পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বাল্মীকি রামায়ণে — পরমেশ্বর শিবের উল্লেখ ১২টি প্রমাণ সহ

ছবি
শ্রীগুরবে নমঃ  গণেশায় নমঃ  নমঃ শিবায় ॥ সনাতন ধর্মের মহাকাব্যরূপী ইতিহাস শাস্ত্রের মধ্যে রামায়ণ শাস্ত্র হল অন্যতম, যার লিখিত রূপে রচনা করেন মহামুনি বাল্মিকী জী । এই “ বাল্মিকী রামায়ণ ” শাস্ত্রে পরমেশ্বর শিবের উল্লেখ রয়েছে কি না নিয়ে বহু মানুষের কৌতূহল সৃষ্টি হয়ে থাকে। বর্তমানে ‘  আর্যসমাজ  ’ নামক এক ছদ্মবেশী হিন্দু সংগঠন, যারা প্রায় অর্ধযবনের ন্যায় সমাজে গজিয়ে উঠেছে, এরা দাবী করছে যে, রামায়ণে সাকার পরমেশ্বর রূপে শিবের উল্লেখ নেই । কোনো আর্যসমাজী তো আবার এমন দাবী করে যে রামায়ণে উল্লেখিত শিব হল একজন যোগী মনুষ্য পূর্ববর্তী বিদ্বান ব্যক্তি ছিলেন, এদের এই সমস্ত অসত্যের অপপ্রচারের কারণে সাধারণ সনাতনীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে, বিপথে চলে যাচ্ছে। তাই “ বাল্মিকী রামায়ণ ” থেকে শ্লোকসহ সম্পূর্ণ তথ্যসূত্র উল্লেখ করে আমি ‘ শ্রী নন্দীনাথ শৈব ’ সাকার পরমব্রহ্ম পরমেশ্বর শিবের অস্তিত্ব প্রমাণ করেছি এই নিম্নোক্ত প্রতিবেদনে । [ক্ষেমরাজ প্রকাশনী দ্বারা প্রকাশিত তথা পণ্ডিত জ্বালাপ্রসাদ মিশ্রের অনুবাদিত বাল্মিকী রামায়ণ পুস্তক এবং গোরক্ষপুর গীতাপ্রেস প্রকাশনীর প্রকাশিত বাল্মিকী রামায়ণ থেকে নিম্নোক

নন্দী মহারাজ দ্বারা রাবণকে অভিশাপ ও পরমেশ্বর শিবের দ্বারা রাবণের দম্ভ নাশ

ছবি
অভিমানী দাম্ভিক রাবণ আকাশে যাত্রাপথে কৈলাস পর্বতের কারণে বাঁধা প্রাপ্ত হয়ে নিচে নেমে এলে নন্দী মহারাজের সতর্ক বাক্য শুনে নন্দী মহারাজ কে অপমানিত করেন, নন্দী মহারাজ তাকে অভিশাপ দেন। জড়িয়ে পড়েন, এরপর রাক্ষস রাজ রাবণ অহংকারবশত নিজেকে সর্বশক্তিমান ভেবে পরমেশ্বর শিব কে তুচ্ছ মনে করে পর্ব তুলতে ফেলে দেবার দুঃসাহস দেখাতে গিয়ে চরম শাস্তি ভোগ করেন, সেই প্রসঙ্গে ‘ বাল্মিকী রামায়ণ ’ থেকে সম্পূর্ণ তথ্যসূত্র উল্লেখ করে শ্লোকসহ অনুবাদ উপস্থাপন করা হয়েছে নিম্নোক্ত প্রতিবেদনে । স জিত্বা ধনদং রাম ভ্রাতরং রাক্ষসাধিপঃ । মহাসেনপ্রসূতি তদ্ যযৌ শরবণ মহৎ ॥ ১ অথাপশ্যদ্ দশগ্রীবো রৌক্মং শরবণং মহৎ । গভস্তিজালসম্বীতং দ্বিতীয়মিব ভাস্করম্ ॥ ২ স পর্বতং সমারুহ্য কঞ্চিদ্ রম্যবনান্তরম্ । প্রেক্ষতে পুষ্পকং তত্র রাম বিষ্টম্ভিতং তদা ॥ ৩ বিষ্টব্ধং কিমিদং কস্মান্নাগমৎ কামগং কৃতম্ । অচিন্তয়দ্ রাক্ষসেন্দ্রঃ সচিবস্তঃ সমাবৃতঃ ॥ ৪ কিনিমিত্তামিচ্ছা সে নেদং গচ্ছতি পুষ্পকম্ । পর্বতস্যোপরিষ্ঠস্য কর্মেদং কস্যচিদ্ ভবেৎ ॥ ৫ ততোঽব্রবীৎ তদা রাম মারীচো বুদ্ধিকোবিদঃ । নেদং নিষ্কারণং রাজন পুষ্পকং যন্ন গচ্ছতি ॥ ৬ অথবা পুষ্পক মিদং ধন

শ্রী বিশ্বকর্মা স্তোত্র

ছবি
পরমব্রহ্ম পরমেশ্বর সদাশিব‌ই সমগ্র বিশ্বের স্রষ্টা ও কর্মের প্রেরক । তাই বিশ্বকর্মা বলতে মূলত সেই সদাশিব কেই বোঝায়, একারণে বিশ্বকর্মার ধ্যান মন্ত্রে, স্তোত্র তে, কবচ মন্ত্রে, অষ্টকমে ইত্যাদি সর্বত্র মূলত পরমেশ্বর শিবের‌ই বর্ণনা হয়েছে । এখানে শ্রী বিশ্বকর্মা স্তোত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রথমে বিশ্বকর্মা ধ্যান মন্ত্র পাঠ করে কিছু সময় তার ধ্যান করে, তারপর নিম্নোক্ত বিশ্বকর্মা স্তোত্র পাঠ করা উচিত।  ॥ বিশ্বকর্মা ধ্যানম্ ॥ ন ভূমির্ণ জলঞ্চৈব ন তেজো ন চ বায়বঃ । নাকাশং চ ন চিত্তঞ্চ ন বুদ্ধিন্দ্রিয়গোচরাঃ ॥ ১ ন চ ব্রহ্মা ন বিষ্ণুশ্চ ন রুদ্রশ্চ তারকাঃ । সর্বশূণ্যা নিরালম্বা স্বয়ম্ভূতা বিরাটসৎ । সদা পরাত্মা বিশ্বাত্মা বিশ্বকর্মা সদাশিবঃ ॥ ২ ॥ বিশ্বকর্মা স্তোত্র ॥ ॐ বিশ্বকর্মারূপায় শ্রীসদাশিবায় নমো নমঃ । শ্রিতমধ্যতমধ্যস্তং ব্রহ্মাদি সুরসেবিতম্ । লোকাধ্যক্ষং ভজেঽহং ত্বাং বিশ্বকর্মাণমব্যয়ম্ ॥ ১ প্রাকাদিদিঙ্মুখোৎপন্নো সনকশ্চ সনাতনঃ । অভুবনস্য প্রত্নস্য সুপর্ণস্য নমাম্যহম্ ॥ ২ অখিল ভুবন বীজ কারণম্ । প্রণবতত্ত্ব প্রণবময় নমামি ॥ ৩ পঞ্চবক্রং জটাধর পঞ্চবিলোচনম্ । সদ্যোজাতাননং শ্বেতং চ বামদেবন্তু

পরমেশ্বর শিব কি তার পুত্র গণেশ কে চিনতে পারেননি ?

ছবি
কলিযুগের প্রভাবে সনাতন ধর্মের উপর বর্তমানে বিভিন্ন ভাবে আঘাত আসছে।  বিশেষতঃ নাস্তিক, আর্যসমাজী, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুসলিম সহ বিভিন্ন অসনাতনীরা এসে সনাতনীদের কাছে বিভিন্ন রকম কটুক্তি করে থাকে। তার মধ্যে একটি কটুক্তি হল এরকম,  শিব যদি ভগবান হয়ে থাকে তাহলে নিজের পুত্র গণেশকে কেন চিনতে পারলেন না ?   এইরকম মূর্খের মতো প্রশ্ন করে সনাতনীদের বিভ্রান্ত করে অসনাতনী রা, বেশিরভাগ সনাতনী রা নিজেদের ধর্মের শাস্ত্র ই পঠন পাঠন করে না। ফলে সনাতন ধর্ম সম্পর্কে তাদের জ্ঞান থাকে না, আর এই অজ্ঞানতার সুযোগ নিয়েই অসনাতনীরা সনাতনীদের কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে থাকে।  স্বাভাবিকভাবেই তখন শাস্ত্র জ্ঞানহীন অসনাতনীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, নিজে কোনো উত্তর দিতে না পেরে অসনাতনীদের কথায় ফেঁসে যায়। এভাবেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়া শাস্ত্রজ্ঞানহীন সনাতনীদের মন থেকে নিজের সনাতন ধর্মের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যেতে শুরু করে। তাই এই প্রশ্নের জবাব আমি শাস্ত্র থেকেই উদ্ধৃতি দিয়ে উপস্থাপন করছি। ভগবান গণেশের আবির্ভাব তিথি পবিত্র চতুর্থী তিথি উপলক্ষ্যে আজ এই শঙ্কা থেকে সকল শিবভক্ত শৈব সনাতনীদের মুক্ত করে দেবার জন্য এই প্রতিবেদন টি উপস্থাপন ক

পদ্মপুরাণে শিবকে বৈষ্ণব বলা হয়েছে — বলে দাবী করা রামানুজ আচার্যের নব্য অনুসারী বৈষ্ণবের আস্ফালন নিবারণ

ছবি
  বর্তমানে শৈব দের প্রচারকে আটকাতে রামানুজ আচার্যের নব্য অনুসারী এক বৈষ্ণব ব্যক্তি “বিপ্লব চন্দ্র রায়” তার ‘বৈষ্ণব দর্শন’ নামক এক ফেসবুক পেজে পোষ্ট করে দাবী করছে যে, পদ্ম পুরানে নাকি প্রভু শিব কে বৈষ্ণব বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তাই শিব নাকি বৈষ্ণব।  দাবীটির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, দেখুন 👇  শ্রীমান বিপ্লব চন্দ্র রায় নামক নব্য রামানুজীর দাবী হল  এরকম,  পদ্মপুরাণের উত্তর খণ্ডের ৭১ অধ্যায়ের ৪৩ ও ৫১ নং শ্লোকে বলা হয়েছে যে, বৈষ্ণব শ্রেষ্ট হচ্ছেন মহাদেব। তিনি পঞ্চবক্র (সদাশিব), উমাকান্ত এবং এই সদাশিব‌ই হচ্ছেন বৈষ্ণব শ্রেষ্ঠ । 🌷 শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জীর দ্বারা এই হাস্যকর দাবীর খণ্ডন — আকাট বোধহীন কলিকালের এই বৈষ্ণবেরা এখনো পর্যন্ত কৈলাসপতি রুদ্রদেব এবং শিবলোকবাসী সদাশিবের মধ্যে গুণগত পার্থক্য বুঝতেই সক্ষম হয়নি। এই মাথামোটা আকাটগুলোকে আমি বারংবার শাস্ত্র থেকে প্রমাণ সহ দেখিয়েছি যে, ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা-বিষ্ণু এবং কৈলাসপতি রুদ্রদেব -এর উৎপত্তি হয়েছে শিবলোকবাসী সদাশিব থেকে। কিন্তু এই মাথামোটা বৈষ্ণবগুলো এই সামান্য বিষয়টুকু বুঝতে অক্ষম।  এই মস্তিষ্কহীন বৈষ্ণবেরা সদাশিব ও কৈলাসপতি রুদ্

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত