পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আকাশ মুদ্রা

ছবি
  আকাশ মুদ্রা হাতের মধ্যবর্তী সবচেয়ে লম্বা আঙুলটিকে মধ্যমা আঙ্গুল বলে। এই মধ্যমা আঙ্গুলের মাথাকে বুড়ো আঙুলের মাথার সাথে স্পর্শ করে করতে হয়, অন্যান্য সমস্ত আঙুলগুলি সরলভাবে সোজা রাখতে হবে, একেই আকাশ মুদ্রা বলে ।   অভ্যাসের সময়সীমা : অন্তত ৩০ মিনিট উপকারিতা : • মানসিক শান্তি আনে, • মাইগ্রেন পীড়া দূর হয়, • হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে, • ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করে, • কানের রোগে উপকারী। (বি.দ্র. - ধ্যান করার সময় বসে এই মুদ্রা দুই হাতে ধারণ করে দুই হাঁটুর উপর রেখে ধ্যান করবেন )

জ্ঞান মুদ্রা

ছবি
জ্ঞান মুদ্রা   হাতের তর্জনী আঙ্গুলের মাথার  সাথে বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথা টিপে  ধরে বাকি আঙ্গুলগুলি সরলভাবে সোজা করে রাখুন। অভ্যাসের সময়সীমা : অন্তত ৩০মিনিট উপকারিতা : • অনিদ্রা রোগ দূর হয়, • মানসিক উত্তেজনা ও  • মানসিক শান্তি, • মন আনন্দে ভরে ওঠে , • কামাসক্তভাব নিয়ন্ত্রণে আসে, • স্নায়ুসমূহ শক্তিসম্পন্ন হয়, • দুশ্চিন্তা দূর হয়, • একাগ্রতা বৃদ্ধি পায় । ( বি.দ্র. - ধ্যান করার সময় বসে এই মুদ্রা দুই হাতে ধারণ করে দুই হাঁটুর উপর রেখে ধ্যান করবেন )

শ্রীশ্রীআদ্যাশক্তিপার্বতীস্তোত্রম্

 দেবরাজ ইন্দ্র রক্তাসুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে পরমেশ্বরী মহামায়া শ্রীপার্বতী দেবীর স্তুতি করেছিলেন।  সেই স্তোত্র              শ্রীশ্রীআদ্যাশক্তিপার্বতীস্তোত্রম্ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। International_Shiva_Shakti_Gyan_Tirtha – ISSGT – এর হাত ধরে এই পবিত্র স্তোত্রটি পুনরুদ্ধার করেছেন শ্রীকৌশিক রায় শৈবজী। পরমেশ্বরী জগন্মাতা শ্রীপার্বতী দেবীর আরাধনা করলে জীবের দেহ,মন শুদ্ধ হয় এবং শিবপদ লাভ করে। নিত্য প্রভাতে ত্রিপুন্ড্র ও রুদ্রাক্ষ ধারন করে উত্তরমুখী দিকে বসে পরমেশ্বর ভগবান প্রভু শিবের স্তোত্রপাঠ করার পর এই স্তোত্র পাঠ করে দিনের কাজ শুরু করলে শুভফল লাভ হয়। জগতপিতা জগতমাতার দৃষ্টি থাকে সর্বদা সেই ভক্তের উপর। এই স্তোত্র পাঠ করার আগে হাত জোড় করে চক্ষু বন্ধ করে বিনিয়োগ পর্বটি শান্ত মনে পাঠ করতে হবে। তারপর প্রভু পরমেশ্বর শিবের পাশে মাতা পরমেশ্বরী পার্বতী দেবীকে কল্পনা করে স্তোত্র পাঠ করতে হবে। [অনুগ্রহ করে, যেহেতু এটি একটি স্তোত্র সেহেতু বিনিয়োগ পর্ব পাঠ না করলেও অসুবিধা নেই,কিন্তু উপরোক্ত মার্গে কল্পনা করেই স্তোত্র পাঠ করতে হবে] (সংস্কৃত শ্লোক উচ্চারণের ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ‘য’

শ্রীশ্রীপার্বতী পূজা পদ্ধতি (শিবমহাপুরাণোক্ত)

ছবি
  দেবী পার্বতী স্বয়ং আদ্যাশক্তি শিবজায়া, তিনি বেদে ব্রহ্মবিদ্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তার পূজা বিধি প্রকাশ করা হল ISSGT (International Shiva Shakti Gyan Tirtha)এর পক্ষ থেকে। পূজা বিধিটির বিধান দিয়েছেন শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী। পার্বতী মাতার আরাধনার পদ্ধতি শিবমহাপুরাণে প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের এই বাংলাতে দেবী পার্বতীর আরাধনার দৃষ্টিকোণ একটু আলাদা। মাতা পার্বতী অন্নপূর্ণা , বাসন্তী ও দূর্গা হিসেবে এখানে পূজিত হন ৷ বাংলাতে শঙ্করপত্নী হিসেবে পরমেশ্বর শিবের বামভাগে বসিয়ে পূজিত হ‌ওয়ার কথা খুবই বিরল । অথচ পশ্চিমবাংলা বাদে ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যতে দেবী পার্বতীর আরাধনা খুব বেশি প্রচলিত রয়েছে। দক্ষিণ ভারতে এর প্রভাব খুব বেশি। গুজরাত , মহারাষ্ট্র , মধ্যপ্রদেশ , উত্তরপ্রদেশ , কর্ণাটক , তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানাতে মাতা পার্বতীকে শিবপত্নী হিসেবে আরাধনা প্রচলিত আছে । দেবী পার্বতীর উদ্দেশ্যে মঙ্গলা গৌরী ব্রত , জয়া-পার্বতী ব্রত ও জ্যৈষ্ঠ গৌরী ব্রত সেই অঞ্চলের গৃহবধূ তথা অবিবাহিতা কন্যারা ঘরে ঘরে পালন করে থাকেন । দেবী পার্বতীর এই অর্চনা পদ্ধতি টি শিবমহাপুরাণ হতে নেয়া হয়েছে, এটি বাংলার প্রচল

জল দান করা উচিৎ - শিবমহাপুরাণের শিক্ষা

ছবি
  পানীয়দানং পরমং দানানামুত্তমং সদা। সর্বেষাং জীবপুঞ্জানাং তর্পণং জীবনং স্মৃতম্ ॥১  প্রপাদানমতঃ কুৰ্যাত্ সুস্নেহাদনিবারিতম্ ।  জলাশ্রয়বিনির্মাণং মহানন্দকরং ভবেত্ ॥২ ইহ লোকে পরে বাপি সত্যং সত্যং ন সংশয়ঃ ॥৩ [রেফারেন্স - শিবমহাপুরাণ/উমাসংহিতা/১২নং অধ্যায়] ☘️সরলার্থ : হে ব্যাসদেব ! জলদানই সর্বশ্রেষ্ঠ। এটি সব দান থেকে সর্বদাই উত্তম। কারণ জলকে সর্বসমুদায়ের তৃপ্তিকারী জীবন বলা হয় ॥১  তাই অত্যন্ত স্নেহের সঙ্গে অনিবার্যরূপে জলদান করা উচিত। জলাশয় তৈরি করা ইহলোক ও পরলোকেও মহাআনন্দ প্রাপ্তিকারী হয়, একথা সত্য, সত্য। এতে কোনোই সন্দেহ নেই ॥ ২-৩ © KOUSHIK ROY. ALL RIGHTS RESERVED https://issgt100.blogspot.com

পদ্মপুরাণে শৈবদের নিন্দা করা কতটা যুক্তিযুক্ত ?

ছবি
  বর্তমানে কলিরচর বৈষ্ণবদের মধ্যে একটি ভয়ঙ্কর শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার এসে জাকিয়ে বসেছে। যার অসুখে আক্রান্ত হয়ে এরা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে শৈবদের অপমানিত করে শাস্ত্রের মধ্যে থাকা বিভিন্ন বিষয়ের সম্পূর্ণ অর্থ ও তার মান্যতা তথা গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে অবগত না হয়েই চোখে যা দেখতে পায় সেটিই দিয়ে শৈবদের কাছে সেটি প্রদর্শন করে তাদের ও পরমেশ্বর শিবকে অপমানিত করে নিজেদেরা শ্রেষ্ঠত্বের সিংহাসনে আরোহণ করছে ভেবে দিবাস্বপ্ন দেখতে থাকে। আজ সেই সমস্ত অপপ্রচারের মধ্যে থাকা একটি বিশেষ অপপ্রচারকের পর্বতকে খণ্ডিত করা হল নীচের আলোচনায়। কলিরচর বৈষ্ণবদের দাবী : ১) শৈবরা ভস্ম মাখে,জটা ধারণ ও শিবকে সর্বোচ্চ মানেই । সেই কারণে শৈবরা পাষণ্ড বলে গণ্য । ২) শ্রীবিষ্ণু অবতার গ্রহণ করে সেই ভাবে জটাধারণ করে ভস্ম মেখে শিবকে সর্বোচ্চ আরাধ্য মেনে পূজা করেন। এসব দেখে দানবেরা সেই ভাবে পূজা করে পতিত হয় । তাই শ্রীবিষ্ণুর দ্বারা শিবপূজা করাটা শুধুমাত্র তমগুণযুক্ত দানবদের ভ্রমিত করার জন্য। উপরোক্ত এই দুটি দাবী কলিরচর বৈষ্ণবরা পদ্মপুরাণের উত্তরখণ্ডের ২৩৫ অধ্যায়ের কয়েকটি শ্লোক উত্থাপন করে প্রচার করে থাকেন, এই যুক্তিগুলির উপর

ফাল্গুনী বসন্তোৎসব (পাঙ্গুনি উথীরাম)

ছবি
বর্তমানে সনাতন শৈবধর্মের বহু সংস্কৃতি আজ‌ও সনাতনীরা নিজেরাই বিস্মৃত হয়ে গেছেন। যার মধ্যে অন্যতম হল এই ফাল্গুনী বসন্তোৎসব । দক্ষিণ ভারতে তামিল ভাষায় এটি পাঙ্গুনি উথীরাম নামে সুবিখ্যাত। এই পাঙ্গুনি শব্দের অর্থ ফাল্গুন মাস কে বোঝায় এবং উথীরাম শব্দ একটি বিশেষ নক্ষত্র কে নির্দেশ করে, তার নাম - উত্তরা নক্ষত্র ।  এই অনুষ্ঠানের সম্পর্কে বাংলায় কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। এই সর্বপ্রথম ISSGT (International Shiva Shakti Gyan Tirtha) এর পক্ষ থেকে শৈবসংস্কৃতির মধ্যে প্রাচীন তম একটি অনুষ্ঠান যার নাম ফাল্গুনী বসন্তোৎসব, সেটি লেখার মাধ্যমে  শ্রীকৌশিক রায় শৈবজী প্রকাশ করেছেন, তথ্য দ্বারা বিশেষ সহায়তা করেছেন - শ্রী রোহিত কুমার শৈবজী ।  এছাড়া ঈশান বর্মন সাহায্য করেছেন।  ♥️ উৎসবের উৎস : সেক্কিজার‌‌ পিল্লাই নায়নার‌ (তাঁরই‌ লেখা পেরিয়াপুরাণ- শেষতম তিরুমুরাই)। এই পেরিয়া পুরাণ তিরুমুরাই তে সেক্কিজার‌‌ লিখেছেন যে -  নমিনন্দী আদিগাল নয়নার এবং আপ্পার নয়নার (তিরুনাভুক্কারাসার) প্রাচীন কালে এই অনুষ্ঠান পালন করেছিলেন। পেরিয়া পুরাণ ও দক্ষিণভারতের মান্যতা অনুসারে এই দিনের মূল অনুষ্ঠান হল - কল্যান ব্রত

দক্ষিণামূর্তি অষ্টকম্ স্তোত্রম্ (আদিশঙ্করাচার্য্যকৃত)

ছবি
  ISSGT (INTERNATIONAL SHIVA SHAKTI GYAN TIRTHA) – এর পক্ষ থেকে শ্রী কৌশিক রায় শৈবজী দ্বারা এই প্রথমবার বাংলাতে দক্ষিণামূর্তি অষ্টকম্ স্তোত্রম্ আনা হল। প্রভু পরমেশ্বর শিবের অসংখ্য লীলামূর্তির মধ্যে দক্ষিণামূর্তি রূপ অন্যতম । এটি প্রভু শিবের আদিগুরু রূপে বিখ্যাত। গুরুপূর্ণিমা তিথির শুভদিনে এই দক্ষিণামূর্তি প্রভুর আরাধনা করা হয়। বেদ তথা সমস্ত শাস্ত্রের জ্ঞান প্রদানকারী প্রভু শিবের এই দক্ষিণামূর্তি লীলামূর্তি সমস্ত গুরু পরম্পরার আদিগুরু রূপে প্রতিষ্ঠিত। গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে প্রভুর এইরূপের অষ্টকম্ স্তোত্র প্রকাশিত করা হল। যা আদি শঙ্কর আচার্য দ্বারা রচিত। দক্ষিণামূর্তি শিবের আরাধনা করার সময় এই স্তোত্র পাঠ করবেন। এই রূপকে আরাধনা করে উচ্চকোটির বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞান, ঐশ্বর্য, শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতজ্ঞ হওয়ার আশীর্বাদ প্রাপ্ত করা সম্ভবপর হয়। প্রত্যেক বিদ্যার্থীগণ (ছাত্র-ছাত্রী ইত্যাদি) -এর এই প্রভু দক্ষিণামূর্তি শিবের আরাধনা করা উচিত। আরাধনার সময় বিভিন্ন স্তোত্র ও মন্ত্র পাঠ করা প্রয়োজন। দক্ষিণামূর্তি প্রভুর বিভিন্ন স্তোত্রের মধ্যে আদিশঙ্করকৃত এই দক্ষিণামূর্তি অষ্টকম্ স্তোত্রম্ এখানে ধ্যান সহ উল্লে

কলিযুগে হরিনাম ছাড়াও শিবনামে মুক্তি সম্ভব

ছবি
  বর্তমানে কলিরচর বৈষ্ণবেরা যখন‌ই কোনো শিব ভক্তদের দেখে তখন‌ই এরা এদের মুখস্ত করা বুলি আ‌ওড়াতে শুরু করে । সেই মুখস্ত করা বুলি কিছুটা এইপ্রকার, নিচে দেয়া হল - হরের্নাম হরের্নাম হরের্নামৈব কেবলম । কলৌ নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা ॥১১৫ [রেফারেন্স - বৃহ‌ন্নারদীয় উপপুরান/পূর্বভাগ/অধ্যায় নং ৪১] সরলার্থ - কলিযুগে হরির নাম ছাড়া আর কোন গতি নেই ॥১১৫ এই শ্লোক আওড়ানোর পর কলিরচরেরা যুক্তি উপস্থাপন করে যে, একমাত্র হরি নাম ছাড়া কলিযুগে আর মুক্তির কোনো পথ নেই, সব দেবদেবী ছেড়ে শুধু হরিনাম করো। শিবনাম করলে কলিযুগে উদ্ধার হ‌ওয়া যাবে না। কারণ হরিনাম‌ই একমাত্র পথ, শিবনাম করে লাভ নেই।   👆উপরোক্ত এই ধরণের কথা বার্তা এই কলিরচর বৈষ্ণবেরা বলতে থাকে, এরা পালা কীর্তনে, যে কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে, শাস্ত্রসম্পর্কে অজ্ঞ সাধারণ সরলসিধা মানুষকে, শিবভক্তদের দেখলে, ঘাটে পথে সমস্ত স্থানে এরা এই এক বুলি আওরাতে থাকে।   পালা কীর্তনে উপস্থিত দর্শকেরা ও অনান্য মানুষেরা‌ও শাস্ত্র সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার ফলে কলির চর বৈষ্ণবদের এসব মগজ ধোলাই করা অপযুক্তির অপকৌশল বুঝতে অক্ষম হয়ে ওই সমস্ত অশাস্ত্রিয় কথা বার্তাকে স

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত