শ্রীশ্রী লক্ষ্মী পূজা পদ্ধতি (সংক্ষিপ্ত)

শ্রীশ্রী লক্ষ্মী পূজা পদ্ধতি (সংক্ষিপ্ত)


সংক্ষিপ্ত লক্ষ্মীপূজা পদ্ধতি—


পরমেশ্বর শিবের থেকে প্রকাশিত সনাতন ধর্মের আদি গুরু পরম্পরা মহাপাশুপত শৈব পরম্পরার বিধান অনুযায়ী শ্রীশ্রী লক্ষ্মীদেবীর পূজার বিধান সংক্ষিপ্ত ভাবে লোকাচার ও পৌরাণিক তথা বৈদিক মন্ত্রের সহিত উপস্থাপন করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বিধানটি উপস্থাপন করেছেন — শ্রীমান অন্তিক ভট্টাচার্য (শ্রী শম্বরনাথ শৈব) জী । সম্পাদনা করেছেন শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী। প্রচার ও কপিরাইট — International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT 

নিম্নের সম্পূর্ণ পূজা বিধিটি যে কোনো পুরোহিত বর্গের ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারবেন । যে কোনো ভক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিও ব্যবহার করতে পারবেন ।

তবে বিশেষ একটি তথ্য জেনে রাখা উচিত, আমাদের মহাপাশুপত শৈব অবধূত পরম্পরার পারম্পারিক নিয়ম অনুযায়ী, লক্ষ্মী লাভের জন্য লক্ষ্মীপ্রতিমা বা লক্ষ্মীপটের পরিবর্তে “নবপত্রিকা(কলা বৌ)” কে পূজা করা হয়ে থাকে। নবপত্রিকা মূলত পরমেশ্বরী পার্বতী মাতার রূপ বলে মান্য হয়ে থাকে।  তাই শ্রী লাভ করবার জন্য এই বিধান আমাদের গুরু পরম্পরায় মানা হয়ে থাকে।

কারণ শাস্ত্রেও বলা হয়েছে 👇 

শ্রী কামঃ পার্বতীং দেবীং পূজায়িত্বা বিধানতঃ ॥ ৩১৮

(কূর্মপুরাণ/পূর্বভাগ/১২ অধ্যায়/শ্লোক ৩১৮)

অর্থ — শ্রী অর্থাৎ লক্ষ্মী লাভ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের উচিত দেবী পার্বতীর পূজা করা ।

তাই শৈব অবধূত পরম্পরার বিধান অনুযায়ী শ্রীশ্রী লক্ষ্মীদেবীর পূজা নবপত্রিকাতে হয়ে থাকে। নিচের নিয়ম অনুযায়ী লক্ষ্মীদেবীর প্রতিমা বা নবপত্রিকা(কলা বৌ) - উভয়কেই পূজার্চনা করা যাবে ।


পূজার প্রাথমিক কার্য 

➡️ সর্বপ্রথম শিবস্মরণ করুন – 

ॐ শিবঃ ॐ শিবঃ ॐ শিবঃ বৃষভারূঢ়ং হিরণ্যবাহুং হিরণ্যবর্ণং হিরণ্যরূপং পশুপাশবিমোচকং পুরুষং কৃষ্ণপিঙ্গলং ঊর্ধ্বরেতং বিরূপাক্ষং বিশ্বরূপং সহস্রাক্ষং সহস্রশীর্ষং সহস্রচরণং বিশ্বতোবাহুং বিশ্বাত্মানং একং অদ্বৈতং নিষ্কলং নিষ্ক্রিয়ং শান্তং শিবং অক্ষরং অব্যয়ং হরি-হর-হিরণ্যগর্ভ-স্রষ্টারং অপ্রমেয়ং অনাদ্যন্তং রুদ্রসূক্তৈরভিষিচ্য সিতেন ভস্মনা শ্রীফল দলৈশ্চ ত্রিশাখৈরার্দ্রৈর-নার্দ্রৈর্বা ॥ 

নমঃ শিবায় ॥

নমঃ শিবায় ॥ 

নমঃ শিবায়ৈ চ নমঃ শিবায়॥

শিবঃ ॐ তৎ সৎ ॥

শ্রীগুরভ্যো নমঃ । শ্রীগণেশায় নমঃ 


➡️ আচমন  

(ডান হাতের তালুতে জল নিয়ে তিন বার শুষে নেবেন)

ॐ নমঃ শিবায় 

ॐ নমঃ শঙ্করায়

ॐ নমঃ মহেশ্বরায়


➡️ হাত জোড় করে পাঠ করুন —

যত্র ন সূর্যস্তপতি যত্র ন বায়ুবার্তি 

যত্র ন চন্দ্রমা ভাতি যত্র ন দূঃখানি প্রবেশ্যান্তি

সদানন্দং পরমানন্দং শান্তং শাশ্বতং সদাশিবং ব্রহ্মাদিবন্দিতং যোগীধ্যেয়ং পরমং পদং

যত্র গত্বা ন নিবর্তন্তে যোগীনস্তদেতদৃচাভ্যূক্তম্।

তদ্বিষ্ণু পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয় দিবীব চক্ষুরাততম।।


➡️ শৈব আগমোক্ত দেহ শুচিমন্ত্র পাঠ করুন

(বেলপাতা দিয়ে সারা শরীরে জলের ছিটা দিবেন) 

ॐ অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সর্বাবস্থাং গতোঽপি বা ।

যঃ স্মরেৎ বৈ বিরূপাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ।।

ॐ নমঃ শিবায়, নমঃ শিবায়, নমঃ শিবায়।।


➡️ পুনরায় আচমন 

(ডান হাতের তালুতে জল নিয়ে তিন বার শুষে নেবেন)

ॐ ভূ স্বাহা,

ॐ ভূবঃ স্বাহা,

ॐ স্বঃ স্বাহা।।


➡️ পুষ্প শুদ্ধি  

(চন্দনের ছিটা দিয়ে তত্ত্ব মুদ্রায় পুষ্পের উপর হাত বুলিয়ে মন্ত্র পাঠ) 

ॐ পুষ্পে পুষ্পে মহাপুষ্পে সুপুষ্পে পুষ্পসম্ভবে।

পুষ্পহী চায়াব কীর্ণে চ হুং ফট স্বাহা।।


➡️ আসন শুদ্ধি 

( একটি ত্রিকোণ মণ্ডল এঁকে তার উপর দূর্বা,ফুল, চাল দিয়ে অর্চনা করতে হবে)

ॐ এতে গন্ধপুষ্পে আধারশক্তয়ে কমসনায় নমঃ

ॐ অনন্তায় নমঃ 

ॐ কূর্ম্মায় নমঃ

ॐ পৃথিবীয়ৈ নমঃ


আসন স্পর্শ করে পাঠ—

ॐ আসনমন্ত্রস্য মেরুপৃষ্ঠ ঋষিঃ সুতলং ছন্দঃ কূর্ম্মো দেবতা আসনপবেশনে বিনিয়োগঃ।।


হাত জোড় করে—

ॐ পৃথ্বি ত্বয়া ধৃতা লোকা দেবী ত্বং বিষ্ণুনা ধৃতা।

তঞ্চ ধারয় মাং নিত্যং পবিত্র কুরুচাসনম্।।

[তারপর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও পূজা করবেন]


প্রদীপ পূজা—

(চন্দন, ফুল ও চাল দিয়ে অর্চনা)

ॐ সুপ্রকাশো মহাদ্বীপায় নমঃ।(৩বার)


প্রদীপে অগ্নিকে আহবান—

(হাতে চন্দন,ফুল ও চাল নিয়ে)

যোবৈ রুদ্রঃ স ভগবান যশ্চ অগ্নি তস্মৈ বৈ নমো নমঃ।।

নমঃ আশবে চ আভিরোয় চ নমঃ শীঘ্র‍্যায় চ শীভ্যায় চ নমঃ ঊর্ম্মায় চ অবস্বন্যায় চ নমঃ নাদেয়ায় চ দ্বীপ্যায় চ।।


কর্পূর প্রদীপ প্রদান—

কর্পূরনির্মিত দীপং স্বর্ণপাত্রে নিবেশিতম্।

নীরাজিতং ময়া ভক্ত্যা গৃহাণ সুরেশ্বরী।।

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ কর্পূরদীপং নীরাজয়ামি।।


প্রণাম—

অগ্নিমীলে পুরোহিতং যজ্ঞস্য দেবমূত্বিজম্। হোতারং রত্নধাতমম্।

স নঃ পিতেব সূনবেহগ্নে সূপায়নো ভব। সচস্বা নঃ স্বস্তয়ে।


অগ্নি গায়ত্রী পাঠ—

ॐ মহাজ্বালয়ে বিদমহে অগ্নি মধ্যয় ধীমহি।

তন্নোঃ অগ্নি প্রচোদয়াৎ।।

ওম সপ্তজিহভায়া বিদ্মহে অগ্নি দেবা ধীমহি তন্নোঃ অগ্নিঃ প্রচোদয়াৎ।

বৈশ্বনারায় বিদ্মহে লালিলয় ধীমহি তন্নোঃ অগ্নিয়্যা প্রচোদয়াৎ।।


➡️ জলপাত্র পূজা 

( জলের ঘটিটা একটা আসনে বসিয়ে হাতে চাল, ফুল নিয়ে বরুণের আহবান) 

যোবৈ রুদ্রঃ স ভগবান যাশ্চাপস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ।।

ॐ শং নো দেবীরভিষ্ঠয়ে আপো ভবন্তু পীতয়ে।

শং যোরভি স্রবন্তু নঃ।।

ॐ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গদাবরি সরস্বতী 

নর্মদে সিন্দু কাবেরী জলহস্মিন সন্নিধিম কুরু।

ভগবান বরুণাগচ্ছ ত্বমস্মিন্ কলসৌ প্রভৌ

কুরুবেত্রৈব প্রতিষ্ঠাং ন জলানাং শুদ্ধিহেতবে।।


চন্দন মিশ্রিত ফুল চাল নিয়ে—

ॐ তত্বাষামি ব্রহ্মণা ব্বন্দমানস - তদা শাস্তে যজমানো হর্বিভিঃ ।

অহেডমানো বরুণেহ বোধ্য়ুুরুশ গুঙ্গ স মা নৎআযুঃ প্রমোষীঃ ।। (এই মন্ত্র বলে জলের মধ্যে দিয়ে দিবে) 


ডান হাতের অনামিকা আঙ্গুল জলপাত্রের সাথে স্পর্শ করে মন্ত্র পাঠ —

ॐ ভূর্ভুবঃ স্বঃ অস্মিন কলশে বরুণং সাংগং সপরিবারং সাযুধং সশক্তিকম আবাহযামি স্থাপযামি । 

ॐ অপাংপতয়ে বরুণায় নমঃ 


অঙ্কুশ মুদ্রা প্রদশর্ন করে মন্ত্র পাঠ—

ॐ পুনন্তু মা দেবজনাঃ পুনন্তু মনসা ধিয়ঃ । 

পুনন্তু বিশ্বা ভূতানি জাতবেদঃ পুনীহিমা ।।


➡️ শঙ্খ পূজা 

(ফুল, তিল, চন্দনের ফোটা দিয়ে অর্চনা) 

ॐ শঙ্খায় নমঃ। 


শঙ্খে জল ঢালতে হবে—

ॐ পৃথিব্যাং যানি তীর্থানি স্থাবরাণি চ রাণি চ। 

তানি তীর্থানি শঙ্খেস্মিন্ বিশান্তু ব্রহ্মশাসনম্।।


শঙ্খ মুদ্রা প্রদর্শন করে মন্ত্র পাঠ—

 (শঙ্খে দূর্ব্বা, তিল, তুলসী, বেলপাতা দিতে হবে)

ॐ পুরা সা গড়ুৎপন্নৌ বিষ্ণুণা বিদৃতঃ করে।

নির্মিতঃ সর্ব্বদেবেশ্চ পাঞ্চজন্য নমোস্তুতে।।

ॐ পাঞ্চজন্যায় বিদ্মহে পাবমানায় ধীমহি তন্নো শঙ্খঃ প্রচোদয়াৎ।।



➡️ তর্পণ

 ( কুশিতে জল নিয়ে তাম্রপাত্রে একটু একটু ঢেলে মন্ত্র পাঠ)

ॐ নমঃ আ-ব্রহ্মভুবনাল্লোকা, দেবর্ষি-পিতৃ-মানবাঃ

তৃপ্যন্তু পিতরঃ সর্ব্বে , মাতৃ-মাতামহাদয়ঃ ।

অতীত-কুলকোটীনাং, সপ্তদ্বীপ-নিবাসিনাং ।

ময়া দত্তেন তোয়েন, তৃপ্যন্তু ভুবনত্রয়ং ।।


ॐ দেবানাং তর্পয়ামি স্বাহা

ॐ দিকপতীনাং তর্পয়ামি স্বাহা

ॐ ঋষিনাং তর্পয়ামি স্বাহা

ॐ সিদ্ধানাং তর্পয়ামি স্বাহা

ॐ গ্রহনাং তর্পয়ামী স্বাহা

ॐ ভূতানাং তর্পয়ামী বৌষট্

ॐ পিতৃনাং তর্পয়ামি স্বধা

ॐ নমঃ আব্রহ্মস্তস্বপর্য্যন্তং জগৎ তৃপ্যতু


➡️ দিক বন্ধন 

(মন্ত্র বলে তিন তালি ও দশদিকে তুড়ি মেরে দশদিক বন্ধন করবেন)

ॐ যং হ্রঃ অস্ত্রায় ফট্।।


➡️ প্রাণায়াম (শরীরের দূষিত বায়ু নিশ্বাসের মাধ্যমে ত্যাগ করতে হবে)


পূরক— (ডান নাসাছিদ্র বন্ধ করে ধীরে ধীরে বাম নাসাছিদ্র দিয়ে বায়ু গ্রহণ করতে হবে বীজ মন্ত্র “ॐ নমঃ শিবায়” বা “ॐ” জপ ১৬ বার)


কুম্ভক— ( দুই নাসাছিদ্র বন্ধ করে বায়ুকে কন্ঠরুদ্ধ করে রেখে ৬৪ বার “ॐ নমঃ শিবায়” বা “ॐ” জপ)


রেচক— ( বাম নাসাছিদ্র বন্ধ করে ডান নাসাছিদ্র দিয়ে বায়ু ত্যাগ করতে হবে “ॐ নমঃ শিবায়” বা “ॐ”  জপ ৩২ বার) 


➡️ হাত জোড় করে

 ( পরমশিবের সাথে নিজেকে একাত্ম চিন্তা করতে হবে) 

শূণ্যং সর্বং নিরালম্বমপ্রেয়মগোচরম ।

অর্ধোধ্বান্তস্থমমৃতং স্রবন্তং চিন্তয়েৎ সদা ।

প্রণবেন সমাযুক্তাং শ্বেতোপদ্মোপরিস্থিতম্ ॥

শিবঃ ॐ ॥

➡️ ভূতশুদ্ধি

 ( হাতে জল নিয়ে চার দিকে ছিটিয়ে দিতে হবে) 

ॐ মূলশৃঙ্গাটাচ্ছিরঃ সুষুম্না পথেন জীবশিবং পরমশিব পদে যোজয়ামি স্বাহা।

ॐ যং লিঙ্গ শরীরং শোষয় স্বাহা।

ॐ রং সংকোচ শরীরং দহ দহ স্বাহা।

ॐ পরমশিবং সুষুম্নাপথেন মূলশৃঙ্গাটমুল্লসোল্লস জ্বল জ্বল প্রজ্বল প্রজ্বল হংসঃ সোহহং স্বাহা।।


➡️ করন্যাস ও অঙ্গন্যাস

 ( হাত জোড় করে) 

ॐ অস্য শ্রী শিব পঞ্চাক্ষরী মন্ত্রস্য বামদেব ঋষিঃ অনুষ্টপ ছন্দঃ শ্রী সদাশিব দেবতা শ্রী সদাশিব প্রীত্যর্থং ন্যাসে পূজনে চ বিনিয়োগঃ।।


ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করে—

বামদেব ঋষয়ে নমঃ শিরসে স্বাহা

অনুষ্টপ ছন্দসে নমঃ মুখে স্বাহা

শ্রী সদাশিব দেবতায়ৈ নমঃ ললাটে স্বাহা

ॐ নং তৎপুরুষায় নমঃ হৃদয়ে স্বাহা

ॐ মং অঘোরায় নমঃ পাদয়ো স্বাহা

ॐ শিং সদ্যোজাতায় নমঃ গুহ্যে স্বাহা

ॐ বং বামদেবায় নমঃ মূধ্ণি স্বাহা

ॐ যং ঈশানায় নমঃ শ্রোত্রে স্বাহা


করন্যাস—

ॐ যং ঈশানায় অঙ্গুষ্ঠাভ্যং নমঃ

ॐ বাং তৎপুরুষায় তর্জনীভ্যাং নমঃ

ॐ শিং অঘোরায় মধ্যমাভ্যাং নমঃ

ॐ মং বামদেবায় অনামিকাভ্যাং নমঃ

ॐ নং সদ্যোজাতায় কনিষ্ঠাভ্যাং নমঃ

ॐ ॐ প্রণবায় করতলপৃষ্ঠাভ্যাং নমঃ।।


অঙ্গন্যাস—

ॐ শিং অঘোরায় নমঃ হৃদয়ে

ॐ বাং তৎপুরুষায় নমঃ মুখে

ॐ যং ঈশানায় নমঃ মাথায়

ॐ মং বামদেবায় নমঃ গুহ্যে

ॐ নং সদ্যোজাতায় নমঃ পাদদ্বয়ে

ॐ ॐ প্রণবায় নমঃ সর্বঙ্গি।।


➡️ ত্রিপুণ্ড্র ধারণ 

( বাম হাতে ভস্ম, বিভূতি, খড়িমাটি, বেলগাছের নিচের মাটি ইত্যাদি নিয়ে ডান হাত দিয়ে ঢেকে মন্ত্র পাঠ) 

ॐ অগ্নিরিতি ভস্ম বায়ুরিতি ভস্ম জলমিতি ভস্ম স্থলমিতি ভস্ম ব্যোমেতি ভস্ম ভস্মেতি ভস্ম সর্বং হবা ইদং ভস্ম মন ইত্যেতানি চক্ষুসি ভস্মানি।


সামান্য জল মিশিয়ে মন্ত্র পাঠ— 

মা নাস্তোকে তনয়ে মা ন আয়ুষি মা নো গোষু মা নো অশ্বেষু রীরিষঃ।

মা নো বীরান রুদ্র ভাবিনো বধীরহ বিষ্মন্তঃ সদামিত্বা হবামহে।।


ত্রিপুণ্ড্র অঙ্কন— 

( শরীরের ৫ টি স্থানে ত্রিপুণ্ড্র অঙ্কর করবেন) 

ॐ ত্র‍্যায়ুষং জমদগ্নে কশ্যপস্য ত্র‍্যায়ুষম । 

যদদেবেষু ত্র‍্যায়ুষম তন্নোহস্ত ত্র‍্যায়ুষম‌ ॥

ॐ ত্র‍্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিম্ পুষ্টিবর্ধনম্ ।

উর্বারুকমিব-বন্ধনান্-মৃত্যোর-মুক্ষীয়-মামৃতাৎ ॥


➡️ রুদ্রাক্ষ ধারণ 

ॐ রুদ্রাক্ষ বৃক্ষবীজায় ভূতি সংভূতি হেতবে ।

নেত্র ত্রয়ায় রুদ্রায় নমো লোকহিতার্থিনে ॥


➡️ শিখা বন্ধন 

( ডান দিয়ে মাথার তালু স্পর্শ করে মন্ত্র) 

ॐ শ্রীং মহালক্ষ্যৈ বিদ্মহে মহাশ্রিয়ৈ ধীমহি তন্নোঃ শ্রীঃ প্রচোদয়াৎ॥" (১০ বার জপ) 


➡️ সূর্য্যার্ঘ্য প্রদান

 ( কুশিতে জল, লাল ফুল, চাল, দূর্ব্বা নিয়ে মন্ত্র পাঠ করে অর্ঘ্য প্রদান করতে হবে)

ॐ যোবৈ রুদ্র স ভগবান যশ্চ সূর্যস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ 

ॐ নমো বিবস্বতে ব্রহ্মণ্ ভাস্বতে বিষ্ণু তেজসে। 

জগৎ সবিত্রে শুচয়ে সবিত্রে কর্ম দায়িনে ইদং অর্ঘ্যং ওঁ শ্রী সূর্য্যায় নমঃ।

ॐ এহি সূর্য্য সহস্রাংশো তেজোরাশে জগৎপথে।

অনুকম্পায় মাং ভক্তং গৃহণার্ঘ্যং দিবাকরং।

প্রণাম— 

ॐ জবাকুসুম সঙ্কাশং কাশ্য পেয়ং মহাদ্যুতিং।

ধ্বান্তারিং সর্ব্বপাপঘ্ন প্রণতোহস্মি দিবাকর।।

ॐ ঈশান‌ সূর্যমূর্তয়ে নমো নমঃ ॥


➡️ স্বস্তিবাচন 

( ডান হাতের তিন আঙ্গুলে চাল নিয়ে তিন বার অর্চনা করবেন) 

ॐ স্বস্তি ভবন্তু ব্রুবন্তু 

ॐ স্বস্তি ভবন্তু ব্রুবন্তু 

ॐ স্বস্তি ভবন্তু ব্রুবন্তু 


হাত জোড় করে মন্ত্র পাঠ—

ॐ সোমং রাজানং বরুণামগ্নি মন্বার ভামহে।

আদিত্যং বিষ্ণুং সূর্য্যাং ব্রহ্মাণঞ্চ বৃহস্পতিম।

ॐ সূর্য্য সোম যমঃ কালঃ সন্ধিভূতঃন্যহক্ষপা পবনোদিকপতির্ভূমিরাকাশং খচরামরা। 

ব্রাহ্ম্যং শাসণামাস্থায় কল্পধ্বমিহ সন্নিধিম্।।

ॐ অয়মারম্ভ শুভায়ু ভবতু।। (৩ বার)।। 


➡️ সংকল্প 

( কুশিতে জল, বেলপাতা, তুলসী, দূর্ব্বা, চাল, ফুল, হরিতকী নিয়ে বাম হাতের উপর রেখে ডান হাত দিয়ে ঢেকে মন্ত্র বলে, মন্ত্র শেষে সবকিছু তাম্রপাত্রে ত্যাগ করতে হবে )

শিবঃ ॐ শিব শিব শম্ভোরাজ্ঞাযা প্রবর্তমানস্যাদ্যব্রহ্মণো দ্বিতীয পরার্ধে শ্বেতবরাহকল্পে বৈবস্বতমন্বংতরে কলিযুগে প্রথমপাদে জম্বূদ্বীপে আর্যাবর্তে বঙ্গদেশে বঙ্গখণ্ডে মেরোর্পূর্বদিগভাগে (এখানে আপনার জেলা,উপজেলা,গ্রামের নাম উল্লেখ করবেন) ব্যবহারিকচান্দ্রমানে ()বঙ্গাব্দে () মাসে () পক্ষে () ভাস্করে () শুভতিথৌ () গোত্রোৎপন্নোঽং মমোপাত্তদুরিতক্ষযদ্বারা শ্রীপার্বতীপরমেশ্বর প্রীত্যর্থং শিবলিঙ্গ(বা পূজনীয় দেব/দেবীর নাম) পূজাং করিষ্যে/করিষ্যামি।

[ঈশান কোণে একটু জল ত্যাগ করে বাকী জল তাম্রপাত্রে ত্যাগ করবেন]

[বি: দ্র:- ভারতের জন্য স্থান,কাল, পাত্র অনুযায়ী শব্দ পরিবর্তন করে সঙ্কল্প করবেন]


পরে সঙ্কল্প সুক্ত পাঠ করিবে এবং ঘণ্টা বাজাবে আর আতপ চাল ছড়াবে।

ॐ প্রযতঃ প্রণব নিত্যং পরমং পুরুষোত্তমম

ওঙ্কারং পরমাত্মনং তন্মে মনঃ শিব সঙ্কল্প মস্তু।।

পরাৎপরোতরো ব্রহ্মা তৎপরাতপরতো হরি

তৎপরাতপরতো ঈশ তন্মে মনঃ শিব সঙ্কল্প মস্তু।।

ॐ যজ্জাগ্রতো দূরমুদৈতি দৈবং তদু সুপ্তস্য তথৈবৈতি।

দূরঙ্গমং জ্যােতিষাং জ্যােতিরেকং তন্মে মনঃ শিবসঙ্কল্প মস্তু।।


➡️ লক্ষ্মীর ধ্যান

(ফুল নিয়ে প্রথমে কূর্মমুদ্রায় ধ্যান মন্ত্র পাঠ করে, সেই ফুলটা সহস্রারে রেখে পূণরায় মাতা লক্ষ্মীর ধ্যান মন্ত্র পাঠ করে, ৫ বা ১০ উপাচারে মানসিক পূজা করা)

ॐ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজসৃর্ণিভাৰ্য্যাম্যসৌম্যয়োঃ। 

পদ্মাসনস্থাং ধ্যায়েচ্চ শ্রীয়ং ত্রৈলোক্যমাতরম্।

গৌরবর্ণাং সুরূপাঞ্চ সর্ব্বালঙ্কারভূষিতাম্। 

রৌক্মপদ্মব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু।।


আহবান—

(আবাহন মুদ্রা প্রদর্শণ পূর্বক)

ॐ ভূর্ভূবঃ স্বঃ শ্রীং মাতা লক্ষ্মী ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ, ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ, ইহ সন্নিধেহি, ইহসন্নিরুধ্যস্ব অত্রাধিষ্ঠাং কুরু মম পূজা গৃহাণ।।


মা লক্ষ্মীর প্রণাম মন্ত্র—

নমো-বিশ্বরূপস্য ভার্য্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।

সৰ্ব্বতঃ পাহি মাং দেবি মহালক্ষ্মী নমোহস্তুতে।।

ত্রৈলোক্য পূজিতে দেবী কমলে বিষ্ণুবল্লভে।

যথাস্তং সুস্থিরা কৃষ্ণে তথা ভবময়ি স্থিরা।।

 ঈশ্বরী কমলা লক্ষ্মীশ্চলা ভূতি হরিপ্রিয়া।

পদ্মা পদ্মালয়া সম্পদ সৃষ্টি শ্রীপদ্মধারিণী।।

দ্বাদশৈতানি নামানি লক্ষ্মীং সম্পূজ্য যঃ পঠেত।

স্থিরা লক্ষ্মীর্ভবেৎ তস্য পুত্রদারারদিভিঃ সহ।।


(তারপর গুরু আর বিঘ্নহর্তা গণেশের পূজা করে, মূল পূজা শুরু করবেন)


গুরু ধ্যান ও পূজা —

(উপরোক্ত কূর্ম মুদ্রায় ফুল নিয়ে ধ্যান)

ॐ ব্রহ্মানন্দং পরমসুখদং কেবলং জ্ঞানমূর্তিং

দ্বন্দ্বাতীতং গগনসদৃশং তত্ত্বমস্যাদি লক্ষ্যম্‌।

একং নিত্যং বিমলমচলং সর্বধীসাক্ষীভূতং

ভাবাতীতং ত্রিগুণরহিতং সদগুরুং তং নমামি।।


পঞ্চপচারে পূজা —

ॐ এষ গন্ধঃ শ্রীগুরবে নমঃ।

ॐ ইদং সচন্দনপুষ্পং শ্রীগুরবে নমঃ।

ॐ ইদং সচন্দনবিল্বপত্রং শ্রীগুরবে নমঃ।

ॐ এষ ধূপঃ শ্রীগুরবে নমঃ।

ॐ এষ দীপঃ শ্রীগুরবে নমঃ।

ॐ ইদং নৈবেদ্যং শ্রীগুরবে নমঃ।


প্রণাম—

ॐ গুরুভ্যো নমঃ।

ॐ পরমগুরুভ্যো নমঃ।

ॐ পরাৎপর গুরুভ্যো নমঃ।

ওঁ পরমেষ্ঠি গুরুভ্যো নমঃ।

ॐ সমস্ত গুরুপাদগণেভ্যো নমঃ।

ॐ অখণ্ডমণ্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম্‌।

তৎপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।।

গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরু দেব মহেশ্বরঃ।

গুরু সাক্ষাৎ পরমব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।

ॐ শ্রীগুরু দক্ষিণামূর্তয়ে নমঃ ॥


বিঘ্নহর্তা গণেশের ধ্যান—

(উপরোক্ত কূর্ম মুদ্রায় ফুল বেলপাতা নিয়ে ধ্যান)

ॐ খর্ব্বং স্থুলতনুং গজেন্দ্রবদনং লম্বোদরং সুন্দরং,প্রস্যন্দন্মদগন্ধলুব্ধ মধুপব্যলোল গণ্ডস্থুলম্।

দন্তাঘাতবিদারিতারি-রুধিরৈঃ সিন্দুরশোভাকরং বন্দে শৈলসুতাসুতং গণপতিং সিদ্ধিপ্রদম কামদম্।।

আহবান—

ॐ ভূর্ভূবঃ স্বঃ গাং গণেশায় ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ, ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ, ইহ সন্নিধেহি, ইহসন্নিরুধ্যস্ব অত্রাধিষ্ঠাং কুরু মম পূজা গৃহাণ।।

পঞ্চপচারে পূজা—

গং এষ গন্ধঃ গণেশায় নমঃ।

গং ইদং সচন্দনপুষ্পং গণেশায় নমঃ।

গং এষ ধূপঃ গণেশায় নমঃ।

গং এষ দীপঃ গণেশায় নমঃ।

গং ইদং নৈবেদ্যং গণেশায় নমঃ।


[বি:দ্র:- কেউ চাইলে ১০ উপাচারেও পূজা করতে পারবেন]

প্রণাম—

ওঁ দেবেন্দ্র-মৌলি-মন্দার-মকরন্দ-কণারুণাঃ।

বিঘ্নং হরন্তু হেরম্বচরণাম্বুজরেণবঃ।।

একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননম্‌।

বিঘ্ননাশকরং দেবং হেরম্বং প্রণমাম্যহম্‌।।

সর্ব্ববিঘ্ন বিনাশায় সর্ব্বকল্যান হেতবে।

পার্ব্বতী প্রিয় পুত্রায় গণেশায় নমোহস্তুতে।।

বক্রতুণ্ড মহাকায় সূর্যকোটি সমপ্রভ।

নির্বিঘ্ন কুরু মে দেব সর্বকার্যেষু সর্বদা।।


[এবার একটি করে চন্দন মিশ্রিত ফুল শিব লিঙ্গে অর্পণ করবেন]

ॐ (বীজমন্ত্র) এতে গন্ধপুষ্পে শ্রীগুরবে নমঃ।

ॐ এতে গন্ধপুষ্পে গণেশায় নমঃ।

ॐ এতে গন্ধপুষ্পে কালভৈরবাদি উনিশাবতারেভ্যো নমঃ।

ॐ এতে গন্ধপুষ্পে শিবপঞ্চাবরণায় নমঃ ।

ॐ নমঃ শিবায় এতে গন্ধপুষ্পে শিবায় নমঃ।

ॐ এতে গন্ধপুষ্পে ঈশান শ্রীসূর্যায় নমঃ।

ॐ নমো নারায়ণায় এতে গন্ধপুষ্পে নারায়ণায় নমঃ।

ॐ হ্রীঁ এতে গন্ধপুষ্পে জয়দুর্গায়ৈ নমঃ।

ॐ এতে গন্ধপুষ্পে আদিত্যাদি-নবগ্রহেভ্যো নমঃ।

ॐ এতে গন্ধপুষ্পে ইন্দ্রাদি-দশদিকপালেভ্যো নমঃ।

ॐ এতে গন্ধপুষ্পে কাল্যাদি-দশমহাবিদ্যাভো নমঃ।

ॐ এতে গন্ধপুষ্পে মৎস্যাদি-দশাবতারেভ্যো নমঃ।

ॐ এতে গন্ধপুষ্পে সর্বেভ্যো দেবেভ্যো নমঃ।

ॐ এতে গন্ধপুষ্পে সর্বাভ্যো দেবীভ্যো নমঃ।


 মূল পূজা আরম্ভ 

(আবার কূর্ম্মমুদ্রায় ফুল নিয়ে  মাতা লক্ষ্মীর ধ্যান মন্ত্র পাঠ করে ফুলটা মা লক্ষ্মীর ঘট বা প্রতিমার সামনে অর্পণ করতে হবে)

ॐ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজসৃর্ণিভাৰ্য্যাম্যসৌম্যয়োঃ। 

পদ্মাসনস্থাং ধ্যায়েচ্চ শ্রীয়ং ত্রৈলোক্যমাতরম্।

গৌরবর্ণাং সুরূপাঞ্চ সর্ব্বালঙ্কারভূষিতাম্। 

রৌক্মপদ্মব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু।।


আহবান—

(আবাহন মুদ্রা প্রদর্শন পূর্বক)

ॐ ভূর্ভূবঃ স্বঃ শ্রীং মাতা লক্ষ্মী ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ, ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ, ইহ সন্নিধেহি, ইহসন্নিরুধ্যস্ব অত্রাধিষ্ঠাং কুরু মম পূজা গৃহাণ।।


➡️এবার উপাচারের পূজা করতে হবে (৫, ১০, ১৬ উপাচারে পূজা করা যায়)

আসন নিবেদন—

(আসন হিসেবে ফুল বা বেলপাতা দিবেন)

ॐ আসনং গৃহ্ন দেবী সদা বিজয় বর্দ্ধণ।

ত্রায়স্ব মে দেবী দীব্যস্থানঞ্চ দেহিমে ॥

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ আসনং সমর্পয়ামী।।


স্বাগত—

(হাত জোড় করে)

ॐ যস্যা দর্শনমিচ্ছন্তি দেবী স্বাভীষ্টসিদ্ধয়ে।

তস্যৈ তে মাতা স্বাগতং স্বাগতঞ্চ মে ।।

ॐ শ্রীং লক্ষ্মীদেব্যৈ মাতা স্বাগতম সু-স্বাগতম।।


পাদ্য—

(জল নিবেদন করবেন)

ॐ যদ্‌ ভক্তিলেশ সর্ম্পকাৎ পরমানন্দসংপ্লবঃ।

তস্মৈ তে সুরেশ্বরী পাদ্যং শুদ্ধায় কল্পয়ে ॥

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ পাদ্যং সমর্পয়ামী।।


অর্ঘ্য নিবেদন—

(চাল, দূর্ব্বা, ফুল অর্পন করবেন)

ॐ দুর্ব্বাক্ষত সমাযুক্তং বিল্বপত্রং তথাপরম্।

শোভনং শঙ্খপাত্রস্থং গৃহাণার্ঘ্যং সুরেশ্বরী ॥

ॐ তাপত্রয়হরং দিব্যং পরমানন্দলক্ষণম্।

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ অর্ঘ্যং সমর্পয়ামী।।


আচমনীয় নিবেদন—

(জল অর্পণ করবেন)

ॐ যদুচ্ছিষ্টমপিস্পৃষ্টং শুদ্ধিমেত্যখিল জগৎ।

তস্মৈমুখারবিন্দায় আচমনং কল্পয়ামি তে ॥

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ আচমনীয় জলং সমর্পয়ামী।।


মধুপর্ক নিবেদন—

ॐ তাপত্রয়বিনাশার্থম অখন্ডানন্দহেতবে।

মধুপর্কং দদামাদ্য প্রসিদ সুরেশ্বরী॥

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ সাধারমধুপর্ক সমর্পয়ামী।।


পুন-আচমনীয়—

(জল নিবেদন করবেন)

ॐ উচ্ছিষ্টমপ্যশুচিবা যস্য স্মরণমাত্রতঃ ।

শুদ্ধিমাপ্নোতি তস্মৈ তে পুনরাচমনীয়কম্ ।।

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ পুনআচমনীয় জলং সমর্পয়ামী।। 


গন্ধতৈল নিবেদন—

(সুগন্ধিতেল নিবেদন করবেন)

ॐ স্নেহং গৃহাণ স্নেহেন লোকানাং হিতকারিণি।

সর্বলোকেষু শুদ্ধ ত্বং দদামি স্নেহমুত্তমম্ ।।

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ গন্ধতৈলং সমর্পয়ামী।। 


স্নানীয় অর্পণ—

(জল নিবেদন করবেন)

ॐ জলঞ্চ শীতলং স্বচ্ছমিদংশুদ্ধং মনোহরম্।

স্নানার্থং তে ময়া ভক্ত্যা কল্পিতং প্রতিগৃহ্যতাম্ ।।

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ স্নানীয় জলং সমর্পয়ামী।। 


বস্ত্র নিবেদন—

(শাড়ী বা এক টুকরো পরিস্কার কাপড় নিবেদন করবেন)

ॐ মায়াচিত্র পটাচ্ছিন্ন নিজ গুহ্যোরুতেজসে। নিরাবরণবিঞ্জায় বাসস্তে কল্পয়াম্যাহম ॥

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ বস্ত্রং সমর্পয়ামী।। 


আভরণ—

(সাজগোছের সামগ্রী যেমন, আলতা, সিঁদুর, চিরুনী, আয়না, কাজল ইত্যাদি নিবেদন)

ॐ স্বভাবসুন্দরাঙ্গায় নানাশক্ত্যাশ্রয়ায় তে

ভূষণাণি বিচিত্রানি কল্পয়াম্যয়রার্চিত ।।

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ আভরণং সমর্পয়ামী।। 


গন্ধনিবেদন—

(ফুলে সুগন্ধি দ্রব্য বা চন্দন মিশিয়ে নিবেদন করুন)

ॐ পরমানন্দ সৌরভ্যপরিপূর্ণদিগন্তরম্ ।

গৃহাণ পরমং গন্ধং কৃপয়া সুরেশ্বরী।।

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ গন্ধং সমর্পয়ামী।।


পুষ্প নিবেদন—

(ফুল নিবেদন করুন)

ॐ পুষ্পং মনোহরং দিব্যং সুগন্ধি দেবনির্মিতম্। হৃদ্যমস্তুতমাঘ্রেয়ং দেবি দত্তং প্রগৃহ্যতাম্।।

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ পুষ্পং সমর্পয়ামী।।


বিল্বপত্র নিবেদন—

ॐ অমৃতোদ্ভবং শ্রীবৃক্ষং শঙ্করস্য সদাপ্রিয়ম্।

বিল্বপত্রং প্রযচ্ছামি পবিত্রং তে সুরেশ্বরী।।

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ বিল্বপত্রং সমর্পয়ামী।।


পুষ্পমাল্য নিবেদন—

(বিভিন্ন ফুল দিয়ে নির্মিত একটি মালা নিবেদন করুন)

ॐ সূত্রেণ গ্রথিতং মাল্যং নানাপুষ্পসমন্বিতম্।

গন্ধচন্দনসংযুক্তং গৃহাণ সুরেশ্বরী।।

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ পুষ্পমাল্যং সমর্পয়ামী।।


ধূপ নিবেদন—

ॐ বনস্পতিরসো দিব্যো গন্ধাঢ্যঃ সুমনোহরম্।

আঘ্রেয়ঃ সর্বদেবানাং ধূপোহয়ং প্রতিগৃহ্যতাম্ ।।

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ ধূপং সমর্পয়ামী।। 


দীপ নিবেদন—

ॐ অগ্নিজ্যোতী-রবিজ্যোতিশ্চন্দ্রজ্যোতিস্তথৈব চ ।

জ্যোতিষামুত্তমো দেবি দীপোহয়ং প্রতিগৃহ্যতাম্ ।।

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ দীপং সমর্পয়ামী।।


নৈবেদ্য নিবেদন—

ॐ নৈবেদ্যং বিবিধং দিব্যং সুমিষ্টং ফলমূলকম্।

শর্করাদিসমাযুক্তং চর্ব্যং চোষ্যং প্রগৃহ্যতাম্ ।।

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ নৈবেদ্যং সমর্পয়ামী।।


পানীয় নিবেদন—

(জল নিবেদন করুন)

ভজলঞ্চ শীতলং স্বচ্ছং সুগন্ধি সুমনোহরম্।

ময়া নিবেদিতং ভক্ত্যা পানীয়ং প্রতিগৃহ্যতাম্।।

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ পানীয়জলং সমর্পয়ামী।।


পুন-আচমনীয় নিবেদন— 

(জল নিবেদন করুন)

ॐ অশুচি শুচিতামেতি যৎস্পৃষ্টস্পর্শমাত্রতঃ।

অস্মিংস্তে বদনান্তোজে পুনরাচমীয়কম্।।

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ পুন-আচমনীয়জলং সমর্পয়ামী।।


তাম্বুল নিবেদন—

(পান নিবেদন করুন, সাথে এলাচ, লবঙ্গ দিয়ে)

ফলপত্রসমাযুক্তং কপুরেণ সুবাসিতম্।

ময়া নিবেদিতং ভক্ত্যা তাম্বুলং প্রতিগৃহ্যতাম্ ।।

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ তাম্বুলং সমর্পয়ামী।।


সর্বস্ব নিবেদন—

(মনে মনে নিজের সবকিছুই নিবেদন করুন)

ॐ শ্রীং মহালক্ষ্যৈ বিদ্মহে মহাশ্রিয়ৈ ধীমহি তন্নোঃ শ্রীঃ প্রচোদয়াৎ॥"

ॐ শ্রীং মাতা লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ সর্বস্ব সমর্পয়ামী।।


➡️ মা লক্ষ্মীর প্রণাম মন্ত্র—

(করজোড়ে মন্ত্র পাঠ করুন)

ॐ স বাহনায় লক্ষ্মী-নারায়ণায় নমো নমঃ।

নমো-বিশ্বরূপস্য ভার্য্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।

সৰ্ব্বতঃ পাহি মাং দেবি মহালক্ষ্মী নমোহস্তুতে।।

ত্রৈলোক্য পূজিতে দেবী কমলে বিষ্ণুবল্লভে।

যথাস্তং সুস্থিরা কৃষ্ণে তথা ভবময়ি স্থিরা।।

 ঈশ্বরী কমলা লক্ষ্মীশ্চলা ভূতি হরিপ্রিয়া।

পদ্মা পদ্মালয়া সম্পদ সৃষ্টি শ্রীপদ্মধারিণী।।

দ্বাদশৈতানি নামানি লক্ষ্মীং সম্পূজ্য যঃ পঠেত ।

স্থিরা লক্ষ্মীর্ভবেৎ তস্য পুত্রদারারদিভিংসহ ॥

নবপত্রিকায়ৈ দুর্গায়ৈ নমঃ শিবায়ৈ নমো নমঃ ॥


এরপর "ॐ ইন্দ্র ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ" প্রভৃতি মন্ত্রে ইন্দ্রের আবাহন ও ধ্যান করে "ওঁ ইন্দ্রায় নমঃ" মন্ত্রে (৫, ১০, ১৬) উপচারে পূজা করে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে প্রণাম করুন। 

ইন্দ্রের ধ্যান মন্ত্র,—

(ফুল নিয়ে কূর্ম্ম মুদ্রায় মন্ত্র পাঠ)

ॐ চতুৰ্দ্দন্তো গজারূঢ়ো ব্রজপাণি পুরন্দরঃ।

শচীপতিশ্চ ধাতব্যো নানাভরণভূষিতঃ।


পঞ্চপচারে পূজা—

ॐ এষ গন্ধঃ ইদ্রায় নমঃ।

ॐ ইদং সচন্দনপুষ্পং ইন্দ্রায় নমঃ।

ॐ ইদং সচন্দনবিল্বপত্রং ইন্দ্রায় নমঃ।

ॐ এষ ধূপঃ ইন্দ্রায় নমঃ।

ॐ এষ দীপঃ ইন্দ্রায় নমঃ।

ॐ ইদং নৈবেদ্যং ইন্দ্রায় নমঃ।

 পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র—

ॐ বিচিত্রৈরাবতাস্থায় ভাস্বৎকুলিশপাণয়ে। পৌলোম্যালিঙ্গিতায় সহস্রাক্ষায় তে নমঃ॥” 


ইন্দ্রের প্রণাম মন্ত্র—

“ॐ ইন্দ্রস্ত মহসা দীপ্তঃ সর্ব্বদেবাধিপ মহান।

বজ্রহস্তো মহাবাহুস্তস্মৈ নিত্যং নমো নমঃ ॥” 


এরপর “ॐ ধনকুবেরায় নমঃ" প্রভৃতি মন্ত্রে সাধ্যমত উপচারে কুবেরের পূজার্চনাদি করবেন। 


কুবেরের ধ্যান মন্ত্র—

(ফুল নিয়ে কূর্ম্ম মুদ্রায় মন্ত্র পাঠ)

"ॐ কুবেরং ধনদং খর্ব্ব দ্বিভূজং পীতবাসসম্।

প্রসন্নবদনং দেবং যক্ষগুহ্যক সেবিতম্ ॥" 

পঞ্চপচারে পূজা—

ঐঁ এষ গন্ধঃ কুবেরায় নমঃ।

ঐঁ ইদং সচন্দনপুষ্পং কুবেরায় নমঃ।

ঐঁ ইদং সচন্দনবিল্বপত্রং কুবেরায় নমঃ।

ঐঁ এষ ধূপঃ কুবেরায় নমঃ।

ঐঁ এষ দীপঃ কুবেরায় নমঃ।

ঐঁ ইদং নৈবেদ্যং কুবেরায় নমঃ।


কুবেরের প্রণাম মন্ত্র—

ॐ কুবেরায় নমস্তুভ্যং নিধিপদ্মাধিপায় চ ভবস্তু ত্বৎপ্রসাদান্মে ধনধান্যাদিসম্পদঃ।।


♦️ প্রভু স্বর্ণাকর্ষণ ভৈরবের উদ্দেশ্যে কিছু ফুল ও বেলপাতা শিবলিঙ্গে অর্পন করুন এই মন্ত্রে —


ॐ (ঐং লং ক্লীং ক্লীং ক্লীং হ্রীং হ্রীং হ্রীং সং বং) আপদ্ উদ্ধারণায় অজামল বদ্ধায় মম দারিদ্র দ্বেষণায় ॐ শ্রীমহাভৈরবায় নমঃ লোকেশ্বরায় স্বর্ণাকর্ষণ ভৈরবায় । 


♦️ কুলদেবতা, বাস্তুদেবতা, পিতৃপুরুষের, ইষ্টদেবের, গ্রাম্যদেবদেবীর উদ্দেশ্যে ফুল ও প্রণাম অর্পণ করুন শিবলিঙ্গে ।

মন্ত্র — 

ॐ কুলদেবতাভ্যো নমঃ ॥ ॐ ইষ্টদেবতাভ্যো নমঃ ॥ ॐ পিতৃগণেভ্যো নমঃ ॥ ॐ গ্রাম্যদেবদেবীভ্যো নমঃ ॥ পুষ্প সমর্পয়ামি ।


দক্ষিণা নিবেদন—

শিবঃ ॐ  তৎসদদ্য আশ্বিনেমাসি কন্যারাশিস্থে ভাস্করে শুক্লপক্ষে পৌর্ণমাস্যান্ত্রিথৌ অমুকগোত্রঃ(আপনার গোত্র) শ্রীঅমুকদেবশর্মা(আপনার নাম) কৃতৈতৎ শ্রীশ্রীকোজাগরীলক্ষ্মীপূজা প্রতিষ্ঠার্থং দক্ষিণামিদং কাঞ্চনমূল্যং রৌপ্যখণ্ডং (হরীতকী ফলং বা) শ্রীসাম্ব-সদাশিব অর্চিতং যথাসম্ভব গোত্রনাঙ্গে ব্রাহ্মণায়াহং সম্প্রদদে (অপরের হলে দদানি)।" 


এরপর ডানহাতে একগন্ডুষ জল নিয়ে পাঠ করুন—

ॐ কৃতৈতৎ শ্রীশ্রীলক্ষ্মীপূজাকৰ্ম্মাঙ্গীভূতহোমকৰ্ম্মাচ্ছিদ্রমস্তু।


এরপর বৈগুণ্য সমাধান করুন—

(কুশিতে ফুল, বেলপাতা, হরিতকী, চাল, দূর্ব্বা, তিল নিয়ে, কুশিটা বাম হাতের উপর রেখে ডান হাত দিয়ে ঢেকে মন্ত্র পাঠ করে ঈশানকোণে ত্যাগ করতে হবে)

শিবঃ ॐ তৎসদদ্য আশ্বিনেমাসি কন্যারাশিস্থে ভাস্করে শুক্লেপক্ষে পৌর্ণমাস্যান্তিথেী অমুকগোত্রঃ(আপনার গোত্র) শ্রীঅমুকদেবশর্মা(আপনার নাম) কৃতৈতৎ শ্রীশ্রীলক্ষ্মীপূজাকৰ্ম্মণি যদ্বৈগুণ্যং জাতং তদ্দোষপ্রশমনায় শ্রীশিবনামস্মরণমহং করিষ্যে।" 

এরপর "ॐ নমঃ শিবায়” মন্ত্র দশবার জপ করে অচ্ছিদ্রাবধারণ করুন।।


এরপর ভগবৎ প্রণাম করুন—

ॐ শিবে ভক্তিঃ শিবে ভক্তিঃ শিবের ভক্তির্ভবে ভবে।

অন্যথা শরণং নাস্তি ত্বমেব শরণং মম।। 


লক্ষ্মী প্রার্থনা মন্ত্র—

“ॐ বিশ্বরূপস্য ভার্য্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।

মহালক্ষ্মী নমস্তুভ্যং সুখরাত্রং কুরুত্ব মে।

বর্ষকালে মহাঘোরে যন্ময়া দুষ্কৃতং কৃতম্।

সুখরাত্রি প্রভাতহদ্য তন্মে লক্ষ্মীর্ব্যপোহতু।

যা লক্ষ্মীঃ সৰ্ব্বভূতানাং যা চ দেবেম্ববস্থিতা।

সংবৎসরপ্রিয়া যা চ সদাস্ত (মমাস্ত) সর্ব্বসুমঙ্গলা।

মাতা ত্বং সৰ্ব্বভূতানাং দেবানাং সৃষ্টিসম্ভবা

আয়াতা ভূতলে দেবী সুখরাত্রি নমোহস্তুতে।

বিষ্ণোর্বক্ষঃস্থিতা লক্ষ্মীঃ শিবয়ো পূজনে রতা ।

শিবয়ো শাসনে সা মে দিশতু কাঙ্ক্ষিতম্ ॥”


লক্ষ্মী পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র—

“ॐ শ্রীং লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ ॥ ॐ হ্রীং শিবায়ৈ নমঃ ॥

ॐ নমস্তে সর্ব্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে।

যা গতিস্তৎ প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াত্মদর্চ্চনাৎ।

লক্ষ্মী ত্বং ধ্যান্যরূপাসি প্রাণিনা প্রাণদায়িনি।

দারিদ্র্য দুঃখসংহন্ত্রী মহালক্ষ্মী নমোহস্তুতে।"


লক্ষ্মী প্রণাম মন্ত্র—

“ॐ বিশ্বরূপস্য ভার্য্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।

সৰ্ব্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোহস্তুতে।” 


আরতি প্রদান করুন —

(প্রত্যেকটি উপাচার মাতা লক্ষ্মীর সামনে যথা ক্রমে— পায়ের সামনে ৪ বার, মধ্যভাগে ২ বার,  মুখের সামনে ১ বার ও সম্পূর্ণ ৭ বার ঘড়ির কাটা যেদিক থেকে ঘোরে সেদিক থেকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আরতি প্রদান করুন)

উপাচার গুলো হলো— 

১. ধূপ

২. পঞ্চপ্রদীপ ও কর্পূর প্রদীপ

৩. চামর

৪. ময়ুর পেখমের পাখা

৫. ১ টুকরা রুমালের পরিমাপের সমান শুকনো কাপড় 


লক্ষ্মীর গায়ত্রী —

"ॐ শ্রীং মহালক্ষ্যৈ বিদ্মহে মহাশ্রিয়ৈ ধীমহি তন্নোঃ শ্রীঃ প্রচোদয়াৎ॥"


লক্ষ্মীস্তোত্রম্ —

লক্ষ্মীঃ শ্রীঃ কমলা বিদ্যা মাতা বিষ্ণুপ্রিয়া সতী।

পদ্মালয়া চ পদ্মাক্ষী পদ্মা চ পদ্মসুন্দরী।

ভূতানামীশ্বরী নিত্যা মাতা সত্যাগতা শুভা।

বিষ্ণুপত্নী মহাদেবী ক্ষীরোদতনয়া রমা।

অনন্তলোকলাভা চ ভূলীলা চ সুখপ্রদা।

রুক্মিণী চ তথা সীতা মা বৈ বেদবতী শুভা।

সতী সরস্বতী গৌরী শান্তিঃ স্বাহা স্বধা ধৃতিঃ।

নারায়ণী বরারোহা বিষ্ণোর্বিদ্যাবিধায়িনী।

এতানি পুণ্যনামানি প্রাতরুথায় যঃ পঠেৎ। 

মহাশ্রিয়মবাপ্নোতি ধনধান্যমকল্মষম্ ॥

সর্বরূপে নমঃ শিবায়ৈ ॥

-ইতি শ্রীলক্ষ্মীস্তোত্রম্ সম্পূর্ণম্-


ক্ষমা প্রার্থনা—

ॐ অপরাধ সহস্রাণি ক্রিয়ন্তেহহর্নিশং ময়া।

তানি সর্বাণি দেবী ক্ষমস্য সুরেশ্বরী।।

ॐ মন্ত্রহীনং ক্রিয়াহীনং ভক্তিহীনং সুরেশ্বরী। 

যদ্ পূজিতং ময়া দেবী পরিপূর্ণং তদস্তু মে।।


এবার জয় ধ্বনী দিন — 

বিষ্ণুজায়া মাতা লক্ষ্মী দেবীর........... জয়

পালনকারিনী মাতা রমা দেবীর......... জয়

লক্ষ্মীরূপী জগৎমাতা অম্বিকা দেবীর........... জয়


পূজা সম্পূর্ণ হলে এবার মাটিতে শুয়ে সোজাসুজি ভাবে দণ্ডবৎ প্রনাম করুন (শুধুমাত্র পুরুষ)। নারীদের জন্য হাত জোড় করে প্রণাম করলেই তা যথেষ্ট ।

অন্তিমা প্রসাদ বিতরণ করুন ।

জয় মা লক্ষ্মী দেবী 

জয় মা পার্বতী দেবী


— সম্পূর্ণ —


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ