ডানাযুক্ত পর্বতের শেষ পরিণতি বলে পুরাণ নিয়ে কটূক্তিকারী আর্যসমাজীদের জবাব
বর্তমানে সনাতন ধর্মীদের শাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান খুবই সীমিত, এর ফলে সনাতনীদের এই দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে একদম পাষণ্ড ধূর্ত ম্লেচ্ছ ব্যক্তি সনাতন ধর্মের পবিত্র পুরাণ শাস্ত্র কে নিয়ে অর্ধসত্য প্রচার করে বোকা বানিয়ে চলেছে, যার ফলে মানুষ ভাবছে যে এই ম্লেচ্ছ আর্যসমাজীরাই একমাত্র পণ্ডিত, আর বাকিরা সবাই ভুল।
পুরাণ শাস্ত্রের নামে মিথ্যাচার করবার জন্য যেন তেন প্রকারে এই ভণ্ড আর্যসমাজীরা অপকৌশল অবলম্বন করে চলেছে। বাংলাদেশ অগ্নিবীর নামক একটি আর্যসমাজীদের ডেরা আছে, তাদের Back to Vedas নামক একটি Blog রয়েছে, সেখানেই এরা পুরাণের নামে বহু মিথ্যাচার করছে। তার মধ্যে একটি মিথ্যাচার হল পুরাণের মধ্যে থাকা ' পর্বত ' নিয়ে।
তারা বিদ্রুপ করে যে পোষ্টটি লিখেছে, সেটি হল 👇
ডানাযুক্ত উড়ন্ত পর্বতের শেষ পরিণতি কি হয়েছিল - জানুন পুরাণে
উপরোক্ত পোষ্টের মধ্যে থাকা দাবি গুলোর ভিত্তিতে আর্যনামাজীরা যেটি বলতে চাইছে, সেটা হল -
১) স্থূল অর্থাৎ মাটি পাথর প্রভৃতি জড় পদার্থে পরিপূর্ণ পর্বত 🏔️ আকাশে উড়ে বেড়ায়।
২) সেই স্থূল জড় পদার্থের পর্বতগুলির ডানা ছিল ।
৩) ইন্দ্র বলতে সূর্যকে বোঝানো হয়েছে, তাছাড়া ইন্দ্র পরমাত্মার নাম, কিন্তু পুরাণে তাকে কল্পনার মাধ্যমে পরমাত্মার থেকে স্বতন্ত্র দেবতা বানিয়ে দেয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেদ বিরুদ্ধ ।
৪) বেদের সাথে পৌরাণিক কাহিনীর বিরোধ আছে তাই পুরাণ বেদ বিরুদ্ধ।
আর্যসমাজীদের মনে রাখা উচিত, তারা যেহেতু পুরাণের অংশ তুলে ধরে পুরাণকে কল্পনা বা বেদ বিরুদ্ধ বলেছে, সেই হিসেবে - পুরাণেরই যুক্তি ধরে পুরাণের অংশ থেকেই এই দাবী খণ্ডন করলে আর্যমসমাজীদের তা গ্রহণ করতে হবে ।
উপরোক্ত নির্বোধ দাবীর খণ্ডন :
১ম দাবীর বিশ্লেষণ - মূর্খ আর্যসমাজীরা ! উড়ন্ত পর্বত বলতে জড় পদার্থের এইরকম মাটি পাথরের পর্বতের কথা ভেবে বসে আছে 👉 🏔️
তার কারণ হল, এই আর্যসমাজীরা কখনো পুরাণ শাস্ত্র ভালো করে অধ্যয়ন করেনা । পুরাণ শাস্ত্রে পরিষ্কার ভাবেই নির্দেশ করা হয়েছে যে, পর্বত বলতে পর্বতের অধিপতি পর্বতের দেবতাকেই বোঝানো হয় ।
দেবতারূপী পর্বত আর জড়পদার্থের পর্বত 🗻 দুটি এক বিষয় নয়।
এটি প্রমাণ সহ দেখা যাক।
জড় পদার্থের পর্বতগুলির অধিপতি দেবতারূপী পর্বতের জন্ম 👇
অসূত মেনা মৈনাকং ক্রৌঞ্চং তস্যানুজং তথা ।..॥২১
[তথ্যসূত্র : কূর্মপুরাণ/পূর্বভাগ/অধ্যায় ১৩]
সরলার্থ - মৈনাক ও তার কনিষ্ঠ ক্রৌঞ্চকে মেনা প্রসব করেছিলেন ।
গিরিরাজ হিমালয়ের পত্নী মেনার থেকে পর্বত দেবতা মৈনাক ও ক্রৌঞ্চ জন্মায় ।
পুরাণে বর্ণিত হয়েছে যে পার্বতী মাতার পিতা হলেন হিমালয় । এর দ্বারাও প্রমানিত হয় যে পর্বত বা হিমালয় বলতে নররূপী দেবতাকেই বোঝায়। আর তার পুত্র মৈনাক বা ক্রৌঞ্চকেও পর্বত বলা হয় অর্থাৎ উক্ত পর্বতের অধিপতী দেবতা ।
🔶 প্রত্যেক পর্বত দেবতা দিব্যরূপ ধারণ করেন, এটি শিবমহাপুরাণের রুদ্র সংহিতার পার্বতী খণ্ডের ৩৭নং অধ্যায়ের ২২ থেকে ৪০নং শ্লোকের মধ্যে এভাবে বলা হয়েছে যে,
দেবতাদের নিবাসভূত গিরিরাজ সুমেরু দিব্যরূপ ধারণ করে নানা মণি ও মহারত্ন নিয়ে স্ত্রী-পুত্রসহ হিমালয়ের গৃহে এলেন। মন্দরাচল, অস্তাচল, উদয়াচল, মলয়, দর্দুর, নিষদ, গন্ধমাদন, করবীর, মহেন্দ্র, পারিযাত্র, ক্রৌঞ্চ, পুরুষোত্তমশৈল, নীল, ত্রিকূট, চিত্রকূট, বেঙ্কট, শ্রীশৈল, গোকামুখ, নারদ, বিন্ধ্য, কালন্ধর, কৈলাস এবং অন্য পর্বতসমূহ দিব্যরূপ ধারণ করে নিজ নিজ স্ত্রী-পুত্রসহ নানাপ্রকার উপহার নিয়ে উপস্থিত হলেন। অন্যান্য দ্বীপে যেসব পর্বত ছিল, তাঁরাও হিমালয়ের গৃহে পদার্পণ করলেন।
সুতরাং, পর্বত আকাশে বেগমান হয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে বলতে দিব্যরূপধারী পর্বত অধিপতি দেবতাদের কথা বলা হয়েছে, জড় পদার্থ সমন্বিত পর্বত উড়ে বেড়ায় না। জড়পদার্থের পর্বত আকাশে উড়ে বেড়ায় এমনটা দাবি করাও মূর্খতা । পর্বতদেবতারা আকাশ পথে ভ্রমণ করতে করতে হঠাৎ ই যেকোনো স্থানে নেমে দিব্যরূপ থেকে বিরাট পর্বতরূপে রূপান্তরিত হয়ে যেতেন, ফলে বহু জীবের অসুবিধা হয়ে পড়তো। এই সামান্য কথাকে নিয়ে, আর্যসমাজীরা পুরাণের নামে মিথ্যাচার করার জন্য একটি বাক্যের দৃষ্টিকোণও বদলে দিয়ে অপপ্রচার করতে পিছপা হয় না।
২য় দাবীর বিশ্লেষণ - স্থূল জড় পর্বতের ডানা আছে - এমন দাবী করা মূর্খতা। উপরেই বিশ্লেষণ করা হয়ে গিয়েছে যে, উড়ন্ত পর্বত বলতে এখানে দিব্যরূপধারী পর্বত দেবতার কথা বলা হয়েছে, তাই দিব্যরূপধারী পর্বতদেবতার পক্ষ থাকতেই পারে। যদি পুরাণ শাস্ত্রের অনুসারে - গরুড় দেবতার ডানা থাকতে পারে, যদি পরমেশ্বর শিবের শরভেশ্বর অবতারের সিংহের মতো দেহ, আটটি পা ও পাখির মতো মুখ পাখনা থাকতে পারে, যদি ভগবান শ্রীবিষ্ণুর অবতার নৃসিংহের দেহ মনুষ্যের মতো কিন্তু হাতের নখ ও মুখ সিংহের মতো হতে পারে, তবে পর্বতদেতার পক্ষ বা পাখনা থাকলে সমস্যা কোথায় ?
আর্যসমাজীদের কাছে পর্বতদেবতা জিজ্ঞাসা করতে যাবে নাকি যে, পর্বতদেবতার পক্ষ থাকবে কি না ?
আর পর্বতদেবতার ডানাটা থাকাতে অস্বাভাবিক কি আছে ?
বরং অস্বাভাবিক তো এটা
দয়ানন্দ সরস্বতী সত্যার্থ প্রকাশে বলেছিলেন সূর্যেও মানুষ থাকে 😁
কি.... ? এবার মজা লাগছে ? এখন নিশ্চয়ই এটার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আরেকটা মহাভারত লিখে ফেলবেন আপনারা আর্যমসমাজীরা।
৩য় দাবীর বিশ্লেষণ - ইন্দ্র বলতে সূর্যকে বোঝানো হয়েছে বলে লাফালাফি করছে আর্যমসমাজীরা, অথচ উক্ত ঋগ্বেদের ১ম মণ্ডলের ৩২নং সূক্তের দেবতা হল ইন্দ্র, সূর্য নয়। দয়ানন্দ সরস্বতী নিজেও এটা স্বীকার করেছেন, কিন্তু পরক্ষণে পাল্টি খেয়ে ইন্দ্র দেবতাকে সূর্য বলে চালিয়ে দিয়েছে। যার কোনো প্রমাণ নেই।
এছাড়া,
পুরাণে ইন্দ্রকে একজন দেবতা হিসেবে দেখানোর ফলে আর্যসমাজীরা বলছেন যে এটা বেদ বিরুদ্ধ।
কেন উপনিষদের ৩য় খণ্ডের ১১নং শ্লোকের মধ্যেই পরিষ্কার করে বলা হয়েছে যে ইন্দ্র একজন দেবতা মাত্র, যিনি ব্রহ্মের শক্তির বলেই যুদ্ধ জয় করতে পেরেছিলেন। কিন্তু ইন্দ্র তা জানতেন না।
সুতরাং, শুধু পুরাণেই নয় বরং উপনিষদেও ইন্দ্র একজন দেবতা। যিনি যুদ্ধ করতেন। এখানে সাকারবাদও প্রমাণিত হয়ে গেল ।
পরমেশ্বরের একটি রূপ ইন্দ্র দেবতা, তাই ইন্দ্র দেবতার অন্তরে স্থিত পরমেশ্বরকেই বেদ মন্ত্রে স্তুতি করা হয়েছে। মূর্খ আর্যসমাজীরা এই পরম সত্য সম্পর্কে অনভিজ্ঞ। তাই এসব না বুঝেই আকাশপাতাল বকতে থাকে ।
৪র্থ দাবীর বিশ্লেষণ : পুরাণ শাস্ত্রের অনুসারে,
দিব্যরূপধারী পর্বতদেবতার পক্ষ থেকে মেঘসমূহের প্রকট হবার ঘটনা কাল্পনিক কি করে হয় ?
যদি পরমেশ্বর শিবের অশ্রু হতে রুদ্রাক্ষ বৃক্ষ উৎপন্ন হতে পারে তবে দিব্যরূপধারী পর্বতদেবতার পক্ষ থেকে মেঘসমূহের প্রকট হলে তা অবৈজ্ঞানিক কি করে হয় ?
সনাতন ধর্মের মধ্যের সমস্ত বিষয়কে নিয়ে যদি কেউ বর্তমানের জড় বিজ্ঞানের নাস্তিক্যবাদী দৃষ্টিকোণেই বিচার করার চেষ্টা করে তবে তা অতিমাত্রায় মূর্খতা ও পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয় ।
পুরাণে বলা হয়েছে যে পর্বতদেবতার পক্ষ ছিন্ন করেন ইন্দ্র, সেই পক্ষ থেকে মেঘসমূহ অর্থাৎ বিভিন্ন রকমের মেঘ উৎপন্ন হয়।
আর্যসমাজীরা বলতে চাইছে যে, ইন্দ্র মেঘকে ছেদন করেছিলেন, আর পুরাণে বলা হয়েছে যে পর্বতদেবতার পক্ষকে ছেদন করেছে - তাই বেদ ও পুরাণে ভিন্ন কাহিনী থাকার কারণে পুরাণ হল বেদ বিরুদ্ধ।
মূর্খসমাজীরা পুরাণটি ভালো করে পড়ে না এটাই সমস্যা। পুরাণে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে যে, পর্বতদেবতার 'পক্ষ' থেকে মেঘসমূহ অর্থাৎ বিভিন্ন রকমের মেঘ উৎপন্ন হয়েছে, যেগুলিকে একত্রে "পুষ্কর" বলা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে কোনোটি ঘোরসংজ্ঞক মেঘ, কোনোটি জলবর্ষণকারীসংজ্ঞক মেঘ, কোনোটি সম্বর্ত্তাগ্নিসংজ্ঞক মেঘ [বায়ুপুরাণ/৫১|৩৮]
অর্থাৎ পর্বতদেবতার পক্ষটিই স্বয়ং মেঘ , যেটিকে ছেদন করলে তার থেকে বিভিন্ন প্রকারের মেঘ উৎপন্ন হয়। পর্বতের পক্ষ বলতে এখানে মেঘকেই নির্দেশ করা হয়েছে।
পাঠকবৃন্দ! ভালো করে দেখুন এই মূর্খ আর্যসমাজীদের পাগলের প্রলাপ...... এরা বেদ মন্ত্র তুলে এনে দেখাতে চাইছে যে পুরাণ কি না বেদ বিরুদ্ধ। ঋগ্বেদের ১ম মণ্ডলের ৩২নং সূক্তের শুধুমাত্র ১নং মন্ত্র তুলে তার অনুবাদ দেখিয়ে আর্যমসমাজীরা বলতে চাইছে যে উক্ত মন্ত্রের পর্বত শব্দটি শুধুমাত্র মেঘ অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে।
বেদে পর্বত বলতে কি শুধু মেঘ বুঝিয়েছে নাকি মেঘ ও পর্বত উভয়কেই বুঝিয়েছে ?
চলুন দেখে নিই...
ইন্দ্রস্য নু বীর্যাণি প্র বোচং যানি চকার প্রথমানি বজ্রী ।
অনহিমন্বপস্ততর্দ প্রবক্ষণ অভিনৎপর্বতানাম্ ॥
[তথ্যসূত্র : ঋগ্বেদ/১ম মণ্ডল/৩২নং সূক্ত/১ম মন্ত্র]
অর্থ - আমি বজ্রধারী ইন্দ্রের পূর্বকৃত পরাক্রমের বর্ণনা করছি, তিনি মেঘের বধ করেছেন, এরপর জলকে পৃথিবীতে পতিত করেন, এরপর বয়ে যাওয়া পাহাড়ী নদীর মার্গ বদলে দিলেন ।
এবার মজা দেখুন...😃
অহন্নহিং পর্বতে শিশ্রিয়াণং ত্বষ্টাস্মৈ বজ্রং স্বর্যং ততক্ষ ।
বাশ্রা ইব ধেনবঃ স্যন্দমানা অঞ্জঃ সমুদ্রমব জগ্মুরাপঃ ॥২
[তথ্যসূত্র : ঋগ্বেদ/১ম মণ্ডল/৩২নং সূক্ত/২য় মন্ত্র]
অর্থ - ইন্দ্র পর্বতে আশ্রয়গ্রহণকারী মেঘকে বধ করেন, ত্বষ্টা ইন্দ্রের জন্য উত্তম প্রকারের নিক্ষিপ্তকারী বজ্র তৈরি করেন । এরপর জলের বেগবতী ধারা সেই প্রকারে সমুদ্রে দিকে পৌঁছোয় যেভাবে গরু বাছুর মুখে শব্দ করতে করতে গৃহে ফিরে যায় ।
👉ভালো করে দেখুন এখানে 'পর্বত' ও 'মেঘ' এই দুটি শব্দকে আলাদা আলাদা ভাবে গ্রহণ করা হয়েছে, সুতরাং, নিঘন্টু দিয়ে পর্বতের অর্থ সর্বদাই মেঘ হিসেবে অর্থ বের করাও মূর্খতা।
🔶প্রাচীন বেদভাষ্যাকার সায়ণাচার্য জীও এই একই কথা বলেছেন উক্ত ২নং মন্ত্রের ভাষ্যে👇
🔥 সিদ্ধান্ত 🔥
পাঠকবৃন্দ !
দেখুন... আর্যনামাজীদের অর্ধসত্য ধরা পড়ে গেছে, এই ধূর্ত দয়ানন্দ সরস্বতীর চ্যালারা ঋগ্বেদের একটি মাত্র মন্ত্র দিয়ে পুরাণের সাথে বিরোধ লাগানোর চক্রান্ত করেছে। অথচ পরবর্তী মন্ত্রতেই পুরাণের সাথে বেদের একত্ব ও সমতার স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে ।
পুরাণে বলা হয়েছে যে, পর্বতের পক্ষ অর্থাৎ মেঘকে কে ইন্দ্র ছিন্ন করেন,
বেদেও বলা হয়েছে যে, পর্বতে আশ্রয়গ্রহণকারী মেঘকে ইন্দ্র হনন করেছিলেন ।
চার্বাকদের থেকে ৯০ ডিগ্রি ঊর্ধে উঠে যাওয়া এই ধূর্ত দয়ানন্দ সরস্বতীর অন্ধভক্ত আর্যমসমাজীরা পুরাণের কিছু অংশকে তুলে আর বেদমন্ত্রের একটি অংশ তুলে, কখনো কখনো সেই বেদমন্ত্রের ভুলভাল অনুবাদের নিরিখে পুরাণ শাস্ত্রের থেকে তুলে নেয়া ওই কিছু অংশের সঙ্গে বিরোধ বাঁধানোর অপপ্রয়াস করে, আর মস্তিষ্কহীন কিছু সনাতনীরা বা যাদের শাস্ত্র জ্ঞান নেই, যারা শাস্ত্রের গূঢ় রহস্য বা ভাবার্থ বোঝেনা এমন ব্যক্তিদের এই সমস্ত অপপ্রচার মূলক পোষ্ট দেখিয়ে পুরাণ শাস্ত্রকে কাল্পনিক গল্পের বই, অবৈজ্ঞানিক ইত্যাদি ইত্যাদি বলে মানতে বাধ্য করে ।
ফলে, এই সমস্ত ম্লেচ্ছ খ্রিষ্টানদের দালাল আর্যমসমাজীদের দল ভারী হয়। এভাবেই ধীরে ধীরে ক্যান্সার কোষের মতো বৃদ্ধি পাচ্ছে এই আর্যসমাজীরা, যার কারণে বহু সনাতনী আজ দেবতার মূর্তিপূজা বিরোধী হয়ে গেছে, নিরাকারবাদী হয়ে গেছে, পুরাণ শাস্ত্রের বিরোধী হয়ে গেছে। মূলত, এসবই ঐ ভণ্ড ধূর্ত দয়ানন্দ সরস্বতীর আর্যমসমাজীদের পাল্লায় পড়ার কারণ।
এভাবেই পুরাণের নামে মিথ্যাচার করার জবাব দেয়া হবে আর্যসমাজীদের ।
✍️ অপপ্রচার দমনে : শ্রীনন্দীনাথ শৈব
কপিরাইট ও প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন