পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শৈবমতে মন্ত্রস্নান ও সন্ধিপ্ৰোক্ষণ পদ্ধতি

ছবি
  আপোহিষ্ঠেতি শিরসি প্রোক্ষয়েত্পাপশান্তয়ে। যস্যেতি মন্ত্ৰং পাদে তু সন্ধিপ্ৰোক্ষণমুচ্যতে ॥২২ হৃদয়ে মূর্ধি পাদে চ মূর্ণি হৃত্পাদ এব চ । হৃত্পাদমূর্ধি সম্প্ৰোক্ষ্য মন্ত্ৰস্নানং বিদুৰ্বধাঃ ॥২৩ ঈষস্পর্শ চ দৌঃস্বাস্থ্যে রাজরাষ্ট্রভয়েঽপি চ । অগত্যা গতিকালে চ মন্ত্রস্নানং সমাচরেত্ ॥ ২৪ [শিবমহাপুরাণ/বিদ্যেশ্বরসংহিতা/অধ্যায় নং ১৩] 🔴সরলার্থ – ➡️ আপো হি ষ্ঠা ময়োভুবস্তা নঃ ঊর্জে দধাতন। মহে রণায় চক্ষসে‌ ॥ ⬅️[শুক্লযজুর্বেদ : ৩৬/১৪] ☝️এই মন্ত্র পাঠ করে পাপ ক্ষয়ের নিমিত্ত মাথায় জল ছিটিয়ে নিন, অতঃপর ➡️ তস্মাহ অরং গমাম বো যস্য ক্ষয়ায় জিম্বথ। আপো জনয়থা চ নঃ ॥ ⬅️[শুক্লযজুর্বেদ : ৩৬/১৬] এই মন্ত্র পাঠ করে পায়ে জল ছিটিয়ে নেবেন, এটিকে সন্ধিপ্রোক্ষণ বলা হয়। “ আপো হি ষ্ঠা ” এই মন্ত্রে ৩টি ঋচা এবং প্রত্যেকটি ঋচাতে গায়ত্রী ছন্দের ৩টি করে চরণ বিদ্যমান। এর অন্তর্গত ১ম ঋচার ৩টি চরণ থাকে। এর অন্তর্গত  ১ম ঋচার ৩টি চরণ পাঠ করতে করতে পা, মাথা ও হৃদয়ে জল ছেটাবে। 🔴১ম ঋচা মন্ত্র – আপো হি ষ্ঠা ময়োভুবস্তা দ্বিতীয় ঋচার তিনটি চরণ পড়ে মাথা, হৃদয় ও পায়ে জল ছেটাবে। 🔴২য় ঋচা মন্ত্র – নঃ ঊর্জে দধাতন তৃতীয়

চমকম - রুদ্রাষ্টাধ্যায়ীর অন্তর্গত অষ্টম অধ্যায়ের রুদ্রসূক্ত

ছবি
  চমকম রুদ্রসূক্ত সংগ্রহ করেছেন শ্রী রোহিত কুমার চৌধুরী শৈবজী। প্রকাশনায় ISSGT (international Shiva Shakti Gyan Tirtha) শুক্ল যজুর্বেদের রুদ্রাষ্টাধ্যায়ীর অষ্টম অধ্যায়কে চমকম বলা হয়। এটি রুদ্রিপাঠের সময় শতরুদ্রিয় পাঠের পর পাঠ করা হয়ে থাকে।  অথ চমকম্ পাঠ – ॐ অগ্নাবিষ্ণু সজোষসে মা বর্ধন্ত বাং গিরঃ । দ্যুম্নৈর্বাজেভিরা গতম্ । বাজশ্চ মে প্রসবশ্চ মে প্রযতিশ্চ মে প্রসিতিশ্চ মে ধীতিশ্চ মে ক্রতুশ্চ মে স্বরশ্চ মে শ্লোকশ্চ মে শ্রাবশ্চ মে শ্রুতিশ্চ মে জ্যোতিশ্চ মে সুবশ্চ মে প্রাণশ্চ মেঽপানঃ চ মে ব্যানশ্চ মেঽসুশ্চ মে চিত্তং চ ম আধীতং চ মে বাক্ চ মে মনশ্চ মে চক্ষুশ্চ মে শ্রোত্রং চ মে দক্ষশ্চ মে বলং চ ম ওজশ্চ মে সহশ্চ ম আযুশ্চ মে জরা চ ম আত্মা চ মে তনূশ্চ মে শৰ্ম চ মে বর্ম চ মেঽঙ্গানি চ মেঽস্থানী চ মে পরুংষি চ মে শরীরাণি চ মে ॥ ১ ॥ জ্যৈষ্ঠ্যং চ ম আধিপত্যং চ মে মন্যুশ্চমে ভামশ্চ মেঽমশ্চ মে জেমা চ মে মহিমা চ মে বরিমা চ মে প্রথিমা চ মে বর্ষ্মা চ মে দ্রাঘুযা চ মে বৃদ্ধং চ মে বৃদ্ধিশ্চ মে সত্যং চ মে শ্রদ্ধা চ মে জগচ্চ মে ধনং চ মে বশশ্চ মে ত্বিষিশ্চ মে ক্রীড়া চ মে মোদশ্চ মে জাতং চ মে জনিষ্যমাণং চ

শৈব দীক্ষা ও শিব সাধনা সম্পর্কে প্রশ্নোত্তর

ছবি
নিম্নোক্ত আলোচনাটির উত্তর শ্রীকৌশিক রায় শৈবজী দিয়েছেন। 🔴প্রশ্ন (১) - শৈবমতাদর্শ অনুসারে কি গুরুর নিকট থেকে দীক্ষা গ্রহণ না করলে সমস্ত সাধনা নিষ্ফল বলে মান্য ? ✴️ উত্তর - সবার আগে এটা জেনে রাখা উচিত সাধনা শব্দের অর্থ আরাধনা। শৈবধর্মে গুরুবাদের কট্টরতা নেই, শৈবধর্মে যে কোনো জীবের শিব সাধনায় অধিকার আছে। শাক্তমতে গুরুবাদের কট্টরতা অধিক প্রবল, কেননা, শাক্তমতের বিশ্বাস হল যে, গুরুর কাছ থেকে দীক্ষা না নিয়ে যে কোনো সাধন কর্ম করলে সেটি অর্থহীন হয়, নিষ্ফল হয়। তাই শৈবধর্মে দীক্ষিত ও অদীক্ষিত উভয় ব্যক্তিই শিব সাধনা করতে পারেন, শিব সাধনায় সকলের অধিকার রয়েছে।  🔴প্রশ্ন (২) - দীক্ষাগুরু ছাড়া শিবসাধনা অথবা শিবজ্ঞান কার থেকে গ্রহণ করবো ? ✴️ উত্তর - যে ব্যক্তির নিকট হতে শিবসম্পর্কিত তথ্য ও তার সহজ সরল ব্যাখা আপনার বুঝতে সহজসাধ্য বোধ হয়, আপনার বিচার বিবেচনা অনুসারে যে ব্যক্তি শিবজ্ঞানে পারদর্শী ও বিশ্বাসযোগ্য, সেই ব্যক্তিকে অনুসরণ করুন। তার দেখানো মার্গে এগোতে থাকুন। শিবমহাপুরাণ অনুসারে জ্ঞানীব্যক্তি গুরু বলেই গণ্য। তাই যে ব্যক্তি আপনার জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে থাকে সেই ব্যক্তিকেই নিজ গ

পঞ্চব্রহ্ম শিবের ধ্যানমন্ত্র (শৈব আগমোক্ত)

ছবি
  পরমেশ্বর শিবের পঞ্চমস্তকস্বরূপের ধ্যান শৈব আগম শাস্ত্র থেকে সংগ্রহ করেছেন শ্রীরোহিত কুমার চৌধুরী শৈবজী । প্রকাশনায় ISSGT (International Shiva Shakti Gyan Tirtha) 🔴অথ পঞ্চব্রহ্ম ধ্যানম্ - " ঈশস্ফটিকবৎমধ্যে পূর্বে কুঙ্কুমবন্নরঃ ॥ দক্ষিণেঽঞ্জনবদ্-ঘোরঃ সৌম্যে বামঃ কুসুম্ভবৎ ।  চন্দ্রাংশুনির্মলং সদ্যং বক্ত্রং পশ্চিম দিগ্গতম্ ॥ সিংহনাদমুখং পূর্বে ললাটে নয়নং শুভম্ । ভৃহীনং তুঙ্গনাসং চ সুকপোলস্মিতাধরম্ ॥ দক্ষিণং ভীষণাকারং দংষ্ট্রাদন্তুর কর্কশম্ । বিবৃতাস্যং মহাঘ্রাণং বৃত্তাক্ষং লেলিহানকম্ ॥ নাগাভরণ সংযুক্তং কপালকৃতশেখরম্ । জ্বালাকৃতি জটাব্যালভোগিবদ্ধোর্ধ্ব চূড়কম্ ॥ পীতমাপ্যং প্রসন্নং চ সুনাসং সুললাটকম্ । ত্র্যক্ষং মকুটযুক্তং চ কুণ্ডলালঙ্কৃতং শুভম্ ॥ ভৃঙ্গাকার কচাব্রাতং কাঞ্চনাভণান্বিতম্ । ললাট তিলকোপেতং দর্পণাসক্ত তেজসম্ ॥ অলকাবতংস সংযুক্তং সৌম্যং কান্তবপুর্যুতম্ । তত্রৈশানং স্থিতোত্তানো মূর্ধস্থস্ত্বতিভীষণঃ ॥ কুণ্ডলালঙ্কৃতস্র্যক্ষো মৌলীন্দুতরুণঃ স্মৃতঃ । এবং বক্ত্রাণি সংভাব্য রূপং সদাশিবং যজেৎ ॥ " (রেফারেন্স- পূর্বকামিকাগম/চতুর্থ পটল/শ্লোক নং ৩৩৫-৩৪০) অর্থ - সদাশিবের চারমস্তকের

রুদ্রাভিষেক পদ্ধতি (শৈব আগমোক্ত)

ছবি
 সমগ্র বাংলায় এই শৈব আগমোক্ত রুদ্রাভিষেক বিধি ISSGT (international Shiva Shakti Gyan Tirtha) -এর পক্ষ থেকে সর্বপ্রথম প্রকাশ করা হল, যার লেখনীতে ও সংগ্রহে রয়েছেন শ্রী রোহিত কুমার চৌধুরী শৈবজী , সম্পাদনায় শ্রী কৌশিক রায় শৈবজী রয়েছেন। ____________________________________________ 🔶🔸✴️♣️♣️♠️ ১ম অনুচ্ছেদ ♠️♣️♣️✴️🔸🔶 – –––– – –––– – –––– – –––– – –––– – –––– – –––– – –––– I. শিবলিঙ্গের বিলেপন -  রুদ্রাভিষেকের পূর্বে হরিদ্রাচূর্ণ(কাঁচাহলুদ), আমলকীচূর্ণ, চন্দন, আগর, কর্পূরচূর্ণ, চালের গুঁড়ো, হলুদ, ঘৃত, ডালের গুঁড়ো, সর্ষের গুঁড়ো, লবন, তেল এসবের মিশ্রণ দিয়ে শিবলিঙ্গকে মাখিয়ে রাখতে হবে। এসব দ্রব্য শিবলিঙ্গে লেপনের সময় হৃদয়মন্ত্র -👉 ॐ ॐ হ্রাং হৃদয়ায় নমঃ উচ্চারণ করতে হবে। এটাই শৈব আগমোক্ত নির্দেশ।  II. অভিষেক পাত্রে/কলসে অর্ঘ্যউদক প্রদান - রুদ্রাভিষেকের পূর্বে পুনরায় হৃদয়মন্ত্র পাঠ পূর্বক সামান্য পরিমান অর্ঘ্য উদক এবং ফুলচন্দন রুদ্রাভিষেকে ব্যবহৃত প্রতিটি পাত্রে/কলসে ঢালতে হবে। ✅হৃদয়মন্ত্র -👉 ॐ ॐ হ্রাং হৃদয়ায় নমঃ III. শুদ্ধোদক প্রস্তুতি - এরপর একটি পাত্রে পরিষ্কার, ফেনামুক্ত জল নিয়ে

শৈব আচমন বিধি ও তার মাহাত্ম্য (শৈব আগমোক্ত)

ছবি
  আমরা বঙ্গবাসীরা সাধারণত স্মার্ত মতেই আচমন করে এসেছিন এতদিন। এমনকি শৈবাচারে আচমন থাকা সত্ত্বেও আমরা বেশির ভাগ শিবপূজাতেই সেই স্মার্তাচারেই আচমন করি। সাক্ষাৎ লিঙ্গরূপি পরমেশ্বরের পূজায় তাঁরই নির্দেশিত পদ্ধতিতে আচমন হবে না তা কি করে হয়। তাই ISSGT এর পক্ষ থেকে সাক্ষাৎ পরমেশ্বর প্রভু শিবের দ্বারাই নির্দেশিত আগমোক্ত তিন পর্যায়যুক্ত একটিই আচমন বিধি সহ তার মাহাত্ম্য নিয়ে আসা হল। শিবভক্ত শৈবদের জন্য বিশেষ আচমন পদ্ধতি উল্লেখিত আছে বৈদিক শৈব আগম শাস্ত্রে। তাই সমস্ত শিবভক্তদের স্বার্থে এই আচমন বিধি আনা হল। শৈবদের সর্বদা এই শৈবপূজা পদ্ধতিতেই পরমেশ্বর শিবের উপাসনা করা উচিত। যে কোনো উপাসনামূলক কার্যে এই শৈব আচমন বিধি অনুসরণ করবেন। ⭕ শৈবশাস্ত্রে শৈব আচমনের উল্লেখ :— ” আজানুপাদৌ প্রক্ষাল্য হস্তাবামণিবন্ধনাৎ । কুক্কুটাসনসংস্থস্তু জানুমধ্যগ পাণিযুক্ত ।। ১১২ সংযক বদ্ধশিখো ভূত্বা প্রাঙ্মুখো বাপ্যুদঙ্মুখঃ  হস্তং গোকর্ণ্বত্কৃত্বা মাষমগ্নজলং পিবেৎ ।।১১৩ অপ্রাণিযুগফেনং চ বুদ্বুদাদি বিবর্জনাত্ । ব্রহ্মতীর্থেন মূলেন ত্রিঃ পিথ্বা দ্বিঃ প্রমার্জযেত্ ॥১১৪ ওষ্ঠাঙ্গুষ্ঠমূলেনানামিকাঙ্গুষ্ঠ যোগতঃ । চক্ষুর্নাসাশৃতী

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

ছবি
  ISSGT শৈব সংগঠনের পক্ষ থেকে সোমবার ব্রতের বিধি আনা হল। এই ব্রতের পূজাপদ্ধতি — শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী মহাশয় লিখেছেন এবং সম্পাদনা করেছেন। বিশেষ সহায়তা রয়েছেন শ্রদ্ধেয় শ্রী রোহিত কুমার চৌধুরী শৈবজী মহাশয়। 🔴 সোমবারে শিব আরাধনার শাস্ত্রীয় উল্লেখ ও তার মাহাত্ম্য  :  উঃ – সোমবারে বিশেষেণ প্রদোষাদিগুণান্বিতে ॥৮ কেবলেনাপি যে কুর্য্যুঃ সোমবারে শিবার্চ্চনম্ । ন তেষাং বিদ্যতে কিঞ্চিদিহামুত্র চ দুর্লভম্ ॥৯ (তথ্যসূত্র : স্কন্দমহাপুরাণ/ব্রহ্মখন্ড/উত্তরখন্ড/৮ অধ্যায়) 🔷অর্থ – সোমবারযুক্ত প্রদোষকালে (সন্ধ্যা) অথবা কেবল সোমবারে যে ব্যক্তি শিবার্চনা করে তার ইহকাল বা পরকালে কিছুই দুর্লভ থাকে না । এছাড়াও সাক্ষাৎ বেদ শাস্ত্রের অন্তর্গত ‘ভস্ম-জাবাল উপনিষদে সোমবার ব্রত করবার নির্দেশ’ দেওয়া হয়েছে। 🔴সোমবার ব্রত কারা করতে পারে ? সোমবার ব্রত কোন আচারে করতে হবে ? উঃ – উপোষিতঃ শুচির্ভূত্বা সৌমবারে জিতেন্দ্রিয়ঃ । বৈদিকৈর্লৌকিকৈর্ব্বাপি বিধিবৎ পূজয়েচ্ছিবম ॥১০ ব্রহ্মচারী গৃহস্থো বা কন্যা বাপি সভর্ত্তৃকা । বিভর্ত্তৃকা বা সম্পূজ্য লভতে বরমীপ্সিতম্ ॥ ১১ (তথ্যসূত্র : স্কন্দমহাপুরাণ/ব্রহ্মখণ্ড/উত্তরখণ্ড/৮ অধ

শিবরক্ষাকবচ মহামন্ত্র (স্কন্দমহাপুরাণোক্ত)

ছবি
  ✅প্রাথমিক কিছু কথা – এই শিবকবচ মহামন্ত্রটি স্কন্দমহাপুরাণের ব্রহ্মখণ্ডের উত্তর খণ্ডের  ১২নং অধ্যায়ের অন্তর্গত, এটি স্বয়ং শিবস্বরূপ শিবাবতার ভগবান ঋষভ জী দ্বারা কথিত হয়েছে ভদ্রায়ুর নিকট। ISSGT – এর পক্ষ থেকে এই অতিমূল্যবান শিবরক্ষাকবচ মহামন্ত্র প্রথমবার প্রকাশিত করা হল। ॥ শিবরক্ষাকবচ মন্ত্র মাহাত্ম্য ॥ ১| এই কবচ মন্ত্র পাঠ করলে সর্ববাধা ও বিপত্তি প্রশমিত হয়। ২| যে ব্যক্তি এই কবচ সর্বদা ধারণ করেন, পরমেশ্বর প্রভু শিবের কৃপায় সেই ব্যক্তি কোথাও ভয় পান না, অর্থাৎ নির্ভয়ে সর্বস্থানে যাতায়াত করতে পারেন। ৩| অল্প আয়ুযুক্ত ব্যক্তি, মুমূর্ষু অথবা মহাব্যাধিগ্রস্ত ব্যক্তিও এই কবচের ফলে সুখ ও দীর্ঘায়ু লাভ করেন। ৪| দারিদ্রতা নাশক ও মহামঙ্গলকারী এই কবচ যে ব্যক্তি ধারণ করেন তিনি দেবগণের কাছেও পূজ্য হন। ৫| মহাপাতক সমূহ থেকে উদ্ধারকারী এই শিবরক্ষাকবচ তার ধারণকারী শিবধর্মপালনকারী ব্যক্তিকে তার দেহ অন্তের পর অর্থাৎ মৃত্যুর পর শিবকে প্রাপ্ত করিয়ে দেন। স্বয়ং ভগবান ঋষভ জী এমনটিই বলেছেন তার শিষ্যকে। অতএব, যে কোনো আপদ বিপদের সময় এই কবচ পাঠ করা অথবা স্মরণ করা উচিত। স্মরনকারী শিবভক্তকে সর্বদা রক্ষা করেন এ

রুদ্রাক্ষ ধারণ মালা শোধন পদ্ধতি

ছবি
  রুদ্রাক্ষ শোধন ও ধারণের পূর্বের কিছু কথা – ⭕রুদ্রাক্ষ বা রুদ্রাক্ষের মালা পরিধানের আগে অবশ্যই তা শুদ্ধ করতে হবে। অশোধিত রুদ্রাক্ষ ধারন করলে সে নরকগামী হবে বলছে শিবমহাপুরাণের বিদ্যেশ্বর সংহিতা এবং স্কন্দপুরাণ। ⭕রুদ্রাক্ষ মালা অথবা শুধুমাত্র রুদ্রাক্ষ এই পদ্ধতিতেই শোধন করতে পারবেন। ⭕ একবার শোধন করে নিয়ে প্রতিদিনই ধারণ করার সময় শুধু ॐ নমঃ শিবায় মহামন্ত্র বা রুদ্রগায়ত্রী বা রুদ্রাক্ষবৃক্ষ বীজায় ভূতি সংভূতি হেতবে । নেত্রত্রয়ায় রুদ্রায় নমো লোকহিতার্থিনে ॥ মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতেই ধারণ করবেন। রুদ্রাক্ষটি অবশ্যই ছয় মাস অন্তর একবার পুনরায় শোধন করে নেবেন। এতে রুদ্রাক্ষ মালার কার্যকারীতা বজায় থাকে। ⭕রাতে শোবার সময় রুদ্রাক্ষ একটি পবিত্র কাপড়ে জড়িয়ে রাখবেন। ⭕প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে রুদ্রাক্ষ ধারণ করবেন। ⭕প্রতিদিন অন্তত ১০৮বার ॐনমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করবেন ও নিত্যদিন শিবপূজা করবেন। ⭕রুদ্রাক্ষমালা ভেঙ্গে বা ফেটে গেলে নূতন রুদ্রাক্ষ মালা শোধন করে ধারণ করবেন। ⭕ধারণ করার রুদ্রাক্ষমালাতে কখনো জপ করবেন না। কারণ জপের জন্য রুদ্রাক্ষ মালা এবং ধারণ করার জন্য রুদ্রাক্ষের মালা দুটিই ভিন্ন। 🔘যে

প্রস্তর শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা বিধি (শিবমহাপুরাণোক্ত)

ছবি
  ॥ শিব ॐ ॥ পরমেশ্বরের নির্গুণ স্বরুপকেই শিবলিঙ্গের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়। শিবলিঙ্গ পূজন সর্বোত্তম। সমস্ত দেবদেবীর পূজা শিবলিঙ্গে করা যায় কেননা এক নির্গুণ শিবই গুনান্বিত হয়ে সব দেবী দেবতার রুপ ধারন করেন। সাধারন শিবমূর্তি পূজনের থেকে লিঙ্গস্বরূপে পূজা অধিক ফলপ্রদ। 📌শিবপুরাণের বিদ্যেশ্বর সংহিতার একাদশ অধ্যায়ে শিবলিঙ্গ স্থাপন সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণন পাওয়া যায়। সেখান থেকেই লিঙ্গস্থাপনের অতি সহজ পদ্ধতিটি আনা হল। ✅ শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠার স্থান নির্বাচন : ⭕ নিত্যদিন পূজা করা যাবে এমন কোনো পবিত্র জায়গা যেমন বাড়ির উপাসনালয় বা তীর্থক্ষেত্র বা নদীর পাড়ও শিবলিঙ্গ স্থাপনের জন্য আদর্শ।যেকোনো শুভ দিন দেখে এই কাজ শুরু করা উচিৎ। (বিদ্যেশ্বর সংহিতা/১১ নং অধ্যায়/শ্লোক নং ২-৩) ⭕ পার্থিব যেকোনো দ্রব্য (যেমন মাটি, পাথর এসব), জলময় যেকোনো দ্রব্য এবং ধাতু জাতীয় যেকোনো পদার্থ দ্বারা শিবলিঙ্গ তৈরী করা সম্ভব, এটা ভক্তের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। (বিদ্যেশ্বর সংহিতা/১১ নং অধ্যায়/শ্লোক নং ৩) ✅ স্থান বিশেষে লিঙ্গ নির্বাচন : ⭕ স্থাবর স্থায়ী লিঙ্গকে বলে অচললিঙ্গ। অচল লিঙ্গ প্রতিষ্ঠার জন্য স্থূল-বড় আকারের শিবলিঙ্গ শ্রে

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত