পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

উমামহেশ্বর ব্রত বিধি

ছবি
  পুরাণ শাস্ত্রের মধ্যে উমা মহেশ্বর ব্রতের উল্লেখ রয়েছে, এই ব্রত বিধিটি ISSGT এর পক্ষ থেকে শ্রীমতি নমিতা রায় দেবীজী সংগ্রহ করেছেন।  উমামহেশ্বর ব্রত পালন করার জন্য ১ বর্ষ পর্যন্ত অষ্টমী, চতুর্দশী, অমাবস্যা তথা পূর্ণিমায় নক্তব্রত (একবার মাত্র রাতে হবিষান্ন ভোজন গ্ৰহণ) পালন করে শিব-পার্বতীর পূজা করতে হবে। তারপর বর্ষের অন্তে উমা-মহেশ্বরের সোনা বা রুপোর প্রতিমা তৈরি করে বিধিপূর্বক প্রতিষ্ঠা করে, শিবভক্ত শৈবদের বা শিশুদের অথবা ব্রাহ্মণভোজন করিয়ে যথাশক্তি দক্ষিণা প্রদান করতে হবে। তারপর পূর্ণ সৌন্দর্যযুক্ত তথা ছত্র-চামর-আভূষণ দ্বারা অলংকৃত রথে করে শিব-পার্বতীকে শিবালয়ে নিয়ে গিয়ে এই ব্রতকে পরমেশ্বর শিবের কাছে সমর্পিত করতে হবে। 🛑ব্রতফল :  ব্রতপালন কারী ব্যক্তি শিব সাযুয্য প্রাপ্ত করেন এবং নারী হলে দেবী শিবার(উমার) সাযুয্য প্রাপ্ত করেন। কন্যা হোক অথবা বিধবা তারা একবর্ষ পর্যন্ত অষ্টমী তথা চতুর্দশীতে নিয়মপূর্বক ব্রহ্মচারিণী থেকে(ব্রহ্মচর্য পালন করে) ভোজন গ্ৰহণ না করে, বর্ষের অন্তে (স্বর্ণ অথবা রূপোর উমা-মহেশ্বর) প্রতিমা তৈরি করে ও তার প্রতিষ্ঠা করে, কোনো রুদ্রালয়ে দান করে শিবভক্ত শৈব দে

রুদ্রাক্ষ অপদেবতা থেকে রক্ষা করে

ছবি
  রুদ্রাক্ষমালিনং দৃষ্টবা ভূতপ্রেতপিশাচকাঃ । ডাকিনী শাকিনী চৈব যে চান্যে দ্রোহকারকাঃ ॥৮৪॥ [তথ্যসূত্র - শিবমহাপুরাণ/বিদ্যেশ্বরসংহিতা/২৫ নং অধ্যায়] সরলার্থ -  রুদ্রাক্ষমালা ধারণকারী ব্যক্তিদের দর্শনমাত্র ভূত, প্রেত, ডাকিনী, শাকিনী তথা অন্যান্য দ্রোহকারী রাক্ষস সকলে দূর হয়ে যায়। লেখনীতে - © শ্রীমতী নমিতা রায় দেবীজী(ISSGT) 🚩 কপিরাইট ও প্রচারে- International shiva shakti gyan tirtha-ISSGT

ডানাযুক্ত পর্বতের শেষ পরিণতি বলে পুরাণ নিয়ে কটূক্তিকারী আর্যসমাজীদের জবাব

ছবি
  বর্তমানে সনাতন ধর্মীদের শাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান খুবই সীমিত, এর ফলে সনাতনীদের এই দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে একদম পাষণ্ড ধূর্ত ম্লেচ্ছ ব্যক্তি সনাতন ধর্মের পবিত্র পুরাণ শাস্ত্র কে নিয়ে অর্ধসত্য প্রচার করে বোকা বানিয়ে চলেছে, যার ফলে মানুষ ভাবছে যে এই ম্লেচ্ছ আর্যসমাজীরাই একমাত্র পণ্ডিত, আর বাকিরা সবাই ভুল।   পুরাণ শাস্ত্রের নামে মিথ্যাচার করবার জন্য যেন তেন প্রকারে এই ভণ্ড আর্যসমাজীরা অপকৌশল অবলম্বন করে চলেছে। বাংলাদেশ অগ্নিবীর নামক একটি আর্যসমাজীদের ডেরা আছে, তাদের Back to Vedas নামক একটি Blog রয়েছে, সেখানেই এরা পুরাণের নামে বহু মিথ্যাচার করছে। তার মধ্যে একটি মিথ্যাচার হল পুরাণের মধ্যে থাকা ' পর্বত ' নিয়ে।  তারা বিদ্রুপ করে যে পোষ্টটি লিখেছে, সেটি হল 👇 ডানাযুক্ত উড়ন্ত পর্বতের শেষ পরিণতি কি হয়েছিল - জানুন পুরাণে উপরোক্ত পোষ্টের মধ্যে থাকা দাবি গুলোর ভিত্তিতে  আর্যনামাজীরা যেটি বলতে চাইছে, সেটা হল - ১) স্থূল অর্থাৎ মাটি পাথর প্রভৃতি জড় পদার্থে পরিপূর্ণ পর্বত 🏔️ আকাশে উড়ে বেড়ায়।  ২) সেই স্থূল জড় পদার্থের পর্বতগুলির ডানা ছিল । ৩) ইন্দ্র বলতে সূর্যকে বোঝানো হয়েছে, তাছাড়া ইন

শ্রীহরি যোগনিদ্রায় শিবজ্ঞানে মগ্ন হন

  ক্ষীরার্ণবামৃতমিব সদা ক্ষীরার্ণবে হরিঃ । শেতে শিবজ্ঞানধিযা সাক্ষাদ্বৈ যোগনিদ্রযা ॥৬॥ [তথ্যসূত্র - লিঙ্গমহাপুরাণ/পূর্বভাগ/৪৬ নং অধ্যায়] ✳️সরলার্থ - ক্ষীরসাগর হল অমৃতের সমান। শ্রী বিষ্ণু ক্ষীরসাগরে শিবজ্ঞানের চিন্তা করতে থেকে যোগনিদ্রায় সদা শয়ন করেন। লেখনীতে - © শ্রীমতী নমিতা রায় দেবীজী(ISSGT) 🚩  কপিরাইট ও প্রচারে-  International shiva shakti gyan tirtha-ISSGT

অদ্বৈত শৈব দর্শনের উপর ওপার বাংলার খিচুড়িবাদীদের দ্বারা আরোপিত শঙ্কা সমূহের খণ্ডন এবং জবাব প্রদান

ছবি
কথায় আছে না গাধাকে যতই ঘাস দেওয়া হউক না কেন গাধা গাধাই থাকে। আর গাধার স্বভাব হল সে নিজেকে এবং নিজের দলকে (গাধার দল) সবজান্তা ভেবে বসে। ক্ষ্যাপা বলদ গুলোর সিং ভেঙে যাবে, তবুও চোখ বন্ধ করে ছোটাছুটি করার স্বভাব যাবে না। যে বা যারা কোনোদিন অদ্বৈত শৈব দর্শন বা অন্যান্য শৈব দর্শন সংক্রান্ত শাস্ত্র গুলি এক পাতাও পড়ে দেখেনি, তারা এসেছে প্রত্যভিজ্ঞা দর্শনের বিচার করতে। চোরের মুখে ধর্মের কাহিনী শোনার মত অবস্থা ঠিক ।   ওপার বাংলার এইসব শৈব মত বিদ্বেষী এবং শিব বাক্যের উলঙ্ঘনকারী খ্যাঁকশিয়াল-দের দ্বারা কৃত শৈব মত এবং ISSGT এর উপর  আরোপ গুলিকে একবার দেখে নেওয়া যাক - আমরা  জানতাম ওপার বাংলার ভোঁদরের দল ঠিক তাদের নিজস্ব সীমিত বিচারধারা দিয়ে শৈব দর্শনের বিচার করতে চলে আসবে পুরো পোস্টটি ভালো করে না পড়েই। এদের  নিজেদেরই কথার কোনো ঠিক নেই, যারা নিজেদের একবার বীরশৈব বলে আবার কখনো পাশুপত বলে আবার কখনো নিজেকে শঙ্করপন্থী স্মার্ত বলে । আসলে মাথার ঘিলু না থাকলে আর অন্যের কথা শুনে কোমর দোলালে যা হয় আর কি। যারা ৩৬ তত্ত্বের ধারণা এবং উহাদের বিশ্লেষণ, সপ্তপ্রমাতা , পঞ্চকলা , মায়া তত্ত্ব ও পরাচিতি (পর

মন্ত্র শব্দের অর্থ কী ?

ছবি
  দুটি অক্ষর "মন" + "ত্র" । "মন" এর অর্থ হল মনন করা এবং "ত্র" এর অর্থ হল ত্রাণ। মননের দ্বারা যে ত্রাণ করা হয় তাকে মন্ত্র বলে। মন্ত্র সেই অক্ষর বা শব্দকে বলে যার উচ্চারণ ও মনন করলে শক্তি জাগ্ৰত হয়। এই সন্দর্ভে সংসার থেকে মোক্ষ প্রদান করার শক্তি অভিপ্রেত । [তথ্যসূত্র - আচার্য ক্ষেমরাজকৃত প্রত্যভিজ্ঞাহৃদয়ম্/ আচার্য জয়দেব সিংহকৃত টিপ্পণি/ ২০ নং সূত্র] লেখনীতে - © শ্রীমতী নমিতা রায় দেবীজী(ISSGT) 🚩 কপিরাইট ও প্রচারে- International shiva shakti gyan tirtha-ISSGT

🚩শৈব অদ্বৈত দর্শন মতে ব্রহ্ম (পরমশিব) সূক্ষ্ম বিমর্শ পরাচিৎ শক্তি বিশিষ্ট হওয়া সত্ত্বেও নির্গুণ -- কিভাবে?

ছবি
অদ্বৈত বেদান্ত মতে শক্তি যুক্ত ব্রহ্ম মানে সে সগুণ (ঈশ্বর পদ বাচ্য) হবেই। কারণ  ব্রহ্মশক্তিকে  অদ্বৈত বেদান্ত মতে বলা হয়  মায়া  বা প্রকৃতি। এই অব্যক্ত জড় প্রকৃতি থেকে গুণ ক্ষোভের দরুণ সত্ত্ব, তম, রজ এই তিন গুণ প্রকাশিত হয়। তারপর সেই অব্যক্ত প্রকৃতি হতে সাংখ্যের বাকি তত্ত্ব গুলি অর্থাৎ মহৎ আদি তত্ত্ব, অন্তঃকরণ, পঞ্চতন্মাত্র, পঞ্চভূত এর উৎপত্তি হয় এবং সগুণ নিরাকার জীব  সগুণ সাকার  ( কারণ শরীর----সূক্ষ্ম শরীর----স্থূল শরীর এই ক্রমে ) দেহধারী স্বরূপ লাভ করে। তাই মায়া শক্তি যুক্ত ব্রহ্ম মানেই সে নির্গুণ নয়, সে গুণযুক্ত হবেই এবং ব্রহ্মের এই ঈশ্বর পদ বাচ্যতা স্বাভাবিক নয়, বরং  ঔপাধিক । মূল সত্য সেই, নির্বিশেষ, শক্তিরহিত নির্গুণ, নির্বিশেষ ব্রহ্ম। তাই শিব বা রুদ্র বা সদাশিব হল সেই নিরাকার ব্রহ্মের একটি ঔপাধিক মিথ্যা রূপ মাত্র। কিন্তু  অদ্বৈত শৈব দর্শন  মতে ( ৩৬ তত্ত্ব ভিত্তিক )  প্রকৃতি তত্ত্বের উর্ধ্বে মায়া , আর  মায়া তত্ত্বের অনেক উর্ধ্বে শক্তিতত্ত্ব  আর এই সূক্ষ্ম চিৎশক্তি সম্পন্ন ব্রহ্ম পরমশিব তাই ত্রিগুণ এর অতীত, নির্গুণ এবং নিরাকারও। তাই অদ্বৈত শৈব দর্শনেও ব্রহ্ম নির্গুণ, নিরাক

কালী,দুর্গা,কামাখ্যা সহ আদ্যাশক্তির অনান্য সমস্ত নামের মধ্যে 'পার্বতী' নাম প্রধান

ছবি
  তস্যা নামান্যনেকানি জাতানি চ মুনীশ্বর । কালিকা চণ্ডিকা ভদ্রা চামুণ্ডা বিজয়া জয়া ॥৪৩ জয়ন্তী ভদ্রকালী চ দুর্গা ভগবতীতি চ । কামাখ্যা কামদা হ্যম্বা মৃড়ানী সর্বমঙ্গলা ॥৪৪ নামধেয়ান্যনেকানি মুক্তিপ্রদানি চ । গুণকর্মানুরূপাণি প্রায়শস্তত্র পার্বতী ॥৪৫ [তথ্যসূত্র : শিবমহাপুরাণ/রুদ্রসংহিতা/সৃষ্টিখণ্ড/অধ্যায় ১৬]   🌷 সরলার্থ : হে মুনিশ্বর ! সেই দেবীর অনেক নাম প্রসিদ্ধ আছে, তার কালি,চণ্ডিকা,ভদ্রা,চামুণ্ডা, বিজয়া,জয়া, জয়ন্তী,ভদ্রকালী, দুর্গা,ভগবতী,কামাখ্যা, কামদা,অম্বা,মৃড়ানী, সর্বমঙ্গলা প্রভৃতি আরো বহুনাম আছে। যে নামগুলির ভোগ ও মুক্তি প্রদান করে। এই নামসমূহ দেবীর বিভিন্ন গুণ ও কর্মের ভিন্নতা অনুসারে হয়েছে। এই নামগুলির মধ্যে " পার্বতী " নাম‌ই প্রধান ॥ ৪৩-৪৫  🔥 সিদ্ধান্ত : শিবের অভিন্না ইচ্ছাশক্তি হল আদ্যাশক্তি, তাকে বহু নামে ডাকা হয়, কিন্তু সব নামের মধ্যে পার্বতী নাম‌ই মূল নাম।  লেখনীতে : শ্রীনন্দীনাথ শৈবজী  কপিরাইট ও প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT 

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত