১ মুখী রুদ্রাক্ষ — স্বরূপ, মহিমা ও উপকারীতা বর্ণনা

 

এক মুখী রুদ্রাক্ষ

একমুখী রুদ্রাক্ষ

⭐⭐⭐⭐⭐

একমুখী রুদ্রাক্ষ অর্ডার করুন (Available Only in India)

আমাদের শৈব পরম্পরার থেকে রুদ্রাক্ষ অর্ডার করে নেবার জন্য নিচের নির্দেশনা অনুসরণ করুন ।

নেপালে উৎপন্ন Certified

এক মুখী রুদ্রাক্ষ (১টি বীজ) —  ৫, ৯৯৯ /- টাকা মাত্র।

[একবার অর্ডার করে ১টি রুদ্রাক্ষ পাবেন, অধিক নেবার জন্য পুনরায় অর্ডার করতে হবে]

রুদ্রাক্ষ কিনুন  👇 এইখানে ক্লিক করে

Order Now

_______________________________________________


॥ ॐ নমঃ শিবায় ॥

ভূমিকা ঃ

সবরকম রুদ্রাক্ষের মধ্যে এক মুখী রুদ্রাক্ষই শ্রেষ্ঠ। এটি স্বয়ং পরমেশ্বর শিবের প্রতীক। রবি (সূর্য) কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এবং সকল রুদ্রাক্ষের মধ্যে সর্বচেয়ে বিতর্কিত ও কৌতূহলের বস্তু ।  কারণ  এটি ঠিকমত না পাওয়ার জন্যই। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে মানুষের মনে বিষয়ের প্রতি বৈরাগ্য জাগিয়ে তোলে, ক্রমশঃ সে ঈশ্বরের দিকে এগিয়ে যায়। এক মুখী রুদ্রাক্ষ ব্রহ্মহত্যা পাপ থেকে মুক্ত করে এবং ব্রহ্মজ্ঞান প্রদান করে। পরন্তু সে মৃত্যুর পর নির্বাণ বা মোক্ষলাভ করায়। তাছাড়া এক মুখী রুদ্রাক্ষ পরম তত্ত্ব প্রকাশক। তাই এটি ধারণে ঈশ্বরলাভের শক্তি ও ধারণকারীর ঈশ্বরলাভের ইচ্ছা জাগ্রত করে।


১ মুখী রুদ্রাক্ষের স্বরূপ নির্ণয়  


রুদ্রাক্ষ - এই শব্দ টি উচ্চারণ করবার সাথে সাথে বোঝা যায়, এই শব্দের সাথে পরমেশ্বর শিবের সম্পর্ক রয়েছে, আর যখন পরমেশ্বর শিবের সম্পর্কে কোনো কথা ওঠে তখন একমাত্র শৈব শাস্ত্রের দ্বারাই সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব, তাই এইখানে সর্ব প্রথম   শৈব শাস্ত্রে দেওয়া নির্দেশ উল্লেখ করছি, শৈব আগম শাস্ত্র 'চন্দ্রজ্ঞান আগমের ক্রিয়াপাদের সপ্তম পটলের ২৫ নং মহামন্ত্র অনুসারে, ১মুখী রুদ্রাক্ষ হল -- পরমতত্ত্ব‌  শিবের স্বরূপ।

আর শিবমহাপুরাণের বিদ্যেশ্বর সংহিতার ২৫ নং অধ্যায়ের মধ্যে — ১মুখী রুদ্রাক্ষ হল --  ইহা সাক্ষাৎ পরমেশ্বর শিবের স্বরূপ বলে ঘোষণা করা হয়েছে ।


১ মুখী রুদ্রাক্ষের কর্তা‌ ঃ পরমব্রহ্ম শিব

১ মুখী রুদ্রাক্ষের গ্রহ ঃ রবি (Sun)

১ মুখী রুদ্রাক্ষের চক্র ঃ সহস্রার চক্র (Crown Chakra)


এক মুখী রুদ্রাক্ষ দর্শন কেমন হয় ?

এক মুখী নেপালী রুদ্রাক্ষ যদি আদৌ পাওয়া যায়, তা লম্বায় হয় ১০-১৫ মিমি। এটি সাধারনত গোলাকার হয় না, কিছুটা লম্বাটে হয়। তবে মনে রাখতে হবে যে, এক মুখী চন্দ্রাকারের সঙ্গে যেন গুলিয়ে না যায়। 

অবশ্য জাভা/ইন্দোনেশিয়ার এক মুখী রুদ্রাক্ষ খুব ছোট হয় (৪ মিমি লম্বা ও ৩-৪ মিমি পরিধি)। একমুখ একদিকে পরিষ্কার দেখা যায় ও উল্টোপিঠে মুখের কাছাকাছি একটি বন্ধের (Close) রেখা দেখা যায়। ইন্দোনেশিয়ার এক মুখী রুদ্রাক্ষ দেখতে প্রায় ইন্দোনেশিয়ার দুই মুখীর মত। পার্থক্য শুধু এক মুখীর ক্ষেত্রে একটি পূর্ণ মুখ কিন্তু দুই মুখীর ক্ষেত্রে স্পষ্ট দুটি মুখ দেখা যায়।

 চন্দ্র আকারের এক মুখী রুদ্রাক্ষ

এই এক মুখী চন্দ্রাকার রুদ্রাক্ষই বাজারে এক মুখী রুদ্রাক্ষ বলে বিক্রি হচ্ছে। এটি এক মুখী রুদ্রাক্ষের বিকল্প হিসেবেই মূলত ব্যবহৃত হয়। বাজারে প্রচুর এই এক মুখী চন্দ্রাকারের‌ও ভেজাল বেরিয়েছে। সুতরাং ক্রেতারা সাবধান হয়ে কিনবেন। তবে যেহেতু এই চন্দ্রাকার রুদ্রাক্ষের উপর শিবের বিশেষ কৃপা, তাই এই রুদ্রাক্ষ এক মুখীর পরিবর্তে ধারণ করা যেতে পারে। একমুখী এই চন্দ্রাকার রুদ্রাক্ষ হরিদ্বার ও রামেশ্বরমে পাওয়া যায়।


এক মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে কি  উপকার পাওয়া যায় ?

উত্তর - এই রুদ্রাক্ষ ধারণকারীকে লক্ষ্মীদেবী আশীর্বাদ করেন। ধারণকারীকে শিবসান্নিধ্যে নিয়ে যায়। মনে অনাবিল শান্তি আনে ও স্মরণশক্তি বাড়ায়। মোক্ষ প্রাপ্ত করায় ।


এক মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণে কি কি রোগ সারে ?

উত্তর - রাতকানা, কিডনি স্টোন, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, শিরায় রক্ত তঞ্চন, হৃদ রোগ, চক্ষু ও চর্মরোগ, অর্শ, ডিসপেপসিয়া, বদহজম, বমিবমিভাব প্রভৃতি রোগের  উপশম হয়ে থাকে।


কে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারে ?

উত্তর - যুবক-বৃদ্ধ সকলেই এটি ধারণ করতে পারে বা পূজার ঘরে রাখতে পারে। তবে যারা কু-অভ্যাস বা কোনও ঔষধে আসক্ত, তাদের ধারণ না করাই ভাল। তাছাড়া আধ্যাত্মিক উন্নতিতে, শান্তিময় জীবনযাপনে, ভোগসর্বস্ব জীবন থেকে দূরে থাকতে ও আধ্যাত্মিক জগতে পাড়ি দিতে সাহায্য করে। এই রুদ্রাক্ষ সর্বদা সবসময় ধারণ করতে পারবেন । তবে চেষ্টা করবেন সর্বদা পবিত্র ও শৌচতা বজায় রেখে চলবার।  যে ব্যক্তি সর্বদা পরমেশ্বর শিবের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ও ভক্তি সহকারে ধ্যান ও পূজা করেন তার কাছে রুদ্রাক্ষ খুব বেশি প্রভাব  ফেলে।

জ্যোতিষ বিচারে এক মুখী রুদ্রাক্ষের মাহাত্ম্য কি ?

উত্তর - পূর্বেই বলা হয়েছে এক মুখী রুদ্রাক্ষ রবি কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। রবির যাবতীয় দোষ খণ্ডন করে। রবি নীচস্থ হলে বা দুঃস্থানে থাকলে বা অন্য কোনও কু-গ্রহের সাথে থাকলে বা দৃষ্টির বিনিময় হলে এই একমুখী রুদ্রাক্ষ খুবই উপকারী। রবি কর্তৃক রোগ যথা-মাথাধরা, কানে কম শোনা, হাড়ের কমজোর, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি দূর করে। তাছাড়া আত্মবিশ্বাস, ব্যক্তিগত ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রভৃতিতেও সাহায্য করে।


এক মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ বিধি কেমন ?

উত্তর - মন্ত্র- ॐ হ্রীং নমঃ । ইতি মন্ত্র।


একমুখী রুদ্রাক্ষের বিনিয়োগ

ॐ অস্য শিবমন্ত্রস্য প্রাসাদ ঋষি, পংক্তি ছন্দঃ শিবো দেবতা, হংকারো বীজম্ ও শক্তি মমচতুর্বর্গ সিদ্ধ্যর্থে জপে বিনিয়োগঃ।


একমুখী রুদ্রাক্ষের ঋষ্যাদিন্যাস

বামদেব ঋষয়ে নমঃ (শিরসি)।

ॐ পংক্তিচ্ছন্দসে নমঃ (মুখে)।

ॐ ঋং এং ঐং নমঃ (হৃদি)। 

ॐ হং বীজায় নমঃ (গুহ্যে)।

ॐ শক্তয়ে নমঃ (পাদয়ো)।


একমুখী রুদ্রাক্ষের করন্যাস

ॐ হাং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ।

ॐ এং হীং তর্জনীভ্যাং স্বাহা।

ॐ হীং হূং মধ্যমাভ্যাং বষট্।

ॐ আং হৈং অনামিকাভ্যাং হুং।

ॐ ঐং হৌং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট্।

ॐ উং হঃ করতলপৃষ্ঠাভ্যাং অস্ত্রায় ফট্।


একমুখী রুদ্রাক্ষের অঙ্গন্যাস

ॐ হাং হৃদয়ায় নমঃ।

ॐ ঐং হীং শিরসে স্বাহা।

ॐ হং হূং শিখায়ৈ বষট্।

ॐ ঔং হৈং কবচায় হুং।

ॐ ঐং হৌং নেত্রত্রয়ায় বৌষট্।

ॐ ॐ হঃ অস্ত্রায় ফট্।


একমুখী রুদ্রাক্ষের ধ্যান 

মুক্তাপীনপয়োদ মৌক্তিক জপা বর্ণে মুখেঃ পঞ্চভিঃ,

এ্যক্ষে রাজিত মীশ মিন্দু মুকুটং পূর্ণেন্দু কোটি প্রভম্।

শূলং টংককৃপাণ বজ্র দহনান্নাগেন্দ্র ঘন্টা শুকং, হস্তাজেম্বভয়ংবরাংশ্চদধতং তেজোজ্জ্বলং চিন্তয়ে ।।

এবং ধ্যাত্বা মানসপচারৈঃ সম্পূজ্য কুর্যাজ্জপসহস্রকং তদনন্তর মাভিমুখ্য সামীপ্যং ঘটোপরি তাম্রপাত্রং নিধায় তত্র রুদ্রাক্ষং ক্ষিপ্তা পংক্তি প্রাণায়ামং কৃত্বা পশ্চাৎ বামে জলপাত্রং ধৃত্বা তত্র তলে সব্য হস্তং ধৃত্বা দক্ষিণ পাণিনা সহস্র জপং কুর্যাৎ। পুনস্তস্যোপরি জলং ক্ষিপেৎ রুদ্রাক্ষং ধারয়েৎ এবম্ সর্বত্র বিবিজ্ঞেয়ঃ।


এখানে দেখুন 👉 রুদ্রাক্ষ শোধন বিধি  


____________________________________________

Order Now 


শৈব সনাতন ধর্ম সদা বিজয়তে 
ॐ নমঃ পার্বতীপতয়ে হর হর মহাদেব 





মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ