পঞ্চব্রহ্ম শিবের ধ্যানমন্ত্র (শৈব আগমোক্ত)

 


পরমেশ্বর শিবের পঞ্চমস্তকস্বরূপের ধ্যান শৈব আগম শাস্ত্র থেকে সংগ্রহ করেছেন শ্রীরোহিত কুমার চৌধুরী শৈবজী । প্রকাশনায় ISSGT(International Shiva Shakti Gyan Tirtha)


🔴অথ পঞ্চব্রহ্ম ধ্যানম্ -


" ঈশস্ফটিকবৎমধ্যে পূর্বে কুঙ্কুমবন্নরঃ ॥

দক্ষিণেঽঞ্জনবদ্-ঘোরঃ সৌম্যে বামঃ কুসুম্ভবৎ ।

 চন্দ্রাংশুনির্মলং সদ্যং বক্ত্রং পশ্চিম দিগ্গতম্ ॥

সিংহনাদমুখং পূর্বে ললাটে নয়নং শুভম্ ।

ভৃহীনং তুঙ্গনাসং চ সুকপোলস্মিতাধরম্ ॥

দক্ষিণং ভীষণাকারং দংষ্ট্রাদন্তুর কর্কশম্ ।

বিবৃতাস্যং মহাঘ্রাণং বৃত্তাক্ষং লেলিহানকম্ ॥

নাগাভরণ সংযুক্তং কপালকৃতশেখরম্ ।

জ্বালাকৃতি জটাব্যালভোগিবদ্ধোর্ধ্ব চূড়কম্ ॥

পীতমাপ্যং প্রসন্নং চ সুনাসং সুললাটকম্ ।

ত্র্যক্ষং মকুটযুক্তং চ কুণ্ডলালঙ্কৃতং শুভম্ ॥

ভৃঙ্গাকার কচাব্রাতং কাঞ্চনাভণান্বিতম্ ।

ললাট তিলকোপেতং দর্পণাসক্ত তেজসম্ ॥

অলকাবতংস সংযুক্তং সৌম্যং কান্তবপুর্যুতম্ ।

তত্রৈশানং স্থিতোত্তানো মূর্ধস্থস্ত্বতিভীষণঃ ॥

কুণ্ডলালঙ্কৃতস্র্যক্ষো মৌলীন্দুতরুণঃ স্মৃতঃ ।

এবং বক্ত্রাণি সংভাব্য রূপং সদাশিবং যজেৎ ॥"


(রেফারেন্স- পূর্বকামিকাগম/চতুর্থ পটল/শ্লোক নং ৩৩৫-৩৪০)


অর্থ - সদাশিবের চারমস্তকের মধ্যে মধ্যবর্তী (ঊর্ধ্বমুখী) মস্তকের নাম হল - ঈশান। ঈশানের বর্ণ স্ফটিক বর্ণের। পূর্ববর্তী মস্তক হল -তৎপুরুষ, যার বর্ণ কুঙ্কুম বর্ণের (লালচে হলুদ)দক্ষিণবর্তী (ডানদিক) বক্ত্রের নাম হল অঘোর,  যার বর্ণ কৃষ্ণ/কালো। উত্তরবর্তী(বামদিক) মস্তকের নাম হল - বামদেব , যার বর্ণ- কুসুম বর্ণ বা লালবর্ণের। পশ্চিম দিকের বক্ত্রের নাম - সদ্যোজাত , যার বর্ণ চন্দ্রালোকের ন্যায় অর্থাৎ শুভ্র। তৎপুরুষ বক্ত্র সিংহনাদের ন্যায়,  উজ্জ্বল কপালে তৃতীয় নেত্র(অগ্নিনেত্র) শোভা পাচ্ছে। নেত্রত্রয় ভ্রু বিহীন। ঊর্ধ্ব নাসিকা,  সুন্দর কপোলদ্বয়(গাল) এবং ঠোঁটে মৃদু হাসি। অঘোর বক্ত্র ভীষণদর্শণ। ইহা দংষ্ট্রকরাল এবং কর্কশ(উগ্র)। উন্মুক্ত বিরাট মুখগহ্বর , বিশালাকৃতি নাসিকা,  গোলাকার চক্ষু,  সর্পের ন্যায় লেলিহান জিহ্বা বাইরে বেরিয়ে।  সর্পালঙ্কারভূষিত, নরোকপাল দ্বারা মস্তকটি সুশোভিত। মস্তকের জটা জ্বলা/অগ্নির ন্যায় বিস্ফারিত।  কেশাগ্রভাগ সর্পদ্বারা বন্ধিত।  সদ্যোজাত বক্ত্র হলুদ/পীত বর্ণের (লালচে হলুদ) প্রসন্নচিত্ত ও মনোরম। সুন্দর নাক ও কপাল বিশিষ্ট। ত্রিনেত্র বিশিষ্ট,  মস্তকে মুকুট সংযুক্ত  এবং কানে কর্ণকুণ্ডল বর্তমান। বামদেব লাল বর্ণের, তার চারপাশ ঘনকেশরাশি দ্বারা আবৃত, অলংকারে সুসজ্জিত। ললাটদেশে তিলক অর্থাৎ কুঙ্কুমের গোলাকার বিন্দু,  শুদ্ধ দর্পণের ন্যায় উজ্জ্বল, সৌম্য,  কপালের উপরে কোঁকড়ানো কেশরাশি এবং তা গোলাকৃতি অলংকার দ্বারা সজ্জিত।  ঈশান হলেন ঊর্ধ্ববক্ত্র,  ইহা ঊর্ধ্ব অভিমুখে বিন্যস্ত। ইহা ত্রিনেত্র,  কানে কর্ণকুণ্ডল ও জটায় চন্দ্র ও মুকুট বিশিষ্ট।  এইভাবে পঞ্চব্রহ্মের ধ্যান পূর্বক সদাশিবের পূজো আরম্ভ করতে হবে।


👉সংগ্রহে ও লেখনীতে- RohitKumarChoudhury(ISSGT)


👉প্রচারে ও কপিরাইট –  International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত