পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শিবের আরাধনার সমান অন্য কোনো ধর্ম নেই - শিবমহাপুরাণের শিক্ষা

ছবি
 শিবমহাপুরাণের শিক্ষা ন শিবার্চনতুল্যোঽস্তি ধর্মোঽন্যো ভুবনত্রয়ে ॥২৩ [রেফারেন্স - শিবমহাপুরাণ/বায়বীয়সংহিতা/উঃখণ্ড/অ.২৬] ☘️ সরলার্থ - পরমেশ্বর শিবের আরাধনার সমান ত্রিলোকে অন্য কোন ধর্ম নেই ॥২৩ 🌷 সিদ্ধান্ত - শিব আরাধনাই সর্বশ্রেষ্ট ধর্ম, এর সমান আর কিছুই নেই । 

বৈষ্ণবদের থেকে শ্রেষ্ঠ হল শিবভক্ত শৈব

ছবি
  বৈষ্ণবানাং সহস্রেভ্যঃ শিবভক্তো বিশিষ্যতে ॥৯ [তথ্যসূত্র - সৌরপুরাণ/অধ্যায় নং ১১] ☘️ সরলার্থ - পরমেশ্বর মহাদেব বললেন, এক হাজার বৈষ্ণবের থেকে একজন শিবভক্ত শৈব শ্ৰেষ্ঠ ॥ ✅ ব্যাখ্যা : বৈষ্ণবগণ সর্বদাই ভেদাভেদবাদে বিশ্বাসী, তাদের মধ্যে সমদর্শী ভাবনার অভাব, কিন্তু শিবভক্ত শৈবরা একতা ও সমানতায় বিশ্বাসী তাই তারা দেবদেবীর মধ্যে ভেদাভেদ করে না বরং তারা সমস্ত দেবদেবীকে এক ও অদ্বিতীয় পরমেশ্বর শিবের বিভিন্ন স্বরূপ বলে মানেন, যা বেদশাস্ত্র সম্মত, তাই বৈষ্ণবদের দৃষ্টি ও শৈবদের দৃষ্টির উপর বিচার করে শৈবদের শ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে শাস্ত্রে ।  কপিরাইট ও প্রচারে - ISSGT  আরো দেখুন 👇 👉  পদ্মপুরাণে শৈবদের নিন্দা করা কতটা যুক্তিযুক্ত ?

শাস্ত্র বিচার - মঙ্গলকাব্য আদৌ কি কোনো মান্য শাস্ত্র হিসেবে গণ্য ?

ছবি
  মহর্ষি জৈমিনী তাঁর পূর্ব মীমাংসা ( ধর্ম মীমাংসা ) সূত্রের ১.৩.৩ এ বলছেন -  " বিরোধে ত্বনপেক্ষ্যং স্যাদ্ অসতি হানুমানম্ "  সূত্রার্থ - শ্রুতি আর স্মৃতির বিরোধ বাঁধলে স্মৃতিশাস্ত্র অপেক্ষার যোগ্য নয় অর্থাৎ স্মৃতিকে প্রমাণ হিসেবে ধরা যাবে না , এক্ষেত্রে স্মৃতি শাস্ত্ৰ অপ্ৰমাণ হিসেবে পরিগণিত হবে । শ্রুতি আর স্মৃতির বিরোধ ( অসতি ) না হলে তবেই তা (স্মৃতি) অনুমানের যোগ্য অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য ।  আলোচ্য সূত্রের শাবর ভাষ্য এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে মীমাংসক শ্রী যুধিষ্ঠির আচার্য মনু সংহিতার ১২.৯৫ নং শ্লোকের উল্লেখ করে বলছেন -   " যা বেদবাহ্যা স্মৃতযো যাশ্চ কাশ্চ কুদৃষ্টযঃ | সর্বাস্তা নিষ্ফলাঃ প্ৰেত্য তমোনিষ্ঠা হি তা স্মৃতা || ৯৫ || "  অর্থ - যে সব স্মৃতি শাস্ত্র বেদবাহ্য মত বা শ্রুতির বিরোধী মত পোষণ করে যেগুলি কুদৃষ্টি সম্পন্ন , লোভী , অহংকারী ব্যক্তিদের দ্বারা রচিত , সেই সকল বেদ বিরোধী স্মৃতি শাস্ত্র সর্বথা নিষ্ফল । ওগুলো ইহলোক বা পরলোক কোনো কালেই মানব সমাজের জন্য কল্যাণকারী হবে না।  মহর্ষি ব্যাসদেব তাঁর ব্যাস সংহিতা ১.৪ এ বলছেন - " শ্রুতি স্মৃতি পুরাণানাং বিরোধো যত্র

শিবনিন্দাকারী ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত

ছবি
  শিবনিন্দাকরো বধ্যঃ সর্বথা শিবকিংকরৈঃ ॥ ৩৮ [তথ্যসূত্র : শিবমহাপুরাণ/রুদ্রসংহিতা/পার্বতীখণ্ড/অধ্যায় নং ২৮] ☘️ সরলার্থ - মাতা পার্বতী বললেন, শিবভক্তদের উচিত শিবনিন্দাকারীদের বধ করা ॥৩৮  🔥 ব্যাখ্যা - পরমেশ্বর শিবের যারা নিন্দাকারী একমাত্র তাদেরকেই মৃত্যুদণ্ড দেবার ব্যবস্থা করতে শিবভক্তদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন মাতা পার্বতী। অপরাধকারীদের সর্বোচ্চ দণ্ড এটিই।   প্রচারে - ISSGT

শৈব দর্শনে শক্তি এবং মায়ার স্বরূপ নির্ণয় এবং তার শ্রুতি ও জ্ঞান মীমাংসা সামঞ্জস্যতা নিরূপণ -

ছবি
  "ইচ্ছা শক্তিরুমা কুমারী"  বা  "ইচ্ছা শক্তিঃ উমা কুমারী" (শিবসূত্র/প্রথম উন্মেষ (শাম্ভোবপায়)/১৩) ব্যাখ্যা -  যখন কোনো শিবযোগী তাঁর সাধনার চরম অবস্থায় উপনীত হন (কাশ্মীর শৈব দর্শন মতে অনুপায় অবস্থা প্রাপ্ত হন), তখন তিনি সাক্ষাৎ পরভৈরব (পরমশিব) স্বরূপ লাভ করেন এবং সেই যোগীর ইচ্ছাশক্তি সাক্ষাৎ পরাভট্টারিকা উমাস্বরূপ অর্থাৎ শিবের ইচ্ছাশক্তি স্বরূপ লাভ করে,  উভয়ের মধ্যে কোনোরূপ ভেদ দর্শিত হয় না। এই শক্তিই পরমেশ্বর পরমশিবের স্বাতন্ত্র্য শক্তি হিসেবে পরিগণিতা -‌ "পরাভট্টারিকা সৈব কুমারীতি প্রকীর্তিতা ।" এই পরাশক্তিকে ' কুমারী ' বলা হয়েছে কারণ - কুমারী কন্যা বা কুমার বালক যেমন ক্রীড়া করে থাকে, তেমনই এই ইচ্ছাশক্তির দ্বারাই সৃষ্টি, স্থিতি, লয়, তিরোভাব ও অনুগ্রহ এই পঞ্চক্রীড়াসম্পন্ন হয়ে থাকে। এই শক্তি সর্বদাই কুমারীর ন্যায় ক্রীড়া করে চলেছে।  অন্যভাবে বিচার করলে - ' কুমারী ' অর্থ যিনি কারো সাথে রমণ করেননি, অর্থাৎ যিনি স্বয়ং নিজ প্রকৃতির মধ্যেই পরমানন্দে রমণ করেন এবং যোগীর ইচ্ছাশক্তিও সেইরূপ, শিবযোগী সর্বদা নিজ অন্তরেই পরমানন্দে রমণ করেন এব

ভস্ম/বিভূতি অভিমন্ত্রিত করণ এবং ধারণের শাবর মন্ত্র -

ছবি
      ভস্ম গায়ত্রী (ভস্মকে অভিমন্ত্রিত করার শাবর মন্ত্র)   সত নমো আদেশ | গুরুজীকো আদেশ | ॐ গুরুজী | ভভূত মাতা ভভূত পিতা ভভূত তরণ তারণী | মানুষতে দেবতা করে ভভূত কষ্ট নিবার্ণী | সো ভষ্মতী মাই জহা পাই তহা রমাই | আদকে জোগী অনাদকী ভভূত সতকো জোগী ধর্মকে পূত | অমৃত ঝরে ধরতী ফরে সো ফল মাতা গায়ত্রী চরৈ | গায়ত্রী মাতা গোবরী করে সূরজ মুখ সুখী অগন মুখ জরী | অষ্ট টংক ভভূত নাব টংক পাণী ঈশ্বর আণি পারবতী ছাণি | সো ভস্মতি হস্তক লে মস্তক চঢ়ী | চঢ়ী ভভূত দিল হুআ পাক অলখ নিরংজন আপো আপ | নাথজী গুরুজী কো আদেশ আদেশ | আদেশ |                  অভিমন্ত্রিত ভস্ম ধারণের শাবর মন্ত্র   সত নমো আদেশ | গুরুজীকো আদেশ | ॐ গুরুজী |   ॐ সোঽহঁ ধূংধূকারা শিব শিব শক্তি নে মিল কিয়া পসারা | নখ সে চীর বহগ বনায়া | রক্ত রুপ সে ভগবা আয়া অলখ পুরুষ নে ধারণ কিয়া | তব পীছে সিদ্ধো কো দিয়া | আবো সিদ্ধো ধরো ধ্যান ভগবা মংত্ৰ ভয়া প্ৰণাম | ইতনা ভগবা মংত্র সম্পূর্ণং ভয়া | আদেশ আদেশ সিদ্ধ গুরুজীকো আদেশ | আদেশ | আদেশ | বিঃদ্রঃ -  ১.  গৃহীদের জন্য শুধুমাত্র গোবর/ঘুটে পোড়ানো ভস্ম ব্যবহার করার বিধান আছে শাস্ত্রে। ধুনির ভস্ম অথবা শশ্মা

শ্রীশ্রী জীবন্তিকা ব্রত বিধি (স্কন্দমহাপুরাণোক্ত)

ছবি
  🌺জীবন্তিকা দেবী হল জগজ্জননী পার্বতীর একটি স্বরূপ, পার্বতী মাতা সমস্ত শিশুদের সুরক্ষা প্রদান করে শিশুদের জীবনকাল বৃদ্ধি করে থাকেন তাই তিনি জীবন্তিকা নামে বিখ্যাত, ISSGT(International Shiva Shakti Gyan Tirtha-এর পক্ষ থেকে মাতা জীবন্তিকার ব্রত বিধি এই প্রথমবার বাংলায় শাস্ত্র অনুসারে তুলে ধরা হল, লেখনীতে রয়েছেন - শ্রী রিন্টু বিশ্বাস শৈবজী, বিশেষ সহযোগিতা করেছেন শ্রীমতি নমিতা রায় দেবীজী, স্কন্দমহাপুরাণোক্ত শ্রাবণ মাস মাহাত্ম্য খণ্ডটি থেকে এই ব্রতটি সংগ্রহ ও সম্পাদনা করেছেন শ্রী কৌশিক রায় শৈবজী, এই ব্রত যেহেতু শুক্রবার করা হয়ে থাকে, তার‌ই সাথে লাল বর্ণ বিশেষ শুভ বলে গন্য তাই এই ব্রত লাল শুক্রবারব্রত নামেও পরিচিত। 💠ব্রতের সময়- 🔹শ্রাবণ মাসের প্রত্যেক শুক্রবার ৫ , 9 বছর করে উদযাপন করতে হবে অথবা শ্রাবণ মাসে প্রথম শুক্রবার থেকে ১ বছর অর্থাৎ পরের বছর শ্রাবণ মাস পর্যন্ত প্রত্যেক শুক্রবার এই ব্রত করে উদযাপন করতে হবে অথবা শ্রাবণ মাসের প্রথম শুক্রবার থেকে শেষ শুক্রবার পর্যন্ত এই ব্রত করা হয়ে থাকে। এই ব্রত উদযাপন শ্রাবণ মাসের প্রথম শুক্রবার করা উচিৎ তবে কোনো কারণে যদি সম্ভব না হয় তবে দ্বিত

জীবন্তিকা ব্রত কথা (স্কন্দমহাপুরাণোক্ত)

 ✅ নিম্নোক্ত ব্রত কথা পাঠ করুন_:- ব্রত কথা শুরু করার আগে সন্তান কাছে থাকলে তাকে পাশে বসিয়ে তার মাথায় একটু গঙ্গা জল ছিটিয়ে ও নিজের হাতে কিছু গোটা আতপচাল নিয়ে ব্রত কথা শুরু করতে হবে ।  {শুক্রবার - জীবন্তিকা ব্রতের কথা } ভগবান বললেন - হে সনৎকুমার - এর পরে আমি এখন শুক্রবারের উপবাসের গল্প বলব, যা শুনলে মানুষ সমস্ত বিপদ থেকে মুক্ত হয়। প্রাচীন কালে একদা একসময় পান্ড্য বংশে সুশীল নামে এক রাজার জন্ম হয়েছিল।  অনেক চেষ্টা করেও তিনি সন্তান লাভ করতে পারেননি।  সুকেশী নামে তার এক স্ত্রী ছিল।  যখন তার সন্তান হয়নি, তখন সে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছিল,  সে প্রতি মাসে ঋতুস্রাবের সময় তার পেটে কাপড়ের টুকরো বেঁধে এবং সবাই কে বলে সে গর্ভবতী  আর এইভাবে পেটকে বড় করে তোলে এবং নিয়ম অনুযায়ী তার প্রসবের সময় আসার আগে সে এমন কাউকে খুঁজতে থাকে যার একই সময়ে সন্তান প্রসব হবে । পরবর্তী সময়ে সে এক পুরোহিতের গর্ভবতী স্ত্রীর সন্ধান পায় , তখন  রাজার স্ত্রী সেই সন্তানকে চুরি করার পরিকল্পনা করেন, এই কাজের জন্য একজন দাসী নিয়োজিত করেন এবং তাকে গোপনে প্রচুর অর্থ প্রদানের পর সেই দাসী পুরোহিত এর স্ত্রীর কাছে যান।  অতঃ

নাথ শৈব পরম্পরায় মান্যতা প্রাপ্ত শাস্ত্র সমূহের তালিকা-

ছবি
প্রাচীন শৈব ঘরানা গুলির মধ্যে অন্যতম এক ঘরানা হল - নাথ পরম্পরা বা নাথ ঘরানা। মূলত যোগ এবং তন্ত্র সাধন মার্গের উপর এই ঘরানা প্রতিষ্ঠিত । আদিনাথ প্রথম অর্থাৎ সাক্ষাৎ শিব এই ঘরানার প্রতিষ্ঠাতা। নাথেদের দর্শন হল - অদ্বৈত শৈব দর্শন , যা অনেকটা কাশ্মীর ত্রিক শৈব দর্শনের অনুরূপ, ইহার নাম - সিদ্ধসিদ্ধান্ত দর্শন , যা মূলত যোগ ও তন্ত্র ভিত্তিক , সিদ্ধ পুরুষদের বাণী ভিত্তিক।  নাথেদের শাস্ত্র সূক্ষ্মবেদ মতে, নাথ ঘরানা চার যুগেই বিদ্যমান ছিল বলে মনে করা হয় এবং চার যুগেরও আগে অনাদিযুগ বা সূক্ষ্ম যুগ থেকে এই ঘরানা চলে আসছে বলে নাথ সম্প্রদায়ভুক্ত সাধকেরা মনে করে থাকেন। আদিনাথ, গোরক্ষ নাথ, মৎস্যেন্দ্রনাথ এনারাও চার যুগে চার জন ছিলেন বলে মনে করা হয়। সাক্ষাৎ শিব চারযুগেই আদিনাথ স্বরূপে অবতীর্ণ হন বলে মনে করা হয়। তবে এই মত নিয়ে বিভিন্ন স্থানের নাথেদের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে।   এই নাথ পরম্পরা আজও বহাল রয়েছে। এমনকি স্কন্দমহাপুরাণ এর মাহেশ্বরখণ্ডে নাথ পরম্পরার অন্যতম সাধক মহাকৌল মৎস্যেন্দ্রনাথ জীর উল্লেখ পাওয়া যায়। সাথে আচার্য অভিনবগুপ্ত তাঁর তন্ত্রালোকেও   মৎস্যেন্দ্রনাথ জীর উল্লেখ অত্যন্ত

পরমেশ্বর শিব কদাপি কারও ধ্যান করেন না

ছবি
  শ্রীবিষ্ণু উবাচ্- " শ্ৰুতিদেবাদ্যগম্যং হি পদং তবকিলস্থিতম্ || ১৮৫ ||  সর্বোপনিষদব্যক্তংত্বত্পদংকপিসর্বযুক্  যমাদিসাধনৈৰ্যোগৈর্নক্ষণন্তেপদং স্থিতম্ || ১৮৬ ||  অথবিষ্ণুর্মহাতেজ মহেশমিদম্ ব্রবীৎ |  সর্ব্বৈর্নমস্যতেযস্তুসর্ব্বৈরেবসমর্চ্যতে || ২৪৪ || হুযতে সর্বযজ্ঞেষু সভবান্কিজপিষ্যতি |  রচিতাংজলযঃ সর্বেত্বামেবৈকমুপাসতে || ২৪৫ ||  তবকঃ ফলদোবন্দ্যঃ কোবাত্বত্তোধিকোবদ || ২৪৬ || " (রেফারেন্স- পদ্মপুরাণ/পাতাল খণ্ড/১১৪ নং অধ্যায়) অর্থ -  আপনার পাদপদ্ম বেদ এবং দেবতাগণের জন্যও অগম্য। এমনকি সমগ্র উপনিষদও আপনার পাদপদ্মকে ব্যাখ্যা করতে সমর্থ নয়। সাধন, যোগের দ্বারাও আপনাকে পাওয়া যায়না। সবাই আপনাকে অর্চ্চনা করে, প্রার্থনা করে, আপনার জপ করে, উপাসনা করে এবং সর্বযজ্ঞে আপনারই উদ্দেশ্য আহুতি দেয়। তাহলে আপনি কার পূজা করেন ?‌আপনাকে ফলপ্রদানকারী ও আপনার চেয়ে শ্রেষ্ঠ এমন কেই বা আছে ? শঙ্কর উবাচ্ -  " ধ্যাযেনকিঞ্চিৎ গোবিন্দননমস্যেহকিঞ্চন || ২৪৭ || নোপাস্যেকিঞ্চনহরেনজপিষ্যেহকিঞ্চন |  কিন্তু নাস্তিকজন্তুনাং প্ৰবৃত্ত্যৰ্থমিদংমযা || ২৪৮ || " (রেফারেন্স- পদ্মপুরাণ/পাতাল খণ্ড/১১৪ নং অধ্যায়)

নাথ কাপালিক ঘরানা -

ছবি
🚩কাপালিকরা আসলেই হলেন এক প্রকারের বামাচারী শৈব সম্প্রদায়-  " আদিনাথো হ্যনাদিশ্চ কালশ্চৈবাতিকালকঃ |  করালো বিকরালশ্চ মহাকালশ্চ সপ্তমঃ ||  কালভৈরবনাথশ্চ বটুকস্তদনন্তরম্ |  ভূতনাথো বীরনাথঃ শ্ৰীকণ্ঠো দ্বাদশো মতঃ ||  নাগার্জুনো জড়ভরতো হরিশ্চন্দ্রস্তৃতীয়কঃ |  সত্যনাথো ভীমনাথো গোরক্ষশ্চর্পটস্তথা ||  অবদ্যশ্বৈচ বৈরাগ্যঃ কন্থাধারী জলন্ধরঃ |  মার্গপ্রবর্তকা হ্যেতে তদ্বচ্ছমলয়াৰ্জুনঃ || "  রেফারেন্স - শাবরতন্ত্র (গোরক্ষপুর মঠ কর্তৃক প্রকাশিত 'গোরক্ষ সিদ্ধান্ত সংগ্রহ' হতে সংকলিত) অর্থ - শাবরতন্ত্র মতে দ্বাদশ কাপালিক গুরু হলেন - আদিনাথ (সাক্ষাৎ শিব), অনাদি, কাল, অতিকাল, করাল, বিকরাল, মহাকাল, কালভৈরবনাথ, বটুক, ভূতনাথ, বীরনাথ ও শ্রীকণ্ঠ । কাপালিক দ্বাদশ শিষ্যগণ হলেন- নাগার্জুন, জড়ভরত, হরিশ্চন্দ্র, সত্যনাথ, ভীমনাথ, গোরক্ষ, চর্পট, অবদ্য, বৈরাগ্য, কন্থাধারী, জালন্ধর এবং মলয়ার্জুন ।  মতান্তরে কাপালিকদেরকে অতিমার্গিক পাশুপতদের থেকে সৃষ্ট বলে মনে করা হয় । তাদের দর্শন ছিল - দ্বৈত , ইষ্টদেব ছিলেন ভৈরব । তারা যে তন্ত্র অনুসরণ করতেন সেগুলো কাপাল আগম , লাকুল আগম , পাশুপত তন্ত্র , বাম

শ্রীগোরক্ষ গায়ত্রী

ছবি
  ॐ হ্রীঁ শ্রীঁ গ্রোং গোরক্ষনাথায বিদ্মহে শূণ্যপুত্রায ধীমহি তন্নো গোরক্ষ নিরঞ্জন প্রচোদযাৎ ॐ || ( রেফারেন্স- শ্রীগোরক্ষ তন্ত্রম্/ ষষ্ঠ অধ্যায় সংকলনকার - মহন্ত যোগী ডঃ বিলাসনাথ জী) আদেশ আদেশ ©R ohitKumarChoudhury. ISSGT. 2022. ARR

হরি হর সংক্রান্ত প্রশ্ন ও তার উত্তর

ছবি
  বর্তমানে আমাদের সনাতন ধর্ম সমাজে কিছু ব্যক্তি সর্বদাই "হরি হর" এই শব্দটা ব্যবহার করে এমনভাবে একত্ব সিদ্ধ করে যেন একজন পুত্রের জন্মদাতা পিতা ও জন্মদাতা পিতার ভ্রাতা উভয়েই এক, কোনো ভেদ নেই। আমাদের উদ্দেশ্য কোনো কটুক্তি করা নয়, শৈব সনাতন ধর্মের শাস্ত্রনির্দেশকে তুলে ধরার মহান যজ্ঞে আমরা সর্বদা বদ্ধপরিকর ।  সুতরাং, ISSGT  -এর পক্ষ থেকে হরি হর সম্পর্কিত ভ্রান্তির নিরসন করা হচ্ছে নিম্নোক্ত প্রশ্ন-উত্তর -এর মাধ্যমে । লিখেছেন - শ্রীকৌশিক রায় শৈবজী  প্রশ্ন নং ১) হরি আর হর কি এক ?  উত্তর : অবশ্য‌ই এক । কিন্তু আমাদের প্রথমে মনে রাখতে হবে হরি অর্থাৎ বিষ্ণু হল সত্ত্বগুণধারী, আর হর হল তমগুণধারী। যদিও শিবমহাপুরাণ রুদ্রসংহিতার নবম অধ্যায়ে উল্লেখিত হয়েছে, ত্রিপালক শ্রীহরি বিষ্ণু সর্বদা অন্তরে তমোগুণ ও বাইরে সত্ত্বগুণ প্রকাশ করেন। ত্রিলোকের সংহারক রুদ্রদেব অন্তরে সত্ত্বগুণ ও বাইরে তমোগুণ ধারন করেন । তাই হরি এবং হর হলেন গুণযুক্ত সত্ত্বা ।  সুতরাং, হরির কার্য আর হরের কার্য আলাদা আলাদা।  প্রশ্ন নং ২) হরি অর্থাৎ বিষ্ণু আর হর অর্থাৎ শিব যদি এক হয় তাহলে আপনরা এটা মানেন না কেন ?   উত্তর : হ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত