পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শিব ভক্তি দ্বারা নিজ আত্মার উদ্ধার সম্ভব

  তস্মাৎ লব্ধ্বাপ্যলব্ধ্বা বা বর্ণধর্মং ময়েরিতম্। আশ্রিত্য মম ভক্তশ্চেৎস্বাত্মনাত্মানমুদ্ধরেৎ ॥২৫॥ [তথ্যসূত্র - শিবমহাপুরাণ/বায়বীয় সংহিতা/উত্তরখণ্ড/দশম অধ্যায় ] ♦️ সরলার্থ - আমার (পরমেশ্বর শিবের) দ্বারা বলা বর্ণ ধর্মকে পেয়ে বা না পেয়েও যে আমার শরণ নিয়ে আমার ভক্ত হয়ে যায়, সে নিজেই নিজে আত্মার উদ্ধার করে নেয়, এটি কোটি কোটি গুণের অধিক অলব্ধ লাভ হয়। ॐ নমঃ শিবায়  হর হর মহাদেব ॐ সাম্বসদাশিবায় নমঃ  ॐ দক্ষিণামূর্তয়ে নমঃ  শৈব সনাতন ধর্ম সদা বিজয়তে 🚩 সংগ্ৰহে ও লেখনীতে - অম্বিকানাথ শৈব দেবীজী 🚩 কপিরাইট ও প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT

শিবদৃষ্টি অনুসারে সংসার শিব থেকে অভিন্ন

  গোঃ স্তনাৎ ধাবতঃ ক্ষীরে বিকারস্তব এব হি। ন চ ন ক্ষীরমিত্যেষ ব্যপদেশোঽস্তি তৎক্ষণম্ ॥১৮॥ যত ইচ্ছতি তজ্জ্ঞাতুং কর্ত্তুং বা স্বেচ্ছযা ক্রিযাম্। তস্যাঃ পূর্বাপরৌ ভাগৌ কল্পনীযৌ পুরা হি (যৌ) ॥১৯॥ সরলার্থ - গোমাতার স্তন থেকে দুগ্ধ নিঃসরণ হবার পর সেই গোদুগ্ধকে গোমাতার বিকার বলা হয়। কিন্তু যেমন প্রথমক্ষণেই দুগ্ধ ভিন্ন সংজ্ঞা প্রাপ্ত করে, সেই প্রকারেই শিবের ইচ্ছায় এই সংসার শিব থেকেই উৎপন্ন হয়ে ভিন্ন প্রতীত হয় মাত্র। পরমার্থতঃ যেমন দুধ গোমাতা থেকে ভিন্ন অন্য কিছুই নয় তেমনি এই সংসার শিব থেকে ভিন্ন অন্য কিছু নয়(অর্থাৎ শিবের সহিত অভিন্ন)। (তথ্যসূত্র — রাধেশ্যাম চতুর্বেদী জী কর্তৃক অনূদিত - আচার্য সোমানন্দপাদ কর্তৃক রচিত ‘শিবদৃষ্টি’/প্রথম আহ্নিক) সংগ্ৰহে ও লেখনীতে - নমিতা রায় দেবীজী  🚩কপিরাইট ও প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT 

ভগবদ্গীতায় ‘পত্র, পুষ্প, জল, ফল’— মূলত কার উদ্দেশ্যে অর্পন করার নির্দেশ রয়েছে ? জেনে নিন

ছবি
  নমঃ শিবায়  বর্তমান সময়ে যোগ সম্পর্কে প্রায় সকল সনাতনী রা বিন্দুমাত্র অবগত নন, ফলে “ভগবদ্গীতা”-র নামে ভণ্ড বৈষ্ণবেরা চালিয়ে যাচ্ছে নিজস্ব ব্যক্তিগত মতামত, যার দরুন সমগ্র সনাতন ধর্মের মূল রূপের চেহারা বদলে গিয়ে নকল তথ্যের উপর মানুষের বিশ্বাস জন্মে যাচ্ছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে সকল সনাতনীর। কারণ, সনাতন ধর্মের সমস্ত শাস্ত্রের অন্তিম সিদ্ধান্ত হল — প্রভু শিব ই অদ্বিতীয় পরমেশ্বর পরমসত্ত্বা।  কিন্তু কলিযুগের প্রভাবে সকলেই এই সত্য থেকে বঞ্চিত, তারা প্রভু শিবকে ছেড়ে অন্য দেবতা বা শ্রীকৃষ্ণ কেই সর্বোচ্চ পরমসত্ত্বা হিসেবে ভেবে নিতে শুরু করেছে যা সনাতন ধর্মের মূল সিদ্ধান্তের বিপরীত । ভগবদ্গীতায় শ্রীকৃষ্ণ ‘আমি’ বলতে তার দেহের মধ্যে থাকা অন্তরস্থ ‘আত্মা’ কে সম্বোধন করে বুঝিয়েছেন।  সেই আত্মা সকল জীব দেহের মধ্যে স্থিত। এই আত্মা রূপে পরমেশ্বর শিব‌ই স্থিত। একথা স্বয়ং বেদ‌ই বলেছে।  তাই শ্রীকৃষ্ণ যেহেতু যোগযুক্ত অবস্থায় নিজের চেতনাকে শিবত্বে উন্নীত করে অর্জুন কে উপদেশ দিয়ে ছিলেন। তাই শ্রীকৃষ্ণের উক্ত অবস্থায় যা কিছু বানী নির্গত হয়েছিল তা পরমেশ্বর শিবের‌ই বাচক বলে গণ্য করতে হয়। আর এই কারণেই ভগবদ

গোপেশ্বর শিব নিয়ে বৈষ্ণবদের অপপ্রচারের ভণ্ডামীর হাড়ি গেল ভাঙ্গা

ছবি
নমঃ শিবায় ॥ বর্তমানে কলিযুগে পরমেশ্বর শিবের "গোপেশ্বর" স্বরূপ নিয়ে অনেক অপপ্রচার করেন বৈষ্ণবেরা।               বিশ্বে একমাত্র বৃন্দাবনে গোপেশ্বর মহাদেব মন্দির রয়েছে। পরমশৈব শ্রীকৃষ্ণের প্রপৌত্র বজ্রনাথ শাণ্ডিল্য ঋষি সহযোগে বৃন্দাবনে গোপেশ্বর মহাদেব মন্দিরের পুনরায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে। যেখানে ভগবান শিবকে গোপী রূপে পূজা করা হয়।   এই গোপেশ্বর মন্দির তৈরি হবার ঘটনা  বলতে গিয়ে বৈষ্ণবেরা সমস্ত সনাতনী দের কাছে যে চরম মিথ্যা কথা বলে অপপ্রচার করে সকলকে বিভ্রান্ত করে চলেছে সেটি প্রথমে উল্লেখ করা হচ্ছে।  কলির চর বৈষ্ণব দের অপদাবী হল ,  শারদ পূর্ণিমার রাতে পরম শৈব শ্রীকৃষ্ণ এবং শ্রী রাধা রানী গোপীদের সাথে রাস লীলা করার সময় ভগবান শিব রাস লীলার আনন্দ উপভোগ করার জন্য এর অংশীদার হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে ভগবান শিবকে যেতে বারণ করায় তিনি পবিত্র যমুনায় ডুব দিয়েছিলেন এবং একটি সুন্দরী গোপী রূপে আবির্ভূত হয়ে রাসমন্ডলে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং সেখানে পরমশৈব শ্রীকৃষ্ণ মহাদেবের ছদ্মবেশ রূপের সম্বন্ধে জানতে পেরে তিনি মহাদেবের গোপেশ্বর নাম রাখেন। 🔥  গোপেশ্বর কেন বিখ্যাত সেই আসল সত্যট

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

পরমেশ্বর শিব বৈষ্ণব নন