বৈদিক রুদ্র স্তুতি (অথর্ব-শির উপনিষদ)


ভূমিকা -

(দেবগণ পরমেশ্বর রুদ্রের উদ্দেশ্য স্তুতি মন্ত্র পাঠ করছেন,যা অথর্বশির উপনিষদোক্ত স্তুতি বলে বিখ্যাত, সেই মন্ত্র স্তুতি এই দ্বিতীয় কণ্ডিকায় রয়েছে)



 

-----------------------------------------------------------------------------

বৈদিক রুদ্র স্তুতি (অথর্ব-শির উপনিষদ) 


ॐ যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যশ্চ ব্রহ্মা তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥ ১ ॥

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যশ্চ বিষ্ণুস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥ ২ 

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যশ্চ স্কন্দস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥ ৩ 

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যশ্চেন্দ্রস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥ ৪

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যশ্চাগ্নিস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥ ৫

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যশ্চ বায়ুস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥ ৬ 

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যশ্চ সূর্যস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥ ৭ 

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যশ্চ সোমস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥ ৮

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যে চাষ্টৌ গ্রহাস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥৯

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যে চাষ্টৌ প্রতিগ্রহাস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥১০

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যচ্চ ভূস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥১১

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যচ্চ ভুবস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥১২

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যচ্চ স্বস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥১৩

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যচ্চ মহস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥১৪

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যা চ পৃথিবী তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥১৫

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যচ্চ অন্তরিক্ষং তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥১৬

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যা চ দ্যৌস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥১৭

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যাশ্চ অপস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥১৮

 যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যাচ্চ তেজস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥১৯

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যচ্চ আকাশং তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥২০

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যশ্চ কালস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥২১

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যশ্চ যমস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥২২

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যশ্চ মৃত্যুস্তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥২৩

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যচ্চ অমৃতং তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥২৪

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যচ্চ বিশ্বং তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥২৫

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যচ্চ স্থূলং তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥২৬

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যচ্চ সূক্ষ্মং তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥২৭

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যচ্চ শুক্লং তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥২৮

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যচ্চ কৃষ্ণং তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥২৯

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যচ্চ কৃৎস্নং তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥৩০

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যচ্চ সত্যং তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥৩১

যো বৈ রুদ্রঃ স ভগবান্যচ্চ সর্বং তস্মৈ বৈ নমো নমঃ ॥৩২

(তথ্যসূত্র - অথর্বশির উপনিষদ/কণ্ডিকা ২/১-৩২ নং মন্ত্র)


অর্থ — 

যে ভগবান রুদ্র(শিব) ভগবান ব্রহ্মা স্বরূপ ধারণ করে অখিলব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ১

যে ভগবান রুদ্র(শিব) ভগবান বিষ্ণুস্বরূপ ধারণ করে অখিলব্রহ্মাণ্ড পালন করছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ২

যে ভগবান রুদ্র(শিব) ভগবান স্কন্দস্বরূপ ধারণ করে দেবতাদের সেনাপতিত্ত্ব করছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ৩

যে ভগবান রুদ্র(শিব) ভগবান ইন্দ্রস্বরূপ ধারণ করে ব্রহ্মাণ্ডে বারিবর্ষণ করছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ৪

যে ভগবান রুদ্র(শিব) অগ্নিস্বরূপ ধারণ করে ব্রহ্মাণ্ডে পাক কার্য সাধন করছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ৫

যে ভগবান রুদ্র(শিব) বায়ুস্বরূপ ধারণ করে ব্রহ্মাণ্ডে প্রাণরূপে বিদ্যমান আছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ৬

যে ভগবান রুদ্র(শিব) সূর্যের স্বরূপ ধারণ করে ব্রহ্মাণ্ডে তাপ প্রদান করছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ৭

যে ভগবান রুদ্র(শিব) চন্দ্রের স্বরূপ ধারণ করে ব্রহ্মাণ্ডে অমৃতবর্ষণ করছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ৮

যে ভগবান রুদ্র(শিব) অষ্টগ্রহ স্বরূপ ধারণ করে আছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ৯

যে ভগবান রুদ্র(শিব) অষ্ট-উপগ্রহস্বরূপ ধারণ করে জগতের হিত সাধন করছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রমাণ করি ॥ ১০

যে ভগবান রুদ্র(শিব) ভূলোকস্বরূপ ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ১১

যে ভগবান রুদ্র(শিব) ভূবর্লোকস্বরূপ ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ১২

যে ভগবান রুদ্র(শিব) স্বর্লোকস্বরূপ ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ১৩

যে ভগবান রুদ্র(শিব) মহর্লোস্বরূপ ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ১৪

যে ভগবান রুদ্র(শিব) পৃথিবীস্বরূপ ধারণ করে স্থাবর জঙ্গমাদি যাবতীয় পৃষ্ঠে ধারণ করছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ১৫

যে ভগবান রুদ্র(শিব) অন্তরীক্ষস্বরূপ ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ১৬ 

যে ভগবান রুদ্র(শিব) স্বর্গস্বরূপ ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ১৭ 

যে ভগবান রুদ্র(শিব) জলস্বরূপ ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ১৮

যে ভগবান রুদ্র(শিব) তেজস্বরূপ ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ১৯

যে ভগবান রুদ্র(শিব) কালস্বরূপ ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ২০

যে ভগবান রুদ্র(শিব) যমস্বরূপ ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ২১

যে ভগবান রুদ্র(শিব) মৃত্যুস্বরূপ ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ২২

যে ভগবান রুদ্র(শিব) অমৃতস্বরূপ ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ২৩

যে ভগবান রুদ্র(শিব) আকাশস্বরূপ ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ২৪

যে ভগবান রুদ্র(শিব) বিশ্বময় অনন্তস্বরূপ ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ২৫

যে ভগবান রুদ্র(শিব) স্থুলস্বরূপ ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ২৬

যে ভগবান রুদ্র(শিব) সুক্ষ্মস্বরূপ ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ২৭

যে ভগবান রুদ্র(শিব) শুক্লস্বরূপ ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ২৮

যে ভগবান রুদ্র(শিব) কৃষ্ণ স্বরূপ ধারণ করে জগতে বিদ্যমান আছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ২৯

যে ভগবান রুদ্র(শিব) বিশ্বরূপ স্বরূপ ধারণ করেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ৩০

যে ভগবান রুদ্র(শিব) সত্যস্বরূপ ধারণ করেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি  ॥ ৩১

যে ভগবান রুদ্র(শিব) সকল কিছুর স্বরূপ  ধারণ করেছেন, সেই পরমেশ্বর রুদ্রকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি ॥ ৩২



✍️অনুবাদক – শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য  জী 


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ