বৈষ্ণববীয় পঞ্চরাত্র আগম‌ সৃষ্টির কারণ কি এবং সেগুলি কেন বেদবিরুদ্ধ অবৈদিক ? জেনে নিন

Pancharatra Khandan story puran


ॐ গণেশায় নমঃ ॥

শ্রীগুরুভ্যো নমঃ ॥

শ্রীসাম্বসদাশিবায় নমঃ ॥

 বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে বৈষ্ণবেরা অত্যন্ত শিবনিন্দা করতে শুরু করেছে। তারা তাদের প্রামাণ্য শাস্ত্র হিসেবে “পঞ্চরাত্র” আগম(তন্ত্র) কে ব্যবহার করে, তার অন্তর্গত ব্রহ্মসংহিতা বা অনন্তসংহিতার মধ্যে থেকে শিবনিন্দা মূলক কিছু শ্লোক দেখিয়ে দাবী করছে যে পরমেশ্বর শিব একমাত্র পরমব্রহ্ম নন, তথা পঞ্চরাত্র আগম‌ কে বেদসম্মত বলে দাবী করছে। তাই ISSGT শৈবদের পক্ষ আমি শ্রী নন্দীনাথ শৈব সনাতন ধর্মের শাস্ত্র থেকেই  দেখাবো যে পঞ্চরাত্র আগম‌ সৃষ্টির কারণ কি ছিল ?

সেগুলি কোনোভাবে বেদসম্মত নাকি বেদবিরুদ্ধ ?

(প্রমাণ — ১)

পুরা দারুবনে পুণ্যে মুনয়ো গৃহমেধিনঃ।
ঈশ্বরারাধনার্থায় তপশ্চেরুঃ সহস্রশঃ ॥৯৫
ততঃ কদাচিন্মহতী কালযোগেন দুস্তরা।
অনাবৃষ্টিরতীবোগ্রা হ্যাসীদ্ভুতমিনাশিনী ॥৯৬
সমেত্য সৰ্ব্বে মুনয়ো গৌতমং তপসাং নিধিম্।
অযাচস্ত ক্ষুধাবিষ্টা আহারং প্রাণধারণম্ ॥৯৭
স তেভ্যঃ প্ৰদদাবন্নং সৃষ্টং বহুতরং বুধঃ।
সর্ব্বে বুভূজিরে বিপ্রা নিৰ্ব্বিশঙ্কেন চেতত্সা ॥৯৮
গতে চ দ্বাদশে বর্ষে কল্পান্ত ইব শঙ্করী।
বভুব বৃষ্টির্মহতী যথাপূৰ্ব্বমভূজ্জগৎ ॥৯৯
ততঃ সর্ব্বে মুনিবরাঃ সমামন্ত্র্য পরম্পরম্।
মহর্ষিং গৌতমং প্ৰোচুৰ্গচ্ছাম ইতি যোগতঃ ৷৷১০০
নিরারয়ামাস চ তান্ কঞ্চিৎ কালং যথাসুখম্।
উষিত্বা মদ্‌গৃহেহবশ্যং গচ্ছধ্বমিতি পণ্ডিতাঃ৷৷১০১
ততো মায়াময়ীং সৃষ্ট্বা কৃষ্ণাং গাং সৰ্ব্ব এব তে
সমীপং প্রাপয়ামাসুর্গৌতমস্য মহাত্মনঃ॥১০২
সোহনুবীক্ষ্য কৃপাবিষ্টস্তস্যা সংরক্ষণোৎসুকঃ।
গোষ্ঠে তাং বন্ধয়ামাস স্পষ্টমাত্রা মমার সা।১০৩
সশোকেনাভিসন্তপ্তঃ কাৰ্য্যাকাৰ্য্যং মহামুনিঃ।
ন পশ্যতি স্ম সহসা তমৃষিং মুনয়োহব্রুবন্ ॥১০৪
গোবধ্যেয়ং দ্বিজশ্রেষ্ঠ যাবৎ তব শরীরগা।
তাবৎ তেহমংন ভোক্তব্যং গচ্ছামো বয়মেব হি ॥১০৫
তেন তেহনৃমতাঃ সন্তো দেবদারুবনং শুভম্।
জগুঃ পাপবশং নীতাস্তপশ্চর্তুং যদা পুরা ॥১০৬
স তেষাং মায়য়া জাতাং গোবধ্যাং গৌতমো
মুনিঃ।
কেনাপি হেতুনা জ্ঞাত্বা শশাপাতীব কোপতঃ ৷৷১০৭
ভবিষ্যধ্বং ত্রয়ীবাহ্যা মহাপাতকিভিঃ সমাঃ।
বহুশন্তে তথা শাপাজ্জায়মানাঃ পুনঃপুনঃ৷১০৮
সর্ব্বে সম্প্রাপ্য দেবেশং শঙ্করং বিষ্ণুমব্যয়ম্।
অস্তবঁল্লৌকিকৈঃ স্তোত্রৈরুচ্ছিষ্টা ইব সৰ্ব্বগৌ॥১০৯
দেবদেবৌ মহাদেবৌ ভক্ত্বানামাৰ্ত্তিনাশনৌ।
কামবৃত্ত্যা মহাযোগৌ পাপান্নদ্ৰাতুমহতঃ ॥১১০
তদা পার্শ্বস্থিতং বিষ্ণুং সম্প্ৰেক্ষ্য বৃষভধ্বজঃ।
কিমেতেষাং ভবেৎ কাৰ্য্যং প্ৰাহ পুণ্যৈষিণামিতি ॥১১১
ততঃ স ভগবান্ বিষ্ণুঃ শরণ্যো ভক্তবৎসলঃ।
গোপতিং প্ৰাহ বিপ্ৰেদ্ৰানালোক্য প্রণতান্ হরিঃ ॥১১২
ন বেদবাহ্যে পুরুষে পুণ্যলেশোহপি শঙ্কর।
সংগচ্ছতে মহাদেব ধৰ্ম্মো বেদাদ্বিনিৰ্ব্বভৌ ॥১১৩
তথাপি ভক্তবাৎসল্যাদ্রক্ষিতব্যা মহেশ্বর।
অস্মাভিঃ সৰ্ব্ব এবৈতে গন্তারো নরকানপি ॥১১৪
তস্মাব্ধি বেদবাহ্যানাং রক্ষণার্থায় পাপিনাম্।
বিমোহনায় শাস্ত্রাণি করিষ্যামো বৃষধ্বজ৷১১৫
এবং সম্বোধিতো রুদ্রো মাধবেন মুরারিণা
চকার মোহশাস্ত্রাণি কেশবোহপি শিবেরিতঃ।।১১৬
কাপালং নাকূলং বামং ভৈরবং পূর্ব্বপশ্চিমম্।
পঞ্চরাত্রং পাশুপতং তথান্যানি সহস্ৰশঃ॥১১৭
সৃষ্ট্বা তানাহ নিৰ্ব্বেদাঃ কূৰ্ব্বণাঃ শাস্ত্রচোদিতম্
পতন্তো নরকে ঘোরে বহূন কল্পান্ পুনঃপুনঃ ॥১১৮
জায়ন্তো মানুষে লোকে ক্ষীণপাপচয়াস্ততঃ ।
ঈশ্বরারাধনবলাদগচ্ছধ্বং সুকৃতাং গতিম্ ॥১১৯
বর্তধ্বং মৎপ্রসাদেন নান্যথা নিষ্কৃতিহি বঃ।
এবমীশ্বর-বিষ্ণুভ্যাং চোদিতাস্তে মহৰ্ষয়ঃ।
আদেশং প্রত্যপদ্যন্ত শিবস্যাসুরবিদ্বিষঃ॥১২০
চক্রুন্তেহন্যানি শাস্ত্রণি তত্র তত্র রতাঃ পুনঃ।
শিষ্যানধ্যাপয়ামাসুদর্শয়িত্বা ফলানি চ॥১২১
মোহয়ন্ত ইমং লোকমবতীৰ্য্য মহীতলে।১২২

[তথ্যসূত্র — কূর্মপুরাণ/পূর্বভাগ/অধ্যায় ১৬]

অর্থ —
            পূর্বকালে হাজার হাজার সংখ্যক গৃহমেধী মুনি, পবিত্র দেবদারুবনে মহাদেবের সন্তোষসাধনের জন্য তপস্যা করছিলেন । তখন কোনো এক সময়ে, সময়ের ধৰ্ম ক্রম অনুযায়ী প্রচণ্ড, দুস্তর, প্রজা-নাশক অনাবৃষ্টি হয়েছিল।

তখন সমস্ত মুনিরা ক্ষুধায় কাতর হয়ে তপোনিধি গৌতম ঋষির কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন এবং প্রাণ-ধারণের জন্য উপযুক্ত আহারের দেবার জন্য প্রার্থনা করলেন। ঋষি গৌতম সেই সকল মুনিকে নানাপ্রকারের শুদ্ধ পবিত্র অন্ন দিয়েছিলেন এবং তারা সকলেই নির্ভয়চিত্তে সেই অন্ন ভোজন করেছিলেন। কল্পান্তের মতো ১২ বৎসর অতিবাহিত হলে, সকলের কল্যাণপ্রদ অতি মহৎ বৃষ্টি হলো এবং জগত‌ও পূর্বের মতো শস্যশ্যামল হয়ে উঠলো।
তখন মুনিগণেরা নিজেদের মধ্যে পরস্পর আলোচনা করে সবাই একসাথে গিয়ে মহর্ষি গৌতমকে বললেন,—আমরা এখন চলে যাই। গৌতম তাদের নিবারণ করবার জন্য বলিতে লাগিলেন — হে পণ্ডিতগণ ! আপনারা আরো কিছুকাল আমার গৃহে সুখে বাস করুন ।
তারপরে আপনারা অবশ্যই গমন করবেন।তখন সেই সমস্ত মুনিঋষিগণেরা সকলে একটি মায়াময়ী কৃষ্ণবর্ণা গাভীর(গরু) সৃষ্টি করে, মহাত্মা গৌতমের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। গৌতম ঐ গাভীকে দেখে, কৃপাবশত গাভীকে পালন করবার জন্য উৎসুক হয়েছিলেন, কিন্তু গাভীটিকে গোষ্ঠে বন্ধন করতে গিয়ে গাভীটিকে স্পর্শ করা মাত্রই গাভী প্রাণ ত্যাগ করে মৃত্যুবরণ করল।
  মহামুনি গৌতম সেই গাভী মৃত্যুর শোকে সন্তপ্ত হয়ে কি করা উচিত আর অই করা উচিত নয় তা কিছুই বুঝিতে পারলেন না। তখন সেই সমস্ত মুনিরা এসে গৌতম ঋষিকে বললেন — হে দ্বিজশ্রেষ্ঠ ! এই গোহত্যাজনিত পাপ যতদিন তোমার শরীরে থাকবে, ততদিন তোমার অন্ন ভোজন করা উচিত নয়, অতএব আমরা চললাম। তখন সেই মুনিগণ এইভাবে ছলপূর্ব্বক গৌতমকে পাপী বানিয়ে তার অনুমতিগ্রহণ করে পূর্বের মতোই পবিত্র দেবদারুবনে তপস্যা করিতে গমন করতে উদ্যত হলেন। গৌতম মুনি সেই গোহত্যাজনিত পাপকে কোন কারণে ঐ মুনিদের মায়ার দ্বারা সংঘটিত হ‌য়েছে বলে জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ অত্যন্ত ক্রোধে সেই মুনিদের শাপ দিয়ে বললেন — “রে পাপিষ্ঠগণ! তোরা মহাপাতকী, অতএব তোরা বেদবহিষ্কৃত হয়ে যাবি। আমার শাপে তোদের বার বার জন্ম গ্রহণ করতে হবে।”
তখন গৌতমের দেওয়া শাপগ্রস্ত ও উচ্ছিষ্টের ন্যায় অপবিত্র মুনিগণেরা দেবারাধ্য পরমেশ্বর শঙ্কর ও ভগবান বিষ্ণুকে লৌকিক স্তোত্র দ্বারা স্তব করতে করতে বলতে লাগলেন,— হে মহেশ্বর হে বিষ্ণু আপনারা মহাযোগের গম্য, স্বেচ্ছাক্রমে সর্ব্বগামী এবং ভক্তজনের আর্ত্তিহর, আপনারা আমাদেরকে এই পাপ হতে মুক্ত করুন।

তখন মহাদেব উপস্থিত হয়ে পাশে বিষ্ণুকে দেখে বিষ্ণুকেই বললেন যে, তাদের এ অবস্থায় আর কি গতি হবে ? তথাপি এরা পুণ্য লাভ করতে ইচ্ছুক!

তখন ভগবান শ্রীবিষ্ণু, মুনিদের প্রণাম করতে দেখে, গোমাতাদের অধিপতি মহেশ্বর কে বললেন,- হে প্রভু মহাদেব ! যে সমস্ত ব্যক্তি বেদবহিষ্কৃত, তাদের কিছুমাত্র পুণ্য থাকে না, যেহেতু ধর্ম‌ই বেদের মূল তত্ত্ব তথা হতেই ধর্ম প্রকাশিত হয়েছে। অতএব, এনারা এভাবে চলতে চলতে নিশ্চয়ই নরকে গমন করবে ।
তথাপি হে প্রভু মহাদেব !
ভক্তের প্রতি বাৎসল্যবশতঃ এই মুনিদেরকে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
হে বৃষধ্বজ !
সুতরাং আমি এই বেদবহিষ্কৃত পাপাত্মাদের রক্ষণের জন্য ও অথচ এদের বিমোহিত করিবার জন্য শাস্ত্র সকল রচনা করবো।
কৈলাসপতি রুদ্র, মুরারি মাধবের মুখে এভাবেই কথাগুলি শুনলেন এবং কেশবও শিবের অনুমতি নিয়ে তারা উভয়েই কাপাল, নাকূল, বাম-ভৈরব, পূর্ব্বপশ্চিম, পঞ্চরাত্র তন্ত্র ও পাশুপত তন্ত্র সহ অন্যান্য আরো সহস্র সহস্ৰ মোহশাস্ত্র গুলি রচনা করলেন। তারা ঐ সমস্ত শাস্ত্র সকল সৃষ্টি করে তাদের বললেন, তোমাদের বেদ-বহিষ্কৃত ও অনেক কল্পকাল মনুষ্য জন্ম লাভ করে ঘোর নরকে বার বার পতিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে, অতএব শাস্ত্র-নির্দিষ্ট কার্য্য করে অন্তত ঈশ্বর আরাধনার বলে ক্ষীণপাপ হইয়া তোমরা সদ্গতি লাভ করো। তোমরা আমাদের আদেশ অনুসারে চলো, তা নাহলে তোমরা অন্য কোনো উপায়ে নিস্তার পাবে না। দেবতাপরায়ণ মহর্ষিগণেরা ভগবান রুদ্র ও শ্রীবিষ্ণু দ্বারা ভাবে আদিষ্ট হয়ে, তাদের আদেশ প্রতিপালন করেছিলেন। সেই মুনিরাই আবার সেই সকল সকল অবৈদিক তথা বেদবিরুদ্ধ শাস্ত্রকে মান্য করে চলতে চলতে সেই শাস্ত্রগুলির‌ মতোই আরো পর ও অপর শাস্ত্র রচনা করেছিলেন এবং তাদের রচনা করা সেই বেদবিরুদ্ধ শাস্ত্র মান্য করলে তাতে কি কি ফল লাভ হবে তা দেখিয়ে সেই মুনিগণেরা তাদের শিষ্যদের অধ্যয়ন করিয়েছিলেন।

🔥 বিশ্লেষণ —  গৌতম ঋষি মুনিদের বেদবহিষ্কৃত হবার অভিশাপ দিয়েছেন, এর ফলে ঐ মুনিদের কাছে উদ্ধার পাবার জন্য  অন্য কোনো শাস্ত্র ছিল না। যারা কোনো (বৈদিক/অবৈদিক) শাস্ত্রের‌ই বিধান অনুযায়ী চলেন না তাদের কোনো ভাবেই উদ্ধার হয় না। তাই গৌতম ঋষির অভিশাপে শাপগ্রস্ত মুনিদের উদ্ধার করবার জন্য অবৈদিক পঞ্চরাত্র আগম‌ শাস্ত্র রচনা করেন ভগবান শ্রীবিষ্ণু। পরমেশ্বর রুদ্র‌ও অবৈদিক পাশুপত তন্ত্র শাস্ত্র রচনা করে দেন। যাতে অভিশাপগ্রস্ত মুনিরা অন্তত শাস্ত্র মার্গেই থাকতে পারেন, অন্তত তারা ঈশ্বরের নাম করে কিছু পুণ্য অর্জন করে তার মাধ্যমে কোনো এক জন্মে পুনরায় বেদোক্ত শাস্ত্রীয় মার্গে চলতে পারেন। অবৈদিক হলেও অন্তত শাস্ত্রের মার্গে থেকে অনেকবার জন্ম নিয়ে কোনো এক জন্মে পুনরায় তারা যেন বৈদিক শাস্ত্রের মার্গে ফিরে এসে নিজেদের উদ্ধার করতে পারেন, এই উদ্দেশ্যেই শ্রীবিষ্ণু ও কৈলাসপতি রুদ্রদেব‌ও অবৈদিক শাস্ত্রগুলি রচনা করে ঐ অভিশাপগ্রস্ত মুনিদের প্রদান করলেন।

শাস্ত্রে দুধরণের বিদ্যা থাকে, পর ও অপর বিদ্যা। বেদ ও বৈদিক শাস্ত্র গুলিকে পরবিদ্যা সম্মত অর্থাৎ পরমগতি প্রদানকারী শুভবিদ্যা, আর বেদবিরুদ্ধ অবৈদিক শাস্ত্রগুলিকে অপরবিদ্যা অর্থাৎ মায়ায় আচ্ছন্নকারী জন্মমৃত্যুর চক্রে আবদ্ধকারী অশুভবিদ্যা বলা হয়।

বৈদিক পরাশাস্ত্রের অনুসরণের ফলে শীঘ্রই মোক্ষলাভ হয়। কিন্তু বেদবিরুদ্ধ শাস্ত্রকে অনুসরণ করলে বহু জন্ম নিয়ে অসহনীয় কষ্টভোগ করে কোনো একজন্মে পুনরায় বৈদিক পরাশাস্ত্রের অনুসরণ করে তবেই মোক্ষলাভ করতে পারে জীব । তাই শাস্ত্রে অবৈদিক পথকে নিন্দা করা হয়েছে, প্রাচীন আচার্যরাই এই অবৈদিক শাস্ত্রগুলিকে খণ্ডন করে অমান্য বলে ঘোষনা করে গিয়েছেন।
আর কলিযুগেও ঐ মোহনাত্মক পঞ্চরাত্র আগম‌ কে অনেক বৈষ্ণবেরা নিজেদের প্রামাণ্য শাস্ত্র বলে প্রচার করে চলেছে, যা বেদবিরুদ্ধ।


(প্রমাণ — ২)

কূর্মপুরাণের বাক্যকে সমর্থন করে এক‌ই ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে স্কন্দপুরাণের সূতসংহিতার যজ্ঞবৈভবখণ্ডের ৩২তম অধ্যায়ে, সেই অধ্যায়ের ৩৯ নং শ্লোকে বলা হয়েছে —
গৌতম উবাচ ।
মহাদেবস্বরূপে চ মহাদেবস্য বিগ্রহে ।
মহাদেবস্য ভক্তৌ চ মহাদেবস্য নাম্নি চ ॥১৯
মহাদেবস্য বিজ্ঞানে মহাদেবপরিগ্রহে ।
মহাদেবস্য চ স্থানে মহাদেবস্য কীর্তিষু ॥২০
মহাদেবায় দানে চ মহাদেবাশ্রয়েষু চ ।
মহাদেবস্য চ উৎকর্ষে ত্রিপুণ্ড্রোদ্ধূলনাদিষু ॥২১
রুদ্রাক্ষধারণে রুদ্রলিঙ্গস্যৈব তু পূজনে ।
রুদ্রালয়দিদৃক্ষায়াং রুদ্রযাত্রাদিকর্মসু ॥২২
যদ্যত্তু রুদ্রসম্বন্ধি তত্র তত্রাপি দুর্জনাঃ ।
ভবতানুন্মুখা যূয়ং সর্বদা ব্রাহ্মণাধমাঃ ॥২৩
বেদভক্তৌ তথাঽঽস্মিক্যে যোগাঙ্গেষু ।
ভবতানুন্মুখা যূয়ং সর্বদা ব্রাহ্মণাধমাঃ ॥২৯
শ্রুতিস্মৃতিপুরাণোক্তেষ্বর্থেষু সকলেষু চ ।
ভবতানুন্মুখা যূয়ং সর্বদা ব্রাহ্মণাধমাঃ ॥৩০
বিষ্ণবাদিদেবতাঃ সর্বা বিশিষ্টাঃ শঙ্করাদিতি ।
ভ্রান্তিবিজ্ঞানসম্পন্না ভবত ব্রাহ্মণাধমাঃ ॥৩২
শঙ্খচক্রগদাপদ্মদণ্ডপাশাঙ্কুশাদিভিঃ ।
অঙ্কিতাঃ শ্রদ্ধয়া যূয়ং সর্বদা ব্রাহ্মণাধমাঃ ॥৩৩
পঞ্চরাত্রে চ কাপালে তথা কালামুখেঽপি চ ।
শাক্তে চ দীক্ষিতা যূযং ভবত ব্রাহ্মণাধমাঃ ॥৩৯
বৌদ্ধে চার্হন্মতে চৈব তথা পাশুপতেঽপি চ ।
শাংভবে দীক্ষিতা যূযং ভবত ব্রাহ্মণাধমাঃ ॥৪০
পাষণ্ডেষু তথাঽন্যেষু মার্গেষ্বশ্রৌতকেষু চ ।
শ্রদ্ধয়া দীক্ষিতা যূয়ং ভবত ব্রাহ্মণাধমাঃ ॥৪১

[তথ্যসূত্র : স্কন্দপুরাণ/সূতসংহিতা/যজ্ঞবৈভবখণ্ড/৩২অধ্যায়]

অর্থ — ঋষি গৌতম ঐ মুনিদের বললেন, মহাদেবের রূপ দর্শনে, শিবমূর্তিতে, শিব ভক্তিতে, শিবের নামে, শিবজ্ঞানে, শিবের আয়ুধাদি(অস্ত্রশস্ত্র) তে, শিবের স্থানে, শিবের ভক্তিতে, শিবের কীর্তির মহিমার বিষয়ে, শিবের উদ্দেশ্যে করা দানের বিষয়ে, শিবের মন্দিরেতে, শিব উৎকর্ষতে, ত্রিপুণ্ড্র ধারণ ও ভস্মস্নান (উদ্ধূলন)-এর বিষয়ে, রুদ্রাক্ষ ধারণে, শিবলিঙ্গ পূজার বিষয়ে, শিবমন্দির কে দেখবার ইচ্ছাতে, শিব বিষয়ক কোন যাত্রা আদি উৎসব কর্মসহ শিবসম্পর্কিত যা কিছু আছে সেই সমস্ত শিবমূলক বিষয়ে তোমাদের কখনোই আগ্রহ হবে না, বরং তোমরা শিববিমুখ হয়ে থাকবে ॥১৯-২৩
বেদের প্রতি ভক্তি থাকবে না তোমাদের, আস্তিকতার স্বরূপ ভুলে যাবে, যোগ( জীবাত্মা‌র সাথে পরমাত্মার ভাবনা যুক্ত অদ্বৈত দর্শন) -এর প্রকৃত অর্থ বোধগম্য না করতে পেরে এগুলি থেকে বিমুখ হয়ে যাবে ॥২৯
শ্রুতি স্মৃতি ও পুরাণসমূহে প্রতিপালিত সমস্ত সঠিক অর্থ থেকে বিমুখ হয়ে যাবে ॥৩০
তোমরা ভ্রমে পড়ে পরমেশ্বর শঙ্করের থেকে শ্রীবিষ্ণু আদি দেবতা সর্বশ্রেষ্ঠ বলে মনে করতে থাকবে ॥৩২
তোমরা ভ্রমবশত শ্রদ্ধাপূর্বক শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম, দন্ড-পাশ-অঙ্কুশ আদি চিহ্ন দ্বারা নিজেদের শরীরে অঙ্কন করে নিজেদের শ্রেষ্ঠ মনে করতে থাকবে ॥৩৩
তোমরা সবাই পঞ্চরাত্র, কাপাল, কালামুখ, শাক্ত আদি অবৈদিক সম্প্রদায়ে দীক্ষিত হয়ে যাবে ॥৩৯
বৌদ্ধ, জৈন, পাশুপত (দ্বৈত) ধারায় তোমরা অনেকেই নিজেদের মঙ্গল হবে বলে ভাববে ॥৪০
তোমাদের সবাই এই সমস্ত পাষণ্ড তথা অশ্রৌত মার্গের প্রতিই শ্রদ্ধা হবে, আর ঐ বেদবিরুদ্ধ পথকেই অনুগমন করে চলবে ॥৪১

🔥 বিশ্লেষণ — গৌতম ঋষি প্রথমেই পরিষ্কার করে বলে দিলেন যে, অবৈদিক রা পরমেশ্বর শিবের প্রতি ও শৈব সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবান হবে না কখনোই, তারা বৈষ্ণবীয় তন্ত্র “পঞ্চরাত্র আগম”কে মান্য করবে এবং দেহে বৈষ্ণব সংস্কৃতির চিহ্ন ধারণ করবে।

(প্রমাণ — ৩)

কূর্মপুরাণ ও স্কন্দপুরাণের মতোই দেবীভাগবত পুরাণেও গৌতম ঋষি এক‌ই কথা বলেছেন —

গৌতম উবাচ

কাপালিকমতাসক্তা বৌদ্ধশাস্ত্ররতাঃ সদা ।

পাষন্ডাচারনিরতা ভবত ব্ৰাহ্মণাধমাঃ ॥৭২

পাঞ্চরাত্রে কামশাস্ত্রে তথা কাপালিকে মতে ।

বৌদ্ধে শ্রদ্ধাযুতা যূয়ং ভবত ব্ৰাহ্মণাধমা ॥৭৫

শিবোৎসবদিদৃক্ষায়াং শিবভক্তস্য পূজনে ।

রুদ্রাক্ষে বিল্বপত্রে চ তথা শুদ্ধে চ ভস্মানি ।

ভবতানুন্মূখা যূয়ং সৰ্ব্বদা ব্রাহ্মণাধমাঃ ॥৬৪..॥৬৫

[তথ্যসূত্র : দেবীভাগবতপুরাণ/১২ স্কন্ধ/৯ অধ্যায়]

অর্থ — বৌদ্ধশাস্ত্রানুসারী কাপালিক মত পাষন্ডাচার হিসেবে পরিগণিত হবে। হে ব্রাহ্মণ অধম তোমরা কলিযুগে পাঞ্চরাত্র, কামশাস্ত্র, কাপালশাস্ত্র ও বৌদ্ধশাস্ত্রের মতো নিম্নমানের শাস্ত্রেই শ্রদ্ধান্বিত হবে। শিবপূজনে, শিবভক্তপূজনে, রুদ্রাক্ষ, বিল্বপত্র, পবিত্র ভস্ম ধারনে তোমরা বিমুখ হবে।

🔥 বিশ্লেষণ — দেবীভাগবত পুরাণেও পঞ্চরাত্র আগমকে বেদবিরুদ্ধ ও শিবনিন্দামূলক বলে ঘোষনা করা হয়েছে। এই কারণেই পঞ্চরাত্র আগমকে অনুসরণকারী কলিযুগের বর্তমান বৈষ্ণবেরা অত্যন্ত শিবনিন্দা করে বেড়ায়। তারা প্রভু শিবকে অদ্বিতীয় পরমব্রহ্ম বলে মানতে চায়না ।

(প্রমাণ — ৪)

বৈষ্ণবদের‌ই আরাধ্য শ্রীবিষ্ণুর মুখনিঃসৃত কূর্মপুরাণে আবারো বলা হয়েছে যে পঞ্চরাত্র মোহনাত্মক শাস্ত্র —

কাপিলং পাঞ্চরাত্রঞ্চ ডামরং মোহনাত্মকম্

এবংবিধানি চান্যানি মোহনার্থানি তানি তু ॥২৫৮

যে কুশাস্ত্রাভিযোগেন মোহন্ত হ মানবানু।

ময়া সৃষ্টানি শাস্ত্রাণি মোহায়ৈয়াং ভবান্তরে ॥২৫৯

[তথ্যসূত্র : কূর্মমহাপুরাণ/পূর্বভাগ/অধ্যায় ১২]

♦️সরলার্থ : কাপিল, পঞ্চরাত্র, ডামর শাস্ত্র মোহাত্মক, এই সমস্ত শাস্ত্র এবং এধরনের অনান্য শাস্ত্র (অসুরদের) মোহনের জন্য ॥২৫৮

এই জগতে যে সকল ব্যক্তি কুশাস্ত্রযোগে মানুষকে মোহিত করে থাকে, আমার সৃষ্ট সেই সমস্ত শাস্ত্র সৎসারের মধ্যে তাদেরকেই মোহন করার জন্য ॥২৫৯


🔥 বিশ্লেষণ — শ্রীবিষ্ণু জী কূর্মপুরাণে বলছেন যে, এই জগতে যে সমস্ত ব্যক্তি শাস্ত্র দ্বারা মানুষকে বিভ্রান্ত করে থাকে, সেই সমস্ত কু শাস্ত্র সেই ব্যক্তিদের ওই মোহন করার জন্য যারা অন্য মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।

অর্থাৎ এখানে আমরা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারছি যে, মোহনাত্মক শাস্ত্র হলো পঞ্চরাত্র, এতে কোন সন্দেহ নেই। আর সেই পঞ্চরাত্রকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বৈষ্ণবরা বিভ্রান্ত করছে। যারা শাস্ত্রবিরোধী কথা সেগুলিকে পঞ্চরাত্র -এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে চায় এবং মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে। হরি নিজেই এই সমস্ত অসুরদের জন্যই বলেছেন যে তার তৈরি পঞ্চরাত্র আসলেই মোহনাত্মক এবং এই পঞ্চরাত্র সম্পর্কিত শাস্ত্র গুলি যারা ব্যবহার করে তারাও এতে মোহাচ্ছন্ন হয়।


(প্রমাণ — ৫)


পাঞ্চরাত্রাদিমার্গাণাং বেদমূলত্বমাস্তিকে ॥১৫

নহি, স্বতন্ত্রাস্তে তেন ভ্রান্তিমূলা নিরূপণে ।

তথাঽপি যোংঽশো মার্গাণাং বেদেন ন বিরুধ্যতে ॥১৬

[তথ্যসূত্র : স্কন্দপুরাণ/সূতসংহিতা/মুক্তিখণ্ড/৪ অধ্যায়]

অর্থ — পঞ্চরাত্র আগমের মার্গ বেদমূলক নয়, এটি পঞ্চরাত্র স্বয়ং নিজেই ঘোষিত করে থাকে। পঞ্চরাত্র হলো বেদের মার্গ থেকে আলাদা তথা স্বতন্ত্র । পঞ্চরাত্র বেদকে অনুসরণ কারী নয়, বরং বেদবিরুদ্ধ ॥১৫-১৬



   ————   উপরোক্ত বিভিন্ন পুরাণ শাস্ত্রের বাক্যের শব্দপ্রমাণ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, বিষ্ণুদেবের সৃষ্টি করা পঞ্চরাত্র আগম‌ নামক তন্ত্রগুলি অবৈদিক তথা বেদবিরুদ্ধ । তাই পঞ্চরাত্র আগমের কোনো বচন‌ই আমাদের শৈব সনাতনীদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য : উপরোক্ত শাস্ত্রবাক্যের মধ্যে পঞ্চরাত্র আগম সহ “পাশুপত”কেও অবৈদিক ও বেদ বিরোধী বলা হয়েছে, ইহা সত্য। কিন্তু এই পাশুপত তন্ত্রগত পরম্পরা আর বৈদিক পাশুপত পরম্পরা ভিন্ন ভিন্ন, তার কারণ হল — বেদে অথর্বশির উপনিষদে পাশুপত পরম্পরার নাম উল্লেখ রয়েছে এবং সেই পাশুপত পরম্পরার ভস্মধারণকারী “পাশুপত ব্রত” পালন করবার‌ও নির্দেশ দিয়েছে স্বয়ং বেদ অর্থাৎ শ্রুতি। পাশুপতের দুটি ধারা রয়েছে, একটি বৈদিক পাশুপত অর্থাৎ মহাপাশুপত শৈব গুরুপরম্পরা(অদ্বৈত)। দ্বিতীয় পাশুপত ধারাটি হল লকুলীশের শিষ্যগণের প্রবর্তিত লকুলীশ আগমোক্ত লাকুলীশ তান্ত্রিক অবৈদিক পাশুপত পরম্পরা(দ্বৈত)।
গৌতম ঋষি নিজেই বৈদিক পাশুপত অর্থাৎ মহাপাশুপত শৈবপরম্পরার আচার্য ছিলেন[প্রমাণ - শিবমহাপুরাণ/বায়বীয়সংহিতা/উত্তরখণ্ড/৯ অধ্যায়] সমগ্র পাশুপত পরম্পরা অবৈদিক নয়, বরং তান্ত্রিক দ্বৈত পাশুপত হল অবৈদিক, এই দ্বৈত পাশুপতের‌ই ধারা হল কালামুখ, কাপালিকেরা, এই দ্বৈত পাশুপত তান্ত্রিক পরম্পরাকে স্বয়ং শৈব আচার্যরাই খণ্ডন করে অমান্য ঘোষনা করে গিয়েছেন, তাই বৈদিক পাশুপত পরম্পরা “মহাপাশুপত” সর্বদাই নিষ্কলঙ্ক, অক্ষুন্ন ও পরমপবিত্র
)

পাশুপত পরম্পরা অবৈদিক কি না তা নিয়ে নীচে তিনটি আর্টিকেলের লিঙ্ক দেওয়া হল, ক্লিক করে দেখে নিন 👇
👉 সনাতন ধর্মের একমাত্র প্রাচীন পরম্পরা হল পাশুপত পরম্পরা

👉 পাশুপত শৈবপরম্পরা কি অবৈদিক ? -(১)

👉 পাশুপত শৈবপরম্পরা কি অবৈদিক ? -(২)


এবার কোনো কোনো বৈষ্ণব হয়তো বলতে পারে যে, শৈবদের শৈব আগম শাস্ত্র গুলি সব অবৈদিক। সেই সব মূর্খ বৈষ্ণবদের প্রাণপ্রিয় সাত্ত্বিক পদ্মপুরাণ ই বলছে যে, শৈব আগম গুলি পরম উত্তম, শুভ ও সনাতন। প্রমাণ 👇 

অথ ধৰ্ম্মাঃ শিবেনোক্তাঃ শিবধৰ্ম্ আগমোত্তমাঃ ।

জ্ঞেয়া বহুবিধাস্তে চ কৰ্ম্মযোগপ্রভেদতঃ ॥১

হিংসাদিদোষনিৰ্ম্মুক্তাঃ ক্লেশায়াসবিবৰ্জ্জিতাঃ ।

সৰ্ব্বভূতহিতাঃ শুদ্ধাঃ সূক্ষ্মায়াসা মহৎফলাঃ ॥২

অনন্তশাখাকলিতাঃ শিবমূলৈকসংশ্ৰিতাঃ ।

জ্ঞানধ্যানসুপুষ্পঢ্যাঃ শিবধৰ্ম্মাঃ সনাতনাঃ‌ ॥৩

[তথ্যসূত্র — পদ্মপুরাণ/ভূমিখণ্ড/৬৯নং অধ্যায়]

🔴 সরলার্থ - শিব দ্বারা বর্ণিত আগমে উত্তম ধৰ্ম সকল উক্ত হয়েছে। ঐ সকল ধৰ্ম কৰ্মযোগ ভেদে বহুবিধ এবং হিংসাদি দোষরহিত, ক্লেশায়াসবিবর্জ্জিত সৰ্ব্বভূত হিতকর, শুদ্ধ, সূক্ষ্ম মহাফল, অনন্তশাখাযুক্ত, মঙ্গলমূল, জ্ঞান ধ্যানসুপুষ্পাঢ্য ও সনাতন(শাশ্বত) ॥১-৩


পদ্মপুরাণ থেকে পরিষ্কার ভাবে জানা গেল যে, পরমেশ্বর শিবের কল্পনায় তৈরি আগমশাস্ত্রে সকল ধর্ম বলা হয়েছে, এটি হিংসা-দোষ বিহীন, সর্বভূতের জন্য কল্যাণকারী, মঙ্গলজনক, জ্ঞান স্বরূপ এবং এটিই নিত্য শাশ্বতরূপে সনাতন ।


আশা করি, বৈষ্ণবেরা পদ্মপুরাণের বচন কে মেনে চলবে।


💥পরবর্তী আর্টিকেলে মহামান্য শৈবাচার্যগণেদের দ্বারা পঞ্চরাত্রের খণ্ডন বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করবো।


শ্রীমন্ মহাদেবায় নমঃ
শ্রীনন্দী মহারাজের জয়
শৈব সনাতন ধর্ম সদা বিজয়তে 🚩
হর হর মহাদেব 🚩

🪔 সত্য প্রকাশে — শ্রীনন্দীনাথ শৈবাচার্য
কপিরাইট ও প্রচারে — international Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT

শিব শিব


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত