ব্যাসদেব একটি পদ, কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম ব্যাসদেব নয়

 


বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ভণ্ড আর্যমসমাজীরা পুরাণ শাস্ত্রের মধ্যে থাকা যুক্তি মীমাংসা সম্পর্কে না বুঝে দু চারটে শ্লোক মাঝখান থেকে পড়ে নিয়ে সেটা পোষ্ট করে তার ভিত্তিতে পুরাণ শাস্ত্রকে গালিগালাজ শুরু করে। 

বহু সনাতনীদের কাছে এসব বিভ্রান্তিকর পোষ্ট তুলে ধরে প্রশ্নের জবাব চায়, কিন্তু পুরাণ শাস্ত্রের সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা সাধারণ সনাতনীরা তখন জবাব দিতে পারে না ফলে এদের এই দুর্বলতা কে কাজে লাগিয়ে দয়ানন্দ সরস্বতীর চ্যালা আর্যনামাজীরা তাদের আর্যমসমাজীতে পরিনত করে।

সেই কারণে আমরা এই সব আর্যনামাজী ম্লেচ্ছ দের জবাব দেবার জন্য লিখতে বাধ্য হয়েছি।

এর আগেও খণ্ডন করে জবাব দিয়েছি, আরো দেয়া হবে। 

বহু অপপ্রচার ও অপকৌশল ব্যবহার করে থাকে এই আর্যসমাজীরা। যার মধ্যে আর্যসমাজীদের একটি অন্যতম দাবি হল -

" অষ্টাদশ পুরাণসমূহ যদি ব্যাসদেবের রচনা হয় তাহলে এক এক পুরাণে এক একরকমের কথা কেন বলা আছে ? 

 ব্যাসদেব একজন ব্যক্তি হয়ে কি করে এক এক পুরাণে এক এক দেবতাকে শ্রেষ্ঠ বলেছেন এবং অন্যদেবতাদের নিকৃষ্ট হিসেবে দেখিয়েছেন ?

 ব্যাসদেব যদি অষ্টাদশ পুরাণসমূহ রচনা করে থাকেন তাহলে লিঙ্গপুরাণ ও বিষ্ণুপুরাণে কেন বলা হয়েছে যে বিষ্ণুপুরাণের রচয়িতা পরাশর মুনি ?

সুতরাং এই সব গড়মিল কখনো ব্যাসদেব করতে পারেন না, এগুলি সাম্প্রদায়িক শৈব বৈষ্ণব শাক্তদের ইচ্ছে মত রচিত নব্য গ্রন্থ, তাই ব্যাসদেব কখনোই এই পরস্পর বিরোধী ১৮পুরাণ রচনা করতে পারেন না "


আর্যসমাজীদের এই অবান্তর দাবির খণ্ডন করা যাক এবার,


🔥খণ্ডন :


প্রথমত, ১৮টি পুরাণের মান্যতা অনুযায়ী ব্যাসদেব হল একটি ' পদ ' , এটি কোনো নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তি নয় ।

হ্যা, এটা জানার পর আর্যমসমাজীদের মাথায় হয়তো বজ্রপাত হল এখন, কিন্তু এটাই সত্য 😄


পুরাণ শাস্ত্রের বানী অনুসারে, 

 পরমেশ্বর(শিব) যখন সৃষ্টি বিস্তার করেন তখন থেকে কল্প শুরু হয়, প্রত্যেক কল্পের মধ্যে মন্বন্তর থাকে, আর সেই মন্বন্তরের মধ্যে থাকে ৭১টি চতুর্যুগ, প্রত্যেক চতুর্যুগ অর্থাৎ চারযুগ(সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি) এর মধ্যে দ্বাপরে একজন মহাত্মা "ব্যাস" পদে যুক্ত হন, পরবর্তী দ্বিতীয় চারযুগের মধ্যে দ্বিতীয় মহাত্মা ব্যক্তি "ব্যাস" পদে নিযুক্ত হন । এইভাবে প্রত্যেক চারযুগের মধ্যে থাকা দ্বাপরযুগে নূতন নূতন ব্যক্তি ব্যাস পদে যুক্ত হয়ে ব্যাসদেব হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন ।


কিন্তু, আবোধ আর্যমসমাজীরা পুরাণ শাস্ত্রের সম্পর্কে কিছু না জেনে লোকের কাছে ভিক্ষা করা টাকায় পুরাণ কিনে বা PDF এ চোখ বুলিয়ে যেখানে বর্তমান বাস্তবতার সাথে পুরাতন কাহিনীর বিন্দুমাত্র তারতম্য দেখে সেই শ্লোকটা তুলেই পোষ্ট করে আর ইচ্ছে মত পুরাণের নিন্দাসূচক কথা বার্তা লিখে ভরিয়ে দেয়, এগুলো দেখে সাধারণ মানুষেরাও দিশেহারা হয়ে পড়ে। তারাও এদের মিথ্যাচারের জালে ফেঁসে গিয়ে ভাবতে থাকে যে, আর্যসমাজীরাই প্রকৃত সনাতনী। আর এভাবেই পুরাণ শাস্ত্রের নিন্দা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।


যাই হোক এবার পুরাণ থেকেই প্রমাণ সহ দেখাবো যে ব্যাসদেব একটি পদ।

শিবমহাপুরাণের বায়বীয়সংহিতার উত্তরখণ্ডের অন্তর্গত ৮নং অধ্যায়ে বলা হয়েছে যে 👇

স্বরক্ষশ্চারুণির্ধীমাঙ্স্তথা চৈব কৃতঞ্জয়ঃ।

মামতয়ো ভরদ্বাজো গৌতমঃ কবিরুত্তমঃ।।৪৬

বাচঃ শ্রবা মুনিঃ সাক্ষাত্তথা সুক্ষ্মায়ণিঃ শুচিঃ।

তৃণবিন্দুর্মুনিঃ কৃষ্ণঃ শক্তিঃ শাক্তেয় উত্তরঃ।।৪৭

জাতুকর্ণ্য হরিঃ সাক্ষাৎ কৃষ্ণদ্বৈপায়নো মুনিঃ।

ব্যাসাবতারান্ শৃণ্বন্তু কল্পযোগেশ্বরান্ ক্রমাত্।।৪৮

লৈঙ্গে ব্যাসাবতারা হি দ্বাপরান্তেষু সুব্রতাঃ।৪৯ 

সরলার্থ : ঋভু, সত্য, ভার্গব, অঙ্গিরা, সবিতা, মৃত্যু, ইন্দ্ৰ, মুনিবর বশিষ্ঠ, সারস্বত, ত্রিধামা, মুনিশ্রেষ্ঠ ত্রিবৃৎ, শততেজা, সাক্ষাৎ ধর্মস্বরূপ নারায়ণ, স্বরক্ষ, বুদ্ধিমান আরুণি, কৃতঞ্জয়, ভরদ্বাজ, শ্রেষ্ঠ বিদ্বান গৌতম, বাচঃশ্রবা মুনি, পবিত্র সূক্ষ্মায়ণি, তৃণবিন্দু, মুনি, কৃষ্ণ, শক্তি, শাক্তেয় অর্থাৎ পরাশর , উত্তর, জাতৃকর্ণ এবং সাক্ষাৎ নারায়ণ স্বরূপ কৃষ্ণদ্বৈপায়ন মুনি — এঁরা সব ব্যাসাবতার। এবার ক্রমশঃ কল্পযোগেশ্বরের বর্ণনা শোনো। লিঙ্গপুরাণে দ্বাপরের অন্তে সৃষ্ট উত্তম ব্রতধারী ব্যাসাবতারদের বর্ণনা আছে। ৪৬-৪৯½


 উপরোক্ত শিবমহাপুরাণের কথন থেকে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে ব্যাস একটি পদ । উপরোক্ত প্রত্যেক মহাত্মা‌ই প্রত্যেক চারযুগের মধ্যে দ্বাপরযুগে ব্যাসদেব হয়ে থাকেন। 

এবার দেখা যাক এনারা কিভাবে এবং ব্যাসদেব হয়েছেন ।


যুগপ্রবৃত্ত্যা চ তথা তস্মিঙ্শ্চ প্রথমে যুগে।

দরবারে প্রথমে ব্রহ্মন্যদা ব্যাসঃ স্বয়ম্প্রভুঃ।।৫

সরলার্থ : এই ভাবে ক্রমশ যুগ প্রবৃত্ত হত্তয়ার পর প্রথম যুগের ( চতুর্যুগের ) প্রথম দ্বাপরে স্বয়ম্প্রভু নামক ব্যাস হবেন।


দ্বিতীয়ে দ্বাপরে ব্যাসঃ সত্যো নাম প্রজাপতিঃ।১১

সরলার্থ : দ্বিতীয় দ্বাপরে সত্য নামক প্রজাপতি ব্যাস হবেন।


তৃতীয়ে দ্বাপরে চৈব মজা ব্যাসস্তু ভার্গবঃ।১৪

 তৃতীয় দ্বাপর যুগের শেষে ভার্গব নামক ব্যাস হবেন।


চতুর্থে দ্বাপরে চৈব মজা ব্যাসোহ্ঙ্গিরা স্মৃতঃ।১৮

চতুর্থ দ্বাপরে অঙ্গিরা ব্যাস রূপে প্রসিদ্ধ হবেন।


পঞ্চমে দ্বাপরে চৈব ব্যাসস্তু সবিতার স্মৃতঃ।২০

পঞ্চম দ্বাপরে সবিতার নামক ব্যাসের কথা বলা হয়েছে।


পরিবর্ত্তে পুনঃ ষষ্ঠে দ্বাপরে লোককারকঃ।

কর্তা বেদবিভাগস্য মৃত্যুর্বাসো ভবিষ্যতি।। ২৪

সরলার্থ : এরপর ষষ্ঠ দ্বাপর আসলে লোকের রচয়িতা তথা বেদের বিভাজনকারী মৃত্যু নামক ব্যাস হবেন।


সপ্তমে পরিবর্ত্তে তু যদা ব্যাসঃ শতক্রতুঃ।২৮

সপ্তম দ্বাপরে শতক্রতু (নামক) ব্যাস হবেন।


অষ্টমে পরিবর্ত্তে হি বসিষ্ঠো মুনিসত্তমঃ।

কর্ত্তা বেদবিভাগস্য বেদব্যাসো ভবিষ্যতি।।৩১

সরলার্থ : অষ্টম দ্বাপর যুগে আসলে বেদকে বিভাজন কারী মুনিশ্রেষ্ঠ বসিষ্ঠ বেদব্যাস হবেন।


নামে পরিবর্ত্তে তু তস্মিন্নৈব যুগে বিঁধে।

ভবিষ্যতি মুনিশ্রেষ্ঠো ব্যাসঃ সারস্বতাহ্বয়ঃ।।৩৪

সরলার্থ : হে বিধে! নবম দ্বাপর যুগ আসলে তাতে সারস্বত নামক মুনিশ্রেষ্ঠ ব্যাস হবেন।


পরিবর্ত্তে চতুর্বিংশে ব্যাসো যক্ষো যদা বিভুঃ।৩৫

সরলার্থ : চব্বিশতম দ্বাপরযুগে যক্ষ নামক ব্যাস হবেন।


পঞ্চবিংশে যদা ব্যাসঃ শক্তির্নাম্না ভবিষ্যতি।৩৭

সরলার্থ : পঁচিশতম দ্বাপরযুগে শক্তি নামক ব্যাস হবেন।


ব্যাসঃ পরাশরো যর্হি ষড়বিংশে ভবিতাপ্যহম্।৩৯

সরলার্থ : ছাব্বিশতম দ্বাপরযুগে পরাশর নামক ব্যাস হবেন।


সপ্তবিংশে মজা ব্যাসো জাতুকর্ণ্যো ভবিষ্যতি।৪১

সরলার্থ : 

সাতাশতম দ্বাপরযুগে জাতুকর্ণ্য ব্যাস হবেন।


অষ্টাবিংশে দ্বাপরে তু পরাশর সুতো হরিঃ।

মজা ভবিষ্যতি ব্যাসো নাম্না দৈপায়নঃ প্রভুঃ।।৪৩

তদা ষষ্ঠেন চাঙ্শেন কৃষ্ণ পুরুষসত্তমঃ।

বসুদেবসুতঃ শ্রেষ্ঠো বাসুদেবো ভবিষ্যতি।।৪৪

সরলার্থ : আঠাশতম দ্বাপরযুগে যখন মহাবিষ্ণু পরাশরের পুত্র রূপে জন্ম নেবেন ত্রবং দ্বৈপায়ন নামক ব্যাস হবেন, তখন ষষ্ঠ অংশ থেকে পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণও বাসুদেব নামে প্রসিদ্ধ হবেন এবং বসুদেবের পুএরুপে জন্ম নেবেন।


ব্যাসাশ্চৈবাষ্টবিংশত্কা দ্বাপরে দ্বাপরে বিভোর।

যোগেশ্বরাবতারাশ্চ প্রারম্ভে চ কলৌ কলৌ।।৫২

সরলার্থ : হে বিভো! এইভাবে প্রত্যেক দ্বাপরযুগে আঠাশজন ব্যাস এবং প্রত্যেক কলিযুগের শুরুতে যোগেশ্বরের অবতার হয়।।



আশাকরি গর্দভশিরোমণি আর্যমসমাজী ম্লেচ্ছরা আজ থেকে একজন ব্যক্তিকে ব্যাসদেব বলে ঠাওর করবে না। ব্যাসদেব একটা 'পদ' এই সত্যটা যেন আর্যমসমাজীরা ভালো করে মনে রাখে। 

 তাই যে যুগে একটি পুরাণ থেকে ১৮টি পুরাণে বিভক্ত করেছিলেন পরাশর মুনি সেই কথা বিষ্ণুপুরাণে রয়েছে, কারণ সে সময়ে আসলে ব্যাসপদে অবস্থিত ছিলেন পরাশর মুনি।

অর্ধেক পুরাণ শাস্ত্র পড়ে নিয়ে তার থেকে দুচারটে শ্লোক তুলে পুরাণের উপর দোষ চাপানো আর্যমসমাজীদের জন্মগত রোগ, সেটা আবার‌ও প্রমাণ করে দিলাম। এই গর্দভশিরোমণি আর্যমসমাজী ম্লেচ্ছদের কারণে অনান্য অসনাতনীরা পুরাণ শাস্ত্রের ত্রুটি ধরতে চলে আসছে, কারণ আর্যমসমাজীদের করা এই পুরাণ নিয়ে মিথ্যাচার সকল অসনাতনীরা দেখতে পায় এবং এই সব মিথ্যাচার গুলিকেই হাতিয়ার করে ম্লেচ্ছ যবনরা আমাদের সনাতনীদের প্রশ্ন করে, বেশিরভাগ সনাতনীরা পুরাণ শাস্ত্রের নামে মিথ্যাচারের বিপক্ষে জবাব দিতে না পেরে অস্বস্তিতে ভোগে। সুতরাং একটু ভেবে দেখুন এই আর্যসমাজীরা আসলেই সনাতনীদের জন্য কত ক্ষতিকারক । এদের অবিলম্বে বয়কট করুন, বাংলাদেশ অগ্নিবীর নামক ম্লেচ্ছদের বয়কট করুন। এরা বেদ বেদ করে অথচ বেদ অর্ধেক মানে না, নিজেদের ইচ্ছামত যা ইচ্ছা তাই মানে আর যেগুলো এদের মতে বিপক্ষে সেগুলিকেই প্রক্ষিপ্ত বলে প্রচার করে ও নিন্দা করে। সুতরাং এই দয়ানন্দ সরস্বতী সহ সমস্ত আর্যসমাজকে বয়কট করুন। এরা সনাতন ধর্মের জন্য মারাত্মকভাবে বিপদ। আর্যনামাজীদের সমস্ত মিথ্যাচারের খণ্ডন আমি করবো, আগেও করেছি ভবিষ্যতেও করতে থাকবো। শিবের কৃপায় শ্রীগুরুর কৃপায় আমি অবশ্য‌ই এই খণ্ডন পর্ব চালিয়ে যাবো। 


অর্ধসত্য প্রকাশে লজ্জাহীন অগ্নিবিড়িখোর সৈনিকদের আস্ফালন - শিবকৃপায় আরো একবার দমানো হল, বাকিটা ইতিহাস... 

॥ ॐ নমঃ পার্বতীপতয়ে হর হর মহাদেব ॥

 ॥ ॐ নমঃ শিবায় ॥


🔥অসনাতনীদের আস্ফালন দমনে - শ্রীনন্দীনাথ শৈব 

💥বিশেষ সহযোগিতায় - শ্রীগৌতম রায় শৈবজী 


🚩কপিরাইট ও প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT 



মন্তব্যসমূহ

  1. ওঁ নমঃ শিবায় 🙏🏻

    উত্তরমুছুন
  2. আমি তো তাই বলি এদের মধ্যে মনে হয় বিরোধ ছিল জায়গা জমি নিয়ে। তাই একেক পুরাণে একেক জায়গায় দেব দেবীকে অপমান করা হয়ছে। আমি দেখেছি পৌরাণিকেরা ইতিহাস বিশ্বাস করে না। পুরান রচিত হয়ছে ২০০ খ্রীস্টাব্দে।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. এসব হাস্যকর দাবীর কোনো স্থান নেই পণ্ডিত মহলে । সনাতন বিদগ্ধ আচার্য্যরা যা বলে সেটাই মান্য, আপনার মনগড়া মত নয়। আপনি অতীতে গিয়ে দেখে নিশ্চয় আসেন নি যে, পুরাণ কবে রচিত হয়েছিল। আপনার দাবী গুণবাদ যুক্ত কারণ তা প্রত্যক্ষ এবং শব্দ উভয়ের সাথেই বিরোধ পোষণ করে। আর গুণবাদ এর মান্যতা সর্বদাই ভূতার্থবাদ অপেক্ষা কম।

      মুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত