দয়ানন্দ সরস্বতীর অশ্লীল বেদ ভাষ্যের খণ্ডন পর্ব - ৩
যজুর্বেদ অধ্যায় ২৯, মন্ত্র ৭৬, ভণ্ড দয়ানন্দ এই বেদ মন্ত্রের অর্থেরও যে অনর্থ করে রেখেছে, তা কাউকে বলার যোগ্য নয়। এই ধরণের অশ্লীল লেখা তো ১৮+ উপন্যাসে বা দয়ানন্দ সরস্বতীর দ্বারা লিখিত কামশাস্ত্রেই পাবেন।
হিন্দি ভাষায় দয়ানন্দ সরস্বতী যেভাবে লিখেছেন সেটি এখানে প্রথমে দেখানো হল 👇
तो मूत्रं वि जहाति योनिं प्रविशद् इन्द्रियम् गर्भो जरायुणावृत 5 उल्वं जहाति जन्मना । ऋतेन सत्यम् इन्द्रियं विपानम् शुक्रम् अन्धस 5 इन्द्रस्येन्द्रियम् इदं पयो ऽमृतं मधु ॥ - यजुर्वेद (१९/७६ }
দয়ানন্দ লেখা হিন্দি ভাষার অর্থ - "जैसे पुरुष का लिंग स्त्री की योनि में प्रवेश करता हुआ, वीर्य को छोड़ता है, और इससे अलग मूत्र को छोडता है, इससे जाना जाता है कि शरीर में मूत्र के स्थान से पृथक स्थान में विर्य रहता है"
এবার হিন্দিভাষায় দয়ানন্দ সরস্বতী বেদমন্ত্রের ভাষ্য করতে গিয়ে কি অর্থ বের করেছেন সেটি বাংলা ভাষায় দেখুন 👇
রেতো মূত্রং বি জহাতি যোনিং প্রবিশদ্ ইন্দ্রিয়ম্ ।
গর্ভো জরায়ুণাবৃতঽ জল্বং জহাতি জন্মনা ।
ঋতেন সত্যম্ ইন্দ্রিয়ং বিপানম্ঁ শুক্রম্ অন্ধসঽ ইন্দ্রস্যেন্দ্রিয়ম্ ইদং পয়োঽমৃতং মধু ॥
[যজুর্বেদ অধ্যায় ১৯, মন্ত্র ৭৬]
দয়ানন্দ সরস্বতীর উপরোক্ত বেদমন্ত্রের ভাষ্যের বাংলা অনুবাদ - যেমনভাবে পুরুষের লিঙ্গ স্ত্রীলোকের যোনির মধ্যে প্রবেশ করে বীর্য ত্যাগ করে দেয় আর এর থেকে ভিন্ন মূত্রকে ত্যাগ করে, এর থেকে জানা যায় যে, শরীরে মূত্রের স্থান থেকে পৃথক স্থানে বীর্য অবস্থিত থাকে ।
সমীক্ষা :
বাহঃ রে ! বেদভাষ্যের নাম দিয়ে কামশাস্ত্রের লেখক কামানন্দ সরস্বতী, আপনার আর কিভাবে প্রশংসা করবো ?
এমন ধরণের আজেবাজে অশ্লীল কথা লেখার সময় কি আপনার একটুও লজ্জা লাগে নি ?
আপনি যা লিখেছেন তাতে কোন ঐশ্বরীক জ্ঞান লুকিয়ে আছে ?
আপনার ভাষ্য লেখার আগে কি মানুষ জানতো না যে মূত্র ও বীর্যের স্থান পৃথক পৃথক ভাবে আছে ?
আপনি তো মনে হচ্ছে ঈশ্বরকেও ভাবিয়ে তুলেছেন এসব পর্ণস্টোরী লিখে ।
পাঠকবৃন্দ দেখুন এই আর্যসমাজীদের তথাকথিত মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী কি সব অশ্লীল ভাষ্য করেছে বেদমন্ত্রের ।
প্রকৃত পক্ষে, বেদের অর্থ এটি নয়।
এই বেদমন্ত্রের প্রকৃত অর্থ দেখুন 👇
রেতো মূত্রং বি জহাতি যোনিং প্রবিশদ্ ইন্দ্রিয়ম্ ।
গর্ভো জরায়ুণাবৃতঽ জল্বং জহাতি জন্মনা ।
ঋতেন সত্যম্ ইন্দ্রিয়ং বিপানম্ঁ শুক্রম্ অন্ধসঽ ইন্দ্রস্যেন্দ্রিয়ম্ ইদং পয়োঽমৃতং মধু ॥
[যজুর্বেদ অধ্যায় ১৯, মন্ত্র ৭৬]
অর্থ - যেমন ভাবে, গর্ভ নিজের রক্ষার জন্য স্বয়ং কে জরায়ুতে আবৃত করে থাকে, কিন্তু জন্মের পরবর্তীতে সেটিকে বিদীর্ণ করে সেটিকে পরিত্যাগ করে দেয়, যেমন ভাবে, একই মার্গ থেকে ভিন্ন ভিন্ন পদার্থ (মূত্র ও বীর্য) নিঃসৃত হয়ে থাকে, লৌকিক সত্য এই সত্যেরই রূপ বলে জানা উচিত। এই অন্ন স্বরূপ সোম, বিশিষ্ট সাধন, বল, অন্ন, তেজ, ইন্দ্রিয় সামর্থ, দুগ্ধাদি পেয় ও মধুর পদার্থকে আমাদের নিমিত্তে প্রদান করে থাকে ।
বেদভাষ্যের নাম দিয়ে কামশাস্ত্রের লেখক কামানন্দ সরস্বতী নিজেই অশ্লীলতায় ভরপুর হয়ে আছেন।
পুরাণ শাস্ত্রকে অশ্লীল বলা আর্যসমাজীরা আগে নিজের গুরু দয়ানন্দ সরস্বতীর অশ্লীল বেদভাষ্য দেখুন। অন্যদের গালিগালাজ করার আগে নিজেদের গুরু দয়ানন্দ সরস্বতীর অশ্লীলতা দর্শন করুন।
দয়ানন্দ সরস্বতীর কি একটুও লজ্জা করেনি নাকি পবিত্র বেদ শাস্ত্রের এই রকম অশ্লীল ভাষ্য করতে ?
দয়ানন্দ কি একবারো ভাবলেন না যে, যে বেদ ঋচাকে ঈশ্বরীয় বচন বলা হয়, সেই বেদের নামে অশ্লীল নোংরা ভাষ্য লিখলে বিদ্বান ব্যক্তিরা তাকে কি বলবে ?
যেই বেদকে সংসারের সমস্ত জ্ঞানের প্রথম আধার বলা হয় সেই বেদের নামে অশ্লীল ভাষ্য করে এই দয়ানন্দ সরস্বতী লোকের চোখে ঘৃণার বস্তু বানিয়ে ফেলেছে। ছিঃ দয়ানন্দ সরস্বতী আপনাকে ধিক্কার ।
অথচ এই দয়ানন্দ সরস্বতীই তার সত্যার্থ প্রকাশের ১২শ সমুল্লাসের মধ্যে, বেদের অশ্লীল ভাষ্য করার আরোপ লাগিয়ে মহীধর আদি টীকাকারদের ভণ্ড, ধূর্ত ও নিশাচর বলেছেন, কিন্তু দয়ানন্দ সরস্বতী নিজেই বেদ মন্ত্রের অর্থ অশ্লীলতার সাথে সাথে নিরর্থকও বানিয়ে ফেলেছেন ।
পাঠকবৃন্দ !
স্বয়ং বিচার করে বলুন, বেদ ভাষ্যের নামে দয়ানন্দ সরস্বতীর অন্তর্বাসনার কামরস এখানে প্রকট হচ্ছে কি না ?
সুতরাং, বেদকে দূষনকারী অশ্লীল দয়ানন্দ সরস্বতী সহ তার আর্যসমাজ কে ত্যাগ করুন ।
পরমেশ্বর মহাদেবের কৃপায় অসনাতনী আর্যমসমাজী ও দয়ানন্দ সরস্বতীর ধো_লা_ই চলছে , চলবে....
হর হর মহাদেব 😌
অপপ্রচার দমনে - শ্রীনন্দীনাথ শৈব
প্রচারে - ISSGT
পরবর্তী খণ্ডন দেখুন 👇
• দয়ানন্দ সরস্বতীর অশ্লীল বেদ ভাষ্যের খণ্ডন পর্ব - ৪
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন