের ১০০০টি নাম উল্লেখ করে সেই পদ্মফুল প্রভু শিবকে সমর্পন করেছিলেন। এখানে সেই পরমশৈব শ্রীবিষ্ণুর মুখনিঃসৃত পরমপবিত্র শিব সহস্র নাম স্তোত্রটি প্রকাশিত করা হয়েছে। স্কন্দমহাপুরাণানুসারে , এই শিবসহস্রনামস্তোত্রটি বৈকুণ্ঠ চতুর্দশীর শিবপূজার সময় পাঠ করলে অত্যন্ত শুভফল পাওয়া যায়। এছাড়াও শিবমহাপুরানে এই স্তোত্র পাঠের মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে । এই স্তোত্রের শেষে শিবসহস্রনামস্তোত্র পাঠের মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে। 🛑বিষ্ণুরুবাচ(শ্রীবিষ্ণু বললেন) , শিবো হরো মৃডো রুদ্রঃ পুষ্করঃ পুষ্পলোচনঃ । অর্থিগম্যঃ সদাচারঃ শর্বঃ শম্ভুর্

কেন শিবভক্তবৃন্দ সর্বদা মায়ামুক্ত বিশুদ্ধতাযুক্ত ?

ছবি
    ত্বং দৃষ্ট্বা ভগবান্ ব্রহ্মা মামুবাচ জগৎপতিম্ । মােহায়াশেষভূতানাং নিযােজয় সুরূপিণীম্ ॥১০ যেনেয়ং বিপুলা সৃষ্টির্বর্দ্ধতে মম মাধব । যথােক্তোহহং স্ত্রিয়ং দেবীমব্রবং প্রহসন্নিব ॥১১ দেবীদমখিলং বিশ্বং সদেবাসুরমানুষম্। মােহয়িত্বা মমাদেশাৎ সংসারে বিনিপাতয় ॥১২ জ্ঞানযােগতরান্ দান্তান ব্রহ্মষ্ঠিন্ ব্রহ্মবাদিনঃ অক্রোধনান্ সত্যপরান দূরতঃ পরিবর্জ্জয় ॥১৩ ধ্যায়িনাে নিৰ্ম্মমাঞ্ছন্তান্ ধাৰ্ম্মিকান্ বেদপারগান্ যাজিনন্তাপসান্ বিপ্রান্ দূরতঃ পরিবৰ্জ্জয় ॥১৪ বেদবেদান্তবিজ্ঞান - সঞ্ছিন্নাশেষসংশয়ান্ । মহাযজ্ঞপরান্ বিপ্রান্ দূরতঃ পরিবৰ্জ্জয় ॥১৫ যে যজন্তি জপৈর্হোমৈর্দেবদেবং মহেশ্বরম্ । স্বাধ্যাবেনেজ্যয় দূরাৎ তান্ প্রযত্নেন বৰ্জ্জয় ॥১৬ ভক্তিযােগসমাযুক্তানীশ্বরার্পিতমানসান্ । প্রাণায়ামাদিষু রতান্ দুরাৎ পরিহরামলান্ ॥১৭ প্রণবাসক্তমনসাে রুদ্রজপ্যপরায়ণান । অথৰ্বশিরসাে বেত্তৃন ধৰ্ম্মজ্ঞান পরিবৰ্জ্জয় ॥১৮ বহুনাত্র, কিমুক্তেন স্বধৰ্ম্মপরিপালকান । ঈশ্বরারাধনরতান মন্নিযােগান ন মােহয় ॥১৯ (রেফারেন্স : কূর্মপুরাণ/পূর্বভাগ/অধ্যায় ২) ------------------------- সরলার্থ‌‌‍ ----------------------

প্রার্থনার মাধ্যমে রবির প্রতিকার

ছবি
   প্রতিদিন অথবা শুধুমাত্র রবিবার প্রভাতে উঠে পূর্বদিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে সূর্যের উদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত মন্ত্রটি মন থেকে ভক্তি সহকারে ৭বার সম্পূর্ণটি পাঠ করে প্রার্থনা করুন - 👉 সিন্দুরারুণ রক্তাঙ্গ কর্ণান্তায়ত লোচনঃ । সহস্রকিরণঃ শ্রীমান্ সপ্তসপ্তিক বাহনঃ ॥১১৫ গভস্তিমালী ভগবান্ শিবার্চনরতঃ সদা । করোতু মে মহাশান্তিং গ্রহপীড়াং ব্যপোহতু ॥১১৬ ☘️ সরলার্থ - সিন্দুর ন্যায় লালবর্ণ, রক্তাঙ্গ সম্পন্ন এবং যার কর্ণ পর্যন্ত চক্ষুদ্বয় পৌঁছে গিয়েছে, তিনি হলেন সহস্রকিরণ শ্রীমান্ সূর্যদেব । যার বাহনরূপে সাত সাতটি অশ্ব জুড়ে থাকে, সেই গভস্তিমালী সদাই পরমেশ্বর শিবের অর্চনায় রত থাকেন, সেই সূর্যদেব আমাকে মহাশান্তি প্রদান করুন এবং গ্রহজনিত পীড়াসমূহকে হরণ করে নিন। 👈 [রেফারেন্স - শিবধর্মপুরাণ/অধ্যায় নং ১৬] ফলাফল - সূর্যের পীড়া থেকে মুক্ত হয়ে যাওয়া সম্ভব । © Koushik Roy. All Rights Reserved https://issgt100.blogspot.com

অর্ধনারীশ্বর অষ্টকম্ (মহর্ষি উপমন্যুকৃত)

ছবি
  অর্ধনারীশ্বরাষ্টকম্    অর্ধনারীশ্বরাষ্টকম্ টি সংগ্রহ ও অনুবাদ করেছেন শ্রীকৌশিক রায় শৈবজী , প্রকাশনায় - ISSGT (International Shiva Shakti Gyan Tirtha) অম্ভোধরশ্যামলকুন্তলায়ৈ তদিৎপ্রভাতাম্রাজটাধরায় । নিরীশ্বরায়ৈ নিখিলেশ্বরায় নমঃ শিবায়ৈ চ নমঃ শিবায় ॥ ১ প্রদীপ্তরত্নোজ্বলকুণ্ডলায়ৈ স্ফুরন্মহাপন্নগভূষণায় । শিবপ্রিয়ায়ৈ চ শিবপ্রিয়ায়  নমঃ শিবায়ৈ চ নমঃ শিবায় ॥ ২ মন্দারমালাকলিতালকায়ৈ কপালমালাঙ্কিতকন্ধরায় । দিব্যাম্বরায়ৈ চ দিগম্বরায়  নমঃ শিবায়ৈ চ নমঃ শিবায় ॥ ৩ কস্তুরিকাকুঙ্কুমালেপনায়ৈ শ্মশানভস্মাত্তবিলেপনায় । কৃতস্মরায়ৈ বিকৃতস্মরায় নমঃ শিবায়ৈ চ নমঃ শিবায় ॥ ৪ পাদারবিন্দার্পিতহংসকায়ৈ পাদাব্জরাজৎফণিনূপুরায় । কলাময়ায়ৈ বিকলাময়ায় নমঃ শিবায়ৈ চ নমঃ শিবায় ॥ ৫   প্রপঞ্চসৃষ্ট্যুন্মুখলাস্যকায়ৈ সমস্তসংহারকতাণ্ডবায় । সমেক্ষণায়ৈ বিষমেক্ষণায় নমঃ শিবায়ৈ চ নমঃ শিবায় ॥ ৬ প্রফুল্লনীলোৎপললোচনায়ৈ বিকাসপঙ্কেরুহলোচনায় । জগজ্জনন্যৈ জগদেকপিত্রে নমঃ শিবায়ৈ চ নমঃ শিবায় ॥  অন্তর্বহিশ্চোর্ধ্বমধশ্চ মধ্যে পুরশ্চ পশ্চাচ্চ বিদিক্ষু দিক্ষু । সর্বং গতায়ৈ সকলং গতায় নমঃ শিবায়ৈ চ নমঃ

ব্রহ্মসূত্র ভাষ্যে করা শৈবদর্শনের উপর আরোপিত আপত্তির নিরসন (২)

🔥প্রথম পর্বের লিঙ্ক 👉 ব্রহ্মসূত্র ভাষ্যে করা শৈবদর্শনের উপর আরোপিত আপত্তির নিরসন (১)  ॥ দ্বিতীয় পর্ব ॥  ♦️পূর্বপক্ষ-  👉মায়াকেই ব্রহ্মের শক্তি বলা হয়। আর মায়া কখনও ব্রহ্মে মিশে যেতে পারে না, সেক্ষেত্রে ব্রহ্ম নিজেই মিথ্যা হয়ে যাবে । মায়া এবং মায়ার সাথে ব্রহ্মের সম্পর্ক হল অনির্বচনীয়। আর পরা প্রকৃতি মানে পরা শক্তি নয়, বরং পরা প্রকৃতি মানে পুরুষ (২৫ নং তত্ত্ব) বা ক্ষেত্রজ্ঞ জীব। সুতরাং শৈব মত বেদ বিরুদ্ধ।  ♦️উত্তর পক্ষ-  এই প্রশ্নের উত্তর পূর্বের অংশেই দেওয়া হয় গেছে । শিবের সাথে অভিন্ন পরাশক্তিরই (পরাবিদ্যা বা ব্রহ্মবিদ্যা) অপরা স্বরূপ হল মায়া। ইহাই অপরাবিদ্যা আর এই মায়া তার পঞ্চআবরণ এর সহিত সাক্ষাৎ জড় প্রকৃতি হিসেবে বিবেচিত হন। সুতরাং, এই মায়া হল অশুদ্ধ মায়া এবং অন্তিমে এই মায়াই শুদ্ধ মায়া স্বরূপে পরাশক্তি স্বরূপে সাক্ষাৎ ব্রহ্ম পরমশিবের হৃদয়ে সমাহিত হয়ে যান। তাই ব্রহ্মের সাথে সরাসরি কখনো মায়া সংযুক্ত হন না, ব্রহ্মের সাথে সংযুক্ত হন সেই পরাচিতি বা চিৎ বা পরাপ্রকৃতি , যার উল্লেখ ভগবৎ গীতায় আমরা পাই। সুতরাং বলা যেতে পারে এই সুপ্ত বিমর্শ পরাশক্তি সম্পন্ন ব্রহ্ম

ব্রহ্মসূত্র ভাষ্যে করা শৈবদর্শনের উপর আরোপিত আপত্তির নিরসন (১)

🚩বিভিন্ন আচার্যদের ব্রহ্মসূত্র ভাষ্যে শৈব সম্প্রদায়কে নিয়ে করা সমালোচনার সঠিক বিশ্লেষণ এবং শৈব সম্প্রদায়ের উপর করা আপত্তির সঠিক জবাব -- এখানে দুটি পর্বে আলোচনা করা হয়েছে। লেখনীতে - শ্রী রোহিত কুমার চৌধুরী শৈবজী  প্রচারে - ISSGT (International Shiva Shakti Gyan Tirtha) ॥ প্রথম পর্ব ॥ আজকাল প্রায়শই বৈষ্ণববাদী আর স্মার্তবাদীদের মুখে একটাই কথা শোনা যায় যে, ব্রহ্মসূত্রের 'পত্যাধিকরণে' নাকি শৈব সম্প্রদায়কে খণ্ডন করা হয়েছে , বিভিন্ন অদ্বৈতবাদী আচার্য, বৈষ্ণব আচার্য এবং ব্যাসদেব স্বয়ং নাকি ব্রহ্মসূত্রে শৈব সম্প্রদায়কে খণ্ডন করে গেছেন। সুতরাং তাদের সেই দাবির প্রত্যুত্তর হবে এই পোস্ট। ♦️তাঁদের দাবি - পূর্ব পক্ষ -  👉শিব কর্তৃক সৃষ্ট আগম মতালম্বীদের মাহেশ্বর বলা হয়। আর এদের সিদ্ধান্ত অবৈদিক।  ♦️আমাদের তরফ থেকে জবাব (উত্তর পক্ষ) -  👉ভাষ্যকার/ টীকাকার দাবি করেছেন যে - আগম মতালম্বীদের মাহেশ্বর বলা হয়। কিন্তু এই দাবি মান্য নয়। কেননা মাহেশ্বর নামের কোনো আগমোক্ত শৈব সম্প্রদায় নেই।  কোনো শৈব শাস্ত্রে বা শৈব গুরু পরম্পরাগত কোনো শাস্ত্রে এরকম কোনো শব্দের উল্লেখ নেই, তাই শব্দপ্রমাণহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত