পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

🚩 সূর্য স্বতন্ত্র ভাবে সাক্ষাৎ ব্রহ্ম কদাপি নন, বরং পরমেশ্বর শিব-ই সূর্যরূপ ধারণ করেন, তাই চিৎসূর্যরূপি শিবই সাক্ষাৎ ব্রহ্ম:-

ছবি
  " স্রষ্টা ভানুর্মহাতেজা বৃষ্টীনাং বিশ্বদৃগ্ভিভুঃ  সোঽপি সাক্ষাদ্ দ্বিজশ্রেষ্ঠাশ্চেশানঃ পরমঃ শিবঃ || ৬২ || স এব তেজস্ত্বোজস্তু বলং বিপ্রা যশঃ স্বযং | .... ৬৩ || সত্যং ঋতং তথা বাযুরম্বরং খচরশ্চ সঃ | লোকপালো হরির্ব্রহ্মা রুদ্রঃ সাক্ষান্মহেশ্বরঃ || ৬৪ || সহস্রকিরণঃ শ্রীমানষ্টহস্তঃ সুমঙ্গলঃ | অর্ধনারীবপুঃ সাক্ষাৎ-ত্রিনেত্রস্ত্রিদশাধিপঃ || ৬৪ || " (তথ্যসূত্র- শ্রীলিঙ্গমহাপুরাণ/পূর্বভাগ/অধ্যায় নং ৫৪) অর্থ- হে দ্বিজশ্রেষ্ঠ! বিশ্বের নেত্রস্বরূপ মহাতেজস্বী যে ভানু (সূর্য) হতে বৃষ্টির সৃষ্টি হয়ে থাকে, তা সাক্ষাৎ পরমশিব‌‌ ঈশান-ই । তিনিই তেজস্বরূপ, তিনিই ওজ স্বরূপ, তিনিই বল ও যশ স্বরূপ তিনিই পরম সত্য , তিনিই বায়ু, অম্বর, গ্রহ, লোকপাল স্বরূপ। তিনিই সাক্ষাৎ হরি, ব্রহ্মা, রুদ্র এবং মহেশ্বর। তিনি সহস্র-কিরণের ন্যায় শোভা সম্পন্ন, তিনি অষ্টবাহু, মঙ্গলময় সাক্ষাৎ অর্ধনারীশ্বর তিনিই সাক্ষাৎ ত্রিনেত্রধারী, ত্রিদশার (জাগ্রত, স্বপ্ন, সুষুপ্তি) অধিপতি (পরমেশ্বর শিব)। শ্রুতিশাস্ত্র শ্রীমৎ অংশুমদ্ আগমে স্পষ্টভাবেই পরমেশ্বর শিব বলছেন - " সকলঃ সূর্যরুপস্তু নিষ্কলঃ শিব এব চ " - অর্থাৎ ন

🚩 উত্তরভারতে শৈব সিদ্ধান্ত পরম্পরার ইতিহাস

ছবি
  ☘️ প্রাচীন সিদ্ধান্ত শৈব সম্প্রদায়ভুক্ত অষ্টাদশ শৈব পদ্ধতিকার আচার্য্যবৃন্দ এবং শৈব ধর্মের ইতিহাসে তাঁদের অবদান------ " উগ্রোত্তরজ্যোতিরথো স সদ্যঃ শ্রীরামকণ্ঠোঽপি চ বৈদ্যকণ্ঠঃ | নারায়ণশ্চাপি বিভূতিকণ্ঠঃ শ্রীনীলকণ্ঠাবপি সোমশংভু || ৩৪২ || ঈশানশংভুর্হৃদযাদিনা স্যাৎ বিরিঞ্চিবৈরাগ্যকযুগ্মবাচ্যৌ | জ্ঞানস্ত্রিণেত্রো বরুণেশ্বরৌ তাবিত্যাদযস্তে স্যুরঘোরশংভুঃ || ৩৪৩ || " (তথ্যসূত্র - কাঞ্চিপুরনিবাসী শ্রীজ্ঞানশিবাচার্য্য চরণাশ্রিত শ্রীপঞ্চাক্ষর শিবযোগীরচিত 'শৈব ভূষণ') 👉 প্রাচীনকালে সমগ্র উত্তর, মধ্য এবং পূর্বভারত জুড়েই শৈব সিদ্ধান্ত পরম্পরা স্বমহিমায় অত্যন্ত দাপটের সহিত বিরাজমান ছিল। স্থানে স্থানে ছিল একাধিক শৈব মঠ এবং সিদ্ধ শৈব আচার্য্যগণেরা, পরবর্তীতে যাঁরা দাক্ষিণাত্যে বসতি গড়ে তোলেন। শৈব দার্শনিক প্রস্থান গ্রন্থের পাশাপাশি, তাঁরা-ই নিত্য শিব উপাসনা, আত্মার্থ শিব সাধনা, পরার্থ পূজা, নিত্যকর্ম, শৈব দীক্ষা ইত্যাদির  নিমিত্ত প্রাচীন শৈবতন্ত্র, আগম শাস্ত্রের উপর ভিত্তি করে একাধিক শৈব অর্চনাপদ্ধতি গ্রন্থ প্রনয়ণ করেন যেগুলির উপর ভিত্তি করে আজও দক্ষিণভারতে শিবের আত্মার্থ ও

সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের অন্তর্গত “ প্রথম সমুল্লাস” -এর খণ্ডন — মিথ্যার্থ প্রকাশ

ছবি
আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর লেখা সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের খণ্ডন — সনাতন ধর্মের সর্বপ্রাচীন এক ও অদ্বিতীয় গুরুপরম্পরা হল মহাপাশুপত পরম্পরা, সেই মহাপাশুপতের ধারা শৈব অবধূত পরম্পরার বর্তমান মহামান্য আচার্য শ্রী নন্দীনাথ শৈবাচার্যের অনুপ্রেরণায় ও সহযোগীতায় International Shiva Shakti Gyan Tirtha — ISSGT শৈব সংগঠনের পক্ষ থেকে মহামান্য শ্রীসোমনাথ শৈব জী দ্বারা লিখিত আকারে সমগ্র বাংলাতে এই সর্ব প্রথমবার প্রকাশ করা হল “সত্যার্থ প্রকাশ পুস্তকের খণ্ডন” সমন্বিত — মিথ্যার্থ প্রকাশ অথ মিথ্যার্থ প্রকাশ — সত্যার্থ প্রকাশের অন্তর্গত প্রথম সমুল্লাস ও তার খণ্ডন   ॥ ॐ গণেশায় নমঃ । ॐ শ্রীগুরুভ্যো নমঃ । ॐ নমঃ শিবায় ॥ 🟪  (১) দয়ানন্দ সরস্বতীর প্রথম দাবী (১)  🟪 "ও৩ম্‌ শন্নো মিত্রঃ শং বরুণঃ শন্নো ভবত্বর্য্যমা । শন্নঽইন্দ্রো বৃহস্পতিঃ শন্নো বিষ্ণুরুরুক্রম ।।নমো ব্রহ্মণে নমস্তে বায়ো ত্বমেব প্রত্যক্ষং ব্রহ্মাসি । ত্বামেব প্রত্যক্ষং ব্রহ্ম বদিষ্যামি ঋতং বদিষ্যামি সত্যং বদিষ্যামি । তন্মামবতু তদ্বক্তারমবতু । অবতু মামবতু বক্তারম্‌ । ও৩ম্‌ শান্তিশ্‌ শান্তিশ্‌ শান্তি । অর্থঃ- 'ওম্‌&#

শিব অভিলাষাষ্টক স্তোত্র (শিবমহাপুরাণোক্ত)

ছবি
  মোক্ষপুরী বারাণসী কাশীতে বিশ্বানর মুনির দ্বারা বীরেশ লিঙ্গ অর্চিত হ‌ওয়ার কারণে, পরমেশ্বর শিব অত্যন্ত প্রসন্ন হয়ে একটি বালকরূপে শিবলিঙ্গের উপর নৃত্যরত অবস্থায় দর্শন দেন, তখন বিশ্বানর মুনি যে স্তোত্র উচ্চারণ করে মহেশ্বর কে প্রসন্ন করেছিলেন, সেটিই অভিলাষাষ্টক স্তোত্র নামছ পরিচিত । স্ত্রোত্র পাঠের ফল : যে ব্যক্তি এক বছর ধরে শিবের সন্নিকটে বিশ্বানর দ্বারা কথিত এই পুণ্যময় অভিলাষাষ্টক স্তোত্র তিন কাল পাঠ করবেন, তাঁর সমস্ত অভিলাষ গৃহপতি মহাদেব পূর্ণ করবেন। এই স্তোত্রের পাঠ পুত্র, পৌত্র  ও ধনের প্রদাতা, সর্বদা শান্তিকারক, সমস্ত বিপদ বিনাশক, স্বর্গ ও মোক্ষরূপ সম্পত্তির কর্তা ও সমস্ত  কামনাপূরণকারী। এটি নিঃসন্দেহে একাই সর্ব স্তোত্রের‌ সমান। শিব অভিলাষাষ্টক স্তোত্রটি সংগ্রহ করে International Shiva Shakti Gyan Tirtha — ISSGT-র পক্ষ থেকে প্রথম প্রকাশ করলেন শ্রী নন্দীনাথ শৈবাচার্য জী । নমঃ শিবায় ॥ একং ব্রহ্মৈবাদ্বিতীয়ং সমস্তং সত্যং সত্যং নেহ নানাস্তি কিঞ্চিৎ । একো রুদ্রো ন দ্বিতীয়োহবতস্থে তস্মাদেকং ত্বাং প্রপদ্যে মহেশম্ ॥ ১ কর্তা হর্তা ত্বং হি সর্বস্য শন্তো নানারূপেম্বেকরূপোহপ্যরূপঃ । যদ্বৎ

বৈষ্ণববীয় পঞ্চরাত্র আগম‌ সৃষ্টির কারণ কি এবং সেগুলি কেন বেদবিরুদ্ধ অবৈদিক ? জেনে নিন

ছবি
ॐ গণেশায় নমঃ ॥ শ্রীগুরুভ্যো নমঃ ॥ শ্রীসাম্বসদাশিবায় নমঃ ॥  বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে বৈষ্ণবেরা অত্যন্ত শিবনিন্দা করতে শুরু করেছে। তারা তাদের প্রামাণ্য শাস্ত্র হিসেবে “পঞ্চরাত্র” আগম(তন্ত্র) কে ব্যবহার করে, তার অন্তর্গত ব্রহ্মসংহিতা বা অনন্তসংহিতার মধ্যে থেকে শিবনিন্দা মূলক কিছু শ্লোক দেখিয়ে দাবী করছে যে পরমেশ্বর শিব একমাত্র পরমব্রহ্ম নন, তথা পঞ্চরাত্র আগম‌ কে বেদসম্মত বলে দাবী করছে। তাই ISSGT শৈবদের পক্ষ আমি শ্রী নন্দীনাথ শৈব সনাতন ধর্মের শাস্ত্র থেকেই  দেখাবো যে পঞ্চরাত্র আগম‌ সৃষ্টির কারণ কি ছিল ? সেগুলি কোনোভাবে বেদসম্মত নাকি বেদবিরুদ্ধ ? (প্রমাণ — ১) পুরা দারুবনে পুণ্যে মুনয়ো গৃহমেধিনঃ। ঈশ্বরারাধনার্থায় তপশ্চেরুঃ সহস্রশঃ ॥৯৫ ততঃ কদাচিন্মহতী কালযোগেন দুস্তরা। অনাবৃষ্টিরতীবোগ্রা হ্যাসীদ্ভুতমিনাশিনী ॥৯৬ সমেত্য সৰ্ব্বে মুনয়ো গৌতমং তপসাং নিধিম্। অযাচস্ত ক্ষুধাবিষ্টা আহারং প্রাণধারণম্ ॥৯৭ স তেভ্যঃ প্ৰদদাবন্নং সৃষ্টং বহুতরং বুধঃ। সর্ব্বে বুভূজিরে বিপ্রা নিৰ্ব্বিশঙ্কেন চেতত্সা ॥৯৮ গতে চ দ্বাদশে বর্ষে কল্পান্ত ইব শঙ্করী। বভুব বৃষ্টির্মহতী যথাপূৰ্ব্বমভূজ্জগৎ ॥৯৯ ততঃ সর্ব্

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত