অনিচ্ছাকৃত ভাবে কখনো গরুর মাংস ভক্ষণ করে ফেললে প্রায়শ্চিত্ত করুন সহজেই

 


॥ ॐ নমঃ শিবায় ॥

বর্তমান কলিযুগে মুসলিমরা সনাতনীদের ধর্মান্তরিত করবার জন্য নিজেদের হোটেল রেস্তোরাতে খাবারের সাথে গরুর মাংস মিশিয়ে দেয় বা চর্বি মিশিয়ে দেয় । 

নিজেদের অজান্তে অনেক সনাতনীরা সেই স্থানে আহার করতে গিয়ে গরুর মাংস ভক্ষণ করে ফেলে।

এদিকে সমাজে শাস্ত্রের শিবজ্ঞানের অভাবের কারণে কুসংস্কার প্রচলিত হয়েছে, বেশিরভাগ মানুষের এমন ধারণা হয়েছে যে, গোমাংস ভক্ষণ করা মাত্রই গরুর মাংস ভক্ষণকারী ব্যক্তি সনাতন ধর্ম থেকে বিচ্যুত হয়ে যান । অর্থাৎ, গরুর মাংস ভক্ষণ করলেই সনাতনীরা আর সনাতনী থাকেন না। এই কুসংস্কারের কথা মুসলিমরাও জানতে পেরে মুসলিমরা সনাতনীদের সনাতনধর্ম থেকে পৃথক করবার জন্য নিজেদের হোটেল রেস্তোরাতে খাবারের সাথে গরুর মাংস মিশিয়ে দেয় বা চর্বি মিশিয়ে দেয় । এমনকি মুসলিমেরা মনে করে যেহেতু তারা মুসলিমেরা গরুর মাংস খায়, সেই গোমাংসের পদার্থ তাদের শরীরেও মিশে থাকে, তাই তাদের শরীরের মধ্যে উৎপন্ন থুতুও গোমাংসের সংস্পর্শে আসে বলে ভেবে মুসলিমরা খাবারে তাদের মুখের থুতু মিশিয়ে দেয়। আর সেই খাদ্যবস্তু হিন্দু সনাতনী ব্যক্তিকে দেয়। হিন্দু সনাতনী ব্যক্তি সেই খাদ্য গ্রহণ করলেই মুসলিম রা আনন্দে আত্মহারা হয়ে ভাবতে থাকে কাফের (মূর্তিপূজক অমুসলিম) -দের ধর্মচ্যুত করতে মুসলিম ব্যক্তি সফল হয়েছে। এই ধরণের ধারণা করে মুসলিমরা আনন্দ পায়, আর ভাবতে থাকে যে এতে আল্লাহ খুব খুশি হয়েছেন। এসব ভাবনা মুসলিম দের নিজস্ব, তাদের স্বভাব ই হল অমুসলিম দের অনুভূতিতে আঘাত করে আনন্দ পাওয়া। সনাতনীদের গোমাংস বা থুতু মিশিয়ে খাইয়ে দিয়ে তারা  ভাবে সনাতনীদের ধর্মচ্যুত হয়ে গেছে।

কিন্তু এইরকম ভাবনা শুধুমাত্র কাল্পনিক তথা কুসংস্কার ছাড়া আর কিছু নয়। গরুর মাংস ভক্ষণ করলে পাপ হয়ে থাকে মাত্র, কিন্তু, ঐ গোমাংস ভক্ষণকারী ব্যক্তি কখনোই সনাতনধর্ম থেকে বিচ্যুত হন না । কারণ, আমাদের সনাতন ধর্মের কোনো শাস্ত্রে, গরুর মাংস ভক্ষণ করলে সনাতন ধর্ম থেকে বিচ্যুত হয়ে যায় বলে উল্লেখ করা হয়নি ।

তাই কোনো মুসলমান বা অন্য কেউ যদি চালাকি করে কোনো সনাতনী ব্যক্তিকে তার অজান্তেই গরুর মাংস খাইয়েও দেয় বা থুতু মিশিয়ে খাইয়ে দেয়, তাতে সেই সনাতনী ব্যক্তির ধর্ম চলে যায় না। কিন্তু শাস্ত্রে গো মাংস ভক্ষণ কে পাপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই যারা নিজের অজান্তে অনিচ্ছাকৃতভাবে গোমাংস ভক্ষণ করে ফেলে, তাদের কোনো দোষ হয় না, তথাপি মনে দুশ্চিন্তা থাকে, গো মাংস ভক্ষণ করে ফেললে অবশ্যই প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়। তাই শাস্ত্রের দেখানো মার্গ অনুসরণ করে এই প্রায়শ্চিত্তের কার্য করা যেতে পারে, যার দ্বারা সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হওয়া যায়, এমন কার্য করা সবচেয়ে উত্তম উপায় ।

শিবমহাপুরাণে বলা হয়েছে 👇 

স্নাপয়িত্বা বিধানেন যো লিঙ্গস্নপনোদকম্ ।

ত্রিঃপিবেৎত্রিবিধং পাপং তস্যেহাশু বিনশ্যতি ॥ ১৮

[তথ্যসূত্র : শিবমহাপুরাণ/বিদ্যেশ্বর সংহিতা/২২ অধ্যায়]

অর্থ — যিনি বিধি মেনে শিবলিঙ্গ কে স্নান করিয়ে সেই স্নানের জল তিনবার পান করেন, তার সমস্ত পাপ তৎক্ষণাৎ নষ্ট হয়ে যায় ।


সুতরাং, নিঃসন্দেহে শিব আরাধনা করে, শিবলিঙ্গকে স্নান করানো জল পান করুন, আপনার প্রায়শ্চিত্ত এখানেই, এখানেই আপনার সকল অনিচ্ছাকৃত পাপ নষ্ট হবেই হবে। কারণ, এটিই শাস্ত্র বচন ।


মুসলিমরা যদি আপনাকে আপনার অজান্তে বা আপনার পরিচিত কোনো ব্যক্তিকে গোমাংস ভক্ষণ করায় বা ঐ জাতীয় কোনো কিছু ‘থুতু’ ইত্যাদি মিলিয়ে খাইয়ে দিয়ে আপনি আপনার সনাতন ধর্ম হারিয়েছেন — এমন ভেবে আনন্দ পায়, তবে তাদের এই আনন্দ পাবার দিন শেষ। কারণ, অজান্তে যে কর্ম করা হয় তাতে ধর্মচ্যুত হয় না, বরং উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী কাজ করলে আপনার অজান্তে হ‌ওয়া পাপকার্যের সকল দোষ নিবারণ হয়ে যায়। তাই সনাতনী রা দুশ্চিন্তা করবেন না। জেনে শুনে গোমাংস ভক্ষণ করলে তার প্রায়শ্চিত্ত হয় না, কিন্তু অজান্তে গোমাংস ভক্ষণ করে ফেললে অবশ্য‌ই তার পাপ নিবারণ হয় ।

তবে বিশেষ পরামর্শ হিসেবে বলছি, আপনি যদি সনাতনী হিন্দু হয়ে থাকেন তবে সনাতনধর্মের বিরোধী মুসলমানদের দোকানে আহার করা বন্ধ করুন, তাদের পণ্য কেনা বন্ধ করুন। বিশ্বস্ত হিন্দু সনাতনী দের দোকানে আহার করুন, তাদের পণ্য কিনুন। এতে হিন্দু সনাতনী দের আর্থিক উন্নতিতে সহায়তা হবে, আপনার ধর্ম পথে বাধাবিপত্তিও উপস্থিত হবে না। 


শৈব সনাতন ধর্ম সদা বিজয়তে 🚩 

হর হর মহাদেব 🚩 


 সংশয় দূর করণে — শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী 

কপিরাইট ও প্রচারে — International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ