শ্রীশ্রী জীবন্তিকা ব্রত বিধি (স্কন্দমহাপুরাণোক্ত)
🌺জীবন্তিকা দেবী হল জগজ্জননী পার্বতীর একটি স্বরূপ, পার্বতী মাতা সমস্ত শিশুদের সুরক্ষা প্রদান করে শিশুদের জীবনকাল বৃদ্ধি করে থাকেন তাই তিনি জীবন্তিকা নামে বিখ্যাত, ISSGT(International Shiva Shakti Gyan Tirtha-এর পক্ষ থেকে মাতা জীবন্তিকার ব্রত বিধি এই প্রথমবার বাংলায় শাস্ত্র অনুসারে তুলে ধরা হল, লেখনীতে রয়েছেন - শ্রী রিন্টু বিশ্বাস শৈবজী, বিশেষ সহযোগিতা করেছেন শ্রীমতি নমিতা রায় দেবীজী, স্কন্দমহাপুরাণোক্ত শ্রাবণ মাস মাহাত্ম্য খণ্ডটি থেকে এই ব্রতটি সংগ্রহ ও সম্পাদনা করেছেন শ্রী কৌশিক রায় শৈবজী, এই ব্রত যেহেতু শুক্রবার করা হয়ে থাকে, তারই সাথে লাল বর্ণ বিশেষ শুভ বলে গন্য তাই এই ব্রত লাল শুক্রবারব্রত নামেও পরিচিত।
💠ব্রতের সময়-
🔹শ্রাবণ মাসের প্রত্যেক শুক্রবার ৫ , 9 বছর করে উদযাপন করতে হবে অথবা শ্রাবণ মাসে প্রথম শুক্রবার থেকে ১ বছর অর্থাৎ পরের বছর শ্রাবণ মাস পর্যন্ত প্রত্যেক শুক্রবার এই ব্রত করে উদযাপন করতে হবে অথবা শ্রাবণ মাসের প্রথম শুক্রবার থেকে শেষ শুক্রবার পর্যন্ত এই ব্রত করা হয়ে থাকে। এই ব্রত উদযাপন শ্রাবণ মাসের প্রথম শুক্রবার করা উচিৎ তবে কোনো কারণে যদি সম্ভব না হয় তবে দ্বিতীয় শুক্রবার উদযাপন করতে হবে ।
[এই ব্রত সকালে করা হয় ]
💠ব্রতের ফল-
🔹এই ব্রত বিবাহিত মহিলারা তাদের সন্তানদের মঙ্গল কামনা করে করবে , বাচ্চাদের কোন রকম রোগ বা বিপদ থেকে মাতা রক্ষা করেন সব সময় । যে সব মহিলাদের বাচ্চা হচ্ছেনা , বা হলেও কোনো কারণে মারা যাচ্ছে তারা মায়ের ব্রত করলে মা সর্বদা সন্তানদের রক্ষা করবে ।
💠কী কী আহার গ্ৰহণ করতে পারবেন👇
🔹পূজার দিন মাকে গমের আটার তৈরি হালুয়া ভোগ দিতে হবে । পূজোর পর যে পুজো করছে সে সারাদিন ওটাই খাবে সাথে লাল ফল খাবে , হলুদ বা সবুজ খোসা যুক্ত কোনো ফল খাবে না । এইদিন চাল, ডাল খাওয়া যাবে না ।
💠 কী কী করবেন না 👇
পূজার দিন মিথ্যা বচন বলবেন না । কোনো শিশু কে কষ্ট দেবেন না । হলুদ বা সবুজ কিছু পড়বেন না বা খাবেন না । চাল বা ধান ধোওয়া জল এর উপর দিয়ে পার হবেন না । সবুজ বা হলুদ মণ্ডপের তলায় যাবেন না । রাতে ঘুমানোর না কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকলে । লাল বস্ত্র ধারণ করুন ।
🔴 মাতা জীবন্তিকা পূজার সামগ্রী —
১) জীবন্তিকা মাতার একটি মূর্তি অথবা ছবি ( মাতা পার্বতীর ছবি বা মূর্তি হলেও চলবে কারণ মাতা জীবন্তিকা হল মাতা পার্বতীর একটি রূপ । )
২) তামা অথবা পিতলের একটি থালা, ঘটি ও গ্লাস
৩) কিছুটা গোটা আতপচাল
৪) কিছু গন্ধপুষ্প (যেকোনো লাল ফুল, হলুদ একদম ব্যবহার করা যাবে) এবং সাধ্য থাকলে ১ টি পদ্মফুল (কারণ এটি মাতার প্রসন্নকারীপুষ্প)
৫) কিছু বেলপাতা
৬) পানীয় জল
৭) ধূপ (সম্ভব হলে অষ্টাদশাঙ্গ ধূপ)
৮) চন্দন
৯) নৈবেদ্য হিসাবে গোটা একটি পাকা ফল (লাল খোসা যুক্ত যেমন আপেল ) এবং গমের হালুয়া সম্ভব হলে ও মিষ্টান্ন ।
১০) গন্ধ হিসেবে অগুরু , সাদা ও লাল চন্দন ।
১১) দূর্বাঘাস
১২) কর্পূর
১৩) ঘি ও কর্পূরের দীপ
১৪) পাঁচ টি গমের আটা দিয়ে বানানো প্রদীপ
১৫) গঙ্গাজল
১৬) সিঁদুর/কুমকুম,
১৭) বস্ত্র/ লাল চুনরী
🔴 জীবন্তিকা মাতার আরাধনার শুভারম্ভ —
✅সকালে নিদ্রাভঙ্গ করে শিবগৌরীর স্মরণ করুন হাত জোড় করে। মন্ত্র –
কর্পূর গৌরং করুণাবতারং সংসার সারম্ ভুজগেন্দ্রহারম্ ।
সদা বসন্তং হৃদয়ারবিন্দে ভবং ভবানী সহিতম্ নমামি ।।
✅ উপবাসী থেকে স্নান করবেন নমঃ শিবায় জপ করে। স্নান সেরে শুদ্ধবস্ত্রধারণ করে ত্রিপুণ্ড্র ও রুদ্রাক্ষ ধারণ করবেন বৃক্ষে জল দেবেন এবং কিছু পশুপাখিদের(গরু/ছাগল/কুকুর/কাক/যেকোনো পাখি) এবং কীটপতঙ্গ(পিঁপড়ে ইত্যাদি) খাদ্যবস্তু দান করবেন। এবার হাত ধুয়ে নিন।
✅ লাল বস্ত্র ধারন করে পূজার স্থানে আসুন । অনেকে এইদিন সোনার গহনা পড়েনা রূপা পড়েন সম্ভব হলে আপনি পড়তে পারেন ।
✅ পুজোর স্থানে এসে কুশের আসন অথবা কম্বলের আসন পেতে বসুন। এবার রং মন্ত্র বলে চারিদিকে গঙ্গা জল ছিটিয়ে দিন ।
✅ সর্বপ্রথম শিবস্মরণ করুন –
ॐ শিব ॐ শিব ॐ শিব বৃষভারূঢ়ং হিরণ্যবাহুং হিরণ্যবর্ণং হিরণ্যরূপং পশুপাশবিমোচকং পুরুষং কৃষ্ণপিঙ্গলং ঊর্ধ্বরেতং বিরূপাক্ষং বিশ্বরূপং সহস্রাক্ষং সহস্রশীর্ষং সহস্রচরণং বিশ্বতোবাহুং বিশ্বাত্মানং একং অদ্বৈতং নিষ্কলং নিষ্ক্রিয়ং শান্তং শিবং অক্ষরং অব্যয়ং হরি-হর-হিরণ্যগর্ভ-স্রষ্টারং অপ্রমেয়ং অনাদ্যন্তং রুদ্রসূক্তৈরভিষিচ্য সিতেন ভস্মনা শ্রীফল দলৈশ্চ ত্রিশাখৈরার্দ্রৈর-নার্দ্রৈর্বা ॥ নমঃ শিবায় ॥
নমঃ শিবায় ॥
নমঃ শিবায় ॥
✅এবার শৈব আগমোক্ত শুচিমন্ত্র পাঠ করুন –
ॐ অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সর্বাবস্থাং গতোঽপি বা ।
যঃ স্মরেৎ বৈ বিরূপাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ
✅ এবার হাতজোড় করে ঋগ্বেদীয় শিবসংকল্পসূক্ত পাঠ করুন –
পরাৎপরতরো ব্রহ্মা তৎপরাৎপরতো হরিঃ ।
তৎপরাৎ হ্যেষ তন্মে মনঃ শিবসংকল্পমস্তু ॥
প্রযতঃ প্রণবো নিত্যং পরমং পুরুষোত্তমম্ ।
ওঙ্কারং পরমাত্মনং তন্মে মনঃ শিবসংকল্পমস্তু ॥
যো বৈ বেদ মহাদেবং পরমং পুরুষোত্তমম্ ।
য সর্বং যস্য চিৎসর্বং তন্মে মনঃ শিবসংকল্পমস্তু ॥
কৈলাসশিখরাভাসা হিমবদ্গিরিসংস্থিতা ।
নীলকন্ঠং ত্রিনেত্রং চ তন্মে মনঃ শিবসংকল্পমস্তু ॥
✅ নিজ গুরুকে স্মরণ করুন —
অখণ্ড মণ্ডলা কারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম ।
তদপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরু দক্ষিনামূর্তযে নমঃ ।।
✅এবার ধূপ ও ঘিয়ের দীপ জ্বেলে নিন।
✅প্রথমে ব্রতসংকল্প করতে হবে —
হাতে দূর্বা, কিছু আতপ চাল ও জল নিয়ে নিম্নক্ত মন্ত্র পাঠ করে দেবীর চরণে দিন_
“हे जीवनतीका माँ! अहं त्वां पूर्णविश्वासेन शपथं करोमि। अनुग्रहं कुरु मम कुतुम्बस्य च कल्याणं कुरुत।
अस्माकं संकटं शीघ्रं कुरुत, अस्मान् सर्वदा सुखी भवितुं आशीर्वादं ददातु।
मम बालकानां सर्वथा साहाय्यं कुरुत, ' ।
সহজ ভাবে বলুন :-
“হে জীবন্তিকা মা! আমি আপনার কাছে পূর্ণ আস্থার সাথে প্রার্থনা করছি। আপনি আমার ও আমার পরিবারের প্রতি কৃপা করুন আমাদের বিপদ দূর করুন, এবং সর্বদা সুখী থাকার আশীর্বাদ করুন। আমার সন্তানদের সব রকম সাহায্য করুন,”।
☘️এবার ভগবান গণেশজীর পূজা করুন —
চন্দনযুক্ত ফুল বেলপাতা সহিত হাতে নিয়ে উচ্চারন করুন – ॐ গাং গণেশায় নমঃ ॥
এবার উক্ত দ্রব্য গণেশজীকে প্রদান করে দিন।
☘️ কার্তিকের চিত্র থাকলে তাতে ভগবান কার্তিকেয় জীর পূজা করুন — চন্দনযুক্ত ফুল বেলপাতা সহিত হাতে নিয়ে উচ্চারন করুন – ॐ স্কন্দায় নমঃ ॥
এবার উক্ত দ্রব্য কার্তিকেয় জীকে প্রদান করে দিন । অথবা শিবলিঙ্গতেও কার্তিকেয় ও গণেশ জীকে কল্পনা করে পূজা করতে পারেন।
💠 এবার পরমেশ্বর প্রভু শিবের পূজন সম্পন্ন করুন —
✅এবার পরমেশ্বর শিবকে জল দ্বারা অভিষেক করান ভক্তিযুক্ত মনে এই মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করে ।
☘️ মহামৃত্যুঞ্জয় মহামন্ত্র –
ॐ ত্রয়ম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্ ।
উর্বারুকমিব বন্ধনান মৃত্যোর্মুক্ষীয় মামৃতাৎ ॥
এবার সমগ্র জলটি শিবলিঙ্গ ঢেলে দিন।
✅এবার শ্বেতচন্দন সহ ফুল বেলপাতা পরমেশ্বর শিবকে অর্পণ করুন এই মন্ত্র পাঠ করতে করতে –
ॐ নমঃ ভগবতে শ্রীসাম্বসদাশিবায় সচন্দন গন্ধপুষ্প বিল্বপত্রাঞ্জলী সমর্পয়ামি ॥
☘️ শিব প্রনামমন্ত্র –
ॐ নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হেতবে ।
নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গতিঃ পরমেশ্বর ॥
✅অতঃপর ধূপ দীপ দিয়ে তাদের পূজা করুন।
🔴এবার মাতা আহ্বান করুন —
✅ মাতার সামনে নিজের হাতে আবাহনী মুদ্রা ধারণ করে ভক্তিসহকারে হয়ে নিম্নলিখিত মন্ত্রটি পাঠ করুন👇
☝️হাতটি এইভাবে করুন, এটি আবাহনী মুদ্রা, এবার নিম্নোক্ত মন্ত্র পাঠ করুন👇
অস্মদ জীবন্তিকা পূজাং করিষ্যে ।
ॐ শিবপ্রিয়ায় আবাহয়ামি নমঃ ।
ॐ স্কন্দমাতয়ে আবাহয়ামি নমঃ ।
ॐ শক্তিয়ে আবাহয়ামি নমঃ ।
ॐ শঙ্করীয়্ আবাহয়ামি নমঃ ।
ইত ব্যুষ্টতি ইত ব্যুষ্টতি ইত ব্যুষ্টতি ।
✅ এবার দেবীর হাতে ও কপালে কুমকুম বা সিঁদুর এর ফোঁটা দিয়েদিন ।
✅ হাতে একটি ফুল নিয়ে দেবীর বিগ্রহ বা চিত্রের সম্মুখে ধ্যান আসনে বসে নিম্নলিখিত মন্ত্রটি পাঠ করে চোখ বন্ধ করে দেবীর ধ্যান করুন 👇
শূলন চক্রমসি্ চ্ শঙ্খকমলে সন্ধ্যারচন্তি গদা ভক্ত ভীষ্ট প্রদাবর ঘোরা করণ পূর্ণ শিব।
কিদন্তরভুবল কয় পরিবর্তা মাঙ্গল্যা সিদ্ধি প্রদান চিদ্রূপ জগদীশ্বরী ভগবতী জীবন্তিকায়ৈ চিন্তয়ে ॥
☘️ ধ্যান অন্তে হাতের ফুল টি নিজের মাথায় রেখে দিন।
✅ এবার মাতার সামনে সাধ্যমত ভোগসহ ভোগপ্রসাদের থালাগুলি মাতাকে সাজিয়ে দিন পানীয় জলপূর্ণ গ্লাস সাজিয়ে দিন । পানীয় জলে খুব ই সামান্য পরিমাণ কর্পূর দিয়ে দেবেন।
✅ এবার ধূপ দীপ নৈবেদ্য জল ফুল দ্বারা ভক্তিসহকারে পূজা করুন।
✅ মাতার সামনে সাধ্যমত সাজিয়ে রাখা ভোগসহ ভোগপ্রসাদের থালাগুলি এক এক করে মাতাকে নিবেদন করুন ৷ পানীয় জলপূর্ণ গ্লাস নিবেদন করুন।
☘️ মাতাকে বস্ত্র বা লাল চুনরী নিবেদন করবেন/ পড়িয়ে দেবেন এই মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে- ॐ শ্রী জীবন্তিকায়ৈ নমঃ , বস্ত্রং সমর্পয়ামি॥
☘️ এক এক করে মাতা উদ্দেশ্যে প্রদান করা প্রসাদপূর্ণ পাত্র গুলি এবং একটি গোটা পাকা ফল মাতার সম্মুখে তুলে ধরে বলুন – ॐ শ্রী জীবন্তিকায়ৈ নমঃ , নৈবেদ্যং সমর্পয়ামি ॥
☘️ এবং পানীয় জলপূর্ণ গ্লাসটি মাতা পার্বতীর উদ্দেশ্যে মাতার সম্মুখে তুলে ধরে বলুন – ॐ শ্রী জীবন্তিকায়ৈ নমঃ , পানার্থ পয়ঃ সমর্পয়ামি ॥
☘️ এবার দেবীর সামনে পাঁচটি আটার প্রদীপ নিবেদন করুন এই মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে- ॐ শ্রী জীবন্তিকায়ৈ নমঃ , দীপং সমর্পয়ামি॥
☘️ এবার হাতে পদ্ম বা লাল জবা নিয়ে মাতাকে সমর্পিত করুন ভক্তিভরে এই নিম্নোক্ত মন্ত্র পাঠ করতে করতে – ॐ শ্রী জীবন্তিকায়ৈ নমঃ, পুষ্পং সমর্পয়ামি ॥
☘️দেবীর চরণে সিঁদুর বা কুমকুম নিবেদন -
বিদ্যুত্ কৃশানু সংকাশং জপা কুসুমসন্নিভং ।
সিন্দূরংতে প্রদাস্যামি সৌভাগ্যং দেহি মে চিরং ॥
ॐ শ্রী জিবন্তিকায়ৈ নমঃ সিন্দূরং নিবেদয়ামি ॥
মনে রাখবেন - এই সিঁদুর উপাসনার অন্তে যত্ন করে তুলে রাখবেন, এই সিঁদুর যেকোনো অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা করবে আপনাকে ।
☘️এবার ধূপ দ্বারা আরতি প্রদান করুন এই মন্ত্র উচ্চারণ করে — ॐ শ্রী জীবন্তিকায়ৈ নমঃ , ধূপমাঘ্রাপয়ামি ॥
☘️ভক্তি সহকারে নিজ হাতে দীপ ( আটার দীপ গুলো নয় , এখানে এমনি দীপ বলা হয়েছে ।) নিয়ে নিম্নলিখিত এই মন্ত্র উচ্চারণ করে মাতাকে প্রদান করবেন —
দীপং হি পরমং জীবন্তিকা ঘৃতপ্রজ্বলিতং ময়া ।
দত্তং গৃহাণ দেবেশী মম জ্ঞানপ্রদো ভব ॥
দীপং বিশিষ্টং পরমং সর্ব্বৌষধিবিজৃম্ভিতম্ ।
গৃহাণ পরমেশানী মম শান্ত্যর্থমেব চ ॥
দীপাবলিং ময়া দত্তাং গৃহাণ পরমেশ্বরী ।
[⭕যেকোনো আরতির সময়ে শাঁখ , ঘন্টা , কাঁসর প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র বাজাবেন]
এবার পবিত্র জীবন্তিকা ব্রত কথা পাঠ করুন এখানে ক্লিক করে 👉 জীবন্তিকা ব্রত কথা (স্কন্দমহাপুরাণোক্ত)
এবার হাতের আতপ চাল গুলোকে সন্তানের মাথায় ছিটিয়ে দিন । সন্তান না থাকলে বা কাছে না থাকলে মায়ের মূর্তি বা ছবির চারিদিকে দিকে ছিটিয়ে দিন ।
এবার সন্তানের নামে তার মঙ্গল কামনা করে একটি ফুল মাতা র শ্রী চরণে অর্পণ করুন । যদি সন্তান পাশে থাকে তাহলে তাকেই অর্পণ করতে বলুন ।
এবার মাতার কাছে সন্তানের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করুন :-
"हे माता जीवनतीका ! त्रिषु भुवनेषु तारा जयजयकारं करोति। मम बालकानां सुखं, दीर्घायुषः कामनामि। सर्वप्रकारेण तस्य रक्षणं कुरुत। मम मनोरथान् पूरयतु ।”
সহজ ভাবে :-
হে মা,জীবন্তিকা ! ত্রিভুবনে তোমার জয়জয়কার হোক। আমি আমার সন্তানদের সুখ ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।তুমি তাদের সর্বত্র রক্ষা কর। আমার ইচ্ছা পূরণ করো মা ।
এবার ১০৮ বার জপ করুন :
“ॐ শ্রী জীবন্তিকায়ৈ নমঃ” মন্ত্র
এবার কর্পূর জ্বালিয়ে আরতি করুন দাড়িয়ে।
পূজা সম্পন্ন হল।
অতঃপর
কয়েকজন শিশু কে প্রসাদ প্রদান করুন তাদের সেবা করুন । তাদেরকে দিয়ে ঘরের দেওয়ালে “ ॐ শ্রী জীবন্তিকায়ৈ নমঃ ” লিখিয়ে নিন ।
এবার সবার আগে ওই পাঁচটি আটার প্রদীপ গুলো ঘী তে ভেজে নিয়ে মাতার সামনে বসে খান । এবার সারাদিন ভোগপ্রসাদ গ্রহণ করুন ও মাতার গুণ গান করুন । এই ব্রত তে রাত্রি জাগরণ এর উল্লেখ আছে , কারোর কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে জাগরণ করুন তবে সেটা শাস্ত্র পরে বা ভজন করে, টিভি দেখে নয় ।
এবার পরেরদিন সকালে স্নান করে মাকে নৈবেদ্য দিয়ে ব্রত সম্পূর্ণ করুন ।
লেখনীতে - শ্রী রিন্টু বিশ্বাস শৈবজী
সহযোগিতায় - শ্রীমতি নমিতা রায় দেবীজী
সংগ্রহ ও সম্পাদনায় - শ্রী কৌশিক রায় শৈবজী
কপিরাইট ও প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan - ISSGT
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন