পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কলিযুগে শিবনিন্দুক বৈষ্ণবদের রক্ষক হরি নন

ছবি
  পুরুষোত্তমমাশ্রিত্য শিবা নিন্দারতা দ্বিজাঃ । কলৌ যুগে ভবিষ্যন্তি তেষাং ত্রাতা না মাধবঃ ॥ ২১ (তথ্যসূত্র- সৌরপুরাণ/৪ অধ্যায়) ☘️ সরলার্থ- কলিযুগে দ্বিজরা পুরুষোত্তম কে আশ্রয় করে শিব-নিন্দাপরায়ন হবে, মাধব কিন্তু তাদের ত্রাতা(রক্ষক) নন। 🔥সিদ্ধান্ত-    যারা শ্রী হরির আশ্রিত বৈষ্ণব তারা কলিযুগে শিবনিন্দা করবে ইহাই শাস্ত্রের ভবিষ্যৎবাণী, তাদের স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ‌ও রক্ষা করবেন না। বর্তমানে বৈষ্ণবদের শিবকে তামসিক,হরির দাস বৈষ্ণব, শ্মশানবাসী, উলঙ্গ বলে তাচ্ছিল্য করতে দেখা যায়। লেখনীতে- নমিতা রায় দেবীজী 🚩 কপিরাইট ও প্রচারে -  International shiva shakti gyan tirtha-ISSGT

সহস্র চন্দ্রায়ন তথা প্রজাপত্য ব্রত থেকে শিবভক্তি শ্রেষ্ঠ

ছবি
  চান্দ্রাযণসহশ্ত্রৈশ্চ প্রাজাপত্যশতৈস্তথা ॥৩৩ মাসোপবাসৈশ্চান্যৈর্বা ভক্তির্মুনিবরোত্তমাঃ ॥ ৩৪ ☘️সরলার্থ- সহস্র চন্দ্রায়ন তথা সহস্র প্রজাপত্যব্রত, মাসিক পূজা, উপবাস তথা আনুষ্ঠানিক এর থেকে শিবভক্তি শ্রেষ্ঠ। ☘️ ( তথ্যসূত্র - লিঙ্গমহাপুরাণ/নবম অধ্যায়) 🔥সিদ্ধান্ত- শিবভক্তির সমান কোনো ব্রত, অনুষ্ঠান নেই। লেখনীতে- নমিতা রায় দেবীজী 🚩কপিরাইট ও প্রচারে- International shiva shakti gyan tirtha-ISSGT

বৈষ্ণব পদের ঊর্ধে শৈবপদ যা শ্রী বিষ্ণু ও জানতে পারেনা

ছবি
  বিদ্যতেতৎপরং শৈবং বিষ্ণুনা নাবগাম্যতে। অসংখ্যেযগুণং শুদ্ধং জানিযাচ্ছিবাত্মকম্ ॥ ৫১ ☘️ সরলার্থ -  সেই বৈষ্ণবপদের থেকেও ঊর্ধ্বে(আগে) শৈবপদ, যা বিষ্ণুও জানতে পারেনা।  অসংখ্য শুদ্ধগুণ(অ-প্রাকৃত) যুক্ত শিবাত্মক তত্ত্বকে কেউ জানতে পারেনা॥ ৫১ 🔥এই শ্লোকের সমর্থনে বৈষ্ণবদের পদ্মপুরাণ কী বলছে দেখা যাক।  শ্রী হরি উবাচ ন শক্তিং ভস্মনো জানে প্রভাবং তেকুতো বিভো। নমস্তেঽস্ত নমস্তেঽস্তু ত্বামেব শরণং গতঃ ॥২৩৮ সরলার্থ☘️ পরমশৈব শ্রীবিষ্ণু বললেন, হে পরমেশ্বর শিব ! আমি ভস্মের মহিমা জানি না, আপনার মহিমা কিরূপে জানব ? আপনারই শরণাপন্ন হলাম, আপনাকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি। ২৩৮ [সুতরাং ব্রহ্মতত্ত্ব/শিবতত্ত্ব কে শৈব ছাড়া আর কেউ‌ই জানতে সক্ষম নয়। শৈব রাও শিবতত্ত্বকে ততোটুকুই জানতে পারেন যতোটুকু শিব জানাতে চান, শ্রী বিষ্ণুও সম্পূর্ণ শিবতত্ত্ব জানতে সক্ষম নন। সম্পূর্ণ শিবতত্ত্বকে/ব্রহ্মতত্ত্বকে কেউ‌ই জানতে পারেনা।] ☘️তথ্যসূত্র - লিঙ্গমহাপুরাণ/ নবম অধ্যায়/৪৮,৪৯,৫০,৫১ নং শ্লোক  লেখনীতে - শ্রীমতি নমীতা রায় দেবীজী  🚩 কপিরাইট ও প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT

শিব‌ই একমাত্র অদ্বিতীয় পরমেশ্বর

ছবি
সোঽব্রবীদ ভগবান্ রুদ্রো হ্যহমেকঃ পুরাতনঃ । আসং প্রথমমেবাহং বর্তামি চ সুরোত্তমাঃ ॥ ১৫ ভবিষ্যামি চ মত্তোঽন্যো ব্যতিরিক্তো ন কশ্চন । অহমেব জগৎ সর্বং তর্পয়ামি স্বতেজসা ॥১৬ মত্তোঽধিকঃ সমো নাস্তি মাং যো বেদ স মুচ্যতে । ১৭-১/২ [তথ্যসূত্র - শিবমহাপুরাণ/বায়বীয়সংহিতা/উত্তরখণ্ড] ✅সরলার্থ - পরমেশ্বর শিব বললেন, হে দেবগণ! সবার আগে আমিই ছিলাম । এখনও সর্বত্র আমিই বিরাজমান ও ভবিষ্যতেও আমিই থাকবো । আমি ছাড়া অন্য কেউ নয় । আমিই নিজ তেজে সম্পূর্ণ জগৎকে তৃপ্ত করি । আমার থেকে বেশি বা আমার সমান কেউ নেই । যে আমাকে জানে সে মুক্ত হয়ে যায় । 🔥সিদ্ধান্ত - প্রভু শিব স্বয়ং স্বীকার করেছেন তিনিই অদ্বিতীয় পুরাতন ব্রহ্ম।এই এক‌ই বানী বেদের অথর্ব-শির উপনিষদে পরমেশ্বর শিব বলেছেন । সুতরাং, এটি বেদসম্মত। 🚩কপিরাইট ও প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan Tirtha

গণেশ চতুর্থী পূজা বিধি (স্কন্দমহাপুরাণোক্ত)

ছবি
  গণেশ চতুর্থী পূজা বিধি (স্কন্দমহাপুরাণোক্ত) ISSGT (International Shiva Shakti Gyan Tirtha)  – এর পক্ষ থেকে শৈবমতানুসারে স্কন্দমহাপুরাণ  থেকে  গণেশ আরাধনার সরল বিধি প্রকাশিত হল। প্রতিমাসের উভয় পক্ষের চতুর্থী তিথি তে শ্রীগণেশ জীর পূজা করা হয়। এখানে সর্বসাধারণের জন্য সহজ সরল অর্চনা বিধি প্রকাশ করা হয়েছে।  🌷 উপকরণ –  ১) গণেশজীর একটি চিত্র অথবা প্রতিমা বিগ্রহ।  ২) দূর্বা ২১টি, এছাড়া আলাদা করে আরো ২টি দূর্বা।  ৩) নৈবেদ্য হিসেবে ২১টি মোদক অথবা লাড্ডু। অথবা নিজের সাধ্যমত দিতে পারেন,  ৪) একটি গন্ধযুক্ত ফুলের মালা, কিছু ফুল ও বেলপাতা, ৫) তিল (শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে সাদাতিল ও কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীতে কালোতিল দেবেন),  ৬) অক্ষত (গোটা আতপচাল কিছু টা),  ৭) একটি গোটা পাকা ফল,  ৮) গঙ্গাজল,  ৯) ত্রিপুণ্ড্র অঙ্কিত করা জন্য কিছুটা খড়িমাটি অথবা ভস্ম এবং সামান্য সিঁদুর অথবা কুমকুম,  ১০) ধূপ,  ১১) ঘিয়ের দীপ,  ১২) কর্পূর,  ১৩) ১টি গোটা তাম্বুল (পান), ১টি সুপারী, ১টি এলাচ, ১৪)কুশের আসন অথবা কম্বলের আসন  ✅সকালে নিদ্রাভঙ্গ করে শিবগৌরীর স্মরণ করুন হাত জোড় করে। মন্ত্র –  কর্পূর গৌরং করুণাবতারং সংসার সারম্ ভ

অঘোর চতুর্দশী ব্রত বিধি(লিঙ্গমহাপুরাণোক্ত)

ছবি
    শিবেরই পঞ্চব্রহ্ম স্বরূপের মধ্যে একটি স্বরূপ হল অঘোরমূর্তি। অঘোরের অপর নাম হল – বহুরূপ।  অঘোরমূর্তি হলেন সাক্ষাৎ লয়কর্তা রুদ্রদেব স্বরূপ। পরমেশ্বর শিবের এই অঘোর চতুর্দশী ব্রত বিধিটি সংগ্রহ করে লিখেছেন শ্রী নন্দীনাথ শৈবাচার্য জী।  🚩Copyright ও প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT 💥 দিনক্ষণ : এই অঘোর চতুর্দশী ব্রত টি ভাদ্রমাসের কৃষ্ণ চতুর্দশী তে পালন করা হয়।  প্রাথমিক করণীয়  –   যেকোনো ধরনের শিব পূজায়  ত্রিপুণ্ড্র  ও রুদ্রাক্ষ ধারন আবশ্যিক। বৃক্ষে জলদান করুন। কুকুর বা পাখিদদের খেতে দিন। এতে প্রভু শিব খুশি হন। নিদ্রাভঙ্গ করে প্রথমে শিবস্মরন করবেন। তারপর সকালেই স্নান করে নিতে হবে। স্নানের পরেই সকালে পূজার ঘরে বসে আচমন করুন।এখানে ক্লিক করে আচমন করার পদ্ধতি দেখে নিন    আচমন করার শৈব পদ্ধতি সারাদিন উপবাস থেকে সন্ধ্যাবেলায় পূজা শুরু করবেন। পূজা বিধি আরম্ভ :  উত্তর দিকে মুখ করে পূজার স্থানে বসুন। প্রথমে বেশ কিছুটা ভস্ম(জোগাড় করা যজ্ঞের ভস্ম) নিজের হাতে তুলে নিয়ে এই মন্ত্র পাঠ করে ভস্মটি অভিমন্ত্রিত করে কপাল সহ সমস্ত শরীরে লাগিয়ে নিন। মন্ত্র –  ॐ অগ্নিরিতি ভস্ম বা

করন্যাস বিধি (শৈব আগমোক্ত)

  ISSGT এর পক্ষ থেকে শ্রী রোহিত কুমার চৌধুরী শৈবজী এই পদ্ধতি সংগ্রহ করেছেন। 🔴কর কথার অর্থ বিশেষত হস্ত (হাত)। কিন্তু এখানে হাতের আঙুলকে নির্দেশ করা হয়েছে। ✅আগমোক্ত করন্যাস বিধি (সৃষ্টিক্রমে) – 👉 ॐ যং ঈশানায় অঙ্গুষ্ঠভ্যাং নমঃ ( তর্জনী দিয়ে বুড়ো আঙুলের গোড়া ছুঁতে হবে, দুই হাতেই এমনটা একসাথে করতে হবে) 👉 ॐ বাং তৎপুরুষায় তর্জনীভ্যাং নমঃ (বুড়ো আঙুল দিয়ে তর্জনীর গোড়া ছুৃৃঁতে হবে, দুই হাতেই এমনটা একসাথে করতে হবে) 👉 ॐ শিং অঘোরায় মধ্যমাভ্যাং নমঃ (বুড়ো আঙুল দিয়ে মধ্যমার গোড়া ছুৃৃঁতে হবে, দুই হাতেই এমনটা একসাথে করতে হবে) 👉 ॐ মং বামদেবায় অনামিকাভ্যাং নমঃ (বুড়ো আঙুল দিয়ে অনামিকার গোড়া ছুৃৃঁতে হবে, দুই হাতেই এমনটা একসাথে করতে হবে) 👉 ॐ নং সদ্যোজাতায় কনিষ্ঠিকাভ্যাং নমঃ (বুড়ো আঙুল দিয়ে কেনি আঙুলের গোড়া ছুৃৃঁতে হবে, দুই হাতেই এমনটা একসাথে করতে হবে) 👉 ॐ ॐ প্রণবায় করতলপৃষ্ঠাভ্যাং নমঃ (ডান হাতের তর্জনী আর মধ্যমাদিয়ে বামহাতের তালুতে তালি বাজাতে হবে ) (🔻বিঃদ্রঃ – করন্যাসের ক্ষেত্রে সৃষ্টিক্রম অর্থাৎ বুড়ো আঙুল থেকে শুরু করে ক্রমশ কনিষ্ঠা আঙুল পর্যন্ত ক্রমে করন্যাস গৃহীরাও করতে পারবেন বলছে কামিকাগম

সদাশিব হতে সিদ্ধান্ত শৈবতন্ত্র গুলির প্রাকট্য (শৈব সিদ্ধান্ত মতানুসারে)

ছবি
  " কামিকাদ্দজিতান্তাং চ সদ্যোজাতমুখদ্ভবম্ || ৬৩ || দীপ্তাদিসুপ্রভেদান্তং বামদেবমুখোদ্ভবম্ | বিজয়াদীনী বীরান্তং বক্ত্রং ঘোরমুখোদ্ভবম্ || ৬৪ || রৌরবাদীনি বিম্বান্তং চোদ্ভূতং পুরুষাত্তথা | সিদ্ধাদিবাতুলান্তং তু ঈশানস্য মুখোদ্ভবম্  || ৬৫ || " রেফারেন্স - চিন্ত্য তন্ত্র (শৈবাগম)/ ক্রিয়াপাদ/ প্রথম পটল অর্থ - সদাশিবের সদ্যোজাত মুখ হতে কামিক,  যোগজ,  চিন্ত্য, কারণ এবং অজিত‌ এই ৫ টি আগম প্রকটিত হয়েছে।  বামদেব মুখ হতে  দীপ্ত,  সূক্ষ্ম, সহস্র,  অংশুমান এবং সুপ্রভেদ  এই ৫ টি আগম প্রকটিত হয়েছে। অঘোর মুখ হতে বিজয়,  নিঃশ্বাস,  স্বায়ম্ভুব, অনল ও বীর এই ৫ টি আগম প্রকটিত হয়েছে। তৎপুরুষ মুখ হতে রৌরব, মকুট,  বিমল, চন্দ্রজ্ঞান ও মুখবিম্ব এই ৫ টি আগম প্রকটিত হয়েছে। ঈশান মুখ হতে প্রোদ্গীত, ললিত, সিদ্ধ,  সন্তান, শার্ব্বোক্ত (নৃসিংহ), পারমেশ্বর, কিরণ এবং বাতুল এই ৮ টি আগম প্রকটিত হয়েছে। কামিক থেকে অজিত এই পাঁচটি আগম জ্ঞান লাভ করেন - ঋষি কৌশিক । দী প্ত থেকে সুপ্রভেদ এই পাঁচটি আগমের জ্ঞান লাভ করেন - ঋষি কশ্যপ । বিজয় থেকে বীর এই পাঁচটির জ্ঞান লাভ করেন - ঋষি ভরদ্বাজ । রৌরব থেকে মুখবি

একাক্ষর পরমব্রহ্ম ওঙ্কার ই সাক্ষাৎ সদাশিবের বাচক -

ছবি
  মহেশ্বর উবাচ্ -  " অকারঞ্চ উকারঞ্চমকারং বিন্দুনাদকে |  যোগেন প্রণবং জ্ঞেয়ং পঞ্চদেবাত্মকং পরম্ || ৫৩১ ||  অকারঃ সদ্যবস্যাদুকারো বামবক্ত্রকম্ || ৫৩৩ || মকারোঘোরবক্ত্রং স্যাৎ বিন্দুস্তৎ পুরুষাননম্ |  নাদস্ত্বীশানবক্ত্রং স্যান্নাদাতীতোনটেশ্বরঃ || ৫৩৪ || "  রেফারেন্স - মকুট তন্ত্ৰ ( সিদ্ধান্ত শৈবাগম ) / ক্রিয়াপাদ / দ্বিতীয় পটল  অর্থ -  মহেশ্বর বললেন, একাক্ষর স্বরূপ ॐ- কার আসলেই পঞ্চমাত্রায় বিভক্ত - অ কার , উ কার , ম কার , বিন্দু ও নাদ । (পাঁচটি ব্যক্ত মাত্রা , তাছাড়া অব্যক্ত মাত্রাও রয়েছে , যেগুলি গুরুগম্য ) এই পঞ্চদেবাত্মক প্রণব যোগ দ্বারাই জ্ঞেয় । অকার সাক্ষাৎ সদ্যোজাত বক্ত্র , উকার সাক্ষাৎ বামদেব , মকার অঘোর স্বরূপ , বিন্দু তৎপুরুষ স্বরূপ এবং নাদ সাক্ষাৎ ঈশান বক্ত্র । আর এই নাদেরও অতীত যিনি , তিনি নটেশ্বর নটরাজ। ©RohitKumarChoudhury. ISSGT. 2022. ARR 

বাসুকি নাগের প্রার্থনা মন্ত্র

ছবি
  সুশ্বেতেন তু দেহেন সুশ্বেতোৎপল শেখরঃ ॥ ১৭২ চারুভোগকৃতাটোপো হারচারু বিভূষণঃ । বাসুকির্নাম নাগেন্দ্রঃ শিবপূজাপরো মহান্ ॥ ১৭৩ সর্বপাপবিষং হত্বা ক্ষেমারোগ্যং করোতু মে।  [তথ্যসূত্র - শিবধর্মপুরাণ/অধ্যায় নং ৬]   সরলার্থ - শ্বেতবর্ণের দেহযুক্ত, যার মস্তক সুশ্বেত উৎপল সম্পন্ন, অতি সুন্দর আনন্দ উপভোগকারী এবং সুন্দর অলংকার-হার ভূষনধারী। যিনি বাসুকি নামক নাগেন্দ্র হিসেবে সমাদৃত, তিনি শিবপূজাপরায়ন ও মহান। সেই বাসুকি সর্বপাপ-রূপ বিষের হনন করে নিন এবং আমার কল্যাণ করে আরোগ্য প্রদান করুন। ( এই মন্ত্র উচ্চারণ করে শিবের গলায় থাকা বাসুকি নাগের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করুন ) © Koushik Roy. All Rights Reserved https://issgt100.blogspot.com

শৈব তন্ত্রোক্ত মতে বাস্তু পূজায় পশুবলির উল্লেখ ---

ছবি
   মাংসোদনং ঘৃতং চৈব দধ্যোদনমিতি স্মৃতম্ | ৮০ | পক্কমাংসবলিং দদ্যাৎপুতনাযৈ ততঃ পরম্ |   রক্তোদনং মাংসং চ দাতব্যং তৎবিচক্ষণঃ || ৮১ || অস্থিখণ্ডং চ মাংসং চ দাপযেৎপাপরাক্ষসীম্ | ইত্যেতে পুতনাদ্যাস্তু স্বস্বমন্ত্রেণ তর্পযেৎ || ৮২ || নমস্কারার্চনে কালে স্বাহান্তেন বলিং দদেৎ | ৮৩ " রেফারেন্স - দীপ্ত তন্ত্র (শৈবাগম)/ ক্রিয়াপাদ/ ৩২ নং পটল অর্থ -  বাস্তু পূজার শেষে হোমের পর বাহ্য দেবতাগণ এবং অভ্যন্তর দেবতাদের উদ্দ্যেশ্যে বলি উৎসর্গীকরণ করার পর, রাক্ষসীদের উদ্দেশ্যে বিধি পূর্বক বলি প্রদান করতে হবে।  পলান্ন  (মাংসভাত),  দধ্যন্ন  (দইভাত) এসবের সাথে ঘৃত মিশিয়ে সেগুলি রাক্ষসীগণের সন্তুষ্টির নিমিত্তে বলি হিসেবে প্রদান করতে হবে। পুতনার (রাক্ষসী বিশেষ) উদ্দ্যেশ্যে রাঁধা মাংস বলি দ্রব্য হিসেবে প্রদান করতে হবে। এরপরে রক্তমাখা ভাত এবং মাংস মিশিয়ে তা প্রদান করতে হবে। পাপ-রাক্ষসীর উদ্দ্যেশ্যে অস্থি খণ্ড যুক্ত মাংস বলি হিসেবে প্রদান করতে হবে। এই ভাবেই পুতনা আদি বাকি রাক্ষসীদের উদ্দ্যেশ্যে তাঁদের নিজ নিজ মন্ত্র উচ্চারণ পূর্বক শেষে 'স্বাহা' উচ্চারণ করে প্রত্যেকের উদ্দ্যেশে বলি প্রদান করতে হবে।

শঙ্কর অদ্বৈতবাদ বা কেবলাদ্বৈত দর্শন কি শৈব দর্শনের পরিপন্থী ? বিস্তারিত আলোচনা।

ছবি
হঠাৎ কিছুদিন ধরে দেখছি ওপার বাংলার কিছু জগাখিচুড়িবাদী ব্যক্তি ব্রহ্মসূত্র শ্রীকণ্ঠ ভাষ্যের উপরে  অদ্বৈত বৈদান্তিক দৃষ্টিকোণে রচিত পণ্ডিত অপ্পয় দীক্ষিত এর টীকা নিয়ে টানাটানি করে এটা দাবী করতে চাইছে যে - শৈব দর্শন আর শঙ্কর অদ্বৈত বৈদান্তিক দর্শনের মধ্যে কোনো ভেদ নেই। অর্থাৎ শৈবদের কে স্মার্তমত মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ পরোক্ষভাবে শৈবদের মধ্যে স্মার্ত আগ্রাসনের একটা ব্যাপার লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যদিও তা শতাব্দী ধরে সমগ্র উত্তর, পূর্ব ভারতে হয়ে আসছে।  এই ব্যাপারে আমি এতদিন কিছু বলিনি কারণ আর্যসমাজী দমন সহ আরো কিছু নিজস্ব কাজে আমি ব্যস্ত ছিলাম। তবে আজ শৈব মত এবং স্মার্ত মতের মধ্যে তুলনামূলক কিছু ব্যাপার আমি তুলে ধরবো যা প্রাচীন শৈব আচার্যরা মেনে গিয়েছেন। শৈব দর্শন অনেক প্রকারের এবং অনেক গভীর। একে সঠিক ভাবে বোঝার জন্য আপনাকে শৈব শাস্ত্র পড়তে হবে, ব্রহ্মসূত্র, বেদান্ত এর শৈব ভাষ্যের পাশাপাশি শিবসূত্র, প্রত্যভিজ্ঞা শাস্ত্র , স্পন্দ শাস্ত্র, নন্দিকেশ্বর কাশিকা, আগম শাস্ত্র এবং সেগুলির উপর শৈব আচার্যগণ কর্তৃক রচিত ভাষ্য, টীকা পড়তে হবে। নিগম (শ্রুতি) ও আগম উভয়ের উপরই জ্ঞান রাখতে হবে। শুধু

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত