শ্রী কার্তিকেয় অষ্টোত্তর শতনাম (স্কন্দমহাপুরাণোক্ত)

 




ত্বং ব্রহ্মবাদী ত্বং ব্রহ্মা ব্রহ্ম ব্রাহ্মণবৎসলঃ ।

ব্রহ্মণ্যো ব্রহ্মদেবশ্চ ব্রহ্মদো ব্রহ্মসংগ্রহঃ ॥ ১২৫ ॥

ত্বং পরং পরমং তেজো মঙ্গলানাঞ্চ মঙ্গলম্ ।

অপ্রমেয়গুণশ্চৈব মন্ত্রাণাং মন্ত্রগো ভবান্ ॥ ১২৬ ॥

ত্বং সাবিত্রীময়ো দেব সর্ব্বত্রৈবাপরাজিতঃ ।

মন্ত্রঃ শর্ব্বাত্মকো দেবঃ ষড়ক্ষরবতাং বরঃ ॥ ১২৭ ॥

মালী মৌলী পতাকী চ জটী মুণ্ডী শিখণ্ড্যপি ।

কুণ্ডলী লাঙ্গলী বালঃ কুমারঃ প্রবরো বরঃ ॥ ১২৮ ॥

গবাংপুত্রঃ সুরারিঘ্নঃ সম্ভবো ভবভাবনঃ।

পিনাকী শত্রুহা শ্বেতো গূঢঃ স্কন্দঃ করাগ্রণীঃ ॥ ১২৯ ॥ 

দ্বাদশো ভূর্ভুবো ভাবী ভুবঃ পুত্রো নমস্কৃতঃ ।

নাগরাজঃ সুধর্মাত্মা নাকপৃষ্ঠঃ সনাতনঃ ॥ ১৩০ ॥

ত্বং ভর্তা সর্ব্বভূতাত্মা ত্বং ত্রাতা ত্বং সুখাবহঃ ।

শরদক্ষঃ শিখী জেতা ষড়বক্ত্রো ভয়নাশনঃ ॥ ১৩১ ॥

হেমগর্ভো মহাগর্ভো জয়শ্চ বিজয়েশ্বরঃ ।

ত্বং কর্তা ত্বং বিধাতা চ নিত্যো নিত্যারিমর্দ্দনঃ ॥ ১৩২ ॥

মহাসেনো মহাতেজা বীরসেনশ্চ ভূপতিঃ ।

সিদ্ধাসনঃ সুরাধ্যক্ষো ভীমসেনো নিরাময়ঃ ॥ ১৩৩ ॥

শৌরির্যদুর্মহাতেজা বীর্য্যবান সত্যবিক্রমঃ । 

তেজোগর্ভোঽসুররিপুঃ সুরমূর্তিঃ সুরোজ্জিতঃ ॥ ১৩৪ ॥

কৃতজ্ঞো বরদঃ সত্যঃ শরণ্যঃ সাধুবৎসলঃ ।

সুব্রতঃ সূর্য্যসঙ্কাশো বহ্নিগর্ভঃ কণো ভুবঃ ॥ ১৩৫ ॥

পিপ্পলী শীঘ্রগো রৌদ্রী গাঙ্গেয়ো রিপুদারণঃ ।

কার্তিকেয়ঃ প্রভুঃ ক্ষন্তা নীপদষ্ট্রো মহামনাঃ ॥ ১৩৬ ॥ 

নিগ্রহো নিগ্রহণাঞ্চ নেতা ত্বং সুরনন্দনঃ ।

প্রগ্রহঃ পরমানন্দঃ ক্রোধঘ্নস্তার উচ্ছ্রিতঃ ॥ ১৩৭ ॥

কুক্কুটী বহুলী দিব্যঃ কামদো ভূরিবর্দ্ধনঃ ।

অমোঘোঽমৃতদো হ্যগ্নিঃ শত্রুঘ্নঃ সর্ব্বমোদনঃ ॥ ১৩৮ ॥

অব্যয়ো হ্যমরঃ শ্রীমানুন্নতো হ্যগ্নিসম্ভবঃ ।

পিশাচরাজঃ সূর্য্যাভঃ শিবাত্মা শিবনন্দনঃ ॥ ১৩৯ ॥

অপারপারো দুর্জ্ঞেয়ঃ সর্ব্বভূতহিতে রতঃ ।

অগ্রাহ্যঃ কারণং কর্তা পরমেষ্ঠী পরং পদম্।

অচিন্ত্যঃ সর্বভূতাত্মা সর্বাত্মা ত্বং সনাতনঃ ॥ ১৪০ ॥

[স্কন্দমহাপুরাণ/মাহেশ্বর খণ্ড/কুমারিকাখণ্ড/২৯ অধ্যায়/১২৫-১৪০ নং শ্লোক]

অর্থ — হে দেব ! আপনি ব্রহ্মবাদী, ব্রহ্মা, ব্রহ্ম, ব্রাহ্মণ-বৎসল, ব্রহ্মণ্য, ব্রহ্মদেব, ব্রহ্মদ, ব্রহ্মসংগ্রহ, পর, পরমতেজ, মঙ্গলসমূহেরও মঙ্গল, অপ্রমেয় গুণ, এবং মন্ত্রসমূহের উপাসমাতত্ত্বজ্ঞ। আপনি, সাবিত্রীময়, সর্বত্র অপরাজিত, সর্বাত্মক দেবতা এবং কার্তিকেয়ের ষড়ক্ষর মন্ত্রমধ্যে সর্ব প্রধান মন্ত্ররূপী। আপনি মালী, মৌলী, পতাকী, জটী, মুণ্ডী, শিখণ্ডী, কুণ্ডলী, লাঙ্গলী, বাল, কুমার, প্রবর ও বর। আপনি দ্বাদশ, ভূ, ভুবঃ, ভাবী, ভূমিপুত্র, নমস্কৃত, নাগরাজ, সুধর্মাত্মা, নাকপৃষ্ট ও সনাতন! আপনি ভর্তা, সর্ব্বভূতাত্মা, ত্রাতা, সুখাবহ, শরদক্ষ, শিখী, জেতা, ষড়ানন ভয় নাশন, হেমগর্ভ, মহাগর্ভ, জয়, ও বিজয়েশ্বর, তুমি কর্তা, বিধাতা, নিত্য, নিত্যাবিমর্দন, মহাসেন, মহাতেজা, বীরসেন, ভূপতি, সিদ্ধাসন, সুরাধ্যক্ষ, ভীমসেন, নিরময়, সৌরি, যদু, মহাতেজা, বীৰ্য্যবান, সত্যবিক্রম, তেজোগর্ভ, অসুররিপু, সুরমূর্তি সুরোর্জিত, কৃতজ্ঞ, বরদ, সত্য, শরণ্য, সাধুবৎসল, সুব্রত, সূর্য্যসঙ্কাশ, বহ্নিগর্ভ, কণ, ভুব, পিপ্পলী, শীঘ্রগ, রৌদ্রী, গাঙ্গেয়, রিপুদারণ, কার্তিকেয়, প্রভু, ক্ষন্তা, নীলদংষ্ট্র, মহামনা, নিগ্রহনিগ্রহ, নেতা, সুরনন্দন, প্রগ্রহ, পরমানন্দ, ক্রোধঘ্ন, তার, উচ্ছ্রিত, কুক্কুটী, বহুলী, দিব্য, কামদ, ভূরিবর্দ্ধন, অমোঘ, অমৃতদ, অগ্নি, শত্রুঘ্ন, সর্বমোদন, অব্যয়, অমর, শ্রীমান, উন্নত, অগ্নিসম্ভব, পিশাচরাজ, সূৰ্য্যাভ, শিবাত্মা, শিবনন্দন, অপারপার, দুর্জ্ঞেয়, সর্বভূতহিতরত, অগ্রাহ্য, কারণ, কর্তা, পরমেষ্ঠী, পরমপদ, অচিন্ত্য, সর্বভূতাত্মা, সর্বাত্মা ও সনাতন ॥ ১২৫-১৪০

________________________________________________

[স্তোত্র পাঠের ফল]


এবং স সর্বভূতানা সংস্তুতঃ পরমেশ্বরঃ ॥ ১৪১

নাম্নামষ্টশতেনায়ং বিশ্বামিত্রমহর্ষিণা ।

প্রসন্নমূর্তিরাহেদং মুনীন্দ্রং ব্রিয়তামিতি ॥ ১৪২ 

মম ত্বয়া দ্বিজশ্রেষ্ঠ স্তুতিরেষা নিরূপিতা ।

ভবিষ্যতি মনোঽভীষ্টপ্রাপ্তয়ে প্রাণিনাং ভুবি ॥ ১৪৩ 

বিবর্দ্ধতে কুলে লক্ষ্মীস্তস্য যঃ প্রপঠেদিমম্ ।

ন রাক্ষসাঃ পিশাচা বা ন ভূতানি ন চাপদঃ ॥ ১৪৪ 

বিঘ্নকারীণি তদেগহে যত্রৈব সংজ্ঞবন্তি মাম্ ।

দুঃস্বপ্নঞ্চ ন পণ্যেৎ স বন্ধো মুচ্যেত বন্ধনাৎ ॥ ১৪৫  

স্তবস্যাস্থ্য প্রভাবেণ দিব্যভাবঃ পূমান ভবেৎ ।..॥ ১৪৬

[স্কন্দমহাপুরাণ/মাহেশ্বর খণ্ড/কুমারিকাখণ্ড/২৯ অধ্যায়/১৪১-১৪৬ নং শ্লোক]


অর্থ : সেই সর্বভূতের পরমেশ্বর শিবের স্বরূপ (শিবপুত্র) কুমার এই অষ্টোত্তর শতনাম নাম দ্বারা মহর্ষি বিশ্বামিত্র দ্বারা সংস্তুত হয়ে প্রসন্ন হয়ে বিশ্বামিত্র কে বললেন, ‘বর গ্রহণ করো, হে মুনিশ্রেষ্ঠ ! তুমি আমাকে এই যে স্তুতি দ্বারা স্তব করলে এটি ভূতলে প্রাণীদের মন অভিলাষ পূরণ করবে। যে ব্যক্তি এটি পাঠ করবে তার বংশে সতত লক্ষ্মী বৃদ্ধি পাবে, এই স্তব দ্বারা আমার স্তবন করলে সেখানে রাক্ষস, পিশাচ, ভূত বা অন্য কোন প্রাণী কোন বিঘ্ন ঘটাতে পারেনা। এটি পাঠ করলে সেই ব্যক্তির দুঃস্বপ্ন দর্শন ঘটে না এবং বদ্ধ ব্যক্তি ও বন্ধন হতে মুক্তি লাভ করে । এই তবের প্রভাবে মানুষ দিব্য ভাবপ্রাপ্ত হয় ।







মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ