বিঘ্নরাজ রূপে পরমেশ্বর শিব করলেন — বিষ্ণুর কূর্ম অবতার নিগ্রহ (সংহার)



॥ ॐ নমঃ শিবায় ॥

ভূমিকা ঃ

পরমেশ্বর শিব এই জগত কে রক্ষা করবার জন্য বহু লীলা করেছেন, তার মধ্যে বিষ্ণু অবতার গুলির সংহার করবার লীলা অন্যতম । এই প্রবন্ধে শ্রীবিষ্ণুর কূর্ম অবতারকে সংহার করবার বিষয়ে স্কন্দমহাপুরাণের শঙ্করসংহিতার শিবরহস্যখণ্ডের উপদেশখণ্ডের ৬৪ অধ্যায়ের মধ্যে ৫৪-৬৪ নং শ্লোকে যে কাহিনি উল্লেখিত হয়েছে, আমি তা শ্লোক সহ অনুবাদ উপস্থাপন করলাম। ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ প্রবন্ধ টি পড়ুন ।

________________________________________________


বিঘ্নরাজ রূপে পরমেশ্বর শিব করলেন — বিষ্ণুর কূর্ম অবতার নিগ্রহ (সংহার)

[তথ্যসূত্র : স্কন্দমহাপুরাণ/শঙ্করসংহিতা/শিবরহস্যখণ্ড/উপদেশখণ্ড/৬৪ অধ্যায়/৫৪-৬৪ নং শ্লোক]


কূর্মাবতারনিগ্রহঃ


পুনশ্চ বিষ্ণুরন্যস্মিন্‌ যুগে কূর্মত্বমেত্য বৈ ॥ ৫৪

অর্থ — একবার, অন্য একটি যুগে, বিষ্ণু কচ্ছপের (কূর্ম) রূপে অবতার ধারণ করেছিলেন ॥ ৫৪

 

মন্থানং মন্দরং কৃত্বা যোক্ত্রং কৃত্বাথ বাসুকিম্‌ ।

দেবাসুরগণৈঃ সাকং মমন্থ ক্ষীরসাগরম্‌ ॥ ৫৫

অর্থ — দেবতা ও অসুরদের সাথে ক্ষীরসমুদ্র মন্থনের জন্য মন্দার পর্বতকে দণ্ড হিসেবে এবং বাসুকি নাগকে দড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল ॥ ৫৫

 

অমৃত চ সমাসাধ্য তেন গর্বেণ মোহিতঃ ।

সুরান্‌ সংক্ষোভয়ামাস সাগরৈঃ সহ কচ্ছপঃ ॥ ৫৬

অর্থ — যখন অমৃত লাভ হয়ে গেল, তখন কূর্মরূপে বিষ্ণু অহংকারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন এবং তিনি মোহে পড়ে সমুদ্রকে অশান্ত করে তোলেন, যার ফলে দেবতাদের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি হয় ॥ ৫৬

 

ততো দেবাসুরাঃ সর্বে দেবং গত্বা ব্যজিজ্ঞপন্‌ ।

তদানীং দেবদেবোঽসৌ বিঘ্নরাজমরিন্দমম্‌ ॥ ৫৭

অর্থ — এরপর, দেবতা এবং অসুর উভয়েই পরমেশ্বর মহাদেবের কাছে যান এবং পরিস্থিতির কথা বলেন।তখন সকল দেবতার প্রভু পরমেশ্বর শিব কচ্ছপরূপী বিষ্ণু কে শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে দেবতাদের রক্ষা করবার সিদ্ধান্ত নেন। কচ্ছপরূপী বিষ্ণু কে দমন করার জন্য, পরমেশ্বর শিব (নিজের পুত্র) শ্রী বিঘ্নরাজ(গণেশ)কে প্রেরণ করেন, তার মধ্যে সকল বাধা অতিক্রম করবার ক্ষমতা রয়েছে ॥ ৫৭  


তন্নিগ্রহার্থমাচষ্টে দেবানাং হিতকাম্যয়া । 

শুণ্ডাগ্রেণ তদা কূর্মমাদায় গণনায়কঃ ॥ ৫৮

সম্যগুত্তানিতং কৃত্বা সংপীড্যাস্যৈব কর্পরম্‌ ।

দেবেষ্বপি চ পশ্যৎসু শিবাগ্রে স ন্যবেশৎ ॥ ৫৯

তদানীমীশ্বরো দেবান্‌ সমালোক্যেদমব্রবীৎ ।

অনেন কচ্ছপাস্থনা মে কিং ভাবি বদতাধুতা ॥ ৬০

অর্থ — গণেদের নেতা (গণেশ) এগিয়ে এসে তাঁর অপরিসীম শক্তি প্রয়োগ করে কচ্ছপরূপী বিষ্ণু কে তার শুঁড়ের অগ্রভাগ দিয়ে তুলে নিলেন ॥ ৫৮

তিনি সজোরে আঘাত করে কচ্ছপ কে উল্টে দিলেন, তার পিঠে বিদ্ধ করলেন এবং সমস্ত দেবতার সামনে তার খোলসটি খুলে নিয়ে গিয়ে পরমেশ্বর শিবের সামনে রাখলেন ॥ ৫৯

তারপর, ঈশ্বর মহাদেব দেবতাদের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, "হে দেবগণ, তোমরা বলো এই কচ্ছপের খোলস আমার কোন কাজে লাগবে ? ॥ ৬০


ততোঽব্রুবন্‌ প্রণম্যেশং ব্রহ্মাদিবিবুধেশ্বরাঃ ।

অরক্ষস্ত্বমনেনাস্মান্বিক্রমেণ যদীশ্বর ॥ ৬১

তস্যৈব জ্ঞাপকত্বেন তবাঙ্গেঽস্তু বিভূষণম্‌ ।

কূর্মাস্থি মুণ্ডমালায়াং নায়কত্বমুপৈত্বিদম্‌ ॥ ৬২

বিষ্ণোরপিদং দৃষ্ট্বা তু নাহঙ্কারো ভবেৎপুনঃ ।

বিজ্ঞাপিতঃ সুরৈরেবং বিশ্বেশোঽধাত্তদাস্থি তৎ ॥ ৬৩

বিষ্ণুশ্চ গতসম্মো‌হো বিশ্বেশার্চাবিধের্বলাৎ ।

অনাগাঃ সম্ভূবাথ স নাকপতিবন্দিতঃ ॥ ৬৪

অর্থ — ব্রহ্মা এবং অন্যান্য দেবতারা ঈশ্বরের সামনে প্রণাম করে বললেন, "হে জগদীশ! আপনি আপনার ঐশ্বরিক শক্তির মাধ্যমে আমাদের রক্ষা করেছেন ॥ ৬১

এই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখবার জন্যে, আপনি আপনার গলায় ধারণ করে থাকা মুণ্ডমালায় এই কচ্ছপের খোল কে কেন্দ্রীয় অলংকার হিসেবে সাজিয়ে নিন ॥ ৬২

এর ফলে এটি বিষ্ণু দর্শন করা মাত্রই এই ঘটনা স্মরণ করে বিষ্ণু আর কখনও অহংকারী হবেন না। দেবতাদের এমন বিনীত অনুরোধে, দেবেশ শিব বিষ্ণুরূপী কচ্ছপের খোল টি গ্রহণ করে নিজের মুণ্ডমালায় পরিধান করে নেন ॥ ৬৩

 এরপর, ইন্দ্রের পূজিত বিষ্ণু নিজের স্বচ্ছতা ফিরে পান এবং মোহ থেকে মুক্ত হয়ে শ্রী বিশ্বেশ্বরের (শিব) পূজা করেন। মহাদেবের কৃপায়, বিষ্ণু নিজের অহংকারের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন ॥ ৬৪


[লক্ষণীয় বিষয় :  কূর্ম অবতার কে সংহার করবার জন্য স্বয়ং পরমেশ্বর শিব নিজে যাননি, বরং তার স্বরূপভূত পুত্র  ‘বিঘ্নরাজ গণেশ’ জী কে আদেশ দিয়েছিলেন।  গণেশ জী কূর্মরূপী বিষ্ণুর পিঠে আঘাত করেন তার খোল টি উপড়ে নিয়ে পরমেশ্বর শিবের কাছে উপস্থিত হন, সকল দেবতারা ঐ কূর্ম অবতারের খোলকে মুণ্ডমালায় অলংকার হিসেবে ধারণ করবার জন্য প্রভু শিবের কাছে প্রার্থনা করেন, তখন পরমেশ্বর শিব সেটি নিজের মুণ্ডমালার কেন্দ্রীয় স্থানে অলংকার হিসেবে ঝুলিয়ে রেখে ধারণ করেন । এই দৃষ্টান্তমূলক কাহিনীর দ্বারা সমাজ এই শিক্ষা পাবে যে, যত‌ই শক্তিশালী হও, অহংকার কোরো না, অহংকার করলেই পরমেশ্বর সেই অহংকার বিনাশ করবেন। তাই সদা সর্বদা অহংকার থেকে দূরে থাকো। শিবের মুণ্ডমালার কেন্দ্রীয় স্থানে অলংকার হিসেবে থাকা কূর্মের খোল টি হল সেই অহংকার বিনাশের প্রতীক হিসেবে সমগ্র সমাজের কাছে আদর্শ উদাহরণ।]

________________________________________________


⬛  কূর্ম অবতার কে সংহার বিষয়ে স্কন্দমহাপুরাণ থেকে — 

আরো একটি প্রমাণ 👇

নৃহরিং শরভাকারঃ সমহাষীন্ন চেদ্ভবান্ ।

স এব সংহরেদ্বিশ্বঃ হিরণ্যকশিপোরপি ॥ ৪১৭

ত্বমাচক্রক্ষঃ কল্পাদ্ধৌ কৈবৰ্ত্তো মৎস্যকচ্ছপৌ

হরিং বদ্ধাহিয়াট সূত্রৈর্নৃসিংহমথ শূকরম ॥ ৪১৮

একোনে পদ্মসাহস্রে স্বনেত্রেণ কৃতার্চনম্ ।

শূলিন সুদর্শনং দত্ত্বা দৈতাদ্বিষমতূতৃষঃ ॥ ৪১৯

[তথ্যসূত্র — স্কন্দমহাপুরাণ/মহেশ্বরখণ্ড/অরুণাচল মাহাত্ম্য/উত্তরার্দ্ধ/অধ্যায় ১৬]

অর্থ — হে মহাদেব ! আপনি যদি শরভাকার ধারণ করিয়া নৃ-হরিকে সংহার না করতেন, তবে সেই নৃ-হরি হিরণ্যকশিপু এমন কি সমস্ত বিশ্বকেই নিহত করে দিতেন। আপনি কৈবর্ত্ত হয়ে কল্পপর্যন্ত মৎস অবতার ও কচ্ছপকে আকর্ষণ করে বধ করেন এবং নৃসিংহ, বরাহ প্রভৃতি রূপধারী, স্বনেত্ররূপ একোনসহস্র পদ্ম দ্বারা কৃত শিবার্চনরত হরিকে অহিরাজ-সূত্র দ্বারা বন্ধন করে তাকে আপনি সুদর্শন চক্র প্রদান করে দেবতাদের সন্তোষ বিধান করেছেন।


অনান্য শাস্ত্রে, পরমেশ্বর শিবের দ্বারা কূর্ম অবতার সংহারের প্রমাণ — 

বেদ প্রমাণ 

বেদোক্ত মুক্তিকা উপনিষদের বচন অনুসারে বেদের মূল ১০৮ উপনিষদের মধ্যে অন্যতম হল শরভ উপনিষদ। অর্থাৎ (বেদ) শ্রুতিশাস্ত্র শরভ উপনিষদের ১৩ নং মন্ত্রেও এই কাহিনীর সমর্থন করেই বেদবাক্য উপস্থিত রয়েছে, দেখুন —

যো মত্স্যকূর্মাদিবরাহসিংহান্বিষ্ণুং ক্রমন্তং বামনমাদিবিষ্ণুম্ ।

বিবিক্লবং পীড্যমানং সুরেশং ভস্মীচকার মন্মথং যমং চ ।

তস্মৈ রুদ্রায নমো অস্তু ॥ ১৩ 

(অথর্ববেদ/শরভ উপনিষদ/১৩নং মন্ত্র)

অর্থ — যিনি শ্রীবিষ্ণুর মৎস, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ এমনকি বামন অবতারকেও পীড়া দান পূর্বক পরাজিত করেছিলেন সেই মন্মথ(কামদেবের)কে ভস্মকারী সকলের যমরূপী সুরেশ্বর ভগবান রুদ্র(শিব)কে প্রণাম করি ॥১৩


মহাশ্রুতি শৈবাগম থেকে প্রমাণ 

মৎস্যকূর্মবরাহাদিনারসিংহাদিকান পুরা ।

অবতারাত্ মহাবিষ্ণোঃ সংহৃত্য পরমেশ্বরঃ ॥ ৩৬ ॥

তত্তত্কল্পেষু ভুষাং চ তত্তদঙ্গান্যকল্পয়ত্ ।

হরিধ্বংসীতি লোকেষু ততঃ খ্যাতিং গতঃ শিবঃ ॥ ৩৯ ॥ 

[মহাশ্রুতি সূক্ষ্মাগম/ক্রিয়াপাদ/দ্বিতীয়ঃ পটলঃ]

অর্থ – অতীতে মহাবিষ্ণুর মৎস, কূর্ম, বরাহ এবং নরসিংহ অবতারকেও পরমেশ্বর শিব সংহার করেছিলেন ॥৩৬

বিভিন্ন কল্পে পরমেশ্বর শিব শ্রীবিষ্ণুর এসব অবতারদের হত্যার পরে তাদের বিভিন্ন অঙ্গ নিজের আভূষণ ও অলঙ্কার হিসেবে ধারন করতেন। এরপর থেকেই মহেশ্বর শিব সমগ্র লোকে ‘হরিধ্বংসী’ রূপে আখ্যায়িত হন ॥৩৯


🔻বাতুলশুদ্ধাখ্য আগম মতেও মহেশ্বরের ২৫ টি লীলাবিগ্রহের মধ্যে ১৩ নং বিগ্রহটিই হল – হরিধ্বংসী। প্রমাণ দেখুন -

ত্রয়োদশং হরিধ্বংসী ত্বর্ধনারী চতুর্দশম্ ।[মহাশ্রুতি বাতুলশুদ্ধাখ্য আগম – প্রথমঃ পটলঃ – ১২৯ নং মহামন্ত্র]


🔘 তামিল শৈবশাস্ত্র ‘Sivaparakramam’(শিবপরাক্রমম্‌) অনুযায়ী মহেশ্বরের ৬৪ টি লীলা বিগ্রহের মধ্যে একটি বিগ্রহ হল -  কূর্ম সংহার মূর্তি 

🔖নীলকন্ঠ শিবাচার্য জী তার রচিত ক্রিয়াসার গ্রন্থে এই কূর্ম অবতার নিগ্রহ প্রসঙ্গ  উল্লেখ করেছেন ।


________________________________________________

সিদ্ধান্ত

 শৈব আগম ও বেদ যখন নিজেই বিষ্ণুর বিভিন্ন অবতার কে শিবের দ্বারা সংহার হয়েছে বলে স্বীকার করেছে, তখন প্রত্যেক সনাতনী কে এই বিষ্ণুঅবতারগুলিকে সংহার করবার কাহিনীকে সত্য বলে গ্রহণ ও মান্য করতেই হবে। কারণ বেদ সম্মত যে কোন কাহিনী সর্বদাই সর্বপ্রথম এবং সর্বোচ্চ হিসেবে গ্রহণযোগ্য। বেদ বিরুদ্ধ কোন কাহিনী বা মত গ্রহণযোগ্য নয়।

আর বেদানুসারে শৈবাগম সর্বোচ্চ তথা অন্তিমসার সিদ্ধান্তদায়ী, অর্থাৎ যখন শৈবাগম কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তখন তা আর কোনোভাবেই খণ্ডন বা অগ্রহণযোগ্য হবে না ।

________________________________________________

________________________________________________

শ্রী কচ্ছপেশ্বর শিব মন্দিরের বর্তমান ঠিকানা 

Current location of Kachabeswarar Mandir


 কূর্ম অবতাররূপী বিষ্ণু যে স্থানে পরমেশ্বর শিবের আরাধনা করেছিলেন, সেই কাঞ্চীপুরমে স্থিত শিবমন্দিরটি আজ‌ও বিদ্যমান রয়েছে । বর্তমানে তার নাম ‘কচ্ছপেশ্বর’ , যা বর্তমান ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের কাঞ্চীপুরমে অবস্থিত।


ঠিকানা :

Kachabeswarar Temple, Thirukachur

அருள்மிகு கச்சபேஸ்வரர் திருக்கோயில்

SRI KACHABESWARAR TEMPLE, Thirukkachur, Tamil Nadu 603204 (India)


এখানে ক্লিক করে Location দেখুন 👇 

Kachabeswarar Temple, Thirukachur


শ্রী মচ্ছেশ্বর শিবমন্দির খোলার সময় -

এই মন্দিরটি সকাল ৮.০০ টা থেকে দুপুর ১২.০০ টা এবং বিকেল ৫.০০ টা থেকে রাত ৮.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

________________________________________________


শ্রী কচ্ছপেশ্বর শিব মন্দির (বাইরের থেকে দৃশ্যমান)




শ্রী কচ্ছপেশ্বর শিব মন্দির
শ্রী কচ্ছপেশ্বর শিব মন্দির (সম্মুখভাগের দৃশ্য)




শ্রী কচ্ছপেশ্বর শিব মন্দিরের স্তম্ভে কূর্ম অবতার রূপী বিষ্ণুর শিবলিঙ্গ অর্চনা


কূর্ম অবতার রূপী বিষ্ণুর দ্বারা অর্চিত সাক্ষাৎ কচ্ছপেশ্বর শিবলিঙ্গ (অতি দূর্লভ চিত্র)

পরমেশ্বর শিবের গলায় থাকা মুণ্ডমালার কেন্দ্রীয় স্থানে কূর্মের খোলস অলঙ্কৃত আছে 



________________________________________________

এখানেই এই প্রবন্ধ টি সমাপ্ত হল ।  

 

কূর্ম অবতার রূপে শ্রীনারায়ণের জয়

কূর্মসংহারি পরমেশ্বর শিবের জয়

শৈব সনাতন ধর্ম সদা বিজয়তে 🚩 

হর হর মহাদেব 🚩 


লেখনীতে — ©শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী 

কপিরাইট ও প্রচারে — International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT



মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ