শাস্ত্র অনুযায়ী - পরমেশ্বর শিবের দিব্য দেহ কি বৃদ্ধের মতো ?

 


॥ ॐ নমঃ শিবায় ॥

ভূমিকা —

বর্তমান কালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এমন দুরাবস্থা হয়েছে যে, সঠিক বিচার বিবেচনা করবার মতো বুদ্ধিটুকুও যেন ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে। প্রভু শিব‌ই যে অদ্বিতীয় পরমেশ্বর তা তো মানুষ ভুলতে বসেছে, তার উপরে পরমেশ্বর শিবের প্রকৃত রূপ কেমন সে সম্পর্কেও ভুলে গিয়েছে । সনাতনী দের আস্থা টিকে আছে সনাতন ধর্মের শাস্ত্রের উপর নির্ভর করে। পূজার্চনার বিধিবিধান, পারলৌকিক ক্রিয়া, তপ‌-সাধনা, দেবদেবীর মাহাত্ম্য ও পরিচয় ইত্যাদি সকল কিছুর প্রমাণ হিসেবে সনাতনী দের কাছে শাস্ত্র ই হল একমাত্র সহায়। 

সেই শাস্ত্রে পরমেশ্বর শিবের রূপ কেমন তা বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু শাস্ত্রের জ্ঞান থেকে বর্তমানের সনাতনীরা অনেক দূরে। ফলে কিছু শিব বিদ্বেষী মনোভাবের ধূর্ত ব্যক্তিগণ নতুন নতুন কাব্য রচনা করে সমাজে সাধারণ মানুষের কাছে পরমেশ্বর শিবের বিকৃত রূপকে প্রচার করে বেড়িয়েছে। ফলে পরমেশ্বর শিবের রূপ সমাজে বিরাট মোটা গোঁফ ওয়ালা, বিরাট ভুড়ি পেটধারী বৃদ্ধ বয়স্ক ব্যক্তির মতো হয়ে গিয়েছে।  আর সেই রকম বয়স্ক ব্যক্তির মতো রূপ দিয়ে শিবপ্রতিমা বিগ্রহ তৈরি করে তার পূজার্চনা করা হচ্ছে। কিন্তু এটি কতটুকু শাস্ত্র অনুযায়ী সঠিক তা বিচার করা হবে ।

________________________________________________


শাস্ত্র অনুযায়ী - পরমেশ্বর শিবের দিব্য দেহ কি বৃদ্ধের মতো  ?  


পরমেশ্বর শিব  নিরাকার নির্গুণ পরমব্রহ্ম পরমশিব। কিন্তু তিনি যখন নিজের জন্য কোনো রূপ কল্পনা করেন তখন তিনি একমাত্র আর একমাত্র‌‌ই পাঁচমুখ দশহাত যুক্ত শ্বেতবর্ণের দিব্যদেহ রূপে প্রকট হন । একথা সনাতন ধর্মের শাস্ত্রের‌ই বচন, কিন্তু বর্তমানে খ্রিষ্টীয় ২০২৫ সালের সময়কালে আমাদের ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় দিকে, বিশেষ করে আমাদের সমগ্র বাংলাতে পরমেশ্বর শিব কে বৃদ্ধ রূপের ব্যক্তি হিসেবে পরমেশ্বর শিবের মূর্তি ও ছবি বানিয়ে তাকে শিব বিগ্রহ প্রতিমা বলে পূজা করা হয়ে আসছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন সেই বৃদ্ধ রুপিগ্রহ আরো বিকৃত করা হচ্ছে, আমরা শৈব রা এই ধরণের বৃদ্ধরূপী বিগ্রহ দেখে প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন অপযুক্তির সম্মুখীন হ‌ই, সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা প্রশ্ন ও উত্তর -এর এর মাধ্যমে দেওয়া হবে। শাস্ত্রজ্ঞানহীন‌ ব্যক্তির পক্ষ থেকে প্রশ্ন উপস্থাপন হয়েছে এবং সেই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী।


(প্রশ্ন) অম্বিকাপতি শিবের তো নির্দিষ্ট কোনো রূপ নেই, সব রূপ‌ই তার। তাহলের শিবকে বৃদ্ধের রূপের মতো ছবি বা প্রতিমা বানিয়ে পূজা করলে কি সমস্যা হবে ?


উত্তর — (শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী বললেন) আপনি ঠিক বলেছেন সব রূপ‌ই পরমেশ্বর শিবের‌ই। কিন্তু শাস্ত্রে বলা হয়েছে ঐ পরতত্ত্ব পরমব্রহ্ম শিব যখন‌ই সাকার রূপ ধারণ করেন তখন তিনি সাম্ব, ত্রিলোচন, নীলকন্ঠ, জটাধারী, শ্বেত/শুভ্র/শুক্ল বর্ণের দিব্য দেহ‌ই ধারণ করেন প্রকট হন । ইহাই পরমেশ্বর শিবের সাকার দেহ । একথা স্বয়ং সনাতন শাস্ত্রের বচন । দেখুন 👇

নির্বিকল্পে পরে তত্ত্বে শ্রদ্ধা যেষাং বিজায়তে ।

অত্যন্তসিদ্ধা পরমা মুক্তিস্তেষাং ন সংশয়ঃ ॥ ৪৫

নির্বিকল্পং পরং তত্ত্বং নাম সাক্ষাৎ শিবঃ পরঃ ।

সোঽয়ং সাম্বস্ত্রিনেত্র চন্দ্রার্ধকৃতশেখরঃ ॥ ৪৬

স্বাত্মতত্ত্বসুখস্ফূর্তিপ্রমোদাত্তাণ্ডবপ্রিয়ঃ ।

রুদ্রবিষ্ণুপ্রজানাথৈরূপাস্যো গুণমূর্তিভিঃ ॥ ৪৭

ইদৃশী পরমা মূর্তির্যস্যাসাধারণী সদা ।

তদ্ধি সাক্ষাৎপরং তত্ত্বং নান্যৎ সত্যং ময়োদিতম্ ॥ ৪৮

বিষ্ণুং ব্রহ্মাণমন্যং বা স্বমোহান্মন্বতে পরম্ ।

ন তেষাং মুক্তিরেষাঽস্তি ততস্তে ন পরং পদম্ ॥ ৪৯

তস্মাদেষা পরা মূর্তির্যস্যাসাধারণী ভবেৎ ।

স শিবঃ সচ্চিদানন্দঃ সাক্ষাত্তত্ত্বং ন চাপরঃ ॥ ৫০

[স্কন্দমহাপুরাণ/সূতসংহিতা/যজ্ঞবৈভবখণ্ড/উপরিভাগের/(সূতগীতা) ২য় অধ্যায়/৪৫-৫০ নং শ্লোক]

অর্থ — নির্বিকল্প পরমতত্ত্বতে যার শ্রদ্ধা হয়, তিনি বিনা প্রয়াস করেই মোক্ষ পেয়ে যান ॥৪৫
নির্বিকল্প পরমতত্ত্ব হলেন স্বয়ং প্রভু পরমশিব , তিনি নিজের প্রকাশিত লীলাবিগ্রহ তে সাম্ব(অম্বা সহিত), ত্রিলোচন, চন্দ্রমৌলি রূপধারী ॥৪৬
নিজ আত্মরূপ, সুখাভিন্ন, স্ফুর্তিলক্ষণ প্রমোদ দ্বারা তিনিই তাণ্ডব প্রিয়, রুদ্রাদি গুণোপাধি মূর্তির‌ও তিনি(শিব‌ই) উপাস্য ॥৪৭
এরকম পরমমূর্তি যার তিনিই সাক্ষাৎ পরমতত্ত্ব, অন্য কেউ নয় ॥৪৮
বিষ্ণু, ব্রহ্মাদি কে পরতত্ত্ব ভাবা মূলত অজ্ঞান, তাই এমন অজ্ঞানতার বিষয় ভাবতে থাকা ব্যক্তি কখনোই মুক্তি লাভ করতে পারে না ॥৪৯
অতঃ শিব , যার সাম্ব আদি মূর্তি বিশেষ রয়েছে তিনিই সচ্চিদানন্দরূপ সাক্ষাৎ পরমতত্ত্ব, অন্য কেউ নয় ॥৫০


                                                   — উপরোক্ত শাস্ত্রের প্রমাণ থেকে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, পরমতত্ত্ব বলে যাকে চিহ্নিত করে থাকে মানুষ, সেইই পরমতত্ত্ব মূলত পরমেশ্বর পরমশিব‌ই নিজে স্বয়ং। আর সেই নির্বিকল্প নিরাকার নির্গুণ পরমব্রহ্ম পরমশিব যখন নিজের লীলা প্রকট করবার জন্য মূর্তি অর্থাৎ সাকার রূপ ধারণ করেন তখন তিনি অম্বিকাপতি, জটাধারী, তিনটি চক্ষু সম্পন্ন, জোটাতে চন্দ্রকে ধারণকারী এমন রূপ তিনি ধারণ করেন, পরমতত্ত্ব পরমশিব নিজের রূপ হিসেবে একমাত্র এই রূপ ছাড়া অন্য কোন রূপ ধারণ করেন না। সুতরাং পরমেশ্বর শিবের বহু রূপ হলেও তিনি নিজের জন্য নির্দিষ্ট একটি রূপ চয়ন করে সেই রূপের দ্বারাই জগতে নিজের লীলা কে বিস্তার করেছেন । 

এবার দেখে নেওয়া যাক, সেই অম্বিকা পতি ত্রিলোচন চন্দ্রশেখর শিবের দিব্যদেহ বৃদ্ধের মতো কি না !!


♦️ পরমেশ্বর শিবের দিব্য দেহের বর্ণনা করতে গিয়ে পদ্মপুরাণ পরমেশ্বর শিবের চেহারাকে ১৬ বর্ষীয় কিশোর-যুবকের মতো বলেই বর্ণনা করেছে। 

প্রমাণ দেখুন 👇 

দ্ব্যষ্টবর্ষবয়া ভূত্বা সুস্নিগ্ধকচবন্ধনঃ ।

সুস্নিগ্ধচারুনয়নো গোক্ষীরসমবিগ্রহ ॥ ১৩১

কোটিকন্দর্পলাবণ্যঃ সর্বাভরণভূষিতঃ ।

স্বপার্শ্বস্থিতনার্য্যংসে প্রসারিতভূজদ্বয়ঃ ॥ ১৩২

[নবভারত প্রকাশিত - পদ্মপুরাণ/ পাতালখণ্ড/৬৮ অধ্যায়/১৩১-১৩২ শ্লোক]

অর্থ — (ব্রাহ্মণ বেশধারী পরমেশ্বর শিব তার ওই বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ বেশ ত্যাগ করে) নিজের ষোলো বর্ষের যুবক পুরুষরূপ ধারণ করলেন, করলে তার গো দুগ্ধ তুল্য শ্বেত পুরুষ মূর্তিতে কোটি কন্দর্পের লাবণ্য উদ্ভাসিত হতে লাগলো। তার কেশপাশ সুচিক্কণ, অঙ্গে সর্বপ্রকার অলংকার, তিনি পার্শ্ববর্ত্তিনী রমণীর (নারীরূপধারী বিষ্ণুর) কাঁধে নিজের দুই হাত বাড়িয়ে রাখলেন, যেমনটি তিনি পার্বতীর কাঁধে হাত রেখে গান করেন সেভাবেই মন্দ মন্দ গান করতে লাগলেন।


♦️গরুড় পুরাণেও পরমেশ্বর শিবের ধ্যান করবার সময় তার রূপ বর্ণনা করবার সময়ে শিবের দিব্য চেহারা ১৬ বছর বয়সী চিরযৌবনময় পুরুষের ন্যায় বলা হয়েছে ।

প্রমাণ দেখুন 👇 

বদ্ধ‌াপদ্মাসনাসীনঃ সিতঃ ষোড়শবর্ষকঃ

পঞ্চবক্ত্রঃ করাগ্রেঃ স্বৈর্দশভিশ্চব ধারয়ন ॥ ৫৩

অভয়ং প্রসাদং শক্তিং শূলং খট্টাঙ্গমীশ্বরঃ ।

দক্ষৈঃ করৈর্ব‌ামকৈশ্চ ভুজগঞ্চাক্ষসূত্রকম্‌ ।

ডমরুকং নীলোৎপলং বীজপূরকমূত্তমম্‌  ॥ ৫৪

ইচ্ছাজ্ঞানক্রিয়াশক্তি-স্ত্রিনেত্রা হি সদাশিবঃ ।

এবং শিবার্চ‌নধ্যানী সর্বদা কালবর্জিতঃ ॥ ৫৫

[নবভারত প্রকাশিত - গরুড় পুরাণ/ পূর্ব‌খণ্ড/২৩ অধ্যায়/৫৩-১৩২ শ্লোক]

অর্থ — বদ্ধ পদ্মাসন হয়ে উপবেশন করত শুক্লবর্ণ, ষোড়শবর্ষীয় পঞ্চবক্ত শিবের ধ্যান করবে, যথা, পঞ্চানন দশহস্তে অভয়াদি মুদ্রা ধারণ করে রয়েছেন। তিনি দক্ষিণ পঞ্চহস্তে অভয়, বরমুদ্রা শক্তি, শূল, খট্বাঙ্গ ; বাম পঞ্চকরে সর্প, অক্ষমালা, ডমরু, নীলোৎপল ও বীজপুর ধারণ করে রয়েছেন। ইচ্ছা, জ্ঞান, ক্রিয়া - এই তিন শক্তি হল তাঁর তিনটি নয়ন, তিনি সদা আনন্দময়। এইরূপে শিবার্চ্চন করলে সাধক কালভয় হইতে মুক্ত হতে পারে।

♦️ মৎস পুরাণে পরমেশ্বর শিবের মূর্তি বিগ্রহ প্রতিমা বানাবার পদ্ধতি বর্ণনা করতে গিয়ে, শিববিগ্রহ যেন ষোলো বছরের ব্যক্তির মতোই গড়ে তোলা হয়, সেই বিধান রয়েছে।

প্রমাণ দেখুন 👇

অতঃ পরং প্রবক্ষ্যামি রুদ্রাদ্যাকারমুত্তমম্ ।

স পীনোরুভুজস্কন্ধস্তপ্তকাঞ্চনসপ্রভঃ ॥ ৩

শুক্লোঽর্করশ্মিসংঘাতশ্চন্দ্রাঙ্কিতজটো বিভোঃ ।

জটামুকুটধারী চ দ্ব্যষ্টবর্ষাকৃতিশ্চ সঃ ॥ ৪

বাহু বারণহস্তাভৌ বৃত্তজঙ্ঘোরুমণ্ডলঃ ।

ঊর্ধ্বকেশশ্চ কর্তব্যো দীর্ঘায়তবিলোচনঃ ॥ ৫

ব্যাঘ্রচর্মপরিধানঃ কটিসূত্রত্রয়ান্বিতঃ ।

হারকেয়ূরসম্পন্নো ভূজঙ্গাভরণস্তথা ॥ ৬

বাহবশ্চাপি কর্তব্যা নানাভরণভূষিতাঃ ।

পীনোরুগণ্ডফলকঃ কুণ্ডলাভ্যামলঙ্কৃতঃ ॥ ৭

আজানুলম্ববাহুশ্চ সৌম্যমূর্তিঃ সুশোভনঃ ।

খেটকং বামহস্তে তু খড়্গং চৈব তু দক্ষিণে ॥ ৮

শক্তিং দণ্ডং ত্রিশূলং চ দক্ষিণেষু নিবেশয়েৎ ।

কপালং বামপার্শ্বে তু নাগং খট্বাঙ্গমেব চ ॥ ৯

একশ্চ বরদো হস্তস্তথাক্ষবলয়োঽপরঃ ।.. ॥ ১০

[তথ্যসূত্র : মৎস মহাপুরাণ/২৫৯ অধ্যায়/৩-১০ শ্লোক]

অর্থ — এবার আমি শিবের প্রতিমার আকারের বর্ণনা করছি, শিবের মূর্তি তত্ত্ব সোনার মতো কান্তিময় তথা স্থূল উরু, হস্তসমূহ ও কাঁধযুক্ত হ‌ওয়া উচিত । শিবের বর্ণ সূর্যের কিরণের সমান শ্বেত আর জটা চন্দ্রের দ্বারা বিভূষিত হবে, তিনি  জটামুকুটধারী তথা তার দিব্য দেহ আকৃতি ষোলো বর্ষের ন্যায় হতে হবে ॥ ৩-৪

তার দুটি হাত হস্তির মস্ত দাঁতের ন্যায় তথা জঙ্ঘা আর উরুমণ্ডল গোলাকার হবে । তার কেশ(চুল) উপরদিকে উচ্চ(পর্বতের ন্যায়) হয়ে রয়েছে তথা চক্ষু দীর্ঘ ও প্রশস্ত করা উচিত । তার বস্ত্রের স্থানে ব্যাঘ্র চর্ম তথা কোমরে তিনসূত্রের মেখলা বানাতে হবে । তাকে গলার হার আর কেয়ূর দ্বারা সুশোভিত তথা (কৃত্রিম) সর্পকে আভূষণ হিসেবে প্রদান করা উচিত । তার হস্ত কে বিভিন্ন প্রকারের আভূষণ দ্বারা বিভূষিত করা উচিত তথা প্রসারিত হ‌ওয়া কপোল কে দুই কানের কুণ্ডল দ্বারা অলঙ্কৃত করা উচিত। তার হস্ত প্রায় হাঁটু পর্যন্ত প্রসারিত তথা লম্বা হ‌ওয়া উচিত, ঐ মূর্তি সৌম্য, পরম সুন্দর, বাম হস্তে ঢাল, ডান হস্তে তলোয়ার, ডানদিকে শক্তি, দণ্ড আর ত্রিশূল তথা বামদিকের‌ হাতে কপাল, নাগ আর খট্বাঙ্গকে রাখা উচিত । এক হাতে বর মুদ্রা দ্বারা সুশোভিত আর আরেকটি হস্তে তিনি রুদ্রাক্ষ মালা ধারণ করে আছেন, এমনটি হতে হবে ঐ শিবপ্রতিমা ॥ ৫-১০

________________________________________________


উপরোক্ত তিনটি পুরাণ থেকে আমি প্রমাণ করে দিলাম যে পরমেশ্বর শিব ১৬ বছর বয়সীর ন্যায় দিব্য দেহরূপধারী। তিনি বৃদ্ধ বয়স্ক ব্যক্তির মতো দেহসম্পন্ন নন ।  এবার ভেবে দেখুন ! একজন ১৬ বছর বয়সী ব্যক্তির কি কখনো ঢাকের মতো ভুঁড়ি পেট থাকতে পরে ? 

যেখানে স্বয়ং পরমেশ্বর শিব যোগব্যায়ামের উদ্যোক্তা, সেখানে তার ঐ ভোগী ব্যক্তিদের মতো ভুড়ি পেট থাকতে পারে ? শিবের কি মোটা মোটা গোফ থাকতে পারে ?

না.. কখনোই একজন ১৬ বছর বয়সী ব্যক্তির ভুঁড়ি পেট বা গোঁফ থাকা যুক্তিসম্মত নয়। সুতরাং আসুন আমরা শাস্ত্র নির্দেশিত পথে পরমেশ্বর শিবের চিত্র অঙ্কন তথা প্রতিমা গড়ে পূজা করি। অশাস্ত্রিয় ভাবে তৈরি করা শিবচিত্র বা প্রতিমা কে ত্যাগ করি।


শৈব সনাতন ধর্ম সদা বিজয়তে 🚩 

হর হর মহাদেব 🚩 

সত্য উন্মোচনে — ©শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী 

কপিরাইট ও প্রচারে — International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT










মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ