শিবজ্ঞানী শৈব ব্যক্তির জন্য আমিষ নিরামিষ খাদ্যের বিভাজন নেই
অভক্ষ্যং ব্রহ্মবিজ্ঞানবিহীনস্যৈব দেহিনঃ ।
ন সম্যগ্জ্ঞানিনস্তস্য স্বরূপং সকলং খলু ॥৭
অহমন্নং তথাঽন্নাদ ইতি হি ব্রহ্মবেদনম্ ।
ব্রহ্মবিদ্গ্রসতি জ্ঞানাৎসর্বং ব্রহ্মাত্মনৈব তু ॥৮
ব্রহ্মক্ষত্রাদিকং সর্বং যস্য স্যাদোদনং সদা ।
যস্যোপসেচনং মৃত্যুস্তজ্জ্ঞানী তাদৃশঃ খলু ॥৯
ব্রহ্মাস্বরূপং বিজ্ঞাতুর্জ্ঞানাত্তত্তস্য ভাসতে ।
তথা সতি জগদ্ভোজ্যং ভবেৎ বিজ্ঞানিনঃ খলু ॥১০
[তথ্যসূত্র : স্কন্দমহাপুরাণ/সূতসংহিতা/যজ্ঞবৈভবখণ্ড/পূর্বভাগ/৪৫ অধ্যায়]
🌷 অর্থ — ভক্ষ্য-অভক্ষ্য (আমিষ-নিরামিষ) -এর বিভাজন শুধুমাত্র তার জন্য প্রযোজ্য, যিনি ব্রহ্ম জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম হননি, যিনি নিজেকে শুধু দেহমাত্র ভাবেন। কিন্তু যিনি শিবজ্ঞান অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছেন তার জন্য এইসব খাদ্যবস্তুর বিভাজন নেই, কারণ(তিনি জানেন) সবকিছুই যে তারই আত্মস্বরূপ ॥৭
‘যা খাওয়া হয়, আর যিনি আহার করেন, সে আমিই’ - এটিই ব্রহ্মজ্ঞানী ব্যক্তির অনুভব ।জ্ঞানের ফলস্বরূপ ব্রহ্মজ্ঞানী ব্যক্তি ব্রহ্মরূপে দর্শন করে উভয় প্রকার খাদ্যই আহার করেন ॥৮
যার কাছে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় আদি সমস্ত জগত ভাতের মতো আর মৃত্যু শাকের মতো সেই পরমশিবকে অনুভবকারী শিবজ্ঞানীও তেমন হন ॥৯
বিজ্ঞাতা ব্যক্তির স্বরূপ আসলেই ব্রহ্ম, আর এটি জ্ঞান দ্বারা অজ্ঞান সরলেই জানা যায়, তাই শিবজ্ঞানীর জন্য সমগ্র জগত ই ভোজ্য ॥১০
🔥 সিদ্ধান্ত : শিবজ্ঞানী শৈবদের জন্য আমিষ নিরামিষ খাদ্যের ভাগাভাগি নেই। যারা শিবজ্ঞানী নয় তারাই নিরামিষ আমিষ নিয়ে গোঁড়ামি করে ।
✍️লেখনীতে — শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী
এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে পোষ্ট আসছে ভবিষ্যতে।
শৈব সনাতন ধর্ম সদা বিজয়তে 🚩
হর হর মহাদেব 🚩
#খাদ্যাভ্যাস #আমিষ #নিরামিষ #ISSGT #শৈবধর্ম #শৈব #সনাতন #সনাতনধর্ম #শিবজ্ঞানী #শৈবজ্ঞানী #স্কন্দমহাপুরাণ #সূতসংহিতা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন