শিবরক্ষাকবচ মহামন্ত্র (স্কন্দমহাপুরাণোক্ত)


 

✅প্রাথমিক কিছু কথা –

এই শিবকবচ মহামন্ত্রটি স্কন্দমহাপুরাণের ব্রহ্মখণ্ডের উত্তর খণ্ডের  ১২নং অধ্যায়ের অন্তর্গত, এটি স্বয়ং শিবস্বরূপ শিবাবতার ভগবান ঋষভ জী দ্বারা কথিত হয়েছে ভদ্রায়ুর নিকট।


ISSGT – এর পক্ষ থেকে এই অতিমূল্যবান শিবরক্ষাকবচ মহামন্ত্র প্রথমবার প্রকাশিত করা হল।


॥ শিবরক্ষাকবচ মন্ত্র মাহাত্ম্য ॥

১| এই কবচ মন্ত্র পাঠ করলে সর্ববাধা ও বিপত্তি প্রশমিত হয়।

২| যে ব্যক্তি এই কবচ সর্বদা ধারণ করেন, পরমেশ্বর প্রভু শিবের কৃপায় সেই ব্যক্তি কোথাও ভয় পান না, অর্থাৎ নির্ভয়ে সর্বস্থানে যাতায়াত করতে পারেন।

৩| অল্প আয়ুযুক্ত ব্যক্তি, মুমূর্ষু অথবা মহাব্যাধিগ্রস্ত ব্যক্তিও এই কবচের ফলে সুখ ও দীর্ঘায়ু লাভ করেন।

৪| দারিদ্রতা নাশক ও মহামঙ্গলকারী এই কবচ যে ব্যক্তি ধারণ করেন তিনি দেবগণের কাছেও পূজ্য হন।

৫| মহাপাতক সমূহ থেকে উদ্ধারকারী এই শিবরক্ষাকবচ তার ধারণকারী শিবধর্মপালনকারী ব্যক্তিকে তার দেহ অন্তের পর অর্থাৎ মৃত্যুর পর শিবকে প্রাপ্ত করিয়ে দেন।


স্বয়ং ভগবান ঋষভ জী এমনটিই বলেছেন তার শিষ্যকে। অতএব, যে কোনো আপদ বিপদের সময় এই কবচ পাঠ করা অথবা স্মরণ করা উচিত। স্মরনকারী শিবভক্তকে সর্বদা রক্ষা করেন এই শিবরক্ষাকবচ।


[শিবরক্ষাকবচ ধারণ করার পদ্ধতি – একটি প্রকৃত রুদ্রাক্ষ মালা কিনে নিন(অথবা একটি রুদ্রাক্ষ), যা আপনি গলায় ধারণ করবেন।অন্যস্থানেও ধারণ করতে পারেন। তারপর একটি শুভদিনে অথবা সোমবারে রুদ্রাক্ষমালাটিকে শোধন করুন।

এইখানে ক্লিক করে রুদ্রাক্ষ শোধনের পদ্ধতি দেখে নিন👉 রুদ্রাক্ষ শোধনের পদ্ধতি


(অথবা আপনার পূর্বে শোধন করা রুদ্রাক্ষ মালাটিই শুধুমাত্র অভিমন্ত্রিত করতে পারেন এই কবচ মন্ত্রে)


রুদ্রাক্ষ শোধনের পর আপনি ধারণ করার আগে ওই রুদ্রাক্ষমালাটিকে(অথবা একটি রুদ্রাক্ষ) ডানহাতে ধরে এই নিম্নোক্ত শিবরক্ষাকবচ মন্ত্রটি সম্পূর্ণভাবে উচ্চারণ করে পাঠ করবেন।এর ফলে শিবরক্ষাকবচ মন্ত্রটি অভিমন্ত্রিত হবে রুদ্রাক্ষমালায়। তারপর সেই রুদ্রাক্ষমালাটিকে কপালে ঠেকিয়ে প্রণাম করে রুদ্রাক্ষ ধারণ মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে অথবা এই ষড়াক্ষর মহামন্ত্রটি 👉 ॥ ॐ নমঃ শিবায় ॥ উচ্চারণ করে গলায় ধারণ করবেন। এই কবচমন্ত্রের ফলে অতিশক্তিশালী হয়ে উঠবে রুদ্রাক্ষমালাটি। যার ফলে সর্বদাই আপনার সাথে শিবরক্ষাকবচ থাকবে। তবে ছয় মাস অন্তর একবার রুদ্রাক্ষমালাটিকে পুনরায় শোধন করার সময় পুনরায় এই কবচমন্ত্রটি পাঠ করে অভিমন্ত্রিত করে নেবেন]


🔥শিবরক্ষাকবচ মন্ত্র পাঠের পূর্বে শিবস্মরণ আবশ্যিক (নিম্নোক্ত মন্ত্রে শিবধ্যান স্মরণ করুন)


হৃৎপুণ্ডরীকান্তরসন্নিবিষ্টং স্বতেজসা ব্যাপ্তনভোঽবকাশম্।

অতীন্দ্রিয়ং সূক্ষ্মমনন্তমাদ্যং ধ্যায়েত

পরানন্দময়ং মহেশম্ ॥


সরলার্থ – যিনি হৃৎপদ্মকমলের মধ্যস্থানে অবস্থিত, যিনি নিজ তেজ জ্যোতি দ্বারা নভোমণ্ডল ব্যাপ্ত করে অবস্থিত, তিনি ইন্দ্রিয়ের দ্বারা বিষয়ীভূত নন, সেই পরমানন্দময় আদিপুরুষ মহেশ্বরকে ধ্যান করি।


এই ভাবে ধ্যান দ্বারা প্রভু পরমেশ্বর পার্বতীপতি শিবকে স্মরণ করতে হবে।


✅ধ্যান সম্পন্ন করার পর আত্মরক্ষার জন্য শিবরক্ষাকবচ মন্ত্র পাঠ করতে হবে –


॥ শিবরক্ষাকবচ মন্ত্র ॥


মাং পাতু দেবােহখিলদেবতাত্মা সংসারকূপে পতিতং গভীরে ।

তন্নাম দিব্যং বরমন্ত্রমূলং ধূনােতু মে সৰ্ব্বমঘং হৃদিস্থম্ ॥ ৫ ॥

সর্ব্বত্র মাং রক্ষতু বিশ্বমুর্তি জ্যোতির্ময়ানন্দঘনশ্চিদাত্মা ।

অণোরণীয়ানুরুশক্তিরেকঃ স ঈশ্বরঃ পাতু ভয়াদশেষাৎ ॥ ৬ ॥

যাে ভূস্বরূপেণ বিভর্ত্তি বিশ্বং পায়াৎ স ভূমের্গিরিশোহষ্টমুর্তিঃ ।

যােহপাং স্বরূপেণ নৃণাং করােতি সঞ্জীবন সােহবতু মাং জলেভ্যঃ ॥ ৭ ॥

কল্পাবসানে ভুবনানি দগ্ধ্বা সৰ্ব্বাণি যাে নৃত্যতি ভূরিলীলঃ ।

স কালরুদ্রোহবতু মাং দবাগ্নেৰ্ব্বাত্যাদিভীতেরখিলাচ্চ তাপাৎ ॥ ৮ ॥

প্রদীপ্তবিদ্যুকনকাবভাসো বিদ্যাবরাভীতিকুঠারপাণি ।

চতুর্ম্মুখস্তৎপুরুষস্ত্রিনেত্রঃ প্রাচ্যাং স্থিতং রক্ষতু মামজস্রম্ ॥ ৯ ॥

কুঠাবেদাঙ্কুশপাশশূল কপালটক্কাক্ষগুণান্ দধানঃ । চতুর্মুখখা নীলকুচি

কুঠারবেদাঙ্কুশপাশশূল কপালঢক্কাক্ষগুণান্ দধানঃ ।

চতুর্ম্মখো নীলরুচিস্ত্রিনেত্রঃ পায়াদঘোরো দিশি দক্ষিণস্যাম্ ॥ ১০ ॥

কুন্দেন্দুশঙ্খস্ফটিকাবভাসােবেদাক্ষমালাবরদাভয়াঙ্কঃ ।

ত্র্যক্ষশ্চতুৰ্ব্বক্ত্র উরুপ্রভাবঃ সদ্যোধিজাতােহবতু মাং প্রতীচ্যাম্ ॥ ১১ ॥

বরাক্ষমালাভয়টঙ্কহস্তঃ সরোজকিঞ্জল্কসমানবর্ণঃ । ত্রিলােচনশ্চারুচতুর্ম্মুখো মাং পায়াদুদীচ্যাং দিশি বামদেবঃ ॥ ১২ ॥

বেদাভয়েষ্টাঙ্কুশটঙ্কপাশকপালঢক্কাক্ষকশূলপাণিঃ |

সিতদ্যুতিঃ পঞ্চমুখােহবতান্মামীশান উদর্ধ্বং পরমপ্রকাশঃ ॥ ১৩ ॥

মূর্দ্ধানমব্যাম্ন চন্দ্রমৌলির্ভালং মমাব্যাদথ ভালনেত্রঃ ।

নেত্রে মমাব্যাদ্ভগনেত্রহারী নাসাং সদা রক্ষতু বিশ্বনাথঃ ॥ ১৪ ॥

পায়াচ্ছ্রুতি মে শ্রুতিগীতকীর্ত্তিঃ কপােলমব্যাৎ সততং কপালী ।

বক্ত্রং সদা রক্ষতু পঞ্চবক্ত্রো জিহ্বাং সদা রক্ষতু বেদজিহ্বঃ ॥ ১৫ ॥

কণ্ঠং গিরীশােহবতুহ নীলকণ্ঠঃ পাণিনদ্বয়ং পাতু পিনাকপাণি ।

দোর্মূলমব্যান্মমধৰ্ম্মবাহুৰ্ব্বক্ষঃস্থলং দক্ষমখান্তকোহব্যাৎ ॥ ১৬ ॥

মমােদরং পাতু গিরীন্দ্রধন্বা মধ্যং মমাব্যান্মদনান্তকারী ।

হেরম্বতাতে মম পাতু নাভিং পায়াৎ কটীং ধূর্জ্জটিরীশ্বরাে মে ॥ ১৭ ॥

উরুদ্বয়ং পাতু কুবেরমিত্রো জানুদ্বয়ং মে জগদীশ্বরোহব্যাৎ ।

জঙ্ঘাযুগং পুঙ্গবকেতুরব্যাৎ – পাদৌ মমাব্যাৎ সুরবন্দ্যপাদঃ ॥ ১৮ ॥

মহেশ্বরঃ পাতু দিনাদিযামে মাং মধ্যযামেহবহতু বামদেবঃ ।

ত্রিয়ম্বকঃ পাতু তৃতীয়যামে বৃষধ্বজঃ পাতু দিনান্ত্যযামে ॥ ১৯ ॥

পায়ান্নিশাদৌ শশিশেখরো মাং গঙ্গাধরো রক্ষতু মাং নিশীথে ।

গৌরীপতিঃ পাতু নিশাবসানে মৃত্যুঞ্জয়ো রক্ষতু সৰ্ব্বকালম্ ॥ ২০ ॥

অন্তঃস্থিতং রক্ষতু শঙ্করো মাং স্থাণুঃ সদা পাতু বহিঃস্থিতং মাম্ ।

তদস্তরে পাতু পতিঃ পশূনাং সদা শিবাে রক্ষতু মাং সমন্তাৎ ॥ ২১ ॥

তিষ্ঠস্তমব্যাদ্ভুবনৈকনাথঃ পায়াদব্ৰজন্তং প্রমথাধিনাথঃ ।

বেদান্তবেদ্যোহবতু মাং নিষন্নং মামব্যয়ঃ পাতু শিবঃ শয়ানম্ ॥ ২২ ॥

মার্গেষু মাং রক্ষতু নীলকণ্ঠঃ শৈলাদিদুর্গেষুু পুরত্রয়ারিঃ ।

অরণ্যবাসাদি মহাপ্রবাসে পায়ান্মৃগব্যাধ উদারশক্তিঃ ॥ ২৩ ॥

কল্পান্তকাটোপপটুপ্রকোপঃ স্ফুটাট্টহাসােচ্চলিতাণ্ডকোশঃ ।

ঘোরারিসেনার্ণবদুর্নিবার মহাভয়াদ্রক্ষতু বীরভদ্রঃ ॥ ২৪ ॥

পত্ত্যশ্বমাতঙ্গঘটাবরূথ সহস্রলক্ষায়ুতকোটিভীষণম্ ।

অক্ষৌহিণীনাং শতমাততায়িনাং ছিন্দ্যান্মৃঢ়ো ঘােরকুঠারধারয়া ॥ ২৫ ॥

নিহন্তু দস্যুন প্ৰলয়ানলার্চ্চির্জ্বলল্ত্রিশূলং ত্রিপুরা বীরভদ্রঃ ।

শার্দ্দূলসিংহর্ক্ষবৃকাদিহিংস্রান্ সন্ত্রাসয়ত্বীশ ধনুঃ পিনাকম্ ॥ ২৬ ॥ দুঃস্বপ্নদুঃশকুনদুর্গতিদৌৰ্ম্মনস্যদুর্ভিক্ষদুর্ব্ব্যসনদুঃসহদুর্য্যশাংসি ।

উৎপাততাপবিষভীতিমসদ্গ্রহাৰ্ত্তিব্যাধীংশ্চ নাশয়তু মে জগতামধীশ ॥ ২৭ ॥

ॐ নমাে ভগবতে সদাশিবায় সকল তত্ত্বাত্মকায় সকলতত্ত্ববিহারায় সকললোকৈককত্রে সকললােকৈভর্ত্রে সকললােকৈহর্ত্রে সকললােকৈক গুরবে সকললােকৈকসাক্ষিণে সকলনিগমগুহায় সকলবরপ্রদায় সকলদুরিতার্ত্তিভঞ্জনায় সকলজগদ ভয়ঙ্করায় সকললােকৈকশঙ্করায় শশাঙ্কশেখরায় । শাশ্বতনিজাভাসায় নির্গুণায় নিরুপমায় নীরূপায় নিরাভাসায় নিরাময়ায় নিষ্প্রপঞ্চায় নিষ্কলঙ্কায় নির্দ্দ্বন্দ্বায় নিঃসঙ্গায় নির্ম্মলায় নির্গমায় নিত্যরূপবিভবায় নিরাধারায় নিত্যশুদ্ধবুদ্ধপরিপূর্ণ-

সচ্চিদানন্দাদ্বয়ায় পরমশান্তপ্রকাশতেজোরূপায় জয়-

জয় মহারুদ্র মহারৌদ্র ভদ্রাবতার দুঃখদাবদারণ মহাভৈরব কালভৈরব কল্পান্তভৈরব কপালমালা

ধরখট্বাঙ্গ খড়্গচর্ম্ম পাশাঙ্কুশ ডমরুশূল চাপবাণ গদাশক্তি-ভিন্দিপাল তোমরমূষলমুদ্গরপট্টিশপরশুপরিঘভুশুণ্ডী- ত্রিপুরান্তকের প্রলয়ানলের জ্বালাবৎ প্রজ্বলিত শতঘ্নীচক্রাদ্যায়ুধভীষণকরসহস্র মুখদংষ্ট্রাকরাল বিকটাট্টহাসবিস্ফারিতব্রহ্মাণ্ডমণ্ডল নাগেন্দ্রকুণ্ডল

নাগেন্দ্রহার নাগেন্দ্রবলয় নাগেন্দ্রচর্ম্মধর মৃত্যুঞ্জয়

ত্র্যয়ম্বক ত্রিপুরান্তক বিরূপাক্ষ বিশ্বেশ্বর বিশ্বরূপ বৃষভবাহন বিষভূষণ বিশ্বতোমুখ সর্ব্বতোমুখ সর্ব্বতো

রক্ষরক্ষ মাং জ্বলজ্বল মহামৃত্যুভয়মপমৃত্যুভয়ং

নাশয়নাশয় রোগভয়মুৎসাদয়োৎসাদয় বিষসর্পভয়ং

শময় শময় চোরভয়ং মারয় মারয় মম শত্রূনুচ্চাটয়োচ্চাটয় শূলেন বিদারয় বিদারয় কুঠারেণ ভিন্ধি ভিন্ধি খড়্গেন ছিন্ধি ছিন্ধি খট্বাঙ্গেন বিপোথয় বিপোথয় মুষলেন নিপ্পেষয় নিপ্পেষয় বাণৈঃ সন্তাড়য়

সন্তাড়য় রক্ষাংসি ভীষয় ভীষয় ভূতানি বিদ্রাবয়

বিদ্রাবয় কুষ্মাণ্ডবেতালমারীগণ ব্রহ্মরাক্ষসসান সন্ত্রাসয় সন্ত্রাসয় মমাভয়ং কুরুকুরু বিত্রস্তং

মামাশ্বাসয়াশ্বাসয় নরকভয়ান্মামুদ্ধারযোদ্ধারয়

সঞ্জীবয় সঞ্জীবয় ক্ষূতৃড্ ভ্যাং মামাপ্যায়য়াপ্যায়য় ; দুঃখাতুরং মামানন্দয়ানন্দয়

শিবকবচেন মামাচ্ছদায়াচ্ছাদয় ত্র্যম্বক সদাশিব

নমস্তে নমস্তে নমস্তে ॥


॥ ইতি শ্রীঋষভকৃত শিবরক্ষাকবচম্ ॥


🚩সংগ্রহে – শ্রীকৌশিক রায় এবং শ্রীরোহিত কুমার চৌধুরী শৈবজী

🚩কপিরাইট এবং প্রচারে – International Shiva Shakti Gyan Tirtha – ISSGT 


© Koushik Roy. All Rights Reserved https://issgt100.blogspot.com


আরো দেখুন :


👉 ত্রিপুণ্ড্র ধারণের নিয়ম


👉 শৈব আচমনের বিধি ও তার মাহাত্ম্য


👉 সোমবারব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য


👉 শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা বিধি(শিবমহাপুরাণোক্ত)



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত