পরমেশ্বর শিবের ১ হাজারটি নাম ও তার অর্থ

 পরমেশ্বর শিবের ১হাজারটি নাম ও তার অর্থ ,

শিবমহাপুরাণের  কোটিরুদ্র সংহিতার অন্তর্গত শিবসহস্র নাম স্তোত্রের মধ্যে পরমশৈব শ্রীহরির দ্বারা উল্লেখিত পরমেশ্বর শিবের ১০০০ টি নাম এখানে আলাদা আলাদা করে তুলে ধরা হয়েছে ISSGT অর্থাৎ International Shiva Shakti Gyan Tirtha-র পক্ষ থেকে।

পরমপবিত্র মোক্ষদায়ক প্রত্যেক টি শিবনাম আলাদা আলাদা করে তুলে ধরবার কাজ করেছেন — শ্রী অভিষেক বাগ শৈবজী, শ্রী সানি নাথ শৈবজী ও শ্রী নন্দীনাথ শৈবাচার্য জী,


আপনি যদি প্রভু পরমেশ্বর শিবের একটি একটি করে ১হাজারটি নাম জপ করে, ১হাজার টি ফুল বা ১হাজার বেলপাতা বা ১হাজার দূর্বা বা ১হাজার জল বিন্দু প্রদান করতে চান তবে প্রত্যেক নাম উচ্চারণের আগে “ নমঃ ” শব্দ যুক্ত করে তারপর উচ্চারণ করবেন।

উদাহরণ হিসেবে যেমন — 

নমঃ শিবঃ

নমঃ হরঃ

নমঃ মৃড়ঃ, 

নমঃ রুদ্রঃ, — এই ভাবে প্রত্যেক নামের আগে “ নমঃ ” শব্দযোগ করে উচ্চারণ করবেন


প্রভু শিবের ধ্যান করে তারপর এই নিম্নোক্ত নামগুলি পাঠ করবেন।


১) শিবঃ-কল্যাণস্বরূপ, 

২) হরঃ-ভক্তদের পাপতাপ হরণকারী, 

৩) মৃডঃ-সুখ- দাতা,

৪) রুদ্রঃ- কল্যাণস্বরূপ, 

৫) পুস্তরঃ- আকাশ- স্বরূপ, 

৬) পুষ্পলোচনঃ-পুষ্পের ন্যায় প্রস্ফুটিত চক্ষুসম্পন্ন,

৭) অর্থিগম্যঃ-প্রার্থীদের প্রাপ্তব্য,

৮) সদাচারঃ- শ্রেষ্ঠ আচরণসম্পন্ন,

৯) শর্বঃ — সংহারকারী, 

১০) শম্ভুঃ — কল্যাণ নিকেতন,

১১) মহেশ্বরঃ — মহান ঈশ্বর,


১২) চন্দ্রাপীড়ঃ-চন্দ্রকে শিরোভূষণরূপ ধারণকারী,

১৩) চন্দ্রমৌলিঃ- মস্তকে চন্দ্রের মুকুট ধারণকারী,

১৪) বিশ্বম্- সর্ব স্বরূপ,

১৫) বিশ্বম্ভরেশ্বরঃ- বিশ্বের ভরণ পোষণকারী শ্রীবিষ্ণুরও ঈশ্বর,

১৬) বেদান্ত সার- সন্দোহঃ-বেদান্তের সারতত্ত্ব সচ্চিদানন্দময় ব্রহ্মের সাকার মূর্তি, 

১৭) কপালী- হাতে কপাল ধারণকারী,

১৮) নীললোহিতঃ- (গলায়) নীল এবং (বাকি অঙ্গে) লোহিত বর্ণবিশিষ্ট 


 ১৯) ধ্যানাধারঃ- ধ্যানের আধার,

২০) অপরিচ্ছেদ্যঃ- দেশ, কাল ও বস্তুর সীমার দ্বারা অবিভাজ্য,

২১) গৌরীভর্তা - গৌরী অর্থাৎ পার্বতীর পতি,

২২) গণেশ্বরঃ - প্রমথগণের প্রভু,

২৩) অষ্টমূর্তিঃ- জল, অগ্নি, বায়ু, আকাশ, সূর্য, চন্দ্র, পৃথিবী এবং যজমান - এই রূপবিশিষ্ট,

২৪) বিশ্বমূর্তিঃ - অখিল ব্রহ্মাণ্ডময় বিরাট পুরুষ,

২৫) ত্রিবর্গস্বর্গসাধনঃ-ধর্ম, অর্থ, কাম ও স্বর্গ প্রদানকারী 



২৬) জ্ঞানগম্যঃ- জ্ঞানের দ্বারাই অনুভব হওয়ার যোগ্য,

২৭) দৃঢ়প্রজ্ঞঃ-স্থির বুদ্ধিসম্পন্ন,

২৮) দেবদেব — দেবতাদেরও আরাধ্য,

২৯) ত্রিলোচনঃ — সূর্য, চন্দ্র ও অগ্নিরূপ তিন নেত্রবিশিষ্ট, 

৩০) বামদেবঃ — লোকাদির বিপরীত স্বভাবসম্পন্ন দেবতা,

৩১) মহাদেবঃ — মহান দেবতা, যিনি ব্রহ্মাদিরও পূজনীয়,

৩২) পটুঃ-সবকিছু করতে সক্ষম এবং কুশল,

৩৩) পরিবৃঢ়ঃ স্বামী (প্রভু),

৩৪) দৃঢ়ঃ-যিনি কখনও বিচলিত হন না 


৩৫) বিশ্বরূপঃ- জগৎস্বরূপ,

৩৬) বিরূপাক্ষ বিকট চক্ষুবিশিষ্ট,

৩৭) বাগীশঃ-বাণীর অধিপতি,

৩৮) শুচিসত্তমঃ- পবিত্র পুরুষদের মধ্যেও সর্বশ্রেষ্ঠ, 

৩৯) সর্বপ্রমাণসংবাদী-সমস্ত প্রমাণাদির মধ্যে সামঞ্জস্য স্থাপনকারী,

৪০) বৃষাঙ্কঃ- নিজ ধ্বজায় বৃষত চিহ্ন ধারণকারী,

৪১) বৃষবাহনঃ বৃষভ বা ধর্মকে বাহনকারী 


৪২) ঈশঃ-স্বামী (প্রভু) বা শাসক,

৪৩) পিনাকী — পিনাক নামে ধনুর্ধারণকারী,

৪৪) খট্‌বাঙ্গী-খাটের পায় সদৃশ অস্ত্রধারণকারী,

৪৫) চিত্রবেশঃ-বিচিত্র বেশধারী,

৪৬) চিরন্তন-পুরাণ (অনাদি) পুরুষোত্তম,

৪৭) তমোহরঃ- অজ্ঞানান্ধকার দূরকারী,

৪৮) মহাযোগী-মহা- যোগসম্পন্ন,

৪৯) গোপ্তা — রক্ষক,

৫০) ব্রহ্মা — সৃষ্টিকর্তা,

৫১) ধূর্জটিঃ — জটাভারযুক্ত


৫২) কালকালঃ-কালেরও কাল,

৫৩) কৃত্তিবাসা — গজাসুরের চর্ম বস্ত্ররূপে ধরণকারী,

৫৪) সুভগঃ — সৌভাগ্যশালী,
৫৫) প্রণবাত্মকঃ- ওঁকার স্বরাপধ্য প্রণবের বাচ্যার্থ,
৫৬) উন্নধ্রঃ-বন্ধনরহিত,
৫৭) পুরুষঃ অন্তর্যামী আত্মা,
৫৮) জুষ্য-সেবন করার যোগ্য,
৫৯) দুর্বাসাঃ যিনি 'দুর্বাসা' নামক মুনির নামে অবতীর্ণ, 
৬০) পুরশাসনঃ-তিন মায়াময় অসুরপুরী দমনকারী,

৬১) দিব্যায়ুধঃ 'পাশুপত' ইত্যাদি দিব্য অস্ত্র ধারণকারী, 
৬২) স্কন্দগুরুঃ - কার্তিকেয়র পিতা,
৬৩) পরমেষ্ঠী- নিজ প্রকৃষ্ট মহিমাতে স্থিত,
৬৪) পরাৎপরঃ কারণেরও কারণ,
৬৫) অনাদিমধ্যনিধনঃ-আদি, মধ্য * ও অন্তরহিত,
৬৬) গিরীশঃ-কৈলাসের অধিপতি,
৬৭) গিরিজাধবঃ-পার্বতীর পতি 

৬৮) কুবেরবন্ধুঃ-যিনি কুবেরকে নিজ বন্ধু (মিত্র) রূপে গ্রহণ করেন,
৬৯) শ্রীকণ্ঠঃ-শ্যামসুষমা সুশোভিত কণ্ঠবিশিষ্ট,
৭০) লোকবর্ণোত্তমঃ- সমস্ত লোক ও বর্ণে শ্রেষ্ঠ,
৭১) মৃদুঃ-কোমল স্বভাববিশিষ্ট,
৭২) সমাধিবেদ্যঃ - সমাধি অথবা চিত্তবৃত্তির নিরোধের অনুভবে আসার যোগ্য,
৭৩) কোদণ্ডী-ধনুর্ধর,
৭৪) নীলকণ্ঠঃ - কণ্ঠে হলাহল বিষের নীল চিহ্ন ধারণকারী,
৭৫) পরশ্বধীঃ -পরশুধারী 

৭৬) বিশালাক্ষঃ - বড় বড় চক্ষুবিশিষ্ট,
৭৭) নৃগব্যাধঃ — বনে ব্যাধ বা কিরাতরূপে প্রকট হয়ে শূকরের ওপর শরসন্ধানকারী,
৭৮) সুরেশঃ - দেবতাদের প্রভু,
৭৯) সূর্যতাপনঃ —সূর্যকেও দণ্ডপ্রদানকারী,
৮০) ধর্মধাম -ধর্মের আশ্রয়,
৮১) ক্ষমাক্ষেত্রম্ —ক্ষমার উৎপত্তি-স্থান,
৮২) ভগবান – সম্পূর্ণ ঐশ্বর্য, ধর্ম, যশ, শ্রী, জ্ঞান এবং বৈরাগ্যের আশ্রয়,
৮৩) ভগনেত্রভিৎ — ভগদেবতার নেত্র ভেদনকারী, 

৮৪) উগ্রঃ- সংহারকালে ভয়ংকর বাপধারণকারী, 
৮৫) পশুপতিঃ- মায়ারূপে আবদ্ধ (পাশবদ্ধ) পশু (জীবে)-দের তত্ত্বজ্ঞানের দ্বারা মুক্ত করে যথার্থরূপে তাদের পালনকারী,
৮৬) তাক্ষ্যঃ- গরুড়রূপ,
৮৭) প্রিয়ভক্তঃ- ভক্তে প্রেমকারী,
৮৮) পরন্তপঃ- শত্রুতা- কারীদের সন্তাপ প্রদানকারী,
৮৯) দাতাঃ- দানী,
৯০) দয়াকরঃ- দয়ানিধান বা কৃপাকারী,
৯১) দক্ষঃ-কুশল,
৯২) কপর্দীঃ- জটাজুটধারী,
৯৩) কামশাসনঃ-কাম দেবকে দমনকারী,
৯৪) শ্মশাননিলয়ঃ- শ্মশানবাসী,
৯৫) সূক্ষ্মঃ- ইন্দ্রিয়াতীত এবং ১ সর্বব্যাপী,
৯৬) শ্মশানস্থঃ- শ্মশান- ভূমিতে বিশ্রামগ্রহণকারী,
৯৭) মহেশ্বরঃ- মহান ঈশ্বর বা পরমেশ্বর,
৯৮) লোককর্তাঃ- জগৎ সৃষ্টিকারী,
৯৯) মৃগপতিঃ- মৃগের পালক বা পশুপতি,
১০০) মহাকর্তাঃ- বিরাট ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করার সময় মহা-কর্তৃত্ব সম্পন্ন,
১০১) মহৌষধিঃ- ভবরোগ নিবারণ করার জন্য মহা ঔষধিরূপ।।
১০২) উত্তরঃ- সংসার সমুদ্র থেকে উদ্ধারকারী,
১০৩) গোপতিঃ- স্বর্গ, পৃথিবী, পশু, বাণী, কিরণ, ইন্দ্রিয় এবং জলের প্রভু,
১০৪) গোপ্তাঃ- রক্ষক,
১০৫) জ্ঞানগম্যঃ- তত্ত্বজ্ঞানের দ্বারা জ্ঞানস্বরূপেই জানার যোগ্য,
১০৬) পুরাতনঃ- সবথেকে পুরাতন,
১০৭) নীতিঃ- ন্যায়স্বরূপ,
১০৮) সুনীতিঃ- উত্তম নীতিসম্পন্ন,
১০৯) শুদ্ধাত্মাঃ- বিশুদ্ধ আত্মস্বরূপ,
১১০) সোমঃ- উমাসহ,
১১১) সোমরতঃ - চন্দ্রে প্রেমকারী,
১১২) সুখীঃ-পরিপূর্ণ,
১১৩) সোমপঃ- সোমপানকারী অথবা সোমনাথ রূপে চন্দ্রের পালক,
১১৪) অমৃতপঃ- সমাধি দ্বারা স্বরূপভূত অমৃতের আস্বাদনকারী,
১১৫) সৌম্যঃ- ভক্তদের জন্য সৌম্যরূপধারী,
১১৬) মহাতেজাঃ- মহান তেজসম্পন্ন,
১১৭) মহাদ্যুতিঃ-পরম কান্তিমান, 
১১৮) তেজোময়ঃ প্রকাশস্বরূপ,
১১৯) অমৃতময়ঃ-অমৃতররূপ,
১২০) অন্নময়ঃ-অন্নররূপ,
১২১) সুধাপতিঃ-অমৃতের পালক,

১২২) অজাতশত্রুঃ – যাঁর মনে কখনও কারও
প্রতি শত্রুভাব জন্মায়নি, এরূপ সমদর্শী,
১২৩) আলোকঃ- প্রকাশস্বরূপ,
১২৪) সম্ভাব্য-সম্মাননীয়,
১২৫) হব্যবাহনঃ- অগ্নিস্বরূপ,
১২৬) লোককরঃ জগতের স্রষ্টা,
১২৭) বেদকরঃ- বেদ প্রকটকারী,
১২৮) সূত্রকারঃ- ঢক্কানাদরূপে চতুর্দশ মাহেশ্বর সূত্রের প্রণেতা,
১২৯) সনাতনঃ-নিত্যস্বরূপ। 

১৩০) মহর্ষিকপিলাচার্যঃ — সাংখ্যশাস্ত্রের প্রণেতা ভগবান কপিলাচার্য,
১৩১) বিশ্বদীপ্তিঃ — নিজ প্রভায় সকলকে প্রকাশিতকারী,
১৩২) ত্রিলোচনঃ —তিন লোকের দ্রষ্টা,
১৩৩) পিনাকপাণিঃ-হাতে পিনাক নামক ধনুক ধারণকারী,
১৩৪) ভূদেবঃ পৃথিবীর দেবতা-ব্রাহ্মণ অথবা পার্থিব লিঙ্গরূপ,
১৩৫) স্বস্তিদঃ - কল্যাণদাতা,
১৩৬) স্বস্তিকৃৎ-কল্যানকারী,
১৩৭) সুধীঃ-বিশুদ্ধ বুদ্ধিবিশিষ্ট 

১৩৮) ধাতৃধামা - বিশ্বকে ধারণ-পোষণ করতে সমর্থ তেজসম্পন্ন,
১৩৯) ধামকরঃ- তেজ সৃষ্টিকারী,
১৪০) সর্বগঃ-সর্বব্যাপী,
১৪১) সর্বগোচরঃ- সবেতে ব্যাপ্ত,
১৪২) ব্রহ্মসূক্- ব্রহ্মার উৎপাদক,
১৪৩) বিশ্বসৃক্ - জগতের স্রষ্টা,
১৪৪) সর্গঃ- সৃষ্টিস্বরূপ,
১৪৫) কর্ণিকার প্রিয়ঃ-কনের ফুলের পিয়াসী,
১৪৬) কবিঃ — ত্রিকালদর্শী,

১৪৭) শাখঃ- কার্তিকের ছোট ভাই শাখস্বরূপ,
১৪৮) বিশাখঃ- স্কন্দের ছোট ভাই বিশাখস্বরূপ অথবা বিশাখ নামের ঋষি,
১৪৯)গোশাখঃ — বেদবাণীর শাখা সমূহবিস্তারকারী,
১৫০) শিবঃ — মঙ্গলময়,
১৫১) ভিষগনুত্তম। ভবরোগ নিবারণকারী বৈদ (জ্ঞানী)দের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ,
১৫২) গঙ্গাপ্লবোদকঃ- গঙ্গার প্রবাহরূপ জল মস্তকে ধারণকারী,
১৫৩) ভব্যঃ কল্যাণস্বরূপ,
১৫৪) পুর্বল। - পূর্ণতম অথবা ব্যাপক,
১৫৫) স্থপতিঃ- ব্রহ্মাগুরাপ ভবনের নির্মাতা,
১৫৬) স্থিরঃ-অচঞ্চল বা স্থাণুরূপ,

১৫৭) বিজিতাত্মা — মনকে বশীভূতকারী,
১৫৮) বিধেয়াত্মা — শরীর, মন ও ইন্দ্রিয়াদির দ্বারা নিজ ইচ্ছানুযায়ী কর্মকারী,
১৫৯) ভূতবাহনসারথিঃ-পাঞ্চ- ভৌতিক রথ (শরীর) সঞ্চালনকারী বুদ্ধিরূপ সারছি,
১৬০) সগণঃ- প্রমথগণের সঙ্গে একত্রে বাসকারী, ১৬১) গণকায়ঃ- গণস্বরূপ,
১৬২) সুকীর্তিঃ- উত্তম কীর্তিসম্পন্ন,
১৬৩) ছিন্নসংশয়ঃ-সংশয় ছিন্নকারী 

১৬৪) কামদেবঃ — মানুষের অভিলষিত সমস্ত কামনার অধিষ্ঠাতা পরমদেব,
১৬৫) কামপালঃ-সকাম ভক্তদের কামনাপূরণকারী, 
১৬৬) ভম্মোদধূলিত- বিগ্রহঃ-নিজ শ্রীঅঙ্গে ভস্মলেপনকারী,
১৬৭) জন্ম- প্রিয়ঃ-ভস্মপ্রেমী,
১৬৮) ভস্মশায়ী-ভন্মের ওপর শয়নকারী,
১৬৯) কামী-নিজ ভক্তের প্রিয় আকাঙ্ক্ষাকারী,
১৭০) কান্তঃ-পরম কমনীয় প্রাণবল্লভররূপ,
১৭১) কৃতাগমঃ-সমস্ত তন্ত্রশাস্ত্রের রচয়িতা,

১৭২) সমাবর্তঃ-সংসারচক্রে ঠিকভাবে পরিচালনকারী, 
১৭৩) অনিবৃত্তাত্মা - সর্বত্র বিদ্যমান হওয়ায় যাঁর আত্মা কোথাও থেকে সরে নেই, এইরূপ,
১৭৪) ধর্মপুঞ্জঃ-ধর্ম বা পুণ্যের রাশি,
১৭৫) সদাশিবঃ – নিরন্তর কল্যাণকারী,
১৭৬) অকল্মষ। - পাপরহিত,
১৭৭) চতুর্বাহুঃ - চার হস্তযুক্ত,
১৭৮) দুরাবাসঃ-যোগিগণ যাঁকে অত্যন্ত কষ্টে তাঁদের হৃন মন্দিরে ধারণ করতে পারেন, তেমন,
১৭৯) দুরাসদঃ — পরম দুর্জয়,

১৮০) দুর্লভঃ-ভক্তিহীন পুরুষ কষ্টে যাকে পেয়ে থাকেন,
১৮১) দুর্গমঃ- যাঁর কাছে পৌঁছানো যে কারো পক্ষেই কঠিন, তেমন,
১৮২) দুর্গঃ- পাপ-তাপ থেকে রক্ষা করার জন্য দুর্গরূপ অথবা দুর্জেয়,
১৮৩) সর্বায়ুধঃ- বিশারদঃ-সমস্ত অস্ত্রপ্রয়োগ কলায় কুশল,
১৮৪)অধ্যাত্মযোগনিলয়ঃ-অধ্যাত্মযোগে স্থিত, 
১৮৫) সুতন্তুঃ – সুন্দর বিস্তৃত জগৎ-রূপ তন্ত্রবিশিষ্ট,
১৮৬) তন্ত্রবর্ধনঃ -জগৎরূপ তম্ভ বৃদ্ধিকারী।। 
১৮৭) শুভাঙ্গঃ-সুন্দর অঙ্গকান্তি,
১৮৮)লোকসারঙ্গঃ-লোকসারগ্রাহী, 
১৮৯) জগদীশঃ-জগতের প্রভু,
১৯০) জনার্দনঃ-ভক্তজনেদের আকাঙ্ক্ষার অবলম্বন,
১৯১) ভষ্মশুদ্ধিকরঃ- ভস্ম দ্বারা শুদ্ধি সম্পাদনকারী, 
১৯২) মেরুঃ-সুমেরু পর্বতের সমান কেন্দ্ররূপ, 
১৯৩) ওজস্বী-তেজ এবং বলসম্পন্ন,
১৯৪) শুদ্ধবিগ্রহঃ-নির্মল শরীরসম্পন্ন। 
১৯৫) অসাধ্যঃ- সাধন ভজন থেকে দূরে থাকা ব্যক্তিদের পক্ষে অলভ্য, 
১৯৬) সাধুসাধ্যঃ-সাধন ভজন পরায়ণ সৎপুরুষদের জন্য সুলভ,
১৯৭) ভৃত্যমর্কট রূপধূক্ — শ্রীরামের ভৃত্য সাজার অভিনয়কারী বানর হনুমানের রূপধারণ কারী, 
১৯৮) হিরণ্যরেতাঃ- অগ্নিস্বরূপ অথবা সুবর্ণময় বীর্যবিশিষ্ট, 
১৯৯) পৌরাণঃ- পুরাণ দ্বারা প্রতিপাদিত,
২০০) রিপুজীবহরঃ- শত্রুদের প্রাণ হরণকারী, 
২০১) বলী-বলশালী,

২০২) মহাহ্রদঃ -পরমানন্দের মহান সরোবর, 
২০৩) মহাগর্তঃ - মহান আকাশরূপ, 
২০৪) সিদ্ধ-বৃন্দারবন্দিতঃ – সিদ্ধগণ এবং দেবগণ দ্বারা বন্দিত, 
২০৫) ব্যাঘ্রচর্মাম্বরঃ-ব্যাঘ্র চর্মকে বস্ত্রের ন্যায় ধারণকারী


২০৬) ব্যালীঃ- সর্পকে অলংকারের মতো ধারণকারী,
২০৭) মহাভূতঃ- ত্রিকালেও কখনও নষ্ট না হওয়া মহাভূতস্বরূপ,
২০৮) মহানিধিঃ- সকলের মহান নিবাসস্থান,
২০৯) অমৃতাশঃ- যাঁর আশা কখনও বিফল হয় না, এরূপ যিনি অমোঘ সংকল্প,
২১০) অমৃতবপুঃ- যাঁর কলেবর কখনও নষ্ট হয় না, এইরূপ, নিত্যবিগ্রহ,
২১১) পাঞ্চজন্যঃ- পাঞ্চজন্য নামক শঙ্খস্বরূপ,
২১২) প্রভঞ্জনঃ বায়ুস্বরূপ বা সংহারকারী,
২১৩) পঞ্চ- বিংশতিতত্ত্বস্থঃ — প্রকৃতি, মহত্তত্ত্ব (বুদ্ধি), অহংকার, চক্ষু, শ্রোত্র, ঘ্রাণ, রসনা, ত্বক্, বাক্, পাণি, পায়ু, পাদ, উপস্থ, মন, শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস, গন্ধ, পৃথিবী, জল, তেজ, বায়ু এবং আকাশ- এই চব্বিশ তত্ত্বসহ পঁচিশতম চেতনতত্ত্ব পুরুষে যিনি ব্যাপ্ত,
২১৪) পারিজাতঃ — যাচকের ইচ্ছাপূরণে কল্পবৃক্ষরূপ,
২১৫) পরাবরঃ — কারণ-কার্যরূপ, 
২১৬) সুলভঃ-নিত্য-নিরন্তর চিন্তাকারী একনিষ্ঠ শ্রদ্ধাযুক্ত ভক্তের নিকট যিনি সহজলভ্য,
২১৭) সুব্রতঃ- উত্তম ব্রতধারী,
২১৮) শূরঃ- শৌর্যসম্পন্ন,
২১৯) ব্রহ্ম বেদনিধিঃ- ব্রহ্মা ও বেদের প্রাদুর্ভাবের স্থান, 
২২০) নিধিঃ- জগৎ-রূপ রত্নের উৎপত্তি স্থান,
২২১) বর্ণাশ্রমঃ- গুরুঃ বর্ণ ও আশ্রমাদির গুরু (উপদেষ্টা),
২২২) বর্ণীঃ- ব্রহ্মচারী,
২২৩) শত্রুজিৎ-অন্ধকাসুরাদি শত্রুদের পরাজয়কারী, 
২২৪) শত্রুতাপনঃ- শত্রুদের কষ্ট প্রদানকারী, 
২২৫) আশ্রমঃ- সকলের বিশ্রামস্থান,
২২৬)ক্ষপণঃ- জন্মমৃত্যুর কষ্টের মূলোচ্ছেদকারী,
২২৭) ক্ষামঃ- প্রলয়কালে প্রজাকে ক্ষীণ করেন যিনি, 
২২৮) জ্ঞানবানঃ- জ্ঞানী,
২২৯) অচলেশ্বরঃ- পর্বত অথবা স্থাবর পদার্থের প্রভু, 
২৩০) প্রমাণভূতঃ- নিত্য সিদ্ধ প্রমাণরূপ,
২৩১) দুর্জ্ঞেয়ঃ- যাকে কষ্টপূর্বক জানা যায়,
২৩২) সুপর্ণঃ- বেদময় সুন্দর পাখাবিশিষ্ট গরুড়রূপ,
২৩৩) বায়ুবাহনঃ- ভীতি সঞ্চারপূর্বক বায়ুকে প্রবাহিতকারী,
২৩৪) ধনুর্ধরঃ- পিনাকধারী,
২৩৫) ধনুর্বেদঃ- ধনুর্বেদের জ্ঞাতা,
২৩৬) গুণরাশিঃ- অনন্ত কল্যাণময় গুণের রাশি,
২৩৭) গুণাকরঃ- সদগুণের খনি,
২৩৮) সত্যঃ- সত্যস্বরূপ,
২৩৯) সত্যপরঃ- সত্যপরায়ণ,
২৪০) অদীনঃ- দীনতারহিত, উদার, 
২৪১) ধর্মাঙ্গঃ- ধর্মময় বিগ্রহ মূর্তি,
২৪২) ধর্মসাধনঃ- ধর্মের অনুষ্ঠান- কারী, 
২৪৩) অনন্তদৃষ্টিঃ- অসীমিত দৃষ্টিসম্পন্ন,
২৪৪) আনন্দঃ- পরমানন্দময়,
২৪৫) দণ্ডঃ- দুষ্টদের দণ্ড- প্রদানকারী অথবা দণ্ডস্বরূপ, 
২৪৬) দময়িতাঃ- দুর্দান্ত দানবদের দমনকারী,
২৪৭) দমঃ- দমনস্বরূপ,
২৪৮) অভিবাদ্যঃ- প্রণামের যোগ্য,
২৪৯) মহামায়ঃ- মায়াবী-দেরও মোহগ্রস্তকারী মহামায়াবী,
২৫০) বিশ্বকর্মা বিশারদঃ- জগৎ সৃষ্টি করায় কুশল,
২৫১) বীতরাগঃ- সম্পূর্ণ অনাসক্ত,
২৫২) বিনীতাত্মাঃ- মনে মনে বিনয়শীল অথবা মনকে বশে রাখেন যিনি,
২৫৩) তপস্বীঃ- তপস্যাপরায়ণ,
২৫৪) ভূতভাবনঃ - সম্পূর্ণ ভূতাদির উৎপাদক এবং রক্ষক,
২৫৫) উন্মত্তবেষঃ- পাগলের ন্যায় বেশ ধারণকারী,
২৫৬) প্রচ্ছন্নঃ- মায়ার পর্দায় লুক্কায়িত,
২৫৭) জিতকামঃ- কামবিজয়ী,
২৫৮) অজিতপ্রিয়ঃ- ভগবান বিষ্ণুর প্রেমিক,
২৫৯) কল্যাণপ্রকৃতিঃ- কল্যাণকারী স্বভাবযুক্ত,
২৬০) কল্পঃ- সমর্থ,
২৬১) সর্বলোক প্রজাপতিঃ- সম্পূর্ণ জগতের প্রজার পালক,

২৬২) তরঙ্গীঃ - বেগশালী, 
২৬৩) তারকঃ-উদ্ধারক,
২৬৪) ধীমান বিশুদ্ধ বুদ্ধিযুক্ত,
২৬৫) প্রধানঃ- সর্বশ্রেষ্ঠ, 
২৬৬) প্রভুঃ-সর্বসমর্থ, 
২৬৭) অব্যয়ঃ- অবিনাশী ।
২৬৮) লোকপালঃ- সমগ্র লোকের রক্ষাকর্তা, 
২৬৯) অন্তর্হিতাত্মা- অন্তর্যামী আত্মা বা অদৃশ্য স্বরূপ- বিশিষ্ট,
২৭০) কল্পাদিঃ- কল্পের আদিকারণ, 
২৭১) কমলেক্ষণঃ- কমলের ন্যায় চক্ষুসম্পন্ন, 
২৭২) বেদ- শাস্ত্রার্থতত্ত্বজ্ঞঃ- বেদাদি ও শাস্ত্রাদির অর্থ এবং তত্ত্বকে জানেন যিনি, 
২৭৩) অনিয়মঃ- নিয়ন্ত্রণরহিত,
২৭৪) নিয়তাশ্রয়ঃ- সকলের সুনিশ্চিত আশ্রয়স্থান, 
২৭৫) চন্দ্রঃ-চন্দ্ররূপে আহ্লাদকারী,
২৭৬)সূর্যঃ- সকলের উৎপত্তির হেতুভূত সূর্য, 
২৭৭) শনিঃ — শনৈশ্চররূপ,
২৭৮) কেতুঃ-কেতু নামক গ্রহ,
 ২৭৯) বরাঙ্গঃ- সুন্দর শরীরযুক্ত,
২৮০) বিদ্রুমচ্ছবিঃ -প্রবালের ন্যায় লাল কান্তিবিশিষ্ট,
 ২৮১) ভক্তি- বশ্যঃ- ভক্তির দ্বারা ভক্তের বশীভূত, 
২৮২) পরব্রহ্ম - পরমাত্মা, 
২৮৩) মৃগবাণার্পণঃ- মৃগরূপধারী যজ্ঞতে বাণ চালনাকারী, 
২৮৪) অনঘঃ- পাপরহিত, 
২৮৫) অদ্রিঃ -কৈলাসাদি পর্বতস্বরূপ, 
২৮৬)অদ্রয়ালয়ঃ- কৈলাস ও মন্দারাদি পর্বতে নিবাসকারী, 
২৮৭) কান্তঃ-সকলের প্রিয়তম, 
২৮৮) পরমাত্মা-পর- ব্রহ্ম পরমেশ্বর, 
২৮৯) জগগুরুঃ-সমস্ত জগতের গুরু, 
২৯০) সর্বকর্মালয়ঃ- সমস্ত কর্মের আশ্রয়স্থান, 
২৯১) তুষ্টঃ-সর্বদা প্রসন্ন, 
২৯২) মঙ্গল্যঃ-মঙ্গলকারী,
২৯৩)মঙ্গলাবৃতঃ - মঙ্গলকারিণী শক্তি-সংযুক্ত 
২৯৪) মহাতপাঃ - মহান তপস্বী,
২৯৫) দীর্ঘতপাঃ-দীর্ঘকাল ধরে তপস্যায় রত, 
২৯৬) স্থবিষ্ঠঃ-অত্যন্ত স্থূল,

২৯৭) স্থবিরো ধ্রুবঃ — অতি প্রাচীন এবং অত্যন্ত স্থির,
২৯৮) অহঃসংবৎসরঃ-দিন ও সং-বৎসরাদি কালরূপে স্থিত, অংশকালস্বরূপ,
২৯৯) ব্যাপ্তিঃ — ব্যাপকতাস্বরূপ,
৩০০) প্রমাণম্ -প্রত্যক্ষাদি প্রমাণস্বরূপ,
৩০১) পরমং তপঃ -উৎকৃষ্ট তপস্যা-স্বরূপ,

৩০২) সংবৎসরকরঃ-সংবৎসরাদি কালবিভাগের উৎপাদক,
৩০৩) মন্ত্রপ্রত্যয়ঃ- বেদাদি মন্ত্রের দ্বারা প্রতীত (প্রত্যক্ষ) হওয়ার উপযুক্ত,
৩০৪) সর্ব-দর্শনঃ – সকলের সাক্ষী,
৩০৫) অজঃ- অজন্মা,
৩০৬) সর্বেশ্বরঃ সকলের শাসক,
৩০৭) সিন্ধঃ সিদ্ধি-সমূহের আশ্রয়,
৩০৮) মহারেতাঃ- শ্রেষ্ঠ বীর্যবিশিষ্ট,
৩০৯) মহাবলঃ — প্রমথগনের মহাসেনা সম্পন্ন,

৩১০) যোগীযোগ্যোঃ- সুযোগ্য যোগী,
৩১১) মহাতেজাঃ- মহান তেজসম্পন্ন,
৩১২) সিন্ধিঃ-সমস্ত সাধনার ফল,
৩১৩) সর্বাদিঃ- সর্বভূতের আদিকারণ,
৩১৪) অগ্রহঃ- ইন্দ্রিয়াদি গ্রহণশক্তির অবিষয়,
৩১৫) বসুঃ-সর্বভূতের বাসস্থান,
৩১৬) বসুমনাঃ-উদার মন- বিশিষ্ট,
৩১৭) সত্যঃ - সত্যস্বরূপ,
৩১৮) সর্বপাপ- হরোহরঃ- সমস্ত পাপ অপহরণ করায় হর নামে প্রসিদ্ধ,


৩১৯) সুকীর্তিশোভনঃ-উত্তম কীর্তি দ্বারা সুশোভিত,
৩২০) শ্রীমান-বিভূতিস্বরূপা উমা দ্বারা সম্পন্ন,
৩২১) বেদাঙ্গঃ বেদরূপ অঙ্গসমৃদ্ধ,
৩২২) বেদবিন্নুনিঃ -বেদাদির তত্ত্ব বিচারকারী মননশীল মুনি,
৩২৩) ভ্রাজিষ্ণু - একরস প্রকাশস্বরূপ,
৩২৪) ভোজনম্-জ্ঞানীদের ভোজনযোগ্য অমৃতস্বরূপ, 
৩২৫) ভোক্তা-পুরুষরূপে উপভোগকারী,
৩২৬) লোকনাথঃ-ভগবান বিশ্বনাথ,
৩২৭) দুরাধরঃ- অজিতেন্দ্রিয় পুরুষ দ্বারা যাঁর আরাধনা অত্যন্ত কঠিন হয়, এমন,
৩২৮) অমৃতঃ শাশ্বতঃ- সনাতন অমৃতস্বরূপ, 
৩২৯) শান্তঃ- শান্তিময়, 
৩৩০) বাণহস্তঃ প্রতাপবান্ হস্তে বাণধারণকারী প্রতাপী বীর,
 ৩৩১) কমণ্ডলুষরঃ কমণ্ডলুধারণকারী, 
৩৩২) ধন্ধী-পিনাকধারী, 
৩৩৩) অবামনসগোচরঃ-মন ও বাক্যের অবিষয়, 
৩৩৪) অতিন্দ্রিয়ো মহামায়ঃ- ইন্দ্রিয়াতীত এবং মহামায়াবী,
 ৩৩৫) সর্ববাসঃ- সকলের বাসস্থান, 
৩৩৬) চতুষ্পথঃ- চার পুরুষার্থ সিদ্ধির একমাত্র পথ, 
৩৩৭) কালযোগী-প্রলয়ের সময় সকলকে কালে সংযুক্তকারী,
৩৩৮) মহানাদঃ-গম্ভীর শব্দকারী অথবা অনাহত নাদরূপ, 
৩৩৯) মহোৎসাহো মহাবলঃ-মহা- উৎসাহ এবং বলসম্পন্ন, 
৩৪০) মহাবুদ্ধিঃ-শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিযুক্ত,
৩৪১) মহাবীর্যঃ-অনন্ত পরাক্রমী,
৩৪২) ভূতচারী-ভূতগণের সঙ্গে বিচরণকারী, 
৩৪৩) পুরন্দরঃ- ত্রিপুরসংহারক,
৩৪৪) নিশাচরঃ রাত্রিকালে বিচরণকারী, 
৩৪৫) প্রেতচারী - প্রেতগণের সঙ্গে ভ্রমণকারী, 
৩৪৬) মহা- শক্তির্মহাদ্যুতিঃ- অনন্তশক্তি এবং শ্রেষ্ঠ কান্তিসম্পন্ন,

৩৪৭) অনির্দেশ্যবপুঃ-অনির্বচনীয় স্বরূপবিশিষ্ট, 
৩৪৮) শ্রীমান- ঐশ্বর্যবান, 
৩৪৯) সর্বাচার্যমনোগতিঃ- সকলের জন্য অবিচার্য মনোগতিসম্পন্ন,
৩৫০) বহু শ্রুতঃ-বহুজ্ঞ অথবা সর্বজ্ঞ, 
৩৫১) অমহামায়ঃ- অতি বড় মায়াও যাঁর ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না, এমন, 
৩৫২) নিয়তাত্মা-মনকে যিনি বশে রাখেন, 
৩৫৩) ধ্রুবোহধ্রুবঃ- ধ্রুব (নিত্য কারণ) এবং অশ্রুব
৩৫৪) ওজস্তেজোদ্যুতিধরঃ- ওজ (প্রাণ এবং বল), তেজ (শৌর্যাদিগুণ) ও জ্ঞানের দীপ্তি ধারণকারী,

৩৫৫) জনকঃ- সকলের উৎপাদক,
৩৫৬) সর্ব- শাসনঃ- সকলের শাসক,
৩৫৭) নৃত্যপ্রিয়ঃ- নৃত্য প্রেমী,
৩৫৮) নিতানৃত্যঃ- প্রতিদিন তাণ্ডব নৃত্যকারী,
৩৫৯) প্রকাশায়ঃ- প্রকাশস্বরূপ,
৩৬০) প্রকাশকঃ- সূর্যাদিকেও প্রকাশ প্রদানকারী,
৩৬১) স্পষ্টাক্ষরঃ- ওঁকার রূপ স্পষ্ট অক্ষরযুক্ত,
৩৬২) বুধঃ- জ্ঞানবান,
৩৬৩) মন্ত্রঃ- ঋক্, সাম ও যজুর্বেদের মন্ত্রস্বরূপ,
৩৬৪) সমানঃ- সবার প্রতি সমান ভাব রক্ষাকারী,
৩৬৫) সারসম্পল্লবঃ- সংসার সাগর থেকে পার হওয়ার জন্য নৌকারূপ,
৩৬৬) যুগাদি- কৃদ্যুগাবর্তঃ- যুগাদির আরম্ভকারী এবং চার যুগকে চক্রের ন্যায় আবর্তিতকারী,
৩৬৭) গম্ভীরঃ-গাম্ভীর্যযুক্ত,
৩৬৮) বৃষবাহনঃ- নন্দী নামক বৃষভের ওপর আরোহণ- কারী,
৩৬৯) ইষ্টঃ- পরমানন্দস্বরূপ হওয়ায় সবার প্রিয়,
৩৭০) অবিশিষ্টঃ- সম্পূর্ণ বিশেষণাদি রহিত,
৩৭১) শিষ্টেষ্টঃ- শিষ্ট পুরুষদের ইষ্টদেব,
৩৭২) সুলভঃ- অনন্য চিত্তে নিরন্তর স্মরণকারী ভক্তদের জন্য সহজে প্রাপ্ত হওয়ার যোগ্য,
৩৭৩) সারশোধনঃ- সারতত্ত্বের অনুসন্ধানকারী,
৩৭৪) তীর্থরূপঃ- তীর্থস্বরূপ,
৩৭৫) তীর্থনামাঃ- তীর্থ নামধারী অথবা যাঁর নাম ভবসাগর থেকে পার করায়, তেমন,
 ৩৭৬) তীর্থদৃশ্যঃ- তীর্থ সেবন দ্বারা নিজ স্বরূপ দর্শনকারী অথবা গুরু কৃপায় যিনি প্রত্যক্ষ হন,
৩৭৭) তীর্থদঃ- চরণোদক স্বরূপ তীর্থ প্রদানকারী,
৩৭৮) অপাংনিধিঃ -জলের নিধান সমুদ্ররূপ,
৩৭৯) অধিষ্ঠানম্ঃ- উপাদান কারণরূপে সর্বভূতাদির আশ্রয় অথবা জগৎ-রূপ প্রপঞ্চের অধিষ্ঠান,
৩৮০) দুর্জয়ঃ- যাঁকে জয় করা কঠিন, এরূপ,
৩৮১) জয়কালবিৎঃ- বিজয়ের সময়কে যিনি বোঝেন, 
৩৮২) প্রতিষ্ঠিতঃ- নিজ মহিমায় স্থিত,
৩৮৩) প্রমাণজ্ঞঃ- প্রমাণাদির জ্ঞাতা,
৩৮৪) হিরণ্যকবচঃ- স্বর্ণময় কবচ ধারণকারী,
৩৮৫) হরিঃ- শ্রীহরিস্বরূপ,
৩৮৬) বিমোচনঃ- সংসার বন্ধন থেকে চির- কালের মতো মুক্তি প্রদানকারী,
৩৮৭) সুরগণঃ- দেব- সমুদয়রূপ,
৩৮৮) বিদ্যেশঃ- সম্পূর্ণ বিদ্যার প্রভু,
৩৮৯) বিন্দুঃসংশ্রয়ঃ- বিন্দুরূপ প্রণবের আশ্রয়,
৩৯০) বালরূপঃ- বালকের রূপধারণকারী,
৩৯১) অবলোন্মত্তঃ- যিনি বলের দ্বারা উন্মত্ত হন না,
৩৯২) অবিকর্তাঃ- বিকাররহিত,
৩৯৩) গহনঃ- দুর্বোধস্বরূপ বা অগম্য,
৩৯৪) গুহঃ- মায়া দ্বারা নিজ প্রকৃত স্বরূপ লুকিয়ে রাখেন যিনি,
৩৯৫) করণম্ঃ- জগৎ উৎপত্তির সব থেকে বড় সাধন, 
৩৯৬) কারণম্ঃ- জগতের উপাদান এবং নিমিত্ত কারণ, 
৩৯৭) কর্তাঃ- সকলের রচয়িতা,
৩৯৮) সর্ববন্ধবিমোচনঃ- সমস্ত বন্ধন মুক্তকারী,
৩৯৯) ব্যবসায়ঃ- নিশ্চয়াত্মক জ্ঞানস্বরূপ,
৪০০) ব্যবস্থানঃ- সম্পূর্ণ জগতের ব্যবস্থাকারী,
৪০১) স্থানদঃ- ধ্রুব ইত্যাদি ভক্তদের অবিচল স্থিতি প্রদানকারী,
৪০২) জগদাদিজঃ- হিরণ্য গর্ভরূপে জগতের আদিতে যিনি প্রকটিত,
৪০৩) গুরুদঃ- শ্রেষ্ঠ বস্তু প্রদানকারী অথবা জিজ্ঞাসুদের গুরু-প্রাপ্তিকারী,
৪০৪) ললিতঃ- সুন্দর স্বরূপবিশিষ্ট,
৪০৫) অভেদঃ- ভেদরহিত,
৪০৬) ভাবাত্মাহ হত্মনি সংস্থিতঃ- সৎস্বরূপ আত্মায় প্রতিষ্ঠিত,
৪০৭) বীরেশ্বরঃ- বীর শিরোমণি,
৪০৮) বীরভদ্রঃ- বীরভদ্র নামক গণাধ্যক্ষ,
৪০৯) বীরাসনবিধিঃ- বীরাসনে উপবেশনকারী,
৪১০) বিরাটঃ- অখিল ব্রহ্মাণ্ডস্বরূপ,
৪১১) বীরচূড়ামণিঃ- বীরদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ,
৪১২) বেত্তাঃ- বিদ্বান,
৪১৩) চিদানন্দঃ- বিজ্ঞানানন্দ- স্বরূপ,
৪১৪) নদীধরঃ- মন্তকে গঙ্গাধারণকারী,
৪১৫) আজ্ঞাধারঃ- আজ্ঞাপালনকারী,
৪১৬) ত্রিশূলীঃ- ত্রিশূলধারী,
৪১৭) শিপিবিষ্টঃ-্যতেজোময় কিরণ দ্বারা যিনি ব্যাপ্ত,
৪১৮) শিবালয়ঃ- ভগবতী শিবার আশ্রয়,
৪১৯) বালখিল্যঃ-  বালখিল্য ঋষিরূপ,
৪২০) মহাচাপঃ- মহাধনুর্ধর,
৪২১) তিগ্‌গ্নাংশুঃ- সূর্যরূপ,
৪২২) বধিরঃ- লৌকিক বিষয়ের আলোচনা শুনতে যিনি অপারগ,
৪২৩) খগঃ- আকাশচারী,
৪২৪) অভিরামঃ- পরম সুন্দর,
৪২৫) সুশরণঃ- সবার জন্য সুন্দর আশ্রয়রূপ,
৪২৬) সুব্রহ্মণ্যঃ- ব্রাহ্মণদের পরম হিতৈষী,
৪২৭) সুধাপতিঃ- অমৃত কলশের রক্ষক,
৪২৮) মঘবান্ কৌশিকঃ- কুশিক বংশীয় ইন্দ্র- স্বরূপ,
৪২৯) গোমান্ঃ- প্রকাশ কিরণ দ্বারা যুক্ত,
৪৩০) বিরামঃ- সমস্ত প্রাণীর লয়ের স্থান,
৪৩১) সর্বসাধনঃ- সমস্ত কামনা সিদ্ধকারী,
৪৩২) ললাটাক্ষঃ- ললাটে তৃতীয় নেত্র ধারণকারী,
৪৩৩) বিশ্বদেহঃ- জগৎস্বরূপ,
৪৩৪) সারঃ- সারতত্ত্বরূপ,
৪৩৫) সংসারচক্রভৃৎঃ- সংসারচক্র ধারণকারী,
৪৩৬) অমোঘদণ্ডঃ- যাঁর দণ্ড কখনও ব্যর্থ হয় না, এমন, 
৪৩৭) মধ্যস্থঃ- উদাসীন,
৪৩৮) হিরণ্যঃ- সুবর্ণ অথবা তেজঃস্বরূপ,
৪৩৯) ব্রহ্মচর্বসীঃ- ব্রহ্মতেজ- সম্পন্ন,
৪৪০) পরমার্থঃ- মোক্ষরূপ উৎকৃষ্ট অর্থ যিনি প্রাপ্ত করান,
৪৪১) পরোমায়ীঃ- মহামায়াবী,
৪৪২) শম্বরঃ- কল্যাণপ্রদ,
৪৪৩) ব্যাঘ্রলোচনঃ- ব্যাঘ্রের ন্যায় ভয়ংকর চক্ষুবিশিষ্ট,
৪৪৪) রুচিঃ- দীপ্তিরূপ,
৪৪৫) বিরঞ্চিঃ- ব্রহ্ম- স্বরূপ,
৪৪৬) স্বর্বন্ধুঃ- স্বর্লোকে বন্ধুর ন্যায় সুখদায়ক,
৪৪৭) বাচস্পতিঃ- বাণীর অধিপতি,
৪৪৮) অহপতিঃ- দিনের স্বামী সূর্যরূপ,
৪৪৯) রবিঃ- সমস্ত রস শোষণ- কারী,
৪৫০) বিরোচনঃ- বিবিধ প্রকারে প্রকাশ বিস্তারকারী,
৪৫১) স্কন্দঃ- স্বামী কার্তিকেয়রূপ,
৪৫২) শাস্তা বৈবস্বতো যমঃ-  সবার ওপর শাসনকারী সূর্যকুমার যম,
৪৫৩) যুক্তিরুন্নতকীর্তিঃ- অষ্টাঙ্গ যোগস্বরূপ তথা উর্ধ্বলোকে বিস্তৃত কীর্তিযুক্ত,
৪৫৪) সানুরাগঃ- ভক্ত-জনেদের ওপর প্রেমকারী,
৪৫৫) পরঞ্জয়ঃ- অন্যের ওপর জয়লাভকারী,
৪৫৬) কৈলাসাধিপতিঃ- কৈলাসের স্বামী (প্রভু),
৪৫৭) কান্তঃ- কমনীয় অথবা কান্তিমান,
৪৫৮) সবিতাঃ- সমস্ত জগৎ উৎপন্নকারী,
৪৫৯) রবি-লোচনঃ- সূর্যরূপ নেত্রবিশিষ্ট,
৪৬০) বিশ্বত্তমঃ- বিদ্বানদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ, পরম বিদ্বান, 
৪৬১) বীতভয়ঃ- সর্বপ্রকার ভয়রহিত,
৪৬২) বিশ্বভর্তাঃ- জগতের ভরণ-পোষণকারী,
৪৬৩) অনিবারিতঃ- যাঁকে কেউ বাধা দিতে পারে না, এমন,
৪৬৪) নিত্যঃ- সত্যস্বরূপ,
৪৬৫) নিয়ত কল্যাণঃ- সুনিশ্চিতরূপে কল্যাণকারী,
৪৬৬) পুণ্যশ্রবণকীর্তনঃ- যাঁর নাম, গুণ, মহিমা এবং স্বরূপ শ্রবণ ও কীর্তন পরম পবিত্র, সেই রূপ,
৪৬৭) দূরশ্রবাঃ- সর্বব্যাপী হওয়ায় দূরের কথাও যিনি শুনতে সক্ষম,
৪৬৮) বিশ্বসহঃ- ভক্তজনেদের সর্ব অপরাধ কৃপাপূর্বক সহ্যকারী,
৪৬৯) ধ্যেয়ঃ- ধ্যান-যোগ্য,
৪৭০) দুঃস্বপ্ননাশনঃ- চিন্তা করামাত্রই দুঃস্বপ্ন বিনাশকারী,
৪৭১) উত্তারণঃ- সংসার সাগর থেকে পার করেন যিনি, 
৪৭২) দুষ্কৃতিহাঃ- পাপ নাশকারী,

৪৭৩) বিজ্ঞেয়ঃ-জানার যোগ্য,
 ৪৭৪) দুসহঃ-যাঁর বেগ সহ্য করা অন্যের পক্ষে কঠিন, এইরূপ, 
৪৭৫) অভবঃ-সংসার-বন্ধন রহিত অথবা অজন্মা 
৪৭৬) অনাদিঃ- যাঁর কোনো আদি নেই, এরূপ সকলের কারণস্বরূপ, 
৪৭৭) ভূর্তুবো লক্ষ্মীঃ- ভূর্লোক এবং ভুবর্লোকের শোভা, 
৪৭৮) কিরীটী- মুকুটধারী, 
৪৭৯) ত্রিদশাধিপঃ-দেবতাদের স্বামী, 
৪৮০) বিশ্বগোপ্তা - জগতের রক্ষক, 
৪৮১) বিশ্বকর্তা- জগৎ সৃষ্টিকারী,
৪৮২) সুবীরঃ-শ্রেষ্ঠ বীর, 
৪৮৩) রুচি-রাঙ্গদঃ-সুন্দর বাজুবন্দ ধারণকারী।
 ৪৮৪) জননঃ - প্রাণীমাত্রেরই জন্মদাতা, 
৪৮৫)জন্মজন্মাদিঃ-জন্মগ্রহণকারীদের জন্মের মূল কারণ, 
৪৮৬) প্রীতিমান্ - প্রসন্ন, 
৪৮৭) নীতিমান্ - সর্বদা নীতিপরায়ণ, 
৪৮৮) ধবঃ- সকলের স্বামী, 
৪৮৯) বসিষ্ঠঃ-মন ও ইন্দ্রিয়াদিকে অত্যন্ত বশীভূতকারী অথবা বসিষ্ঠ ঋষিরূপ, 
৪৯০) কশ্যপঃ-দ্রষ্টা অথবা কশ্যপ মুনি রূপ, 
৪৯১) ভানুঃ প্রকাশমান অথবা সূর্যরূপ, 
৪৯২) ভীমঃ-দুষ্টকে ভয় প্রদানকারী, 
৪৯৩) ভীমপরাক্রমঃ- অতিশয় ভয়দায়ক পরাক্রমযুক্ত। 
৪৯৪) প্রণবঃ-ওঁকারস্বরূপ, 
৪৯৫) সৎপথাচারঃ - সৎপুরুষদের পথ অনুসরণকারী, 
৪৯৬) মহাকোশঃ - অন্নময়াদি পঞ্চকোশ নিজের ভিতর ধারণ করায় মহা- কোশরূপ, 
৪৯৭) মহাধনঃ- অপরিমিত ঐশ্বর্যসম্পন্ন অথবা কুবেরকে ধন প্রদানকারী মহাধনবান, 
৪৯৮) জন্মাধিপঃ- জন্ম (উৎপাদন) রূপ কার্যের অধ্যক্ষ ব্রহ্মা, 
৪৯৯) মহাদেবঃ- সর্বোৎকৃষ্ট দেবতা, 
৫০০) সকলা-গমপারগঃ-সমস্ত শাস্ত্রাদির পারঙ্গত বিদ্বান। 
৫০১) তত্ত্বম্ প্রকৃত তত্ত্বররূপ, 
৫০২) তত্ত্ববিৎ- প্রকৃত তত্ত্ব যিনি পূর্ণভাবে অবগত, 

৫০৩) একাত্মা- অদ্বিতীয় আত্মরূপ, 
৫০৪) বিভুঃ-সর্বত্র ব্যাপক,
৫০৫) বিশ্বভূষণঃ - সমস্ত জগৎকে উত্তমগুণে বিভূষিতকারী,
৫০৬) ঋষিঃ- মন্ত্রদ্রষ্টা,
৫০৭) ব্রাহ্মণঃ- ব্রহ্মবেত্তা,
৫০৮) ঐশ্বর্যজন্মমৃত্যুজরাতিগঃ -ঐশ্বর্য, জন্ম, মৃত্যু এবং জরার অতীত।
৫০৯) পঞ্চযজ্ঞসমুৎপত্তিঃ পঞ্চ মহাযজ্ঞের উৎপত্তির হেতু, 
৫১০) বিশ্বেশঃ- বিশ্বনাথ, 
৫১১) বিমলোদয়ঃ-নির্মল অভ্যুদয়ের প্রাপ্তিকারক ধর্মরূপ,
৫১২) আত্মযোনিঃ- স্বয়ম্ভ, 
৫১৩) অনাদ্যন্তঃ- আদি- অন্তরহিত, 
৫১৪) বৎসলঃ-ভক্তদের প্রতি বাৎসল্য স্নেহ- যুক্ত, 
৫১৫) ভক্তলোকধূক্-ভক্তজনেদের আশ্রয়।।
৫১৬) গায়ত্রীবল্লভঃ- গায়ত্রী মন্ত্রের প্রেমিক,
৫১৭) প্রাংশুঃ-উচ্চ দেহবিশিষ্ট,
৫১৮) বিশ্বাবাসঃ- সম্পূর্ণ জগতের আবাসস্থান,
৫১৯) প্রভাকরঃ- সূর্য- রূপ, 
৫২০) শিশুঃ-বালকরূপ, 
৫২১) গিরিরতঃ- কৈলাশ পর্বতে ভ্রমণকারী, 
৫২২) সম্রাট-দেবেশ্বরদেরও ঈশ্বর,
৫২৩) সুষেণঃ সুরশত্রুহা - প্রমথগণের সুন্দর সৈন্যবল এবং দেবশত্রুদের সংহারকারী।
৫২৪) অমোঘোহরিষ্টনেমিঃ-অমোঘ সংকল্পনিষ্ঠ মহর্ষি কশ্যপরূপ,
৫২৫) কুমুদঃ- পৃথিবীকে আহ্লাদ প্রদানকারী চন্দ্ররূপ, 
৫২৬) বিগতজ্বরঃ- চিন্তারহিত,
৫২৭) স্বয়ংজ্যোতিস্তনুজ্যোতিঃ- নিজ প্রকাশে যিনি প্রকাশিত হন, সেই সূক্ষ্মজ্যোতিঃস্বরূপ, 
৫২৮) আত্ম- জ্যোতিঃ-যিনি নিজ স্বরূপভূত জ্ঞানের প্রভায় প্রকাশিত, 
৫২৯) অচঞ্চলঃ-চঞ্চলতা রহিত।
৫৩০) পিঙ্গলঃ — পিঙ্গলবর্ণবিশিষ্ট,
৫৩১) কপিলশ্মশ্রুঃ — কপিল বর্ণের দাড়ি গোঁফ ধারণকারী দুর্বাসা,

৫৩২) ভালনেত্রঃ- ললাটে তৃতীয় নেত্র ধারণকারী,
৫৩৩) ত্রয়ীতনুঃ- ত্রিলোক বা তিনবেদ যাঁর স্বরূপ, এমন,
৫৩৪) জ্ঞানস্তন্দো মহাঃ- নীতিঃ-জ্ঞানপ্রদ এবং শ্রেষ্ঠ নীতিসম্পন্ন,
৫৩৫) বিশ্বোৎপত্তিঃ- জগতের উৎপাদক,
৫৩৬) উপপ্লবঃ- সংহারকারী,
৫৩৭) ভগো বিবস্বানাদিত্যঃ- অদিতিনন্দন ভগ এবং বিবস্বান,
৫৩৮) যোগপারঃ- যোগবিদ্যায় পারঙ্গত,
৫৩৯) দিবস্পতিঃ- স্বর্গলোকের স্বামী,
৫৪০) কল্যাণঃ- গুণনামা – কল্যাণকারী গুণ এবং নামসম্পন্ন,
৫৪১) পাপহাঃ- পাপনাশক,
৫৪২) পুণ্য দর্শনঃ- পুণ্যজনক দর্শন সমৃদ্ধ অথবা পুণ্যফলের দ্বারা যাঁর দর্শন পাওয়া যায়,
৫৪৩) উদারকীর্তিঃ- উত্তম কীর্তিবিশিষ্ট,
৫৪৪) উদ্যোগীঃ- উদ্যোগশীল,
৫৪৫) সদ্যোগীঃ- শ্রেষ্ঠ যোগী,
৫৪৬) সদসন্ময়ঃ- সদসৎস্বরূপ,
৫৪৭) নক্ষত্রমালীঃ- নক্ষত্রাদির মালায় অলংকৃত আকাশরূপ,
৫৪৮) নাকেশঃ- স্বর্গের স্বামী (প্রভু),
৫৪৯) স্বাধিষ্ঠান পদাশ্রয়ঃ- স্বাধিষ্ঠান চক্রের আশ্রয়,
 ৫৫০) পবিত্রঃ- পাপহারী-নিত্য শুদ্ধ এবং পাপ-নাশক,
৫৫১) মণিপুরঃ- মণিপুর নামক চক্রস্বরূপ,
৫৫২) নভোগতিঃ- আকাশচারী,
৫৫৩) হৃৎপুণ্ডরীক মাসীনঃ- হৃদয়কমলে স্থিত,
৫৫৪) শত্রুঃ- ইন্দ্ররূপ,
৫৫৫) শান্তঃ- শান্তস্বরূপ,
৫৫৬) বৃষাকপিঃ- হরিহর,
৫৫৭) উষ্ণঃ- হলাহল বিষের উষ্ণতায় উষ্ণতাযুক্ত,
৫৫৮) গৃহপতিঃ- সমস্ত ব্রহ্মাগুরূপ গৃহের স্বামী,
৫৫৯) কৃষ্ণঃ- সচ্চিদানন্দস্বরূপ,
৫৬০) সমর্থঃ- সামর্থ্যশালী,
৫৬১) অনর্থনাশনঃ- অনর্থের নাশকারী, 
৫৬২) অধর্মশত্রুঃ- অধর্মনাশক,
৫৬৩) অজ্ঞেয়ঃ- বুদ্ধির অতীত অথবা যাকে জানা যায় না,
৫৬৪) পুরুষ্কৃতঃ- পুরুশ্রুতঃ- বহু নাম দ্বারা যাকে ডাকা যায় এবং সকল নামেই যিনি সাড়া দেন,
৫৬৫) ব্রহ্মগর্ভঃ- ব্রহ্মা যাঁর গর্ভস্থ শিশুর ন্যায়, এমন, 
৫৬৬) বৃহস্পর্ডঃ- বিশ্বব্রহ্মাণ্ড প্রলয়কালে যাঁর গর্ভে থাকে,
৫৬৭) ধর্মধেনুঃ- ধর্মরূপ বৃষভকে উৎপন্ন করার জন্য ধেনুস্বরূপ,
৫৬৮) ধনাগমঃ- যিনি ধন প্রাপ্ত করান
৫৬৯) জগদ্ধিতৈষীঃ- সমস্ত জগতের হিতকামী,
৫৭০) সুগতঃ- উত্তম জ্ঞানসম্পন্ন অথবা বুদ্ধিস্বরূপ, 
৫৭১) কুমারঃ- কার্তিকেয়রূপ,
৫৭২) কুশলাগমঃ- কল্যাণদাতা,
৫৭৩) হিরণ্যবর্ণো জ্যোতিষ্মানঃ- সুবর্ণের ন্যায় গৌরবর্ণ এবং তেজস্বী,
৫৭৪) নানাভূতরতঃ- নানা- প্রকার ভূতের সঙ্গে ক্রীড়ারত,
৫৭৫) ধ্বনিঃ- নাদ- স্বরূপ,
৫৭৬) অরাগঃ- আসক্তিশূন্য,
৫৭৭) নয়না- ধ্যক্ষঃ- নেত্রে দ্রষ্টারূপে বিদ্যমান,
৫৭৮) বিশ্বামিত্রঃ- সম্পূর্ণ জগতের প্রতি মৈত্রী ভাব রাখা মুনিস্বরূপ,
৫৭৯) ধনেশ্বরঃ- ধনের স্বামী কুবের,
৫৮০) ব্রহ্মজ্যোতিঃ- জ্যোতিঃস্বরূপ ব্রহ্ম,
৫৮১) বসুধামাঃ- স্বর্ণ ও রত্নের তেজে প্রকাশিত অথবা বসুধা- স্বরূপ,
৫৮২) মহাজ্যোতিরনুত্তমঃ- সূর্যাদি জ্যোতিদের প্রকাশক সর্বোত্তম মহাজ্যোতিঃস্বরূপ,
৫৮৩) মাতামহঃ- মাতৃকাদের জন্মদাতা হওয়ায় মাতামহ, 
৫৮৪) মাতরিশ্বা নভস্বান্ঃ- আকাশে বিচরণকারী বায়ুদেব,
৫৮৫) নাগহারধূক্ঃ-সর্পময় হার ধারণকারী,
৫৮৬) পুলস্তাঃ- পুলস্ত্য নামক মুনি,
৫৮৭) পুলহঃ- পুলহ নামক ঋষি,
৫৮৮) অগস্ত্যঃ- কুম্ভজন্মা অগস্ত্য ঋষি,

৫৮৯) জাতৃকাঃ- এই নামের প্রসিদ্ধ মুনি,
৫৯০) পরাশরঃ- শক্তির পুত্র এবং ব্যাসদেবের পিতা মুনিবর পরাশর,
৫৯১) নিরাবরণ নির্বারঃ- আবরণশূন্য এবং অবরোধরহিত,
৫৯২) বৈরঞ্চ্যঃ- ব্রহ্মার পুত্র নীললোহিত রুদ্র,
৫৯৩) বিষ্টরশ্রবাঃ- বিস্তৃত যশসম্পন্ন বিষ্ণু- স্বরূপ,
৫৯৪) আত্মভূঃ- স্বয়ম্ভূ ব্রহ্মা,
৫৯৫) অনিরুদ্ধঃ- অকুষ্ঠিত গতিময়য়,
৫৯৬) অত্রিঃ- অত্রি নামক ঋষি বা ত্রিগুণাতীত,
৫৯৭) জ্ঞানমূর্তিঃ-জ্ঞানস্বরূপ,
৫৯৮) মহাযশাঃ- মহাযশস্বী,
৫৯৯) লোকবীরাগ্রণীঃ- বিশ্ব- বিখ্যাত বীরেদের মধ্যে অগ্রগণ্য,
৬০০) বীরঃ- শূরবীর,
৬০১) চণ্ডঃ- প্রলয়ের সময় যিনি অতিশয় ক্রোধী,
৬০২) সত্যপরাক্রমঃ- সত্যকার পরাক্রমশালী,
৬০৩) ব্যালাকল্পঃ- সর্পালংকার দ্বারা শৃঙ্গারকারী,
৬০৪) মহাকল্পঃ- মহাকল্পসংজ্ঞক কালস্বরূপবিশিষ্ট,
৬০৫) কল্পবৃক্ষঃ- শরণাগতদের ইচ্ছাপূরণ করার জন্য কল্পবৃক্ষের ন্যায় উদার,
৬০৬) কলাধরঃ- চন্দ্রকলাধারী,
৬০৭) অলঙ্কারিষ্ণুঃ- অলংকার ধারণকারী বা ধারণ করান যিনি,
৬০৮) অচলঃ- যিনি বিচলিত হন না,
৬০৯) রোচিষ্ণুঃ- প্রকাশমান,
৬১০) বিক্রমোন্নতঃ- অত্যন্ত পরাক্রমী,
৬১১) আয়ুঃ শব্দপতিঃ- আয়ু এবং বাণীর স্বামী,
৬১২) বেগী প্লবনঃ- বেগশালী এবং লম্ফ দেওয়া ও সাঁতার দিতে সক্ষম,
৬১৩) শিখিসারথীঃ- অগ্নিরূপ সহায়ক,
৬১৪) অসংসৃষ্টঃ- নির্লিপ্ত,
৬১৫) অতিথিঃ- প্রেমিক ভক্তের গৃহে অতিথির ন্যায় উপস্থিত হয়ে তাঁর আপ্যায়ন গ্রহণকারী,
৬১৬) শক্রপ্রমাথীঃ- ইন্দ্রের মান মর্দনকারী,
৬১৭) পাদপাসনঃ- বৃক্ষে অথবা নীচে আসন গ্রহণকারী,

৬১৮) বসুশ্রবাঃ- যশরূপ ধনসম্পন্ন,
৬১৯) হব্যবাহঃ- অগ্নিস্বরূপ,
৬২০) প্রতপ্তঃ- সূর্যরূপে প্রচণ্ড তাপদায়ক যিনি,
৬২১) বিশ্বভোজনঃ- প্রলয়কালে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডকে নিজ গ্রাসরূপে গ্রহণ করেন,
৬২২) জপ্যঃ- জপযোগ্য নামসম্পন্ন,
৬২৩) জরাদিশমনঃ- বৃদ্ধত্বাদি দোষ নিবারণকারী,
৬২৪) লোহিতাত্মা তনূনপাৎঃ- লোহিতবর্ণ বিশিষ্ট অগ্নিরূপ,
৬২৫) বৃহদশ্বঃ- বিশাল অশ্বযুক্ত,
৬২৬) নভোযোনিঃ- আকাশের উৎপত্তি স্থান,
৬২৭) সুপ্রতীকঃ- সুন্দর দেহসম্পন্ন,
৬২৮) তমিস্রহাঃ- অজ্ঞান-অন্ধকার নাশক,
৬২৯) নিদাঘস্তপনঃ- তাপিত হওয়া গ্রীষ্মরূপ,
৬৩০) মেঘঃ- মেঘদ্বারা উপলক্ষিত বর্ষারূপ,
৬৩১) স্বক্ষঃ- সুন্দর চক্ষুবিশিষ্ট,
৬৩২) পরপুরঞ্জয়ঃ- ত্রিপুর- রূপ শত্রুনগরীর ওপর বিজয় লাভকারী,
৬৩৩) সুখানিলঃ- সুখদায়ক বায়ু প্রবাহকারী শরৎকালরূপ,
৬৩৪) সুনিষ্পন্নঃ- যাতে অন্ন সুন্দররূপে পরিপাক হয়, সেই হেমন্তকালরূপ,
৬৩৫) সুরভি শিশিরাত্মকঃ- সুগন্ধিত মলয়ানিলযুক্ত শিশির ঋতুরূপ,
৬৩৬) বসন্তোমাধবঃ- চৈত্র-বৈশাখ- এই দুই মাসযুক্ত বসন্তরূপ,
৬৩৭) গ্রীষ্মঃ- গ্রীষ্ম-ঋতুরূপ,
৬৩৮) নভস্যঃ- ভাদ্রপদ মাসরূপ,
৬৩৯) বীজবাহনঃ- ধান্যাদি বীজ প্রাপ্তিকারী শরৎকাল,
৬৪০) অঙ্গিরা গুরুঃ- অঙ্গিরা নামক ঋষি ও তাঁর পুত্র দেবগুরু বৃহস্পতি,
৬৪১) আত্রেয়ঃ- অত্রিকুমার দুর্বাসা,
৬৪২) বিমলঃ- নির্মল,
৬৪৩) বিশ্ববাহনঃ- সমগ্র জগৎ নির্বাহকারী,
৬৪৪) পাবনঃ- পবিত্রকারী,
৬৪৫) সুমতিবিধানঃ- সুবুদ্ধিসম্পন্ন বিদ্বান,
৬৪৬) ত্রৈবিদ্যঃ- তিন বেদের বিদ্বান অথবা তিন বেদের দ্বারা প্রতিপাদিত,
৬৪৭) বরবাহনঃ- বৃষরূপ শ্রেষ্ঠ বাহনযুক্ত,

৬৪৮) মনোবুদ্ধিরহংকারঃ- মন, বুদ্ধি এবং অহংকারস্বরূপ,
৬৪৯) ক্ষেত্রজ্ঞঃ- আত্মা,
৬৫০) ক্ষেত্রপালকঃ– শরীররূপী ক্ষেত্রের পালনকারী আত্মা,
৬৫১) জমদগ্নিঃ– জমদগ্নি নামক ঋষিরূপ,
৬৫২) বলনিধিঃ- অনন্ত বলের সাগর,
৬৫৩) বিগালঃ- নিজ জটা থেকে গঙ্গার জল প্রবাহিতকারী,
৬৫৪) বিশ্ব- গালবঃ- বিশ্ববিখ্যাত গালব মুনি অথবা প্রলয়কালে কালাগ্নিস্বরূপে জগৎকে গ্রাসকারী,
৬৫৫) অঘোরঃ- সৌম্যরূপবিশিষ্ট,
৬৫৬) অনুত্তরঃ- সর্বশ্রেষ্ঠ,
৬৫৭) যজ্ঞ। শ্রেষ্ঠঃ- শ্রেষ্ঠ যজ্ঞরূপ,
৬৫৮) নিঃশ্রেয়সপ্রদঃ- কল্যাণদাতা,
৬৫৯) শৈলঃ- এ শিলাময় লিঙ্গরূপ,
৬৬০) গগনকুন্দাভঃ- আকাশকুন্দ চিন্দ্রের ন্যায় গৌর কান্তিসম্পন্ন,
৬৬১) দানবারিঃ- দানব- যা শত্রু,
৬৬২) অরিন্দমঃ- শত্রুদমনকারী,
৬৬৩) রজনীজনকশ্চারুঃ- সুন্দর নিশাকররূপ,
৬৬৪) নিঃশল্যঃ- নিষ্কণ্টক, 
৬৬৫) লোকশল্যবৃক্ঃ- শরণাগতদের শোক দূর করে স্বয়ং ধারণকারী,
৬৬৬) চতুর্বেদঃ- চার বেদের দ্বারা জানার যোগ্য,
৬৬৭) চতুর্ভাবঃ- চার পুরুষার্থের প্রাপ্তকারী যিনি, ৬৬৮)চতুরশ্চতুরপ্রিয়ঃ- চতুর এবং চতুর পুরুষদের প্রিয়,
৬৬৯) আত্মায়ঃ- বেদস্বরূপ,
৬৭০) সমায়ায়ঃ- অক্ষরসমান্নায় শিবসূত্ররূপ,
৬৭১) তীর্থ দেব- শিবালয়ঃ- তীর্থাদির দেবতা এবং শিবালয়রূপ,
৬৭২) বহুরূপঃ- অনেক রূপবিশিষ্ট,
৬৭৩) মহারূপঃ- বিরাট রূপধারী,
৬৭৪) সর্বরূপশ্চরাচরঃ- চর ও অচর সম্পূর্ণ রূপবিশিষ্ট, 
৬৭৫) ন্যায়নির্মায়কো ন্যায়ীঃ- ন্যায়কর্তা এবং ন্যায়শীল, 
৬৭৬) ন্যায়গম্যঃ- ন্যায়যুক্ত আচরণে প্রাপ্ত হওয়ার যোগ্য,
৬৭৭) নিরঞ্জনঃ- নির্মল,
৬৭৮) সহস্রমূর্ছাঃ- সহস্র মস্তকবিশিষ্ট,
৬৭৯) দেবেন্দ্রঃ- দেবতাদের স্বামী (প্রভু),
৬৮০) সর্বশস্ত্রপ্রভঞ্জনঃ- বিপক্ষের যোদ্ধাদের সমস্ত অস্ত্রাদি নষ্ট করেন যিনি,
৬৮১) মুণ্ডঃ- মুণ্ডিত মস্তক সন্ন্যাসী,
৬৮২) বিরূপঃ- বিবিধ রূপসম্পন্ন,
৬৮৩) বিক্রান্তঃ- বিক্রম- শীল,
৬৮৪) দণ্ডীঃ- দণ্ডধারী,
৬৮৫) দান্তঃ- মন ও ইন্দ্রিয়াদি দমনকারী,
৬৮৬) গুণোত্তমঃ- গুণাদিতে সর্বশ্রেষ্ঠ,
৬৮৭) পিঙ্গলাক্ষঃ- পিঙ্গল চক্ষুযুক্ত,
৬৮৮) জনাধ্যক্ষঃ- জীবমাত্রেরই সাক্ষী,
৬৮৯) নীলগ্রীবঃ- নীলকণ্ঠ,
৬৯০) নিরাময়ঃ- নীরোগী,
৬৯১) সহস্রবাহুঃ- সহস্র হস্তযুক্ত,
৬৯২) সর্বেশঃ- সকলের স্বামী,
৬৯৩) শরণ্যঃ- শরণাগত হিতৈষী,
৬৯৪) সর্বলোকধূক্ঃ- সম্পূর্ণ জগৎধারণকারী,
৬৯৫) পদ্মাসনঃ- কমলের আসনে বিরাজমান,
৬৯৬) পরং জ্যোতিঃ- পরম প্রকাশরূপ
৬৯৭) পারম্পর্য ফলপ্রদঃ- পরম্পরাগত ফল যিনি প্রদান করেন,
৬৯৮) পদ্মগর্ভঃ- নিজ নাভি থেকে কমল প্রকট-ধারী বিষ্ণুরূপ,
৬৯৯) মহাগর্ভঃ- বিরাট ব্রহ্মাণ্ডকে গর্ভে ধারণ করার জন্য মহান গর্ভযুক্ত,
৭০০) বিশ্বগর্ডঃ- সমগ্র জগৎকে নিজ উদরে ধারণকারী, 
৭০১) বিচক্ষণঃ- চতুর,
৭০২) পরাবরজ্ঞঃ- কার্য ও কারণের জ্ঞাতা,
৭০৩) বরদঃ- অভীষ্ট বরপ্রদানকারী,
৭০৪) বরেণ্যঃ- বরণীয় অথবা শ্রেষ্ঠ,
৭০৫) মহাস্বনঃ- ডমরুর গম্ভীর নাদকারী,
৭০৬) দেবাসুরগুরুদেবঃ- দেবতা এবং অসুরদের গুরুদেব ও আরাধ্য,

৭০৭) দেবাসুরনমষ্কৃতঃ - দেবতা ও অসুরদের দ্বারা বন্দিত,
৭০৮) দেবাসুরমহামিত্রঃ- দেবতা ও অসুর উভয়েরই মহান বন্ধু,
৭০৯) দেবাসুরমহেশ্বরঃ- দেবতা ও অসুরদের মহান ঈশ্বর। 
৭১০) দেবাসুরেশ্বরঃ- দেবতা এবং অসুরদের শাসক, 
৭১১) দিব্যঃ- অলৌকিক স্বরূপবিশিষ্ট,
৭১২) দেবাসুরমহাশ্রয়ঃ -দেবতা ও অসুরদের মহান আশ্রয়, 
৭১৩) দেবদেবময়ঃ- দেবতাদের জন্যও দেবতারূপ, 
৭১৪) অচিন্ত্যঃ-চিত্তের সীমার অতীতে যিনি বিদ্যমান, 
৭১৫) দেবদেবাত্মসম্ভবঃ-দেবাদিদেব ব্রহ্মা থেকে যিনি রুদ্ররূপে উৎপন্ন। 

সদ্যোনিরসুরব্যাগ্রো দেবসিংহো দিবাকরঃ।
৭১৬) সদ্যোনিঃ-সৎ পদার্থাদির উৎপত্তির হেতু, 
৭১৭) অসুরব্যাঘ্রঃ-অসুরদের বিনাশ করার জন্য ব্যাঘ্র- রূপ, 
৭১৮) দেবসিংহঃ-দেবতাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, 
৭১৯) দিবাকরঃ- সূর্যরূপ,
 ৭২০) বিবুধাগ্রচরশ্রেষ্ঠঃ-দেবতাদের নায়কদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ, 
৭২১) সর্বদেবোত্তমোত্তমঃ -সমস্ত শ্রেষ্ঠ দেবতাদেরও শিরোমণি। 
৭২২) শিবজ্ঞানরতঃ-কল্যাণময় শিবতত্ত্ব বিচারে তৎপর, 
৭২৩) শ্রীমান্-অণিমাদি বিভূতি দ্বারা সম্পন্ন, 
৭২৪) শিখিশ্রীপর্বতপ্রিয়ঃ- কুমার কার্তিকেয়র নিবাস- স্থল শ্রীশৈল নামক পর্বতে প্রেমকারী, 
৭২৫) বজ্রহস্তঃ - বজ্রধারী ইন্দ্ররূপ,
৭২৬) সিদ্ধখড়গঃ-শত্রু মেরে ফেলতে যাঁর তরবারি কখনও অসফল হয় না, তেমন, 
৭২৭) নরসিং হনিপাতনঃ — শরভরূপে নৃসিংহকে বিনাশকারী,
৭২৮) ব্রহ্মচারী - ভগবতী উমার তপস্যা ও প্রেমের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ব্রহ্মচারীরূপে প্রকটিত,
 ৭২৯) লোকচারী - সমস্ত জগতে বিচরণকারী, 
৭৩০) ধর্মচারী-ধর্মের আচরণকারী,
৭৩১) ধনাধিপঃ-ধনের অধিপতি কুবের, 
৭৩২) নন্দী- নন্দী নামক অনুচর,
৭৩৩) নন্দীশ্বরঃ নন্দীশ্বর নামে প্রসিদ্ধ বৃষ, 
৭৩৪) অনন্তঃ-অন্তরহিত, 
৭৩৫) নগ্নব্রতধরঃ- দিগম্বর হয়ে থাকার ব্রতগ্রহণকারী,
৭৩৬) শুচিঃ-নিত্যশুদ্ধ 
৭৩৭) লিঙ্গাধ্যক্ষঃ-লিঙ্গদেহের স্রষ্টা,
৭৩৮)সুরাধ্যক্ষঃ- দেবতাদের অধিপতি,
৭৩৯) যোগাধ্যক্ষঃ যোগেশ্বর, 
৭৪০) যুগাবহঃ-যুগের নির্বাহক, 
৭৪১) স্বধর্মাঃ- আত্মবিচাররূপ ধর্মে স্থিত অথবা স্বধর্মপরায়ণ, 
৭৪২) স্বর্ণতঃ-স্বর্গলোকে স্থিত, 
৭৪৩) স্বর্গস্বরঃ- স্বর্গলোকে যাঁর যশগান করা হয়, 
৭৪৪) স্বরনয়ম্বনঃ- সাতপ্রকার স্বরযুক্ত ধ্বনি।
৭৪৫) বাণাধ্যক্ষঃ-বাণাসুরের প্রভু অথবা বাণ- লিঙ্গ নর্মদেশ্বরে অধিদেবতারূপে স্থিত,
 ৭৪৬) বীজকর্তা - বীজের উৎপাদক,
৭৪৭) ধর্মবৃদ্ধর্মসম্ভবঃ-ধর্মের পালক ও উৎপাদক, 
৭৪৮) দম্ভঃ- নায়াময়রূপধারী, 
৭৪৯) অলোভঃ-লোভরহিত, 
৭৫০) অর্থবিাচ্ছন্তুঃ- সকলের প্রয়োজন সম্বন্ধে জ্ঞাত কল্যাণনিকেতন শিব, 
৭৫১) সর্বভূতমহেশ্বরঃ-সমস্ত প্রাণীর পরমেশ্বর ।
৭৫২) শ্মশাননিলয়ঃ — শ্মশানবাসী,
৭৫৩) ত্র্যক্ষঃ-ত্রিনেত্রধারী, 
৭৫৪) সেতুঃ-ধর্মমর্যাদার পালক,
৭৫৫) অপ্রতিমাকৃতিঃ- অনুপম রূপসম্পন্ন, 
৭৫৬) লোকোত্তরস্ফুটালোকঃ- অলৌকিক এবং সুস্পষ্ট প্রকাশ যুক্ত,
৭৫৭) এ্যম্বকঃ — ত্রিনেত্রধারী অথবা এ্যাম্বক নামক জ্যোতির্লিঙ্গ, 
৭৫৮) নাগভূষণঃ — নাগহারে বিভূষিত । 
৭৫৯) অন্ধকারিঃ — অন্ধকাসুর বধকারী, 
৭৬০) মখদ্বেষী — দক্ষের যজ্ঞ বিনাশকারী,



৭৬১) বিষ্ণু- কক্করপাতনঃ- যজ্ঞময় বিষ্ণুর গলাকর্তনকারী,
৭৬২) হীনদোষঃ- দোষরহিত,
৭৬৩) অক্ষয়গুণঃ- অবিনাশী গুণাদিসম্পন্ন,
৭৬৪) দক্ষারিঃ- দক্ষদ্রোহী,
৭৬৫) পূষদন্তভিৎঃ- পৃষা দেবতার দন্ত ভগ্নকারী,
৭৬৬) ধূর্জটিঃ- জটাভারে বিভূষিত,
৭৬৭) খণ্ডপরশুঃ- খণ্ডিত পরশু সমন্বিত,
৭৬৮) সকলো নিষ্কলঃ- সাকার এবং নিরাকার পরমাত্মা, 
৭৬৯) অনঘঃ- পাপস্পর্শ শূন্য,
৭৭০) অকালঃ- কালের প্রভাবরহিত,
৭৭১) সকলাধারঃ- সবাকার আধার,
৭৭২) পাণ্ডুরাভঃ- শ্বেতকান্তিবিশিষ্ট,
৭৭৩) মৃড়ো নটঃ- সুখদায়ক এবং তাণ্ডবনৃত্যকারী,
৭৭৪) পূর্ণঃ- সর্বব্যাপী পরব্রহ্ম পরমাত্মা,
৭৭৫) পূরয়িতাঃ- ভক্তদের অভিলাষ পূরণকারী,
৭৭৬) পুণ্যঃ- পরম পবিত্র,
৭৭৭) সুকুমারঃ- যাঁর সুন্দর কুমার,
৭৭৮) সুলোচনঃ- সুন্দর চক্ষুবিশিষ্ট,
৭৭৯) সামগেয়- প্রিয়ঃ- সামগান প্রেমিক,
৭৮০) অক্রুরঃ- ক্রুরতা রহিত,
৭৮১) পুণ্যকীর্তিঃ- পবিত্র কীর্তিসম্পন্ন
৭৮২) অনাময়ঃ- রোগ-শোক রহিত,
৭৮৩) মনোজবঃ- মনের সমান বেগসম্পন্ন,
৭৮৪) তীর্থকরঃ- তীর্থাদির নির্মাতা,
৭৮৫) জটিলঃ- জটাধারী,
৭৮৬) জীবিতেশ্বরঃ- সকলের প্রাণেশ্বর
৭৮৭) জীবিতান্তকরঃ- প্রলয়কালে সকলের জীবনের অন্তকারী,
৭৮৮) নিত্যঃ- সনাতন,
৭৮৯) বসুরেতাঃ- স্বর্ণময় বীর্যসম্পন্ন,
৭৯০) বসুপ্রদঃ-ধনদাতা,
৭৯১) সদাতিঃ- সৎপুরুষদের আশ্রয়,
৭৯২) সৎকৃতিঃ- শুভকর্মকারী,
৭৯৩) সিদ্ধিঃ- সিদ্ধিস্বরূপ,
৭৯৪) সজ্জাতিঃ- সৎপুরুষদের জন্মদাতা,

৭৯৫) খলকণ্টকঃ- দুষ্টদের পক্ষে কন্টকস্বরূপ,
৭৯৬) কলাধরঃ- কলাধারী,
৭৯৭) মহাকালভূতঃ- মহাকাল নামক জ্যোতির্লিঙ্গস্বরূপ অথবা কালেরও কাল হওয়ায় মহাকাল, 
৭৯৮) সত্যপরায়ণঃ- সত্যনিষ্ঠ,
৭৯৯) লোকলাবণ্যকর্তাঃ- সব লোকেদের সৌন্দর্য,
৮০০) লোকোত্তরসুখালয়ঃ- লোকোত্তর সুখের আশ্রয়,
৮০১) চন্দ্রসঞ্জীবনঃ- শান্তা-সোমনাথরূপে চন্দ্রকে জীবনপ্রদানকারী সর্বশাসক শিব,
৮০২) লোকগূঢ়ঃ- সমগ্র জগতে অব্যক্তরূপে ব্যাপক,
৮০৩) মহাবিপঃ- মহেশ্বর, 
৮০৪) লোকবন্ধুর্লোকনাথঃ- সম্পূর্ণ জগতের বন্ধু এবং রক্ষক,
৮০৫) কৃতজ্ঞঃ- উপকার স্বীকারকারী,
৮০৬) কীর্তিভূষণঃ- উত্তম যশ দ্বারা বিভূষিত,
৮০৭) অনপায়োহক্ষরঃ- বিনাশরহিত - অবিনাশী,
৮০৮) কান্তঃ- প্রজাপতি দক্ষের অন্তকারী,
৮০৯) সর্বশস্ত্রভৃতাংবরঃ- সমস্ত শস্ত্রধারীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ,
৮১০) তেজোময় দ্যুতিধরঃ- তেজস্বী এবং কান্তিমান,
৮১১) লোকানামগ্রণীঃ- সমস্ত জগতের জন্য অগ্রগণ্য দেবতা অথবা জগৎকে অগ্রগামী করেন যিনি,
৮১২) অণুঃ- অত্যন্ত সূক্ষ্ম,
৮১৩) শুচিস্মিতঃ- পবিত্র হাসারত,
৮১৪) প্রসন্নাল্লাঃ- হর্ষান্বিত হৃদয়যুক্ত,
৮১৫) দুর্জেয়ঃ- যাঁকে জয় করা অত্যন্ত কঠিন, তেমন, 
৮১৬) দুরতিক্রমঃ- দুর্লঙ্ঘ্য,
৮১৭) জ্যোতির্ময়ঃ- তেজোময়,
৮১৮) জগন্নাথঃ- বিশ্বনাথ,
৮১৯) নিরাকারঃ- আকাররহিত পরমাত্মা,
৮২০) জলেশ্বরঃ- জলের স্বামী,
৮২১) তুম্ববীণঃ- তুম্ববীণা ববাদ্যকারী
৮২২) মহাকোপঃ- সংহারের সময় মহাক্রোধকারী, 
৮২৩) বিশোকঃ- শোকরহিত,
৮২৪) শোকনাশনঃ — শোকনাশকারি,

৮২৫) ত্রিলোকপঃ- ত্রিলোক পালনকারী,
৮২৬) ত্রিলোকেশঃ- ত্রিভুবনের প্রভু,
৮২৭) সর্বশুদ্ধিঃ- সকলের শুদ্ধিকারী,
৮২৮) অধোক্ষজঃ- ইন্দ্রিয়াদি এবং তার বিষয়ের অতীত,
৮২৯) অব্যক্তলক্ষণো দেবঃ- অব্যক্তলক্ষণযুক্ত দেবতা, 
৮৩০) ব্যক্তাব্যক্তঃ- স্থূল সূক্ষ্মরূপ,
৮৩১) বিশাম্পতিঃ- প্রজাপালক,
৮৩২) বরশীলঃ- শ্রেষ্ঠ স্বভাববিশিষ্ট,
৮৩৩) বরগুণঃ- উত্তম গুণযুক্ত,
৮৩৪) সারঃ- সারতত্ত্ব,
৮৩৫) মানধনঃ- স্বাভিমানের ধনী,
৮৩৬) ময়ঃ- সুখস্বরূপ,
৮৩৭) ব্রহ্মাঃ- সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা,
৮৩৮) বিষ্ণুঃ প্রজাপালঃ- প্রজাপালক বিষ্ণু,
৮৩৯) হংসঃ- সূর্য-স্বরূপ,
৮৪০) হংসগতিঃ- হংসের ন্যায় চলনযুক্ত,
৮৪১) বয়ঃ- গরুড় পক্ষী,
৮৪২) বেধা বিধাতা ধাতাঃ- ব্রহ্মা, ধাতা এবং বিধাতা নামক দেবতাস্বরূপ,
৮৪৩) স্রষ্টাঃ- সৃষ্টিকর্তা,
৮৪৪) হর্তাঃ- সংহারকারী,
৮৪৫) চতুর্মুখঃ- চার মুখ বিশিষ্ট ব্রহ্মা,
৮৪৬) কৈলাসশিখরবাসীঃ- কৈলাসের শিখরে নিবাসকারী,
৮৪৭) সর্বাবাসীঃ- সর্বব্যাপী,
৮৪৮) সদাগতিঃ- নিরন্তর গতিশীল বায়ুদেবতা,
৮৪৯) হিরণ্যগর্ভঃ- ব্রহ্মা,
৮৫০) দ্রুহিণঃ- ব্রহ্মা,
৮৫১) ভূতপালঃ- প্রাণীদের পালনকারী,
৮৫২) ভূপতিঃ- পৃথিবীর স্বামী,
৮৫৩) সদযোগীঃ- শ্রেষ্ঠ যোগী,
৮৫৪) যোগবিদ্যোগীঃ- যোগবিদ্যার জ্ঞাতা যোগী,
৮৫৫) বরদঃ- বর প্রদানকারী,
৮৫৬) ব্রাহ্মণ প্রিয়ঃ- ব্রাহ্মণেদের প্রিয় যিনি,
৮৫৭) দেবপ্রিয়ো দেবনাথঃ- দেবতাদের প্রিয় ও রক্ষক, 
৮৫৮) দেবজ্ঞঃ- দেবতত্ত্বের জ্ঞাতা,
৮৫৯) দেবচিন্তকঃ- দেবতাদের বিচারকারী,
৮৬০) বিষমাক্ষঃ- বিষম নেত্রযুক্ত,
৮৬১) বিশালাক্ষঃ- বিশাল নেত্রযুক্ত,
৮৬২) বৃষদো বৃষবর্ধনঃ- ধর্মের দান ও বৃদ্ধিকারী,
৮৬৩) নির্মমঃ- মমতারহিত,
৮৬৪) নিরহংকারঃ- অহংকারশূন্য,
৮৬৫) নির্মোহঃ- মোহশূন্য,
৮৬৬) নিরুপদ্রবঃ- উপদ্রব বা উৎপাত থেকে দূর,
৮৬৭) দর্পহা দর্পদঃ- দর্পের হনন ও খণ্ডনকারী
৮৬৮) দৃপ্তঃ- স্বাভিমানী,
৮৬৯) সবর্তুপরিবর্তকঃ- সমস্ত ঋতুকে যিনি বদলাতে থাকেন,
৮৭০) সহস্রজিৎঃ- সহস্র সহস্র জনের ওপর বিজয়প্রাপ্ত, 
৮৭১) সহস্রার্টিঃ- সহস্র সহস্র কিরণ দ্বারা প্রকাশিত সূর্যরূপ,
৮৭২) স্নিগ্ধ প্রকৃতিদক্ষিণঃ- স্নেহযুক্ত স্বভাবসম্পন্ন এবং উদার,
৮৭৩) ভূতভব্যভবন্নাথঃ- ভূত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমানের প্রভু,
৮৭৪) প্রভবঃ- সকলের উৎপত্তির কারণ,
৮৭৫) ভূতিনাশনঃ- দুষ্টদের ঐশ্বর্য বিনাশকারী,
৮৭৬) অর্থঃ- পরমপুরুষার্থরূপ,
৮৭৭) অনর্থঃ- প্রয়োজনরহিত,
৮৭৮) মহাকোশঃ- অনন্ত ধনরাশির স্বামী,
৮৭৯) পরকার্যেক পণ্ডিতঃ- অপরের কার্য সিদ্ধ করার কলায় নিপুণ একমাত্র বিদ্বান,
৮৮০) নিষ্কণ্টকঃ- কণ্টককরহিত,
৮৮১) কৃতানন্দঃ- নিত্য সিদ্ধ আনন্দস্বরূপ,
৮৮২) নির্ব্যাজো ব্যাজমর্দনঃ- নিজে কপটরহিত থেকে অপরের কপটতা বিনাশকারী,
৮৮৩) সত্ত্ববানঃ- সত্ত্বগুণ যুক্ত,
৮৮৪) সাত্ত্বিকঃ- সত্ত্বনিষ্ঠ,
৮৮৫) সত্যকীর্তিঃ- সত্যকীর্তিযুক্ত,
৮৮৬) স্নেহকৃতাগমঃ- জীবেদের প্রতি স্নেহবশতঃ বিভিন্ন আগম আদি শাস্ত্র প্রকাশকারী,

৮৮৭) অকম্পিতঃ-সুস্থির, 
৮৮৮) গুণগ্রাহী – গুণাদির সম্মানকারী,  
৮৮৯) নৈকাক্সা নৈককর্মকৎ - বহুরূপ হয়ে বহুপ্রকার কর্ম সাধনকারী। 
৮৯০) সুপ্রীতঃ-অত্যন্ত প্রসন্ন, 
৮৯১) সুমুখঃ-সুন্দর মুখশ্রী, 
৮৯২) সূক্ষ্মঃ - স্থূলভাব রহিত, 
৮৯৩) সুকরঃ- সুন্দর হাতযুক্ত, 
৮৯৪) দক্ষিণানিলঃ - মলয় নিলের ন্যায় সুখপ্রদ, 
৮৯৫) নন্দিঙ্কন্ধধরঃ- নন্দীর পিঠে আরোহণকারী, 
৮৯৬) ধুর্যঃ- উত্তরদায়িত্বের ভার গ্রহণ করতে সক্ষম, 
৮৯৭) প্রকটঃ- ভক্তদের সামনে সুপ্রকট অথবা জ্ঞানীদের সামনে নিত্য প্রকটিত, 
৮৯৮) প্রীতিবর্ষনঃ-প্রেমবৃদ্ধিকারী।
৮৯৯) অপরাজিতঃ-যিনি কারো কাছে পরাস্ত হন না, 
৯০০) সর্বসত্ত্বঃ- সম্পূর্ণ সত্ত্বগুণের আশ্রয় অথবা সমস্ত প্রাণীর উৎপত্তির হেতু, 
৯০১) গোবিন্দঃ- গোলোকের প্রাপ্তিকারী, 
৯০২) সত্ত্ববাহনঃ- সত্ত্বস্বরূপ ধর্মময় বৃষভের থেকে কার্য গ্রহণকারী, 
৯০৩) অধৃতঃ- আধাররহিত, 
৯০৪) স্বধৃতঃ- নিজেতেই স্থিত, 
৯০৫) সিদ্ধঃ - নিত্যসিদ্ধ,
 ৯০৬) পৃতমূর্তিঃ - পবিত্র শরীর সম্পন্ন, 
৯০৭) যশোধনঃ-সুযশের ধনী।
  ৯০৮) বারাহশৃঙ্গশৃঙ্গী – বরাহ বধ করে তার শৃঙ্গ ধারণ করায় শৃঙ্গী নামে প্রসিদ্ধ, 
৯০৯) বলবান- শক্তিশালী,
 ৯১০) একনায়কঃ-অদ্বিতীয় নেতা,
৯১১) শ্রুতিপ্রকাশঃ-বেদাদি প্রকাশকারী, 
৯১২) শ্রুতিমান- বেদজ্ঞানসম্পন্ন,
৯১৩) এক বন্ধুঃ- সকলের একমাত্র সহায়ক,
৯১৪) অনেককৃৎ – অনেক প্রকার পদার্থের সৃষ্টিকারী।
৯১৫) শ্রীবৎসল শিবারম্ভঃ - শ্রীবৎসধারী বিষ্ণুর পক্ষে মঙ্গলকারী,

৯১৬) শান্তভদ্রঃ- শান্ত এবং মঙ্গল- রূপ, 
৯১৭) ভূশয়ঃ পৃথিবীর ওপর শয়নকারী, 

৯১৮) ভূষণঃ — সকলকে বিভূষিত করেন যিনি, 
৯১৯) ভূতিঃ-কল্যাণস্বরূপ, 
৯২০) ভূতকৃৎ- প্রাণীসমূহের সৃষ্টিকারী, 
৯২১) ভূতভাবনঃ-ভূতেদের উৎপাদক।
৯২২) অকম্পঃ - কম্পিত হন না যিনি,
৯২৩) ভক্তিকায়ঃ-ভক্তিস্বরূপ, 
৯২৪) কালহা-কালনাশক, 
৯২৫) নীললোহিতঃ — নীল ও লোহিত বর্ণবিশিষ্ট, 
৯২৬) সত্যব্রতমহাত্যাগী — সত্যব্রতধারী এবং মহান ত্যাগী, 
৯২৭) নিত্যশান্তিপরায়ণঃ-নিরন্তর শান্ত। 
৯২৮) পদার্থবৃত্তির্বরদঃ - পরোপকারব্রতী এবং অভীষ্ট বরদাতা, 
৯২৯) বিরক্তঃ- বৈরাগ্যবান, 
 ৯৩০) বিশারদঃ-বিজ্ঞানবান,
৯৩১) শুভদঃ শুভকর্তা — শুভদায়ক এবং শুভকারক, 
৯৩২) শুভনামা শুভঃ স্বয়ম্ — স্বয়ং শুভ স্বরূপ হওয়ায় শুভ নামধারী,
৯৩৩) অনর্থিতঃ- যাচনারহিত, 
৯৩৪) অগুণঃ- নির্গুণ, 
৯৩৫) সাক্ষী অকর্তা-দ্রষ্টা এবং কর্তৃত্বরহিত,
৯৩৬) কনকপ্রভঃ- স্বর্ণের ন্যায় কান্তিযুক্ত, 
৯৩৭) স্বভাবভদ্রঃ- স্বভাবতঃ কল্যাণকারী,
৯৩৮) মধ্যস্থঃ- উদাসীন, 
৯৩৯) শত্রুঘ্নঃ– শত্রুনাশক, 
৯৪০) বিঘ্ন- নাশনঃ-বিঘ্ননিবারণকারী।
৯৪১) শিখণ্ডী কবচী শূলী — ময়ূরপংখ, কবচ ও ত্রিশূল ধারণকারী, 
৯৪২) জটী — জটা ধারণকারী, 
৯৪৩) মুণ্ডী — মুণ্ডমালা ধারণকারী,
৯৪৪) কুণ্ডলী — কানে কুণ্ডল ধারণকারী,
৯৪৫) অমৃত্যুঃ- মৃত্যু- রহিত,
 ৯৪৬) সর্বদক্সিংহঃ-সর্বজ্ঞদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, 
৯৪৭) তেজোরাশিমহামণিঃ-তেজঃপুঞ্জ মহামণি কৌস্তভাদিরূপ,

৯৪৮) অসংখ্যেয়োহপ্রমেয়াত্মা — অসংখ্য নাম, রূপ ও গুণাদি যুক্ত হওয়ায় কারো দ্বারা যাঁকে মাপা যায় না,
৯৪৯) বীর্যবান বীর্যকোবিদঃ-পরাক্রমী এবং পরাক্রমের জ্ঞাতা,
৯৫০) বেদ্যঃ-জানার যোগ্য,
৯৫১) বিয়োগাত্মা দীর্ঘকাল ধরে সতীর বিয়োগে অথবা বিশিষ্ট যোগসাধনায় সংলগ্ন মনযুক্ত,
৯৫২) পরাবর-মুনীশ্বরঃ-ভূত ও ভবিষ্যতের জ্ঞাতা মুনীশ্বররূপ,

৯৫৩) অনুত্তমো দুরাধর্ষঃ-সর্বোত্তম এবং দুর্জয়,
৯৫৪) মধুরপ্রিয়দর্শনঃ- যাঁর দর্শন মনোহর এবং প্রিয় লাগে, এমন,
৯৫৫) সুরেশঃ-দেবতাদের ঈশ্বর,
৯৫৬) শরণম্ - আশ্রয়দাতা,
৯৫৭) সর্বঃ- সর্বস্বরূপ,
৯৫৮) শব্দব্রহ্ম সতাং গতিঃ- প্রণবরূপ এবং সৎ- পুরুষদের আশ্রয়,

৯৫৯) কালপক্ষঃ-কাল যাঁর সহায়ক, এমন,
৯৬০) কালকালঃ-কালেরও কাল,
৯৬১) কঙ্কণীকৃত- বাসুকিঃ-বাসুকি নাগকে নিজ হাতে কঙ্কণের ন্যায় ধারণকারী,
৯৬২) মহেদ্বাসঃ- মহাধনুর্ধর,
৯৬৩) মহীভর্তা-পৃথিবী পালক,
৯৬৪) নিষ্কলঙ্কঃ-কলঙ্কশূন্য,

৯৬৫) বিশৃঙ্খলঃ-বন্ধনরহিত,
৯৬৬) দ্যুমণিস্তরণিঃ-আকাশে মণির ন্যায় প্রকাশমান এবং ভক্তদের ভবসাগর থেকে উদ্ধার করার জন্য নৌকারূপ সূর্য,
৯৬৭) ধন্যঃ- কৃতকৃত্য,
৯৬৮) সিদ্ধিদঃ সিদ্ধি সাধনঃ- সিদ্ধিদাতা এবং সিদ্ধির সাধক,
৯৬৯) বিশ্বতঃ সংবৃতঃ-সর্বদিকে মায়া দ্বারা আবৃত, 
৯৭০) জ্বল্য- স্তুতির যোগ্য,
৯৭১) ব্যুঢ়োরস্কঃ — বিশাল বক্ষযুক্ত,
৯৭২) মহাভুজঃ-দীর্ঘবাহুবিশিষ্ট

৯৭৩) সর্বযোনিঃ-সকলের উৎপত্তিস্থান,
৯৭৪) নিরাতঙ্কঃ-নির্ভয়,
৯৭৫) নরনারায়ণপ্রিয়ঃ- নর- নারায়ণের প্রেমিক অথবা প্রিয়তম,
৯৭৬) নির্লেপো নিষ্প্রপঞ্চাত্মা — দোষসম্পর্ক হতে রহিত এবং জগৎ প্রপঞ্চের অতীত স্বরূপসম্পন্ন,
৯৭৭) নির্ব্যঙ্গঃ- বিশিষ্ট অঙ্গসম্পন্ন প্রাণীদের প্রাকট্যের হেতু,
৯৭৮) ব্যঙ্গ- নাশনঃ- যজ্ঞাদি কর্মে হওয়া অঙ্গ-বৈগুণ্য নাশকারী,

৯৭৯) স্তব্যঃ- স্তুতির যোগ্য,
৯৮০) স্তবপ্রিয়ঃ- স্তুতির প্রেমিক,
৯৮১) স্তোতা - স্তুতিকারী,
৯৮২) ব্যাসমূর্তিঃ-ব্যাসস্বরূপ,
৯৮৩) নিরঙ্কুশঃ- অঙ্কুশরহিত স্বতন্ত্র,
৯৮৪) নিরবদ্যময়োপায়ঃ- মোক্ষপ্রাপ্তির নির্দোষ উপায়স্বরূপ,
৯৮৫) বিদ্যারাশিঃ-বিদ্যার সাগর,
৯৮৬) রসপ্রিয়ঃ - ব্রহ্মানন্দরসের প্রেমিক,

৯৮৭) প্রশান্তবুদ্ধিঃ- শান্ত বুদ্ধিযুক্ত,
৯৮৮) অক্ষুণ্ণঃ-ক্ষোভ বা নাশরহিত,
৯৮৯) সংগ্রহী ভক্তদের সংগ্রহকারী,
৯৯০) নিত্যসুন্দরঃ- সতত মনোহর,
৯৯১) বৈয়াঘ্রধুর্যঃ- ব্যাঘ্রচর্মধারী,
৯৯২) ধাত্রীশঃ-ব্রহ্মার স্বামী (প্রভু)
৯৯৩) শাকল্যঃ- শাকল্য ঋষিরূপ,
৯৯৪) শর্বরী পতিঃ- রাত্রির স্বামী চন্দ্ররূপ,

৯৯৫) পরমার্থগুরুদত্ত সূরিঃ- পরমার্থ তত্ত্বের উপদেশ প্রদানকারী জ্ঞানী গুরু দত্তাত্রেয়রূপ,
৯৯৬) আশ্রিত বৎসলঃ- শরণাগতের ওপর দয়া করেন যিনি,
৯৯৭) সোমঃ- উমাসহ,
৯৯৮) রসজ্ঞঃ- ভক্তিরসের জ্ঞাতা,
৯৯৯) রসদঃ- প্রেমরস প্রদানকারী,
১০০০) সর্বসত্ত্বাবলম্বনঃ সমস্ত প্রাণীদের আশ্রয়দানকারী।

নমঃ শিবায়
নমঃ শিবায়
নমঃ শিবায় 🚩


 🪷 শ্রীহরি প্রতিদিন এইভাবে সহস্র নাম দ্বারা ভগবান শিবের স্তুতি, সহস্র কমল দ্বারা তাঁর পূজা এবং প্রার্থনা করতেন।



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত