ব্রাহ্মণ ভাগের বেদত্ব বিচার মীমাংসা, ন্যায় এবং বেদাঙ্গ শাস্ত্রের নিরিখে- পর্ব ১

     

                                   প্রথম পর্ব 

উনবিংশ শতকে ভারত ভূমিতে অর্ধ নাস্তিক্যবাদী, ম্লেচ্ছ মতাদর্শী, মূঢ় ও জড়বুদ্ধি‌সম্পন্ন‌ ছদ্ম সনাতনী এক অলীক মনোভাবাপন্ন ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটে, যিনি কিনা প্রাথমিক পর্যায়ে সংহিতা আর ব্রাহ্মণ ভাগকে বেদ মানতেন। কিন্তু বেদের ব্রাহ্মণভাগ তার দ্বারা প্রবর্তিত অলীক মতবাদের বিরুদ্ধ মত পোষণ করায় তিনি ব্রাহ্মণ ভাগকে পরবর্তী পর্যায়ে মূল বেদ থেকে আলাদা একটি অংশ হিসেবে দাবী রটান। সেই থেকেই তার প্রতিষ্ঠিত দলের ব্যক্তিরা প্রচার করে আসছে যে বেদের ব্রাহ্মণ ভাগ মনুষ্য কর্তৃক রচিত, ইহা অপৌষেয় নয়। এর জন্য এরা প্রাচীন বেদ ভাষ্যকারদের মত অমান্য করে, শাস্ত্রকে বিকৃত অনুবাদ করে জনসমক্ষে তার প্রচার করতেও দ্বিধা বোধ করছে না। আরণ্যক আর উপনিষদকেও এরা প্রামাণিক হিসেবে স্বীকার করে না। তারা নিজেদের আবার আর্য, বৈদিক সম্প্রদায় বলে দাবী করে, কিন্তু যেখানে প্রাচীন বৈদিক আচার্যগণ, ঋষিগণ ব্রাহ্মণকে বেদ বলে স্বীকার করে গিয়েছেন, সেখানে এই সব ম্লেচ্ছ এর দল বেদের অর্ধেক অংশ মানবে আর অর্ধেক অংশ মানবে না।  সুতরাং এরা যে অর্ধজড়তীয়তা দোষে ভুক্তভোগী সেকথা বলার আর অপেক্ষা থাকে না। অর্থাৎ এদের দাবী - আমি পোলাও (পলান্ন) খাবো কিন্তু পল অর্থাৎ মাংস খাবো না।

এদের দাবী, বেদ যেহেতু অপৌরষেয় তাই কোনো পৌরষেয় শাস্ত্র দ্বারা বেদের বিচার করা যায় না। ব্রাহ্মণভাগকে অপৌরষেয়  প্রমাণ করতে হলে, বেদের অপৌরষেয় ভাগ থেকেই প্রমাণ দেখাতে হবে। কিন্ত এসব মূর্খের দল জানে না যে, বেদের সংহিতা ভাগ এর মন্ত্র দুর্বোধ্য,  কেননা সংহিতার বেশির ভাগ শব্দই অতি-পরোক্ষ বৃত্তি এবং পরোক্ষ বৃত্তি মূলক, প্রত্যক্ষবৃত্তি মূলক শব্দের প্রয়োগ তুলনামূলক কম। সুতরাং, একই শব্দের বা একই মন্ত্রের একাধিক অর্থ বা ব্যাখ্যা থাকতে পারে। বেদ মন্ত্রের এই ব্যাখ্যার জন্যই দরকার পড়ে - শিক্ষা, কল্পশাস্ত্র, নিরুক্ত, ব্যাকরণ প্রভৃতি বেদাঙ্গ শাস্ত্রের এবং ন্যায়, মীমাংসা প্রভৃতি উপাঙ্গ শাস্ত্রের। প্রাচীন বেদ ভাষ্যকাররা, আচার্যরা বেদাঙ্গ আর উপাঙ্গ শাস্ত্রের নিরিখেই একই বেদ মন্ত্রের নিজ নিজ স্বতন্ত্র ব্যাখ্যা করে গিয়েছেন।

প্রখ্যাত শৈব বৈদান্তিক, শিবযোগী শ্রী মুডিগোণ্ডা নাগালিঙ্গা শিবারাধ্য বেদাঙ্গ, ন্যায়, মীমাংসা, পুরাণ ইত্যাদিকে সনাতন ধর্মের ১৪টি বিদ্যাস্থান (বৈদিক শাস্ত্রধারা) এর অন্তর্ভুক্ত হিসেবে মান্যতা প্রদান করে গিয়েছেন, যা সার্বজনীন মান্য ও পণ্ডিত মহলে স্বীকৃতও বটে।

বেদের অঙ্গ ও উপাঙ্গ ছাড়াই  যারা নিজ মত অনুযায়ী বেদ এর অর্থের বিশ্লেষণ করে, তারা হল পাষণ্ড। কেননা, বেদের সঠিক ব্যাখ্যা করতে বেদের অঙ্গ, উপাঙ্গ শাস্ত্র এর দরকার পড়ে। প্রাচীন আচার্যদের ভাষ্যের দরকার পড়ে। যারা ওই ১৯ শতকে জন্মানো স্বঘোষিত দয়াভণ্ডকে নিজের বা/বা হিসেবে মেনে নিয়েছে, তাদের ঘটে ওই কুয়োর কুনোব্যাঙ এরও ঘিলু আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ন্যায়শাস্ত্রে যেখানে স্পষ্ট ভাবেই আপ্তপুরুষদের বাণীকে শব্দপ্রমাণ  হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে - "আপ্তোপদেশঃ‌ শব্দঃ" (ন্যায়সূত্র ১.১.৭) - সেখানে কোনো নব্য জন্মানো গাঁ""জানন্দের দাবীকে মানতে হবে , তার কোনো মানে নেই, কেননা তাদের স্বঘোষিত মহর্ষি‌ দয়ালবাবা কোনো‌ আপ্তপুরুষও‌ নন। 

বেদের সংহিতা (মন্ত্র), ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ এসব মিলিয়ে বেদের চার ভাগ বলা হলেও প্রধানত বেদের দুই ভাগ- মন্ত্র বা সংহিতা এবং ব্রাহ্মণ। আরণ্যক ও উপনিষদও বস্তুত এই ব্রাহ্মণের অংশ বিশেষ।  প্রাচীন বৈদিক, বৈদান্তিক আচার্যদের এবং ঋষিদের এটাই যে মন্ত্র ও ব্রাহ্মণ ভাগ উভয় মিলিয়েই বেদ। ব্রাহ্মণ বেদ বহির্ভূত নয়। 


ব্রাহ্মণ গ্রন্থ এর ভেদ -  ব্রাহ্মণ অংশ বিধিমূলক বৈদিক ক্রিয়াকর্মের নির্দেশক। বিবিধ যজ্ঞের বিধান রয়েছে, কোন যজ্ঞবিশেষে কোন মন্ত্রবিশেষের বিনিয়োগ হবে তার বিধান দেয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণের এই অংশকে বিধি বলা হয়। 'বিধি' অর্থাৎ ব্রাহ্মণ এর একটি ভেদ বা প্রকার। "অপ্রাপ্তে শাস্ত্রমর্থবৎ"  (শাবরভাষ্য)  - যে বেদভাগ অজ্ঞাত বিষয়ের জ্ঞাপক, তাকে বিধি বলা হয়।  বিধির লক্ষণে মীমাংসক লৌগাক্ষি ভাস্কর তাঁর 'অর্থসংগ্রহ' গ্রন্থে বলেন -  'তত্রাজ্ঞা-তার্থজ্ঞাপকো বেদভাগোবিধিঃ ।' --- বেদের যে ভাগ অজ্ঞাত অর্থের জ্ঞাপক তাই বিধি। এখানে ‘অজ্ঞাত’ বলতে বোঝায় অন্য প্রমাণের দ্বারা পূর্বে অপ্রাপ্ত।  

কিন্তু বেদের এই ব্রাহ্মণ অংশে এমন অনেক বাক্য আছে যার মধ্যে কোন বিধির নির্দেশ নেই, ব্রাহ্মণ ভাগের এজাতীয় বাক্যকে মীমাংসকরা দু-ভাগে ভাগ করেন - অর্থবাদ এবং নামধেয়। তাই মীমাংসাশাস্ত্রে বিচার্য বিষয়ের দিক থেকে ব্রাহ্মণের ভাগগুলি হলো -  বিধি, নিষেধ, নামধেয় এবং অর্থবাদ। কেউ কেউ বিচার্যের দিক থেকে বেদকে সরাসরি দুটি ভাগে ভাগ করেন  - বিধি এবং বাকি অংশ অর্থবাদ।


কিন্তু গাঁজানন্দের চ্যালা‌ নামাজীরা প্রচার করে যে ব্রাহ্মণভাগ মন্ত্রভাগের ন্যায় অপৌরুষেয় নয়। ব্রাহ্মণভাগ মনুষ্যরচিত গ্রন্থ।

মহর্ষি জৈমিনি তাঁর পূর্ব মীমাংসা সূত্রের (ধর্ম মীমাংসা) ২.১.৩৩ এ অর্থাৎ 'ব্রাহ্মণনির্বাচনাধিকরণ' এ বলছেন -

" শেষে ব্রাহ্মণশব্দঃ " ॥ (মীমাংসা সূত্র/২/১/৩৩)

সূত্রার্থ - (শেষে) মন্ত্র- সংহিতা বাদে অবশিষ্ট অংশের এর জন্য (ব্রাহ্মণশব্দঃ) ব্রাহ্মণ শব্দ এর ব্যবহার হয়ে থাকে।

[কার অবশিষ্ট অংশ ? - বেদের অবশিষ্ট অংশ। অর্থাৎ সংহিতা ভাগ বা মন্ত্রভাগ বাদ দিয়ে বেদের অবশিষ্ট ভাগের জন্য এই 'ব্রাহ্মণ' শব্দ প্রযুক্ত হয়, এমনটাই ব্যাসদেব শিষ্য, সূত্রকার মহর্ষি জৈমিনী এর অভিপ্রায়।]

মীমাংসা সূত্রের পুরাতন এবং সর্বমান্য ভাষ্যকার আচার্য্য শবর স্বামী তাঁর শাবর ভাষ্যে আলোচ্য সূত্র প্রসঙ্গে বলছেন - 

"অথ কিংলক্ষং ব্রাহ্মনম্ ? মন্ত্রাশ্চ ব্রাহ্মণঞ্চ বেদঃ । তত্র মন্ত্র‌‌ লক্ষণে উক্তে পরিশেষসিদ্ধত্বাদ্ ব্রাহ্মণলক্ষণমবচনীযম্ । যস্যৈতল্লক্ষণং ন ভবতি,‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌তদ্ ব্রাহ্মণমিতি পরিশেষসিদ্ধং  ব্রাহ্মণং । .... হেতুনির্বচনং নিন্দা প্রশংসা সংশযো বিধিঃ । পরক্রিযা পুরাকল্পো ব্যবধারণকল্পনা ॥ উপমানং দর্শেতে তু বিধেযো ব্রাহ্মণস্য‌ তু । এতদ্বৈ সর্ববেদেষু নিযতং বিধিলক্ষণং ॥" (সংক্ষেপিত)

ভাষ্যানুবাদ - ব্রাহ্মণ এর লক্ষণ কি ? মন্ত্র আর ব্রাহ্মণ মিলেই বেদ। মন্ত্রের (সংহিতা ভাগ) লক্ষণ কথিত হওয়ার পরে,  (বেদের) পরিশেষ ভাগ দ্বারা সিদ্ধ অংশ ব্রাহ্মণ হিসেবে কথিত হওয়ার যোগ্য নয়। মন্ত্র ভাগের লক্ষণ কথিত হওয়ার সাথেই (ব্রাহ্মণ ভাগের লক্ষণ) সিদ্ধ হয়। বেদের যে অংশগুলিতে সেইরূপ (মন্ত্র বা সংহিতা বিষয়ক) কোনো লক্ষণ নেই, সেই অংশ গুলিই ব্রাহ্মণ, ইহা পরিশেষ সিদ্ধ ব্রাহ্মণ হিসেবে অভিহিত। হেতু, নির্বচন, নিন্দা, প্রশংসা, সংশয়, বিধি,‌‌ পরক্রিয়া, পুরাকল্প, ব্যবধারণকল্পনা এবং উপমান এগুলো ব্রাহ্মণ এর দশ বিধি।

                          


মহর্ষি জৈমিনি তাঁর পূর্ব মীমাংসা সূত্রের ১.২.১ - ' অর্থবাদাধিকরণ'এ আরো বলছেন - 

"আম্নাযস্য ক্রিযার্থত্বাদানর্থক্যমতদর্থানাং তস্মাদনিত্যমুচ্যতে ॥ ১ ॥ "

সূত্রার্থ - (আম্নাযস্য) আম্নায় অর্থাৎ মন্ত্র (সংহিতা) ও ব্রাহ্মণ ভাগ (ক্রিযার্থত্বাৎ) ক্রিয়া-কর্মকাণ্ড আদির জন্য প্রযুক্ত, সুতরাং ক্রিয়াকর্ম মূলক বচন ব্যতীত বাকি বচনগুলি (আনর্থক্যম্) অনর্থক। এইজন্য এইরূপ অনর্থক বচন (অনিত্যমুচ্যতে) অনিত্য হিসেবেই পরিগণিত


 

তাছাড়া পূর্ব মীমাংসা সূত্র বৃত্তিকার পণ্ডিত মারুলকরোপাহ‌ নরহরি‌ শাস্ত্রী ব্যাখ্যা করছেন - 'আম্নায়স্য - বেদস্য' আম্নায় অর্থাৎ বেদ। 

উপরিউক্ত সিদ্ধান্তের সপক্ষে শাস্ত্র প্রমাণ হিসেবে আমরা অথর্ববেদীয় কৌশিক গৃহ্যসূত্র এর ১.৩ থেকে দেখে নেবো -

 "আম্নায পুনর্মন্ত্রাশ্চ ব্রাহ্মণানি চ " (কৌ.গৃহ্য.সূ/১.৩)

- শাস্ত্রে স্পষ্টভাবেই 'আম্নায়' শব্দ মন্ত্র (সংহিতা) আর ব্রাহ্মণ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযুক্ত। 

উপরিউক্ত শ্লোক দুটি বিচার করলে দণ্ডাপুপ ন্যায় অনুযায়ী এটা স্পষ্টভাবেই সিদ্ধ হয় যে 'আম্নায' শব্দ মন্ত্র ( সংহিতা ) আর ব্রাহ্মণ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এবং উভয়ই বেদ।


এবার বেদাঙ্গশাস্ত্র (কল্পসূত্র) ব্রাহ্মণভাগের‌‌ বেদত্ব বিচার নিয়ে‌ কি মত পোষণ করছে সেটা দেখে নেব আমরা -


মহর্ষি আপস্তম্ব তাঁর যজ্ঞ পরিভাষা সূত্রে বলছেন -


" মন্ত্রব্রাহ্মণযোর্বেদনাম ধ্যেযম্ || ৩৩ ||

কর্মচোদনা ব্রাহ্মনাণি || ৩৪ || "

(আপস্তম্ব যজ্ঞ পরিভাষা সূত্র/ ১ম খণ্ড - কৃষ্ণ যজুর্বেদীয় কল্প বেদাঙ্গ)


মহর্ষি আপস্তম্ব তাঁর শ্রৌতসূত্রে আরও বলছেন‌ যে‌ -

" মন্ত্রব্রাহ্মণযোর্বেদনাম ধ্যেযম্ ॥ " 

(আপস্তম্ব শ্রৌতসূত্র/২৪‌‌ নং প্রশ্ন/প্রথম কণ্ডিকা/৩১ নং সূত্র)

- মন্ত্র এবং ব্রাহ্মণ উভয়কেই বেদ নামে অভিহিত করা হয়।

[কৃষ্ণ যজুর্বেদীয় তৈত্তিরীয় শাখার একটি কল্প বেদাঙ্গ শাস্ত্র হল আপস্তম্ব শ্রৌতসূত্র। এখানে মহর্ষি আপস্তম্ব স্পষ্ট ভাবেই মন্ত্র (সংহিতা) ও ব্রাহ্মণ ভাগকে বেদ মেনে গিয়েছেন।]


" মন্ত্রব্রাহ্মণং বেদ ইত্যাচক্ষতে ॥ ২ ॥

মন্ত্রব্রাহ্মণযোর্বেদনাম ধ্যেযম্ ॥ ৩  ॥ " 

(বোধায়নীয় গৃহ্যসূত্র/ ২য় প্রশ্ন/ ৬নং অধ্যায়)

- কৃষ্ণ যজুর্বেদীয় তৈত্তিরীয় শাখার একটি কল্প বেদাঙ্গ শাস্ত্র হল বোধায়ন গৃহ্যসূত্র। এখানেও স্পষ্টভাবেই সংহিতাব্রাহ্মণ উভয়কেই বেদ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।


[🔴প্রসঙ্গত বলে রাখি, মন্ত্র শব্দ মানেই যে তা শুধু সংহিতা ভাগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর ব্রাহ্মণকে মন্ত্র বলা যাবে না, এমনটি নয়। কেননা ব্রাহ্মণ ভাগেও যা বর্ণিত আছে সেগুলিও মন্ত্র। কিন্তু সংহিতা ভাগের ক্ষেত্রে মন্ত্র শব্দ এর অর্থ সংকুচিত হয়ে উপচরিত হয়। এই রূপ অর্থান্তরকে ন্যায়শাস্ত্র মতে বলে - লক্ষণাবৃত্তি। ন্যায়শাস্ত্র মতে, শক্যার্থ বা মূল অর্থ - শক্তিবৃত্তির প্রয়োগ, উপচরিত অর্থ - লক্ষণাবৃত্তির প্রয়োগ (জহৎ, অজহৎ ইত্যাদি)]।


এখন ন্যায় শাস্ত্র বলছে -

" আপ্তোপদেশঃ শব্দঃ ॥ ৭ ॥ "‌‌ (ন্যায়সূত্র ১.১.৭)

- আপ্ত পুরুষ অর্থাৎ প্রাচীন ঋষি মুনিগণ কর্তৃক সংকলিত শাস্ত্র বাক্যই শব্দ প্রমাণ। 

" মন্ত্রাযুর্ব্বেদ প্রামাণ্যবচ্চ তৎপ্রামাণ্যমাপ্ত প্রামান্যাৎ || " ||  (ন্যায়সূত্র ২.১.৬৮)

- মন্ত্র ও আয়ুর্বেদের প্রামাণ্যের ন্যায় আপ্ত পুরুষের প্রামাণ্যবশত , সেই‌ ব্যক্তি কর্তৃক কথিত বেদস্বরূপ শব্দের প্রামাণিকতা সিদ্ধ হয়। 

সুতরাং প্রাচীন বৈদিক যারা ঋষি ছিলেন, আচার্য ছিলেন যেমন - মহর্ষি জৈমিনি, ব্যাসদেব, আশ্বলায়ন, আপস্তম্ব, গৌতম, কাত্যায়ণ, কৌশিক, বোধায়ন, শাট্যায়ন, শবর‌ স্বামী, মহর্ষি গৌতম,  মহর্ষি বাৎস্যায়ন  - তাঁরাই আপ্ত পুরুষ, তাদের বাক্য অকাট্য। সুতরাং এনাদের মতের বিরুদ্ধে কোন নব্য মত উত্থিত হলে,  সেই মত ন্যায় বিরোধী হওয়ায় মান্যতা পাবেনা।‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌

নমঃ শিবায় |

নমঃ শিবায়ৈ |

লেখনীতে - ©RohitKumarChoudhury (ISSGT) 

প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan Tirtha

Rohit Kumar Choudhury. ISSGT. 2022. ARR



  

 









মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত