পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সনাতন ধর্মের একমাত্র প্রাচীন গুরু পরম্পরা পাশুপত শৈবাপরম্পরার আচার্য ও তাদের শিষ্যদের নাম সমূহ

ছবি
সনাতন ধর্মের শাস্ত্র অনুসারেই, সনাতন ধর্মের সবথেকে প্রাচীন একমাত্র গুরুপরম্পরার নাম হল – পাশুপত শৈব গুরু পরম্পরা। সনাতন ধর্মের শাস্ত্রে পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রাচীন কালে সমস্ত মুনিঋষিগণেরা পাশুপত শৈবপরম্পরার অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, এমন কোনো মুনিঋষি নেই যারা শৈব পরম্পরার অন্তর্গত নন, সকলেই শৈব পরম্পরার অন্তর্গত ছিলেন, সকলেই শৈব পাশুপত পরম্পরার আচার্য ছিলেন।   অন্য কোনো পরম্পরার অস্তিত্ব তখন ছিল না, অর্থাৎ বৈষ্ণব, শাক্ত, সৌর, গাণপত্য বলে কোনো স্বতন্ত্র পরম্পরা ছিল না, সনাতন ধর্মের শাস্ত্রে একমাত্র শৈব পাশুপত পরম্পরার‌ই প্রাচীনত্বের উল্লেখ রয়েছে স্পষ্ট ভাবে। আর সমস্ত মুনিঋষিগণেরা সত্যযুগ থেকেই পাশুপত শৈবপরম্পরার আচার্য ছিলেন। অন্য কোনো পরম্পরার আচার্য ছিলেন না।  একারণেই সনাতন ধর্মের মূল ও মুখ্য হল — একমাত্র শৈব পরম্পরা,   আদি সনাতনী হলেন শৈব রা। পরবর্তীতে এই শৈব সনাতন পরম্পরার অন্তর্ভুক্ত ঋষিমুনিগণেরাই পরমেশ্বর শিবের আদেশে শাক্ত বৈষ্ণব প্রভৃতি গৌণ পরম্পরা গুলিকে প্রচার করেছিলেন। সেখান থেকেই শক্তি প্রাধান্যতা দিয়ে শাক্তকূলের পরম্পরা সৃষ্টি হয়েছিল, বৈষ্ণবধারার শুরু হয়েছিল। কি

বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী পরমেশ্বরের মুখ্য নাম হল — শিব

ছবি
   🚩 #বেদ_শাস্ত্রে_পরমেশ্বরের_নাম_শিব   শিবাে নামাসি স্বধিতিস্তে পিতা নমস্তে অস্তু মা মা হিংসীঃ ।  নিবর্তয়াম্যায়ুষেহন্নাদ্যায় প্রজননায় রায়স্পোষার সুপ্রজাস্ত্বায় সুবীর্যায় ।।  [তথ্যসূত্র : শুক্ল যজুর্বেদ/অধ্যায় ৩/মন্ত্র নং ৬৩] অন্বয় : - (শিবঃ নাম অসি)আপনার[হে পরমেশ্বর রুদ্র] নাম শিব (স্বধিতিঃ) শাস্ত্রের (তে পিতা) আপনি পালন কর্তা (তে নমঃ অস্তু) আপনাকে প্রণাম করি , (মা মা হিংসীঃ) আমার প্রতি অকল্যানকরী যেন না হন । (আয়ুষে) দীর্ঘ আয়ু (অন্নাদ্যায়) অন্নাদির প্রাপ্তি (প্রজননায়) সু সন্তানের প্রাপ্তি (সুপ্রজাস্ত্বায়) উত্তম প্রজা হওয়ার সামর্থ্য (রায়স্পোষার) ধনের সাথে পুষ্টি (সুবীর্যায়) সুবীর্য অথবা উত্তম পরাক্রমের জন্য (নিবর্তয়ামি) আমি উদ্যমী হতে পারি ।  সরলার্থ : -  (হে পরমেশ্বর রুদ্র) আপনার নাম শিব, আপনি শাস্ত্রের পালন কর্তা, আপনাকে আমি প্রণাম করি । কৃপা করে আমার প্রতি অকল্যানকরী যেন না হন, বরং দীর্ঘ আয়ু, অন্নাদির প্রাপ্তি, সু সন্তানের প্রাপ্তি, উত্তম প্রজা হওয়ার সামর্থ্য, ধনের সাথে পুষ্টি এবং পরাক্রমের জন্য যেন আমি উদ্যমী হতে পারি (সেই কৃপা করুন)। সিদ্ধান্ত —  সিদ্ধান্ত — উক্ত বেদমন

বৈষ্ণবদের জন্য ভস্ম-ত্রিপুণ্ড্র ধারন করা আবশ্যক

ছবি
  অপি বা বৈষ্ণবো মর্ত্য অপি বাপীতরো জনঃ । ভস্মস্নায়ী তস্মযুক্তঃ কর্ম্মস্বধিকরোতি বৈ ॥ ১৫১ [তথ্যসূত্র : পদ্মপুরাণ/পাতালখণ্ড/৬৪ অধ্যায়] 🪷 অর্থ — শৈব হোক বা বৈষ্ণব, সকলেই ভস্মধারণ ও ভস্মস্নান করেই (আধ্যাত্মিক) কর্মে অধিকারী হতে পারবে(অন্যথায় নয়)। 🔥 সিদ্ধান্ত — শুধু শৈবরাই নয় বরং বৈষ্ণবদের তথা সকলকেই ভস্মত্রিপুণ্ড্র ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন পদ্মপুরাণ, নচেৎ তারা কেউই কোনো আধ্যাত্মিক কর্ম করবার উপযুক্ত হতে পারবেনা। এখান থেকেই প্রমাণিত হয় যে, পরমেশ্বর শিবের শৈবসংস্কৃতিই আদি সনাতনীদের প্রাচীনতম মূল সংস্কৃতি, সেই আদি সনাতনী শৈব আদর্শকে — বৈষ্ণব, শাক্ত, গাণপত্য, সৌর তথা সকলকেই মান্য করতে হয়, এই বিধান স্বয়ং শাস্ত্র দিয়েছে। ©Nandinathshaiva Copyright from ISSGT

১৮ টি পুরাণশাস্ত্র কে কাল্পনিক বলে দাবী করা আর্যসমাজীদের দাবীর খণ্ডন

ছবি
 বর্তমানে আর্যমসমাজী ম্লেচ্ছ রা দাবি করছে যে ১৮পুরাণ বলতে কিছুই ছিল না, এগুলো নাকি ১০০০বছর আগে তৈরি করা নতুন সাম্প্রদায়িক গল্প।  এদের পাণ্ডা দয়ানন্দ সরস্বতী ওরফে খ্রিষ্টান মতবাদের এক দালাল, যার সত্যার্থ প্রকাশ নামক অপবিত্র পুস্তকের সত্যনাশ করা যুক্তির উপর নির্ভর করে এই আর্যসমাজী পাষণ্ডরা এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর্যসমাজীদের ভণ্ডামির একটি দৃষ্টান্ত দিই,  আর্যসমাজী ওরফে নামাজীরা বেদের অংশ ব্রাহ্মণ ভাগকে ইতিহাস শাস্ত্র বলে দাবি করে, অথচ সনাতনীদের প্রাচীন মান্যতা অনুযায়ী মহাভারত ও রামায়ণ কে ইতিহাস শাস্ত্র বলা হয়।   - এবার এদের ভণ্ডামিটা হল এরকম,    এই আর্যনামাজীরা একদিকে মহাভারতকে ইতিহাস শাস্ত্র বলে মানে না, অথচ সেই মহাভারতের মধ্যে থাকা মূল চরিত্রগুলো কে নিয়ে প্রচার প্রসার করে, আজকাল মহাভারত কে পুরাতন ভারতের সাহিত্য বলে চিহ্নিত করে প্রচার প্রসার করছে, মহাভারতের মধ্যে থাকা ভগবদগীতা নিয়ে প্রচার করে, এরা নিজেদের আর্যমসমাজী মতের একটা ভগবদ্গীতা ছাপিয়ে প্রচার করছে, যার নাম - শুদ্ধধ্বনী শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা।  অথচ মহাভারতের যেখানে যেখানে ঈশ্বরের সাকারবাদ রয়েছে বা পৌরাণিক কাহিনি রয়েছে, সেই সেই

শিবমহাপুরাণে কি গোমাংস খাবার বিধান দেওয়া হয়েছে ? জানুন সত্যতা

ছবি
নমস্কার নমঃ শিবায়  আর্যসমাজী রা যে অসনাতনী, সেটা তাদের প্রত্যেকটা কাণ্ডকারখানা দেখলেই পরিষ্কার করে বোঝা যায়। আর্যসমাজীদের গুরু দয়ানন্দ সরস্বতী পুরানশাস্ত্রের নিন্দা করবার জন্য মিথ্যাকথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতো, তার অনুসারী দয়ানন্দী আর্যসমাজীরাও এক‌ই কাজ করে যাচ্ছে। আর্যসমাজীরা শিবপুরাণকে তুচ্ছ প্রমাণ করবার জন্য বিভিন্ন অপকৌশল প্রয়োগ করে থাকে।  আমরা সাধারণ সনাতনীরা গোমাংসকে কখনোই ভক্ষণ করি না, কারণ, গোহত্যা করা ও গোমাংস খাওয়া মহাপাপ বলা হয়েছে শাস্ত্রে। তাই আর্যসমাজীরা সাধারণ মানুষের কাছে পুরাণশাস্ত্রের মধ্যে থেকে অর্ধশ্লোক ও ভুলভাল অনুবাদ দেখিয়ে দাবী করে বলে যে,                    “ এই দেখুন আপনারা যে পুরাণকে ধর্মগ্রন্থ মনে করেন, সেখানে গোমাংস খাওয়ার বিধান রয়েছে। এবার‌ তাহলে আপনারাও গরুর মাংস খেয়ে নিন, আর যদি গরুর মাংস না খেতে চান তাহলে পুরাণশাস্ত্র গুলো ত্যাগ করে দিন ”                         — এই ধরণের অপকৌশল প্রয়োগ করে সাধারণ মানুষের মনে পুরাণের উপর থাকা বিশ্বাস ভেঙ্গে দেয় আর্যসমাজীরা। তারপর নিজেদের দলে টানে বেদের দোহাই দিয়ে, তারপর আর্যসমাজীরা নিজেদের বানানো বিকৃত বে

শ্রীকালভৈরব জয়ন্তী ব্রতের মাহাত্ম্য

ছবি
  মার্গশীর্ষাসিতাষ্টম্যাং কালভৈরবসন্নিধৌ । উপোষ্য জাগরং কুর্ব্বন্ মহাপাপৈঃ প্রমুচ্যতে ॥ [তথ্যসূত্র - স্কন্দমহাপুরাণ/কাশীখণ্ড/ অধ্যায় নং -৩১/শ্লোক নং- ১৪০] সরলার্থ -  অগ্ৰহায়ণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে কালভৈরবের সন্নিধানে উপবাস করিয়া জাগরণ করিলে মহাপাতক হ‌ইতে মুক্ত হ‌ওয়া যায়। সংগ্ৰহে ও লেখনীতে - নমিতা রায় দেবীজী  🚩কপিরাইট ও প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT 

ভগবান্ কালভৈরবের ভক্তদের অনিষ্টকারীরা সর্বদা দুঃখ ভোগ করে

  অনেকজন্মনিযুতৈর্যৎকৃতং জন্তুভিস্ত্বঘম্ । তৎসর্বং বিলযং যাতি কলভৈরবদর্শনাৎ ॥৬৬॥ কালভৈরবভক্তানং পাতকানি করোতি যঃ । স মূঢ়ো দুঃখিতো ভূত্বা পুনর্দূগতিমাপ্নুযাৎ ॥৬৭॥ [তথ্যসূত্র - শিবমহাপুরাণ/শতরুদ্রসংহিতা/ ৯ নং অধ্যায়/ ৬৬,৬৭ নং শ্লোক] সরলার্থ - শ্রী কালভৈরবের দর্শনে প্রানীদের দ্বারা লক্ষ জন্মে করা পাপ‌ও লুপ্ত হয়ে যায়। যিনি তার ভক্তদের অনিষ্ট করতে চেষ্টা করেন, সেই মূর্খ জীব দুঃখ প্রাপ্ত করে বারংবার দুর্গতি ভোগ করে। সংগ্ৰহে ও লেখনীতে - নমিতা রায় দেবীজী  🚩কপিরাইট ও প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT 

শ্রী কালভৈরভের বৈকুণ্ঠ আগমন

ছবি
          ॥ শ্রী কালভৈরভের বৈকুণ্ঠ আগমন ॥  [তথ্যসূত্র - স্কন্দপুরাণ/কাশিখণ্ড/অধ্যায় নং-৩১] কাপালিক ব্রত ধারণ করে শ্রীকালভৈরব ব্রহ্মার পঞ্চম কপাল নিয়ে ত্রিলোকে বিচরণ করিতে করিতে বৈকুণ্ঠলোকে গমন করিলেন।  মহাদেবাংশ সম্ভুত, ত্রিনয়ন, সর্পকুণ্ডলী, ভীষনাকার সেই মহাকাল ভৈরবের বৈকুণ্ঠে সমাগত দেখিয়া ভগবান গরুড়ধ্বজ, তাঁহাকে (কালভৈরবজীকে) দণ্ডবৎ প্রনাম করিলেন। দেবতা, মুনি ও দেবাঙ্গনা সকল‌ও সেই কালভৈরবজীকে প্রনাম করিলেন, কমলাপতি শ্রীহরি প্রনামানস্তর মস্তকে অঞ্জলিবদ্ধ করিয়া বহুবিধ স্তব করত ক্ষীরোদমথন-সম্ভবা পদ্মালয়াকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, হে প্রিয়ে! হে দেবী! জগৎপতিকে দর্শন করিয়া তুমি ধন্য হ‌ইলে, আমিও ধন্য হ‌ইলাম। ইনি ধাতা, বিধাতা, ত্রিলোকের ঈশ্বর ও প্রভু, ইনি‌ই অনাদি, শরণ্য, শান্ত, পরমাত্মস্বরূপ, সর্ব্বজ্ঞ, সর্ব্বযোগীশ্বর, সব্বভুতের একমাত্র নায়ক, অন্তরাত্মা, সকলের সর্ব্বাভীষ্টপ্রদ। শান্ত ও ধ্যানাবলম্বী যোগীগণ নিদ্রা ও নিঃশ্বাস রহিত হ‌ইয়া জ্ঞান দ্বারা যাঁহাকে সতত হৃদয়ে দর্শন করিতেছেন, সেই ভগবান্ কালভৈরব অদ্য আমাদিগের আলয়ে উপস্থিত অত‌এব দর্শন করো।  বেদতত্ত্বজ্ঞ এবং যোগীজন যাকে জানতে পার

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত