পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পরমেশ্বর সদাশিবকে মহাবিষ্ণুর রূপ বলে অন্ধের ন্যায় দাবী করতে গিয়ে নব্য রামানুজী বৈষ্ণবেরা অপদস্থ হল ঐ নিজেদের বৈষ্ণবীয় বামনপুরাণ থেকেই

ছবি
  পরমেশ্বর সদাশিবকে মহাবিষ্ণুর রূপ বলে দাবী করা নব্য রামানুজী বৈষ্ণবদের মত খণ্ডন— নমস্কার 🙏 নমঃ শিবায় 🙏 হর হর মহাদেব ✊🚩 সকল সনাতনীদের রাতুল চরণে আমার প্রমাণ জ্ঞাপন করছি। আপনারা হয়তো জানেন না যে, বর্তমান সমাজে একদল শাস্ত্রের ভুল ব্যাখ্যাকারী নব্য সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হয়েছে। তাদের বিশেষ কোনো কাজ নেই বললেই চলে। শাস্ত্রের অপব্যাখ্যা করে পরমেশ্বর শিবের অপমান করা ও ভগবান বিষ্ণু, কৃষ্ণ, রাম ইত্যাদিদের চেয়ে ছোট করাটাই এই গুরুপরম্পরাহীন নব্য রামানুজী বৈষ্ণবদের একমাত্র উদ্দেশ্য। অথচ শাস্ত্র অধ্যয়ন করলে জানা যায় বিষ্ণুর জন্ম শিব থেকেই হয়েছে। এবং বিষ্ণু, কৃষ্ণ ও রাম এনারা সকলে পরম শিব ভক্ত ছিলেন এবং পরমেশ্বর শিবের প্রদর্শিত মত মহাপাশুপত মতে দীক্ষিত ছিলেন, যা পুরাণ, মহাভারত, শিবগীতা অধ্যয়ন করলেই জানা যায়। এবং সকল শাস্ত্রে এটাই বলা আছে যে একমাত্র পরমেশ্বর হলো শিব “এক হি রুদ্র ন দ্বিতীয়ায় তস্থুর্য “। কিন্তু তা এই কলির পাষণ্ড বৈষ্ণবেরা মানতে নারাজ কারণ এরাও তো দক্ষের বংশধর ভণ্ডাসুরের চ্যালাচামুণ্ডা। নাহলে পরমেশ্বর শিবের বিরোধীতা করে অপমান কখনো করতো না।  👉আজকের যে বিষয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তা হলো নব

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে শ্রীকৃষ্ণ বলছেন — “মহাদেব সম্পর্কে তিনি সম্পূর্ণ তত্ত্ব জানতে সক্ষম নন” বলে নিজের‌ই পরমত্বকে খণ্ডন করেছেন

ছবি
  নমঃ শিবায়  বর্তমান সময়ে শিবভক্তদের উদারতার সুযোগ নিয়ে বৈষ্ণবেরা কৃষ্ণ পরমত্বকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য যেন সকল রকম অপপ্রয়াস করছে, অপপ্রচারে কোনো কমতি রাখে না বৈষ্ণবেরা । ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ হল বৈষ্ণবদের প্রাণপ্রিয় পুরাণ, যেখানে শ্রীকৃষ্ণকেই পরমেশ্বর বলে স্বীকার করা হয়েছে। এই পুরাণের দোহাই দিয়ে নিজেদের আরাধ্যকে শ্রেষ্ঠ বলে প্রচার করতে থাকে। আর বলতে থাকে যে কৃষ্ণ থেকে শিব উৎপন্ন হয়েছে।  হ্যাঁ এটা ঠিক যে, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে শ্রীকৃষ্ণ কে পরম তত্ত্বের পরাকাষ্ঠা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু সত্য কখনোই চাপা থাকে না, তাই সেই পুরাণের মধ্যেও শ্রীকৃষ্ণ পরম ব্রহ্ম হিসেবে বাচিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি যে সর্বজ্ঞ নন, অর্থাৎ তিনি সমস্ত কিছুর জ্ঞাতা নন, এটি তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন।  দেখুন 👇  শ্ৰীকৃষ্ণ উবাচ - ব্রহ্মনঃ পতনে নাপি শূলপানেঃ ক্ষয়ো ভবেৎ । তস্মাদ্ আয়ুষঃ প্রমাণশ্চ ন অহং জানামি কা শ্ৰুতিঃ ॥১০৬ (তথ্যসূত্র — ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ/শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ড/৩৬ অধ্যায়) ✅ অর্থ — শ্রীকৃষ্ণ শ্রীরাধাকে বললেন,, ব্রহ্মার পতন (নাশ) হলেও, কদাপি শূলপাণি ভগবান শঙ্কর (রুদ্র স্বরূপ) নাশপ্রাপ্ত (ক্ষয়) হন না

ॐ কার

 🔴 সম্পূর্ণ বেদের আদি হলো প্রণব তথা শিবের (পরমেশ্বরের) বাচক‌ও হলো প্রণব। এটি শ্রেষ্ঠ মন্ত্র মন্ত্রের রাজাধিরাজ তথা মহাবীজ স্বরূপ।  প্রণব-ই শিব আর শিব‌-ই প্রণব । কারণ বাচক আর বাচ্যের মধ্যে কোনো ভেদ নেই।  [কৈলাসসংহিতা/১৩নং অধ্যায়/৬০-৬১নং শ্লোক] 🔴 সুব্রহ্মণ্য বলেন - প্রণবার্থপ্রজ্ঞানরূপ একটি বিষয়ের ছয় প্রকার তাৎপর্য রয়েছে।  প্রথমত মন্ত্ররূপ অর্থ, দ্বিতীয়ত যন্ত্ররূপ অর্থ, তৃতীয়ত দেবতাবোধক অর্থ, চতুর্থত প্রপংচরূপ অর্থ, পঞ্চমত গুরু রূপ দেখানো অর্থ এবং ষষ্ঠত শিষ্য স্বরূপ বোধক অর্থ।          প্রথম স্বর অকার, দ্বিতীয় স্বর উকার, পঞ্চম বর্গের অন্তিম বর্ণ মকার, বিন্দু এবং নাদ - এই পাঁচটি বর্ণ‌ই বেদের দ্বারা ॐ কারের মধ্যে বলা হয়েছে। এগুলির সমষ্টি রূপ ॐ কার কেই বেদের আদি বলা হয়েছে। নাদ হলো সর্বসমষ্টি রূপ আর বিন্দুর সাথে যে চারটি বর্ণের সমূহ রয়েছে তা শিব বাচক প্রণবের মধ্যে বৈশিষ্ট্য রূপে প্রতিষ্ঠিত।  [কৈলাসসংহিতা/১৪নং অধ্যায়/১০-১৪ নং শ্লোক] 🔴 শিবের যা পরাশক্তি, তার থেকে চিৎশক্তি প্রকটিত হয়। চিৎশক্তি থেকে আনন্দ শক্তির প্রাদুর্ভাব হয়, আনন্দ শক্তি থেকে ইচ্ছাশক্তির উদ্ভব হয়েছে, ইচ্ছাশক্ত

রামকে সদাশিবের আরাধ্য দাবী করা ও রামের উপাসনা করে সদাশিবের সর্বোচ্চ স্থান পেয়েছন বলে দাবী করা নব্য রামানুজী বৈষ্ণবদের অপপ্রচারের খণ্ডন

ছবি
  রামকে সদাশিবের আরাধ্য দাবী করা ও রামের উপাসনা করে সদাশিবের সর্বোচ্চ স্থান প্রাপ্ত হওয়া, বলা নব্য রামানুজি বকরামুণ্ডি বৈষ্ণবদের অপপ্রচারের খণ্ডন— নমস্কার 🙏 নমঃ শিবায় 🙏 হর হর মহাদেব ✊🚩 সকল সনাতনীদের রাতুল চরণে আমার প্রমাণ জ্ঞাপন করছি। আপনারা হয়তো জানেন না যে, বর্তমান সমাজে একদল শাস্ত্রের ভুল ব্যাখ্যাকারী নব্য সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হয়েছে। তাদের বিশেষ কোনো কাজ নেই বললেই চলে। শাস্ত্রের অপব্যাখ্যা করে পরমেশ্বর শিবের অপমান করা ও ভগবান বিষ্ণু, কৃষ্ণ, রাম ইত্যাদিদের চেয়ে ছোট করাটাই এই নব্য রামানুজি বৈষ্ণবদের একমাত্র উদ্দেশ্য। অথচ শাস্ত্র অধ্যয়ন করলে জানা যায় বিষ্ণুর জন্ম শিব থেকেই হয়েছে। এবং বিষ্ণু, কৃষ্ণ ও রাম এনারা সকলে পরম শিব ভক্ত ছিলেন এবং পরমেশ্বর শিবের প্রদর্শিত মত মহাপাশুপত মতে দীক্ষিত ছিলেন, যা পুরাণ, মহাভারত, শিবগীতা অধ্যয়ন করলেই জানা যায়। এবং সকল শাস্ত্রে এটাই বলা আছে যে একমাত্র পরমেশ্বর হলো শিব “এক হি রুদ্র ন দ্বিতীয়ায় তস্থুর্য “। কিন্তু তা এই কলির পাষণ্ড বৈষ্ণবেরা মানতে নারাজ কারণ এরাও তো দক্ষের বংশধর ভণ্ডাসুরের চ্যালাচামুণ্ডা। নাহলে পরমেশ্বর শিবের বিরোধীতা তথা অপমান কখনো করতো

বেদের গায়ত্রী মন্ত্রের দেবতা — পরমেশ্বর সদাশিব

ছবি
বেদের গায়ত্রী মন্ত্রের দেবতা কে ? উত্তর — গায়ত্রী রহস্য উপনিষদের ২নং মন্ত্রে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে যে — রুদ্র‌ই  সেই দেবতা, যিনি মূলত পরমপুরুষ সদাশিব । দেখুন 👇  ॐ ভূরিতি ভুবো লোকঃ । ভুব ইত্যন্তরিক্ষলোকঃ । স্বরিতি স্বর্গলোকঃ । মহ ইতি মহর্লোকঃ । জন ইতি জনোলোকঃ ।তপ ইতি তপোলোকঃ । সত্যমিতি সত্যলোকঃ । তদিতি তদসৌ তেজোময়ং তেজোঽগ্নির্দেবতা । সবিতুরিতি সবিতা সাবিত্রমাদিত্যো বৈ । বরেণ্যমিত্যত্র প্রজাপতিঃ । ভর্গ ইত্যাপো বৈ ভর্গঃ । দেবস্য ইতীন্দ্রো দেবো দ্যোতত ইতি স ইন্দ্রস্তস্মাৎ সর্বপুরুষো নাম রুদ্রঃ । ধিমহীত্যন্তরাত্মা । ধিয় ইত্যন্তরাত্মা পরঃ । য ইতি সদাশিবপুরুষঃ । নো ইত্যস্মাকং স্বধর্মে । প্রচোদয়াদিতি প্রচোদিতকাম ইমান্ লোকান্ প্রত্যাশ্রয়তে যঃ পরো ধর্ম ইত্যেষা গায়ত্রী ॥ ২  [তথ্যসূত্র — গায়ত্রীরহস্য উপনিষদ/২নং মন্ত্র] ✅ অর্থ — ॐ ভূঃ -এটি ভূলোকের বাচক, ভুবঃ - অন্তরিক্ষ বাচক, স্বঃ-স্বর্গলোকের বাচক, মহঃ-মহর্লোকের বাচক, জনঃ-জনোলোকের বাচক, তপঃ - তপোলোক, সত্যম্ - সত্যলোকের বাচক, তৎ - তেধস্রূপ অগ্নির, সবিতুঃ - সূর্য বাচক, বরেণ্যং - প্রজাপতির, ভর্গ -আপঃ জলের, দেবস্য - যিনি তেজস্বী দেব ইন্দ্র ন

শিব ও বিষ্ণুর মধ্যে কে সাত্ত্বিক আর কে তামসিক ? — জেনে নিন

ছবি
শিব ও বিষ্ণুর মধ্যে কে সাত্ত্বিক আর কে তামসিক ? — জেনে নিন  ভূমিকা — নমঃ শিবায় বর্তমান কালে দেখা যায়, বেশ কিছু কল্পিত বৈষ্ণবেরা পরমেশ্বর শিবের অবতার কৈলাসপতি ভগবান রুদ্রদেব কে তামসিক বলে আখ্যা দিয়ে পরোক্ষভাবে নিকৃষ্ট প্রমাণ করবার জন্য প্রয়াস করতে থাকে ।  শাস্ত্র অনুসারে প্রভু শিব নিরাকার থেকে সাকার  রূপ ধারণ করলে সেই স্বরূপকে সদাশিব বলা হয়। প্রভু সদাশিব আদ্যাশক্তির প্রকৃতিভাগ থেকে রজোগুণের দ্বারা ব্রহ্মাকে ও সত্ত্বগুণ দ্বারা বিষ্ণুকে সৃষ্টি করেন , পরবর্তীতে ব্রহ্মার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করবার জন্য পরমেশ্বর সদাশিব সরাসরি নিজের হৃদয় থেকে তার মতোই দেখতে একজন অবতার প্রকাশ করেন তার নাম রুদ্র । ব্রহ্মার কপালে ক্রোধের দ্বারা উৎপন্ন হ‌ওয়া তমগণকে আশ্রয় করে সেই রুদ্রদেব পুনরায় প্রকটিত হন লীলাবশত । কলিযুগের এই ভয়ংকর মায়ার প্রভাবে ৯৯% শতাংশ মানুষই আজ এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন । তারা পরমেশ্বর সদাশিবের এই লীলা অবতার ' রুদ্রদেব 'কেই সম্পূর্ণ শিব বলে মনে করেন। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-রুদ্র — এই তিনজন পরমেশ্বর সদাশিবের থেকে প্রকটিত হওয়া সদাশিবের‌ই গুণ(মায়া) যুক্ত স্বরূপ,  কিন্তু সাধারণ মানুষ

সনাতন শৈবধর্মের মার্গ ও শিবের উপাসনা কেন সর্বশ্রেষ্ঠ ❓

ছবি
সনাতন শৈবধর্মের মার্গ ও শিবের উপাসনা কেন সর্বশ্রেষ্ঠ❓   🔥 উত্তর —  শাস্ত্রের নিরিখে তার প্রামাণ্যতা বিচার— ॐ মহাগণাধিপতয়ে নমঃ 🙏 ॐ শ্রী গুরু দক্ষিণামূর্তয়ে নমঃ 🙏 👉 সৃষ্টির শুরু থেকে যে গুরু পরম্পরার ধারা অব্যাহত রয়েছে তা হলো “পাশুপত” পরম্পরা। পরমেশ্বর শিব দ্বারা প্রদর্শিত এই পাশুপত পরম্পরার প্রথম দুই শিষ্য হলো ব্রহ্মা এবং বিষ্ণু। শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাম ও পাশুপত মতে দীক্ষিত ছিলেন। শিবপুরাণ, কূর্ম্মপুরাণ, মহাভারত, শিবগীতা অধ্যয়ন করলে তার সত্যতা জানা যায়। আমাদের International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT -  হল সেই প্রাচীন মহা পাশুপত শৈব অবধূত পরম্পরার অন্তর্গত। 👉আজ আমরা আলোচনা করতে চলেছি সেই পাশুপত পরম্পরার নির্দেশিত আচার নিয়ে। কেন শৈবরা শ্রেষ্ঠ এমন প্রশ্ন সবার মনে একবার হলেও আসে। বা কেনই বা শিবার্চনা শ্রেষ্ঠ!  এর উত্তর হল — অন্যান্য পরম্পরা অনুযায়ী তাদের প্রদর্শিত মার্গে আচার অনুষ্ঠান, যাগ-যজ্ঞাদি, পূজা-অর্চনা ইত্যাদি করতে সাধারণ মানুষের অনেক পরিশ্রম করতে হয়, অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয় এবং সম্পূর্ণ সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। ভুল করার বিন্দু মাত্র ও অবকাশ রাখা যাবে না।  👉পরম্পরা বিষয়ক কি

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

পরমেশ্বর শিব বৈষ্ণব নন