দয়ানন্দ সরস্বতীর রচিত সত্যার্থপ্রকাশ পুস্তকে শিবপুরাণ সমীক্ষা নামক আপত্তির নিরসন



ॐ নমঃ শিবায় ॥

ॐ নমঃ নন্দীকেশ্বরায় ॥

আজ পর্যন্ত কোনো সনাতন ধর্মের বর্তমানকালের কোনো সম্প্রদায়ের আচার্য্য বা প্রচারক এই বিষয়ে আলোকপাত করেনি, আর্যসমাজীদের খণ্ডন করেনি, 

শিবমহাপুরাণের অপমান করার অর্থ হল সাক্ষাৎ মহাদেব কে অপমান করা, তাই ISSGT ওরফে আমরা শৈবরা বেঁচে থাকতে তা কখনোই সহ্য করবো না, যার কারণে আমরা এই প্রথমবার ম্লেচ্ছ আর্যসমাজীদের অর্থাৎ ছদ্মসনাতনীদের দ্বারা শিব মহাপুরাণের নামে করা অপপ্রচারের জবাব দিতে এই লেখাটি উপস্থাপন করছি। 

এর আগেও বাংলাদেশ অগ্নিবীর নামক একটি আর্যসমাজী ম্লেচ্ছ সংস্থার চ্যালারা আমাদের শৈবদের কাছে পরমেশ্বর শিবের দারুবনের ঘটনা তুলে শিবলিঙ্গ কে পুরুষাঙ্গ বলে অশ্লীল আখ্যা দিয়ে গালিগালাজ করতো, তাদের শাস্ত্রিয়ভাবে জবাব দিয়েছি আমরা, যা এর আগে কেউ করেনি। এবার শিব মহাপুরাণের নামে সত্যার্থ প্রকাশে করা দয়ানন্দ সরস্বতীর মিথ্যাচারের জবাব দিলাম । 

Probir Kumar নামের এক আর্যসমাজী  Sanatan Vedic Dharma নামের ইউটিউব ঠিক একই ভাবে শিবপুরাণকে নিন্দা করেছে, 

চ্যানেলের লিঙ্ক টি দেখতে পারেন 👇

https://youtu.be/KZ88l22EYMg


এবার এদের খণ্ডনের দিকে এগোনো যাক।


ছদ্মসনাতনীদের পরিচয় : দয়ানন্দ সরস্বতী নামক এক অর্ধমস্তিষ্কসম্পন্ন ব্যক্তির দ্বারা তার রচিত সত্যার্থপ্রকাশ নামক একটি পাপযুক্ত পুস্তকে সনাতন ধর্মের শাস্ত্র, প্রাচীন মহিমাযুক্ত বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সহ বিভিন্ন আচার্যদের আগাগোড়া কল্পিত যুক্তি দ্বারা তুলোধনা করা হয়েছে। সেখানে দয়ানন্দ সরস্বতী নিজের মূঢ় মস্তিষ্কের বিচার বিবেচনা দ্বারা পুরাণ শাস্ত্রের বিপক্ষে যা ইচ্ছে তাই গালিগালাজ করেছে। 

সেখানে একাদশ সমুল্লাস নামক অধ্যায়ে শিবপুরাণ সমীক্ষা - নামে একটি বিষয়সূচী রয়েছে। যার মধ্যে দয়ানন্দ সরস্বতী শিবমহাপুরাণের উদ্দেশ্যে অশালীন মন্তব্য করে শিবমহাপুরাণকে অবৈজ্ঞানিক দাবি করেছেন।  

যা নিয়ে দয়ানন্দ সরস্বতীর প্রতিষ্ঠিত আর্যসমাজ -এর পরিপন্থী অর্ধমস্তিষ্কসম্পন্ন দয়ানন্দীগণেরা শিবভক্তদের অশালীন মন্তব্য করে তাদের শিবভক্তিতে আঘাত করে। যেমন - বাংলাদেশে একটি আর্যসমাজীদের নতুন ঘাটি হয়েছে, যার নাম - বাংলাদেশ অগ্নিবীর

এদের দ্বারা প্রচারিত হয়ে সাধারন শাস্ত্র সম্পর্কে অজ্ঞ সনাতনীরা আর্যসমাজী হয়ে গিয়ে পুরাণের নিন্দা করে চলেছে তলায় তলায়। আমরা শৈবগণের বহুদিন থেকে এদের অসভ্যতামি সহ্য করেছি কিন্তু এখন তা সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে, তাই এদের সমূলে উৎপাটন করা কর্তব্য মনে করে আজ শিবমহাপুরাণের উপর অবৈজ্ঞানিক তকমা আরোপ করা দয়ানন্দ সরস্বতীর সত্যার্থ প্রকাশের উক্ত দাবির খণ্ডনে প্রবৃত্ত হয়েছি।

পাঠকবৃন্দ.. 

চলুন দেখে নিই দয়ানন্দ সরস্বতীর সেই বক্তব্য গুলি, তারপর সেই দাবির আগাগোড়া খণ্ডন করে দয়ানন্দীদের মুখ বন্ধ করে দেয়া হবে।


সত্যার্থপ্রকাশের একাদশ সমুল্লাসে শিবপুরাণ সমীক্ষা নামক বিষয়ে দয়ানন্দ সরস্বতীর দাবি :

👉শিবপুরাণে শিব ইচ্ছা করিলেন “আমি সৃষ্টি করিব”। তখন তিনি নারায়ণ (নামক) এক জলাশয় উৎপন্ন করিলেন। তাহার নাভি হইতে কমল হইল এবং কমল হইতে ব্রহ্ম উৎপন্ন হইলেন ৷ ব্রহ্মা দেখিলেন যে, সমস্ত জলময়। তখন তিনি অঞ্জলি ভরিয়া জল তুলিয়া দেখিলেন এবং পুনরায় জল ফেলিয়া দিলেন। তাহা হইতে এক বুদ্বুদ হইল এবং বুদ্বুদ হইতে একজন পুরুষ উৎপন্ন হইল। সে ব্রহ্মকে বলিল, “রে পুত্র। সৃষ্টি কর। ব্রহ্মা তাহাকে বলিলেন, “আমি তোমার পুত্র নহি কিন্তু তুমি আমার পুত্র”। তাঁহাদের মধ্যে বিবাদ উপস্থিত হইল এবং দুইজনে দিব্য সহস্র বর্ষ পর্য্যন্ত জলের উপরে যুদ্ধ করিতে লাগিলেন। তখন মহাদেব চিন্তা করিলেন, “আমি যাহাদিগকে সৃষ্টি করিবার জন্য পাঠাইয়াছিলাম তাহারা দুইজন ঝগড়া-লড়াই করিতেছে”। তখন তাহাদের উভয়ের মধ্য হইতে এক তেজোময় লিঙ্গ উৎপন্ন হইয়া শীঘ্র আকাশে চলিয়া গেল। উহা দেখিয়া উভয়ে আশ্চর্যান্বিত হইয়া চিন্তা করিলেন, “ইহার আদি অন্ত জানা আবশ্যক, যে ইহার আদি অন্ত জানিয়া প্রথমে ফিরিয়া আসিবে, সে পিতা এবং যে পরে, কিংবা সীমা না জানিয়া ফিরিয়া আসিবে, সে পুত্র বলিয়া কথিত হইবে।” বিষ্ণু কূর্মরূপ ধারণ করিয়া নীচে চলিলেন, আর ব্রহ্মা হংসরূপ ধারণ করিয়া উপরে উড়িলেন। উভয়ে মনোবেগে চলিলেন, তাঁহারা দিবা সহস্রবৎসর পর্য্যন্ত চলিতে থাকিলেও তাহার অন্ত পাইলেন না। তখন বিষ্ণু নিম্ন হইতে উপরে এবং ব্রহ্মা উপর হইতে নিম্নে চলিতে লাগিলেন। ব্রহ্মা ভাবিলেন “যদি সে অন্ত জানিয়া ফিরিয়া আসে তাহা হইলে আমাকে পুত্র হইতে হইবে”। এইরূপ চিন্তা করিতেছেন, এমন সময়ে একটি গাভী ও একটি কেতকী বৃক্ষ উপর হইতে অবতরণ করিল। ব্রহ্মা তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন “তোমরা কোথা হইতে আসিলে”? তাহারা বলিল, “আমরা এক সহস্র বৎসর ধরিয়া এই লিঙ্গের আধার হইতে চলিয়া আসিতেছি”। ব্রহ্মা জিজ্ঞাসা করিলেন” এই লিঙ্গের অন্ত আছে। না নাই”? তাহারা বলিল, – “নাই”। তখন ব্রহ্মা বলিলেন,— তোমরা আমার সঙ্গে চল আর এইভাবে সাক্ষ্য দিও আমি (গাভী) এই লিঙ্গের উপর দুগ্ধধারা বর্ষণ করিতাম, আর বৃক্ষ তুমি বলিবে – 'আমি পুষ্প বর্ষণ করিতাম'। তোমরা এইরূপ সাক্ষ্য দিলে আমি তোমাদিগকে যথাস্থানে লইয়া যাইব। তাহারা বলিল, – “আমরা মিথ্যা সাক্ষ্য দিব না।” তখন ব্রহ্মা কুপিত হইয়া বলিলেন, দাও তো তোমাদিগকে এখনই ভস্ম করিব। তখন উভয়েই ভীত হইয়া বলিল, বলিবেন আমরা আপনার কথা অনুযায়ী সেইরূপ সাক্ষ্য দিব। “যদি সাক্ষ্য না - আপনি যেরূপ বিষ্ণু পূর্বে ফিরিয়া আসিয়াছিলেন। ব্রহ্মাও উপস্থিত হইলেন। বিষ্ণুকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি (লিঙ্গের) অন্ত জানিয়া আসিয়াছ, কি না?” বিষ্ণু বলিলেন, – “আমি ইহার অন্ত পাই নাই”। ব্রহ্মা বলিলেন, – “আমি জানিয়া আসিয়াছি”। বিষ্ণু বলিলেন— “কোনও সাক্ষী উপস্থিত কর।” তখন গাভী এবং বৃক্ষ সাক্ষ্য দিল। “আমরা উভয়েই লিঙ্গের মস্তকে ছিলাম।” তখন লিঙ্গ হইতে বৃক্ষকে অভিশাপ দিল, “যেহেতু তুমি মিথ্যা বলিয়াছ, সেই হেতু তোমার ফুল জগতে আমার অথবা অন্য কোন দেবতার পূজায় লাগিবে না। কেহ অর্পণ করিলে তাহার সর্বনাশ হইবে।” গাভীকে অভিশাপ দিল, – “যে মুখ দিয়া তুই মিথ্যা বলিয়াছিস, সে মুখে তুই বিষ্ঠা খাইবি। কেহ - তোর মুখের পুজা করিবে না, কিন্তু পূজা করিবে তোর পুচ্ছের।” বিষ্ণুকে বর দান করিল, “যেহেতু তুই সত্য বলিয়াছিস, এইজন্য সর্বত্র তোর পূজা হইবে।” পুনরায় উভয়ে লিঙ্গের স্তুতি করিলেন। তাহাতে প্রসন্ন হইয়া এক জটাজুট মূর্তি সেই লিঙ্গ হইতে আবির্ভূত হইল। মূর্তি বলিল – “আমি তোমাদিগকে সৃষ্টি করিবার জন্য পাঠাইয়াছিলাম, তোমরা বিবাদে প্রবৃত্ত রহিলে কেন? ব্রহ্মা ও বিষ্ণু বলিলেন, আমরা সামগ্রী ব্যতীত কীরূপে - সৃষ্টি করিব?” তখন মহাদেব জটা হইতে একটি ভস্মের গোলা বাহির করিয়া বলিলেন,–“যাও ইহার দ্বারা সমস্ত সৃষ্টি রচনা কর” ইত্যাদি।

আচ্ছা, এই পুরাণ রচয়িতা পোপদিগের যদি কেহ জিজ্ঞাসা করে, যখন সৃষ্টিতত্ত্বও পঞ্চমহাভূত ছিল না, তখন ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহাদেবের শরীর,জল, কমল, লিঙ্গ, গাভী, কেতকী-বৃক্ষ এবং ভস্মের গোলা কি তোমাদের পিতামহের ঘর হইতে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিল ? 👈

[তথ্যসূত্র : সত্যার্থপ্রকাশ(বাংলা সংস্করণ)/একাদশ সমুল্লাস/পৃষ্ঠা নং. ২৫৯-২৬১]


👆উপরোক্ত দাবি গুলো দয়ানন্দ সরস্বতী করেছেন।

এবার দয়ানন্দ সরস্বতীর এইসব অর্ধসত্য দাবির খণ্ডন করা যাক।

☘️ প্রথমেই বলি আমাদের পুরাণ মান্যতা সম্পর্কে অপসংস্কৃতির বাহক আর্যসমাজীদের কিছু জিনিস প্রথমে জেনে রাখা উচিত ।

১) পুরাণ শাস্ত্রের কিছু অংশ তুলে যখন তার বিপক্ষে প্রশ্ন তোলা হয় তখন প্রশ্নকারীদের এটাও স্বীকার করতে হবে যে, উত্তর প্রদান করবার সময়ে তার বিশ্লেষণ পুরাণ থেকে প্রাপ্ত হলে সেটিও গ্রহন করতে হবে।


এবার খণ্ডনের পালা।

ISSGT - এর দ্বারা সত্যার্থপ্রকাশের একাদশ সমুল্লাসে শিবপুরাণ সমীক্ষা নামক বিষয়ে দয়ানন্দ সরস্বতীর দাবির খণ্ডন : 


🔥খণ্ডন : দয়ানন্দ সরস্বতী কখনো শিবমহাপুরান টি যত্ন সহকারে আগাগোড়া চক্ষু দিয়ে অধ্যয়ন করেননি। কারণ, শিবমহাপুরাণে কোথাও নারায়ণকে জলাশয় বলা হয়নি,  কখনোই ব্রহ্মার হাতের ফেলে দেয়া জলের বুঁদ বুঁদ থেকে পুরুষ বিষ্ণু উৎপন্ন হয়নি, এটা ডাহা মিথ্যা ও কাল্পনিক গল্পের ভাণ্ডার দয়ানন্দের।

এবার আসি আসল সত্য উন্মোচনের বিষয়ে,

শিবলিঙ্গ একবার প্রকটিত হয়নি বরং শিবলিঙ্গ দুইবার প্রকটিত হয়েছিল। 

প্রথমবার শিবলিঙ্গ প্রকটিত হয়েছিল জগৎ সৃষ্টির পূর্বে,

দ্বিতীয়বার শিবলিঙ্গ প্রকটিত হয়েছিল জগৎ সৃষ্টি হয়ে যাবার পরবর্তী সময়ে


এখন দয়ানন্দ সরস্বতী শিব মহাপুরাণের নামে মিথ্যা ঘটনা উল্লেখ করার পর শেষে একটা প্রশ্ন তুলেছেন যে, 

👉দয়ানন্দ সরস্বতীর দাবী - আচ্ছা, এই পুরাণ রচয়িতা পোপদিগের যদি কেহ জিজ্ঞাসা করে, যখন সৃষ্টিতত্ত্ব ও পঞ্চমহাভূত ছিল না, তখন ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহাদেবের শরীর,জল, কমল, লিঙ্গ, গাভী, কেতকী-বৃক্ষ এবং ভস্মের গোলা কি তোমাদের পিতামহের ঘর হইতে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিল ? 👈


দয়ানন্দ সরস্বতী শিব মহাপুরাণের শিবলিঙ্গ প্রকটিত হওয়ার দুবারের ঘটনাকে গুলিয়ে ফেলে জগাখিচুড়ি করে ফেলেছেন। তাই তিনি এমন আজব প্রশ্ন করে বসেছেন।


⭕শিব মহাপুরাণে সৃষ্টির পূর্বে হ‌ওয়া শিবলিঙ্গের প্রথমবার আবির্ভাবের ঘটনা 👇

শিবমহাপুরানের রুদ্র সংহিতার সৃষ্টি খণ্ড অনুসারে, যখন কিছুই ছিল না তখন শিব ছিলেন নিরাকার স্বরূপে। পরমেশ্বর শিব নিরাকার স্বরূপ থেকে গুণাতীত নির্গুণ সাকার রূপে দিব্যদেহসম্পন্ন সদাশিবরূপে প্রকটিত হয়ে নিজের বামভাগ হতে আদ্যাশক্তি শিবাকে প্রকট করেন তারপর সর্বপ্রথম নারায়ন কে প্রকট করেন। অতঃপর সেই নারায়ণকে সদাশিব তপস্যা করতে বলেন। তখন নারায়ণের দেহ থেকে বিভিন্ন মায়া স্বরূপ প্রকৃতিভূত তন্মাত্রা প্রপঞ্চ তথা ২৪তত্ত্ব ও জল প্রকটিত হয়।

এরপর নারায়ণের নাভি থেকে একটি কমলপুষ্প প্রকটিত হয়, তখন সেই পুষ্পের মধ্যে প্রজাপতি ব্রহ্মা প্রকটিত হন।

তারপর ব্রহ্মা ও বিষ্ণু দুজনে পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেন, তখন তাদের মধ্যে বিভিন্ন কথায় বিবাদ হয়। ঠিক তখনই তাদের দুজনের মধ্যে ওম্-কার ধ্বনী সম্পন্ন অগ্নিস্তম্ভ প্রকটিত হয়। তখন ব্রহ্মার বিষ্ণু সেই অগ্নিস্তম্ভের আদি অন্ত খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন, কিন্তু তারা বিফল হয়ে ফিরে আসেন এবং সেই অগ্নিসম্বর স্বরূপ জ্যোতির্লিঙ্গের কাছে নিজেদের হার স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেন। ব্রহ্মা ও বিষ্ণু দুজনেই সেই জ্যোতির্লিঙ্গের প্রকটকারী পরমাত্মার স্বরূপ দর্শন করার জন্য প্রার্থনা করতে থাকেন । 

তখন পরমেশ্বর সদাশিব ব্রহ্মা বিষ্ণুর মাঝে প্রকটিত হয়ে তাদেরকে পুত্র বলে সম্বোধন করেন এবং শিবজ্ঞান সহ বেদজ্ঞান প্রদান করেন, তাদের সৃষ্টি ও পালনের দায়িত্বভার অর্পণ করেন। 

এরপর ব্রহ্মা সৃষ্টিকার্য করেন এবং নারায়ন তার পালন করেন। - এটি সৃষ্টির পূর্বের ঘটনা যার প্রমাণ রয়েছে - শিবমহাপুরাণ রুদ্রসংহিতার সৃষ্টিখণ্ডের ৬ থেকে ১০নং অধ্যায়ে । দয়ানন্দ সরস্বতীর চ্যালারা একটু শিবমহাপুরাণের রুদ্র সংহিতার উক্ত তথ্যসূত্র ঘেটে দেখে নেবেন, আপনাদের দয়ানন্দ সরস্বতী যে কতটা গর্দভমহর্ষি ছিলেন তা প্রমানিত হয়ে যাবে।


☝️উপরোক্ত এই ঘটনাটি শিবলিঙ্গের প্রথমবার প্রকট হবার ঘটনা। 

🔍পর্যবেক্ষন : উপরোক্ত শিবলিঙ্গের প্রথমবার প্রকটিত হওয়ার ঘটনা তে কোথাও কেতকীফুল গাভী এসবের উল্লেখ দেখা যায় না, নারায়ণের তপস্যার ফলে তার দেহ থেকে মায়া স্বরূপ পঞ্চভূত প্রকটিত হলে তার থেকেই সমস্ত সৃষ্টি রচনার তত্ত্ব উদ্ভূত হয়। 

সুতরাং, সৃষ্টিরপূর্বে কেতকীফুল(বৃক্ষ) বা গাভী কোনোটিই ছিল না তা প্রমানিত হয়েছে সাক্ষাৎ শিবমহাপুরাণ থেকে।

আর লিঙ্গ বলতে দয়ানন্দ সরস্বতী শিবের পুরুষাঙ্গ ভেবে নিয়েছেন, কিন্তু শিবমহাপুরাণে, উক্ত লিঙ্গকে অগ্নিস্তম্ভ বলা হয়েছে - এটা গাঁজাখোর দয়ানন্দ সরস্বতী খেয়াল করেনি। এমনকি সদাশিব ওই অগ্নিস্তম্ভের মধ্য থেকে প্রকট হয়ে দর্শন দিয়েছিলেন। তাই ওটি যদি শিবের পুরুষাঙ্গ ই হতো তাহলে শিব কি করে নিজের পুরুষাঙ্গের মধ্যে ঢুকে থাকতে পারে এটিও তো ভাবনার বিষয়, তাই না ?

অত‌এব, সৃষ্টির পূর্বে লিঙ্গ কোত্থেকে আসে - এই ধরনের প্রসঙ্গ টেনে দাবি করা দয়ানন্দ সরস্বতীর সম্পূর্ণ মূর্খামি ও গাঁজা সেবনের ফল মাত্র।

শিবমহাপুরাণেই বলা হয়েছে যে, পরমেশ্বর শিব গুণাতীত, তার দেহ দিব্য, মায়ারূপ গুণের মাধ্যমে পঞ্চভূত দ্বারা মনুষ্যের ন্যায় তার দেহ নয়। তার দেহ চিন্ময়স্বরূপ জ্ঞানময়। 

বিষ্ণু সত্ত্বগুণ ও ব্রহ্মা রজঃ গুণ দ্বারা প্রকটিত হয়েছেন, একথাও শিবপুরাণে বলা হয়েছে।

সদাশিব থেকে তার শক্তি দেবী শিবা  প্রকটিত হন। এই দেবীকে পরাপ্রকৃতি(পরাবিদ্যা) বলা হয় অর্থাৎ ইনি প্রকৃতির ঊর্ধ্বে।

দেবী পরপ্রকৃতির থেকে প্রকৃতি প্রকটিত হয়, সেই প্রকৃতি সম্ভূত  দুটি গুণ যথাক্রমে সত্ত্বগুণ থেকে বিষ্ণু ও রজঃ গুণ ব্রহ্মা প্রকটিত হয়েছেন।

ভস্মের গোলার দ্বারা সৃষ্টি হবার কোনো উল্লেখ শিবমহাপুরাণে নেই। তাই এটাও একটা ডাহা মিথ্যা কথা বলেছেন দয়ানন্দ সরস্বতী।

গাঁজা সেবনকারী মাতাল দয়ানন্দ সরস্বতী এসব সঠিক ভাবে অধ্যয়ন না করেই শুধুমাত্র পুরাণ শাস্ত্রকে নিন্দা করার উদ্দেশ্যে শিবমহাপুরাণের নামে মিথ্যাচার করে মিথ্যা অরোপ করেছে মাত্র। যা নিয়ে বর্তমানের মস্তিষ্কপচা দয়ানন্দী আর্যসমাজী রা খুব নাচানাচি করে পুরাণের নিন্দা করে। কিন্তু এই দয়ানন্দীরাই কখনো দয়ানন্দ সরস্বতীর দাবি গুলোর সঠিকভাবে পর্যালোচনা করে দেখেনি। কারণ, এদের বিচার বিবেচনা করার সামর্থ্য ই নেই। এরা দয়ার কথা শুনে অন্ধের মতো আর্যসমাজীরা সনাতনীদের কানে এই গল্প দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোয় ব্রতী হয়ে গিয়েছে।


শিবমহাপুরাণে সৃষ্টির পরবর্তীতে হ‌ওয়া শিবলিঙ্গের দ্বিতীয়বার আবির্ভাবের ঘটনা 👇


সৃষ্টির পরবর্তী সময়ে যখন ব্রহ্মা বিষ্ণুর পুনরায় বিবাদ লেগেছিল , সেই সময়ে দেবতারা উদ্বিগ্ন হয়ে কৈলাসে গিয়ে পরমেশ্বর শিবের গুণাত্মক সত্ত্বা ভগবান রুদ্রদেবকে এই ব্রহ্মা বিষ্ণুর কলহ থামানোর জন্য প্রার্থনা করেন , তারপর ভগবান রুদ্রদেব দেবতাদের প্রার্থনা স্বীকার করে শিবলিঙ্গরূপে প্রকটিত হন ব্রহ্মা বিষ্ণুর মাঝখানে। তখন ব্রহ্মা ও বিষ্ণু সেই লিঙ্গের আদি অন্ত খুঁজতে লিঙ্গের উপরিভাগে ও নিম্ন ভাগে গমন করেন। বিষ্ণু অগ্নিস্তম্ভস্বরূপ শিবলিঙ্গের নিম্নভাগের অন্তিম প্রান্ত খুঁজতে অসমর্থ হয়ে ফিরে আসেন , ব্রহ্মাও অগ্নিস্তম্ভস্বরূপ শিবলিঙ্গের নিম্নভাগের অন্তিম প্রান্ত খুঁজতে অসমর্থ হয়ে কেতকী ফুল ও গাভীকে সাক্ষী হিসেবে হাজির করেন ব্রহ্মা, এরপর মিথ্যা কেতকীফুল ও গাভী মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে তারা অভিশপ্ত হন- এটি সৃষ্টির পরবর্তী ঘটনা যার প্রমাণ রয়েছে - শিবমহাপুরাণ বিদ্যেশ্বর সংহিতার ৫ থেকে ৮নং অধ্যায়ে । (দয়ানন্দ সরস্বতীর চ্যালারা একটু শিবমহাপুরাণের বিদ্যেশ্বর সংহিতা ঘেটে দেখে নেবেন)


☝️সিদ্ধান্ত : সৃষ্টির পরবর্তীতে ব্রহ্মা শিবলিঙ্গের আদি অন্ত খুঁজতে গিয়ে কেতকী ও গাভীকে ধরে এনেছিলেন, সুতরাং সৃষ্টির পরবর্তীতে হ‌ওয়া এই ঘটনা কোনো ভাবেই অবৈজ্ঞানিক নয়। 

কারণ, সৃষ্টি সম্পন্ন হবার পরে চতুর্দশভুবন সহ সমস্ত সৃষ্টির উপাদান বিদ্যমান ছিল, দেবলোক ছিল, কৈলাস ছিল। সৃষ্টি পরেই দ্বিতীয় বার শিবলিঙ্গ প্রকটিত হয় এবং তখন কেতকী ফুল ও গাভীর ঘটনা শিবপুরাণে উল্লেখিত হয়েছে। তাই সৃষ্টি হয়ে যাবার পর কেতকী ফুল বা গাভী উপস্থিত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই শিব মহাপুরাণের এই ঘটনা কোনো অবৈজ্ঞানিক নয়, বরং শাস্ত্রানুসারে যুক্তিযুক্তি । 


কিন্তু, গাঁজা সেবনকারী ধূর্ত দয়ানন্দ সরস্বতী সেটি না বুঝেই দাবি করে বসলো যে, সৃষ্টির পূর্বে কেতকীবৃক্ষ , গাভী এসব কোত্থেকে আসে ? 

এমনকি দয়ানন্দ নিজেই কটাক্ষের সুরে বলেছেন, যে পুরাণরচয়িতারা নাকি পোপ । 


আচ্ছা দয়ানন্দ সরস্বতী কি আর কোনো তকমা পেলো না ? 

পোপ কাদের বলা হয় ? 

যারা খ্রিষ্টান মতবাদের পৌরহিত্যকারী যাজক তাদের - পোপ বলা হয়।

কথায় আছে - একজন চোরের চোখে অনান্য সকলেই নিজের মতো চোর বলে মনে হয়।

দয়ানন্দ সরস্বতী নিজেই হল খ্রিষ্টান মতবাদের দালাল। কারণ খ্রিষ্টানদের দ্বারা পরিচালিত থিয়োসোফিক্যাল সোসাইটির একজন অনুসারী এই দয়ানন্দ সরস্বতী। 

ভারতে সনাতন ধর্মের মধ্যে যাতে অন্তর্দ্বন্দ লাগে ও সনাতনীরাই দেবমূর্তিপূজার বিরোধী হয়ে ওঠে সেই উদ্দেশ্য কে সফল করার জন্য এই থিয়োসোফিক্যাল সোসাইটি ভারতে দয়ানন্দ সরস্বতীর মূঢ় মস্তিষ্ক কে হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগায়, দয়ানন্দ সরস্বতীর কাছে এই সংস্থা থেকে একসাথে যুক্ত হয়ে দেবপ্রতিমাপূজার বিপক্ষে ও সনাতনীদের শাস্ত্রগুলিকেই তুলধনা করে তা ফেলে দেবার কাজে একত্রে কাজ করার প্রস্তাব আসে। দয়ানন্দ সরস্বতী‌ও তাতে সম্মতি দিয়ে একত্রে সনাতন ধর্মের ধ্বংসের কাজে লেগে পড়ে। ভারতে সেই খ্রিষ্টান মতবাদে পুষ্ট থিয়োসোফিক্যাল সোসাইটির নাম বদলে নতুন নামকরণ করে "আর্যসমাজ" রাখা হয়। 

সনাতনীরা বিভ্রান্ত হয়ে দয়ানন্দ সরস্বতী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আর্যসমাজ কে প্রকৃত সনাতন ধর্মের পথ বলে ধারণা করে সনাতন ধর্মের‌ই বিপক্ষে কথা বলতে শুরু করে।

পাঠকবৃন্দ..

এবার বুঝতে পারছেন তো !! দয়ানন্দের কাছে পুরাণরচয়িতারা কেন পোপ নামে সম্বোধিত হয়েছেন ?


আসলে দয়ানন্দ সরস্বতী নিজেই অসনাতনী ম্লেচ্ছ ছিলেন। তাই সনাতন ধর্মের পণ্ডিতদের তিনি খ্রিষ্টান মতবাদী পোপ হিসেবেই সম্মোধন করতেন।

দয়ানন্দ সরস্বতীর সাথে থিয়োসোফিক্যাল সোসাইটির সম্পর্কে প্রমাণ আপনি পেতে পেতে পারেন গুগলে সার্চ করে। অথবা এখানে ক্লিক করে দেখুন 👇

Theosophical Society of the Arya Samaj


দয়ানন্দ সরস্বতীর মরে নরকে যাবার পর আর্যসমাজীরা সত্যার্থ প্রকাশের মধ্যে দয়ানন্দ সরস্বতীর নামে নতুন সমুল্লাস তৈরি করে সেখানে খ্রিষ্টান মতবাদ সমীক্ষা নামের একটি নতুন গল্প আমদানি করেছে। কেননা এটা না করলে আর্যসমাজীরা যে আসলে খ্রিষ্টান মতবাদের দালাল সেটা ধরা পড়ে যেতো। তাই এই চালাকি করেছে আর্যসমাজীরা। আর তা দয়ানন্দের লেখা বলে চালাচ্ছে।


নরকবাসী দয়ানন্দ সরস্বতী ও আর্যসমাজীদের উদ্দেশ্যে বলি, 

পুরাণ সমূহের রচনা স্বয়ং পরমেশ্বর শিব করেছেন, যা শিবমহাপুরাণের বিদ্যেশ্বর সংহিতার ২নং অধ্যায়ে বলা হয়েছে, পুরাণ কখনোই ব্যাসদেব রচনা করেননি, বরং দ্বাপরযুগে ব্যাসদেব একটি পুরাণকে ১৮টি ভাগে বিভক্ত করে বহু বিস্তৃত পুরাণকে সংক্ষিপ্ত করে বিরচিত করেছিলেন। আর কেতকী ফুল বা গাভী পোপদের পিতামহের ঘর থেকে আসেনি বরং আর্যসমাজ এসেছে খ্রিষ্টান মতবাদী পোপদের পিতামহের ঘর থেকে ।  তাই আর্যসমাজীদের এত লাফালাফি করার আগে নিজেদের বিষয়ে ভেবে দেখা প্রয়োজন।


মিথ্যাবাদী দয়ানন্দ সরস্বতী ও তার চ্যালা আর্যসমাজীরা দেখে নিন পবিত্র উপনিষদ মিথ্যাবাদী দের উদ্দেশ্যে কি বলছে 👇

সমূলো বা এষ পরিশুষ্যতি যোঽনৃতমভিবদতি ॥১

[প্রশ্ন উপনিষদ/প্রশ্ন নং ৬]

অর্থ — যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলে সে সমূলে বিনষ্ট হয় ।

এবার বুঝতে পারছেন তো , দয়ানন্দ সরস্বতী এত বেদ বেদ করবার পরেও কেন অন্যের হাতে বিষ খেয়ে অপঘাতে মরে গেল ? 

কারণ তিনি ছিলেন মিথ্যাবাদী । আর এ কারণেই তার বিনাশ হয়েছে ।

তাই,

 সমস্ত সনাতনীর উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা এই গাঁজাখোর দয়ানন্দ সরস্বতী ও তার ম্লেচ্ছ আর্যসমাজীদের চিনে রাখুন, এরা সনাতন ধর্মের নামে কলঙ্ক রটানোর উদ্দেশ্যে বেদ বেদ করে, কিন্তু তলায় তলায় এরা ভীষণ রকমের ম্লেচ্ছ।

মনে রাখবেন, মরুভূমিতে মরিচীকা দেখা যায় যা আসলেই সত্য নয়, ঠিক তেমনই এই আর্যসমাজীরা বেদ বেদ করে কিন্তু তা মূলত মরিচীকা মাত্র। 

মাকালফল রূপী এই গাজর্ষি দয়াভণ্ডের অন্ধনামাজীদের চিনে রাখুন, এরা সামনে সনাতন ধর্মের পবিত্র বেদ শাস্ত্র কে নিয়ে খুব প্রচার করে, যা মূলত অর্ধসত্য। এদের প্রচারের পিছনে মূল উদ্দেশ্য হল - বেদের দোহাই দিয়ে মূর্তিপূজা বন্ধ করানো, পুরাণ শাস্ত্রের মহিমা কে কলঙ্কিত করা, অবৈজ্ঞানিক প্রমাণ করা, যাতে শেষমেশ সকল সনাতনীরা ম্লেচ্ছ যবনদের মতো মূর্তিপূজা বিরোধী হয়ে যেতে পারে।


 আমরা এদের নোংরামো এতদিন দেখে আসছি, কিন্তু আর নয়, এদের কড়াকড়ি জবাব দেবো এবার থেকে।  আজ শুধু সত্যার্থ প্রকাশের একাদশ সমুল্লাসে শিবপুরাণ সমীক্ষা নামক অসভ্য দাবির খণ্ডন করেছি, ভবিষ্যতে সত্যার্থ প্রকাশের খণ্ডণ করবো। আর্যসমাজী তথা বাংলাদেশের অগ্নিবীর নামক ম্লেচ্ছদের পুরাণ নিয়ে মিথ্যাচারের খণ্ডন আমি করবো শিবকৃপা ও গুরুকৃপার বলে।  

আর্যমসমাজীরা যত‌ই লাফালাফি করুক, সত্যার্থপ্রকাশের একাদশ সমুল্লাসের এই অংশটি যে আজ খণ্ডিত হল, সেটা নিয়ে আর লাফালাফি করতে পারবে না, কি কষ্ট তাই না ? 

দয়ানন্দ সরস্বতী‌ও যে মূর্খ সেটাও প্রমাণিত, খুব কষ্ট হচ্ছে বলো দয়ানন্দী বাছারা ? 

অপেক্ষা করো আর্যনামাজী রা আরো বাকি এখনো😄

অর্ধসত্য প্রকাশে লজ্জাহীন অগ্নিবিড়িখোর সৈনিকদের - শিবকৃপায় আবার দমানো হল, সবে তো শুরু... 

নমঃ শিবায় 🙏

হর হর মহাদেব 🙏

শৈব সনাতন ধর্মের জয়🔥

জয় গুরু দক্ষিণামূর্তি 🙏☘️


✍️ ম্লেচ্ছদের আস্ফালন দমনে - শ্রীনন্দীনাথ শৈব জী

🙏কৃতজ্ঞতা স্বীকার :  যিনি অলৌকিকভাবে জ্ঞানচক্ষু খুলে দিয়েছেন, যার কৃপায় আমি এই খণ্ডন করতে সমর্থ হয়েছি সেই শিবস্বরূপ শ্রীগুরু দয়ানন্দ অবধূত গুরুদেবের চরণে আমি নতমস্তকে প্রণামসহ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি ও এই লেখা গুলিতে তার ইঙ্গিত ও মহিমা রয়েছে বলে আমি আমার গুরুদেবকেই উৎসর্গ করলাম। 

[বিঃদ্রঃ - দয়ানন্দ সরস্বতী ও দয়ানন্দ অবধূত দুজন ভিন্ন ব্যক্তি, দয়ানন্দ সরস্বতী আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা ভণ্ড ব্যক্তি, আর শ্রীগুরু দয়ানন্দ অবধূত হলেন পরমেশ্বর শিবের একনিষ্ঠ ভক্ত ও সিদ্ধিলাভকারী মহাযোগীশৈবসাধক]

🚩 কপিরাইট ও প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT


☀️আরো দেখুন 👇

 • শিবমহাপুরাণোক্ত দারুবনে শিবলিঙ্গ প্রসঙ্গকে অশ্লীল আখ্যা দেয়া অসনাতনীদের আস্ফালনের নিষ্পত্তি 

পুরাণের প্রকাশক স্বয়ং পরমাত্মা শিব, ব্যাসদেব পুরাণের রচয়িতা নন





মন্তব্যসমূহ

  1. দয়ানন্দ সরস্বতী যে এত বড় ধূর্ত, সেটা আজ বুঝলাম। এদের লাফালাফিহল ওই সত্যার্থ প্রকাশ নিয়ে। ওটার আগাগোড়া খণ্ডন চাই। হর হর মহাদেব।

    উত্তরমুছুন
  2. খুব সুন্দর উপস্থাপনা।
    দয়াভন্ড নিপাত যাক। অগ্নি বিরিখোর নিপাত যাক।
    জয় দয়ানন্দ অবধূত🙏

    উত্তরমুছুন
  3. কী গাঁজাসেবী রে বাবা, নারায়ণ নামক জলাশয়

    উত্তরমুছুন
  4. আচ্ছা শিব গাজা কেন খায়,? আপনারা কি খান?

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমবার ব্রত বিধি ও মাহাত্ম্য (শৈবপুরাণোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ১ (মূলপূজা)

বৃহৎ শিবার্চন বিধি পুস্তক (শৈব আগমোক্ত)

শিবরাত্রির ব্রত বিধি ২ (প্রহরপূজা)

ত্রিপু্রোৎসব দীপপ্রজ্জ্বলন রীতি – স্কন্দমহাপুরাণোক্ত