নিজের করা শুভ-অশুভ কর্মের কারণে পরজন্মে জীব ভালো-মন্দ কর্মফল ভোগ করে
ভূমিকা ঃ
কষ্টভোগকারী দুঃখী অসুখী মানুষ যখনই যাতনা ভোগ করেন তখনই তারা দিশেহারা হয়ে পরমেশ্বরকে দোষারোপ করতে থাকেন। যখনই অসহ্য যন্ত্রনা বা বিপদে পড়ে যায় মানুষ তখন তারা নিজের সাথে ঘটিত হওয়া সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হবার জন্য ঈশ্বরকে দায়ী করেন। অজ্ঞানের বশবর্তী হয়ে সাধারণ মানুষেরা দুঃখকষ্টের উত্তরদায়ী করেন পরমেশ্বর ভগবানকে, কেউ কেউ দুর্ঘটনা, অশোভনীয় ঘটনা, প্রিয়জনের মৃত্যু ইত্যাদির মতো শোকময় পরিস্থিতিতে ঈশ্বরের উপর ক্রোধ করে থাকেন।
এই অবস্থায় ভক্তদের মনে সংশয় উৎপন্ন হয়ে থাকে, তারা ভাবেন, পরমেশ্বরই কি তবে জীবকে দুঃখ কষ্ট ভোগ করিয়ে থাকেন ? পরমেশ্বরই কি এই সকল দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ? — এই প্রশ্নের উত্তরের বিষয়ে সনাতন ধর্মের শাস্ত্র বলছে যে, নিজের করা শুভ-অশুভ কর্মের কারণে পরজন্মে জীব ভালো-মন্দ কর্মফল ভোগ করে, এর জন্য ঈশ্বর দায়ী নন । শাস্ত্র প্রমাণ সহকারে আলোচনা করা যাক ।
নিজের করা শুভ-অশুভ কর্মের কারণে পরজন্মে জীব ভালো-মন্দ কর্মফল ভোগ করে
(১) মহাভারতে দুর্যোধন সহ ধৃতরাষ্ট্রের সকল পুত্র নিহত হবার পর ধৃতরাষ্ট্র শোকে আকুল হয়ে অতি দুঃখ করে চলেছিলেন, তখন বুদ্ধিমান বিদুর ধৃতরাষ্ট্রকে সত্য বিষয়ে অবগত করাবার জন্য জীবের কৃতকর্মের বিষয়ে এইভাবে বলেছিলেন —
যস্যাং যস্যামবস্থাযাং যং করোতি শুভাশুভম্।
তস্যাং তস্যামবস্থায়াং তৎ ফলং সমুপাম্মুতে ॥৩৩৷৷
যেন যেন শরীরেণ যদ্যৎ কৰ্ম্ম করোতি যঃ।
তেন তেন শরীরেণ তত্তৎ ফলমুপাপ্পুতে ॥৩৪৷৷
আত্মৈব হ্যাত্মনো মিত্রমাত্মৈব রিপুরাত্মনঃ।
আত্মৈব হ্যাত্মনঃ সাক্ষী কৃতস্যাপকৃতস্য চ ॥৩৫৷৷
শুভেন কৰ্ম্মণা সৌখ্যং দুঃখং পাপেন কৰ্ম্মণা।
কৃতং লভতি সর্বত্র নাকৃতং ভুজ্যতে কচিৎ ॥৩৬৷৷
(তথ্যসূত্র : মহাভারত/স্ত্রীপর্ব/জলপ্রদানিক পর্ব/২য় অধ্যায়/৩৩-৩৬ নং শ্লোক)
অর্থ — মানুষ যে যে অবস্থায় যে যে শুভ বা অশুভ কর্ম করে, পরজন্মে সেই সেই অবস্থায় সেই সেই কর্মের ফলভোগ করে থাকে॥৩৩
যে যে মানুষ যে যে শবীরে যে যে শুভ বা অশুভ কৰ্ম্ম করে, সেই সেই মানুষ পরজন্মে সেই সেই শরীরেই সেই সেই কর্মের ফল ভোগ করে থাকে ॥ ৩৪
মানুষ নিজেই নিজের বন্ধু এবং নিজেই নিজের শত্রু; আর নিজেই সুকৃত বা দুষ্কৃত কর্মের সাক্ষী হয়ে থাকে ॥৩৫॥
মানুষ সর্বত্রই নিজকৃত পুণ্যকার্য্যে সুখ এবং নিজকৃত পাপকার্য্যে দুঃখ অনুভব করে থাকে ; কিন্তু নিজের অকৃত কর্মের ফল ভোগ করে না ॥৩৬॥
🔶বিশ্লেষণ — বিদুর ধৃতরাষ্ট্রকে বললেন, মানুষ নিজে যে রকম কর্ম (কাজ/ব্যবহার) করেন, তিনি সেই কর্ম অনুসারেই ফল ভোগ করেন। কোনো মানুষ যদি খারাপ কাজ করেন, তবে তিনি পরবর্তী জন্ম নিয়ে পূর্ব জন্মে যেমন কাজ করেছেন তেমন ফল ভোগ করেন। যদি মানুষ ভালো কর্ম করে তবে সে পরবর্তী জন্মে সেই পূর্ব জন্মে করা ভালো কর্মের ফল বর্তমান জন্মে পেয়ে থাকেন।
কিন্তু কেউ যদি পূর্ব জন্মে খারাপ কর্ম করে থাকেন, তবে তিনি পরবর্তী জন্মে সেই পূর্ব জন্মে করা খারাপ কর্মের ফল বর্তমান জন্মে পেয়ে থাকেন। তাই মানুষ যে সুখ দুঃখ পেয়ে থাকেন তার জন্য মানুষ নিজেই দায়ী, অন্য কেউ দায়ী নন।
-----------------------------------------------------------------------------
(২) বুদ্ধিমান বিদুর ধৃতরাষ্ট্রকে আরো বলেন —
বৈচিত্রবীর্য্য সত্যং হি দুঃখং বা যদি বা সুখম্ ।
প্রাপ্নুবস্তীহ ভূতানি স্বকৃতেনৈব কর্মণা ॥ ৭
কৰ্মণা প্রাপ্যতে স্বর্গঃ সুখং দুঃখঞ্চ ভারত ! ।
ততো বহতি তং ভারমবশঃ স্ববশোঽপি বা ॥ ৮
প্রাক্কৰ্মভিস্তু ভূতানি ভবন্তি ন ভবন্তি চ ।
এবং সাংসিদ্ধিকে লোকে কিমর্থমনুতপ্যসে ॥ ১৪
(তথ্যসূত্র : মহাভারত/স্ত্রীপর্ব/জলপ্রদানিক পর্ব/৩য় অধ্যায়/৭-৮নং, ১৪নং শ্লোক)
অর্থ — হে বৈচিত্র্যবীর্য্য ! ইহা সত্য যে, প্রাণীরা আপন আপন কৰ্ম্ম অনুসারেই সুখ বা দুঃখ ভোগ করে থাকে ॥৭
ভরতনন্দন ! প্রাণীরা কর্ম অনুসারেই পরলোকে স্বর্গ বা নরক এবং ইহলোকে সুখ বা দুঃখ ভোগ করে থাকে এবং তারা স্বাধীন বা পরাধীন হয়েই সেই সুখভার বা দুঃখভার বহন করে ॥ ৮
মহারাজ ! প্রাণীরা পূর্বকর্ম অনুসারে মৃত্যুর পরে আবার উৎপন্ন হয়, কিংবা উৎপন্ন হয়ও না ; এইরূপই জগতের স্বভাবসিদ্ধ নিয়ম; অতএব আপনি অনুতাপ করেন কেন ? ॥ ১৪
🔶বিশ্লেষণ — বিদুর ধৃতরাষ্ট্রকে আরো বলেন, শুধু মানুষই নয়, যে কোনো প্রাণী তথা জীব নিজে যে রকম কর্ম (কাজ/ব্যবহার) করেন, তিনি সেই কর্ম অনুসারেই ফল ভোগ করেন।
নিজের কর্ম অনুসারেই জীব স্বর্গ লাভ করে বা নরক যন্ত্রনা লাভ করেন।
জীব বারং বার জন্ম নিচ্ছে, সেই জীবের যে মৃত্যু হচ্ছে সেটিও পূর্ব জন্মে কর্ম করবার কারণেই হচ্ছে। কর্ম অনুসারে কর্মফল ভোগ করে জীব, এটিই জগতের স্বাভাবিক নিয়ম। তাই যার বুদ্ধি আছে সে কখনো এই বিষয় নিয়ে অনুতাপ করে না ।
-----------------------------------------------------------------------
(৩) স্কন্দমহাপুরাণে পরমেশ্বর শিব বলছেন ব্রহ্মাকে দক্ষের বধ হবার কারণ —
মহাদেব উবাচ ।
দক্ষস্য যজ্ঞভঙ্গোঽয়ং ন কৃতশ্চ ময়া ক্কচিৎ ॥ ২০
স্বীয়েন কর্মণা দক্ষো হতো ব্রহ্মন্ন সংশয়ঃ ॥ ২১
পরেষাং ক্লেশদং কর্ম ন কার্য্যং তৎ কদাচন ।
পরমেষ্ঠিন্ পরেষাং যদাত্মনস্তদ্ভবিষ্যতি ॥ ২২
[তথ্যসূত্র : স্কন্দমহাপুরাণ/মাহেশ্বর খণ্ড/কেদারখণ্ড/৫ অধ্যায়]
অর্থ — পরমেশ্বর মহাদেব বললেন, দক্ষের যজ্ঞ ভঙ্গ আমি করিনি , হে ব্রহ্মা ! দক্ষ নিজেই নিজের কর্মফলে হত হয়েছে - এতে সন্দেহ নেই। এই কারণে বলা হয়েছে, অন্যকে কষ্ট দেবার মতো কর্ম কখনো করা উচিত নয় ॥২০-২২
🔶বিশ্লেষণ — পরমেশ্বর শিব দক্ষকে বধ করবার নির্দেশ বীরভদ্রকে দিয়েছেন, বীরভদ্র দক্ষের দেহ থেকে দক্ষের মস্তক ছিন্ন করেন। কিন্তু দক্ষের এমন অবস্থার জন্য দক্ষ নিজেই দায়ী - এই কথা পরমেশ্বর শিব বলেছেন। কারণ, দক্ষ শিবনিন্দা করেছেন, অশালীন আচরণ করেছেন, অহংকার করেছেন, মাতা সতীকে অপমানিত করেছেন। পরমেশ্বর আরো বলেছেন, অকারণে অন্যকে দুঃখ দেবার মতো কার্য কখনো করা উচিত নয়। তাতে নিজেরই ক্ষতি
-----------------------------------------------------------------------
(৪) কেউ কাউকে দুঃখ দিয়ে মারে না, মানুষ নিজেই নিজের করা কর্মের ফল ভোগ করে —
হন্যতে তাত কঃ কেন যতঃ স্বকৃতভুক্পুমা ॥ ১১০
[লিঙ্গপুরাণ/পূর্বভাগ/৬৪ অধ্যায়]
অর্থ — কে কাকে মারে ? মানুষ নিজের কৃত কর্মের ফল ভোগ করে ।
-----------------------------------------------------------------------
(৫) পরমেশ্বর শিব কোনো জীব কে ইচ্ছাকৃত ভাবে সুখ বা কষ্ট দেন না, তিনি এইসব থেকে মুক্তি দেন ভক্তকে —
কৃতকর্মক্ষয়ো নাস্তি কল্পকোটিশতৈরপি ।
অবশ্যমেব ভোক্তব্যং কৃতং কর্ম শুভাশুভম্ ॥ ৩৯
কেবলং চাশুভং কর্ম নরকায় ভবেদিহ ।
শুভং স্বর্গায় জায়েত দ্বাভ্যাং মানুষ্যমীরিতম্ ॥ ৪০
জন্ম সম্যগসম্যক্ চ ন্যূনাধিক্যে ভবেদিহ ।
উভয়োশ্চ ক্ষয়ো মুক্তির্ভবেৎ সত্যং হি পার্বতি ॥ ৪১
কর্ম চ ত্রিবিধং প্রোক্তং কর্মকাণ্ডে মহেশ্বরি ।
সঞ্চিতং ক্রিয়মাণং চ প্রারব্ধং চেতি বন্ধকৃৎ ॥ ৪২
পূর্বজন্মসমুদ্ভূতং সঞ্চিতং সমুদাহৃতম্ ।
ভুজ্যতে চ শরীরেণ প্রারব্ধং পরিকীর্তিতম্ ॥ ৪৩
অনেন জন্মনা যচ্চ ক্রিয়তে কর্ম সাম্প্রতম্ ।
শুভাশুভং চ দেবেশি ক্রিয়মাণং বিদুর্বুধাঃ ॥ ৪৪
প্রারব্ধকর্মণো ভোগাৎ ক্ষয়শ্চৈব ন চান্যথা ।
উপায়েন দ্বয়োর্নাশঃ কর্মণোঃ পূজনাদিনা ॥ ৪৫
সর্বেষাং কর্মণাং নাশো নাস্তি কাশীং পুরীং বিনা ।
সর্বং চ সুলভং তীর্থং দুর্লভা কাশিকা পুরী ॥ ৪৬
(তথ্যসূত্র — শিবমহাপুরাণ/কোটিরুদ্রসংহিতা/২৩ অধ্যায়)
অর্থ — শত কোটি কল্পেও নিজ কৃত কর্মের ক্ষয় হয় না। জীবের নিজের করা শুভাশুভ কর্মাদির ফল অবশ্যই তাকে ভোগ করতে হয় ॥ ৩৯
অশুভ কর্ম নরকগামী করে এবং শুভকর্ম স্বর্গপ্রাপ্তি করায় এবং শুভ ও অশুভ উভয় কর্মের দ্বারা মনুষ্যজন্ম প্রাপ্তি হয় বলা হয়েছে ॥ ৪০
অশুভ কর্ম কল্প এবং শুভ কর্মের আধিক্য থাকলে উত্তম জন্ম লাভ হয়। শুভ কর্ম অল্প এবং অশুভ কর্মের আধিক্য হলে এখানে অধম-জন্ম প্রাপ্তি হয়। হে পার্বতী ! যখন শুভ ও অশুভ উভয় কর্মই ক্ষয় হয়ে যায়, তখনই জীব মোক্ষলাভ করে, ইহাই সত্য ॥ ৪১
হে মহেশ্বরী ! কর্মকাণ্ড তে সঞ্চিত, প্রারব্ধ এবং ক্রিয়মাণ - এই তিন প্রকারের কর্ম বলা হয়েছে, যা বন্ধনে আবদ্ধ করে ॥ ৪২
পূর্ব জন্মে করা কর্ম কে সঞ্চিত বলা হয় আর আর যা এই শরীরে বর্তমানে ভোগ করা হচ্ছে তাকে প্রারব্ধ বলা হয়। হে দেবেশী ! যিনি এই জন্মতে শুভ অশুভ কর্ম এই সময় করছেন তাকে বিদ্বানেরা ক্রিয়মাণ বলে থাকেন ॥ ৪৩-৪৪
প্রারব্ধ কর্মের নাশ সেই কর্মফলকে ভোগ করবার মাধ্যমেই হয়ে থাকে, এছাড়া অন্য কোন উপায় নেই । সঞ্চিত আর ক্রিয়মাণ - এই দুই ধরনের কর্মের নাশ পূজা আদি উপায় এর দ্বারা হয়ে থাকে । সম্পূর্ণরূপে কর্মের নাশ কাশিপুরী ছাড়া অন্য কোথাও হয়না। তাই সমস্ত তীর্থ সুলভ কিন্তু কাশিপুরী দুর্লভ বলে জানবে ॥ ৪৫-৪৬
🔶বিশ্লেষণ — কাশী মাহাত্ম্য বলতে গিয়ে পরমেশ্বর শিব মাতা পার্বতীকে বলেছেন, জীব নিজের কর্মের ফল ভোগ করে, সৎ-শুভ কার্য করে জীব পরবর্তী কালে বা পরজন্মে সুখ লাভ করে, স্বর্গলাভ করে। অসৎ কার্য কুকর্ম করে জীব পরবর্তী কালে বা পরজন্মে রোগ শোক ইত্যাদি দুঃখ কষ্ট যাতনা ভোগ করে। সঞ্চিত, প্রারব্ধ ও ক্রিয়মাণ - তীন ধরণের কর্ম ফলের ভোগ করে জীব। পূর্ব জন্মে করা কর্মের সঞ্চিত কর্ম ফল যদি খারাপও হয় তবে তা পূজা অর্চনার মাধ্যমে কিছুটা লাঘব হয়ে থাকে,বর্তমান জন্মে করে চলা অর্থাৎ ক্রিয়মান খারাপ কর্মের প্রায়শ্চিত্ত করলে সেই কর্মের ফল নাশ হয়, কিন্তু যা বর্তমানে চলতে থাকা প্রারব্ধ খারাপ কর্মের ফল ভোগ করা হচ্ছে তা একমাত্র ভোগের মাধ্যমেই ক্ষয় হয়। সকল প্রকার কর্মের ফল ক্ষয় হয়ে কর্মফল থেকে মুক্ত হয়ে মুক্তির উপায় হল — পরমেশ্বর শিবের কাশীপুরী, যেখানে মৃত্যুর সময় পর্যন্ত বসবাস করে প্রাণত্যাগ করলে আর কর্মের ফল ভোগ করবার জন্য জন্ম নিতে হয় না। কর্মের ফল ভোগ করবার জন্যই জন্ম হয়, কর্মের ফল যখন নাশ হয় যায় তখন আর জন্ম হয় না, এই কর্মনাশ একমাত্র কাশীতেই হয় তাই কাশীর মাহাত্ম্য সর্বোপরি ।
-----------------------------------------------------------------------
সিদ্ধান্ত
মানুষ তথা জীবের সাথে যা কিছু ঘটে তা যে মূলত সেই জীবের নিজের নিজেরই কৃতকর্মের ফল মাত্র, পূর্ব জন্মে করে কর্মের ফল এই বর্তমান জন্মে লাভ হচ্ছে, আবার এই জন্মে যা কর্ম করা হচ্ছে তার ফল পরবর্তী জন্মে ভোগ করতে হবে। খারাপ কর্মের ফল দুঃখদায়ী হয়, ভাল কর্মের ফল সুখদায়ী হয়। কিন্তু পরমেশ্বর কোন জীব কে দুঃখ কষ্ট বা সুখ দেন না, প্রভু শিব সকলের জন্য সর্বদাই কৃপা (অর্থাৎ অনুগ্রহ) করে চলেছেন। কিন্তু জীব নিজের কর্মের দোষে সেই শিবকৃপা অনুভব করতে ব্যর্থ হয়ে পড়েন । তাই জাগতিক সংসারের কোনো দুঃখকষ্টের জন্য পরমেশ্বর ভগবান কে দায়ী করা অজ্ঞানতা ও মূর্খতা ছাড়া আর কিছু নয় ।
হর হর মহাদেব
লেখনীতে — শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী
কপিরাইট ও প্রচারে — International Shiva Shakti Gyan Tirtha (ISSGT)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন