শিবকৃপায় মহর্ষি পাণিনির মহেশ্বরসূত্র লাভ

।। পাণিনিমহর্ষিবৃত্তান্তবর্ণনম্ ।।


ভগবন্ সর্বর্তীথানাং দানানাং কিং পরং স্থিতম্ ।

যৎকৃত্বা চ কলৌ ঘােরে পরাং নিবৃতিমাপুয়াৎ ॥১ সামনস্য সুতঃ শ্রেষ্ঠঃ পাণিনির্নাম বিশ্রুতঃ । কণভুগবরশিষ্যৈশ্চ শাস্ত্ৰজ্ঞেঃ স পরাজিতঃ ॥২

লজ্জিতঃ পাণিনিস্তত্রগতস্তীথান্তেরং প্রতি ।

স্নাত্বা সর্বাণি তীর্থানি সন্তপ্য পিতৃদেবতারঃ ॥৩ 

কেদারমুকং পীত্বা শিবধ্যানরােভৎ ।

পর্নাশী সপ্তদিব সাঞ্জল ভক্ষস্ততােহ ভবৎ ॥৪

ততাে দশদিনান্তে স বায়ুভক্ষো দশাহনি । অষ্টাবিংশদ্দিনে রুদ্ৰো বরং ব্রুহি বচোহব্রবীৎ ॥৫

শ্ৰুত্বামৃতময়ং বাক্যমস্তৌদগদগদা গিরা ।

সর্বেশং র্স্বলিংগেশং গিরিজাবল্লভং হরম্ ॥৬

নমাে রুদ্রায় মহতে সর্বেশায় হিতেমিনে ।

নন্দীসংস্থায় দেবায় বিদ্যাভয় করায় চ ॥৭ পাপান্তকায় ভগায় নমােনন্তায় বেধসে ।

নমাে মায়াহরেশায় নমস্তে লােকশর ॥৮ 

যদি প্রসন্নো দেবেশ বিদ্যামূলপ্রদোভব ।

পরং তীর্থং হি মে দেহি দ্বৈমাতুর পিতুর্নমঃ ॥৯ 

ইতি শ্রুত্বা মহাদেবঃ সূত্রাণি প্রদদৌ মুদা ।

র্স্ববর্ণ ময়ান্যেব অইডণদিশুভানি বৈ ॥১০

জ্ঞানহ্লদে সত্যজলে রাগ দ্বেযমলাপহে ।

যঃ প্রাপ্তো মানসে তীর্থে স্বর্তীথফলং র্ভজেৎ ॥১১ মানসং হি মহতীর্থং ব্রহ্মদর্শনকারকম্ ।

পাণিনে তে দদৌ বিপ্র কৃতকৃত্যো ভবান্ ভব ॥১২ 

ইত্যুক্ত্বান্তৰ্দধে রুদ্রঃ পাণিনিঃ স্বগৃহং যযৌ ।

সূত্রপাঠং ধাতুপাঠং গণপাঠং তথৈব চ ॥১৩

লিংগসূত্রং তথা কৃত্বা পরং নির্বাণমাপ্তবান্ ।

তস্থাত্ত্বং ভাগবশ্রেষ্ঠ মানসং তীর্থমাচর ॥১৪ 


[রেফারেন্স : ভবিষ্যমহাপুরাণ/প্রতিসর্গ/অধ্যায়১৬]

_____________💥______________

লেখনীতে - শ্রীকৌশিক রায়

(🌠কপিরাইট এবং প্রচারে - ISSGT)


🔴সরলার্থ :


॥ পাণিনি মহর্ষি বৃত্তান্ত বর্ণন ॥


শৌনকাদি ঋষি বললেন – হে ভগবান , সমস্ত তীর্থ আর অনেক দানের মধ্যে কোনটি শ্রেষ্ঠ তা বলুন।

কিভাবে এই ঘাের কলিযুগে মানব নিবৃত্তি লাভ করবে ?

 

সূতজী বললেন - সামন ঋষিপুত্র পাণিনি নামে বিখ্যাত। তিনি একবার বাণভুগ্বর শিষ্যের দ্বারা পরাজিত হন। লজ্জিত হয়ে তিনি সমস্ত তীর্থে স্নান করে দেব ও পিতৃগণকে তৃপ্ত করেন। পুনঃ তিনি কেদারের জল পান করে শিবের ধ্যান করেন।

সাতদিন পাতা ভােজন করে ও জলপান করেছিলেন। পুনঃ দশদিন কেবল বায়ু ভক্ষণ করেছিলেন। ২৮ দিন পর পরমেশ্বর মহাদেব তুষ্ট হয়ে বর দিলেন। 

তখন পাণিনি গদ গদ চিত্তে পরমেশ্বর কে বললেন - হে ঈশ, লিঙ্গস্বামী, গিরিজাপতি, আপনাকে প্রণাম। নদীস্থিত, বিদ্যা ও অভয়প্রদানকারী, পাপনাশক, ভর্গ, অখন্ড, লােককল্যাণকামী আপনাকে বারংবার প্রণাম। হে দেব, আপনি যদি আমার উপর কৃপা করেন তাহলে মূল বিদ্যা প্রদান করুন ॥১-৯ ॥

সূতজী বললেন - মহাদেব প্রসন্ন চিত্তে তাকে অইউণ ইত্যাদি বর্ণময় সূত্র(মহেশ্বরসূত্র) প্রদান করলেন। জ্ঞানরূপসাগর যেখানে রাগন্বেষাদি মল অপহৃত হয়। তাতে স্নান করলে সমস্ত তীর্থস্নানের ফল লাভ করা যায়। মানস সাগর হল মহাতীর্থ যেখানে ব্রহ্ম দর্শন হয়। হে বিপ্র, ভগবান শিব পাণিনিকে সেই সূত্র প্রদান করে কৃত্যকৃত্য করলেন। 

অতঃপর রুদ্রদেব অন্তর্হিত হলে পাণিনি গৃহে এসে সূত্রপাঠ, ধাতুপাঠ, গণপাঠ তথা লিঙ্গসূত্র রচনা করে পরম নির্বাণ প্রাপ্ত হলেন। সুতরাং হে ভার্গবশ্রেষ্ঠ, তােমরা মানসতীর্থের আচরণ কর ॥১০-১৪


☝ উপরোক্ত এই কথন থেকে জানা যায় যে, পাণিনি তার ব্যাকরণ তথা অনান্য সমস্ত বিদ্যা পরমেশ্বর শিবের কৃপায় লাভ করেছিলেন। শ্রীপাণিনি মহারাজ একজন পরম শিবভক্ত শৈব ছিলেন। 


এমনভাবেই সর্বদা বহু অগনিত শিবভক্তদের দ্বারা পরমেশ্বর শিবের কৃপায় বসুন্ধরা সমৃদ্ধ হয়েছে যুগে যুগে।


ॐ নমঃ শিবায় ॥ 


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত