পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বিভিন্ন মনোরমুগ্ধকারী শিবসঙ্গীত সমূহের তালিকা

ছবি
ISSGT এর পক্ষ থেকে শিব ভক্তদের স্বার্থে এখানে YOUTUBE এর থেকে বিভিন্ন শিবসঙ্গীত ভজনের লিঙ্ক এখানে তুলে ধরা হল। আমাদের দেয়া শিবসঙ্গীত গুলি আপনি নিজে গাইতে চাইলে গানের লিরিক্স লিখে নিয়ে গানের সাথে অনুশীলন করুন। মুখস্ত হয়ে গেলে ভক্তিভাব সহযোগে প্রভু পরমেশ্বর শিবকে নিজের সঙ্গীতের দ্বারা অঞ্জলী দেবার মাধ্যমে পূজা করে প্রসন্ন করুন, কারণ শাস্ত্রে বলা হয়েছে প্রভু শিবের সঙ্গীত অতি প্রিয়, তাকে সঙ্গীত গায়ন করে প্রসন্ন করা সম্ভব, বিখ্যাত গন্ধর্ব পুষ্পদন্তক‌ও নিজ রচিত শিবমহিম্নস্তোত্র গায়ন করে পরমেশ্বরকে প্রসন্ন করেছিলেন। তাই আসুন আমরা সঙ্গীতেও মনো নিবেশ করি, লজ্জা ত্যাগ করে শুধুমাত্র প্রভু শিবের জন্য‌ই সমস্ত শিবসম্পর্কিত অনুষ্ঠানে এই শিবসঙ্গীত গুলি নিজের সাধ্যমত গায়ন করার চেষ্টা করবেন , বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে করতে পারেন অথবা শুধুমাত্র নিজ কন্ঠে এই সঙ্গীত গুলি গায়ন করতে পারেন। গানের নামগুলির গুলির উপর ক্লিক করে শিবসঙ্গীত শ্রবণ করুন ও হৃদয়কে শিবময় করে তুলুন। শিবসঙ্গীতের‌ই সাথে কিছু শিবমন্ত্র ও আমাদের ISSGT Official ইউটিউব চ্যানেলের তথ্য বিষয়ক ভিডিওর লিঙ্ক‌ও দেয়া হল, যাতে মানুষ শিব সম্পর্কে

শিবরাত্রির কারণ

ছবি
  নিম্নোক্ত লেখাটি শিবমহাপুরাণ থেকে নেওয়া হয়েছে। সংগ্রহে ও লেখনীতে - শ্রী কৌশিক রায় শৈবজী ©কপিরাইট ও প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT ব্রহ্মা ও বিষ্ণু যখন নিজের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের অভিমানের বশবর্তী হয়ে পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে বিবাদ করছিলেন তখন পরমেশ্বর শিব ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর মাঝে নিষ্কল আদি-অন্তহীন ভীষণ অগ্নিস্তম্ভের প্রকাশ ঘটান। এরপর ব্রহ্মা ও বিষ্ণু সেই অগ্নিস্তম্ভের শেষ ও শুরুর স্থান খুঁজতে গিয়ে অসফল হন। তখন তারা বুঝতে পারেন যে একমাত্র এই জ্যোতির্ময় সত্ত্বাই তাদের দুজনের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। পরবর্তীতে পরমেশ্বর শিব সেখানে নিজ সাকার স্বরূপে প্রকটিত হয়ে দর্শন দেন এবং ব্রহ্মা ও বিষ্ণু কে আশীর্বাদ করেন। তখন ব্রহ্মা ও বিষ্ণু পরমেশ্বর শিবের পূজা করেন । পরমেশ্বর শিব অত্যন্ত প্রসন্ন হয়ে বলেন - হে পুত্রগণ আজ এক মহান দিন তোমরা আজ আমার যেভাবে পূজা করেছ তাতে তোমাদের ওপর আমি অত্যন্ত প্রসন্ন হয়েছি। সেই জন্য এই দিন পরম পবিত্র এবং মহান থেকে মহান হবে, আজকের এই তিথি শিবরাত্রি নামে বিখ্যাত হয়ে আমার পরম প্রিয়' হবে । এই সময়ে যে আমার এই জ্যোতির্ময় লিঙ্গ অর্থাৎ সকল অঙ্গ আকৃত

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ছবি
 (২) শিবরাত্রির প্রহরপূজার পদ্ধতি  শিবরাত্রির মূল পূজা সমাপ্তির পর শিবরাত্রির প্রহরপূজার সময়েও প্রথমে সংকল্প গ্রহন করতে হবে । [প্রহরপূজার আগে মূলপূজা সম্পূর্ণ করতে হয়। যদি শিবরাত্রি ব্রতের মূল পূজাটি দেখতে চান তবে এখানে ক্লিক করুন 👉 শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা) ] [ মনে রাখবেন - নিম্নোক্ত পূজার উপকরণ গুলি শিবমহাপুরাণের নির্দেশনা অনুযায়ী দেয়া হয়েছে, আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী উপাচার দেবেন, যদি কোনো উপাচার দিতে আপনি অসমর্থ হন তবে ভক্তিসহকারে সেই উপাচার দ্রব্যটির কল্পনা করে উক্ত দ্রব্যের মন্ত্র উচ্চারণ করে কিছু পরিমান জল শিবলিঙ্গে দিয়ে দেবেন ] ⬛হাতে জল নিয়ে সাধারণ ভাবেই বলুন - দেবদেব মহাদেব হে নীলকন্ঠ আপনাকে নমস্কার করি। হে পরমেশ্বর! আমি আপনার শিবরাত্রির চারপ্রহরব্রতের অনুষ্ঠান করতে চাই। হে মহেশ্বর প্রভু শিব ! আপনার প্রভাবে এই ব্রত যেন সম্পূর্ণ নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয় এবং কামনা বাসনা আদি শত্রু যেন আমাকে পীড়া প্রদান না করে। 🟥 প্রথম প্রহরের পূজা :  [প্রথম প্রহরের ভারতীয় সময় -  শুক্রবার , ৮ই মার্চ, প্রথম প্রহরের সময় - 6:25 PM থেকে 09:28 PM]  [প্রথম প্রহরের বাংলাদেশীয়

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

ছবি
  শিবরাত্রির কারণ হল ব্রহ্মা ও বিষ্ণু উভয়েই এই বিশেষ তিথিতে পরমেশ্বর শিবের পূজা করেছিলেন। তাই এই পরমপবিত্র তিথি শিবরাত্রি নামে পরিচিত। আরো বিস্তারিত বিবরণ জানতে এখানে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন 👉 শিবরাত্রির কারণ কি ? শিবমহাপুরাণ অনুসারে শিবরাত্রি ব্রত পূজা দুই পর্যায়ে হয়ে থাকে  -  ১) প্রথম প্রহরেই শিবের  মূলপূজা  । তারপর..  ২) চার প্রহরে শিবের প্রহরপূজা  । (শিবরাত্রির আগেরদিন নিরামিষ (হবিষান্ন) খাদ্য গ্রহণ করবেন, শিবরাত্রির সমগ্র চতুর্দশী তিথিতে উপবাস থাকবেন, শিবরাত্রির প্রথম প্রহরের সময় শুরু হবার সাথে সাথেই প্রভু শিবের আরাধনা করতে হবে ও প্রথম প্রহর শেষ হবার আগেই সেই পূজা সেরে ফেলতে হবে, তারপর প্রথম প্রহরের মধ্যে বাকি থাকা  সময়ের মধ্যেই চারপ্রহরের পূজার শুভারম্ভ করতে হবে। প্রথম প্রহরে মূল পূজা সমাপ্তি করে সাথে সাথে প্রথম প্রহরের মধ্যেই চারপ্রহরোক্ত পূজার প্রথম প্রহরপূজা, উদাহরণ হিসেবে বলি - ধরুন, বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত প্রথম প্রহর রয়েছে, তবে আপনাকে আগে থেকেই মূলপূজার সামগ্রী সাজিয়ে ৫টা থেকে ৭টার মধ্যে মূলপূজা সারতে হবে। এরপর ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে প্রহরপূজা হিসেবে প্রথম

শিবরাত্রি ব্রতকথা - অজান্তেই শিব চতুর্দশীতে শিবপূজা করে এক ব্যাধের ভোগ ও মোক্ষ লাভ

ছবি
  ধৈর্য্য ধরে সম্পূর্ণ শিবরাত্রি ব্রতকথা পাঠ করুন। এটি শিবমহাপুরাণ থেকে নেয়া হয়েছে।  🌷সংগ্রহ ও পরিমার্জিত করেছেন শ্রী কৌশিক রায় শৈবজী(নন্দীনাথ শৈব) ।  🔥প্রচার ও কপিরাইট - ISSGT (INTERNATIONAL SHIVA SHAKTI GYAN TIRTHA) নিম্নোক্ত মহাপবিত্র শিবরাত্রি ব্রতকথা টি ভক্তি সহকারে পাঠ করুন ও অনান্য শিবভক্ত শৈবগণকেও শ্রবণ করান। এটি পঠনকারী ও শ্রবণকারী উভয়েরই সর্বোমনোস্কামনা পূর্ণ করে ও পাপমুক্ত করে থাকে। শিব সহিত সর্বদেবতা প্রসন্ন হন।তাই শিবরাত্রি ব্রতকথা অবশ্য‌ই ভক্তি সহকারে স্বচ্ছ হৃদয়ে পাঠ করা বাঞ্ছনীয়। ॥ ॐ নমঃ শিবায় ॥ সূতমুনি ঋষিগণেদের কাছে শিবরাত্রির ব্রতকথা বলতে শুরু করলেন।  সূতমুনি বললেন  -  হে ঋষিগণ ! তোমরা সকলে শোনো! আমি শিবরাত্রি বিষয়ে এক প্রাচীন নিষাদের ইতিহাস শোনাচ্ছি, যা সর্বপাপনাশকারী। বহু পূর্বের কথা(সত্যযুগের) —   এক বনে এক ভীল(ব্যাধ) বাস করত, তার নাম ছিল গুরুদ্রুহ। তার পরিবারে অনেক লোক ছিল, সে বলবান এবং ক্রূর স্বভাব হওয়ার সঙ্গে ক্রূরতাপূর্ণ কর্মেও তৎপর থাকত। প্রত্যহ বনে গিয়ে সে মৃগ(হরিণ) বধ করত এবং সেখানেই থেকে নানাপ্রকার চুরি-চামারি করত। অল্পবয়স থেকেই সে কোনো শুভকর

পুরাণ শাস্ত্রের মান্যতা

ছবি
  ' স্বর্বাকোবাক্যমিতিহাসপুরাণমোং সর্বান্বেদাংস্ত্বযি ' [শাঙ্খায়ন গৃহ্যসূত্রম(কল্প বেদাঙ্গ)/১/২৪/৮] ☘️সরলার্থ : স্বর, বাক্য, ইতিহাস, পুরাণ সমস্তই বেদ সূচক । বেদং গৃহীত্বা যঃ কশ্চিচ্ছাস্ত্রং চৈবাবমন্যতে।  স সদ্যঃ পশুতাং যাতিসংভবানেকবিংশতিম্ ॥ [রেফারেন্স - অত্রি সংহিতা/১/১১/] সরলার্থ: যে ব্যক্তি বেদ অধ্যয়ন করে সেই গর্বে অন্যান্য শাস্ত্রের উপদেশ অগ্রাহ্য করে, সে একবিংশতিবার পশুজন্ম প্রাপ্ত হবে ।

জীবের চূড়ান্ত লক্ষ্য শিবপার্বতী

ছবি
  মহাযোগী শ্ৰীশ্ৰীদয়ানন্দ অবধূতের বানী  “ মনে রাখিও, যোগ সিদ্ধি                          জ্ঞান ভক্তি, হর গৌরী ” [শ্রীশ্রীঠাকুরের উপদেশামৃত/৩/২] অতএব, জীবের জীবনের উদ্দেশ্য যোগ মার্গের মাধ্যমে জ্ঞান ভক্তির দ্বারা শিব পার্বতীর সাধনা করে আত্মজ্ঞান লাভ করে মোক্ষ প্রাপ্তি করতে হবে।

প্রভু শিবকে নগ্ন ও কামুক বলে এমন কটুক্তিকারীরা সর্বদাই মূর্খ

ছবি
যে ত্বাত্মরামগুরুভির্হৃদি চিন্তিতাঙ্ ঘ্রি-দ্বন্দ্বং চরন্তমুময়া তপসাভিতপ্তম্ । কত্থন্ত উগ্ৰপরুষং নিরতং শ্মশানে তে নৃনমূতিমবিদংস্তব হাতলজ্জাঃ ॥৩৩ [রেফারেন্স – ভাগবতপুরাণ/৮নং স্কন্ধ/৭নং অধ্যায়] ☘️ সরলার্থ – জীবন্মুক্ত ও আত্মারাম পুরুষেরা তাদের হৃদয়ে আপনার(শিবের) চরণযুগল ধ্যান করেন এবং আপনি নিজেও সর্বদা জ্ঞান ও তপে নিমগ্ন থাকেন । আপনি উমার সঙ্গে বিচরণ করেন দেখে যে সকল নির্লজ্জ ব্যক্তি আপনাকে উমার প্রতি আসক্ত (কামুক) কিংবা আপনি শ্মশানে বাস করেন বলে আপনাকে হিংস্র ও ক্রুর মনে করে — তারা মূর্খ, আপনার লীলার রহস্য কিছুমাত্র উপলব্ধি করতে পারে না ॥ ৩৩ 🔥 সিদ্ধান্ত – যাদের চিন্তাধারা কলুষিত তারাই পরমেশ্বর প্রভু শিবকে কামুক ও নগ্ন মনে করে। কেননা তাদের মন মানসিকতা সংকীর্ণতায় পরিপূর্ণ। সেই মায়াতে আচ্ছন্ন ব্যক্তি সর্বদাই নির্লজ্জ ও মূর্খ । কারণ, শিবের লীলা এই সব মহামূর্খদের বোধগম্য নয় । তাই এরা মায়াতে আচ্ছন্ন হয়ে শিবনিন্দা করে বেড়ায় । 📍সংগ্রহে ও লেখনীতে – শ্রীকৌশিক রায় শৈবজী Copyright ©️ International Shiva Shakti Gyan Tirtha – ISSGT. © Koushik Roy. All Rights Reserved https://issgt100.blog

বেদের সংহিতা ও ব্রাহ্মণের অংশগুলি একত্রে বেদ বলে স্বীকৃত

ছবি
মন্ত্ৰব্ৰাহ্মণে যজ্ঞস্য প্ৰমাণম্ ॥ ৩২ মন্ত্রব্রাহ্মণয়োর্বেদনামধেয়ম্ ॥৩৩ কর্মচোদনা ব্রাহ্মণানি ॥৩৪ [ রেফারেন্স - আপস্তম্ব/পরিভাষা সূত্র/১ম খণ্ড ] ☘️ সরলার্থ - মন্ত্র ও ব্রাহ্মণ যজ্ঞের প্রমাণস্বরূপ ॥৩২ মন্ত্র ও ব্রাহ্মণের নাম(উভয়েই) বেদ ॥৩৩ ব্রাহ্মণগুলি কর্মপ্রণোদনামূলক ॥৩৪ 🍁 সিদ্ধান্ত - ১. বেদের মন্ত্র অর্থাৎ সংহিতাঅংশ ও ব্রাহ্মণের অংশগুলি বৈদিক যুগের মানদণ্ড। ২. বেদের মন্ত্রভাগ ও ব্রাহ্মণভাগ উভয়‌ই একত্রে বেদ হিসেবেই স্বীকৃত ।  ৩. ব্রাহ্মণ শাস্ত্রগুলি বেদোক্ত কর্মকাণ্ডের জন্য প্রেরণা প্রদানকারী অর্থাৎ বেদের কর্মকাণ্ড হল ব্রাহ্মণ।

ইতিহাস-পুরাণ বলতে ব্রাহ্মণ শাস্ত্রসমূহকে বোঝায় না

ছবি
অথ স্বাধ্যায়ম্ অধীয়ীত ঋচো যজূংষি সামান্যথর্বাঙ্গিরসো ব্রাহ্মণানি কল্পান্ গাথা নারাশংসীর্ ইতিহাসপুরাণানীতি ॥১ [রেফারেন্স - আশ্বলায়ন গৃহ্যসূত্র ৩/৩/১] সরলার্থ - এরপর স্বাধ্যায় পাঠ করবেন - ঋক, যজুঃ, সাম, অথর্বাঙ্গিরস, ব্রাহ্মণ, কল্প, গাথা, নারাশংসী, ইতিহাস এবং পুরাণ। বিঃদ্রঃ - তথাকথিত নব্য আর্যসমাজী প্রক্ষিপ্তবাদীরা বলেন "ইতিহাস-পুরাণ" বলতে বেদের 'ব্রাহ্মণ' ভাগকে বোঝায়। এখন আশ্বলায়ন গৃহ্যসূত্র একটি ঋগ্বেদীয় বেদাঙ্গ এবং এখানে স্পষ্টত ব্রাহ্মণ, ইতিহাস, পুরাণ তিনটি আলাদা আলাদা শব্দই উল্লেখিত রয়েছে। এখন প্রশ্ন হল নব্য আর্যসমাজীদের মতের ভিত্তিতে যদি 'ইতিহাস-পুরাণ' বলতে 'ব্রাহ্মণ' সমূহকে বোঝায়, তবে এখানে আলাদা করে উল্লিখিত "ব্রাহ্মণ" শব্দটির দ্বারা কোন গ্রন্থ সমূহকে বোঝানো হয়েছে? সেটির উত্তর প্রদান করুন ।

সাম্বসদাশিবের ধ্যান ও আবাহন মন্ত্র (শিবমহাপুরাণোক্ত)

ছবি
  হাতটিকে আবাহন মুদ্রায় ধরে এই মন্ত্রটি পাঠ করে প্রভু পরমেশ্বর সদাশিবকে মাতা পার্বতীর র সহিত আবাহন করবেন, এই মন্ত্রে ধ্যান‌ও করা যায় - কৈলাস শিখরস্থং চ পাৰ্বতী পতিমুত্তমম্ । যথোক্ত রূপিণং শম্ভুং নির্গুণং গুণরূপিণম্ ।  পঞ্চবক্ত্রং দশভুজং ত্রিনেত্ৰং বৃষভ ধ্বজম্ ॥  কর্পূরগৌরং দিব্যাঙ্গং চন্দ্ৰমৌলিং কপর্দিনম্ ।  ব্যাঘ্রচর্ম উত্তরীয়ং চ গজচর্ম অম্বরং শুভম্ ॥  বাসুক্যাদি দীপ্তিতাঙ্গং পিনাকাদ্য আয়ুধান্বিতম্ ।  সিদ্ধয়োঽষ্টৌ চ যস্য অগ্রে নৃত্যন্তীহ নিরন্তরম্ ॥ জয় জয়েতি শব্দৈশ্চ সেবিতং ভক্তপুঞ্জকৈঃ ।  তেজসা দুস সহেনৈব দুর্লক্ষ্যং দেব সেবিতম্ ॥ শরণ্যং সর্বসত্ত্বানাং প্রসন্ন মুখ পঙ্কজম্ । বেদৈঃ শাস্ত্ৰৈ যথাগীতং বিষ্ণু ব্ৰহ্মনুতং সদা । ভক্তবৎসল পরমানন্দং শিবম আবাহয়াম্ অহম্ ॥ সরলার্থ :- যিনি কৈলাস শিখরে নিবাস করেন, যিনি পার্বতী দেবীর পতি, যিনি সমস্ত দেবতাদের থেকে উত্তম, শাস্ত্রে যাঁর স্বরূপ যথাবৎ বর্ণনা করা হয়েছে, যিনি নির্গুণ হয়েও গুণরূপ, যাঁর পাঁচ মুখ, দশ হাত এবং প্রত্যেক মুখমণ্ডলে তিনটি করে নেত্র, যাঁর ধ্বজায় বৃষভ চিহ্ন অঙ্কিত, যাঁর অঙ্গকান্তি কর্পূরের ন্যায় গৌর, যিনি দিব্যরূপধারী, চন্

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত