নন্দীর বানর মুখ হবার কারণ ও হনুমান অবতারের অজানা রহস্য
॥ ॐ নমঃ শিবায় ॥
ভূমিকা ঃ
বর্তমানে অনেকেই বলে থাকেন হনুমান জী নাকি শিবের অবতার । অনেকেই বলে থাকেন, ভগবান শিব শ্রী রামচন্দ্রের ভক্ত, তাই ভগবান শিব হনুমান রূপে অবতার নিয়ে শ্রী রামের ভক্ত, দূত, সেবক ইত্যাদি ইত্যাদি হয়েছেন। অনেকেই বলে থাকেন হনুমান জী একাদশ রুদ্রের অন্তর্গত কালাগ্নি রুদ্রের অবতার । এবিষয়ে আমাদের সনাতন ধর্মের শাস্ত্রে হনুমান জীর প্রকৃত স্বরূপ সম্পর্কে বলা হয়েছে।
মহাবলী মহাবীর বজরংবলী হনুমান জীর প্রকৃত স্বরূপ সম্পর্কে সেই শাস্ত্রের মতামত সম্পর্কে এবার আলোচনা করা হবে ।
ভগবান নন্দীর বানর মুখ হবার কারণ ও হনুমান অবতারের অজানা রহস্য
হনুমান জীর সম্পর্কে সরাসরি জানবার আগে, ভগবান নন্দীর বানর মুখ হবার প্রসঙ্গে আলোচনা করি, কারণ - এখানেই হনুমান জীর উৎপত্তি হবার মূল রহস্য লুকিয়ে আছে ।
স্কন্দমহাপুরাণের
মাহেশ্বর খণ্ডের কেদারখণ্ডের ৮ম অধ্যায়ের ৬০-৮৩ নং শ্লোকে বলা হয়েছে -
সকল দেবতা
রাবণের দ্বারা পীড়িত হয়ে কৈলাসে উপস্থিত হন, সেখানে নন্দী মহারাজের সাথে তাদের দেখা
হয়, তারা নন্দী মহারাজের মুখ 'বানর' -এর মতো হবার কারণ জানতে চাইলেন । এর উত্তর দিতে
গিয়ে নন্দী মহারাজ বলেন,
কোনো এক
সময়ে রাক্ষসরাজ রাবণ কুবের কে খুঁজতে খুঁজতে নন্দী মহারাজের সামনে এসে পড়েন । রাবণ
নিজের শক্তিবলের অহংকারে মত্ত হয়ে নন্দী মহারাজের মুখ বানরের মতো বলেছিলেন। অপমান
করবার উদ্দেশ্যে নন্দী মহারাজকে তাচ্ছিল্যভরে রাবণ এই কথা টি বলেছিলেন ।
মূলত, শিব
আরাধনা করবার কারনে পরমেশ্বর শিব নন্দী কে নিজের সারূপ্য দিয়েছিলেন অর্থাৎ শিবের মতো
রূপ দিয়েছিলেন। কিন্তু নন্দী মহারাজ তা নিতে অস্বীকার করেন। তিনি নিজের জন্য বানরের
মুখ চেয়ে বসেন । পরমেশ্বর শিব প্রসন্ন হয়ে কৃপাবশত তাই দিয়ে দেন। নন্দী মহারাজ
নিজেই বলেছেন, নিজের জন্য বানর মুখ চাওয়ার কারণ হল - যারা অভিমানহীন, দম্ভহীন
ও অপরিগ্রহ তারাই পরমেশ্বর শিবের প্রিয়, অন্যেরা শিবকৃপা থেকে বঞ্চিত ।
কিন্তু সেখানে
রাবণ নিজের জন্যে মহাদেবের কাছে শিবের পাঁচমুখের দ্বিগুণ অর্থাৎ দশটি মুখ চেয়ে বসেন
।
(ভাবার্থ
– নিজের সুন্দর শিবরূপ পেয়ে মনে অভিমান, দম্ভ, অহঙ্কারে পতিত হয়ে যাবার মতো ভয়ঙ্কর
মায়া আসতে পারে, সেই কারণে নন্দী মহারাজ নিজের জন্যে শিবরূপ না নিয়ে বরং বানরের রূপ
চেয়েছিলেন। উদার, ত্যাগ, ভক্তি, সমর্পণ, আসক্তিহীন ইত্যাদির উচ্চকোটির শিবভক্ত হবার সবথেকে সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ হলেন নন্দী
মহারাজ, এটিই তার প্রমাণ)
এই ভাবে
নন্দী মহারাজ বর্ণনা করে দেবতাদের বললেন, রাবণের অপমানজনক কথা শুনে নন্দী মহারাজ এই
ভাবে অভিশাপ দিলেন,
ঈদৃশান্যেব
বক্ত্রাণি যেষাং বৈ সম্ভবন্তি হি ।
তৈঃ সমেতো
যদা কোঽপি নরবর্যো মহাতপাঃ ।
মাং পুরস্কৃত্য
সহসা হনিষ্য ন সংশয় ।। ৮২
[স্কন্দমহাপুরাণ/মাহেশ্বর
খণ্ড/কেদারখণ্ড/৮অধ্যায়/৮২ শ্লোক]
অর্থ – যাদের
আমার মতো মুখ হবে(অর্থাৎ, যারা বানর) তাদের সাথে নিয়ে, কোনো এক মহাতপা নরশ্রেষ্ঠ(মানুষ)
আমাকে(বানরমুখযুক্ত নন্দী) সামনে নিয়ে রাবণ কে সংহার করবে। হে ব্রহ্মণ ! আমি রাবণ কে
এই ভাবে অভিশাপ দিলাম ।
🔴 বিশ্লেষণ ঃ নন্দী মহারাজ নিজেকে অভিমানশূন্য রাখবার উদ্দেশ্যে নিজের জন্য বানরের মুখ চেয়ে নিয়েছিলেন পরমেশ্বর শিবের কাছে। কিন্তু রাবণ নিজের শক্তির অহঙ্কারে গর্বিত হয়ে নন্দী মহারাজকে বানর মুখ বলে উপহাস করেছিলেন। এর ফলে রাবণ নন্দী মহারাজের কাছে 'বানর' দ্বারা সংহার হয়ে যাবার অভিশাপ দেন।
--------------------------------------------------------------------------------------
এবার হনুমান জীর অবতার রহস্যের বিষয়ে দেখা যাক ।
স্কন্দমহাপুরাণের মাহেশ্বর খণ্ডের কেদারখণ্ডের ৮ম অধ্যায়ের ৯৯-১০০ নং শ্লোকে বলা হয়েছে -
শিলাদতনয়ো নন্দী শিবস্যানুচরঃ প্রিয়ঃ ॥ ৯৯
যো বৈ চৈকাদশো রুদ্রো হনূমান স মহাকপিঃ ।
অবতীর্ণঃ সহয়ার্থং বিষ্ণোরমিততেজসঃ ॥ ১০০
(স্কন্দমহাপুরাণ/মাহেশ্বর খণ্ড/কেদারখণ্ড/৮ম অধ্যায়/৯৯-১০০ নং শ্লোক)
অর্থ — যিনি শিবের অনুচর এবং একাদশ রুদ্রের মধ্যে অন্যতম, সেই শিলাদ নন্দন নন্দী অমিততেজা বিষ্ণুর সাহায্য করবার জন্য মহাকপি হনুমান রূপে অবতীর্ণ হলেন ।
এছাড়াও বাল্মিকী রামায়ণে উল্লেখ করে বলা হয়েছে যখন মহাবলী মহাবীর হনুমান জী লঙ্কায় উপস্থিত হন তখন রাবণ আশঙ্কা করে ভাবছিলেন যে, এই বানর স্বয়ং নন্দী কি না, দেখুন 👇
শঙ্কাহতাত্মা দধ্যৌ স কপীন্দ্রং তেজসা বৃতম্ ।
কিমেষ ভগবান নন্দী ভবেৎ সাক্ষাদিহাগতঃ ॥ ২
যেন শপ্তোঽস্মি কৈলাসে ময়া প্রহসিতে পুরা ।..॥ ৩
[বাল্মীকি রামায়ণ/সুন্দরকাণ্ড/৫০ সর্গ/২-৩ শ্লোক]
অর্থ — আশঙ্কায় পরিপূর্ণ হয়ে রাবণ সেই তেজস্বী কপিবর হনুমানের বিষয়ে ভাবতে ভাবতে বিচার করতে লাগলে, রাবণ ভাবলেন ‘ এই বানরের রূপ ধরে কি সাক্ষাৎ ভগবান নন্দী উপস্থিত হয়েছেন নাকি ?!! যে নন্দীকে পূর্বকালে কৈলাস পর্বতে আমি উপহাস করে অপমানিত করবার কারণে নন্দী আমাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন, সেই নন্দী এখন এই লঙ্কা তে উপস্থিত হয়েছেন নাকি ?
🔴 বিশ্লেষণ ঃ নন্দী মহারাজ নিজের অভিশাপ কে সত্য করবার জন্য রাবণের বিনাশের হেতু নিজেই হনুমান রূপে অবতার নিয়েছেন বিষ্ণুর অবতার শ্রীরামচন্দ্র কে সহায়তা করবার জন্য । বাল্মিকী রামায়ণেও রাবণ হনুমান জী কে নন্দী মহারাজ বলেই সন্দেহ করেছেন। যা স্কন্দ মহাপুরাণের বচনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ।
--------------------------------------------------------------------------------------
(প্রশ্ন- ১) হনুমান তো শিবের অবতার, হনুমান কে কালাগ্নি রুদ্রের অংশ বলা হয়, তাহলে হনুমান কীভাবে নন্দীর অবতার হতে পারেন ?
উত্তর — হ্যা , অবশ্যই হনুমান জী নন্দী মহারাজের অবতার । পরমেশ্বর শিব সরাসরি হনুমান অবতার রূপে অবতরিত হননি । শিবলোকবাসী পরমেশ্বর শিব নিজের ডানদিক থেকে ব্রহ্মা কে, বামদিক থেকে বিষ্ণু কে সৃষ্টি করেছেন এবং নিজের হৃদয় থেকে সংহারকর্তা শ্রীরুদ্রদেব কে উৎপন্ন করেন । এই রুদ্রদেব কৈলাস পর্বতে বসে শিবের সকল কার্য করেন। রুদ্রদেব হলেন পরমেশ্বর শিবের পূর্ণ অবতার। তাই তাকেও শিব বলা হয়ে থাকে।
ব্রহ্মা হলেন পৃথিবী তত্ত্বের প্রকাশক, তাই তিনি সৃষ্টিকর্তা।
বিষ্ণু হলেন জল তত্ত্বের প্রকাশক, তাই তিনি পালন কর্তা ।
আর শ্রীরুদ্রদেব হলেন সকলের জন্য কালরূপী অগ্নিতত্ত্বের প্রকাশক, এর মাধ্যমে তিনি সংহার করেন।
তাই এনাকে কালরুদ্র বা কালাগ্নি রুদ্র বলা হয় ।
শাস্ত্র চর্চা না থাকার ফলে আমাদের সনাতনী সমাজ আজ এই বিষয়ে অবগত নন। কৈলাসবাসী শ্রীরুদ্রদেবের ১১জন অনুচর আছেন, তাদের একাদশ রুদ্র বলা হয়। এই একাদশ রুদ্রগণ কৈলাসপতি রুদ্রদেবের অংশস্বরূপ থেকেই উৎপন্ন হয়েছেন । এনারা সর্বদা শ্রীরুদ্রদেবের সাথে ঘিরে থেকে বিচরণ করেন। এই কালাগ্নিরুদ্রের অংশাবতার একাদশ রুদ্রের মধ্যে একজন হলেন শ্রীনন্দী মহারাজ । শিবমহাপুরাণের শতরুদ্র সংহিতার ৭ নং অধ্যায়ের মধ্যে বলা হয়েছে , পরমেশ্বর রুদ্রদেব তার ভক্ত শিলাদমুনি কে অযোনিজ পুত্রের বরদান দিতে গিয়ে নিজেই নন্দী অবতার রূপে প্রকট হন।
পরবর্তীতে, এই নন্দী মহারাজ পরমেশ্বর রুদ্র কে প্রসন্ন করে চিরকালের জন্য কৈলাসে রুদ্রদেবের দ্বারপাল তথা শৈবধর্মের প্রকাশক হয়ে ওঠেন । এইভাবেই ঘটনাচক্রে রাবণ নন্দী মহারাজের কাছে উপস্থিত হন, রাবণ তাকে অপমান করলে অভিশপ্ত হন। নন্দী মহারাজ নিজের বাক্য কে সত্য করবার জন্য হনুমান রূপে অবতার নিয়ে মর্তে এসে শ্রী রামকে সহায়তা করেন।
কারণ, পরমেশ্বর শিবের বাহন বৃষভরূপে নন্দীমহারাজ সাক্ষাৎ ‘সনাতন ধর্ম’ । তাই ধর্ম রক্ষার্থে নন্দী মহারাজ স্বয়ং ধর্মাবতার হনুমান রূপে প্রকট হয়ে ধর্মকে রক্ষা করেছেন।
তাই পবনপুত্র হনুমান রূপে নন্দী মহারাজ অবতীর্ণ হয়েছিলেন, এ কথা সদা সত্য ।
(প্রশ্ন - ২) তাহলে নন্দী মহারাজ একজন শিবভক্ত হয়ে কিভাবে বিষ্ণুরূপী রামের ভক্ত হয়ে গেলেন ? এর দ্বারা কি নন্দীর বিষ্ণুভক্তির প্রমাণ হয়ে গেল না ?
উত্তর — হ্যা , আপনার প্রশ্ন অবশ্যই যুক্তিযুক্ত। তবে নন্দী মহারাজ হনুমানরূপ ধরেও পরমেশ্বর শিবেরই সেবা করে গিয়েছেন, তা প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ ; তিনি উভয়ভাবেই পরমেশ্বর শিবের ভজনা করেছেন । প্রত্যক্ষ ভাবে তিনি শ্রীরামের দূত হয়েছেন, শ্রীরামের সেবক হয়েছে, শ্রীরামের ভক্ত হয়েছেন, এগুলি সবই সত্য। তবে সবচেয়ে বড় সত্য হল ঐ রামচন্দ্র হলেন বিষ্ণুর অবতার, আর ঐ শ্রীবিষ্ণুর রূপ ধারণ করে দেবদেব মহাদেবই লীলা করছেন, সাধারণ মানুষ তা মায়ার প্রভাবে জানতে পারে না ।
ঐ একই অধ্যায় থেকে প্রমাণ দেখুন 👇
দেবদেবো মহাদেবো বিষ্ণুরূপী মহেশ্বরঃ ।..॥ ৮৫
(স্কন্দমহাপুরাণ/মাহেশ্বর খণ্ড/কেদারখণ্ড/৮ম অধ্যায়/৮৫ নং শ্লোক)
অর্থ — আপনারা জেনে রাখুন - দেবদেব মহাদেবই বিষ্ণুরূপধারী মহেশ্বর ॥ ৮৫
একই কথা বেদেও বলা হয়েছে, পরমেশ্বর শিবই বিষ্ণুর রূপ ধারণ করে লীলা করছেন,
দেখুন —
[অথর্বশির উপনিষদ/২ নং অনুবাক/ ২ নং মন্ত্র]
অর্থ — যিনি বিষ্ণুরূপ ধারণ করে অনন্ত জগতকে পালন করছেন সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি।।
রুদ্রো বিষ্ণুরুমা লক্ষ্মীস্তস্মৈ তস্মৈ নমো নমঃ ॥ ১৮
[কৃষ্ণ-যজুর্বেদ/রুদ্রহৃদয় উপনিষদ]
অর্থ — বিষ্ণুরূপ ধারণকারী রুদ্রকে প্রণাম, লক্ষ্মীরূপ ধারণকারী পরা-উমাকে প্রণাম।।১৮।।
🔵 শতরুদ্রিয় সূক্তে পরমেশ্বর শিবকে বিষ্ণুর রূপধারী বলা হয় “নমো গিরিশয়ায় চ শিপিবিষ্টায়” [শুক্ল-যজুর্বেদ/অধ্যায় ১৬/২৯ নং মন্ত্র]
এবার বেদ থেকে শেষতম প্রমাণ দিয়ে দেখাবো, শ্রীরামচন্দ্র নিজেই হনুমান জী কে রাম সহ সকলের অন্তরাত্মা মূলত শিব - এটি বলেছেন, প্রমাণ দেখুন —
ঊর্ধ্বপূর্ণমধঃপূর্ণং মধ্যপূর্ণং শিবাত্মকম্ ।
সাক্ষাদ্বিধিমুখো হ্যেষ সমাধিঃ পারমার্থিকঃ ॥৫৬॥
[শুক্ল-যজুর্বেদ/মুক্তিকা উপনিষদ/ ২ অধ্যায়/৫৬ মন্ত্র]
অর্থ — এই সমাধিতে উপরে, নীচে এবং মাঝখানে- সর্বত্র ব্রহ্মসংজ্ঞায়িত শিবেরই স্বরূপ উপলব্ধি করা হয়; এই সমাধি হল চূড়ান্ত লক্ষ্য, একেই পরমার্থিক বলে জানবে, অর্থাৎ ইহাই একমাত্র মুক্তির প্রকৃত রূপ, এটি সরাসরি ব্রহ্মার মুখ থেকে উপদেশ দেওয়া হয়েছে ॥ ৫৬ ॥
তাই নন্দী মহারাজ হনুমান রূপে অবতীর্ণ হয়েও প্রকৃতপক্ষে পরমেশ্বর শিবেরই সেবা করেছেন, আর অন্য কারোর নয়।
এক কথায় বলা যেতে পারে, পরমেশ্বর শিব ও নন্দী মহারাজ অন্য রূপে জগতের সকলের কাছে ভগবান ও ভক্তের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ প্রস্তুত করেছেন । এতে না নন্দী মহারাজ শিবভক্তির পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছেন আর না পরমেশ্বর শিবের মহিমা ক্ষুণ্ণ হয়েছে ।
বরং সবকিছুই যে শিবলীলা তা প্রমাণিত হয়ে গেল বারংবার ।
এখানেই এই প্রবন্ধ টি সমাপ্ত হল ।
হনুমান জীর জয়
নন্দী মহারাজের জয়
শ্রীরামচন্দ্রের জয়
পরমেশ্বর শিবের জয়
শৈব সনাতন ধর্ম সদা বিজয়তে 🚩
হর হর মহাদেব 🚩
লেখনীতে — ©শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী
কপিরাইট ও প্রচারে — International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT
https://archive.org/details/brihad-naradiya-puranam-sanskrit-hindi-by-tarinish-jha/page/n708/mode/1up?view=theater
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন