পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শৈব আগম কাকে বলে?

ছবি
  শ্রীকণ্ঠেন শিবেনোক্তং শিবায়ৈ চ শিবাগমঃ । শিবাশ্রিতানাং কারুণ্যাচ্ছ্রেযসামেকসাধনম্ ॥৩৯॥ [তথ্যসূত্র - শিবমহাপুরাণ/বায়বীয়সংহিতা/উত্তরখণ্ড/৭নং অধ্যায় ] সরলার্থ -  শ্রীকণ্ঠ শিব দেবী শিবার প্রতি যে জ্ঞানের উপদেশ দিয়েছিলেন সেই জ্ঞানকেই শিবাগম (শৈব আগম) বলা হয়। শিবে আশ্রিত(শৈব) ভক্তজনের উপর কৃপা করে কল্যাণের একমাত্র সাধন এই জ্ঞানের উপদেশ দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত - শৈবদের জন্য পরমেশ্বর শিব শৈব আগম প্রদান করেছেন লেখনীতে - © শ্রীমতী নমিতা রায় দেবীজী(ISSGT) 🚩 কপিরাইট ও প্রচারে- International shiva shakti gyan tirtha-ISSGT

বেদমন্ত্রের নামে ‘নকল মন্ত্র’ লিখে প্রচারকারী দয়ানন্দ সরস্বতীর কালো পর্দাফাঁস

ছবি
  ISSGT -এর পক্ষ থেকে অসনাতনী আর্যমসমাজী দের প্রচার করা নকল বেদ মন্ত্রের পর্দা ফাঁস করা হয়েছে এই আর্টিকেলে। আর্যসমাজীদের কাছে এই পোষ্টের লিঙ্ক শেয়ার করে উত্তর চাইবেন। কেননা এরা মনে করে যে আর্যসমাজ ই হল একমাত্র বৈদিক বেদজ্ঞ। আর বাকিরা সব পথভ্রষ্ট। আর এই অহংকারের বশবর্তী হয়ে এদের গুরু দয়ানন্দ সরস্বতী থেকে শুরু করে সকল আর্যসমাজী পুরাণ শাস্ত্রকে কাল্পনিক বলে অশ্লীল ভাবে সর্বদা গালিগালাজ করে এসেছে । তাই আমি এখানে এদের গুরু দয়ানন্দ সরস্বতীর রচিত কাল্পনিক বেদমন্ত্র কে তুলে ধরলাম, যাতে আর্যসমাজীদের আস্ফালন নিবারণ হয় চিরতরে । সকলে ধৈর্য্য সহকারে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়বেন। শুরু করছি পরমেশ্বর শিবের নামে... জয় গুরু শ্রীদক্ষিণামূর্তি.. শৈব গুরুপরম্পরার জয় 🙏 ব্রাহ্মণ গ্রন্থ আর অনেক সংহিতা কে দয়ানন্দ সরস্বতী বেদ বলে স্বীকার করেননি, লিখে দিয়েছেন যে, "ব্রাহ্মণ গ্রন্থ বেদ নয়, বরং সেটি হল পুরাণ"সংহিতার কিছু কিছু শাখা গুলির সম্পর্কে তিনি লিখেছেন যে, "এগুলিকে আমি প্রমাণ বলে মানিনা" । ফলে, তার কাছে চারটে পুস্তক মাত্র রয়ে গেছে , যার মধ্যে সমস্ত মন্ত্র নেই। এই কারণেই দয়ানন্দ সর

কলিযুগের বৈষ্ণবদের স্বরূপ

ছবি
  মধুদর্শিতমার্গেণ পাপিষ্ঠা বৈষ্ণবাঃ কলৌ । ভবিষ্যন্তি ততো ম্লেচ্ছা শূদ্রা যুথবহিষ্কৃতাঃ ॥৭৯ [তথ্যসূত্র - সৌরপুরাণ/৩৯নং অধ্যায়]   🚩 সরলার্থ - কলিযুগে মধু নামক মধ্বাচার্যের  পথ অবলম্বনকারী বহু পাপিষ্ঠ বৈষ্ণব উৎপন্ন হবে।তারপর, জাতিভ্রষ্ট শূদ্র ও ম্লেচ্ছরা এই বৈষ্ণব মার্গ অবলম্বন করতে শুরু করবে ।  ☀️ ব্যাখ্যা - বর্তমানে বহু ব্যক্তি কপালে বৈষ্ণব তিলক ও তুলসীর মালা গলায় ধারণ করে দিনরাত অশাস্ত্রীয় কার্য করে, শিবনিন্দা করে, নিজেদের বৈষ্ণব বলে দাবী করছে। তারা মধ্বাচার্যের পরম্পরার বৈষ্ণব বলে দাবী করছেন, অনেক বিদেশী ম্লেচ্ছরা সেই দলে যোগ দিয়ে দিনরাত অশাস্ত্রীয় কাজ করছে, সনাতন ধর্মের শাস্ত্র সৌরপুরাণ বর্তমানের এই অশাস্ত্রীয় কার্যকলাপের ভবিষ্যতবানী পূর্বকালেই করে রেখেছিল। তাই, অন্য যুগের বৈষ্ণবেরা বিশুদ্ধ।  কলিযুগের বৈষ্ণব মানেই তারা পাপী ও অজ্ঞানী- ইহাই শাস্ত্রবচন ।  সংগ্রহে - শ্রীনন্দীনাথ শৈব

মহাশিবরাত্রি কবে পালিত হয়

ছবি
  মাঘস্য হ্যসিতে পক্ষে বিশিষ্টা সাতি কীর্তিতা । নিশীথব্যাপানী গ্ৰাহ্যা হত্যাকোটিবিনাশিনী ॥২৪॥ [তথ্যসূত্র - শিব মহাপুরাণ/কোটিরুদ্রসংহিতা/৩৮ নং অধ্যায়] সরলার্থ - মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের শিব চতুর্দশী(মহাশিবরাত্রি) অত্যন্ত বিশিষ্ট বলা হয়। অর্ধরাত্রিকাল যুক্ত চতুর্দশী তিথিতেই এই ব্রত করা উচিত। কোটি হত্যার কর্মফল বিনাশকারী হল এই ব্রত(মহাশিবরাত্রি) । [আমান্ত চন্দ্রমাস অনুসারে মহাশিরাত্রি মাঘ মাসেই হয়ে থাকে এই সময় সূর্য সিদ্ধান্ত অনুসারে ফাল্গুন মাস শুরু হয়ে যায়] লেখনীতে - © শ্রীমতী নমিতা রায় দেবীজী(ISSGT) 🚩 কপিরাইট ও প্রচারে- International shiva shakti gyan tirtha-ISSGT

দয়ানন্দ সরস্বতীর অশ্লীল বেদ ভাষ্যের খণ্ডন পর্ব - ৩

ছবি
  [দয়ানন্দ সরস্বতী কৃত যজুর্বেদ ভাষ্য] যজুর্বেদ অধ্যায় ২৯, মন্ত্র ৭৬, ভণ্ড দয়ানন্দ এই বেদ মন্ত্রের অর্থের‌ও যে অনর্থ করে রেখেছে, তা কাউকে বলার যোগ্য নয়। এই ধরণের অশ্লীল লেখা তো ১৮+ উপন্যাসে বা দয়ানন্দ সরস্বতীর দ্বারা লিখিত কামশাস্ত্রেই পাবেন। হিন্দি ভাষায় দয়ানন্দ সরস্বতী যেভাবে লিখেছেন সেটি এখানে প্রথমে দেখানো হল 👇  तो मूत्रं वि जहाति योनिं प्रविशद् इन्द्रियम् गर्भो जरायुणावृत 5 उल्वं जहाति जन्मना । ऋतेन सत्यम् इन्द्रियं विपानम् शुक्रम् अन्धस 5 इन्द्रस्येन्द्रियम् इदं पयो ऽमृतं मधु ॥ - यजुर्वेद (१९/७६ }  দয়ানন্দ লেখা হিন্দি ভাষার অর্থ - "जैसे पुरुष का लिंग स्त्री की योनि में प्रवेश करता हुआ, वीर्य को छोड़ता है, और इससे अलग मूत्र को छोडता है, इससे जाना जाता है कि शरीर में मूत्र के स्थान से पृथक स्थान में विर्य रहता है"  এবার  হিন্দিভাষায়  দয়ানন্দ সরস্বতী বেদমন্ত্রের ভাষ্য করতে গিয়ে কি অর্থ বের করেছেন সেটি বাংলা ভাষায় দেখুন 👇 রেতো মূত্রং বি জহাতি যোনিং প্রবিশদ্ ইন্দ্রিয়ম্ । গর্ভো জরায়ুণাবৃতঽ জল্বং জহাতি জন্মনা ।  ঋতেন সত্যম্ ইন্দ্রিয়ং বিপানম্ঁ শুক্রম্ অন্ধসঽ ইন

সমস্ত ব্রতের প্রাথমিক ধর্ম

ছবি
  ক্ষমা সত্যং দযা দানং শৌচমিন্দ্রিযনিগ্ৰহঃ । সর্বব্রতেষ্বযং ধর্মঃ সামান্যো রুদ্রপূজনম্ ॥২২॥ [তথ্যসূত্র - লিঙ্গমহাপুরাণ/পূর্বভাগ/ ৮৪ নং অধ্যায়] সরলার্থ -  ক্ষমা, সত্য, দয়া, দান, শৌচ এবং ইন্দ্রিয়কে নিয়ন্ত্রনে রাখা, রুদ্র পূজা ইহা হল সমস্ত ব্রতের প্রাথমিক ধর্ম। লেখনীতে - © শ্রীমতী নমিতা রায় দেবীজী(ISSGT) 🚩 কপিরাইট ও প্রচারে- International shiva shakti gyan tirtha-ISSGT

দীক্ষিত ও অদীক্ষিত সকলের ষড়াক্ষর মন্ত্র উচ্চারণ করার অধিকার রয়েছে

ছবি
  ষড়ক্ষরেণ বা দেবং সূক্তমন্ত্রেণ পূজযেৎ । শিবভক্তো জিতক্রোধো হ্যলব্ধো এব চ ॥১০॥ [তথ্যসূত্র - শিবমহাপুরাণ/বায়বীয়সংহিতা/উত্তরখণ্ড/অধ্যায় ২৬] সরলার্থ -  (দীক্ষিত বা অদীক্ষিত) শিবভক্তদের উচিত ক্রোধরূপী বিকার কে নিয়ন্ত্রন‌ করে শাস্ত্রতে প্রতিপাদিত “ ষড়াক্ষর ” (ॐ নমঃ শিবায়) মন্ত্র বা বেদোক্ত সূক্তমন্ত্র দ্বারা শিবের পূজন করা। লেখনীতে - © শ্রীমতী নমিতা রায় দেবীজী(ISSGT) 🚩 কপিরাইট ও প্রচারে- International shiva shakti gyan tirtha-ISSGT

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত