শৈবজ্ঞানী ব্যক্তির জন্য শাস্ত্রের যেকোনো বিধিনিষেধ অপ্রয়োজন
শৈবজ্ঞানী ব্যক্তির জন্য শাস্ত্রের যেকোনো বিধিনিষেধ অপ্রয়োজন
শম্ভুরূপতয়া সর্বং যস্য ভাতি স্বভাবতঃ ।
ন তস্য বৈদিকং কিঞ্চিৎ তান্ত্রিকং চাস্তি লৌকিকম্ ॥ ৬৩
[তথ্যসূত্র : স্কন্দপুরাণ/যজ্ঞবৈভবখণ্ড/উপরিভাগ/(সূতগীতা)অধ্যায় ৫]
🪷অর্থ — যে ব্যক্তি স্বভাবতই সর্বত্র একমাত্র অদ্বিতীয় পরমব্রহ্ম শিবেরই অস্তিত্বকে অনুভব করেন, সেই ব্যক্তির জন্য বৈদিক, তান্ত্রিক, লৌকিক কোনো আচার মান্য করবার প্রয়োজনীয়তা নেই ॥৬৩
🔥ব্যাখ্যা — সমস্ত বস্তুতে একমাত্র পরমেশ্বর শিবই রয়েছেন বলে যে ব্যক্তি উপলব্ধি করেন, তিনিই শিবজ্ঞানী, তিনিই অতিবর্ণাশ্রমী শৈব। বৈদিক, তান্ত্রিক, লৌকিক আচার অনুষ্ঠানের বিধিনিষেধ শুধুমাত্র তাদের জন্য, যারা শিবের অদ্বৈত জ্ঞানকে লাভ করতে পারেননি। কিন্তু যিনি সমস্ত বস্তুতেই শিবের অস্তিত্বকে অনুভব করতে পেরেছেন তখন তার জন্য কোনো বিধি মেনে চলতে হয় না, কোনো নিষেধাজ্ঞাও তার জন্য প্রযোজ্য নয়। আবার, তিনি কোনো বিধিনিষেধের বিরোধীতাও করেননা, ঐ বিধিনিষেধ যখন অন্য কোনো ব্যক্তির আত্মজ্ঞান লাভের পথে বাঁধা সৃষ্টি করে শুধুমাত্র তখনই বিধিনিষেধকে অমান্য করবার নির্দেশ দেন।
টীকা - পরমেশ্বর শিবের ভক্ত শৈব রা সর্বদা সকল বিধি নিষেধের থেকে মুক্ত, দেখুন -
স্বতন্ত্রঃ খলু শংকরঃ ।। ৪৬
মহাদেবস্য ভক্তাশ্চ তদ্ভক্তা অপি দেহিনঃ ।
স্বতন্ত্রতা বেদবিচ্ছ্রেষ্টাঃ কিং পুনঃ স মহেশ্বরঃ ।। ৪৭
[স্কন্দমহাপুরাণ/সূতসংহিতা/যজ্ঞবৈভবখণ্ড/উপরিভাগ/(সূতগীতা) ৩ অধ্যায়/ ৪৬-৪৭ নং শ্লোক]
অর্থ - পরমেশ্বর শিব সকল বিধি নিষেধের থেকে মুক্ত, স্বতন্ত্র। যখন পরমেশ্বর শিবের অদ্বৈতবাদী অতিবর্ণাশ্রমী ভক্তশৈবরাই স্বতন্ত্র, তখন মহেশ্বরের স্বতন্ত্রতার বিষয়ে আর কি বলব ?।
শৈব সনাতন ধর্ম সদা বিজয়তে 🚩
হর হর মহাদেব 🚩
🔷 সংগ্রহ ও লেখনীতে — শ্রী নন্দীনাথ শৈবাচার্য জী
🚩 কপিরাইট ও প্রচারে — International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন